My_Mafia_Boss_Husband Part: 5

0
4329

My_Mafia_Boss_Husband Part: 5
#Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,রুহীকে গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।রুহীর মাথা বার বার ঢলে রোয়েনের কাঁধে পড়ছে। রোয়েন রুহীকে সরিয়ে ওর মাথাটা সিটে হেলান দিয়ে রাখলো।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে গাড়ি চালানোয় মন দিল রোয়েন।ঘরে ফিরে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।সিড়ির দিকে পা বাড়ালো। আফজাল
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ঘরে ফিরে এলেন আজমল খান চিৎকার করে আনিলা বেগম কে ডাকতে লাগলেন।

,,,,,,,,,,,,আনিলা!!আনিলা
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কি হয়েছেটা কি?মোষের মতো চেঁচাচ্ছো কেন?চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে এলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,রুহী কই?২দিন ধরে বাসায় আসেনা কেন এই মেয়ে?রাগী গলায় বলতে লাগলেন আজমল খান।
আমি কি করে বলবো তোমার মেয়ে কই?ঘরে আসে তো শুধু চেহারা দেখাতে।সারাদিন তো ক্লাবেই মাতাল হয়ে পড়ে থাকে।একনাগাড়ে কথা গুলো বলে দম নিলেন আনিলা বেগম।কি করবো এই মেয়ে নিয়ে কে জানে?এতবড় লস করলো এই রোয়েন,তারওপর আবার এই মেয়টাকে নিয়ে চিন্তা একদম ভালো লাগেনা। গজ গজ করতে করতে সিড়ির দিকে পা বাড়ালেন আজমল খান।
রুহীকে খাটে শুইয়ে জোরে জড়িয়ে ঘুমিয়ে গেলো রোয়েন।


,,,,,,,,,,,,,,,পরদিন সকাল
,,,,,,,,,,,,, ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে রোয়েনের বুকে আবিষ্কার করলো রুহী।খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে ওকে লোকটা।নিজেকে ছাড়াতে চেয়ে ও পারছেনা রুহী। কাল কখন এলো এ বাসায়?ভাবতে লাগলো রুহী।রুহী কুনুই দিয়ে রোয়েনের বুকে গুতা দিয়ে ডাকতে লাগলো রুহী।এইযে মিঃ লুচু!!!!
,,,,,,,,,,,,,,গুতো খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় রোয়েনের।প্রবলেমকি রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,আমায় আবার এখানে নিয়ে এলেন কেন?চিৎকার করে বলল রুহী।

,,,,,,,,,এখন থেকে প্রত্যেক সকালে নিজেকে এখানেই পাবে বলে বাঁকা হেসে রুহীকে ছেড়ে উঠে বসলো রোয়েন।হোয়াট কখনো না?চিৎকার করে বলল রুহী।রোয়েন কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেল।রুহী নিজের জামা কাপড় চেক করে উঠে দাঁড়ালো।ওর মাতাল অবস্থার সুযোগ নেয় এই লুচু মাফিয়া।বাথরুমের দিকে রাগে গজগজ করতে করতে তাকালো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। রুহীর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।হুহ রোয়েন কে পাস করে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলে রুহীকে নিজ হাতে নাস্তা করিয়ে কলেজে ড্রপ করে দিলো রোয়েন।এভাবে ৭,৮দিন চলে গেলো।রোয়েন প্রতিদিন বিকেলে রুহীকে মাতাল অবস্থায় ঘরে নিয়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে। সকালে আবার কলেজে ড্রপ করে দেয়। রুহীর যত্নে ত্রুটি রাখেনি এক মুহূর্তের জন্য।রুহীর ও বেশ ভালো লাগতে শুরু করেছে রোয়েন কেয়ারিং গুলো।
,,,,,,,,,,, রাতে রুহীকে ঘরে নিয়ে এসেছে রোয়েন আজ অতোটা মাতাল অবস্থায় নেই ও।অল্প করে খেয়েছিলো ড্রিংক।রুহীকে খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিলো রোয়েন।কাল সন্ধ্যায় ঘরে পার্টির এ্যারেঞ্জ করেছি অবশ্যই আসবে।গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,পার্টিতে আপনার মতো অনেকেই থাকবে তাহলে আমি কি করে আসতে পারি?হালকা হেসে বলল রুহী।অতো সতো বুঝিনা তুমি আসছো এন্ড দ্যাটস ফাইনাল।বলে রুহীর কপালে চুমু খেলো রোয়েন।ওকে ওকে রোয়েনকে সরিয়ে দিতে দিতে বলল রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,হুম।বাঁকা হাসলো রোয়েন।রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো।রুহী মাথা তুলে রোয়েনের দিকে তাকালো।মানুষটার প্রতি অজানা টান অনুভব হয় ওর।কেমন জানি একটা নেশা ধরানো ভাব আছে ওনার মধ্যে। কাছে আসতে মন চায় শুধু।ভাবতেই মুচকি হাসলো রুহী।
পরদিন সকাল
,,,,,,,,,,,,,,,,,ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসলো রোয়েন।পাশে রুহীকে না পেয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়লো ও।কি হলো কই গেছে এই মেয়ে।উঠে দাঁড়িয়ে পুরো রুমে রুহীকে খুঁজতে থাকে রোয়েন।কোথা ও নেই।জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় রোয়েন।ম্যাম কি করছেন কি?
,,,,,,,,,,,,,,স্যার আসলে আমাদের চাকরী চলে যাবে কাজের লোক গুলো বলতে লাগলো।আরে আরে কিছু হবেনা।বানাতে দাও আমাকে রুহী ওভেন থেকে পিজ্জা বের করতে করতে বলল।আরে এতো পুড়ে গেছে অসহায় ভঙ্গিতে বলল রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,ম্যাম আপনি উপরে যান।আমি বানিয়ে দিচ্ছি নাস্তা।না না আমিই বানাবো চলে যাও রুহী আবার নাস্তা বানাতে লাগলো।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো রোয়েন।শার্ট ঠিক করতে করতে নিচে নামতে লাগলো।উহ এমন পোড়া গন্ধ কোথা থেকে আসছে?নাক হাত দিয়ে রাগী গলায় বলল রোয়েন।ঝটপট নিচে নেমে এলো ও।পাকঘরের দিকে তাকাতেই রাগ সপ্তম আকাশে উঠলো রোয়েনের। পুরো পাকঘর ধোয়ায় ভরে গেছে।কাজের লোক গুলো আর রুহী হাঁচি দিতে দিতে শেষ।রোয়েন পাকঘরের দিয়ে এগিয়ে এলো।
,,,,,,,,,,,,, হোয়াট ইজ দিস?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।রুহী এখানে কি করছো তুমি?ধমক দিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,নাস্তা বানাচ্ছি দেখতে পাচ্ছেননা?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো রুহী।রুহীর হাত থেকে কড়াই রেখে দিয়ে ওর হাত টানতে টানতে বের করে আনলো রোয়েন।এগুলো তোমার কাজ?ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,, না।বাট আমি তো আপনার জন্য,,,,,,,চুপ্ থামিয়ে দিলো রোয়েন।রুহীর হাত টানতে টানতে রুমে নিয়ে এলো।রুহীর হাত ছেড়ে আলমারি খুলে একটা শপিং ব্যাগ রুহীর দিকে ধরলো রোয়েন।আজকের পার্টিতে এটা পরে আসবে।
,,,,,,,,,,,এটা কি?রুহী প্যাকেটটি হাতে নিয়ে প্রশ্ন করলো।
,,,,,,,,,,,,,বাসায় গিয়ে খুলে দেখে নিও।আর শুনো ভালো মতো চুল আঁছড়ে আসবে।সেজে আসবে ওকে?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী মাথা ঝাঁকালো।
রোয়েন রুহীর হাত ধরে নিচে নেমে এলো।কাজের লোক একজনকে টাকা দিয়ে খাবার আনতে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,যাহ ওনার জন্য শখ করে বানাতে গেলাম আর কি হলো?ধুর ভাবছিলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,রোয়েন নাস্তা নিয়ে রুহীর সামনে এসে বসলো।কি হলো কি ভাবছো অতো?ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
,,,,,,,,কিছুনা।মিথ্যা হাসলো রুহী।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে