Love At 1st Sight Season 3 Part – 66

0
6318

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 66

writer-Jubaida Sobti

স্নেহা : অফকোর্স! [ বলতেই হঠাৎ রাহুলও হেসে তার ঠোট দিয়ে স্নেহার ঠোট জোড়া দখল করে নিলো,রাহুলের পেছনের চুল গুলো মুছড়ে ধরে রাখলো স্নেহা, সুখের অনুভুতিতে ডুব দিচ্ছিলো দুজনই ]

খানিক্ষণ পড়ই স্নেহা রাহুলের ঠোটের থেকে নিজের ঠোট জোড়া ছাড়িয়ে নিলো, কিন্তু রাহুল তার মাথায় ভরকরা নেশায় ডুবে রয়েছে, আবারো চুমু দিতে চাইলো স্নেহার ঠোটে তখনিই,

স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] রাহুল! সবাই আমাদের অপেক্ষা করছে হয়তো!

রাহুল : কামঅন স্নেহা! আই ডোন্ট কেয়ার! [ বলেই স্নেহার ঠোটে আলতো চুমু দিতেই, স্নেহা পিছিয়ে যায়, রাহুল অবাক চোখে তাকালো স্নেহার দিক ]

স্নেহা : প্লিজ রাহুল! [ বলেই রাহুলের কাধে ভর করে হাত দিয়ে, টেবিল থেকে পিছলিয়ে নেমে পড়ে ]

রাহুল : দেখো স্নেহা! এতোটাও লেইট হয়নি! আমরা আরো কিছুক্ষণ স্টে করতে পারি!

স্নেহা : হুমম! শুধুই নিজের ফাইদা!

রাহুল : কি বললে? [ হাসি পাচ্ছিলো স্নেহার রাহুলের চেহেরা দেখে ]

রাহুল : ওও! তোমার কোনো ফাইদা হয়না বুঝি? হুমম? [ With tedi smile ]

লজ্জা লেগে উঠলো স্নেহার,তাড়াতাড়ি পলক ঝুকিয়ে নিলো, আর ভাবতে লাগলো,এই মিষ্টার তেডি স্মাইল এর লজ্জার তো লাগাম নেই নেই, সাথে মুখের ও কোনো লাগাম নেই, ধীরেধীরে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে, এখনো সেই নটি ইন্টেনশন নিয়ে চেয়ে আছে, চোখাচোখি হতেই ভ্রু দুটো নাচিয়ে উঠলো,

স্নেহা : আ..আমার মনে হয়, এখন আমাদের যাওয়া উচিৎ! চ..চলুন! [ বলেই সামনের চুলগুলো কানে গুজে নিয়ে, পাশফিরে, হাটা ধরলো, দু-তিন কদম এগিয়ে যেতে না যেতেই, হুট করে পেছন থেকে রাহুল হাত ধরে টেনে নিয়ে ঠেলে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দাড় করায়, বুক কাপতে লাগলো স্নেহার, এভাবে কেউ টেনে আনে নাকি? অদ্ভুত এক মানুষ,কখন যে মনে কি চাই ঠেরই পাইনা সে, রাহুল স্নেহার গালে স্লাইড করে আলতো ছুয়ে দিচ্ছে, স্নেহা বুঝতে পারছে রাহুলের ইন্টেনশন কতটা দূর চলে যাচ্ছে, তাই তার সাথে এখন নরম ভাব দেখালে চলবে না,একটু বিরক্তিকরই দেখাতে হবে, রাহুল তার মুখটা স্নেহার একদম কাছাকাছিই আনছিলো তখনিই ]

স্নেহা : রা..রাহুল!

রাহুল : মুডটা ভালো স্নেহা! অযথা খারাপ করিওনা!

স্নেহা : ট্রাই টু আন্ডার্স্ট্যান্ড রাহুল! সব সময় এমন করেন কেনো বুঝিনা?

রাহুল : বিকজ আই লাভ ইউ!

স্নেহা : [ হেসে দিয়ে ] আই নোও ইউ লাভ মি! বাট.. [ বলেই থমকে গেলো, চোখ কুচকে বন্ধ করে ফেলেছে স্নেহা, রাহুল যে তার ঠোট দুটো মুহুর্তেই দখল করে নিয়েছে আবারো, বিকল্প নেই আর এই ভালোবাসার অনভূতি বুঝানোর, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে স্নেহা ও,করেনি আর ছোড়াছোড়ি, হার মানিয়ে দিচ্ছে সব রাহুলের ঠোটের এই স্পর্শানুভূতি, পাগলাটে ভাবে ভালোবেসে যাচ্ছে রাহুল ও,

তবে কথায় আছে না ভুল সময়ে ভালোবাসলে বাধা তো আসবেই, তেমনি কিছুক্ষণ পর ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো, মেজাজটা ছটকে গেছে রাহুলের,দীর্ঘশ্বাস নিয়ে স্নেহার চোখের দিক তাকালো, স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছিলো স্নেহার চেহেরা দেখে, মারাত্মক হাসি চেপে রেখেছে স্নেহা!

রাহুল : [ কনফিউজড হয়ে ] আমার ফোন তো আমি আনিনি,তাহলে ফোন বাজছে কার? [ বলেই পকেটে হাত দিতেই দেখে তার পকেটেই ফোনটা বাজছে ]

স্নেহা : আ..আমার ফোনটা আপনার কাছে রাখতে দেওয়া হয়েছিলো!

রাহুল : [ ফোন হাতে নিয়ে ] হুমম! মা ফোন দিয়েছে!

– মানে আর কয়েকটা মুহুর্ত কি অপেক্ষা করা যেতো না? [ বলেই রিসিভ করতে যাবে, তখনিই স্নেহা রাহুলের কাছ থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে নিজেই রিসিভ করে কানে দিলো ]

স্নেহা : হ্যালো!

রাহুলের মা : স্নেহা! তোমার কি, হয়েছে?

স্নেহা : জ্বি হ্যা হয়েছে!

রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] শুধু কিসটাই তো হয়েছে! [ আড়চোখে তাকালো স্নেহা রাহুলের দিক, সাথেসাথেই চোখ টিপ মারলো রাহুল! ]

রাহুলের মা : গেষ্টরা তোমাদের খুজছে! একটু তাড়াতাড়ি আসো!

স্নেহা : জ্বি আ..আমি এক্ষুনি আসছি!

রাহুল : বলো গেষ্টদের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেকে দাদী হবার সুযোগটাও তো দিন! [ হাত দিয়ে রাহুলের মুখটা চেপে ধরে রাখলো স্নেহা ]

রাহুলের মা : ও হ্যা! রাহুলকে ও বলো ওর আরো ফ্রেন্ডসরা এসেছে ওকে খুজছে!

স্নেহা : রা..রাহুল! ও তো এইখানে নেই অ..অনেক আগেই বেড়িয়ে গেছে! [ অবাক চোখে তাকালো রাহুল স্নেহার দিক ]

রাহুলের মা : তাই? কিন্তু ওকে যে দেখছিনা?

স্নেহা : হ..হবে কোথাও! ড্রিংক্স সাইড দেখুন ওদিকেই কোথাও পড়ে আছে হবে!

রাহুল : [ মুখ থেকে স্নেহার হাত সরিয়ে ] এক্সকিউজ মি? [ স্নেহা তাড়াতাড়ি ফোনে হাত দিয়ে চেপে রাখলো যাতে রাহুলের সাউন্ড শুনতে না পাই ]

রাহুলের মা : [ হেসে ] আচ্ছা আমি দেখছি! তুমি আসো! [ স্নেহা তাড়াতাড়ি ফোন কাটলো ]

রাহুল : আমি ড্রিংক্স সাইড পড়ে আছি তাই না?

স্নেহা : মনটা তো ওখানেই পড়ে আছে নিশ্চয়ই! অনেক কষ্টে সামলিয়ে রেখেছেন নিজেকে!

রাহুল : অহ রিয়েলি?

স্নেহা : আ..আপনি ডিস্টার্ব করছিলেন কেনো যখন ফোনে কথা বলছিলাম?

রাহুল : আর তুমি আমায় রিসিভ করতে দাওনি কেনো? আরো কিছুক্ষণ সময় নিয়ে নিতে পারতাম ইডিয়ট!

স্নেহা : হুমম! এইকারণে,

– এইকারণেই আপনাকে রিসিভ করতে দেইনি!

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] মিথ্যে বললে কেনো আমি তোমার পাশে নেই?

স্নেহা : পা..পাশে আছেন বললে কি না কি ভাববে! আ..আমার লজ্জা লাগেনা?

রাহুল : এতো লজ্জা রাখো কই?

স্নেহা : নাও উই শুড বি গো রাহুল!

রাহুল : সব লজ্জা ভাংগবো কিন্তু আজ স্নেহা!

– কি যেনো বলেছিলো জারিফা? ও ইয়াহ! হিংস্র পশু! [ ঢোগ গিললো স্নেহা ]

রাহুল : মিসেস রাহুল! আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?

স্নেহা : স..সরেন লেইট হচ্ছে! [ বলেই রাহুলকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো,হঠাৎ দরজার কাছাকাছি আসতেই থেমে গিয়ে আবার পেছন ফিরে তাকালো রাহুলের দিক, রাহুল তাকিয়ে আছে তেডি স্মাইল দিয়ে, স্নেহা দু-দিকের কাপড় হাতে তুলে ধরে তাড়াহুড়ো করে আবারো রাহুলের দিক এগিয়ে এসে দাড়ালো ]

রাহুল : [ চোখ টিপ মেরে ] হবে নাকি আবারো?

স্নেহা : আপনার কাছে টিস্যু আছে?

রাহুল : ইয়েস্! [ বলেই পকেট থেকে এগিয়ে দিলো টিস্যু, স্নেহা টিস্যটাু এগিয়ে নিয়ে রাহুলের মুখটা ধরে ঘষে মুছে দিলো ]

রাহুল : হোয়াট আর ডুয়িং স্নেহা?

স্নেহা : [ টিস্যুটা রাহুলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ] এবার আসতে পারেন! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো, তখনি রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে নিলো নিজের কাছে ]

স্নেহা : আজিব! লেইট হচ্ছে তো রাহুল!

রাহুল : শুধু আমার খেয়াল করলে হবে? কখনো কখনো নিজেরটাও তো খেয়াল করতে শিখো! [ অবাক হলো স্নেহা, রাহুল তার হাতের টিস্যুটা দিয়ে স্নেহার ঠোটের আশেপাশে ছড়িয়ে যাওয়া লিপস্টিক গুলো ও ধীরেধীরে মুছে দিলো, হাত থেকে টিস্যুটা কবে যে মাটিতে পড়ে গেছে সেই খবর ও নেই রাহুলের, আংগুল দিয়ে স্নেহার ঠোটে স্লাইড করতে লাগলো, হঠাৎ স্নেহার হাতের ধাক্ষা খেয়ে পিছিয়ে গেলো, আর স্নেহা দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো স্টোর রুম থেকে, কি আর করার রাহুলের ও, এক হাত পকেটে রেখে ব্লাশিং হয়ে হাসছে, আরেক হাতে ঘাড় চুলকাচ্ছে ]

____এইদিকে ছাদে,রিলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে মার্জান,

আসিফ : [ পাশে এসে দাঁড়িয়ে ] কি হলো? কখন থেকেই মুখটা এভাবে বানিয়ে রেখেছো বলো তো? না তুমি কিছু বলছো! না আমায় কিছু বলতে দিচ্ছো?

মার্জান : আপনি একদম বেশী কথা বলবেন না,

– [ কাদো কন্ঠে ] আমার সব শেষ করে দিয়েছেন! আমি এই মুখ দেখাবো কি করে মানুষকে?

আসিফ : হোয়াট? নরমাল একটা জিনিষ নিয়ে তুমি এতো আপসে্ট হচ্ছো কেনো?

মার্জান : [ আসিফের দিক তাকিয়ে ] নরমাল মানে?

– কি বললেন?

-নরমাল তাই না? আসলে আপনারা ছেলেরা না এমনই! এসব জিনিষ আপনাদের জন্য নরমালই মনে হয়, একবারও ভেবে দেখেছেন? এসব জিনিষের কারণে একটা মেয়ের মন কতটা হার্ট হয়ে থাকে?

আসিফ : লিসেন্ট!

মার্জান : আর কি বাকি রেখেছেন শোনানোর মতো!

আসিফ : তুমি যতোটা সিরিয়াসলি নিচ্ছো..

মার্জান : আমি সিরিয়াসলি নিবো না? আরে ব্যপারটাই তো কতো সিরিয়াস! সবাই জানলে..

আসিফ : [ চেচিয়ে ] স্টপ ইট! [ চমকে উঠলো মার্জান, ঢোগ গিলছে, রসগোল্লার মতো চোখ দুটো বড় করে গডগড চোখে তাকিয়ে আছে ]

আসিফ : সবাই জানলে মানে কি? হ্যা? আমি কি তোমার সাথে রেপ করেছি? নাকি তোমাকে এইভাবে দেখে ভিডিও করেছি? হুমম?

– বলো? করেছি? [ মাথা নাড়ালো মার্জান ]

– লিসেন্ট! তোমাকে ঐ অবস্থায় দেখার ও কোনো ইন্টেনশন আমার মাথায় ছিলো না,যদিও বা আমি আগে থেকে জানতাম তুমি ঐ রুমে কাপড় চেঞ্জ করছিলে তাহলে আমি কখনোই নিজ ইচ্ছায় ওয়াসরুম থেকে বেরুতাম না,

– বাই এনি চান্স! আমি তোমায় দেখে ফেলেছিলাম কিন্তু তাও আমি কি তোমার সাথে কিছু করেছি? বলো? [ মাথা নাড়ালো মার্জান ]

– আরে আমি তোমায় না জানালে তো তুমি এসব কিছু জানতেও না! বাট আমার তোমাকে জানানোর একটাই ইন্টেনশন ছিলো এটাই যে তোমাকে সাবধান করা, গেট ইট! [ আবারো মাথা নাড়ালো মার্জান ]

আসিফ : মাথা নাড়াচ্ছো কেনো শুধু বারবার? বোবা নাকি? মুখে বলো!

মার্জান : হুমম! [ মৃদু হাসলো আসিফ, মার্জানের হাত ধরে টেনে তার বরাবরই রিলিং এর সাথে হেলান দিয়ে দাড় করালো, অবাক হয়ে তাকালো মার্জান ও, আসিফ হালকা একটু ঝুকে তার দু-হাত রিলিং এ ভর করে রাখলো ]

মার্জান : আ..আপনি..

আসিফ : [ মৃদু হেসে ] এংড়ি থেকে যখন তোমার লুকটা ইন্নোসেন্ট হয় না, তখন তোমায় কতোটা মায়াবী লাগে জানো? [ চুপ করে রইলো মার্জান কিছু বললো না ]

আসিফ : ভয়াবহ জীবন কাটাচ্ছি, চোখটা ধাধা হয়ে যাচ্ছে, অশান্তিটাও চরমে উঠে যাচ্ছে,

– উমম! ভাবছি তুমি যদি রেগে থালা-বাসন ছুড়ে মারো, তাহলে আমি কাচের বাসনটাই ভাংগবো,

– তারপর ভালোবাসা দিয়ে সাজাবো আবার,কতোটা চাই এটাও বলবো,

– [ মুচকি হেসে ] বাই দ্যা ওয়ে, তুমি মানো আর নাই মানো, আমি কিন্তু নিজের করেই ছাড়বো,

– আমি দেখা করার বাহানা বানাবো, তুমি হাসবে আর কারণ আমি হবো,

মার্জান : আ..আপনি হঠাৎ এসব আজিব আজিব কথা কেনো বলছেন?

আসিফ : বিকজ আই লাভ ইউ! [ ধুপ করে ধরে উঠলো মার্জানের বুকটা ]

আসিফ : আই ফাওন্ড দ্যা রিজন অফ মাই স্মাইল! দ্যা ডে আই ফাওন্ড ইউ!

– উইল ইউ লেট মি বি রিজন ফর ইয়র স্মাইল? [ অদ্ভুত মুহুর্ত লাগছিলো মার্জানের,অগোচালো হয়ে যাচ্ছে চারদিক, মাথায় আসছে না কিছুই, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে পাশফিরে রিলিং থেকে আসিফের হাতটা সরিয়ে চলে যাচ্ছিলো তখনিই পেছন থেকে বলে উঠলো ]

আসিফ : কিছু না বলেই চলে যাচ্ছো, [ দাঁড়িয়ে পড়লো মার্জান ]

– তারমানে বুঝে নিবো, হ্যাঁ?

মার্জান : হ্যাঁ তো আমি বলিনি?

আসিফ : [ মুচকি হেসে ] না ওতো বলোনি! মিস্ এংড়ি বার্ড! [ কিছু বললো না আর মার্জান, এর সাথে আর কথায় পারা যাবে না ভেবে হাটাধরলো আবারও ]

আসিফ : আরে ওয়েট! কিছু রয়েগেছে তোমার!

মার্জান অবাক হয়ে পেছন ফিরে তাকালো, আসিফ তার কাছাকাছিই এগিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে, কোমোল বাতাস গা ছুয়ে যাচ্ছে দু-জনের, মুহূর্তেই মার্জানের ঠোট জোড়া ক্ষুধার্থ ব্যাক্তির মতো দখল করে নিলো আসিফ, বুকের ভেতর ঘূর্ণিঝড় বইছে এমনই বোধ হচ্ছিলো মার্জানের, বরফ হয়েগেছে সে সেই ঘুর্নিঝড়ের স্রোতে, খানিক্ষণ পর নিজের ঠোটজোড়া ছাড়িয়ে নিয়ে মার্জানের নাকের সাথে নাক চেপে রেখে দীর্ঘশ্বাস নিচ্ছে আসিফ, চোখ বটে রাখলো মার্জান ও,

আসিফ : ইয় আর লাভ! ইয়র ফার্ষ্ট কিস ওয়াজ সুইটস্! এন্ড ইয়র সেকেন্ড কিস্ ইজ লাইক ম্যাজিক!

পিছিয়ে গেলো মার্জান,জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে সে ও, কি হচ্ছে? কি হতে চলছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না, বাধা দিলো না কেনো তাকে? তবে কি প্রেমে পড়ে গেছে সে ও? লজ্জা লেগে উঠলো, তাড়াতাড়ি পাশমুড়ে দৌড়ে চলে যাচ্ছে, আসিফ ও মুচকি হেসে রিলিং এর সাইড গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো, হঠাৎ পাশ থেকে আওয়াজ আসলো,

মার্জান : শুনেন! [ ফিরে তাকালো আসিফ ]

– নিচে যাওয়ার আগে মুখটা মুছে যাবেন! [ বলেই ব্লাশিং হয়ে হেসে চলে গেলো, আসিফ ও কনফিউজড হয়ে হেসে মুখটা ঘষে মুছে, হাতের দিক তাকালে দেখে লিপস্টিক লেগে আছে, হাসলো আবারো, ভালোও লাগছিলো ওর কথা ভেবে হাসতে,পকেট থেকে টিস্যুটা বের করে ভালো করে মুছে নিলো ]

_____এইদিকে,

শায়লা : কোথায় গিয়েছে দুনোটা কে জানে! আসার নামই নেই, [ বলেই দূর থেকে দাঁড়িয়ে, রাহুল স্নেহার আশেপাশে চোখবুলিয়ে খুজতে লাগলো, জারিফা আর মার্জানকে, হঠাৎ পাশ থেকে ]

নেহাল : [ গলা ঝেড়ে ] কাউকে খুজছো?

শায়লা : জ্বি! আপনি দেখেছেন ওদে.. [ বলেই থেমে গেলো ]

– [ নাক ফুলিয়ে ] খোজার হলে নিজেই খুজে নেবো! আপনাকে বলা প্রয়োজন মনে করছিনা, [ বলেই চলে যাচ্ছিলো,তখনিই নেহাল শায়লার হাতটা ধরে ফেলে ]

শায়লা : [ আশেপাশে একবার তাকিয়ে ] দেখেন সবাই দেখছে এইখানে তামাশা করবেন না,

নেহাল : আমি তামাশা করছিনা, নরমাল থাকো তুমিও ছুটাছুটি করোনা,

শায়লা : [ বিরক্তি হয়ে ] আপনি..

নেহাল : কথা আছে তোমার সাথে! চলো! [ বলেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে ]

শায়লা : দেখেন! আমার আপনার কোনো কথা শুনার ইন্ট্রেষ্ট নেই! ছাড়ুন আমার হাত কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? [ নেহাল কোনো রেসপন্স করলো না শায়লার কথায়, ছুড়াছুড়ি করছিলো শায়লা,অনেকেই তাকিয়ে যাচ্ছে,তবে এসব কেয়ার করারও সময় এখন নেই নেহালের কাছে, আজই লাষ্ট চান্স আর অপেক্ষা সইছে না,নয়তো অনেক দেরীই হয়ে যাবে, রাহুল বললো স্টোররুম ওপেন রেখেছে, ওখানে নিয়েই যাতে জানিয়ে দেই, তাই সোজা স্টোর রুমেই ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো নেহাল ]

শায়লা : [ পুরো রুম চোখ বুলিয়ে ] আপনি আমাকে কিডন্যাপ করেছেন?

নেহাল : ভেবে নাও তাই করেছি!

শায়লা : হুমমম! এতোটা কাচা কিডন্যাপারও হয় নাকি? [ মুচকি হেসে ] একটা চিৎকার করতেই একসেকেন্ডে সবার কানে পৌছে যাবে আওয়াজটা!

নেহাল : আমার তোমার সাথে কিছু ইম্পর্টেন্ট কথা ছিলো, [ শায়লা মুচকি হেসে হাতে হাত বটে নিলো ]

নেহাল : প্লিজ! বি সিরিয়াস!

শায়লা : হ্যাঁ আমি তো সিরিয়াসই আছি! বলুন কি ইম্পর্টেন্ট কথা বলবেন? [ নার্ভাস হচ্ছিলো নেহাল, কেমনি বলবে তাকে,আর বলার পর ও কিভাবে নিবে কথা গুলোকে, সবই একত্রে ঘুরঘুর করছে মাথায় ]

শায়লা : নাজেহাল হোওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই মিষ্টার নেহাল! আমি এতোটাও অবুঝ নয়!

– হ্যা! তবে আমিই আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি,কারণ এটা কখনোই সম্ভব না যেটা আপনি ভাবছেন, এক্সুলি ইউ ডোন্ট নোও দ্যাট, আই হেভ অ্যা ব্রোকেন হার্ট! [ অবাক হয়ে তাকালো নেহাল ]

শায়লা : ইয়াহ! কেউ একজন ছিলো, যে আমার হার্ট ব্রোক করেছে, দীর্ঘদিন ডিপ্রেশনে ও ছিলাম আমি,বাট নাও আম অ্যা স্ট্রং গার্ল! সো্ আমি চাই না দুবারে একই ভুল করি!

– দুদিন ধরেই দেখা মেলামেশা, এতে ভালো লাগতেই পারে মিষ্টার নেহাল! এর মানে এই নয় যে এটা ভালোবাসা!

নেহাল : কারো এক যুগের একটা ভালোবাসা যদি দু-সেকেন্ডে ভেংগে যেতে পারে, তাহলে দু-সেকেন্ডে এক যুগের একটা ভালোবাসা ও জন্ম নিতে পারে,

– ভালোবাসা সময় আর দিনক্ষণ দেখে হয় না,

– এটা নয় যে এর আগে অন্য কোনো মেয়েকে ভালো লাগেনি,হ্যা লেগেছিলো, কিন্তু এই প্রথম কারো জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কাউকে বারবার মনে পড়ছে, কারো কথা মনে পড়তেই মুখে হাসি ফুটছে, ভালো লাগে তাকে ভাবতে, আমি চাইনা হারাতে সেই অনুভূতি!

শায়লা : সুন্দর, মডার্ণ, খানদানি মেয়ে পেয়ে যাবেন, এবং তাকে আপনার মায়ের ও খুব পছন্দ হবে, ওনার সাথে অ্যান্ডার্স্ট্যান্ডিংওতা ও ভালো থাকবে,

– আর আমার মতো দু-বেলা শুকনো রুটি দিয়ে পার করিয়ে দেওয়া মেয়েকে নিজের যোগ্য মনে করে আপনার স্ট্যাটাসকে ইন্সাল্ট করবেন না প্লিজ! [ বলেই চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো, তখনিই ]

নেহাল : [ শায়লার হাত ধরে ফেলে ] আমিও এতোটা অবুঝ নয় শায়লা, তুমি হয়তো মায়ের কথা ভেবেই এসব বলছো! আমি জানি ইয়েষ্টারডে মম যা বলেছে সবই রোং ছিলো, ওনার সব রোং সাইডই আমার চোখে পড়ে, কিন্তু কি করবো বলো? মা তো,

– বাট ইউ ট্রাষ্ট মি! তোমার প্রতিটা মোমেন্টেই পাশে থাকবো আমি, [ ঢোগ গিললো শায়লা ]

নেহাল : আজ সন্ধ্যায় ফ্লাট আমার! [ আহ্লাদি চোখে তাকালো শায়লা,কথাটি শুনতেই যেনো কিছু হারিয়ে যাওয়ার অনুভুতি হচ্ছে,কিন্তু না! এভাবে ভেংগে পড়লে হবে না, এসব কখনোই সম্ভব না, এই ভেবেই নেহালের হাত ছুটিয়ে দরজা খুলতে গেলো, তখনিই হঠাৎ নেহাল পেছন থেকে এগিয়ে এসে হাত দিয়ে দরজা চেপে ধরে রাখলো ]

শায়লা : [ দরজা খোলার চেষ্টা করতে করতে ] প্রবলেম কোথায় আপনার? হাত সরান!

নেহাল : মাই প্রবলেম ইজ লাভ! এন্ড সলিউশন ইজ ইউ!

শায়লা : দেখুন এসব মোটেও ভালো হচ্ছে না,

নেহাল : চলে যাচ্ছি আমি আজ!

শায়লা : চ..চলে যাচ্ছেন? তো আমায় কেনো বলছেন?

নেহাল : বিকজ আই লাভ ইউ! [ থমকে গেলো শায়লা, চোখ কুচকে বটে নিলো,কিছু মুহুর্তের জন্য নিস্থব্দ হয়ে রইলো, দুজনই, বুঝতে পারছে না নেহালও কিভাবে বুঝাবে শায়লাকে, তাকে ছেড়ে যেতে যে বড্ড কষ্ট হবে ]

শায়লা : দে..দেখেন, কেউ দেখলে অযথা কথা ছড়াবে,প্লিজ হাত সরান!

নেহাল : আমার জবাবের অপেক্ষায় থাকবো, তোমার কাছে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সময় আছে,[ বলেই দরজা থেকে হাতটা সরিয়ে নিলো, শায়লাও দীর্ঘশ্বাস নিয়ে দরজাটা খুলে বেড়িয়ে গেলো ]

____ ২টা বেজে ১০ মিনিট, রাহুল আর স্নেহাকে মধ্যে রেখে ফ্রেম ফটো তুলার জন্য দাঁড়িয়েছে সবাই একত্রে,

আসিফ : [ মার্জানের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ] এলোভেরা কখনো খাইনি! তবে এলোভেরা ফ্লেভারের লিপস্টিক খেয়ে বুঝতে পারছি এলোভেরাও অনেক টেস্টি হবে! [ মৃদু হাসলো মার্জান, সামনের চুল গুলো কানেগুজে নার্ভাস হতে লাগলো, হঠাৎ ]

রাহুল : হেই! আসিফ!

আসিফ : হ্যা বল?

রাহুল : রিদ কোথায়?

আসিফ : আরে হ্যা! ওকে দেখছিনা যে! [ জারিফার দিক তাকিয়ে ] ঐ জারিফা! রিদ কোথায়?

জারিফা : [ বিরবির করে ] হবে ওর এক্স গার্লফ্রেন্ড এর সাথে,

রাহুল : [ জারিফাকে কাছে টেনে নিয়ে ] কি হলো মন খারাপ?

জারিফা : কক..কই না তো?

রাহুল : রিদ কোথায়?

জারিফা : জা..জানিনা! [ কিছু বললো না আর রাহুল ও, কিন্তু কেনো যেনো জারিফার চেহেরা দেখে সন্দেহ লাগছিলো কিছু একটা হয়েছে এদের মাঝে, স্নেহার হাত থেকে মোবাইলটা এগিয়ে নিয়ে ফোন দিলো রিদোয়ানকে ]

রিদোয়ান : হ্যা বলো স্নেহা?

রাহুল : স্নেহা না তোর বাপ বলছি! ইডিয়ট কোথায় তুই?

রিদোয়ান : আছি পার্কিং এ!

রাহুল : এটা পার্কিং এ থাকার সময়? [ চুপ করে রইলো রিদোয়ান ]

রাহুল : টু-মিনিটস্ টাইম দিচ্ছি, কামঅন হারিয়াপ! [ ফোন কাটলো রিদোয়ান, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে হাত থেকে সিগারেটটা মাটিতে ফেলে পায়ে ঘষে ভেতরে এগিয়ে এলো,জারিফার দিক তাকাতেই চোখ সরিয়ে নিলো সে, দেখে ও যেনো দেখেনি এমনভাব করে আছে, রাহুল হাত নাড়িয়ে কাছে আসতে ইশারা করলো, রিদোয়ান ও কাছে এসে দাড়িয়েছে ]

রাহুল : আরে ওদিক দাড়িয়ে আছিস কেনো? এইদিকে আয়! [ বলেই হাত ধরে টেনে জারিফার পাশাপাশিই দাড় করালো, দীর্ঘ একটি শ্বাস নিয়ে জারিফা গিয়ে নেহালের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লো, মাথাটা আবারো চটকে গেছে রিদোয়ানের, ইচ্ছে করছিলো যেন আশেপাশের সবকিছুই ভেংগে চুরমার করে দিবে, তাও কন্ট্রোল করে নিলো নিজেকে, অবাক হলো রাহুল ও, যেটা সন্দেহ করেছিলো সেটাই সত্যি হলো, তাই কথা আর বাড়ালো না আপাতত ছবিটা তুলে নিলো, ছবি তুলার পর যে যার যার মতোই সরে যাচ্ছে, তখনিই ]

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : হু?

রাহুল : আমি একটু আসছি তুমি এইখানে বসো!

স্নেহা : কিন্তু কোথায় যাচ্ছেন?

রাহুল : এসেই বলি?

স্নেহা : আচ্ছা! কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবেন!

রাহুল : ওকে! [ বলেই এগিয়ে গিয়ে জারিফার হাত ধরে টেনে নিয়ে,রিদোয়ানের দিক এগিয়ে যায় ]

রাহুল : উপরে আয় আমার রুমে, কথা আছে [ চুপ করে তাকিয়ে রইলো রিদোয়ান ]

রাহুল : কিছু বলছি আমি এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো? চল! [ বলেই আবারো জারিফার হাত ধরে টেনে নিয়ে উপরে চলে গেলো, অবাক হয়ে আছে জারিফাও, কিছুই বুঝতে পারছে না শুধু তাকিয়েই যাচ্ছে, রিদোয়ান ও এগিয়ে এলো রুমে ]

রাহুল : [ দরজা লাগিয়ে ] গাইস্ হোয়াটস্ দ্যা প্রবলেম? রাতভর এতোটা মেহনত করেছো প্রোগ্রামটার জন্য, কিন্তু তোমরাই খুশি না, কেনো?

– [ চেচিয়ে ] আরে কি হয়েছে কেউ তো কিছু বলো!

জারিফা : কে বলেছে খুশি না? অনি অনেক খুশি ওনার এক্স গার্লফ্রেন্ডকে পেয়ে! উপস্ সরি নট এক্স, প্রেজেন্ট গার্লফ্রেন্ড প্রেজেন্ট! [ গোমড়া করে রাখে মুখটা ]

রাহুল : হোয়াট? [ কিছু বললো না রিদোয়ান নাক ফুলিয়ে হনহন করে বারান্দায় চলে যায়, রাহুল ও কনফিউজড হয়ে গেলো কি করবে, জারিফার দিক তাকালে দেখে মেয়েটার চোখে পানি ঝলমল করছে ]

রাহুল : হেইই! হোয়াই আর ইউ ক্রায়িং?[ কিছু বললো না জারিফা খাটের দিক এগিয়ে গিয়ে বসে পড়লো, ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদছে, এগিয়ে গেলো রাহুল তাড়াতাড়ি বারান্দায়, রিদোয়ানের দিক ]

রাহুল : কি হয়েছে বলবি নাকি? থাপ্পড় দিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করবো?

রিদোয়ান : আরে ও অযথা সন্দেহ করছে, আমার কথাটাও পুরো শুনতে চাইছে না, কেমনি বুঝাই বল?

– [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ] নিধি এসেছিলো, তুই তো জানিস ওর অবস্থা, স্ট্রেস ফিল হচ্ছিলো ওর, তাই ওকে তোর গেষ্ট হাউজে রেষ্ট করতে বলি,

– তখনি ও আমাকে খুজতে গিয়ে নিধিকে আর আমায় একত্রে দেখে ফেলে,

– ওর কোনো ট্রাষ্টই নেই আমার উপর! কি বলতে চাইছি এটাও শুনতে চাইছে না, অযথা আপনার এক্স-প্রেজেন্ট, আমি আপনার কয় নাম্বার গার্লফ্রেন্ড এসব বলা শুরু করে দিয়েছে!

রাহুল : কাঁদছে!

রিদোয়ান : আই নোও!

রাহুল : কষ্ট হচ্ছে না?

রিদোয়ান : হচ্ছে! কিন্তু কি করবো? ঐও পাচ্ছে কষ্ট, আমায় ও দিচ্ছে কষ্ট?

– ওর কষ্ট দূর করার জন্যই তো কথা ক্লিয়ার করতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু ও কোনোভাবে শুনতেই রাজিনা!

রাহুল : আরে দোস্ত মেয়ে তো! বুঝতে হবে তোর! এসব ছোট-খাটো ব্যাপার নিয়ে রাগ অভিমান ওরা না করে কারা করবে?

– [ মুচকি হেসে ] আর যেখানকার তোর প্রবলেমটাতো তোর এক্সকে নিয়ে,তাহলে সাথে আরো দু পার্সেন্ট বাড়িয়ে দে রাগ অভিমান!

রিদোয়ান : তুই হাসছিস?

রাহুল : দেখ ও তোকে সন্দেহ করছে তারমানে এটা নয় যে ওর ট্রাষ্ট নেই তোর উপর! এটাও তো হতে পারে, ও ওর ভালোবাসার ভাগ আর কেউকেই দিতে চাই না,

– এটা নিয়েই ভয় কাজ করে মেয়েদের, এইকারণেই এরা ছেলেদের মনপ্রাণ দিয়ে ট্রাষ্ট করলেও সন্দেহ জিনিষটা থাকবেই! গেট ইট? [ পকেটে হাত রেখে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মাথা নাড়ালো রিদোয়ান ]

রাহুল : আমি নিচে যাচ্ছি! তুই ঠিক করেনে! [ বলেই রাহুল রুমে এগিয়ে এলো, জারিফা এখনো ঐদিকটা বসে আছে,চোখ দিয়ে ঝড়ে যাচ্ছে অভিমানের অজস্র অশ্রু ]

রাহুল : [ চেচিয়ে ] আরে রিদ তুই কি ভেবেছিস? তুই না থাকলে ওর কেউ নেই?

– [ জারিফাকে চোখটিপ মেরে ] ডোন্ট ওয়ারি জারিফা! আমি আছি! দরকার হলে একটা আধিঘারওয়ালি, আরেকটা পুরোঘারওয়ালি রেখে দিবো, [ বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাসছে রিদোয়ান, রাহুলের কথা শুনে ]

রাহুল : আচ্ছা আমি স্নেহা থেকে পার্মিশন নিয়ে আসি কেমন! [ বলেই হেসে হেসে বেড়িয়ে দরজা লাগিয়ে চলেগেলো, রিদোয়ান ও বারান্দা থেকে রুমে এগিয়ে এসে ধীরেধীরে জারিফার পাশে গিয়ে বসলো, হাত দিয়ে চোখের পানিটা মুছে দিতে চাইলো, কিন্তু জারিফা এক ঝাড়ি দিয়ে সরিয়ে দিলো রিদোয়ানের হাতটা, হেসে উঠলো রিদোয়ান, আবারো হাত এগিয়ে মুছে দিতে চাইলো কিন্তু জারিফা আবারো সরিয়ে দিলো রিদোয়ানের হাতটা ]

রিদোয়ান : কাদছো কেনো?

জারিফা : একশোবার কাদবো তাতে আপনার কি? আপনি যান আপনার এক্সের কাছে!

রিদোয়ান : [ জারিফার হাতটা তার হাতের মুঠোয় নিয়ে ] লিসেন্ট তুমি শুধুশুধু ভুল বুঝছো,

জারিফা : ভুল বুঝলে আপনার শার্টে লিপস্টিক এর মার্ক কেনো?

রিদোয়ান : জারিফা! শি ইজ প্রেগন্যান্ট!

জারিফা : [ শকড হয়ে তাকিয়ে ] হোয়াট? প্রেগন্যান্ট?

রিদোয়ান : না.. নাহ! আ..আমার না! [ দীর্ঘশ্বাস ফেললো জারিফা ]

– এক্সুলি জারিফা, নিধি ইজ প্রেগন্যান্ট! হলের লাইটিং এ, ও স্ট্রেস ফিল করছিলো! তাই আমি ওকে ফ্রেন্ডলিই বললাম গেষ্ট হাউজে গিয়ে কিছুক্ষণ রেষ্ট নিতে, সে বললো গেষ্ট হাউজ কোথায় সে জানেনা,তাই ওকে গেষ্ট হাউজ পৌছে দিলাম, তোমার কথাও জিজ্ঞেস করছিলো সে, তুমি অনেক কিউট, আমার জন্য একদম পার্ফেক্ট, হলুদে আমাদের ডান্সের অনেক তারিফ ও করছিলো সে,

– ওর বেবীর নাম কি ঠিক করেছে ও আর ওর হাজবেন্ড মিলে এসব নিয়েও কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম আমরা,

– চলে আসবো ঠিক ঐটাইমেই হঠাৎ ওর হাতের পার্সটা নিচে পড়ে যায়, ওটা ফ্লোর থেকে তুলার জন্য আমিও ঝুকি সাথে ঐও ঝুকে যায়, এন্ড মিষ্টেকেনলি আমার হাতের সাথে ওর মুখ ঘষা লেগে, শার্টে লিপস্টিকের দাগ লেগে যায়,জাষ্ট এইটুকুই জারিফা, এর পরপরই তুমি আসো গেষ্ট হাউজে,

– এ-টু-জে্ট সবই বললাম তারপরও যদি তোমার আমায় ট্রাষ্ট না হয়, তাহলে…

– বাট আই লাভ ইউ! [ আহ্লাদিতভাবে তাকিয়ে আছে জারিফা, চোখে একরাশ আফসোস ভেসে উঠছে রিদোয়ানকে ভুল বুঝার কারণে, অনেক মায়াবীও লাগছে চেহেরটা, নিজেকে সামলাতে না পেরে রিদোয়ান, আলতো করেই জারিফার ঠোটে চুমু খেলো, গাল বেয়ে পানি পড়লো জারিফার, রিদোয়ান তার ঠোট দিয়েই মুছে নিলো পানিগুলো ]

জারিফা : কিস্ করলেন কেনো আমায়?

রিদোয়ান : বিকজ আই লাভ ইউ!

জারিফা : সব মিথ্যে! [ বলেই ধাক্ষে সরিয়ে দিয়ে ] আপনি আমাকে ভালোবাসলে তখনই এসব আমায় বুঝিয়ে বলেদিতেন,আমাকে এতো কাদাতেন না,

রিদোয়ান : আচ্ছা তুমি শুনতে চাইছিলে আমার কথা?

জারিফা : শুনেন! আমি না কোনো মেয়েকে আপনার সাথে দেখলে এভাবে সন্দেহ করবো কিন্তু আপনাকে,

রিদোয়ান : [ হেসে ] আচ্ছা বাবা! ওকে করিও! [ কেদে দিলো জারিফা ]

রিদোয়ান : [ হেসে জারিফাকে জড়িয়ে নিয়ে ] এখন কিন্তু কামড় দিবো বলেদিলাম!

জারিফা : [ হেসে ] আর আমি দেখে থাকবো তাই না? [ বলতেই রিদোয়ান কামড়ে ধরলো জারিফার গালে, ইইই বলে চেচিয়ে উঠলো জারিফাও, খিলখিল করে হেসে উঠলো দুজনেই,একত্রে ছুড়াছুড়ি করছে ]

____এইদিকে নিচে,

রাহুলের বাবা : লেডিস্ এন্ড জ্যান্টেলমেন! মে আই হেভ ইয়র এটেনশন প্লিজ! আই হেভ অ্যা লিটল সারপ্রাইজ ফর মাই সো্ন এন্ড ডটার-ইন-লো! আই হোপ ইউ বোথ লাইক এন্ড এঞ্জয় ইট!

– প্লিজ উড ইউ হ্যান্ডস্,টুগেদার! এন্ড ওয়েলকাম দ্যা সারপ্রাইজ!

[ তালি দিলো সবাই, মিউজিক বিট বাজছে, হরেকরকমের লাইটিং ফোকা্স আসছে চারদিক থেকে, চোখ যেনো রাহুলের কপালে উঠলো ]

মার্জান : [ চোখ গুলো রসগোল্লার মতো বড় করে ] ইয়া আল্লাহ! গায়ে একটু ও ওড়না দিলো না,

শায়লা : ওড়না ছাড়! এর টপ্সের তো একটা হাতই নেই! ছিড়ে গেছে নাকি?

মার্জান : ডিজাইন হবে শায়লা ডিজাইন!

আসিফ : দোস্ত এই আইটেমটা কে রে?

রাহুল : হাউ সেক্সি শি ইজ!

স্নেহা : কি বললেন? [ রাহুল শকড হয়ে পাশফিরে তাকাতেই দেখে স্নেহা আড়চোখে তাকিয়ে আছে যেনো এক্ষুনি গিলে খেয়ে ফেলবে ]

রাহুল : [ মুচকি হেসে ] আ..আমি? সে..সেক্সি..হোয়াট অ্যা সেক্সি আসিফ এটাই বললাম!

আসিফ : [ চেচিয়ে ] হোয়াট?

রাহুল : ইয়ে..ইয়েস্ [ বলেই আসিফের ঘাড়ে জড়িয়ে ধরে ] কি সেক্সি লাগছিস আজ দোস্ত, আমার তো ইচ্ছে হচ্ছে তোকে…

আসিফ : স্টপ ইট! [ বলেই রাহুলকে ঠেলে সরিয়ে ] দেখ তোর ইন্টেশন আমার মোটেও ঠিক লাগছে না!

রাহুল : [ আসিফকে টেনে ফিসফিসিয়ে ] আরে একটা চুমুই তো দোস্ত এমন করছিস কেনো, [ কাদো কন্ঠে ] নইলে স্নেহার চেহেরা দেখছিস তো কিভাবে তাকিয়ে আছে [ বলেই জোড় করে আসিফের গালে একটি চুমু খেলো, দুজনেই আবার কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো একত্রে, স্নেহা, মার্জান, শায়লা তিনজনই হতভম্বের মতো তাকিয়ে আছে তাদের কান্ড ]

আসিফ : [ হঠাৎ সোজা তাকিয়ে অবাক হয়ে ] আরে দোস্ত ঐদিক দেখ,তোর বাবা তো তোর আইটেমকেই তোকে সারপ্রাইজ দিচ্ছে,

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] ও..ওর আইটেম মানে? [ রাহুল আড়চোখে তাকিয়ে,আসিফের মাথায় দিলো একটা বারি ]

হঠাৎ, পেছন থেকে নেহাল হা করে থেকে রাহুলের পাশে এসে দাঁড়ালো,

আসিফ : [ হেসে ] আরে নেহাল মশা ঢুকবে তো!

নেহাল : রাহুললল!

– ব্রো! তো..তোর তুর্কিস আইটেম, ঈশা!

রাহুল : [ কাদো কন্ঠে ] বাবার ও বুঝি এই আইটেমটা দিয়ে সারপ্রাইজ দেওয়ার দরকার ছিলো,

– ডিজ্গাষ্টিং! [ বলেই স্নেহার দিক তাকাতেই দেখে নাকফুলিয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহা ]

রাহুল : আ..আই মিন…

স্নেহা : হুমম..ইউ মিন?

রাহুল : [ হেসে ] আই মিন হোয়াট অ্যা বিউটিফুল সারপ্রাইজ! স্নেহা! [ শায়লা, আর মার্জানের দিক তাকিয়ে ] হ্যা না?

– [ নেহাল আর আসিফকে চিমটিয়ে ] আরে বল?

নেহাল : ইই..ইয়াহ! হো..হোয়াট অ্যা বিউটিফুল সারপ্রাইজ!

আসিফ : ইয়েস্! হোয়াট অ্যা বিউটিফুল সারপ্রাইজ, [ বলে বলেই হাসতে লাগলো তিনোটা স্নেহার দিক তাকিয়ে ]

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে