Love Marriage
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
পর্ব ১০
দিশা রুমে এসে শুয়ে পড়লো।
কিন্তু তার কিছুতেই ঘুম ধরছে না।
তবুও ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
কিন্তু সে এমন একটা খারাপ স্বপ্ন দেখলো যার কারণে আর তার ঘুম আসলো না।
সে উঠে বারান্দার দিকে গেলো।
চারিদিকে অন্ধকার আর নীরবতা!!!
কোন এক অজানা ভয়ে তার মন প্রাণ সংকুচিত হয়ে আছে।
এদিকে তার শুধু বার বার ইশানের কথাটা মনে হচ্ছে।
কারন ইশান যেভাবে আজ বললো যে আর কোন ভুল ত্রুটি হলে তাকে সে নিজেই বাড়ি থেকে বের করে দেবে।
দিশা ভাবতে লাগলো যদি হয়?
সে ইচ্ছাকৃতভাবে না করলো কিন্তু তার অজান্তেই যদি হয়ে যায়?
কি হবে তার?
ইশান কি সত্যি তার সাথে এমন করবে????
দিশা আনমনে বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ ইশান তাকে পিছন দিক দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।
আর বললো এখানে এভাবে একা একা কি করছো?
দিশা কোন উত্তর দিলো না।
–কি হলো?
তবুও সে চুপ হয়ে আছে।
ইশান এবার দিশাকে ঘুরিয়ে তার মুখ করলো।
অন্ধকারে দিশা বা ইশানের মুখ স্পষ্ট দেখা না গেলেও ইশান বুঝতে পারলো দিশা কাঁদছে।
–কি হয়েছে?
দিশা ইশানের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলো।
তারপর বিছানায় গিয়ে শুইলো।
–কথা বলছো না কেনো?
ইশান বুঝতে পারলো দিশার মন খারাপ।
তাই সে আর তাকে বিরক্ত করলো না।
দিশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
হঠাৎ দিশা ইশানের গলা ধরে কেঁদে উঠলো।
প্লিজ আমাকে তোমার জীবন থেকে আলাদা করিও না।
আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিও না।
ইশান খুবই অবাক হলো।
সে কিছুই বুঝতে পারলো না।
হঠাৎ দিশা এসব কেনো বলছে???
দিশা ইশানের গলা আরো শক্ত করে ধরলো।
ইশানঃকি হয়েছে?
কাঁদছো কেনো?
দিশাঃমৃত্যু ব্যতীত তুমি আর আমি জীবনেও আলাদা হবো না।
তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় বলি যেনো মৃত্যু টাও একসাথেই হয়।
ইশানঃহ্যাঁ সেটা তো আমিও চাই।
কিন্তু হঠাৎ করে এসব কথা কেনো বলছো?
দিশার মনে হয় এতোক্ষণে হুঁশ হলো।
সে এতোক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিলো।
সে ইশান কে দেখে অবাক হলো।
তুমি এখানে?
কখন এলে?
ঘুমাও নি?
ইশান কিছুই বুঝতে পারলো না।
দিশা এসব কি বলছে।
কি হইছে দিশা?
তুমি এতোক্ষণে আমাকে দেখলে?
আমি তো অনেকক্ষণ এসেছি।
–ও,,,
বুঝতে পারি নি।
তুমি না মার ঘরে ঘুমায়ছিলে?
–ঘুম আসতেছিলো না।
তাই উঠে এলাম।
–আসলে কেনো?
মা আবার কি ভাববে?
–মা ঘুমাইছে।
কিন্তু তুমি এসব কি বলতেছিলে?
–কই কি?
–কি লুকাচ্ছো দিশা?
–কিছু না।
–আবার মিথ্যা কথা বলছো?
–আমি আজ একটা স্বপ্ন দেখেছি।
–স্বপ্ন?
কিসের স্বপ্ন?
–হ্যাঁ স্বপ্ন।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কি জানো?
আমি এই একই স্বপ্ন এক সপ্তাহ ধরে দেখছি।
–দূর মেয়ে।
স্বপ্ন তো স্বপ্নই।
তা কি দেখলে স্বপ্নে?
–আমি স্বপ্নে দেখি তুমি তানিয়া কে বিয়ে করছো।
আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছো।
ইশান সেই কথা শুনে জোরে জোরে হাসতে লাগলো।
অন্য কোনো মেয়েকে যদি দেখতে তাহলে আসলেই সেটা ভাবার বিষয় ছিলো?
কিন্তু তানিয়া?
Impossible!!!
ওই পাগল টারে আমি বিয়ে করবো?
–তারমানে অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে???
–না,না।
সেভাবে বলি নি।
আর অন্য কোন মেয়েকে কেনো বিয়ে করবো?
–যদি করো?
–সেটা পরে দেখা যাবে।
–তারমানে বিয়ে করবে?
ইশান দিশাকে জড়িয়ে ধরলো আর বললো করতেই পারি।
নিজের বিয়ে করা বউ যখন ঠিকভাবে স্বামীর যত্ন করে না তখন তো সেটাই করতে হবে।
দিশা ইশান কে এক ঝটকায় ফেলে দিলো।
যা কর গিয়ে।
এখনই কর।
–এখন কিভাবে করবো?
আর মেয়েই বা পাবো কোথায়?
দিশা বিছানা ছেড়ে উঠে গেলো।
–এই,,,,,?
কই যাচ্ছো???
–সব ছেলেরা এক।
কেউ ভালো না।
ইশান ও পিছু পিছু গেলো।
–আমাকে ধরবি না তুই।
–ঠিক আছে।
ধরবো না।
কিন্তু একটু তো ধরতেই পারি?
দিশা এক নিঃশ্বাসে বলতে লাগলো না,না।
ধরবি না তুই।
তুই ও বাকি সব ছেলেদের মতো।
তোরা সবাই এক।
আগে জানলে আমি প্রেমই করতাম না।
আর বিয়ে তো করতামই না।
বিয়ে করেও যদি স্বামীকে হারানোর ভয় থাকে তাহলে সে বিয়ে করে কি হলো?
আমি আর এতো টেনশন নিতে পারছি না।
কেনো আমাকে এতো টেনশন করতে হবে?
আর কেনোই বা আমাকে বার বার একই স্বপ্ন দেখতে হচ্ছে?
তুমি কেনো এরকম স্বপ্ন দেখছো না?
তুমি যদি দেখতে তাহলে বুঝতে টেনশন কাকে বলে।
তাহলে তুমিও বুঝতে কিছু হারানোর আগেই হারানোর টেনশন টা কত কষ্টের।
দিশা হাত নাড়ছে আর বকবক করছে।
ইশান একবার দিশার হাতের দিকে আরেকবার দিশার মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
কেমনে এতো কথা বলে সে?
আর এই কথাগুলো আসে কই থেকে?
মেয়ে টা ইচ্ছে করলে খুব ভালো একজন ধারাভাষ্যকার হতে পারতো।
যে ভাবে এক নিঃশাসে ভাষন দেয়।
ইশান দিশাকে কোলে তুলে নিলো।
আর তার ঠোঁটে কিস করতে লাগলো।
–কি হচ্ছে এসব?
ছাড়ো।
আমাকে আজ বলতে দাও।
এসব তোমার শোনা দরকার।
ইশান কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলো দিশাকে।
আর বললো এবার বলতে থাকো।
আর নিজেই বসে থেকে শোনো।
আমি ঘুমাতে গেলাম।
ইশান চলে গেলো রুমে।
–কই যাচ্ছো তুমি?
আর এটা কি করলে?
আরো কিছু বলার ছিলো।
শুনে যাও।
–কাল কে শুনবো।
এখন ঘুমাবো।
দিশাও চলে গেলো রুমে।
গিয়ে দেখে ইশান কোলবালিশ টাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়ছে।
–এ কে?
–প্রাকটিস করছি।
যদি সত্যিই আরেকটা বিয়ে করি তখন তোমার রিয়েকশন টা কেমন হবে?
দিশা ইশানের চুল ধরে টানতে লাগলো।
আর কোলবালিশ টাকে ছিড়ে মাটিতে ফেলে দিলো।
তারপর নিজেই ইশানের কোলের ভিতর শুয়ে পড়লো।
–গুড।
এইভাবেই শত্রুকে পরাজিত করতে হবে।
কিন্তু আমার উপর এভাবে Attack করা যাবে না।
আমি খুব ব্যাথা পাইছি।
মাথা ঘুরতাছে।
–আরেকটু টেনে দেই?
তাহলে এবার মাথাঘোরা ভালো হয়ে যাবে।
–না,না।
আমার মাথা ঘুরছে না।
আমি ঠিক আছি।
দিশা ইশান কে কিস করতে লাগলো।
আর বললো চলবে???
–হ্যাঁ অবশ্যয়।
এটাতে না নেই।
সকালবেলা,
আজ দিশা তাড়াতাড়ি উঠলো।
কিন্তু আজ আর সে ইশান কে ডাক দিলো না।
সে একা একা সবার জন্য নাস্তা রেডি করতে লাগলো।
সে একজন আদর্শ বউ হওয়ার চেষ্টা করছে।
নাস্তা রেডি করে সে সবাই কে খাওয়ার জন্য ডাক দিলো।
দিশাকে আজ রান্নাঘরে একা দেখে সবাই অবাক!!!
শেষ পর্যন্ত ইশান বেচারা এই রান্না করার চাকরি থেকে রেহাই পেলো।
দিশা যখন ইশান কে নাস্তা করার জন্য ডাক দিলো তখন ইশান বললো ব্যাপার কি?
আজ একা একাই দেখি রান্না করেছো?
আমাকে আর লাগবে না?
–না।
আপনাকে আর রান্না করতে হবে না।
শুধু রান্না কেনো?
আর কিছুই করতে হবে না।
–সত্যি বলছো?
এই বলে দিশাকে জড়িয়ে ধরলো।
আর বললো আমার বউ টা কত ভালো!!!
–খুশি হয়ে লাভ নেই।
কারন আজ থেকে তুমি আর এভাবে ঘরে বসে থাকতে পারবে না।
কাল থেকে তুমি তোমার বাবার অফিসে জয়েন করবে বুঝেছো?
–কি বলছো এসব?
আমার এসব কাজকর্ম করতে ভালো লাগে না।
–সেটা বললে হবে নাকি?
তোমার বউ বাচ্চাকে কি সারাবছর তোমার বাবা খাওয়াবে?
–বাচ্চা!!!
আমার বাচ্চা!!!
কোথায় সে বাচ্চা!!!
দিশা লজ্জা পেয়ে গেলো।
আর বললো যেভাবে বলছো মনে হয় হবে না।
আজ না হয় কাল হবে তো।
–কবে হবে?
–যেদিন আল্লাহ দেবে।
ইশান দিশাকে জড়িয়ে ধরলো।
ইনশাআল্লাহ।
খুব শীঘ্রই হবে।
দিশা সবদিক দিয়েই নিজেকে পাল্টানোর চেষ্টা করতে লাগলো।
এখন দিশাকে সবাই অনেক ভালোবাসে।
ইশান ও অনেক খুশি।
এভাবেই চলছিলো।
কিন্তু ইদানিং দিশার প্রতিটা কাজে শুধু ভুল হতে লাগলো।
চায়ে লবণ দিচ্ছে।
তরকারি তে চিনি দিচ্ছে।
কোনদিন ঝাল বেশি হচ্ছে।
আবার কোনদিন লবন হচ্ছে বেশি।
প্রথম প্রথম সবাই এটাকে মেনে নিলো।
কারন এটা হতেই পারে।
কিন্তু যখন এইরকম প্রতিদিন হতে লাগলো তখন কেউ আর সেটা মানতে পারলো না।
তার শাশুড়ী সেই জন্য ইদানীং দিশাকে বকা শুরু করলো।
ইশান ও বুঝতে পারছে না কিছু দিশা কেনো এইরকম করছে?
সে শুধু বার বার দিশা কে জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে তোমার?
তুমি কি ঠিক আছো?
দিশা বললো হ্যাঁ ঠিক আছি।
একদিন দিশা রান্না করতেছিলো।
হঠাৎ সে লক্ষ্য করলো মেঝেতে তেল পড়ে আছে।
সে নিজেও বুঝতে পারলো না কিভাবে তেলগুলো পড়ে গেলো?
সে তেলগুলো পরিষ্কার করার জন্য ন্যাকড়া খুঁজতে ঘরে যায়।
এদিকে ইশানের মা রান্নাঘরে আসতেই ধপাস করে পড়ে যায়।
এই জন্য তিনি পায়ে কিছুটা আঘাত পান।
ইশান দিশার উপর খুবই রেগে যায়।
কাজ করার সময় মন কোথায় থাকে?
এতো অমনোযোগী কেনো তুমি?
দিশাঃআমি নিজেও জানি না তেল পড়লো কিভাবে?
ইশানঃনিজেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলছো?
দিশাঃতুমি এটা বলতে পারলে?
ইশানের মা বললো ঠিক আছে।
ওকে বকছিস কেনো?
ও কি ইচ্ছে করে ফেলছে নাকি?
দিশা ইশানের কথায় খুব মন খারাপ করে।
তার সাথে কথা পর্যন্ত বলে না।
ডাক্তার ইশানের মায়ের পায়ে মালিশ করার জন্য একটা তেল দেয়।
দিশা তিনবেলা সেই তেল মালিশ করে দেয়।
প্রতিদিনের মতো আজকেও দিশা সেই তেল মালিশ করে দিলো।
তারপর ঘরে চলে গেলো।
ইশান রুমেই আছে।
দিশা ইশান কে দেখে এড়িয়ে যেতে ধরলো।
ইশান তা দেখে বললো আর কতদিন এভাবে এড়িয়ে চলবে?
এবার তো অন্তত রাগ টা কমাও।
যা হবার তা তো হয়েছে।
দিশা কোন কথা বললো না।
ইশান দিশাকে বললো ভাবতেছি কোথাও একটু ঘুরতে যাবো।
এ বাড়িতে কেনো জানি আর ভালো লাগছে না।
তাছাড়া এ বাড়িতে থেকে কি লাভ?
বউ একটুও আদর করে না।
মনে হচ্ছে ভালোবাসা সব শেষ হয়ে গেছে।
দিশা এবারও কোনো কথা বললো না।
সে বাহিরে চলে গেলো।
হঠাৎ তার শাশুড়ী চিৎকার করে উঠলো।
বাবা রে মরে গেলাম।
বাঁচাও আমাকে।
দিশা দৌঁড়ে তার শাশুড়ীর রুমে আসলো।
এদিকে তার শাশুড়ী চিৎকার করতেই আছে।
তার শাশুড়ী বললো তাড়াতাড়ি ইশান কে ডাক দাও।
আমি মরে গেলাম।
আমার পা জ্বলছে।
আমার পা পুরে যাচ্ছে।
দিশা ইশান কে ডাক দিলো।
দেখো তো মার কি হয়েছে?
চিৎকার করছে কেনো এতো?
ইশান আসার সাথে সাথে তার মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।।।
ইশান তাড়াতাড়ি করে তার মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
ডাক্তার ইশানের মায়ের পরীক্ষা নীরিক্ষা করছে।
হঠাৎ ইশান ও চিৎকার দিয়ে উঠলো।
কারন তার ও হাত জ্বলছে।
ডাক্তার ইশানের ও ট্রীটমেন্ট শুরু করে দিলো।
ইশানের বাবা শোনামাত্র পাগলের মতো ছুটে এলো।
ডাক্তার কিছুক্ষন পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানালো যে তার মায়ের পায়ে যে তেলটা মাখানো হতো সেটার ভিতর বিষাক্ত ক্যামিকেল পটাসিয়াম সায়ানাইড পাওয়া গেছে।
ইশানের বাবা বাসায় ফোন করে জানিয়ে দিলো যে বোতল টা যেনো কেউ না ধরে।
হঠাৎ ইশানের মনে হলো দিশার কথা।
কারন সেই তো এই তেল তার মায়ের পায়ে মালিশ করে দিচ্ছিলো।
তাহলে দিশা ঠিক আছে তো?
ইশান বেড থেকে উঠতে ধরলো।
আর বললো আমার বউ কে একবার চেকাপ করতে হবে।
কারন ও এই তেল মালিশ করে দিচ্ছিলো।
ডাক্তার বললো ও মাই গড।
তাড়াতাড়ি ওনাকে কেউ ডেকে আনুন।
ইশানের বাবা ইশান কে বললো তুই এখানেই থাক।
আমি ডেকে আনছি দিশাকে।
ইশানের বাবা দিশাকেও হসপিটালে আনলো।
ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখলো দিশা ঠিক আছে।
ডাক্তার তো নিজেই কিছু টা অবাক হলো।
এটা কি করে সম্ভব?
দিশার কিছু হলো না কেনো?
দিশা তখন বললো আমি আজ হ্যান্ড গ্লাভস পরে তেল মালিশ করেছি সেই জন্য হয় তো আমার কিছু হয় নি।
হঠাৎ ইরা বলে উঠলো তুমি তো খালি হাতেই তেল মালিশ করে দাও।
তা আজ হঠাৎ হ্যান্ড গ্লাভস পরে তেল মালিশ করলে কেনো?
–মানে কি?
তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো?
–সন্দেহ করছি না।
তোমাকে জিজ্ঞেস করছি কেনো আজ হ্যান্ড গ্লাভস পড়েছিলে?
ইশান এবার রাগ হলো।
মা অসুস্থ।
আর তোরা ঝগড়া করছিস?
ইরা বললো তুই চুপ কর।
তুই কোনো কথা বলবি না।
মা অসুস্থ কেনো হলো?
সেটা ভেবে দেখেছিলি কখনো?
আর এ পটাশিয়াম সায়ানাইড তেলের ভিতর কিভাবে এলো?
আমি আরো বেশি অবাক হচ্ছি তোর বউ কি আগে থেকে জানতো যে আজ তেলে পটাশিয়াম সায়ানাইড আছে।
তাই সে হ্যান্ড গ্লাভস পড়ে তেল মালিশ করলো।
দিশা এবার কথা বলে উঠলো।
তুমি এসব কি বলছো?
আমি আজ এমনিতেই হ্যান্ড গ্লাভস পড়েছিলাম।
কারন তেলটা খুব ভারী আর আঠালো।
তাই বার বার হাত ধুলেও হাত পরিষ্কার হতো না।
তাই আমার মনে হলো হ্যান্ড গ্লাভস পড়ে তেল মালিশ করলে আর হাতে লাগবে না।
তাহলে আর বার বার ধুতেও হবে না।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এলেন।
ডাক্তারের চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে মারাত্নক কিছু ঘটে গেছে।
সবার ভয় হতে লাগলো।
চলবে,,,,