#LOVE❤
part:07+8
Writer: Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
এই দুদিন ধরে রিদিতার শরীর টা কেমন যাচ্ছে।মাথা ঘুরাচ্ছে।আর বমি তো আছেই।তবে এরপরে ও কষ্ট করে বেচারী অফিস করছে
-রিদি আজকে ছুটি নে।তোর শরীর আমার ভালো ঠেকছে না।কাল তোকে নিয়ে একবার চেকাপ করাতে যাব
-তাই ভাবছি।কিন্তু আজ নাকি বসের এনগেজমেন্ট।উনি কি ছুটি দেবে
-কেনো দেবে না শুনি।তুই যা গিয়ে ছুটি নিয়ে আয়
-হুম
রিদিতা আবেগের কেবিনে এর দিকে গেল
-নোভা কি হচ্ছে ছাড় বলছি
-আবেগ প্লিজ।একটু জরিয়ে এই তো ধরেছি তোমাকে।এমন করছো কেনো
-তুমি একটা অবিবাহিত মেয়ে হয়ে একটা পরপুরুষ কে এভাবে জরিয়ে ধরতে পারো না ।ছাড় বলছি
-ওহ আবেগ আমরা তো বিয়ে করছি নাকি।আজ তো আমাদের এনগেজমেন্ট।এতে কি হবে শুনি।আজকাল তো বিয়ে এর আগেই সবাই রুমডেট করে।আর তুমি,,,,
-নোভা।একদম চুপপ থাকবে।তোমার মানসিকতা এতো নোংরা জানা ছিল না
-আবেগ সরি প্লিজ রেগো না।আবেগ কিছু না হোক একটা লিপকিস তো করতেই পারো তুমি আমাকে
-কিহহহ
-ওহ আবেগ প্লিজ।আমি কিছু মনে করবো না।একবার তো আমাকে লিপকিস অন্তত করো।দেখবে তোমারি নেশা হয়ে যাবে আমার প্রতি
এই কথা শুনে আবেগের মাথা গরম হয়ে গেল
-নেশা শুধু আমার একজনের প্রতিইই বুঝেছো । সি ইজ মাই ড্রাগ মাই ড্রিংকস মাই অল
-যাস্ট শাট আপনাদের আবেগ।তুমি ঐ মেয়ে টার কথা একদম মুখে আনবে না বলে দিলাম।আজ তোমার ঠোট তো আমি দখল করবোই তোমাকে এটা বুজিয়ে দেব তোমার সব কিছু শুধু আমার বুঝেছো
-নোভাহহহ
নোভাকে আবেগ ছাড়াতেই পারছে না ।এই মেয়ে টা আবেগকে একদম আশটেপিশটে ধরেছে
নোভা আবেগের ঠোঁটের অনেক কাছে চলে যাচ্ছিল।কিন্তু কে জানত এই দৃশ্য রিদিতার চোখে পরবে
রিদিতা আবেগের কেবিনে র দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে
-may I come……
বাকিটা আর বলতে পারেনি।তার আগে সামনের দৃশ্য দেখে রিদিতার পা থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছে
আবেগ নোভাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।নোভা র তো রিদিতাকে দেখে মাথা গরম হয়ে গেল
-এই মেয়ে তুমি নক করে ঢুকতে পারো না
-আপনারা যদি দরজা না লাগিয়ে লীলা করতে যান তাহলে আমি কেন যে কেউ এটা দেখে ফেলবে (আবেগের দিকে তাকিয়ে)
আবেগের মাথা লজ্জা তে নিচু হয়ে গেল।আর যাই করুক রিদিতার জায়গায় অন্য কাউকে সে ভাবতেই পারে না
-এই মেয়ে তুমি কি বললে
-আমি আপনার সাথে কথা বলতে আসিনি ।আমি স্যার এর সাথে কথা বলতে এসেছি
-ইউউউ,,,,
-নোভা যাও এখান থেকে
-কিন্তু আবেগ
-যাওওও
-যাচ্ছি
নোভা চলে গেল
-আমিও দেখব এই পিরিত কতদিন থাকে।তোমাকে তো আমি আমার বেডে নেবোই তাও বিয়ে র আগে।তোমার স্পর্শ আমার চাই চাই–মনে মনে
আবেগ রিদিতার দিকে তাকিয়ে দেখে রিদিতা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।রিদিতা র চোখের পানি আবেগের চোখ এড়ালো না
-দেখো আমি,,,
-স্যার আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল
-আমি ইচ্ছে করে নোভাকে,,,
-স্যার আমার কথা ছিল
-বলো(দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)
-স্যার আমার আজকের দিনটি ছুটি চাই
-কেনো আমাদের এনগেজমেন্ট দেখতে পারবে না বলে
-না স্যার আমার শরীরটা খারাপ এ জন্য
-কি মনে করেছো অজুহাত দিয়ে তুমি বাঁচবে ।আজকে তোমাকে আমার এনগেজমেন্ট পার্টিতে থাকতেই হবে।কোন ছুটি দেব না তোমাকে।আমি তোমাকে তিলে তিলে কষ্ট দিতে চাই–মনে মনে
-স্যার
-কোন ছুটি দেব না।ইউ ক্যান গো
-স্যার প্লিজ
-আমার এনগেজমেন্ট রিংটা আমি তোমাকে দিয়ে নিয়ে আসবো।আর কোন কথা না
-স্যার,,,,
-ইউ ক্যান গোও
-ওকে স্যার
রিদি যেতে গিয়ে থেমে গেল
-কি হলো
-স্যার একটা কথা ছিল
-কি
-বৃষ্টির ফোটা পাতার ওপর পরলে না ওর বাহিরটাই ভেজে শিরাগুলো কিন্তু ভেতর থেকে ভেজে না।কিন্তু যখন শেষ আশা ডালটা কেউ ভেঙে দেয় তখন আর পাতাটা বাঁচে না
-,,,,,,,,রিদি আমি সত্যি,,,
-এমন না হয় যে কষ্ট টা আপনি আজ কাউকে দিচ্ছে ন সেই কষ্ট টাই আপনার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায় আর তার প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে জীবনভোর করতে হয়
চোখের পানি মুছে রিদিতা চলে গেল।আবেগ থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ রিদিতার বলা কথার অর্থ তার জানা
চলবে—
#LOVE❤
part:08
Writer: Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
আবেগ থ দাঁড়িয়ে আছে
-এখন কেনো কষ্ট পাচ্ছ কেনো তুমি।তাহলে আমার কেমন লেগেছিল যখন তোমাকে আশফির সাথে ঐ ভাবে দেখেছিলাম ।আমি তো ইচ্ছে করে নোভাকে জরিয়ে ধরিনি ।কিন্তু তুমি তো আশফির সাথে,,,,,,ছিহ ।এখন এসব এ তোমার কষ্ট পাওয়ার কথা নয়।এগুলো সব তোমার নাটক।আশফি তোমাকে ছেড়ে ছে বলে এখন আমার সাথে নাটক করছো তুমি।কিন্তু আশফি যদি তোমাকে ভালোই বাসে তাহলে ফেলে গেল কেন,,,
সন্ধ্যা বেলায়
-আবেগ তুমি এই স্যুট টা পড়বে কিন্তু
-নোভা আমি নিজের ইচ্ছে মতো চলি।কারোর ইচ্ছে মতো নয়
হঠাত্ আবেগের মা রুমে এলো
-এটা কোন কথা নয় আবেগ।নোভা যেই স্যুট চুজ করেছে তুই সেটাই পরবি
-মা আমি,,,
-কোন কথা না আবেগ।যা বলছি তাই কর
আবেগের মা চলে গেল
-আবেগ এবার তুমি স্যুট টা পরে নাও
-অসহ্য
-অসহ্য বলো আর যা ইচ্ছে বলো এটা তোমাকে পরতে হবে
-নেও তোমার ফালতু বকবক শেষ হলে যাও এখান থেকে
-যাচ্ছি
নোভা বেরিয়ে গেল
-আজ আমি আর তুমি দুজনেই নীল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।আর রিদি জলবে এটাই আমি দেখতে চাই–মনে মনে
আবেগ দরজা আটকে দিল
আবেগ স্যুট টা পরতে গিয়ে দেখে এটা ছোট সাইজের
-ওহ অসহ্য ।এটা তো ছোট সাইজের ।ভালোই হয়ে ছে আমার এমনিতেই এই ড্রেস টা পছন্দ না।যাই অন্য কিছু ট্রাই করি
আবেগ ওয়ারড্রব খুলে ড্রেস দেখছে।আবেগের চোখ আটকে গেল সাদা রঙের স্যুট টাই।এটা রিদিতার খুব পছন্দ এর ছিল।আবেগ ওটাই হাতে নিল
-ভালো হলো রিদি।তোমার পছন্দ এর ড্রেস টা পরে যখন আমি নোভা র সাথে থাকবো সেটাই হবে তোমার উপযুক্ত শাস্তি ।কিন্তু তোমাকে তো ভুলতে পারছিনা আমি। I love u I love u I love u রিদি
রিদি র মাথাটা আরো ঘুরছে
-তোকে এই অবস্থায় যেতে হবেনা
-না গেলে হবে না
-কিন্তু তোর যা অবস্থা কখন যে পরে যাস আল্লাহ্ জানে
-আরে না কিছু হবেনা।তুই রেডি হ।আমিও রেডি হব।একসাথে বের হব
-হুম
রিদি তা কি পরবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না
-এই সাদা জামদানী শাড়ি টা পরি।আমার জীবনে তো কোন রঙ নেই এই সাদাই আমার জন্য মানানসই
রিদি তা শাড়ি টা সুন্দর ভাবে পড়লো।মাথায় সাদা হিজাব ।শাড়ি দিয়ে শরীর টা ভালোভাবে ঢেকেছে।চোখে একটু কাজল আর হাতে সিলভার কালারের দুটো মোটা চুড়ি
-বাহ।কি সৌভাগ্য আমার নিজের স্বামীর আকদে যাচ্ছি
-রিদি তুই তৈরী,,,,
-হ্যাঁ কি হলো থেমে গেলি কেন
-তোকে কি কিউট লাগছে।আর প্রেগনেন্ট হওয়ার পর থেকে তুই বেশি কিউট হয়ে গেছিস।আমি নিশ্চিত তোর মেয়ে হবে
-কেমনে বুঝলি
-আরে মেয়ে র মার নাকি চেহারা সুন্দর হয়ে যায় এই অবস্থায়
-বাজে কথা বাদ দে চল এখন
-চল
রিদিতা পৌছে গেছে
-শোন তুই এনজয় কর।আমি এই জায়গাটা তে দাড়াই
-আচ্ছা ।তোর শরীর খারাপ লাগলে বলিস আমাকে
-হুম
রিদিকে দেখে নোভা এগিয়ে এলো।নোভা একটা স্লিভলেস জরজেটের নীল রঙের গাউন পরেছে
-হাই।কি কেমন লাগছে নিজের স্বামীর আকদ দেখতে
-সরি আপনি ভুল করছেন।আমি এখানে আমার বসের আকদে এসেছি
-ওহ তাই বুজি।ডিভোর্স ঈ মেয়ে র আবার কথা।হুহহ
-আমার পেছনে না লেগে নিজের কাজে যান।যত্তসব
-ইউউউ,,,,থাক তোমাকে কিছু বলবো না।পরে সব দেখা যাবে
নোভা চলে গেল।রিদি অন্যমনস্ক হয়ে একদিকে তাকিয়ে আছে
হঠাত্ আবেগ নিচে নেমে এলো।আবেগকে দেখে নোভা র মাথা গরম হয়ে গেল।কারণ আবেগ আর রিদিতা দুজনেই সাদা পরেছে
-আবেগগগ ।এসব কি
-কোনসব
-তুমি আমার দেওয়া ড্রেস টা পরোনি কেন
-নিজে ড্রেস কিনেছো ।সাইজটা দেখেছো।আমার থেকে দুই সাইজ ছোট টা কিনেছো।তাই আমি আমার পছন্দ এর একটা ড্রেস পরেছি
-তোমার পছন্দ এর নাকি ঐ মেয়ে টার
-মানে
-মানে ঐ দেখো
নোভা রিদিতা র দিকে ইশারা করলো।আবেগের চোখ গেল অন্যমনস্ক রিদিতা র দিকে।রিদিতা কে দেখে আবেগের চোখ সরছে না।উল্টে বুকের বা পাশটা আরো চিন চিন করে উঠছে
-ভুলতে ও পারিনা।প্রতিবার তোমার মায়াতে আমাকে আটকে ফেলো তুমি।আজ আবার সেজেছো আমার পছন্দ এর সাজে।সেই আবার তোমার আমার মিল।এটা কি কি বলবো হার্ট কানেকশন নাকি কোইনসিডেন্ট–মনে মনে
রিদিতা এদিক ওদিক তাকাতে চোখ যায় আবেগের দিকে।দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে
-সেই স্যুট টা।আজকের দিনে তুমি আমার পছন্দ এর জিনিস টাই পরলে।আমার কষ্ট যে আরো বাড়িয়ে দিলে আবেগ।ভালো থেকো তুমি–মনে মনে
চলবে—–