Love At 1st Sight Season3 Part – 65

0
6461

Love At 1st Sight
~~~ Season 3~~~

Part – 65

writer-Jubaida Sobti

পাগলী একটা মেয়ে এইটুকুতেই এই হাল করে ফেলেছে নিজের, মুখটাও সুখিয়ে আছে নিশ্চয়ই ব্রেকফাস্ট করেনি টেনশন করতে করতে,

স্নেহা : আ..আপনি যে বললেন আরেকটা সারপ্রাইজ আছে?

রাহুল : হুমম আছে! এক সেকেন্ড [ বলেই রিদোয়ানের দিক তাকালে সে রাহুলকে একটা তাদের মতোই ব্লাক রাউন্ড কেপ হাতে ধরিয়ে দেই, রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে মুচকি হেসে কেপটা মাথায় পড়ে নেয়, স্নেহাও মৃদু হাসলো রাহুল, রিদোয়ান, এবং আসিফ তিনজনের দিকই তাকিয়ে, কারণ তাদের তিনজনেরই সেইম ড্রেস, মাথায় সেইম স্টাইলের কেপ, মুখে পিচ্ছি করে একটা একটা মুছ রাখলে না তিনজনকেই চার্লি চাপকিন মনে হতো ]

রাহুল : কাম! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে মিডলের একসাইড করে দাড় করায় ]

এবং রাহুল গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় একদম মিডলে,সবদিকের লাইটগুলো সব আবারো বন্ধ হয়ে যায়, শুধুমাত্র দুটো সাদা লাইট জ্বলে রয়েছে, একটা স্নেহার মাথার উপরের দিক আরেকটি রাহুলের মাথার উপরের দিক, রাহুলের পেছনে একটি সাদা পর্দা এসে ঝড়ে পড়েছে, স্নেহার সাথে সাথে বাকিরাও সকলে অধিক আগ্রহীত চোখে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক,

রাহুল : সো্ মেনি মেমোরিস্! সো্ মেনি স্টুপিড ফাইটস্! সো্ মেনি ইনসা্ইডস্ জোকস্! সো্ মেনি ক্রেজিয়েষ্ট নাইটস! এভ্রিথিং ক্রেজি দ্যাট ইউ ডু অলোয়েজ সি্মস্ টু হ্যাপেন হোয়েন ইউ উইথ দেম স্নেহা!

[ বলেই মৃদু হেসে রাহুল তার হাত দিয়ে পেছনের পর্দার দিক ইশারা করলো, সাথে সাথেই পর্দা দু-ভাগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ,এবং পর্দার মাঝ থেকে একদম স্নেহার মতোই একটা লাইট পিংক কালারের বারবী গাউন পড়ে জারিফা বেড়িয়ে আসে, মাথা ঝুকে রাহুল তার এক হাত জারিফার সামনে এগিয়ে দিলে,জারিফাও মুচকি হেসে রাহুলের হাতের উপর হাত রাখলো, তালি দিলো সকলেই এক্সাইটেড হয়ে ]

জারিফা : ইয়র ফেভারিট কাইন্ড অফ পেইন, ইজ ইন ইয়র স্টোমাচ, হোয়েন আই মেক ইউ লাফ টু হার্ড!

– ইজ ইট ট্রু স্নেহা? [ চোখ দিয়ে জল যেনো এক্ষুণিই গড়িয়ে পড়বে, তাও নিজেকে কন্ট্রোল করে মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো স্নেহা, জারিফাও হাসলো স্নেহার চেহেরার অবস্থা দেখে, রাহুল তার আরেকহাত জারিফার কোমোড়ে রেখে একদম কাছাকাছিই এগিয়ে নিলো তারদিক, সফট ব্যাকগ্রাউন্ড টোন বাজছে, সাথে তাল মিলিয়ে নাচছে রাহুল এবং জারিফা ]

রাহুল : [ জারিফার কানে ফিসফিসিয়ে ] স্টুপিড, আমার পুরো রাতের মেহনতে পানি ঢেলে দিবা নাকি! স্টার্ট করো সিংগিং!

জারিফা : [ চমকে উঠে ] ও হ্যাঁ! [ বলেই তাড়াতাড়ি গলা ঝেড়ে গেয়ে উঠলো ]

♪ মেরে দিলকি ইয়ে দুয়াহে ♪
♪ কাভি দূর তু না যায়ে ♪
♪ তেরে বিনা হো জিনা ♪
♪ বো দিন কাভি না আয়েএএ ♪

♪ তেরে সা্ংগে জিনা ইয়াহা আ~
♪ তেরে সা্ংগে মারজানা আ ~
♪ ইয়াদে কারেগি দুনিয়া আ ~
♪ তেরা মেরা আফসা্না আ ~

♪ তেরে জেসা্ ইয়ারে কাহা আ ~
♪ কাহা এসা্ ইয়ারানা আ ~
♪ ইয়াদে কারেগি দুনিয়া ~
♪ তেরা মেরা আফসা্না ~

[ এতোটুকু নেচেই জারিফা ঘুরে অন্যপাশে চলে যায় ]

রাহুল : ইউ! ইয়েস্ ইউ!

– দ্যা ওয়ান রিডিং দিজ, ইউ আর বিউটিফুল, ট্যালেন্টটেড,আমাইযিং এন্ড সিম্পলি দ্যা বেষ্ট এট বিয়িং ইউ! নেভার ফরগেট দ্যাট স্নেহা!

– উমহুম! আম নট টেলিং দিজ, শি টোল্ড মি!

[ বলেই পর্দার দিক হাত বাড়াতেই এগিয়ে এসে রাহুলের হাতের উপর হাত রাখলো শায়লা, লাইট স্কাই কালার বারবী গাউন পড়েছে সেও, মুচকি হাসলো স্নেহা, শায়লার ও তার মতো একই ড্রেস শুধু কালার ডিফারেন্ট দেখে, আর কার আইডিয়া হতে পারে এসব, রাহুলের আইডিয়া ছাড়া, অজানা কিছু নয় স্নেহার জন্য,

বেকগ্রাউন্ড টোন বাজছে, সিম্পলি ভাবেই নেচে তাল মেলাচ্ছিল শায়লা এবং রাহুল, হঠাৎ রাহুল শায়লার হাতে একটি চিমটি কাটলো, সাথেসাথেই শায়লার মাথায় এলো তার তো এখন গান করার কথা ছিলো, আশেপাশেই একবার তাকিয়ে মৃদু হেসে গলা ঝেড়ে গেয়ে উঠলো ]

♪ লোগো কো আতে হে ♪
♪ দো নাজার হাম মাগার ♪
♪ দেখো দো নেহি ই ~~

♪ ও জুদা ইয়াখাফা এ খোদা হে দুয়া ♪
♪ এসা্ হো নেহি ই~~

♪ খানা পিনা সা্থ হে ~
♪ মারনা জিনা সা্থ হে ~
♪ খানা পিনা সা্থ হে মারনা জিনা সা্থে হে ♪
♪ সা্রিইই জিন্দেগী ইইই~~

[ শায়লাও এতোটুকু নেচে তার বারবী গাউনটা ধরে ঘুড়ে অন্যপাশ চলে গেলো ]

রাহুল : স্নেহা! শি সে্ইড দ্যাট! ইফ ইউ আর এলোন, শি উইল বি ইয়র শেডোও! ইফ ইউ ওয়ান্ট টু ক্রাই, শি উইল বি ইয়র শোল্ডার, ইফ ইয় আর নট হ্যাপি, শি উইল বি ইয়র স্মাইল! এন্ড ইফ ইউ নিড হার, দেন শি উইল বি আলোয়েজ বি দেয়ার!

[ চোখ মুছছে স্নেহা হেসে হেসে, খুশি, আবেগ, ভালোবাসা সবই যেন একত্রে ঘিরে রেখেছে আজ স্নেহাকে, রাহুল পর্দার দিক হাত বাড়ালো, লাইট পার্পেল কালারের বারবী গাউন পড়েই এগিয়ে এসে রাহুলের হাতের উপর হাত রাখলো মার্জান, রাহুল ও হেসে মার্জানের পেছন হয়ে দাঁড়িয়ে কোমোড়ে হাত রাখে, আরেকহাতে মুঠি বেধে ধরে বেকগ্রাউন্ড টোনের সাথে তাল মিলিয়ে নাচাচ্ছে ]

মার্জান : [ স্নেহাকে চোখ টিপ মেরে ]

♪ মেরি জিত তেরি জিত ♪
♪ তেরি হার মেরি হার ♪
♪ সুনলে মেরে ইয়ার ♪

♪ তেরা গাম মেরা গাম ♪
♪ মেরি জান তেরি জান♪
♪ এসা্ আপনা পিয়ার ♪

♪ জানপে ভি খেলেংগে ♪
♪ তেরে লিয়ে লেলেংগে ♪
♪ জানপে ভি খেলেংগে তেরেলিয়ে লেলেংগে ♪

♪ সাবসে্এএ দুশমানি~~

[ ধীরেধীরে সরে গেলো রাহুল, সাথেসাথেই জারিফা আর শায়লা দৌড়ে এগিয়ে এসে মার্জানের সাথেই তাল মিলিয়ে নেচে একত্রে গেয়ে উঠলো ]

♪ ইয়েএএ দোসে্তি ই~~
♪ হাম নেহিই~ তোডেংগে এ~
♪ তোডেংগেএএ দাম মাগার ♪
♪ তেরা সা্থ না ছোডেংগে ♪

♪ ইয়েএএ দোসে্তি ই~~
♪ হাম নেহিই~ তোডেংগে এ~
♪ তোডেংগেএএ দাম মাগার ♪
♪ তেরা সা্থ না ছোডেংগে ♪

[ চারদিকের বাতি সব জ্বলে উঠলো, স্নেহাও দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো, তার আদুরে তিনোটা ফ্রেন্ডসকে,কড়া তালি দিচ্ছে বাকিরাও ]

নাফিসা ফুফি : [ দাদীর দিক তাকিয়ে ] ব্রাইড বলে একটা চিহ্ন আছে মা, ওদের ও এইভাবে সেইম ড্রেস দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিলো?

দাদী : সুন্দরই তো লাগছে, সবকটাকেই পরী মনে হচ্ছে আজ!

নাফিসা ফুফি : শুধু কালারগুলোই ডিফারেন্ট! আচ্ছা ওটাও ডিফারেন্ট রাখার কি দরকার ছিলো? সবই সেইম দিয়ে দিতে পারতে?

দাদী : দেখ! রিসিপশান রাহুলের, হয়তো সেই করেছে এসব! আর যাই করেছে এতে আমি খারাপ কিছুই তো দেখছি না, সুতরাং এতে আর মাথা না ঘামিয়ে ওদের খুশির সাথেই খুশি থাকলে তোর আমার সবার জন্যই বেটার হবে! [ বলেই দাদী অন্যদিক গেষ্টদের আপ্যায়ন করতে চলে গেলো ]

এইদিকে, রাহুল দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক, স্নেহাকে কতো খুশি দেখাচ্ছে তার পরিবারকে পেয়ে, এইভাবেই তো হাসিখুশিতে দেখতে চাই রাহুল তার স্নেহাকে, হঠাৎ নেহাল এগিয়ে এসে পাশে দাড়ালো রাহুলের,

রাহুল : হেইইই! ইউ লুক ডেসিং ব্রো!

নেহাল : নট রিয়েলি! বাট, থেংক্স ফর ইয়র কমপ্লিমেন্ট! [ হাসলো রাহুল নেহালের কথা শুনে ]

নেহাল : [ কাদো কাদো কন্ঠে ] ব্রো! ওর চেহেরাটা দেখ, একদম ফুটোন্ত ফুলের মতো হয়ে আছে, কিন্তু আমায় যদি এখন সামনে দেখে না?এমন বানাবে চেহেরাটাকে যেনো আমি সাত খুন একত্রে করেই ওর সামনে দাড়িয়েছি, [ আবারো হেসে উঠলো রাহুল ]

নেহাল : আচ্ছা! দেখ এসব মোটেও ভালো হচ্ছে না কিন্তু! আমি তোকে আমার সেড ফিলিং এক্সপ্লেইন করছি আর তুই কিনা হাসছিস!

রাহুল : তো কি করবো কাদবো?

– আরে বোকা এসব এক্সপ্লেইন আমাকে না করে ডিরেক্ট ওকে গিয়ে করনা? তারপরই তো কাজে আসবে! ইডিয়ট

নেহাল : ডিরেক্ট করবো? পা..পাগল হয়ে যাসনি তো তুই? সবার সামনে আমাকে ওর থাপ্পড় খাওয়ানোর ইচ্ছে আছে তাই না?

রাহুল : লিসেন্ট! না বলে এভাবে দেবদাস হয়ে বসে থাকার চেয়ে একটা থাপ্পড় না হয় খেয়েই নিবি! সো্ হোয়াট?দেন সুযোগ পেলেই লংগেষ্ট একটা কিস্ করে থাপ্পড়ের রিভেঞ্জ ও নিয়ে নিবি!

– [ ফিসফিসিয়ে ] কিসটা উইদাউট পার্মিশনে করবি, জোড় করে, তাহলে স্পেশাল টেষ্ট পাবি!

নেহাল : [ রাহুলের কাধে হাত রেখে ] ওহোহো ব্রো স্পেশাল টেষ্ট এর তোমার এতো এক্সপেরিয়েন্স!

রাহুল : [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কাধ থেকে নেহালের হাতটা সরিয়ে দিয়ে ] তুই না আস্ত একটা গাধা আসলেই! বউ আছে আমার ভুলে গিয়েছিস?

নেহাল : হোয়াট হোয়াট হোয়াট? বউকেও জোড় করে কিস্ করতে হয় নাকি? তাহলে বিয়ে করে কি লাভ, যদি নিজের অধিকারটাই জোড় করে নিতে হয়?

রাহুল : স্টুপিড! আওর লাভ ম্যারেজ,ইউ ফরগেট ইট!

নেহাল : [ জিহবায় কামড় খেয়ে ] ওওওহ! শিটটট মেন! আই মিন! ইউ ইটেড স্পেশাল টেষ্ট বিফর ইয়র ওয়েডিং রাইট? [ রাহুল আর কিছু বললো না তেডি স্মাইল দিয়ে একবার তাকিয়ে স্নেহাদের দিক এগিয়ে গেলো, ছবি তুলছিলো সবাই একত্রে ]

জারিফা : কাম কাম জিজু! [ বলেই রাহুলের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে ] স্নেহা! এই সবকিছু সারপ্রাইজের প্লান কিন্তু আমাদের জিজুরই ছিলো,তাই সব ক্রেডিট ওনাকেই দিতে হবে! কি বলেন জিজাজি?

রাহুল : নো এক্সুলি! মিউজিসিয়ানরা ব্যাকগ্রাউন্ড ইন্সট্রামেন্টালিস্ট করেছে, পুরো হলের ডেকোর ইভেন্টাররা করেছে, ড্রেস-কাস্টম গুলো সব ডিজাইনাররা রেডি করেছে, ফ্রেন্ডস ডাইলগ গুলো তোমাদের মন থেকে রেডি করে দিয়েছো, ডান্সার ডান্স শিখিয়েছে, আর আমি শুধু গানগুলো সিলেক্ট করে শিখালাম, সো্ সব ক্রেডিট আমি কি করে পাই বলো?

শায়লা : বাট জিজু! যে যাই কিছুই করুকনা কেনো এইসবকিছুর প্লান তো আপনারই ছিলো তাই না?

স্নেহা : আ..আপনি এতো রাতে,মিউজিসিয়ান, ডান্সার এদের সবাইকে কোথায় পেয়েছিলেন?

মার্জান : আই থিংক আমাদের যেভাবে রাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে তুলে সং আর ডান্স শিখিয়েছে, ওদের ও ঐভাবে ঘর থেকে টেনেটুনে তুলে নিয়ে এসেছিলো! [ হেসে উঠলো সবাই একত্রে, হঠাৎ ]

আসিফ : [ এগিয়ে এসে ] হাসিটা তো দারুণই! বাট অলোয়েজ এভাবে এংড়ি মুডে থাকার কি দরকার! [ সবাই বুঝতে পেরে মার্জানের দিক তাকালো, মার্জান ও একদম নাকফুলিয়ে আড়চোখে তাকালো আসিফের দিক ]

শায়লা : [ হেসে ] এক্সুলি আপনার এংড়ি বার্ড বলে কথা!

আসিফ : ইয়েস্ আমার!

মার্জান : [ শায়লার দিক তাকিয়ে ] এক্সকিউজ মি?

শায়লা : [ এদিকওদিক তাকিয়ে ] চ্যা..চ্যামেলি আন্টি! উফফ কিনা লাগছে আজ আন্টিকে,আরে হ্যা! আমরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছি কেনো বলেন তো জিজু! চলেন চলেন ফটো তুলবো [ বলেই শায়লা, রাহুল এবং স্নেহা দুজনেরই হাত ধরে ডেকোর চেয়ারের দিক এগিয়ে নিয়ে চলে গেলো, জারিফা ও মুচকি হেসে তাদের পিছুপিছু চলে গেলো, মার্জান আসিফকে মুখটা ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনিই আসিফ মার্জানের হাতটা চেপে ধরে টেনে শিরি দিয়ে উপরের দিক নিয়ে চলে যায়, আশেপাশে তাকিয়ে হাত ছুটিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলো মার্জান, কিন্তু কোনো লাভ হলো না, রুফ টপে এসেই হাতটা ছাড়লো আসিফ ]

মার্জান : আপনার সাহস তো কম দেখছিনা! সবার সামনে এইভাবে হাত ধরে টেনে আনার মানে কি? কি ভাববে সবাই?

আসিফ : টেনে না এনে যদি নরমালি ডেকে বলতাম আমার সাথে রুফটপে চলো, তাহলে কি তুমি আসতে? বলো? [ কিছু বললো না আর মার্জান চলে যাওয়ার জন্য পাশফিরবে, তখনিই, আসিফ বাহুর দু-দিক ধরে পেছনে ঠেলে দেওয়ালে লাগিয়ে দাড় করাই, অবাক চোখে তাকালো মার্জান, মুড রাখার জন্য চলে যাওয়াটা বেটার হবে ভাবলো, কিন্তু আবার কেনো যেনো কিসের টানে যেতেও মন চাইছিলো না ]

আসিফ : আচ্ছা এমনটা কি আসলেই হয়না? যেটা আমি ফিল করি সেটা কি তুমি একটু ও ফিল করোনা?

মার্জান : কিক..কিসের ফিল? হ্যা? কিসব আজেবাজে বকছেন? হাটেন তো, আমার গরম লাগছে, দ..দম আটকে যাচ্ছে, [ মুচকি হাসলো আসিফ, মার্জানের অবস্থা দেখে,পলক ঝুকিয়ে নিলো মার্জান ]

আসিফ : দমটা কি সবার সামনে গেলেও এইভাবে আটকে যেতে থাকে?

মার্জান : দে..দেখেন! আমার না আপনার সাথে এইখানে বাকোয়াস্ করার টাইম নেই, আমি [ বলেই থেমে গেলো, পারলো না আর কিছু বলতে, শিউরে উঠলো, আসিফ তার হাতদিয়ে মুখ থেকে গলা পর্যন্ত স্লাইড করে ছুয়ে দিচ্ছে মার্জানের, ঢোগ গিলছে মার্জান ও, এই অদ্ভুত অনুভুতি আর কখনোই হয়নি তার,নিশ্চুপ হয়ে গেলো একদম ]

আসিফ : [ ধীরেধীরে মার্জানের কানের দিক মুখ এগিয়ে ] একটা কথা বলি? [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মাথা নাড়ালো মার্জান ]

আসিফ : আমি আজ তোমাকে দেখেছিলাম!

মার্জান : [ কনফিউজড হয়ে ] ত..তো?

আসিফ : আমার বাসায় ডান্স প্রেক্টিসে্র পর যখন, তুমি রুমে কাপড় চেঞ্জ করছিলে!

মার্জান : হোয়াট? [ বলেই আসিফকে ধাক্ষে সরিয়ে ] কিক..কি বলছেন এসব?

আসিফ : [ হেসে ] ইয়েস্! বাট মিষ্টেক আমার ছিলো না, তোমারই ছিলো!

মার্জান : মানে কি?

আসিফ : মানে হচ্ছে তুমি যে রুমে কাপড় চেঞ্জ করছিলে, ঐরুমের ওয়াসরুমেই ছিলাম আমি,হঠাৎ ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখি তুমি.. [ হা করে চোখ দুটো রসগোল্লার মতো করে তাকিয়ে আছে মার্জান আসিফের দিক ]

আসিফ : [ হেসে মার্জানের থুতনিতে ধরে মুখটা বন্ধ করে দিয়ে ] রিলেক্স! বেশিকিছু দেখিনি, তুমি অলরেডি তখন কাপড় পড়েই ফেলেছিলে,জাষ্ট উপরের টপসটা পড়োনি!

মার্জান : উপরের টপসটা পড়িনি মানে এটা কি বেশিকিছু না?

আসিফ : বে..বেশিকিছু হতে যাবে কেনো? ইটস্ অ্যা সিম্পল!

মার্জান : ছি! এসবকে আপনি সিম্পল বলছেন? আপনি জানেন আপনি কি দেখেছন?

আসিফ : কি দেখেছি এটা এক্সপ্লেইন করে বলতে হবে নাকি?

মার্জান : [ বিরক্তি হয়ে ] আপনি? আসলেই একটা,

আসিফ : [ মার্জানের মুখে হাত দিয়ে ] আমি আসলেই একটা লাকি পার্সন! আর সাথে তুমি ও!

– শুকোর করো আমিই দেখেছি, আর কেউ না!

মার্জান : [ মুখ থেকে আসিফের হাতটা সরিয়ে ] আপনিই বা ঐরুমে কি করছিলেন বলেন তো?

আসিফ : [ হেসে পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে ] রুমটা আমার ছিলো! [ কথাটি শুনতেই অবাক হয়ে দু-হাত দিয়ে নিজের মুখ নিজে চেপে ধরলো মার্জান, মনে মনে ভাবতেও লাগলো এতোগুলো রুম থাকতে কেনো যে ঐ রুমটাতেই গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করেছিলো সে! এই মুখ মানুষকে দেখাবে কি করে আজ, ভেবেই চেহেরাটাকে কাদো কাদো করে ফেললো ]

এইদিকে নিচে, জারিফা চারদিক খুজে বেড়াচ্ছিলো রিদোয়ানকে,হঠাৎ রাশুকে নাগাল পেলে তার থেকে জিজ্ঞেস করাই সে বললো গেষ্ট হাউজের দিকই যেতে দেখেছে সে রিদোয়ানকে, মনে মনে ভাবতে লাগলো জারিফাও,

– সবাই এইখানে আর এই মহানব্যক্তি কোনো গেষ্ট হাউজে বসে বসে ঘুমুচ্ছে কিনা কে জানে!

আর দেরী করলো না সে ও মুচকি হেসে রওনা দিলো, গার্ডেন পেড়িয়ে গেষ্ট হাউজের দিকই উঠে, দরজার লক চাপ দিতেই দরজা ওপেন থাকায় খুলে যায়, দরজা খুলে জারিফা ভেতরে এক কদম পা বাড়াতেই হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে যায়,

রিদোয়ান দাড়িয়ে আছে এবং তার বরাবরই, লম্বাচওড়া, সুন্দরই দেখতে এমন একটি মেয়েও দাঁড়িয়ে আছে,

জারিফাকে দেখে মেয়েটি তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে তার ঠোটের আশেপাশে ছড়িয়ে যাওয়া লিপ্সটিক গুলো মুছে নিচ্ছে, হতভম্বের ছাপ রিদোয়ানের চেহেরায় ও! কোনো ভুল সময়ে এন্ট্রি নিয়ে নিলো নাতো জারিফা, সবাই একজায়গায় আর রিদোয়ান আলাদা একজায়গায় তাও বা এই মেয়েটির সাথে,

চক্কর দিচ্ছিলো জারিফার মাথা, পলক ঝুকিয়ে নিয়ে গেষ্ট-হাউজের দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে গেলো হুট করে, সাথেসাথেই পেছন থেকে দরজা খুলে রিদোয়ান,

– জারিফা ওয়েট!

বলেই চেচিয়ে ডেকে উঠলো, থামতে মন চাইছিলো না জারিফার, মাথায় অজস্র প্রশ্ন ঘুরঘুর করছে, এমন ও কোনো সিচুয়েশান চোখের সামনে এসে পড়বে কল্পনাও করতে পারেনি সে,তাই যত তাড়াতাড়িই পারছে হেটে গার্ডেনটাও ক্রস করলো, কিন্তু বাড়ির শিরির মুখোমুখি আসতেই হঠাৎ পেছন থেকে রিদোয়ান হাত টেনে ধরে ফেললো!

রিদোয়ান : [ হাপিয়ে উঠে ] কি হলো?

জারিফা : আ..আপনাকে খুজছিলাম রা..রাশু বললো এইদিকেই যেতে দেখেছে তাই..গিয়েছিলাম!

রিদোয়ান : ওকেই বাট! এইভাবে চলে এলে যে?

জারিফা : হয়তো ভুল সময়েই এন্ট্রি নিয়েই ফেলেছিলাম আমি, সরি আপনাদের ডিস্টার্ব করার জন্যে!

রিদোয়ান : [ চেচিয়ে ] কি বলছো কি এসব? [ বলতেই হঠাৎ আশেপাশে তাকিয়ে দেখে লোকজন চেয়ে আছে, আর কিছু বললো না রিদোয়ান জারিফাকে সহ টেনে নিয়ে একপাশে গিয়ে দাঁড়ায় ]

রিদোয়ান : দেখো জারিফা! তুমি যেমনটা ভাবছো তেমন কিছুই না! [ জারিফা আর কোনো জবাব দিলো না, দু-হাত দিয়ে রিদোয়ানের হাত তুলে ধরে আংগুল দিয়ে ইশারা করে দেখিয়ে দিলো সাদা শার্টের উপর লেগে থাকা মেজেন্ডা লিপস্টিক গুলো, রিদোয়ান ও অবাক হয়ে তাকালো লিপস্টিক গুলোর দিক ]

জারিফা : কিছু মানুষ তার পুরোনো ন্যাচার ভুলতে পারে না রিদ!

রিদোয়ান : জারিফা এগুলো..

জারিফা : ব্যাস! আমার এক্সপ্লেইন চাই না!

রিদোয়ান : ইম্পসিবল জারিফা! আমি জানি তুমি কি ভাবছো, বাট যেটাই ভাবছো তেমন কিছুই হয়নি আমাদের মাঝে,

জারিফা : আমি ভাবছি? হ্যা? এসব আমি ভাবছি তাই না?

– আর নিজের চোখে যা দেখে আসলাম আপনার এক্স-গার্লফ্রেন্ড এর সাথে একা একটা ঘরে একত্রে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটা?

– দাঁড়িয়ে ছিলেন নাকি কি করছিলেন সব এই লিপস্টিকের দাগই ক্লিয়ার করে দিচ্ছে মিষ্টার রিদোয়ান!

– ওহ সরি! ভুলে এক্স বলে ফেলেছি! আই থিংক প্রেজেন্ট গার্লফ্রেন্ডই হবে!

– [ মৃদু হেসে ] আচ্ছা প্রেজেন্ট এর মধ্যে আমি কয় নাম্বার গার্লফ্রেন্ড আপনার?

রিদোয়ান : দেখো জারিফা উল্টোপালটা কথা বলো না, তুমি এক কাজ করো, এইদিকে এসো ওর থেকেই জিজ্ঞেস করো.. [ বলেই জারিফার হাত ধরতেই ]

জারিফা : [ হাত ঝাড়ি দিয়ে সরিয়ে ] আমার না ওর চেহেরা দু-বারে দেখার কোনো শখ নেই! আর আপনার কি মনে হচ্ছে আমি ওর কাছে যাবো এক্সপ্লেইন চাইতে?

– আমার ভালোবাসা শরীফ কেনো হলো, আপনি তো আপনার পুরোনো রুপই দেখিয়ে দিলেন!

রিদোয়ান : [ দাতকিলিয়ে ] দেখো! অহেতুক কথা বলে মাথা খারাপ করিও না!

জারিফা : ও ইয়াহ! অহেতুক কথা!

– [ নাকফুলিয়ে ] থেংক ইউ! [ বলেই হনহন করে ভেতরে ঢুকে পড়লো, রাগে ঘামছে রিদোয়ান,মুখটাও লালছে হয়ে গেছে, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে পার্কিং এর গাড়ির দিক চলে গেলো সে ও ]

এইদিকে,

রাহুল : [ স্নেহার কানে ] স্নেহা! তোমার গরম লাগছে?

স্নেহা : না তো!

রাহুল : বাট আই ফিল বেরী হট! [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালেই দেখে রাহুল তার দুষ্টুমির ভংগিতে তাকিয়ে আছে তারদিক, স্নেহা চোখ সরিয়ে নিলো তাড়াতাড়ি ]

রাহুল : এক্সুলি এইদিকে মানুষ বেশি তা..তাই হয়তো, চলো না আমরা ঐ দিকটা কোথাও ঘুরে আসি! [ স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুলের মাথায় কি ঘুরঘুর করছে,তাই শুনেও না শুনার ভান করে রইলো ]

রাহুল : [ স্নেহার কানের দিক ফিসফিসিয়ে ] স্নেহাআআআ!

স্নেহা : [ চমকে উঠে তাকিয়ে ] আ..আপনার মাথা ঠিকাছে? আমরা এদিকওদিক ঘুরাঘুরি করলে মানুষ কি বলবে বলেন তো?

রাহুল : উফফ! অলোয়েজ মানুষের চিন্তা করো কেনো বলো তো?

স্নেহা : আপনি না আমার সাথে কথাই বলবেন না! [ মুখ গোমড়া করে ] এমনিতেই পুরো রাতভর টেনশনে রেখে গিয়েছিলেন! তারউপর এখন উল্টো-পাল্টা কথা বলে আমার মাথা আরো খারাপ করে দিচ্ছেন!

রাহুল : হুমমম! তোমার মাথা কোনদিন ঠিক ছিলো বলো তো? ম্যাথমেটিকস পড়তে পড়তে তো পুরো মাথার ঘিলু সহ নড়িয়ে ফেলেছো, আবার আসছে বলতে মাথা নাকি আমি খারাপ করে দিচ্ছি!

স্নেহা : আমার সাব্জেক্ট নিয়ে উল্টো-পাল্টা কথা বলা ছাড়া আপনার আর কোনো কাজ নেই?

– আপনি একদম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কি করে তড়িয়ে ফেলেছেন? ঘোড়ার ডিম?

রাহুল : [ হেসে ] ভাবছি তোমার একটা নিউটনের মতো হাজবেন্ড হলে কেমন হতো?

– হিহি দুজনে মিলেই সারাদিন সূত্র বের করতে থাকতে, আর রোমান্সের কথা তো তুমি ভুলেই যাও!

স্নেহা : [ রাহুলের হাতে জোড়ে একটি চিমটি দিয়ে ] আই থিংক সেটাই বেটার হতো!

রাহুল : অহ রিয়েলি?

স্নেহা : জ্বি!

রাহুল : অনেক বড় কথা বলে ফেলেছো তুমি স্নেহা! [ বুকে হাত রেখে ] এইদিকে ভীষণ ব্যথা পাচ্ছি কথাটা শুনে! [ স্নেহা মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

রাহুল : ঐ! কি হয়েগেছে তোমার বলো তো? কাল রাত থেকেই দেখছি মুখ ভেংগাতে আছো!

স্নেহা : সো্!

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] ওয়েএএএট স্নেহা!

– বের করছি তোমার মুখ ভেংগানো! [ বলেই রাহুল স্নেহার হাত ধরে চেয়ার থেকে টেনে তুলে তার মায়ের দিক এগিয়ে যায়, স্নেহা কিছু বলবে তার সময় ও পেলো না আর, তখনিই রাহুলের মা তাকিয়ে ফেললো তাদের দিক ]

রাহুল : মা! আমরা একটু আসছি!

রাহুলের মা : কিন্তু কোথায় যাচ্ছিস রাহুল?

রাহুল : এ..এক্সুলি স্নেহার! ড্রেসে একটু প্রবলেম হয়েছে সেটা ঠিক করতে, [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো রাহুলেরদিক, মুহুর্তেই কতোবড় মিথ্যে বানিয়ে বলে দিলো মা কে ]

রাহুলের মা : ও! যা তাহলে! ঠিক করে আয়! আর হ্যা, তাড়াতাড়ি আসিস ওকে? কজ গেষ্টরা তোদের না দেখলে আবার কি ভাববে তাই না?

রাহুল : ওহো মা! ডোন্ট ওয়ারি! এই যাবো আর আসবো জাষ্ট! [ মাথা নাড়ালো রাহুলের মা, রাহুল চোখ টিপ মেরে স্নেহার হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, পথে পথে আবার আটকাও পড়ছে বিভিন্ন রিলেটিভসরা সামনে পড়ায়, হ্যান্ডশেক ও করতে হচ্ছে সবার সাথে,

উপরে উঠবে ভাবলো, কিন্তু শিরি দিয়ে আরো একটা টাল রিলেটিভস, সবাইকে আবার জবাব দাও কোথায় যাচ্ছে, এই ভেবেই রাহুল আর উপরে উঠলো না স্নেহাকে নিয়ে,

দূর থেকে গীতালিকে দেখে ইশারা করলো কাছে আসতে, গীতালি কাছে আসতেই রাহুল স্টোর রুমের চাবিটা খুজে নিলো গীতালি থেকে, এর মধ্যেই আরেক মসিবত গীতালি একটা না দুটো না পাচ-দশটা চাবি ওয়ালা একটা গুচ্ছা ধরিয়ে দিলো! কি আর করার ওটা নিয়েই হাটা ধরলো রাহুল, পর্দা সরিয়ে ভেতরের দিক ঢুকে কর্নারের স্টোর রুমের দিক এগিয়ে গেলো,

স্নেহা : করছেনটা কি আপনি?

রাহুল : দেখে থাকো কি করছি!

স্নেহা : মোটেও ভালো হচ্ছে না রাহুল এসব! আমাদের জন্যই এতোবড় আয়োজন করা হলো, আর আমরাই কিনা ওসব ছেড়ে,

রাহুল : শাট-আপ স্নেহা!

স্নেহা : গতরাত দেখেছেনই তো ফুফিও রেগে আছে আমাদের উপর! আর এইসময় ও যদি আমাদের ঐদিক না দেখে হয়তো আরোই রেগে যাবে!

রাহুল : আই ডোন্ট কেয়ার! ওনি রাগ করুক আর নাই করুক!

স্নেহা : [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ] আমি যাচ্ছি রাহুল! [ বলেই পাশ মুড়তে যাবে তখনি ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে আটকে ] এক সেকেন্ড! এইদিকে দাঁড়াও [ বলেই রাহুল পর্দা সরিয়ে বেড়িয়ে, সাজানো চেয়ার থেকে দুটো ফিতা খুলে নিয়ে আবারো ভেতরে এগিয়ে আসে, স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো রাহুলের হাতের ফিতাগুলোর দিক, রাহুল কিছু বললো না ডিরেক্ট স্নেহার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে স্নেহার হাত দুটোও জোড়া করে পেছনে টেনে নিয়ে একটি ফিতা দিয়ে বেধে দেই ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরেহহ! কি করছেন আপনি?

রাহুল : তোমাকে আটকানোর এটাই একটা রাস্তা খুজে পেয়েছি স্নেহা!

স্নেহা : [ রাহুলের দিক ফিরে ] কিন্তু রাহুল!

রাহুল : শিসসস! ডোন্ট শাউট! [ বলেই বাকি ফিতাটা দিয়ে স্নেহার চোখের উপর বেধে দিলো ]

স্নেহা : আরেহ রাহুল! চোখ বাধার কি প্রয়োজন?

রাহুল : [ দরজায় চাবি ট্রায়াল দিতে দিতে ] চোখ না বাধলে তো চোখে রাস্তা দেখে চলে যাবা!

স্নেহা : আ..আর হাত?

রাহুল : হাত না বাধলে, হাত দিয়ে চোখেরটা খুলে ফেলবা তাই!

স্নেহা : [ নাক ফুলিয়ে ] তাহলে পা,টাও বাকি রাখলেন কেনো ওটাও বেধে দিন? [ হাসলো রাহুল স্নেহার কথা শুনে, আর দু-একবার ট্রাই করতেই দরজা খুলে যায়, স্নেহার বাহুতে ধরে ধীরেধীরে এগিয়ে নিয়ে ভেতরে ঢুকালো রাহুল, ভেতর থেকে দরজাটাও লাগিয়ে দিলো, স্নেহা কিছুই দেখতে পারছে না নিস্থব্দ হয়ে আছে, না কোনো রাহুলের স্পর্শ আছে শরীরে, না কোনো সারাশব্দ আছে তার ]

স্নেহা : [ ঢোগ গিলে ] রাহুল! [ বলতেই পেছন থেকে দুহাত দিয়ে আগলে জড়িয়ে ধরে নিলো রাহুল, শান্তিতে শ্বাস নিলো এবার স্নেহা ]

রাহুল : বলো?

স্নেহা : খু..খুলুন এইবার?

রাহুল : আই থিংক! আমার যেটা চাই স্নেহা! সেটা তোমাকে এভাবে বন্ধিতে রাখলে আরো সুবিধা হবে মনে হচ্ছে!

স্নেহা : [ চেচিয়ে ] আপনি!

রাহুল : [ হেসে ] রিলেএএক্স

[ বলেই হেসে স্নেহাকে তারদিক ফিরিয়ে, পেছনে ঠেলে একটি টেবিলের সাথে হেলান দিয়ে দাড় করায় ]

স্নেহা : লেইট হচ্ছে রাহুল! সবাই আমাদের খুজছে হয়তো!

রাহুল : অনেক সেক্সি লাগছো আজ বুঝেছো?

স্নেহা : আ..আপনি কোথায় তাকাচ্ছেন বলেন তো?

রাহুল : শাট-আপ! নাও আম ইয়র হাজবেন্ড! তাকাতেই পারি যেকোনো দিকে! [ স্নেহা কিছু বললো না আর ধীরেধীরে পাশমুড়ে যাচ্ছিলো, তখনিই রাহুল মুচকি হেসে স্নেহার কোমোড়ে ধরে আলগে পেছনের টেবিলটিতে বসিয়ে দিলো ]

স্নেহা : রাহুল! এবার তো অন্তত খুলুন! [ বলতেই রাহুল চোখের ফিতাটা আলতো করে টান দিয়ে খুলে নিলো, স্নেহা তাকাতেই দেখে হাসছে রাহুল ]

স্নেহা : রা..রাহুল! মা হয়তো অপেক্ষা করছে..

রাহুল : [ স্নেহার কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে ] শিসসসস! স্নেহা! যেটা করতে এসেছি সেটা করেই তারপর যাবো!

বলেই নেশাগ্রস্থ চোখে তাকিয়ে থাকে স্নেহার দিক, স্নেহার চোখেও যেনো ছড়িয়ে দিচ্ছে এই নেশাগুলো! দুজনের নিশ্বাস ছুড়ে পড়ছে দুজনের মুখের উপর! পলক ঝুকিয়ে তাকিয়ে আছে রাহুল স্নেহার গোলাপী ঠোটগুলোর দিক, মুহূর্তেই কেপে উঠা স্নেহার ঠোটজোড়া গুলো মারাত্মক নেশা ছড়াচ্ছে রাহুলের মাথায়, আংগুল দিয়ে আলতো করে ছুয়ে দিলো রাহুল স্নেহার ঠোটগুলোর উপর! চোখ বন্ধ করে কেপে উঠলো স্নেহাও, নাকের সাথে নাক চেপে লাগিয়ে রেখেছে দুজনই, রাহুল তার দুহাত স্নেহার পেছনে দিয়ে, স্নেহার হাতের বাধনটি খুলে দিলো, ছুটিয়ে দেওয়া হাতগুলো ধীরেধীরে রাহুলের কাধের উপরই এনে রাখলো স্নেহা!

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : হু!

রাহুল : পেইন আছে ঠোটে এখনো?

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] ইয়েসস্ [ বলতেই রাহুল সরে যাচ্ছিলো তখনি স্নেহা রাহুলের কাধে জড়িয়ে রাখা হাত গুলো দিয়ে আটকে ফেললো, অবাক হয়ে তাকালো রাহুল ও]

স্নেহা : কিছু বলেছিলাম আপনাকে? [ বলতেই হঠাৎ রাহুলের মনে পড়লো ঐদিন স্নেহা বলে ছিলো,

– হোয়েন ইউ ডোন্ট হেভ পেইন ইন ইয়র লাভ, হোয়েন ইউ ডোন্ট হেভ স্মাইল ইন ইয়র পেইন! সো্ ইটস্ হার্ড টু লিভ ইন লাভ!

মুচকি হাসলো রাহুল, স্নেহাও ব্লাশিং হয়ে হেসে রাহুলের কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে রাখলো ]

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : হু!

রাহুল : ঐদিনের কামড়ের রিভেঞ্জ নিবে নাতো কোনো!

স্নেহা : অফকোর্স! [ বলতেই হঠাৎ রাহুলও হেসে তার ঠোট দিয়ে স্নেহার ঠোট জোড়া দখল করে নিলো,রাহুলের পেছনের চুল গুলো মুছড়ে ধরে রাখলো স্নেহা, সুখের অনুভুতিতে ডুব দিচ্ছিলো দুজনই ]

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে