@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৬)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
–হয়েছে আর পাম দিস না।সক্কাল সক্কাল উঠে পড়ছিস যে।(আমি)
.
–তোর কাছে এখনো সকাল মনে হচ্ছে বান্দর। (নূরী)
.
— দুই মিনিট হয় নাই শুয়েছি এর মধ্যে বক বক শুরু করে দিছিস।তোর জন্য শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারছি না।(আমি)
.
–বক বক না করে উঠ।১ টা বাজে গোসল করে আয়।তোরে রেডি করে আমাকেও রেডি হতে হবে।(নূরী)
.
–শেরওয়ানীটা পড়ে আমি নিজে আসতে পারবো তুই যা তো।(আমি)
.
–আমি তোরে কালকেও বলছি যে অামি আমার মতো করে তোরে সাজিয়ে গুছিয়ে নিবো।(নূরী)
.
–তোর মতলবটা আমায় একটু বলছি।আমাকে কি তুই আটা ময়দা মাখাবি নাকি।(আমি)
.
–আমি বুঝবো আমার বরকে কি করবো তোরে ভাবতে হবে না।(নূরী)
.
–এখনো তোর বর হই নাই।যখন হবো তখন দেখা যাবে।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিকআছে, এখন গোসল করে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে।(নূরী)
.
–যাচ্ছি যাচ্ছি। তোর মতো মাইয়া যেনো কারো কপালে না জুটে।(আমি)
.
–কারো কপালে জুটোক না জুটোক তোর কপালে আমি জুটেছি। (নূরী)
.
কি ডেন্জার মাইয়া মাইরি।যার কপালে এই মাইয়া জুটবে তার জীবন তেজপাতাময় হয়ে যাবে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি।
দুঃখের ছোটে মাইরি ভুলবাল বলা শুরু করে দিছি মাইয়া তো আমার কপালে জুটে যাচ্ছে কোন উপায় নাই এই মাইয়ারে পিছু ছাড়ানোর।
দুঃখ ভুলতে শাওয়ারের নিচে দাঁড়াইয়া ইভান ভাইয়ের তামাক পাতা গানটা গাইতেছি আর ওই দিকে জানোয়ার টাইপের মাইয়া দরজা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই মাইয়ার উপর কোন বিস্বাস নাই দরজা যদি ভেঙ্গে দেয়।
.
–হাতির বাইচ্ছা, দরজা ধাক্কাচ্ছিস কেনো।ভেঙ্গে ফেলবি নাকি।(আমি)
.
–তুই বের হতে এত সময় নিচ্ছিস কেনো । গোসল করতে এত সময় লাগে নাকি গোসল করতে।(নূরী)
.
–তোর জ্বালায় শান্তিতে একটু গোসল করতেও পারবো না নাকি।(আমি)
.
–আজকে একটু তাড়াতাড়ি বের হও, দেরি হয়ে যাচ্ছে কেনো বুঝতে পারছিস না।(নূরী)
.
–দেরি হলে হবে তাতে আমার কি, আমি আরো পরে বের হবো।(আমি)
.
–মাথা গরম করিস না।দরজা ভেঙ্গে ফেলবো বলে দিলাম।(নূরী)
.
–বের হচ্ছি বের হচ্ছি দাঁড়া জলহস্তিনী। (আমি)
.
–তাড়াতাড়ি বের হও। (নূরী)
.
–আরে এক সেকেন্ড দাড়া জাইঙ্গাটা(শব্দটা ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত) পড়ে নিই নাকি সেটাও তুই পরিয়ে দিবি।(আমি)
.
–বান্দর পোলা তুই রেডি হয়ে নিচে আয় আমি যাচ্ছি। (নূরী)
.
যাক শান্তি।এবার আমারে পায় কে শাওয়ারের নিচে বসে থাকবো আর ইভান ভাইয়ের গান গাইবো।
এত সুখ সইলো না আমার কপালে জানোয়ারটা গিয়ে হারামি সবাইরে আমার রুমে ডুকাই দিছে। এমনিতে একজনের জ্বালা সহ্য হচ্ছে না তারউপর আরো সাত সাতটা হারামি জ্বালা এত জ্বালা কোন বস্তায় রাখি।
দুঃখের কথা কারে কইতাম।আমি যদি এক্ষুনি বের না হই তাহলে আমার একটা পারফিউম রাখবে না।
হারামিগুলো আমার চোখেঁর পানি নাকের পানি এক কইরা দিছে।
.
–এই তোদের আমার রুমে ডুকতে দিছে কে।(আমি)
.
–ভাবি তো পাঠিয়েছে তোরে নিয়ে যেতে।(নীরব)
.
–আরে লম্বু আমারে নিয়ে যেতে বলছে আমার পারফিউমের গুষ্টি উদ্দার করতে তো বলে নাই তোদের।(আমি)
.
–তোরে তো নিয়ে যাবো, তার বিনিময়ে আমরা কি কিছু পাবো না।(মুন্না)
.
–মোটু।আমার একটা পারফিউমও তো ছাড়লি না ৭ হনুমানে ৭ টা শেষ করে দিলি।আজকে আন্টিদের জিঙ্গাস করবো তোদের জন্মের পর কি তোদের গায়ে পারফিউম মারছিলো নাকি।(আমি)
.
–রাগ করিস না দোস্ত।আমরা তো দিয়েছি আর তো কেউ দেয় নাই।(অসীম )
.
–ঢান্ডিয়া(এ শব্দটা কোন ধর্ম কে ছোট করার জন্য বলি নাই।কেউ নিজের বা ধর্মের উপর টেনে নিবেন না কথাটি।) মেয়েদের হাতে যখন কেলানি খাওয়াইছিস তখন মনে ছিলো না।(আমি)
.
–আমি বৌদি কে ডেকে আনছি তুই আমারে আজকেও ঢান্ডিয়া বলছিস।(অসীম)
.
–যা না যা, আমাদের সবার মধ্যে তুই একমাএ হিন্দু। তোরে আমরা কত ভালোবাসি।তোরে ভালোবেসে ঢান্ডিয়া ডাকি।(আরশাফ)
.
–তুই কি পাগল নাকি।আমি কি কিছু বুঝি না।এত বছর পযন্ত আমি তোদের বন্ধু আর তুই আমাকে এখনো চিন্তে পারিস নাই।(অসীম)
.
–এই তোদের ডায়লগ বন্ধ কর।আর ফটাফট কেঁটে পড় আমার রুম থেকে।(আমি)
.
–তোরে নিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের খাওয়া বন্ধ বলছে বৌদি। (অসীম)
.
–কস কি?তাহলে তো আমি ভুলেও ভুলেও যাবো না।আমি তো চাই তোদের কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া বন্ধ হোক।এই সুযোগ আর মিস করা যাবে না।(আমি)
.
–তোরে নিয়ে যেতে পারি আর নাই পারি খাওয়া মিস হবে না।যে করে হোক খাবো খাবো।(জাহেদ)
.
–তাহলে যা ভাগ।(আমি)
.
–তোরা যা আমি আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাবো।(নীরব)
.
–তুই এত সাধু সাজিস না। সাবার মধ্যে তুই একমাএ ব্যক্তি যে আমারে বাঁশ দেওয়া ছাড়া কোনদিন ছাড়িস নাই এখন সাধু সাজতে আসছে।(আমি)
.
–ওসব বাদ দেয় তখন তোরে বাঁশ দিছি এখন তো তুই আমাদের আরও বড় বাঁশ দিচ্ছিস। আমরা ৪-৫ বছর শুধু প্রেম করে চলছি বিয়ের কথা এখনো বাড়িতে বলতে পারি নাই আর তুই কোন মাইয়ার ধারে কাছে না গিয়েও বিয়ে করছিস এর থেকে বড় বাঁশ আর কি হতে পারে।(নীবর)
.
–চুপ হারামির দল তোরা সবাই মিলে আমারে বলি দিচ্ছিস। (আমি)
.
–ভাই বলি দিই আর যাই দিই।তোর পরে আমাদের রাস্তা পরিষ্কার। আমি তো ভাবতেছি আজকেই গিয়ে বাড়িতে বলবো বিয়ের কথা।(মুন্না)
.
–বলার কি দরকার।রাস্তা যেহেতু পরিষ্কার বিয়ে করে বাড়িয়ে নিয়ে যা।আমার মাথায় ডুকে না তোর মতো আলুর বস্তাকে শুটকি টা পছন্দ করলো কি করে।(আমি)
.
–মামা সেটাতো আমিও ভাবতেছি।(নীবর)
.
–তুই এত ভাবিস না। তোর মতো জিরাফের সাথে কি মরে হরিণের মতো বেঁটে মেয়েটির সম্পক হলো সেটাই বুঝতেছি না।(আমি)
.
–ভাই তোরে এত কিছু বুঝতে হবে না।দেখ, আশরাফ,রাকিব ওরা সুন্দর ওদের gf অতটা সুন্দর নয়।রায়হান, জাহেদ, আমি কালো তাই আমাদের gf গুলো সুন্দর।(অসীম)
.
–তোরটার মতো একটাও নাই।যাই বলিস হিন্দু মেয়েরা কিন্তু একটার থেকে একটা হেব্বি।(জাহেদ)
.
–নূরী ভাবীর সাথে কিন্তু আদরকে মানিয়েছে ভালো।কারো থেকে কেউ কম না।(নীরব)
.
–হয়েছে হয়েছে আর পাম দিস না বেলুনের মতো ফেঁটে যাবো।(আমি)
.
–না রে ভাই পাম দিচ্ছি না।সত্যি বলছি তোদের মানাবে বেশ।(জাহেদ)
.
.
.
.
চলবে