#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা-পূজা
পর্ব-১২
।
।
পরেরদিন,
সূর্য মুখের উপর পরতেই নিলয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কাল রাতে ছাদেই একটা চেয়ারে নিলয় ঘুমিয়ে পরেছিলো। নিলয় উঠে দারালো তারপর নিচে নামলো। নিজের রুমে গিয়ে আরশিকে পেলো না। নিরবের রুমে গেলো। আরশি কাদতে কাদতে ফ্লোরেই শুয়ে পরেছিলো। ঠান্ডায় কাপছে। নিলয় আরশিকে কোলে করে নিরবের বিছানায় শুয়ে দিলো। আর গায়ে কমল টেনে দিলো। আরশি কমল পেয়ে হাত পা গুটিয়ে ভালো ভাবে শুয়ে পরলো। নিলয় এইরুমের লাইট অফ করে জানালা বন্ধ করে নিজের রুমে চলে গেলো। সকাল ৬টা বাজে। নিলয় ফ্রেস হয়ে বিছানায় বসলো। আজ ফ্রাইডে। অফিস নেই। নিলয়ের চোখ ফ্লোরে পরা সেই খামটার দিকে যায়।বিছানা থেকে উঠে খামটা নিলয় হাতে নিলো।এটার ভেতরে নিলয় আর নিরের একটা ছবি আর একটা চিঠি। যাতে লেখা ছিলো,
নিল,,
তকে আজ একটা কথা বলতে চাই। অনেকদিন ধরেই বলবো বলবো ভাবছিলাম বাট ফোনে বলতে পারছিলাম না। আই নোউ চিঠিটা পরে তুই হাসবি। কি করবো বল। তকে কথাটা মুখে বলতে কেনো জানি খুব লজ্জা করছে। আর বলতে ও পারছিলাম না। তাই চিঠি লিখে বলছি। আমি একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসি। আর মেয়েটাও হয়ত আমাকে ভালোবাসে। ওর সাথে আমার দেখা একটা কলেজ ফাংশন এ। ডান্সে পার্টিসিপেট করেছিলো। ওর নৃত্য আর ২মায়াবী চোখের প্রেমে পরে যাই আমি। ৩মাস আগে ওকে প্রথম দেখি। ওর বিষয়ে সব খোজ নেই। তারপর ওর কোচিং এ যাওয়া শুরু করি। একদম পিচ্ছি মেয়ে। এইবার ভার্সিটিতে উঠবে। ওর বেষ্টফ্রেন্ড সিদ্ধার্থের বোন। সিদ্ধার্থকে দিয়ে ওর নাম্বার এনে ওর সাথে কথা বলেছি। এখন অনেকটাই ফ্রি। ভাবছি কাল প্রপোজ করবো। বাট তকে না বলে তো কোনো কাজ করি না। তাই তকে বলছি। আজ ৪মাস ধরে ইউএস গিয়ে বসে আছিস। প্লিজ জলদি আসিস। আই মিস ইউ। আর অত্রকে দিয়ে এই চিঠি পাটাচ্ছি। তুই কিন্তু একদম রাগ করবি না। আর যদি রাগ উঠেও সাথে একটা পিক দিয়েছি এটা দেখেনিস। আই এম সিউর রাগ চলে যাবে। আর একটা কথা, রাজি থাকলে প্লিজ একটা এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিস। তুই বললেই কিন্তু আমি ওকে প্রপোজ করবো নয়ত করবো না। এন্ড লাভ ইউ নিল। প্লিজ কাম বেক।
বাই😊
লাস্টে একটা স্মাইলি একে দিয়েছিলো। এই চিঠিটা পরে অত্র আর নিলয় পুরো একঘন্টা হেসেছে। তারপর নিলয় মেসেজ লিখে পাটায়,”আই এগরি। বাট ভাই প্লিজ আমার আগে বিয়েটা করিস না। যাই হোক তর থেকে বড় তো। আর পারলে আমার জন্য একটা মেয়ে খুজে রাখিস। আমি পরের মাসে চলে আসবো।”
মেসেজটা দেখে নিরব ও অনেকক্ষণ হেসেছে। তারপরের দিন নিরব আরশিকে প্রপোজ করে। বাট আরশি তখন কোনো আন্স না দিয়েই বাসায় চলে যায়। কিন্তু বাসায় গিয়ে মেসেজ পাটায়”প্রপোজাল এক্সেপটেড”
নিলির সকাল ৭:৩০এ তৃনার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। ৯টার ভেতর সবাই এখান থেকে বেরবে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে। ৬দিন ৬জায়গা ঘুরবে। সপ্তমদিন দুপুরে ঢাকায় বেক করবে। নিলি ঘুম থেকে উঠে ফিল করে মাথাটা পুরো ভার হয়ে আছে। মাথা ব্যাথা ও করছে। নিলি উঠে ফ্রেস হয়ে নেয়। তারপর মাথায় মুভ লাগায়। নয়ত পরে মাথা ব্যাথার জন্য যেথে পারবে না ওদের সাথে। আর ও চায় না ওর জন্য বাকিদের ঘুরা স্পয়েল হোক। ওরা রেডি হয়ে সবাই ব্রেকফাস্ট করতে বাইরে বের হয়। সাইডে বাগানে সবার খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নিলি চুপচাপ হালকা নাস্তা করে নেয়। নাস্তা করে সবাই রুমে এসে বিছানাকান্দি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নেয়। তারপর আবার আগের মতো সবাই গাড়িতে গিয়ে বসে। ওরা ঘুরার জন্য ২টা গ্রুপ বানিয়েছে মানুষ বেশি তাই। ৯টায় ওদের বাস ছেড়ে দেয়। নিলি বাসে উঠে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর তীব্র নিলির দিকে।
৯টায় আরশির ঘুম ভাঙ্গে। তাকিয়ে দেখে বিছানায় শুয়ে আছে। আর গায়ে কমল। আরশি বিছানা থেকে নেমে নিলয়ের রুমে গেলো। নিলয় বিছানায় আধশোয়া হয়ে কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। আরশি রুমে আসতেই নিলয় আরশির দিকে শুধু একবার তাকালো তারপর আবার কাজে মন দিলো। আরশি আলমারি থেকে একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে গেলো। ১ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে বাইরে বের হলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে রেডি হয়ে নিলো। তারপর নিলয়কে শান্ত গলায় বললো,”বাপির কাছে নিয়ে যাবেন নিলয়?”
নিলয় অবাক হয়ে আরশির দিকে তাকালো। অবাক হওয়ার ২টা কারন। প্রথমতো আজ প্রথম আরশি নিলয়ের নাম ধরে ডেকেছে। দ্বীতিয়ত ওর বাবার কাছে যেথে চেয়েছে যাকে ও সহ্যই করতে পারতো না ঘৃনা করতো শুধু নিলয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন বলে।
আরশিঃকি হলো কিছু বলছেন না কেনো? নিয়ে যাবেন না? ওকে নো প্রবলেম আমি একাই যেথে পারবো।
নিলয়ঃএত বেশি বুঝো কেনো? আমি কি একবারো বলেছি নিয়ে যাবো না। তুমি নিচে গিয়ে ব্রেকফাস্ট রেডি করো। আমি রেডি হয়ে আসছি।
আরশিঃওকে। থ্যাংক ইউ।
নিলয় মুচকি হেসে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পরলো। আজ নিলয় আরশির বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পেয়েছে।
তীব্র হঠাৎ নিলিকে জিজ্ঞেস করলো,”মন এখনো খারাপ।”
নিলিঃনা।
তীব্রঃদেখেই বুঝা যাচ্ছে। মাথা ব্যাথা করছে?
নিলিঃআপনি কি করে জানলেন।
তীব্রঃইটস হার্ট কানেকশন। বুঝলেন ম্যাডাম😉
নিলিঃকচু।
তীব্রঃতুমি তো বলবেই। যেদিন তুমি মন থেকে ফিল করবে তুমি ও আমাকে ভালোবাসো সেদিন তুমি ও আমার মনের সব না বলা কথা বুঝতে পারবে।
নিলি আর কিছু বললো না। ও নিজেই ফিল করতে চায় না এসব। লাভ মানেই পেইন। আর পেইন থেকে দুরে থাকতে চায়।
অনেকক্ষণ পর ওরা পৌছে যায় বিছানাকান্দি। গাড়ি থেকে নেমে ওরা হাটতে থাকে। আরো সামনে এগোতে হবে।
সেখানে গিয়ে কেউ ছবি তুলতে বিজি কেউ পানিতে সাতার কাটতে তো কেউ প্রাকৃতিক দৃশ্য ফোনে ক্যাপচার করতে। তৃনা ও অন্যদের সাথে ছবি তুলছে পানি নিজে খেলছে। নিলি একসাইডে দারিয়ে এসব দেখছে। ওর এসব লাফালাফি করতে আজ ভালোলাগছে না। কিছুক্ষণ পর তৃনা নিলির কাছে আসে।
তৃনাঃতুই এখানে দারিয়ে আছিস কেনো?
নিলিঃভালো লাগছে না।
তৃনাঃভালো লাগছে না মানে। কি হয়েছে শরির খারাপ?
নিলিঃধুর না। তেমন কিছু হয় নি। তুই গিয়ে ইনজয় কর। আমি দারিয়ে দারিয়ে দেখছি।
তৃনাঃতুই একা দারিয়ে থাকবি।
নিলিঃতরা তো আছিসই সামনে। যা।
নিলয় রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে ব্রেকফাস্ট রেডি। নিলয় চেয়ার টেনে বসে। আরশি ও বসে। নিলয় খাচ্ছে। বাট আরশি না খেয়ে নিলয়ের খাওয়া দেখছে।
নিলয়ঃকি হলো? না খেয়ে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
আরশিঃভাবছি।
নিলয়ঃকি?
আরশিঃআপনার আর নিরবের চেহারার মধ্যে অনেক মিল। তাই আপনাকে দেখলে আমার নিরবের কথা এত মনে হতো। আর আপনাকে আমার অনেক চেনা চেনা ও মনে হতো।
নিলয় কিছু না বলে আবার খেতে শুরু করলো। আরশি ও হালকা খেয়ে নিলো। খেয়ে ওরা বেরিয়ে পরলো আরশির বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
এখান থেকে বেশি দুরে নয় আরশির বাড়ি। তাই বেশি টাইম লাগে নি। আরশি কলিংবেল বাজাতেই ওদের বাসার কাজের লোকটা দরজা খুলে দেয়। উনি আরশিকে দেখে তো ভূত দেখার মতো চমকে যান।
আরশিঃরশিদকাকা কেমন আছো?
রশিদঃআরশি মা তুমি? তুমি এসেছো?
আরশিঃহ্যা কাকা। কেমন আছো তুমি? বাপি কোথায়?
রশিদঃআমি ভালো আছি। তোমার বাবা তো উনার রুমে। জানো প্রতিদিন তোমার কথা ভেবে উনি কতো কাদেন।
আরশিঃআমি জানি কাকা। তাই তো দেখতে এলাম।
আরশি দৌড় দিয়ে উপরে চলে গেলো। কাকা নিলয়কে বললেন,”সাহেব জানতেন তুমি ঠিক আরশিকে নিয়ে একদিন এই বাড়িতে আসবে। এত জলদি আসবে ভাবতে ও পারেননি।”
নিলয়ঃসব ঠিক হয়ে যাবে কাকা। চিন্তা করো না।
রশিদঃআসো বাবা ভেতরে।
কাকা নিলয়কে নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসালেন। আরশি উপরে ওর বাবার রুমে গিয়ে দেখে উনি রকিং চেয়ারে বসে আরশি আর উনার একটা বড় ছবির দিকে তাকিয়ে আছেন। আরশি দরজার কাছে দারিয়েই বললো,”বাপি।”
আরশির বাবা চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালেন। উনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না আরশি এসেছে।
আরশি দৌড়িয়ে ওর বাবার পায়ের কাছে নিয়ে বসলো। আর উনার পা জরিয়ে ধরে বললো,”আই এম সরি বাপি। প্লিছ আমারকে মাপ করে দাও। আমি না জেনে তোমার সাথে অনেক বাজে ব্যাবহার করেছি। অপমান করেছি। প্লিজ আমাকে মাপ করে দাও।”
আরশির বাবা আরশিকে নিচ থেকে তুলে জরিয়ে ধরেন। আরশি হো হো করে কেদে দেয়।
আরশির বাবাঃআমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। তুই আমার কাছে এসেছিস।
আরশিঃকেনো আমাকে সত্যিটা জানালে না বাপি। কেনো বললে না সব। কেনো? এতদিন ধরে আমি নিরবের জন্য ওয়েট করেছিলাম। কাল সব শেষ হয়ে গেলো সব।
আরশির বাবাঃজানলে তুই সহ্য করতে পারতি না। আমি যখন শুনি নিরব এক্সিডেন্ট এর মারা গেছে। তখন আমিই অনেক বড় ধাক্কা খাই।
আরশিঃতোমার সাথে বাজে ব্যবহার করার জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো তো।
আরশির বাবাঃআমি তর কথায় কিছুই মনে করি নি রে। আমি তো জানতাম তুই রাগে বলছিস। মন থেকে না। নিলয় এসেছে? কোথায় ও?
আরশিঃহ্যা। নিচে।
আরশির বাবাঃনিরবের মতো নিলয় ও খুব ভালো ছেলে। তাই ওর সাথে তর বিয়ে দেওয়ার ডিসিশন নিয়েছিলাম। নিলয়কে কখনো ছেড়ে যাস না। ছেলেটা বড্ড কষ্টে আছে। কাউকে বুঝতে দেয় না। তুই একটু বুঝিস ওকে।
আরশি কিছু বললো না। আরশির বাবা বললেন,”চল ওর কাছে।”
ওরা বিছানাকান্দির স্পট থেকে অন্য রাস্তা দিয়ে চা বাগান দেখতে যাবে। তীব্র তানভীর আকাশ ওদের কিছু ফ্রেন্ড আর জুনিয়ন কিছু ভাই বোনদের নিয়ে যাবে। তানভীর তৃনার কাছে এসে বললো,”চা বাগান দেখতে যাবে।”
তৃনাঃকিভাবে?
তানভীরঃআমরা এখন যাবো।
তৃনাঃ😍সত্যি!
তানভীরঃহুম। দেখতে হলে নিলিকে নিয়ে আমার সাথে এসো।
তৃনাঃওকে।
তৃনা তারাতারি নিলির কাছে আসে। আর নিলির হাত ধরে টেনে তানভীরদের কাছে নিয়ে যায়।
নিলিঃআরে কি করছিস। কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস।
নিশিঃনিলি এসেছিস। আয় আমাদের সাথে।
নিলিঃকোথায় আপু।
নিশিঃএখানের চা বাগান দেখতে যাবো। আয়।
ওদের সাথে তৃনা আর নিলি ও যায়। অনেকক্ষণ পর চা বাগানের কাছে আসে। এখানে ও সবাই ছবি উঠা শুরু করছে। চা পাতার গাছগুলো অনেক উচু উচু তাই একদিকের মানুষকে অন্যদিক দিয়ে দেখা যায় না। নিলি তৃনার পিছনে ছিলো। হঠাৎ কেউ নিলির হাত ধরে ঠান দিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যায়। নিলি চিৎকার দিবে তখনি পিছনে তাকিয়ে দেখে তীব্র।
নিলিঃআপনি?
তীব্রঃহুম।
নিলিঃএভাবে টেনে আনলেন কেনো?
তীব্রঃএত মানুষের সামনে তো আর তোমার হাত ধরে হাটতে পারবো না। আমার প্রবলেম নেই তোমারই লজ্জা করবে। তাই আড়ালে নিয়ে এসেছি।
নিলিঃআমি বলেছি আপনার হাত ধরে হাটবো? আমি ওদের সাথে থাকবো।
তীব্রঃকেনো? হাটলে প্রবলেম কোথায়?
নিলিঃআমি কেনো পরপুরুষের হাত ধরে হাটবো? আমি তো শুধু আমার বরের হাত ধরে হাটবো।
তীব্রঃজাস্ট সাট আপ। আমি পরপুরুষ কখন হলাম। আর কাল আমার হাতে ভাত খেতে পেরেছো আর এখন আমার হাত ধরে হাটতে পারবে না।
নিলিঃউয়াটটট? আমি কখন আপনার হাতে খেলাম।
তীব্রঃআমি রাতে ঘুমের মধ্যে তোমাকে খাইয়ে দিয়েছি।
নিলির মাথায় এলো ঘুমের মধ্যে খাওয়ার ওর অভ্যাস আছে। বাট তীব্র ওকে খাইয়ে দিয়েছে? ওর ভাইরা ছাড়া তো ওকে কখনো কেউ খাইয়ে দেয় নি।
তীব্রঃএকটা কথা বলবো?
নিলিঃকি?
তীব্রঃকালকের পর থেকে তোমাকে আর আমার ফেইস দেখতে হবে না।
নিলিঃমানে?
তীব্রঃতোমার কাছে কাল পর্যন্ত টাইম আছে। যদি আমায় একটু ও ভালোবেসে থাকো। তো আমার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করো। নয়ত আই প্রমিস আর কখনো তোমার কাছে ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসবো না। এইভাবে ডিস্টার্ব করবো না। এমনিতেও ঢাকা পৌছে বিয়ে করতেই হবে।
নিলিঃআপনার বিয়ে ঠিক তাহলে কেনো আমাকে এসব বলছেন?
তীব্রঃকজ আই লাভ ইউ ড্যাম ইট। তুমি যদি আমার লাইফে আসো তো একটা রিজন দেখাতে পারবো বিয়ে না করার। তুমি যখন আমাকে ভালোই বাসো না তাহলে যে আমাকে ভালোবাসে তাকেই বিয়ে করাটা উচিৎ না। সারাজীবন দেবদাশ হয়ে তো থাকতে পারবো না।
নিলি তীব্রর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। কি বলবে বুঝতেছে না।
তীব্রঃআজকের দিনটা তো আমার সাথে কাটাতেই পারো। শুধু আজকের দিন প্লিজ। আর তো কখনো বলবো না।
নিলি কিছু বললো না। তীব্র নিলির হাত ধরে পুরো জায়গা ঘুরলো। কিছু ছবি ও তুলেছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য। নিলির ও তীব্রর সাথে থাকতে খারাপ লাগে নি।
।
।
চলবে?🙄