সতীনের সংসার
পর্ব ১
দরজা খুলেই এমন একটা দৃশ্য দেখবে ভাবতেও পারে নি। তারই বেড রুমে,তারই বিছানায় অন্য এক মেয়ের সঙ্গে উলঙ্গ হয়ে একে উপরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে অনতরঙ্গ ভাবে ফিজিক্যাল রিলেশন করছে।তাদের শরীরে কোনো জামা-কাপড় নেই,এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তার চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছে না,এটা কি সে
স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তব?খনিকের মধ্যে তার সর্ব শরীর বরফের ন্যায় হয়ে গেছে।কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।পুরো পৃথিবী গোল গোল দেখছে রুমের মধ্যে।চোখ বেয়ে পানি পরছে। বুকের ভিতরে ঘূর্ণিঝড়ের মতো ভেঙে-চুরে,ডলে-মুচরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।প্রায় ৫মিনিট অতিক্রম হওয়ার পর জোরে একটা চিৎকার করে উঠলো রায়হাননননননন।
চিৎকারের শব্দ শুনে একে-অপরকে ছেরে দিয়ে
ফ্লোর থেকে জামা-কাপড় তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেলো তারা।মেয়েটা ওড়না হাতে নিয়ে শরীরের গোপনাঙ্গ
ঢাকার চেষ্টা করেই চলছে তারপর খনিকের মধ্যে
রুম থেকে দৌড়িয়ে বেড়িয়ে গেলো। আর অন্যদিকে রায়হান টাওয়ালটা প্যাচিয়ে নিলো তারপর একপা দু পা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
-আমার কথা শোনো একটু।
কাছে গিয়ে ধরার চেষ্টা।
-please আমাকে ঐ হাতে ছুবে না।শুধু কয়েক দিনের জন্য মা(শ্বাশুড়ী) ও বাবাকে(শ্বশুর) নিয়ে রুমানার
(ননদ) শ্বশুরবাড়ি গেয়েছিলাম ওকে দেখতে আর তার মধ্যে এমন একটা কান্ড করে ফেললে।ছিঃ আমার ঘৃণা করছে অনেক এসব দেখে। ভাগ্যিস ভালো মা-বাবা আরিয়ানকে নিয়ে পাশের বাড়ির স্বর্ণা আন্টি ও তার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলতে গেছে। না হলে আজ তাদের কি অবস্থা হতো একবারও কি ভেবে দেখেছো রায়হান।একবারও কি আরিয়ানের কথা মনে পড়লো না।ওর নিশ্বপাপ মনে যদি একবার আঘাত হানে তোমার এমন কুকর্মের দৃশ্য দেখে। তাহলে বুঝো তার সামনে কিভাবে মুখ নিয়ে দাড়াবে।
-তুমি যা ভাবছো সেটা নয়….(কথা শেষ করার আগেই)
-দূরে থাকো আমার থেকে।একথা বলেই চলে গেলো কাঁদতে কাঁদতে
-আনিকাআআআআআ
চলবে…..
(ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন কিন্তু ভুল বুঝবেন না?বাস্তব জীবন কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা যেনো অন্যদের এমন অবস্থা না হয় )