#LOVE❤
part:19+20
Writer:Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
পরের দিন সকালে
রিদিতা দিশার সামনে গিয়ে বসে আছে।আর অঝোরে চোখের পানি ফেলছে।আবেগ অন্য রুমে তখনো ঘুমে
-এতো নোংরা একটা মানুষ কিভাবে হতে পারে
-জানিনা।তুই কেনো কাল ওকে ভেতরে ঢুকতে দিলি।তাও নেশা করা অবস্থায়
-আমি এটা বুঝতে পারিনি যে স্যার নেশাগ্রস্ত ছিল।আমিতো ভেবেছিলাম তোর কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছে
-আমার সব শেষ করে দিয়ে আবার নতুন করে আমাকে শেষ করতে বসেছে ও
ঐদিকে আবেগের ঘুম ভাঙলো।আবেগ উঠে বসলো।মাথাটা এখনো ঝিমঝিম করছে
-একি আমি আবার এখানে কি করছি ।কাল তো,,,,
আবেগের রাতের কথা মনে পড়ে যায় ।চারপাশে তাকিয়ে দেখে আবেগের বুঝতে বাকি নেই যে কাল ও আবার রিদিতা র সাথে,,,,,,
-ওহ নো।আমি আবার,,,,,,এইবার তো রিদিতা র কোন দোষ নেই ।এখনো বেশি সকাল হয় নি।তার মানে রিদিতা বাড়িতে আছে।আমাকে কথা বলতে হবে ওর সাথে
আবেগ জামা কাপড় পরে নিয়ে রুমে র বাইরে এসে ঐ বসার রুমে চলে গেল।গিয়ে দেখলো রিদিতা শাড়ি পরে ভেজা চুল এলোমেলো অবস্থায় হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে আছে।চোখ মুখ ফোলা এখনো কাঁদছে ।পাশে দিশা দাঁড়ানো
-রিদিতা
আবেগকে দেখে দিশা বেরিয়ে এলো।কারণ ওদের কথার মাঝে থাকাটা ঠিক হবে না।রিদিতা আবেগের দিকে ফিরে ও তাকাচ্ছে না
-রিদিতা
-বেরিয়ে যান
-রিদিতা শোন আমার কথা
-কি শুনবো আপনার কথা।কি শোনার বাকি রেখেছেন আপনি।এতো ই যখন চাহিদা মেটানোর শখ আপনার হবু স্ত্রী র কাছে যেতে পারেন নি।এখানে আমাকে শেষ করতে কেন এসেছেন
-রিদিতা আমি সত্যি,,,,,
-বেরিয়ে যান আমার সামনে থেকে।চলে যান আপনি।প্লিজ আর সইতে পারছি না আপনি।মুক্তি দিন আমাকে।বেরিয়ে যান
বলে রিদিতা জোরে কান্না শুরু করে দিলো।আবেগ আর কিছু না বলে রিদিতা র বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল
-রিদি তুই কিছু বললি না কেন ওনাকে।আমার তো মনে হয় তোর ওনার নামে পুলিশ কমপ্লেন করা উচিত
-কি কমপ্লেন করবো।এটা বলবো যে আমার প্রাক্তন স্বামী তিনি আমার বাড়ি তে এসে দুদিন আমার ওপর জোর জবরদস্তি করেছে।আমাকে ধরষন করেছে।আরে মানুষ তো এটা শুনলে হাসবে।আর কতো হাসির পাত্র হবো আমি বলতে পারিস
দিশা আর কিছু বললো না
আবেগ বাড়ি তে গিয়ে দেখে নোভা হাজির।নোভা র চোখমুখ ফোলা।আবেগ কিছু না বলে ওপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে দেখে নোভা ওর রুমে বসে আছে
-এখানে কোন মুখে এসেছো তুমি
-আবেগ সত্যি কথা বলবে বলোতো
-বের হও।তোমার মানসিকতা এতো নোংরা জানা ছিল না
-তার আগে বলো কাল রাতে তুমি কোথায় ছিলে
-জানিনা
-সত্যি কথা বলো আবেগ।তুমি ঐ রিদিতা র কাছে গেছিলে তাই না
-,,,,,,,,
-কি হলো উওর দাও
-,,,,,,,,,
-আবেগ উওর দাওও
-হ্যাঁ হ্যাঁ আমি রিদিতা র কাছেই গেছিলাম
নোভা কিছু বললো না।কান্না শুরু করে দিলো
-আবেগ আমি তাও তোমাকে কিছু বলবো না।কারণ কাল আমিও একটা অপরাধ করেছি তোমার সাথে।আর তুমি ও আমার সাথে।সত্যি করো বলো না আবেগ কাল পার্টি থেকে বেরিয়ে তুমি কি কি করেছো ঐ মেয়ে র সাথে
-,,,,,,,,,
-আবেগ প্লিজ বলো।না হলে আমি শান্তি পাচ্ছি না
-আমি কাল ওখান থেকে বেরিয়ে রিদিতা র কাছে যাই।মাথা এমনিতেই ঘুরছিল।আরো যেয়ে দেখি ও টাওয়েল পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে আর তারপর,,,,,,
নোভা আবেগের কলার ধরে বসলো
-আর তারপর ঐ মেয়ে টার সাথে তুমি সারা রাত,,,,,ছিহহ।এই শেষ কথা শুনে নাও আমাকে বিয়ে করতে তুমি নিজেই রাজী হয়ে ছিলে।খুব শিগগিরই আমাদের বিয়ে হবে।সেই ব্যবস্থা করছি।কাল আমিও একটা দোষ করেছি তাই তোমাকে ছেড়ে দিলাম
নোভা বেরিয়ে গেল।আবেগ মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে
নোভা গিয়ে আবেগের মা মানে ওর মার কাছে গেল
-মা
-তুই কি করবি এখন
-মা সেই কাজ।যা কয়েক মাস আগে রিদিতা র সাথে ঘটিয়ে ছিলাম সেটাই
-মানে
-মানে তুমি শুধু দেখ।আজ অফিসে সবার সামনে আমি ঐ রিদিতা র কি অবস্থা করি।বেচারী হাহ
আবেগ রেডি হয়ে অফিসে যাচ্ছে ।এই সময় আবেগের মা এলো
-আবেগ
-বলো
-আজ আমি একটু তোর অফিসটা দেখবো।তোর বাবা তো ঢাকায় ।আর এখানে এসে তেমন কিছু দেখাও হয় নি।তাই তোর সাথে বেরোবে।অফিস দেখে নোভা কে নিয়ে একটু শপিং করে আসবো
-আচ্ছা চলো
আবেগ মা আর নোভাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো
সকাল সাড়ে দশটা
রিদিতা আর দিশা অফিসে ঢুকছে।দেখে তেমন কেউ নেই অফিসে।ওরা রিসেপশনে যায়
-আচ্ছা অফিসে র সব স্টাফ,,,,
-ম্যাম ওনারা স্যার এর রুমে আছেন।আপনিও যান
রিদিতা দিশাকে নিয়ে চলে গেল
-দিশা কি হলো বলতো
-জানিনা রে
রিদিতা দিশা আবেগের কেবিনে ঢুকে দেখে কেবিনে র এক টা সোফাতে নোভা আবেগের মা বসা।পাশে সব স্টাফ ।আর আবেগ রক্ত চক্ষু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আবেগের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক্সপোর্ট এর ম্যানেজার রাশেদ সাহেব ।রিদিতা কে দেখে আবেগ বলে উঠলো
-এই যে মি, রাশেদ আপনার ক্লাইন্ট হাজির।মিসেস রিদিতা ওখানে কেন এখানে আসুন।সবাই দেখবে তো আপনার কুকীর্তি
রিদিতা র মাথায় কিছু ঢুকছে না।ও দিশা র দিকে তাকালো দিশা সামনে যেতে ইশারা করলো
-স্যার আমার কি কুকীর্তি মানে
-মানে টা মি,রাশেদ ই বলুন
মি,রাশেদ মুখ খুলল
-স্যার মিসেস রিদিতা একজন ডিভোর্সি সেটা আমি জানতাম ।কিন্তু ওনার ঐ অসহায় ত্ব দেখে আমি ওনার এই চাকরির ব্যবস্থা করে সবচেয়ে বড় ভুল করি।হ্যাঁ দোষ কিছুটা আমার ও ছিল।কিন্তু উনি নিজেই আমাকে আগে ইশারা দিয়ে ছেন।কাজের ফাঁকে উনি ইশারা ইঙ্গিতে আমাকে অনেক কিছু ই দেখাতেন।অবশেষে আমিও রাজি হয়ে যায় ।মাঝেমধ্যে ওনার বাড়ি তে আসা যাওয়া মানে ইয়ে শুরু করি ।কিন্তু তার জন্য ওনাকে অনেক পেমেন্ট দিতে হতো আমার ।কিন্তু আমি আর পারছি না।ওনার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।কাল বিকেলে উনি আমাকে ওনার বাড়ি তে আবার ডাকেন।তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি ওনার সাথে কাটাই।ফিরে আসার সময় উনি আমাকে ব্লাকমেইল করে ন যে পেমেন্ট না বাড়িয়ে দিলে উনি সবাইকে সব বলে দেবেন।তিনি এর আগেও ব্লাকমেইল করেন আমাকে।আমি আর না পেরে আজ আপনাকে জানাতে বাধ্য হলাম
ঐদিকে সবাই বলাবলি শুরু করে দিয়েছে
-ইশ মিসেস রিদিতা কে কি ভালোই ভাবতাম আর উনি ছি ছি
রিদিতা র যেন পা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ।দিশা ও অবাক পুরো
নোভা এসে আবেগের কাছে দাঁড়িয়ে পরে
-আবেগ একটু সাইডে এসো
-কেনো
-এসো
আবেগ কে সাইডে নিয়ে নোভা বলা শুরু করে
-আবেগ ঐ ম্যানেজার কি বললো কাল সন্ধ্যা তে উনি রিদিতা র সাথে ছিল।এটা তো সত্যি ।এর প্রমাণ তো তুমি নিজেই
-আমি কিভাবে
-আবেগ তুমি তো ওকে কাল গোসল করে এসেছে এই অবস্থায় দেখেছো।তুমি ই তো বললে।রাত নয়টা র সময় তাও একটা মেয়ে কেনো গোসল করবে বলতে পারো
আবেগ এর এমনিতেই রাগে শরীর মন জলছে তারপর নোভা র কথা আবেগ এর রিদিতা র প্রতি আরো ঘৃনা হচ্ছে
আবেগ গিয়ে ম্যানেজার কে পাশে সরিয়ে রিদিতা র কাছে গিয়ে আসতে বলা শুরু করলো
-ম্যানেজার এর কথা তো সত্যি ।তুই এতো নিচে নেমেছিস
-আবেগ উনি মিথ্যা বলছে।কাল তো তুমি নিজেই আমার সাথে ছিলে
-সেটাই তো।রাত নয়টা র সময় গোসল করে কি করছিলির তুই।এটা আগে বল।নাকি নিজে ম্যানেজার এর সাথে নষ্টামি করে তারপর গোসল করেছিলি ।শেষ মেষ দেহ ব্যবসা শুরু করেছিস।বেশ্যা হয়ে ই গেছিস
আবেগ এর কথা শুনে রিদিতা র চোখ দিয়ে আজ আর পানি ঝরছে না।আবেগ তাকে এতোটা নিচে নামাবে ভাবতে পারেনি।রিদিতা আবেগের কোন কথার উওর দিল না
রিদিতা একবার দিশার দিকে তাকালো
তারপর রিদিতা যে কাজ করলো তা সবার ভাবনার বাইরে
চলবে——
#LOVE❤
part:20
Writer:Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
রিদিতা নিজের পা থেকে চটি খুলে ম্যানেজার এর কলার ধরে টেনে এনে ম্যানেজার কে চটি দিয়ে মারা শুরু করলো।রিদিতা র কাছে সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে।দিশা ও গিয়ে রিদিতা র সাথে তাল মেলানো শুরু করলো
-এই জানোয়ার আমি তোকে ইশারা করেছি।আমিই।কি মনে করেছিস মেয়ে হয়েছি বলে কি মানুষ না।আজ তোকে দেখিয়ে দেব একজন মেয়ে কে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পরিনাম কি
আবেগ না পেরে রিদিতা কে আটকাতে গেল
-একদম এদিকে আসবেন না।না হলের জুতোর বারি আপনাকেও দেব।আজ কাউকে ছারবো না আমি
রিদিতা পুরো জল্লাদের রূপ ধারণ করেছে যেন।আবেগ ও ভয় পেয়ে পিছিয়ে এলো।দিশা ও সেই মার দিচ্ছে
-শালা।আমার বোনকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছিস তুই।আমার বোনকে চরিত্র হীন বলিস।আজ তোকে জুতোর বারি দিয়ে ই পুঁতে ফেলবো
ম্যানেজার আর সইতে পারছে না।জুতোর বারি খাওয়া র চেয়ে অপমান আর কি হতে পারে
-রিদিতা ছেড়ে দিন।আমি সব সত্যি বলছি ।আমি এতোক্খন সব মিথ্যা বলেছিলাম
ম্যানেজার এর কথা শুনে রিদিতা দিশা ছেড়ে দিল
-নে সব সত্যি বল।কেন আমার নামে মিথ্যা কথা বলেছিস এতোক্খন ।সত্যি বল নাইলে আমার চটি এখনো কিন্তু হাতে আছে বলে দিলাম
আবেগ তো অবাক
-ম্যানেজার কি সত্যি বলবেন।এতোক্খন তাহলে এসব কেন বলেছেন
-স্যার আমি নিজে এটা করিনি।আমি তো লোভে পরে করেছি।আমি আজ অফিসে আসবো তার আগে আমার বাসায় ওনারা যায় ।গিয়ে এই অফার দেয়।আমি প্রথম এ রাজী হয়নি কারণ এসব বললে আমার ও চাকরি থাকবে না।কিন্তু আমাকে ওনারা বিশ লাখ টাকা দেয়।আর বলে এই কাজ করার পর যেন আর অফিসে না আসি।তাঁরপর আমাকে ওনার আ থাইল্যান্ড পাঠিয়ে দেবে ন।এই জন্য মিথ্যা বলেছি।স্যার মাফ করে দিন
-এই ওনারা কারা
ম্যানেজার নোভা আর আবেগের মা এর দিকে তাকিয়ে বলতে যাবে তার আগে আবেগের মা কথা সেরে দেয়
-আবেগ।আর কি শুনবি ।সরাসরি এই লোককে।ছিহ কি জঘন্য ।কটা টাকার জন্য
-স্যার না আমাকে বলতে দিন।আপনার জানা উচিত যে আপনার ম,,,,,
-এই আপনারা দাঁড়িয়ে দেখছেন কি।বের করে দিন এই ম্যানেজার কে।কি জঘন্য লোক
অফিসে র বাকি স্টাফ গুলো কলার ধরে ম্যানেজার কে টেনে নিয়ে যাচ্ছে
-দাঁড়াও মা আমি শুনবো কে এই কাজ করেছে
-নোভা দাঁড়িয়ে দেখছিস কি দরজা টা লক করে দে।আবেগ এসব শুনে আর কি করবি বাদ দে
নোভা দ্রুত গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।ওপাশ থেকে ম্যানেজার এর কথা আর শোনা যাচ্ছে না
-আবেগ বাবা বাদ দে এসব
এদিকে রিদিতা দিশা সব বুঝেছে কার এই কাজ।রিদিতা গিয়ে আবেগের একদম কাছে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ালো ।রিদিতা কে দেখে আবেগের মাথা লজ্জা য় নিচু হয়ে যায়
-বাদ দিতে চাইলে যে সব হিসাব বাদ যায় না মি,আবেগ চৌধুরি
বলেই রিদিতা আবেগের গালে সজোরে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল।আবেগ গালে হাত দিয়ে ছলছল চোখে রিদিতা র দিকে তাকালো
-রিদিতা আআআ
-হ্যাঁ আমি।এই চড় টা আমার মন ভেঙে দেবার জন্য ।আমার ভালোবাসা টাকে অপমান করার জন্য
বলেই যেই রিদিতা আবেগকে আরেকটা থাপ্পড় মারতে যাবে তখন নোভা এসে হাত ধরে ফেলে
-কি ভেবেছিস নষ্টা মেয়ে তোর সাহস কম নয় আমার আবেগকে,,,,,
নোভা বলতে দেরী রিদিতা হাত ছারিয়ে নোভাকে থাপ্পড় দিল
-এই কাকে নষ্ট বলিস তুই।আর একবার যদি আমার নামে বাজে বলিস না তো তোকে মেরে এখানেই পুঁতে দেব।আর কিসের আবেগকে আমার বলিস।বৌ এখনো হসনি তুই।কিসের এতো অধিকার দেখাস ।আমি এখানে দাঁড়িয়ে আমার স্বামী র সাথে কথা বলছি তুই এর মধ্যে ঢোকার কে।হ্যাঁ স্বামী না প্রাক্তন স্বামী।তার পরেও আমি কথা বলছি আমাদের মাঝখানে থার্ড পারসন হয়ে আসছিস কেন বেহায়া মেয়ে
রিদিতা নোভাকে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল
-আজ আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।মানুষ এর যখন পেছনে দেয়াল ঠেকে যাক তখন সে ঘুরে দাঁড়ায়।আজ আমার পেছনে র দেয়াল ঠেকে গেছে ধৈর্য এর সীমা ছাড়িয়েছে ।আমাকে আজ কেউ আটকাতে পারবে না।যে আসবি আমার সামনে তাকে প্রয়োজন এ খুন করতেও হাত কাঁপবে না আমার
আবেগের মা গিয়ে নোভাকে ধরলো।আবেগ মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ আজ যে রিদিতা কে সে দেখছে তার সঙ্গে আজ আর আবেগ পেরে উঠবে না।দিশা ও অবাক রিদিতা কে দেখে
রিদিতা গিয়ে আবেগকে আরেকটা থাপ্পড় দিল
-এই থাপ্পড় টা আজকের জন্য ।আমাকে সবার সামনে এভাবে অপমান করার জন্য
রিদিতা এবার কেঁদেই দিল।গিয়ে আবেগের কলার ধরলো
-আর কতো জালাবি তুই আমাকে।আর কত পোড়াবি ।আমিও মানুষ । কি ভুল করেছিলাম বল।তোকে শুধু ভালোবেসে সংসার বেধে ছিলাম ।আর তুই আজ আমাকে বেশ্যা বললি।রাস্তায় নামিয়ে দিলি একেবারে।পতিতা মনে হয় তোর আমাকে
-রিদিতা আমি,,,
-একদম চুপ।আজ আমি বলবো আর তুই শূনবি।এই বেশ্যা আমি না তুই।একটা মেয়ে দশটা পুরুষ এর সাথে শুলেই বেশ্যা হয়ে যায় ।আর তোরা পুরুষ জাতি একেক দিন একেক টার সাথে পাড়ায় গিয়ে শুলে তোরা কি।বেশ্যা তো তোরা।তুই তোর চাহিদা মেটানোর জন্য আমার কাছে গেছিস আমি না।তুই নিজে একা পেয়ে আমাকে জোর করেছিস আমি না।বেশ্যা তুই তুই শুনেছিস
-রিদিতা আমার কথা,,,,,
-কোন কথা বলবি না তুই।তোকে ভালোবাস তামা বলে আর কটা থাপ্পড় দিতে পারছি না।আমার হাত কাপে।আমার বুকে রক্তক্ষরণ হয়।বুঝেছিস তুই
দিশা কাঁদছে রিদিতা র কথা শুনে।আবেগ ও কাঁদছে কিন্তু কিছু বলার মুখ আজ ওর নেই।দিশা রিদিতা কে টেনে আবেগের থেকে সরিয়ে আনলো
-ছেরে দে রিদি।এতো হাইপার হোস না।তোর শরীর এর জন্য ক্ষতিকর ।চল এখান থেকে।এদের বলে লাভ নেই
-আর কতো ছারবো আমি।আমার জীবনটা শেষ করে দিয়ে ছে।আরে রাতের অন্ধকারে একটা পোষা কুকুর কেও মানুষ বাড়ি থেকে তাড়ায় না রে।সেখানে আমি তো ঐ লোকটার স্ত্রী ছিলাম।রাতের আধারে একা একটা মেয়ে কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ছে।কিছু ছিল না আমার সাথে।না একটু টাকা পয়সা যা দিয়ে অন্তত কোথাও গিয়ে মাথা গুজবো ।এরা মানুষ না।এই অমানুষ গুলো একবার খোঁজ ও নেয়নি যে বেচে আছি না মরে গেছি।খুব ভালোবাসার সাফাই গাইতো ।অথচ এই হলো নমুনা ।সেই দিন রাতের অন্ধকার থেকে আজ অবধি একা চলে এতো দূর এসেছি ।এখানে ও এই অমানুষ লোকটা চলে এসেছে ।ওর জন্য আমার শান্তি নেই।আমার সব শেষ করে দিয়েছে
-রিদি চল এখান থেকে।চল
রিদিতা দিশাকে ছারিয়ে আবেগের সামনে গিয়ে দাঁড়াল ।আবেগ ভেজা চোখে রিদিতা র দিকে তাকিয়ে আছে
-একদিন আমার সব ছিল।তুই ছিলি।তোকে হারাবার ভয় এ চুপ ছিলাম ।প্রতিবাদ করিনি।ভাবতাম একদিন তোর ভুল ভাঙবে।তুই আসবি।তোর প্রতীক্ষা ও করতাম মনে মনে।কিন্তু সেদিন ভুল ছিলাম ।সেদিন যদি জানতাম যে জিনিসটা হারানোর ভয়ে আমি চুপ আছি সে জিনিস টাই আমার নয় তাহলে চুপ থাকতাম না।সবকিছু বলে সব পিছুটান ছেড়ে চলে আসতাম।আজ আর আমার কোন পিছুটান নেই
-রিদিতা,,,
-চুপ।একদম চুপ।ঐ মুখে আমার নাম নেবে ন না।একদিন বলেছিলেন আমি আপনার জীবনের অভিশাপ ।শুনে নিন আমি না আপনি আমার জীবনের অভিশাপ ।আপনার খুব শখ না আমার মরা মুখ দেখার।আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি আমার রিদয়ের সব দিয়ে আল্লাহ্ কে বলছি আল্লাহ্ যেন আমার মরা মুখ ই আপনাকে দেখিয়ে দেয় ।আর এটা ও শুনে নিন আমি যদি মরে ও যায় তো আপনি ও মরবেন ।জ্যান্ত লাশ হয়ে আজীবন নিজের পাপের মাশুল দেবেন।তখন চাইলেও আমাকে পাবে ন না
-রিদিতা আআআ
-একদিন আপনাকে ভালোবেসে নিজের শহর সজন সব ছেড়ে এই শহরে এসেছিলাম ।আজ আপনাকে ঘৃনা করে এই শহর ও ছারবো।জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাকে শুধু ঘৃনা করবো শুনেছেন শুধু ঘৃনা ।। I HATE U ABEG I HATE U I HATE U
বলে রিদিতা দিশার হাত ধরে বেরিয়ে গেল।আবেগ তাকিয়ে আছে যাওয়ার দিকে।রিদিতা তাকে ঘৃনা করে এটা ভাবতেও পারেনি
এদিকে পরিস্থিতি বুঝে আবেগের মা নাটক শুরু করেছে
-আআআহ আআআঋ
আবেগ তাড়াতাড়ি মায়ের কাছে গেল
-মা কি হয়েছে মা
-আবেগ আন্টি র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে বোধ হয় ।তাড়াতাড়ি হসপিটাল এ চলো
আবেগ মা কে নিয়ে হসপিটাল এ রওনা হলো
রাতের বেলা
-আবেগ আমার শেষ কথা রাখবি
-মা কি বলছো তুমি
-আবেগ আমি কখনো চাই নি রিদিতা এই বাড়ি র বৌ হোক আজ না হয় সব ভুল ছিল।ঐদিন তো আমরা সবাই সব দেখেছি
-মা আমি কিছু বলতে চাই না এই ব্যাপার এ
-আজ রাতেই আমরা ঢাকাতে ব্যাক করবো।কাল ওখানে গিয়ে গায়ে হলুদ পরের দিন তোমার আর নোভা র বিয়ে
-মা আমাকে একটু সময়,,,,
-তোমাকে সময় ও দিয়ে ছি।তুমি নিজেই রাজী হয়ে ছিলে বিয়ে তে।তোমার বাবা সব রেডি করে রেখেছেন আর কোন কথা নয়
পরের দিন সকালে
কানাডা থেকে দেশের মাটিতে পা রাখলো আশফি
-ওয়েলকাম স্যার
-ওয়েলকাম না করে নিউজ বলো
-স্যার আজ নোভা আর আবেগ চৌধুরি র গায়ে হলুদ কাল বিয়ে
-এতো তাড়াতাড়ি কেন
-সেই খবর পাই নি
-সব কিছু রেডি তো
-হ্যাঁ স্যার
-ওকে
মুখে বিজয় এর হাসি আশফির
-বিয়ে তো হচ্ছে না নোভা ।এতোদিন ভালোবাসা দেখেছো এবার দেখবে প্রতিশোধ ।অনেক জীবন নষ্ট করেছো তুমি আমার সন্তান, আবেগ,রিদিতা, আবেগের সন্তান ।এবার এর হিসেব তোমাকে দিতে হবে।আর কোন জীবন নষ্ট হতে দেব না আমি
চলবে——-