♥Love At 1st Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 64
writer-Jubaida Sobti♥
– উফফফফ! স্নেহা! তুই রাহুলকে সন্দেহ করছিস! স্টুপিড! [ বলেই খাট থেকে দাঁড়িয়ে পড়লো, টাইম দেখলো ঘড়িতে ৩টা বেজে ২৫ মিনিট, ধীরেধীরে হেটে জানালার দিক এগিয়ে গেলো,নিস্তব্ধ চারদিক কুয়াশায় ভরা, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে জানালার চৌকাটে হেলান দিয়ে বসলো ]
একা একা ফিল করছে স্নেহা, রাহুলকে ছাড়া কেমন যেনো নিস্বংগ লাগছে নিজেকে, হয়তো রাহুল কিছু মুহুর্ত পর চলেই আসবে কিন্তু যে কয়েক মুহুর্তই তাকে ছাড়া কাটাতে হচ্ছে সেগুলোই তো বড্ড কষ্টকর হয়ে পড়ছে, জল জমে এলো স্নেহার চোখে,অভিমান হচ্ছে রাহুলের উপর, খুব! না খুবই বেশী!
ঠান্ডায় পা টা ও জানালার চৌকাটের উপর কুড়িয়ে নিলো, বারবার ঘড়ির দিক তাকাচ্ছে আর চোখের জল মুছছে, মনে মনে ভেবেও নিয়েছে আসুক আজ রাহুল, এতোটাই না অভিমান করে থাকবে সারাদিন, এরপর আর কখনো তাকে এভাবে একা রেখে যাওয়ার কথা মাথায় আনবে না,
কেটে গেলো রাতটা,ভোরের আলো ফুটলো! চোখে সূর্যের হালকা কিরণ এসে পড়ছে স্নেহার, দরজায় কড়া নেড়ে চলছে এমন আওয়াজই ভেসে যাচ্ছে কানের ধারে,
হুট করে চোখ খুলে চমকে উঠে বসলো, হ্যা সত্যিই দরজায় কড়া নাড়ছে, নিজেকে এখনো সেই জানালার চৌকাটের উপর দেখে অবাক হলো স্নেহা, মাথা ঘুড়িয়ে বাহিরের দিক তাকিয়ে দেখলো, নিচে গার্ডেনের সব জায়গায়, সাদা এবং গোলাপী কম্বিনেশনের ফুল, সাদা কাপড়, হরেকরকমের সাদা জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে, পাশ ফিরে আবার বিছানার দিক তাকালো, রাতে যেমনটাই ছিলো বিছানা এখনও ঠিক তেমনটাই রয়েগেছে,
– তারমানে কি রাহুল এখনো বাসায় আসেনি? কোথায় গিয়েছে সে?
এসব ভাবতেই দরজায় কড়া নাড়ালো আবারো, তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে শাড়ী ঠিক করে এগিয়ে গিয়ে দরজা খুললো,
দাদী : গুড মর্নিং স্নেহা! মাফ করবে তোমার ঘুম ভেংগে দিয়েছি বলে,
স্নেহা : গুড মর্নিং দাদী! ইটস্ ওকে মাফ করার কি আছে, সকাল তো হয়েই গিয়েছে! আ..আসুন ভিতরে,
দাদী : না.. নাহ আমি আসবো না, তোমাদের জাগিয়ে দিতে এসেছি যেহেতু প্রোগ্রাম আজ সকালেই হচ্ছে তাই সবাইকে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে না?
– আর তোমরা দুজন তো ব্রাইড-গ্রুম তোমাদের তৈরী হতে তো আরো বেশীই সময় লাগবে!
স্নেহা : জ্বি!
দাদী : [ হেসে ] আচ্ছা ঐ শয়তানটা কোথায়? ঘুমিয়ে আছে এখনো নিশ্চয়ই, তাই না? ঠান্ডা পানি ঢেলে উঠিয়ে দাও ওকে!
– নাহলে ও তৈরী হতে হতে গেষ্ট সব বিদায় হয়ে যাবে! [ হাসলো স্নেহা দাদীর কথা শুনে ]
দাদী : আচ্ছা আমি যায়,তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি গীতালির দিয়ে তোমাদের দুজনের জন্য উপরেই ব্রেক ফাষ্ট পাঠিয়ে দিচ্ছি, খেয়ে তৈরী হয়ে নিও দুজন! ওকে ?
স্নেহা : জ্বি!
চলে গেলো দাদী, স্নেহা দরজা লাগিয়ে এগিয়ে এলো ভেতরে,সবই যেনো তার মাথার উপর দিয়েই যাচ্ছে, কি হচ্ছে সে কিছুই বুঝতে পারছে না, গেলো কই রাহুল? রাত পেড়িয়ে সকাল হয়ে গেছে আর এখনো রাহুলের কোনো দেখা নেই!
মোবাইলটা এগিয়ে নিয়ে আসিফকে ফোন দিলো কয়েকবার, রিং যাচ্ছে কিন্তু রিসিবই করছে না,রিদোয়ানকে ও ট্রাই করলো কিছুক্ষণ, সে ও রিসিভ করছে না,আশ্চর্যের বিষয় হলো মার্জান, জারিফা, শায়লা তাদের তিনজনের কেউই ও ফোন রিসিভ করছে না,
রেগে মোবাইলটা খাটে ছুড়ে রেখে ওয়াসরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে, ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বেরুলো মনে একটা আশা নিয়ে, রুমে ঢুকতেই যেনো রাহুলকে দেখতে পাই,কিন্তু সেটাও আর হলো না, টেনশন তো হচ্ছেই হচ্ছে সাথে রাগও উঠছে প্রচুর, রাহুলের উপর! কোথায় গেছে অন্তত সেটা বলে যেতে পারতো, এইভাবে না বলে কেউ যায়? ফোনটাও বাসায় রেখে গেছে, কারো কাছ থেকেও ইনফর্ম পাচ্ছে না! মুখ গোমড়া করে খাটে বসে পড়লো স্নেহা! হঠাৎ ঐ সময়,
গীতালি : [ দরজায় নক করে ] ভাবীই আসমু?
স্নেহা : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] হ্যাঁ আসো!
গীতালি হেসে হেসে খাবার নিয়ে ঢুকে টেবিলে সাজিয়ে রাখছে সব, স্নেহা চেয়ে আছে!
গীতালি : [ ফিসফিসিয়ে ] ভাবী, ভাইয়া কই গেলো?
স্নেহা : ও..ওয়া..ওয়াসরুমে!
গীতালি : আইচ্ছা! হুনেন,একদম গরম গরম বানাইছি ভাবী! ভাইয়ারে লইয়া খাইয়া লন, তারফরেই ফাটাফাট রেডী হইয়া যান!
স্নেহা : গীতালি নেহাল কি বাসায় আছে?
গীতালি : হো বাসাই দো আছে কেন? কিছু কোওন লাগবো?
স্নেহা : না নাহ! কিছু বলতে হবে না!
গীতালি : [ মুখে হাত দিয়ে চিন্তা করতে করতে স্নেহার কাছাকাছি এসে ] হো ভাবী! আপনারে টেনশনে মনে অইতাছে! কিছু কি অইছে?
স্নেহা : না! কিক..কিছুই তো হয়নি! [ মুচকি হেসে ] স্লিপিং ফেইস্ হয়তো তাই লাগছে তোমার!
গীতালি : হুমমমম! কেরেক্ট!
স্নেহা : আ..আচ্ছা আমায় একটু নেহালকে ডেকে দিতে পারবে? কথা ছিলো ওর সাথে! এ..এক্সুলি ওর নাম্বার নেই আমার মোবাইলে তাই ফোন করতে পারছিনা!
গীতালি : পারবে মানেডা কি ভাবী? অবশ্যই পারবো, ব্যাস গীতালিরে শুধু অর্ডার করবেন দুই মিনিটে কাজ শেষ! [ হাসলো স্নেহা ]
গীতালি : আইচ্ছা ভাবী আমি যায়,বলতাছি নেহাল ভাইয়ারে [ বলেই বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে ]
স্নেহা হাটাহাটি করছে রুমের এদিকওদিক,ছটফট করছে মনটাও, ব্রেকফাস্টগুলো ঐভাবেই পড়ে আছে একা একা আর খাওয়া হলো না, কিছুক্ষণ পরেই রুমের দরজা বারি দিতেই স্নেহা দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললো,
নেহাল : গুড মর্নিং ভাবী!
স্নেহা : গুড মর্নিং! আ..আসেন!
নেহাল : থেংক ইউউ! [ বলেই ভেতরে ঢুকে উকি দিচ্ছিলো আশেপাশে, স্নেহা বুঝতে পারলো নিশ্চয় রাহুলকেই খুজছে ]
স্নেহা : এক্সুলি আমি রাহুলের ইনফর্ম নেওয়ার জন্য ডেকেছি!
নেহাল : [ অবাক হয়ে ] রাহুলের ইনফর্ম?
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] হ্যা! আসলে ও বা..বাসায় নেই! রাতে হঠাৎ ঘুম ভাংগলে তখন বারান্দা দিয়ে একটু করে ওর গাড়ী বেড়িয়ে যেতে দেখেছিলাম, এরপর..আর…
নেহাল : রিলেক্স রিলেক্স ভাবী! হোয়াই আর ইউ ক্রায়িং?
স্নেহা : এরপর আর বাসায় আসেইনি, আ..আপনি কিছু জানেন, কোথায় গেছে?
নেহাল : আমাকে ও তো কিছু জানায়নি! [ স্নেহা মুখ গোমড়া করে ফেললো ]
নেহাল : ওকে ভাবী ডোন্ট ওয়ারি ওকে? এক মিনিট আমি ফোন দিয়ে দেখছি! [ বলেই পকেট থেকে মোবাইল বের করছে, তখনি ]
স্নেহা : মো..মোবাইল বাসায় রেখে গিয়েছে!
নেহাল : বা..বাসায়?
স্নেহা : হুমম!
নেহাল : আচ্ছা ওয়েট! [ বলেই রিদোয়ান আর আসিফ দুজনকেই কল দিয়ে দেখলো কেউই রিসিভ করছে না ]
নেহাল : আজিব! রিদ আর আসিফ ও ফোন রিসিভ করছে না ঘুমাচ্ছে মে বি! [ স্নেহা মুখ গোমড়া করে আছে কিছু বললো না ]
নেহাল : আরে ভাবী! টেনশন করছো কেনো, হয়তো কোনো জরুরি কাজে গিয়েছে চলেই আসবে,
– না এসে যাবে কই?
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] আমাকে একবার বলে যেতেই তো পারতো!
নেহাল : আচ্ছা রিলেক্স ওকে? আমি যাচ্ছি খুজে দেখছি! [ মাথা নাড়ালো স্নেহা, নেহাল তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে গেলো ]
ঘড়িতে সময় দেখছে স্নেহা! ১০টা বেজে চলছে, তৈরী হতে মন টানছে না,অস্থিরতা কাজ করছে মনে, কিন্তু দাদী আবার এসে যদি দেখে এখনো তৈরী হয়নি তখন ওনি কি ভাববে? এটা চিন্তা করেই আলমীরা খুলে কাপড়টা এগিয়ে নিলো,দরজা বন্ধ করতে যাবে আলমীরার হঠাৎ তখনি খেয়াল করলো রাহুলের কাপড়ের প্যাকেটটা নেই, পুরো আলমীরা তন্ন তন্ন করে খুজে দেখলো স্নেহা কোথাও নেই রাহুলের কাপড়টা,
– রাহুলের সাথে সাথে কাপড়টাও গাইয়েব হয়ে গেলো, এটা কেমনি সম্ভব, হয়তো রাহুল সাথে করে নিয়ে গেছে!
– না নাহ! তা কেনো হবে!
বুঝতে পারছে না স্নেহা কিছুই! মাথায় গুলিয়ে যাচ্ছে সব, আর সজ্য হচ্ছে না মাথার মধ্যে এসব,করবেনা আর রাহুলকে নিয়ে চিন্তা,
– [ কাদো ভাবে ] ও কি করেছে আমার চিন্তা? বলে যেতে পারতো আমাকে! কিন্তু সেটাও তো করেনি,জানে না আমি টেনশন করবো?
– হুহ! যাক গিয়ে যেখানে যাওয়ার! আমার কি! আমাকে বলে যাওয়া যেহেতু ইম্পর্টেন্ট মনে করলো না, তাহলে আমি ও কেনো এতো ইম্পর্টেন্স দিয়ে ভাববো? ভাববো না আর আমিও!
[ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কাপড়টা কুড়িয়ে নিয়ে পড়ে নিলো, চুল গুলো সব কাধের একপাশ এনে রাখলো, কাপড়ের পেছনের চেইনটা লাগাতে পারছে না,তাও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ালো, বুকটা ধরেই উঠলো স্নেহার, রাহুল এসেছে ভেবে তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে গিয়ে দরজা খুললো ]
আলিসা : হ্যালোও ভাবী! [ বলেই অবাক হয়ে, হা করে স্নেহাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাকাতে লাগলো ]
স্নেহা : ভালোই হয়েছে এসেছো! এসো ভেতরে এসো! [ বলেই স্নেহা ভেতরে ঢুকে পিঠের দিক ইশারা করে দেখিয়ে দিলো যাতে চেইনটা লাগিয়ে দেই ]
আলিসা : মাশাল্লাহ! ভাবীইই ইউ লুক লাইক প্রিন্সেস সিন্ড্রেলা!
স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] চেইনটা লাগিয়ে দাও!
আলিসা : আহা! এতোক্ষণ এটা নিয়ে ফাইট করছিলে বুঝি!
স্নেহা : হু!
আলিসা : [ চেইন লাগিয়ে দিতে দিতে ] ভাইয়া কোথায়?ওকে বললেও তো লাগিয়ে দিতো! হুম? [ মুচকি হেসে ] আরে একটু চান্স নিতো আরকি!
স্নেহা : থাকলেই তো বলবো!
আলিসা : মা..মানে? [ স্নেহা মুখ গোমড়া করে খাটে গিয়ে বসে পড়লো ]
আলিসা : [ অবাক হয়ে স্নেহার পাশে গিয়ে বসে ] ভাবী হোয়াট হ্যাপেন!
– টেল মি? [ স্নেহা কেদে কেদে সব খুলে বললো আলিসাকে, টেনশনে পড়ে গেলো এখন আলিসা ও, মাথায় আসছে না কিছু ]
আলিসা : আচ্ছা ভাবী ডোন্ট ওয়ারি এন্ড ডোন্ট ক্রাই ওকে? আমি যাচ্ছি নেহাল ভাইয়ার কাছে, কোনো ইনফর্ম পেয়েছে কিনা জেনে তোমাকে জানাচ্ছি! [ মাথা নাড়ালো স্নেহা, আলিসা বেড়িয়ে গেলো, স্নেহা উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করতে না করতেই হঠাৎ আবার বারি দিলো দরজায়, আজ বোধ হয় দরজা খুলতে খুলতেই মরে যাবে স্নেহা, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে দরজাটা আবার খুলতেই হুট করে দৌড়ে রুমে ঢুকলো রাশু ]
স্নেহা : রাশু তুই?
রাশু : হ্যাঁ আমিই!
স্নেহা : কবে এলি? আর বাকিরা ও এসেছে? মা,বাবা, জারিফা, শায়..
রাশু : মা আর বাবা এসেছে, বাকিরা আসেনি!
স্নেহা : কেনো আসেনি?
রাশু : আরে আমি কি করে বলবো বলো তো? নাটকবাজ ফ্রেন্ড কতোগুলো বানিয়েছো,নাটক করতে করতে শেষ ওরা! রাতে ভালো করে আমায় ঘুমুতেও দেই না,
– কাল রাতে কি করেছি জানো তিনোটাকে নিচে রেখে আমি একাই রাজার মতো খাটে ঘুমিয়েছি!
স্নেহা : কিক..কিভাবে?
রাশু : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] আরে শুশু করে দিয়েছিলাম খাটে! তাই ওরা কেউই খাটে ঘুমুতে চাইনি!
স্নেহা : [ চুল আছড়াতে আছড়াতে ] বড় হচ্ছিস রাশু, তাও এখনো বিছানায় ছিঃ
রাশু : আরে আমার কি দোষ? একটাই ওয়াসরুম মাত্র ,এর মধ্যেই এরা কেউ না কেউ ওটাই ফিট হয়ে থাকে, তাই আমিও কন্ট্রোল করতে পারিনি! এমনিতে ভালোই করেছি, এবার থেকে ওয়াসরুম সবার আগে আমাকেই ফ্রি করে দিবে,
– আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে তো চোখের সামনেও দেখিনি তিনোটাকে, দিনটা ভালো ভালোই যাবে মনে হচ্ছে! [ বলেই খাটে আধবসা হয়ে গা হেলিয়ে শুয়ে পড়ে ]
স্নেহা : [ মনে মনে ] আমার ফোনটাও তো রিসিভ করেনি, কোনো কালকের ব্যাপার গুলো নিয়ে রেগে আছে নাকি আমার উপর?
রাশু : এইইই স্নেহা! ওদের চিন্তা বাদ দাও! রিমোটটা কোথায় লুকিয়ে রেখেছো বলো তো?
স্নেহা : আজিব! রিমোট কেনো লুকিয়ে রাখবো? টেবিলেই আছে!
রাশু : অও সরি! হ্যা হ্যা! [ বলেই রাশু রিমোট এগিয়ে নিয়ে টিভি অন করে দেখতে লাগলো ]
কিছুসময় পেড়িয়ে যাওয়ার পরই! রাহুলের কাজিন রোহানী আর জাফসিন ও তৈরী হয়ে এসে রুমে ঢুকলো, স্নেহা ড্রেসিং এর চেয়ারে বসে আছে আনমনা হয়ে,
রোহানী : গুড মর্নিং ভাবীইইই! [ চমকে উঠলো স্নেহা ]
জাফসিন : ওয়াও ভাবী! ফেরী লাগছে আজ ড্রেসটাই!
রোহানী : উমম! মাশাল্লাহ বল মাশাল্লাহ!
জাফসিন : [ হেসে ] হ্যাঁ হ্যাঁ! মাশাল্লাহ! [ মৃদু হাসলো স্নেহা ]
জাফসিন : [ হঠাৎ রাশুর দিক চোখ পড়াই ] হেইইই বেবী! হাও আর ইয়?
রাশু : গুড! [ বলেই আবার টিভির ধ্যানে চলে গেলো, হেসে উঠলো রোহানী আর জাফসিন রাশুর কান্ড দেখে ]
রোহানী : বাই দ্যা ওয়ে ভাবী! আমাদের কেমন লাগছে বলো তো?
স্নেহা : অনেক সুন্দর!
জাফসিন : সো্ ভাবী তোমার হেল্প করতে চলে এসেছি! আমরা,
স্নেহা : ভালোই করেছো, আমার তো মাথায়ই আসছে না কি সাজবো!
রোহানী : ডোন্ট ওয়ারী ভাবী,আমরা আছিনা, এমন ভাবে সাজাবো, রাহুল ভাইয়ার তো হুশই উড়ে যাবে তোমায় দেখে [ স্নেহা মুখ গোমড়া করে রইলো ]
জাফসিন : কি হয়েছে ভাবী?
স্নেহা : [ মৃদু হেসে ] কিছু না!
জাফসিন : আচ্ছা! [ বলেই সাজাতে শুরু করে দিলো, রোহানী চুল কার্ল করে দিতে লাগলো স্নেহার ]
আধ ঘন্টা হতেই, হঠাৎ ঢোল বাজনার আওয়াজ এলো,
রাশু : আরে ডান্স শুরু হয়ে গেছে! [ বলেই একলাফে খাট থেকে উঠে জানালার দিক এগিয়ে গিয়ে চেচিয়ে উঠলো ]
– ওয়াওও পপকর্ন ও আছে! [ বলেই রিমোট দিয়ে টিভিটা অফ করে দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে, রোহানী আর জাফসিন হাসতে লাগলো রাশুর কান্ড দেখে ]
১১টা ৩০ বাজছে, সাজ শেষ স্নেহার! বসে আছে রুমে,
রোহানী : ভাবী! এখন শুধু রাহুল ভাইয়ারই অপেক্ষা, ও আসলেই দুজন একসাথে ওয়াক দিয়ে নামবে, ওয়াওওও! কি দারুণ লাগবে তোমাদের!
জাফসিন : কিন্তু রাহুল ভাইয়াকে তো দেখলামই না! ও কোথায়?
স্নেহা : জানিনা! [ জাফসিন অবাক হয়ে একবার স্নেহা আরেকবার রোহানীর দিক তাকালো ]
রোহানী : ভাবী! আর ইউ ওকে?
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] নেহাল ও গিয়েছে আলিসা ও গিয়েছে রাহুল কোথায় এটার ইনফর্ম আনতে, কিন্তু কেউই কোনো ইনফর্ম নিয়ে এলো না এখনো, দাদী এসে জিজ্ঞেস করলে আমি কি জবাবটাই দিবো?
জাফসিন : বাট ভাবী! আই কান্ট আন্ডার্ষ্ট্যান্ড এনিথিং! একটু ক্লিয়ার করে বলো! [ স্নেহা কাদো কন্ঠে খুলে বললো সব তাদের ]
রোহানী : ওকে ওকে ভাবী! কেদোনা প্লিজ নয়তো তোমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে!
স্নেহা : যার জন্য সাজলাম সেই তো নেই! তাহলে আর সাজ রেখে কি করবো?
জাফসিন : আরে ভাবী চিন্তা করছো কেনো? চলে আসবে ভাইয়া, হয়তো কোনো কাজে আটকে পড়েছে!
[ স্নেহা ও মন বেধে বুঝ দিচ্ছিলো নিজেকে,এক একটা মুহুর্ত কতো কষ্টের হয়ে কাটছে সে কাউকেই বুঝাতে পারছে না, বুঝবেও না আর কেউ, যার বুঝার সেই ও তো বুঝলো না, আলিসা এলো কিন্তু রাহুলের কোনো ইনফর্ম আনলো না সাথে,কিভাবে আনবে সেও? পেলেই তো আনবে,এরইমধ্যে দাদী তিনবার এলো গেষ্ট সব এসে গেছে বলার জন্যে, রাহুলকে খুজলে রোহানী আর জাফসিন বারবার ওসাশরুমে গিয়েছে রাহুল, এই বলেই ম্যানেজ করে নিলো দাদীকে, কিন্তু আর কতোক্ষণ বানাবে এসব বাহানা? ]
আলিসা : এই নেহাল ভাইয়াটাও না ফোন ধরছে না,এমন করে নাকি কেউ?
রোহানী : সব গেষ্টই চলে এসেছে,আর কতোক্ষণ এভাবে বাহানা বানাতে থাকবো আমরা?
হঠাৎ দরজায় নক পড়লে, জাফসিন গিয়ে দরজা খুললো,
রাহুলের মা : হোয়ার ইজ ব্রাইড এন্ড গ্রুম? [ বলেই ভেতরে ঢুকে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] ওয়াওও মাই প্রিন্সেস মাশাল্লাহ! [ স্নেহা উঠে সালাম করবে পা ধরে,তখনিই রাহুলের মা স্নেহাকে আটকে জড়িয়ে ধরলো ]
রাহুলের মা : রাহুল কোথায়? [ চুপ করে আছে সবাই, একে অপরের দিক তাকাতে লাগলো ]
দাদী : [ রুমে ঢুকে ] হয়েছে এবার? সবাই অপেক্ষা করছে তোমাদের! ১২টা বেজে ওভার হয়ে যাচ্ছে!
– আর রাহুল কোথায়? ও এখনো রেডি হয়নি? [ সবাই চুপ করে থাকায় দাদীর কেনো যেনো সন্দেহ হলো,কিছু একটা লুকাচ্ছে তারা ]
দাদী : [ স্নেহার কাছে গিয়ে ] স্নেহা! কি হয়েছে বলো তো? সব ঠিকাছে?
– রা..রাহুল কোথায়?
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] দাদী! জানিনা রাহুল কোথায়!
– রাতে ঘুম ভাংগতেই উঠে দেখি রুমে নেই! বারান্দার দিক লাইটের আলো আসায় এগিয়ে গেলে দেখি, গেইট দিয়ে ওর গাড়ী বেড়িয়ে যাচ্ছে, জাষ্ট এইটুকুই আর কিছুই জানিনা,কোথায় গিয়েছে সেটা আমাকেও বলে যায়নি!
রাহুলের মা : বলে যায়নি মানে আজিব? ফোন করেছো ওকে?
স্নেহা : ফোন বাসায় রেখে গিয়েছে!
রাহুলের মা : এসব কান্ড করার সময় এখন? সব গেষ্ট ও চলে এসেছে,ওকে খুজলে কি জবাব দেবো?
দাদী : জ্বালিয়েই ছাড়ছে ছেলেটা আমায়! ভেবেছি বিয়ের পর অন্তত সব ঠিক হয়ে যাবে!
– [ স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে ] তুমি আবার কাদছো কেনো? স্ট্রং থাকো, আসলে একদম পানিশমেন্ট দিবে, কাল তো অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছে!
রাহুলের মা : আচ্ছা টেনশন করোনা কেউ! এক কাজ করো তোমরা স্নেহাকে নিয়েই নিচে চলে আসো!
– আমি দেখছি ও কোথায়! [ বলেই বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে ]
দাদী : তুমিই এসো স্নেহা! ও তো আর ভাবলো না আমার কথা, ওর যা ইচ্ছে হয় তাই করে শুধু! [ বলেই মুখটা কালো করে বেড়িয়ে গেলো দাদী ও ]
[ মাথা ঘুরছে স্নেহার টেনশনে, হাত-পা কিছুই চলছিলো না সবই যেনো অবোশ হয়ে গেছে ]
আলিসা : চলেন ভাবী! নিচে! এরমধ্যেই হয়তো চলে আসতে পারে ভাইয়া!
[ কিছু বললো না আর স্নেহা ও,হাটা ধরলো, ধীরেধীরে নামছে শিরি দিয়ে, পুরো ড্রইং রুমটাই হলরুমের মতো সাজিয়ে নিয়েছে গেষ্টদের জন্যে, মুগ্ধকর সাজের মতোই হয়েছে সবকটা, তবে এসব দেখেও মনে আনন্দ ফুটছে না স্নেহার, কারো একজনের শূন্যতায় ভুগছে সে, তাকিয়ে আছে চারদিক থেকে সবাই, অপরুপ লাগছে স্নেহাকে, চোখ সরছিলো না কারোরই, শিরির লাষ্ট স্টেপ আসতেই হঠাৎ উপর থেকে ফিতা দিয়ে ছোট কার্ডের মতো কিছু একটা ঝুলে পড়লো স্নেহার সামনে, চমকে উঠলো হঠাৎ স্নেহা! বাকিরা ও ভয় পেয়ে গেলো হঠাৎ ছিটকে এসে পড়াই!
কি জিনিস দেখার জন্য ধীরেধীরে হাত দিয়ে আলতো করে ছুয়ে দেখলো স্নেহা, হাতের স্পর্শ লাগতেই হঠাৎ চারদিকের বাতি সব বন্ধ হয়ে যায়, শুধু স্নেহার মাথার উপরই একটা সাদা বাতি জ্বলে উঠেছে,অবাক হয়ে উপরের দিক তাকালো স্নেহা, কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না, সামনের দিক থেকে ও আরও দুটো নীল রঙের বড় বড় বাতি জ্বলে উঠলো হঠাৎ, ভালো করে খেয়াল করে তাকালেই দেখে ব্লাক কোর্ট, ব্লাক শু,হোয়াইট শার্ট, মাথায় ব্লাক কেপ পড়ে দুজন একই পোজ দিয়ে মাথা বাকা করে দাঁড়িয়ে আছে, দু-দিক থেকে হাতে দুটো শানাই এগিয়ে নিলো, সাথে সাথে সাদা বাতির ফোকাস্ পড়লো তাদের উপর, এইবার আর তাদের চিনতে কারোই অসুবিধা হলো না, রিদোয়ান আর আসিফই ছিলো,
স্নেহা তাদের দেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পা দিয়ে দু-কদম বাড়াতেই,
আসিফ : [ মাউথ স্পিকারটা কানে তাড়াতাড়ি ঠিক করে ] নো, নো নো স্নেহা! স্টেই হেয়ার!
[ থেমে গেলো স্নেহা, বাকিরাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ]
রিদোয়ান : স্নেহা! দিজ ওয়ান ফর ইউ! ফাষ্ট টাইম স্পিকারে সিংগিং করবো, আওয়াজ বেসূরা হলেও একটু তারিফ টারিফ করে দিও কেমন, [ কাদো কন্ঠে ] পুরো রাতের মেহনত আমাদের! [ হেসে উঠলো সবাই, স্নেহা তো অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে, শানাই বাজিয়ে উঠলো রিদোয়ান এবং আসিফ দুজনেই, সাথে তাল মিলিয়ে ডান্স ও করছে, কান বোধহয় ফেটেই যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড টোনে ]
হঠাৎ হার্ট বিট করতে লাগলো স্নেহার,কানে খুব চেনা একজনের আওয়াজ ভেসে আসলো,কিন্তু দেখা যাচ্ছিলো না তাকে,
– ♪ ইয়াহ বেবী হোয়েন ইউ সি্ মি কামিং ♪
♪ ইয়াহ ইউ বেটার রান ফর কাভার ♪
♪ ইয়াহ কজ ইউ নোও হোয়েন আই ফাইন্ড ইউ নোও ♪
♪ ইয়াহ আই এম গোন্না বি ইউর লাভার♪
আসিফ : ♪ তুঝসে্ লোগ কাহেংগেএএ ♪
রিদোয়ান : ♪ না কার পিয়ার মুঝেএএএ ♪
আসিফ : ♪ মে তো লাখ বুরা হু ~ নিন্দ ছুড়া লু ~ হোশ উড়া দু ♪
রিদোয়ান : ♪ মে তো বাহোমে লে কে ~ রাহ ভুলা দু ~ বাত বানা দু ♪
আসিফ, রিদোয়ান – ♪ চাহে জাহান ♪ দিল কো ছুপা~আআ ♪
♪ বাতোহি বাতোমে ♪
♪ দো মুলাকাতো মে, লে লু ♪
রাহুল – ♪ বাচনা এই হাসি্নো ♪
♪ লো মে আগাইয়া ♪
[ তালি দিয়ে উঠলো সবাই, স্নেহার জানে পানি এলো এইবার তার রাহুলকে দেখে ]
রাহুল – ♪ এই বাচনা এই হাসি্নো ♪
♪ লো মে আগাইয়া ♪
♪ হুসো্নে কা আশিক ♪
♪ হুসো্নে কা দুশমান ♪
♪ আপনি আধাহে ইয়ারো সে্ জুধা হে হো ♪
♪ বাচনা এই হাসি্নো ♪
♪ লো মে আগাইয়াআআ ♪
[ ঘুড়ে এসে সামনে, স্নেহার কাছাকাছি দাড়ালো রাহুল, স্নেহা ভালো করেই উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখছে রাহুলকে,রাহুল মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক,
আগেই তো বলেছিলো স্নেহা, রাহুলকে জেক এর চেয়েও হ্যান্ডসাম লাগবে ড্রেসটাই! এতোটা কিউট লাগছে আজ স্নেহার রাহুলকে ইচ্ছে করছে এক্ষুণি গিয়ে জড়িয়ে ইচ্ছে মতো চুমু দিবে, এরই মধ্যে হঠাৎ আবেগে চোখের জল জমে এলো, আশেপাশের সবাইও তাকিয়ে আছে তাদের দুজনের দিক,গড়িয়েই পড়বে এক্ষুনি স্নেহার চোখের জল, তাই তাড়াতাড়ি পেছন মুড়ে চলে যাচ্ছিলো, তখনি রাহুল স্নেহার অভিমান বুঝতে পেরে হাত ধরে কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো হুট করে, স্নেহা ও ফুফিয়ে কেদে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে ]
গর্জনের মতো তালির আওয়াজ আসছে, ফটোগ্রাপার কেনো শুধু আশেপাশের অনেকেই তাদের এই আবেগময়ী ভালোবাসার মুহুর্তটা ক্যামেরাবন্ধী করতে ভুলছে না,
রাহুল : স্নেহা! স্টপ ইট! কাদছো কেনো?
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] কথা বলবেন না আপনি আমার সাথে!
রাহুল : [ হেসে ] বাট স্নেহা!
– গতরাত তোমার মন খারাপ ছিলো বলেই আমি তোমার জন্য সারপ্রাইজটা প্লান করেছি!
স্নেহা : এজনই তো আগেই বলেছি আই ডোন্ট লাইক সারপ্রাইজ!
রাহুল : ওখে ওখে রিলেক্স! [ বলেই দু-হাত দিয়ে স্নেহার মুখ তুলে চোখের পানি মুছে দিলো ]
স্নেহা : [ কেদে কেদে ] আপনি আ..আমাকে এভাবে একা রেখে..
রাহুল : [ কান ধরে ] সরিইই! সরি!
স্নেহা : ই..ইডিয়ট!
রাহুল : [ হেসে ] ইয়াহ আই এম! [ হেসে দিলো স্নেহা ও ]
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হু!
রাহুল : আরেকটা সারপ্রাইজ আছে দেখবা? [ মাথা নাড়ালো স্নেহা কেদে কেদে ]
রাহুল : শিসস! স্নেহা প্লিজ! স্টপ দ্যি ক্রায়িং! [ বলেই পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে আলতো আলতো করে স্নেহার চোখের নিচের পানি গুলো মুছে দিলো, চুপ করে চেয়ে আছে স্নেহা রাহুলের বুকের ধারে, রাহুল ও স্নেহার মায়াবী এই চেহেরার লোভ সামলাতে না পেরে, গালে আলতো একটি চুমু খেলো, আশেপাশের সবাইও রাহুলের রোমাঞ্চকর এই মুহুর্ত দেখে এক্সাইটেড হয়ে শিস বাজিয়ে উঠলো ]
রাহুল : [ স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে ] আই লাভ ইউ!
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] লায়ার! ইউ ডোন্ট লাভ মি!
– নয়তো আপনি আমায় রাতে, এভাবে একা রেখে যেতেন না, আমার কতো টেনশন হচ্ছিলো! আপনি অনেক খারাপ! অনেক অনেক খারাপ!
রাহুল : [ হেসে ] রিলেক্স স্নেহা! ওকে আম সরি! আর কক্ষনো হবে না এমন!
– [ স্নেহার দু-হাত নিজের হাতের মুঠোয় ধরে ] ইয়র প্রমিস! [ কন্ট্রোল করলো স্নেহা এবার নিজেকে ]
রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] আই লাভ ইউ হুমম?
স্নেহা : [ রাহুলের কোর্ট মুছড়ে ধরে একদম নিঃশব্দেই আলতো সূরে বলে উঠলো রাহুলকে ] আই লাভ ইউ টু!
এতেই ছুয়ে গেছে রাহুলের মনটা,কানের ধারে স্নেহার চুল গুজে দিয়ে ব্লাশিং হয়ে হাসলো রাহুল, মনে মনে ভাবতে লাগলো পুরোরাত যেটা ভেবেছিলো সেটাই হয়েছে,
পাগলী একটা মেয়ে এইটুকুতেই এই হাল করে ফেলেছে নিজের, আর একটা দিন দূরে থাকলে কি হতো আল্লাহয় ভালো জানে , মুখটাও সুখিয়ে আছে নিশ্চয়ই ব্রেকফাস্ট করেনি টেনশন করতে করতে,
চলবে…