♥Love At 1st Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 60
writer-Jubaida Sobti♥
কিছুক্ষণ পরই নেহাল ভেজা ভেজা কাপা শরীর নিয়ে উঠে এলো, পুল থেকে,
রাহুল : [ হেসে ] ইউ ওকে নেহাল?
নেহাল : [ চেয়ারের উপর থেকে টাওয়েলটা এগিয়ে নিয়ে ] ইয়াআআহ লুক এট মি! আম অলরাইট!
রিদোয়ান : ♪ টিপ টিপ ঠান্ডা পানি ♪ পানিমে আগে লাগাইয়ে ♪
– ওহোহো নেহাল! ইউ, লুকিং হট ব্রো!
নেহাল : [ টাওয়েলটা রিদোয়ানের গায়ে ছুড়ে মেরে ] জমে ফ্রিজ হয়েগেছি! আর তুই আছিস… [ হাসতে লাগলো সবাই নেহালের কান্ড দেখে ]
নেহাল : স্টুপিড! [ বলেই কাপড় চোপোড় পড়তে লাগলো ]
স্নেহা : [ ফিসফিসিয়ে ] মোটেও ঠিক করেননি রাহুল! নরমাল কোনো কাজ দিলেই পারতেন!
রাহুল : আম নট অ্যা নরমাল পার্সন!
স্নেহা : ঠিকই বলেছেন আপনি নরমাল পার্সন না আপনি না একটা হার্ড পার্সন,আপনার মনটা তো স্টোন দিয়ে তৈরী!
রাহুল : অহ রিয়েলি?
স্নেহা : হুম! অবশ্যই!
রাহুল : যদি এমন হয়! তাহলে এই হার্ড পার্সনের স্টোন দিয়ে তৈরী মনটা গলানোর শক্তি শুধু তোমার কাছেই আছে স্নেহা! [ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে মুচকি হেসে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]
________ এইদিকে,
নেহাল জ্যাকেটের হাত বটতে বটতে এগিয়ে এসে দেখে, তার জায়গা ফিল-আপ! অবাক হয়ে রিদোয়ানের দিক তাকালে, রিদোয়ান চোখটিপ মেরে বুঝিয়ে দেই যে, শায়লার পাশে সিট খালি করে রেখেছে! নেহাল ও ভোর কুচকে উত্তেজিত একটি হাসি দিয়ে শায়লার পাশে গিয়ে বসলো!
শায়লা : সো্ সেড মিষ্টার অষ্ট্রেলিয়া!
নেহাল : [ মুচকি হেসে ] ইয়াহ! আই নেও দ্যাট! কেউ আমার জন্য সেড ফিল করুক আর নাই করুক! তুমি অন্তত করবা!
শায়লা : বাব্বাহ! এত্তো কনফিডেন্স?
নেহাল : এক্সুলি! কিছু মানুষের ফেইস দেখে বোঝা যায় যে ওর হার্ট অনেক সফট হবে!
শায়লা : অও সবই বোঝেন! তো এটা বোঝেন না, যে মাথায় পানি জমে থাকলে ফেভার হবে?
নেহাল : ইয়াহ! টাওয়েলটা কোনদিক যেনো ছুড়ে মারলাম মনে পড়ছে না! এনিওয়ে লিভ ইট! আজ একটা পার্টনার থাকলে হয়তো তার ওড়না-টোড়না দিয়ে মুছে দিতো আরকি!
রাহুল : সো্ হোয়াট এতো আফসোস করছিস কেনো নেহাল! পাশে যেহেতু শায়লা আছে, ও না হয় মুছে দিবে! [ শায়লা অবাক হয়ে তাকালো রাহুলের দিক ]
রাহুল : আ..আই মিন! মানবতার খাতিরে!
আসিফ : ইয়াহ! শায়লা ইউ কেন ডু ইট! এজ অ্যা হেল্পিং হিউম্যানিটি
শায়লা : [ হেসে সবকিছু নরমালি নিয়ে ] শিয়র [ বলেই ওড়না দিয়ে নেহালের মাথা মুছে দিতে লাগলো ]
নেহাল : বাই দ্যা ওয়ে! মিস্ শায়লা, যদি তুমি চাও এজ অ্যা অন্য কিছু ও ভেবে করতে পারো! এতে, আই ডোন্ট মাইন্ড! [ শায়লা নেহালের ঘাড়ে একটি চাপ মেরে বসে পড়লো ]
নেহাল : আরেহ! এইটুকুতেই শেষ!
শায়লা : আপনি এইটুকুই ডিজার্ব করেন তাই!
নেহাল : আচ্ছা! মুখটা তো অন্তত মুছতে দাও [ বলেই শায়লার ওড়নার আচল টেনে নিয়ে মুখ মুছতে লাগলো ]
শায়লা : আরেহ! [ বলেই কেড়ে নিলো ওড়না ]
নেহাল : বাহহ! কি খুশবো!
শায়লা : তাইই?
নেহাল : আচ্ছা তুমি পার্ফিউম ইউজ করো? নাকি এটা তোমার ওড়নারই বারী খুশবো?
আসিফ : [ হেসে ] বারী খুশবো না নেহাল বাহারী খুশবো!
নেহাল : ওহ ইয়াহ! বারী খুশ..সরি বাহারী খুশবো! [ শায়লা কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো ]
রোহানী : গাইস্ এইবার গেইমে বেক করা যাক?
নেহাল : শিয়ররর! বেবী!
রোহানী : [ হেসে ] ওকে প্লিজ! এটেনশন! [ বলেই বোতোল ঘুরালো, হেসে উঠলো সবাই কারণ বোতোলের হেড গিয়ে থামলো জারিফার দিক ]
নেহাল : এইবার বলবে [ মুখ ভংগি করে ] আমি ট্রুথ আমি ট্রুথ!
জারিফা : আজিব এখনো কিছু বললামই না আমি!
নেহাল : কজ উই নো এটাই বলবা!
শায়লা : কি মনে করেছেন নিজেকে একটা ডের ডান করে? মেয়েরা অতোটাও লুজার না মিষ্টার অষ্ট্রেলিয়া ওকে? কামঅন জারিফা প্রুফ করেদে! উই আর নট লুজার!
জারিফা : [ কনফিউজড হয়ে ] ইয়াহ! বাট..
শায়লা : আরে এতো কনফিউজড হোওয়ার কি আছে! জাষ্ট কিছু করতে হলে করে দেখাবি এইটুকুই তো!
জারিফা : ও..ওকে ডের!
নেহাল : ও ইয়ে! ইয়ে!
জাফসিন : [ হাত তুলে ] আমি বলি আমিইই আমি?
নেহাল : ওকে বল!
জাফসিন : তুমি না একটিং করবা! তোমার যেকোনো একজন ফ্রেন্ড এর!
রিদোয়ান : [ বিরবির করে ] বরাবরই দিয়েছে একট্রেসকে একটিং করতে!
জারিফা : আই! কি বললেন আপনি?
রিদোয়ান : [ হেসে ] নাহ! বলছি একটিং তো তুমি ভালোই পারো! সো্ ইমিডিয়েটলি ডের ডান করতে পারবা!
– আ..আরে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো খা..খারাপ কিছু বলেছি নাকি?
জারিফা : [ গাল টেনে দিয়ে ] নাহ! কিউট কথা বলেছেন! [ বলতেই রিদোয়ান দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মুচকি একটি হাসি দিলো, আর জারিফা কার একটিং করবে চিন্তা করতে করতে স্নেহা, শায়লা, মার্জান সবার দিক একবার একবার তাকাতেই হঠাৎ,আসিফ চোখ দিয়ে মার্জানের দিক ইশারা করে দেখিয়ে দিলো, জারিফা ও হেসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো ]
আসিফ : সো্ শুরু করা যাক?
জারিফা : [ দাঁড়িয়ে ] ওকে! আম রেডি!
আলিসা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইইই! বাট কার একটিং নামটা তো মেনশন করে দাও!
জারিফা : মার্জান! [ সবাই হেসে মার্জানের দিক তাকালে সে ও হাসে ]
জারিফা : গাইস্! আমার না ওর মতো একশ্বাসে কথা বলা আসে না তাও ট্রাই করবো ওকে!
আসিফ : ওকে ওকে! স্টার্ট!
জারিফা : হুম! সকালে যখন সবার আগে ওর ঘুম ভাংগবে! তখন..
– [ নাক ফুলিয়ে ] আহাহা! নবাবজাদিরা নাক ডেকে ডেকে ঘুমুচ্ছে! আর এইদিকে আমার ঘুমটা কই গেলো কে জানে? এতো তাড়াতাড়ি ঘুম ভাংগার কি প্রয়োজন ছিলো! উফফ আমি একা একা বসে কি করবো এখন! [ সবার গায়ের থেকে কাথা কম্বল যেটাই থাকুক ওটা টেনে নিয়ে ] এইইই ওঠ সবগুলো সকাল হয়ে গেছে তো ওঠ ওঠ, [ আর যদি না উঠি তাহলে ওয়াসরুম থেকে জাগ ভরে পানি এনে সর্বনাশ ]
– [ রাস্তায় কোনো ছেলে যখন আমাদের দিক তাকায় তখন ] আচ্ছা এর কি মা বোন নেই? এইভাবে তাকিয়ে থাকার মানেটা কি? সুন্দর কি আমাদের গা ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে? [ দাতে দাত ঘেষে ] হনুমান কোথাকার দাড়া লাষ্ট বার দেখবো যদি চোখ না সরাস না আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!
– [ কোনো ছেলের সাথে ধাক্ষা লাগলে ] আচ্ছা চোখের এন্টেণা কি হাতে নিয়ে হাটেন? নাকি, অমনি মেয়ে দেখলেই গা ঘেষতে মন চাই?
– [ ছেলেটা যদি সরি বলে ] আরেহ! সরি ও বলে আবার! মানে কি? কথা বলার চান্স নাও তাই না? আমি বুঝি না এসব? ক্লাস টু এর বাচ্চা মনে হয় আমাকে দেখে? হ্যা?
– [ যখন আমরা সবাই রোমান্টিক মুডে তখন সে যুক্তিবাদী ] দেখ! এসব ক্রাশ-ব্রাশ খাওয়ার চেয়ে না ভাত খা পেট টা অন্তত ভরবে, আর যে ছেলেগুলোর উপর ক্রাশ খাচ্ছিস না,সবগুলোই এক নাম্বারের লুচ্চা! এক কথায় এদের সাথে প্রেম করা মানে লাইফটা নিজ ইচ্ছায় হেল করে দেওয়া, আর তোরা যা ভাবছিস প্রেম করলে সব ফ্লিমি স্টাইলের হবে হাহাহা এসব ফ্লিমে হয় বাস্তবে নয়, বাস্তবে তো আজ ওকে ভালো লাগলো তো কাল এর চেয়ে সুন্দর আরেকটি দেখলে আবার ওকে ভালো লাগবে মানে সবই টাইম ওয়েষ্ট!
– [ যখন আমরা সবাই সিরিয়াল দেখি আর ঐদিন ওর কুকিং এর পালা থাকে, তখন রান্নাঘর থেকে ] আল্লাহ! তোদের মতো ফ্রেন্ড আমার শত্রুদের ও না দিক, মানে কি? আজ আমার কুকিং এর পালা বলে কি কেউ একটু আমায় হেল্প ও করবি না? আমি কুক করলে কেউ তো অন্তত কাট করে দিতে পারিস! এমনিতেই আমি পেয়াজ কাটতে গেলে অন্ধ হয়ে যায়, তখন দুনিয়ার সব ইমোশনালই যেনো আমার চোখে এসে পড়ে, ঠাডা পড়ুক তার উপর যে এখনো পেয়াজের ঝাজ দূরীকরণ আবিস্কার করতে পারেনি!
– আচ্ছা টিভির ভলিউম এতো হাই করে রাখতে হয় নাকি? এই আকসারা সিরিয়াল দেখতে দেখতে না তোরা এবং তোদের নাতী-নাতনী ও মরে কবরে কংকাল হয়ে যাবে তাও এই সিরিয়ালের ইন্ডিং হবে না!
– [ যখন আমাদের সাথে অন্যকারো ঝগড়া লাগে ] কি কিহ..কি হয়েছে? কি হচ্ছে এসব? হ্যাংলা-পাতলা দেখে কি গায়ে জোড় নেই ভেবেছিস নাকি? এগুলো আমার ফ্রেন্ডস মানে আল্লাহর দেওয়া তিন-তিনটা এক্সট্রা জান আমার! গায়ে টুকা লাগিয়ে দেখ! দেখনা, হাত কেটে কিমা বানিয়ে না কুত্তা-বিলাইকে ইনভাইট করে খাওয়াবো! ইয়াক ছ্যাঁ! কুত্তা বিলাই ও খাবে না তোর মাংস!
– [ এক্সামে যখন ওর সিট সবার পেছনে হয় ] মানে কি আমি সবার থেকে টাকা কমদেই নাকি, যে আমার সিটই সবার লাষ্টে দিতে হলো, এই টাকলা প্রফেসর নিশ্চিত সামনের সিট ওয়ালাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে! আরে নে নে কদিনই আর বাচবি? এমনিতেই তুই শিঘ্রীই আমার অভিসাপে মরবি! টাকলু কোথাকার! মনটা চাচ্ছে তোর মাথায় শিল-পাথর মারি! [ জারিফার অভিনয় দেখে বাকিরা কিটকিটিয়ে হাসতে হাসতে পেঠ ধরে কাৎচিত হয়ে গেছে ]
আসিফ : [ হেসে হেসে ] স্টপ স্টপ! আর পারছিনা!
নেহাল : [ হেসে হেসে ] হোহো মার্জান ইউ আর অ্যা সুপার ওমেন! টু মাচ এংগ্রি গার্ল! এন্ড জারিফা ইউ আর সাচ অ্যা গ্রেট একট্রেস্ আই রিয়েলি এঞ্জয় ইয়র একটিং! [ সবাই তালি দিয়ে উঠলো ]
জারিফা : [ দুবার মাথা নুয়ে ] থেংক ইউ থেংক ইউ! [ বলেই হেসে বসে যায় ]
মার্জান : [ তালি দিয়ে ] গুড ছিলো! [ বলতেই জারিফা চোখ টিপ মারলো ]
– সো্ গাইস্! আমি ও না তোমাদের জারিফারটা ফ্রিতে দেখিয়ে দিচ্ছি! ও কেমন এটাও তো জেনে নাও তোমরা!
রিদোয়ান : ইয়াহ! আম ইন্ট্রেষ্টেড!
আলিসা : ওয়াও আম অলসো্ এক্সাইটেড! প্লিজ হারিয়াপ!
মার্জান : শিয়র! [ বলেই দাঁড়িয়ে যায় ]
– [ যখন কোনো প্রোগ্রাম থাকে, প্রোগ্রামের এক সপ্তাহ আগে থেকে মিস্ জারিফা ] ইয়ার! আমার কাছে না ভালো কোনো ড্রেসই নেই! যা আছে সব গুলো দিয়েই পিক তুলা হয়ে গেছে! আচ্ছা ঐদিন না অরেঞ্জ একটা ড্রেস কিনলাম? ঐটা পড়বো নাহয়? উমহুম! অরেঞ্জ পড়লে তখন যদি আমায় কালচে লাগে! আচ্ছা গ্রীন কালার গাউনটা পড়বো? উফফ বাট ঐটা তো আবার আয়রন করতে হবে! হোয়াইট গাউনটা পড়ি নাহয়? নানাহ ওটা বেশী গড়জিয়াস হয়ে যাবে, এককাজ করবো মেজেন্ডা থ্রী-পিসটাই পড়ে ফেলবো, আরে ইয়ার এখন তো ডার্ক লিপিস্টিক চলছে আর আমার তো ডার্ক মেজেন্ডা লিপস্টিকটাই কেনা হয়নি! তাহলে কি পড়বোওওওওও?
রাহুল : [ অবাক হয়ে জারিফার দিক তাকিয়ে ] হোয়াট দ্যা ফাক! এত্তগুলা কনফিউজড!
জারিফা : [ মুখ গোমড়া করে ] হুমম!
রাহুল : [ হেসে ] ওকে মার্জান! ইউ কান্টিনিউ!
মার্জান : [ হেসে ] ওকে!
– [ যখন দূর থেকে কোনো হ্যান্ডসাম ছেলে দেখবে ] ওয়াওওওও গাইস্ লুক এট হিম! হোয়াট অ্যা কুল বয়! লাইফ পার্টনার বানাও তো এমনিই কোনো ছেলেকে বানাও!
– [ যখন ছেলেটিকে কাছ থেকে দেখে ] পুরাই পটোলের মতো দেখতে, দূর থেকে তো পুরো শাহ-রুখ-খান লাগছিলো! দাত গুলো দেখ কি কালো, যতো রকমের হিরোইন আছে বোধহয় সবই খায়,
নেহাল : হাহাহাহাহ! স্টপ ইট! গাইস্ আই কান্ট স্টপ মাই লাফিং!
মার্জান : [ যখন ও মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়াবে! এবং আয়নার দিক তাকিয়ে নিজের সাথে নিজে যেভাবে কথা বলে ]
– ওয়াও জারিফা! আচ্ছা এতো সুন্দর কেনো তুমি? আরেকটু কম হতে পারো না? ইশশিরে! লজ্জা লাগছে তো, তোমার এই হাসি, তোমার ঠোট, তোমার চোখ,ওহ কামঅন আমি তো মাশাল্লাহ বলতেই ভুলে গিয়েছি! মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ কারো নজর যেনো না লাগে!
– [ আর এসব দেখে যদি আমরা হাসি ] হাসার কি আছে? যা সত্যি তাই তো বললাম? কি স্নেহা আমি সত্যি বলিনি? [ আমি আর শায়লা যদিও বলি তুই দেখতে হনুমান, বিড়ালের মতো কিন্তু মহানদয়াশীল ব্যাক্তি স্নেহা তার তারিফ করেই ছাড়বে ]
[ হেসে উঠলো স্নেহা, জারিফাও ফ্লায়িং কিস্ ছুড়ে দিতে লাগলো স্নেহাকে ]
মার্জান : [ এক্সামের আগের দিন রাতে বই খুলে ] আস্তাগফিরুল্লা এত্তগুলা পড়া কেমনি শেষ করবো? আমি তো নিশ্চিত ফেইল! ইয়া আল্লাহ! আর জীবনেও কোনো গুনাহ করবো না, কোনো ছেলের দিক তাকাবো ও না ক্রাশ ও খাবো না! শুধু লাষ্ট বারের মতো অন্তত পাশ মার্কসটা পাইয়ে দিও! ইয়ার স্নেহাআআআ কাল না তুই আমার পাশেই বসবি! ওকে? আমি কিন্তু তোর পেপার কপি করবো, আচ্ছা স্নেহা! এতো পড়া পড়িস কিভাবে? আল্লাহ যদি তোর থেকে কিছু ব্রেইন আমায়ও দান করতো! [ কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো বাকিরা ]
মার্জান : হাহা! এইটুকুই জেনে রাখো গাইস্! ওরনা আরো হাজার হাজার আছে, তা সবার সামনে শো করতে চাচ্ছিনা! [ সবাই তালি দিয়ে উঠলো ]
জারিফা : [ হেসে ] যা বললি এসবও কি কম ছিলো নাকি?
মার্জান : তোর অপেক্ষায় এসব অনেক কমই ছিলো! [ হাসতে লাগলো সবাই ]
রিদোয়ান : সিরিয়াসলি এত্তো চোর তুমি পড়াই?
জারিফা : হুমমম! পড়তে আমার মোটেও ভালো লাগেনা! আফসোস! যদি এমন হতো যে প্রত্যেকদিন শুধু ক্লাস হবে কিন্তু কোনো এক্সামই হবে না! ইশশ! কি ভালো হতো তাই না?
রাহুল : ইয়াহ ইউ আর রাইট জারিফা! এই এক্সাম দেওয়াটা যে বের করেছে না ওকে যদি আমি একদিন পাই! তান্দুরী বানিয়ে ছাড়বো!
জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইয়াহ জিজু! বাট নট তান্দুরী আপনি না ওকে ব্রোষ্ট টাইপ্সের বানিয়েন! কজ ওটা একটু ক্রাঞ্চি হয়!
রাহুল : [ হেসে ] ইয়াহ ডেফেনেটলি আই উইল!
নেহাল : স্টপ গাইস্ থামো কিছুক্ষণ! আমার পেট পেইন করছে!
আলিসা : সো্ মাচ ফান্নি গাইস্! তোমরা সবাই অনেক মজার!
রোহানী : বাট আই এঞ্জয় ইট! প্লিজ থেমো না মজা হচ্ছে! কন্টিনিউ কন্টিনিউ [ বলেই বোতোল ঘুড়িয়ে দিলো ]
[ আর এইদিকে রাহুল তার নটি মাইন্ডেড নিয়ে স্নেহার পেটে হালকা একটি চিমটি দিলো সাথে সাথেই স্নেহা শকড হয়ে ফিরে তাকায় রাহুলের দিক ]
রাহুল : [ স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে ] স্নেহা! আমরা লাষ্ট কবে কিস্ করেছিলাম?
স্নেহা : সবার ধ্যান গেইমে আর আপনি আছেন!
রাহুল : শিসসস! স্নেহা! লাস্ট আমাদের হলুদের দিন গাড়ীতে করেছিলাম! কতো লেইট হয়েগেছে!
স্নেহা : কতো লেইট মানে? গতপরশু দিনই তো হলুদ শেষ হয়েছে! [ বলেই সোজা চোখ পড়তে দেখে নেহাল হাত দিয়ে বোতোলটা রাহুলের দিক ঘুরিয়ে দিয়েছে ]
রাহুল : [ স্নেহার কানে ] তাও স্নেহা! দুই দুইটা দিন হয়েগেছে! [ নেহাল স্নেহার দিক চোখ মেরে ইশারা করে যাতে রাহুলকে না বলে, হাসতে লাগলো স্নেহা ]
রাহুল : কি হলো হাসছো কেনো?
স্নেহা : ইয়র ট্রান! [ বলতেই রাহুল সোজা ফিরে তাকিয়ে দেখে বোতোলের হেড তারদিকই পড়েছে ]
রাহুল : আরে গাইস্ আমার ট্রান তো গান গেয়ে ফিনিশ করলাম মাত্র!
নেহাল : নো নো আবার যখন পড়েছে তাহলে আবার ফিনিশ করতে হবে! সো্ বল ট্রুথ নাকি ডের? আই নোও এখন ভয়ে ট্রুথই নিবি!
রাহুল : [ হেসে ] রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য চিটিং করেছিস নাকি?
নেহাল : কথা না ঘুরিয়ে বল ভয় লাগছে ডের নিবো না ট্রুথই নিবো!
রাহুল : ওকে যা! ডের নিলাম! বল কি করতে হবে?
নেহাল : [ হেসে এক্সাইটেড হয়ে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে ] ইয়াহহহু এখন হবে আসল মজা! জাষ্ট গিভ মি ফাইভ মিনিটস্ গাইস আম কামিং! [ বলেই দৌড় দিয়ে কই যেনো চলে গেলো, হাসতে লাগলো সবাই, কিছুক্ষণ পরই দেখে নেহাল একটা বড় বাটিতে ফ্রিজ থেকে মাঝারি আকারের দুটি বরফ ভরে এনেছে ]
রোহানী : অহ মাই গড! আইস্ দিয়ে কি করবা?
নেহাল : আইস্ না এগুলো রাহুলের জন্য সো্প হবে! কুল কুল আইস্ যখন বডিতে লাগাবে না তখন বুঝবে আমার ডেরটা কতো ডেঞ্জার ছিলো [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] সো্ রাহুল এটার জন্য না আপনার থেকে জ্যাকেট এন্ড শার্ট ওপেন করে ফেলতে হবে!
রাহুল : ওপেন করে কি হবে?
নেহাল : ওপেন করার পর তোর খালি গায়ে এই আইস্ গুলো আমি সো্প এর মতো রাব করবো যতোক্ষণ না পর্যন্ত আইস মেল্টিং না হয়!
রাহুল : [ হেসে ] ফানি! [ বলেই উঠে দাঁড়িয়ে ধীরেধীরে জ্যাকেট এবং শার্ট খুলে ফেললো ]
আলিসা : নেহাল ভাইয়া! আর ইউ গেই?
নেহাল : হোয়াট ননসেন্স!
আসিফ : [ হেসে ] আই থিংক নেহাল আলিসা ইজ রাইট!
নেহাল : স্টপ ইট গাইস্ ওকে নিজে লাগাতে দিলে যদি চিটিং করে তাই বললাম আরকি আমি লাগিয়ে দিবো! ইয়াহহহ! আইডিয়া! ভাবি স্ট্যান্ড আপ স্ট্যান্ড আপ! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে টেনে দাড় করিয়ে বাটিটা ধরিয়ে দেই ]
নেহাল : ভাবী আমার বদলে না আপনিই লাগাবেন ওকে? একদমই যাতে চিটিং করতে না পারে ও!
স্নেহা : বাট..আ..আমি!
নেহাল : হ্যা! ভাবী আপনিই! সিম্পলই তো জাষ্ট ওর বডিতে আইস্ গুলো মাঝতে থাকবেন যতোক্ষণ না পর্যন্ত বরফ পানিতে পরিনত না হয়!
স্নেহা : [ হেসে ] ওখে! [ বলেই রাহুলের দিক ফিরে তাকালো, রাহুল পকেটে হাত রেখে হেসে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক ]
নেহাল : ওকে ওকে ভাবী স্টার্ট! [ বলেই শিস বাজিয়ে দিলো, স্নেহা বরফের টুকরো উঠিয়ে নিয়ে রাহুলের বুকের মাঝে ধরতেই ]
রাহুল : [ হেসে ] আহহহ [ বলেই চোখ কুচকে বটে ফেললো ]
জারিফা : উহুহুহু! ঠান্ডা জিজু তাই না?
রাহুল : [ চোখ খুলে ] ইয়াহহ!
নেহাল : কন্টিনিউ ভাবী কন্টিনিউ! [ স্নেহা হেসে রাহুলের বুক থেকে পেট এবং পেট থেকে বুক পর্যন্ত আইস্ স্লাইডিং করতে লাগলো ]
নেহাল : আহাহা! ইহিহিহিহি! উহুহুহু! [ বাকিরা ও হাসতে লাগলো নেহালের সাথে সাথে ] হাউ ইজ ইয়র ফিলিং রাহুল?
রাহুল : [ চোখ টিপ মেরে ] মাচ বেটার!
নেহাল : ইয়াহ আই নো আই নো! হিহি লুক গাইস্ আইস্ মেল্টিং হয়ে সিক্স প্যাক দিয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে! [ হাসতে লাগলো রাহুল! বাকিরা ও মজা নিতে ব্যস্ত এক একজন একেক রকমের কথা বলে ]
____ আর এইদিকে স্নেহা আত্নহারা হয়ে ধীরেধীরে রাহুলের বুকে আইস্ স্লাইড করতে ব্যস্ত! স্নেহার নজর যেনো সরছেই না রাহুলের বুকের মাঝ থেকে, বরফ গলে পানি হয়ে পড়ার প্রতিটি মুহুর্ত, ঠান্ডায় মাঝেমাঝে রাহুলের কেপে উঠা, নিশ্বাস পরিত্যাগে রাহুলের পেটের দিক আপ-ডাউন করা! এসব দেখে যেনো স্নেহার হাত-পা সবই অবোশ হয়ে যাচ্ছে!
রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] কি দেখছো স্নেহা?
স্নেহা : [ চমকে উঠে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] হ্যাঁ?
রাহুল : বাহ স্নেহা! তুমি তো দেখছি হারিয়েই গেছো!
স্নেহা : [ আড়চোখে সবার দিক একবার তাকিয়ে ] কক..কই নাতো! [ বলেই তাড়াতাড়ি স্লাইড করতে লাগলো ]
রাহুল : [ হেসে অন্যপাশ ফিরে দাতে দাত ঘেষে ] কামঅন স্নেহা! স্লোলি করো আমার এমনিতে কন্ট্রোল হচ্ছে না তোমার হাতের টাচে! [ স্নেহা লজ্জিত একটি হাসি দিয়ে ধীরেধীরে স্লাইড করতে লাগলো হঠাৎ তখনিই রাহুল তার বুকের থেকে আংগুল দিয়ে স্লাইড করে কিছু পানি নিয়ে স্নেহার কোমোড়ে ধরলো, মুহুর্তেই স্নেহা চোখ বড় করে কেপে উঠে, এবং সাথেসাথেই হাত থেকে বরফের বাটিটা ছেড়ে দিলো ]
রোহানী : [ হেসে ] ওহ শিট!
স্নেহা : সরি সরি!
নেহাল : ইটস্ ওকে ভাবী! এমনিতেও এটা রিভেঞ্জ হয়নি! ওতো উল্টো ওর সিক্সপ্যাক দেখিয়ে আপনার সাথে রোমান্স শুরু করে দিয়েছে!
রাহুল : [ হেসে ] বাট মাই ডের ইজ ডান!
নেহাল : ইয়া! ইয়াহহ! ইউ ডান ইট! এবার এসে বসে যান! [ রাহুল হেসে শার্ট এবং জ্যাকেটটা পড়ে স্নেহার পাশে বসে পড়লো ]
রিদোয়ান : দোস্ত! কেমন ফিল হচ্ছিলো আইসে্!
রাহুল : আই ফিল লাইক হট! [ হেসে উঠলো সবাই ]
রোহানী : ওকে গাইস্ এইবার না গেইম রুলসটা একটু চেঞ্জ করা যাক আই মিন! গেইমটা শুধু কাপলদের জন্য হবে ওকে? ফর এক্সাম্পল যারদিক গিয়ে বোতোলের হেড থামবে সে এবং তার পার্টনারকে কি করতে অর কি বলতে হবে সেটা আমরা সিংগেলরা বলবো! দেন কম্পিটিশনটা ওদের মধ্যেই হবে লাইক গার্ল বয়কে হারাবে! বয় গার্লকে হারাবে!
আলিসা : বাট কাপল তো অনলি দুটো! রাহুল ভাইয়া, ভাবী! রিদ ভাইয়া আর জারিফা!
আসিফ : আ..আই ডোন্ট মাইন্ড! মার্জান! [ বাকিরা অবাক হয়ে হেসে তাকালো মার্জানের দিক, আর মার্জান তো শকড হয়ে চোখ তুললো কপালে ]
আসিফ : আহা! যদি কাপল বাড়াতে পার্টনার হতে চাই তো!
মার্জান : [ রোহানীর দিক তাকিয়ে ] আ..আমি খেলবো না! আই হেভ নো..নট ইন্ট্রেষ্ট! [ আসিফ চোখ টিপ মেরে ইশারা করলো রোহানীকে ]
রোহানী : কামঅন ইয়ার! হয়ে যাও না, জাষ্ট গেইমের জন্যই তো!
মার্জান : তোমাদের কারো থেকেই হয়ে যাও!
আলিসা : বাট! তোমরা সেইম ভার্সেটিতে পড়ো, এতোদিনে দুজন দুজনের এবাউটে যা কিছু জেনেছো তা কি আমাদের মধ্যে থেকে কেউ জানবে নাকি! সো্ প্লিজজজ!
আসিফ : লিভ ইট! গাইস্ আই থিংক ভয় পাচ্ছে! [ মার্জান নাক ফুলিয়ে ভোর কুচকে তাকালো ]
রোহানী : আরে ভয় কেনো পাবে? জারিফা ওর যা অভিনয় দেখালো না, তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে শি ইজ অ্যা ব্রেভ গার্ল!
আসিফ : [ মুখ মুচড়ে ] আচ্ছা? প্রুভ ইট!
রোহানী : কামঅন মার্জান! প্রুভ করে দাও!
মার্জান : [ আড়চোখে আসিফের দিক তাকিয়ে বিরবির করে ] মানে কোনো দিক দিয়েই ছাড়ছে না ইডিয়ট! আজকাল ওর জ্বালেই ফেসে যাচ্ছি কি অদ্ভুত!
আলিসা : আরে বেবি হোয়াই আর ইউ থিংকিং? সে্ ওকে!
মার্জান : [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মাথা নাড়িয়ে ] ও..ওখে!
রোহানী : [ হাততালি দিয়ে ] ইয়েএএএ! আরেকটা কাপল হয়ে গেছে?
আসিফ : [ মার্জানের দিক তাকিয়ে, মুচকি হেসে মনে মনে] ওয়াওও! তারমানে ইন্ট্রেষ্ট আছে! তবে মনের কথা এইভাবে লুকিয়ে রাখলে বুঝবো কি করে মিস্ এংগড়ি বার্ড!
নেহাল : বাট আমি কি করলাম গাইস্? আমার দিকওতো একটু তাকাও!
জাফসিন : এখন আবার তোমার জন্য পার্টনার ক্রেট করতে যাবো কোথার থেকে?
নেহাল : [ হেসে মাথা চুলিয়ে ] এ..এক্সুলি আ..আম অলসো্ ডোন্ট মাইন্ড শায়লা!
শায়লা : [ শকড হয়ে তাকিয়ে ] হোয়াটট?
আলিসা : অওওওওও!
জাফসিন : [ হেসে ] সো্ সুইট!
নেহাল : [ শায়লার দিক তাকিয়ে হেসে ] কুল কুল! ডিয়ার! দেখো দুজনেই তো সিংগেল আছি তাতে প্রবলেম কি? ডার্কলি থিংক! এই চান্সে আমাদের কিছুক্ষণের জন্য মিংগেল হোওয়ার চান্স ও মিলবে!
শায়লা : [ দাত দেখানো একটি হাসি দিয়ে ] তাইই? তবে আপনি ও চান্সটা একটু বেশি নিচ্ছেন না?
নেহাল : [ শায়লার চোখের দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ] নট চান্স! ইটস্ ট্রু!
শায়লা : হোয়াট?
নেহাল : আব..আ..আই মিন! ট্রু বলছি! অনেক এঞ্জয় হবে! খেলেই তো দেখো!
শায়লা : [ মুখ ভেংগিয়ে ] হুহ! নট ইন্ট্রেষ্ট!
নেহাল : [ কাদো কন্ঠে ] ভেবেছিলাম তোমার হার্টটা তোমার ভয়েসের মতোই সফট হবে!
শায়লা : [ হেসে ] আপনি আমার ভয়েস্ কবে ধরে দেখলেন?
নেহাল : ধরতে হয় নাকি? কিছু জিনিষ ফিল করে বুঝা যায়!
শায়লা : অও! আচ্ছা এক কাজ করেন আপনি রোহানী, আলিসা..
নেহাল : স্টপ স্টপ! দেয়ার মাই সিস্টার ওকে? ওদের সাথে কাপল গেইমস কিভাবে খেলবো?
শায়লা : বাট কাজিন সিস্টারই তো!
নেহাল : ওহহহ! নোওও!
আলিসা : কামঅন শায়লা! কিছু সময়ের জন্যই তো!
রোহানী : কাপল বাড়লে গেইম ও মজা হবে! প্লিজ প্লিজ!
জারিফা : হোয়াট শায়লা? সবাই এতো করে বলছে রাজি হয়ে যা না! গেইমই তো!
শায়লা : ও….. ওখে!
আলিসা : [ চেচিয়ে ] ইয়েসস্ উই মেক,ফোর কাপল! কামঅন লেটস স্টার্ট দ্যা গেইম গাইস! আম এক্সাইটেড!
রোহানী : ওখে ওখে! [ বলেই বোতোল ঘুরিয়ে দিলো এবং বোতোলের হেড গিয়ে থামলো রিদোয়ানের দিক ]
আলিসা : অও! রিদ এন্ড জারিফা!
রোহানী : ইয়েস্ লেডিস থেকে ফাষ্ট! ওকে! সো্ জারিফা! তুমি না এখন একটা একটিং করবে! সা্পোস তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, এন্ড তুমি প্রেগন্যান্ট! হিহি! সো্ এই গুড নিউজটা রিদোয়ানকে কিভাবে দিবে ওটা শো করে দেখাও!
– আর হ্যা! মিস্টার রিদোয়ান! ওনার একটিং এর সাথে কিন্তু আপনার ও তাল মেলাতে হবে! নাহলে আপনি হেরে যাবেন আর ওনি উইন হয়ে যাবে বুঝলেন তো?
রিদোয়ান : ওখেই!
রোহানী : ওকে! ওয়ান, টু, থ্রী স্ট্রার্ট!
জারিফা : [ লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে ওড়নার আচল আংগুলে পেচাতে পেচাতে ] শুনছেন!
রিদোয়ান : হ্যা! বেবী কিছু বলবে?
জারিফা : হ্যা!
রিদোয়ান : [ জারিফার কাছে মুখ এনে ] বলো বেবী!
জারিফা : [ অন্যপাশ মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ] হি-হি নাহ! লজ্জা করে!
রিদোয়ান : [ জারিফার মুখ ধরে তার দিক ফিরিয়ে ] আরেহ কিছু করছিই তো না লজ্জা কেনো লাগছে?
জারিফা : আগে যে করেছেন!
রিদোয়ান : আগে তো অনেকবার করলাম কোনটার কথা বলছো!
জারিফা : লাষ্টবার!
রিদোয়ান : ওহ আচ্ছা বুঝেছি! তো ওয়ান্স মোর হবে নাকি?
জারিফা : আরে আরে তা নাহ! [ বলেই রিদোয়ানের হাত এগিয়ে নিয়ে নিজের পেটে রাখলো ]
রিদোয়ান : [ উজ্জলা এক আবেগী হাসি দিয়ে ] রিয়েলি?
জারিফা : [ লজ্জীত হাসি দিয়ে ] হুমম!
রিদোয়ান : অহ মাই গড! জারিফা! ইউ ডোন্ট নোও তুমি আমায় কতো বড় গুড নিউজ দিয়েছো! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না [ জারিফার কাধ জড়িয়ে আগলে নিয়ে ] আমি বাবা হয়েছি! [ কাদো কন্ঠে ] কনগ্রেচুলেশন জারিফা! আমায় ও কনগ্রেচুলেশন দাও আমার ও কিন্তু হার্ড ওয়ার্ক ছিলো!
জারিফা : [ কিটকিটিয়ে হেসে রিদোয়ানকে পেছিয়ে জড়িয়ে ] আম ডান গাইস্ আম ডান! [ বাকিরাও হাসতে হাসতে মাঠিতে লুঠালুঠির অবস্থা ]
রিদোয়ান : দ্যাট মিনস্ আম উইন! [ চেচিয়ে ] ইয়েসস্!
আসিফ : [ হাসতে হাসতে ] সব ছাড় দোস্ত! এইবার ট্রিট দে বাবা হোওয়ার খুশিতে!
রিদোয়ান : এই নে ট্রিট! আমরা যেহেতু একটিং করেছি তুই ও একটিং করে মুখ চিবাতে থাক!
আসিফ : আরে! কিপ্টামি করছিস কেনো! রিয়েলিটিতে দেনা!
রিদোয়ান : বাবাটাও আগে রিয়েলিটিতে হতে দে দোস্ত!
রাহুল : ইয়াহ! তখন ট্রিট কেনো? পার্টি চলবে বস্!
শায়লা : ইয়ার! আমার তো ভাবতেই খুশি লাগছে গাইস্! লিটল বেবী, লিটল হ্যান্ড, লিটল লেগস্, যদি সত্যিই এমন হতো তাহলে আমি খাম্মী হয়ে যেতাম!
রিদোয়ান : লেটস্ জারিফা! ওর আশাটা বাকি রাখবো কেনো! চলো পূরণ করিয়েদি! [ জারিফা লজ্জা পেয়ে রিদোয়ানের মুখ চেপে ধরে, বাকিরাও একত্রে হেসে উঠে ]
জারিফা : গাইস্! গেইমে ফিরে যাওয়া যাক!
রোহানী : ইয়া! ওকে! [ বলেই বোতোল ঘুরিয়ে দিলো, চিৎকার করে উঠলো সবাই ]
আলিসা : ইয়েএএএ! নাও! ভাবীর ট্রান!
স্নেহা : আ..আমি কিছুই পারিনা..রার রাহুলকে দাও!
রোহানী : ভাবী! ভাইয়া তো করবেই তবে আপনার ও কিন্তু করতে হবে যেহেতু কাপল গেইম!
জাফসিন : কামঅন ভাবী! ভাইয়াকে হারানোর এটাই চান্স!
রোহানী : বাট ডোন্ট ওয়ারী গাইস্ তোমাদের সেইম জিনিষ দেবো না এক এক জনকে এক একটা! ওকে? ভাবী যেহেতু একটু লজ্জাবতী সো্ ওনার থেকে কিছু আস্ক করা যাক এবাউট রাহুল ভাইয়া! [ বলেই চিন্তা করতে লাগলো ] উমম! কি আস্ক করা যায়!
আলিসা : আমি করি?
রোহানী : ওকে! ইন্ট্রেষ্টিং কিছু করবি!
আলিসা : ওকে! [ বলেই স্নেহার দিক তাকিয়ে ] ভাবী আপনি না আমাদের এটা শেয়ার করেন যে আপনি ভাইয়াকে কেনো ভালোবাসেন? এন্ড কতোটুকু আই মিন কতো পার্সেন্ট ভালোবাসেন? আর হ্যা! ভাইয়ার এমন একটা অভ্যাসের কথা বলবেন যেটা আপনার খুবই পছন্দ!
রাহুল : [ মুচকি হেসে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] উমম! বলো এখন!
স্নেহা : [ মাথা নুয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] কে..কেনো ভালোবাসি বব..বলতে গেলে আন্সার হবে নো রিজ্ন! আই লাভ হিম উইদাউট এনি রিজ্ন!
নেহাল : [ তালি দিয়ে ] সুপার্ভ ভাবীই!
স্নেহা : কতোটুকু কক..কতো পার্সেন্ট ভালোবাসি? এক্সুলি আই লাভ হিম অ্যা লট! সো্ আই থিংক ভালোবাসা পার্সেন্ট দিয়ে কাউন্ট করা যায় না! [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] যদিও বলো কতো পার্সেন্ট লাভ করি তা..তাহলে বলবো অতো পার্সেন্ট লাভ করি, যে সংখ্যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ও কখনো কাউন্ট করে শেষ করা যাবেনা!
আলিসা : ওয়াওও ভাইয়া! লুক ভাবী তোমাকে কত্তো লাভ করে! এন্ড অলসো্ ইউ আর সো্ লাকি বয়! হিহি!
রিদোয়ান : গ্রেট স্নেহা! এক্সুলি উই নোও দ্যাট! ইউ বোথ মেড ফর ইচ আদার! সো্ আন্সার এমনিই হবে জানতাম! বাট আম ওয়েটিং ফর ইয়র লাষ্ট কুয়েশ্চন!
শায়লা : ইন্ট্রেষ্টিং ইয়াহ আম অলসো্!
স্নেহা : [ হেসে ] এক্সুলি আমার না রাহুলের সব বেড হ্যাবিটস্ গুলোই পছন্দ! [ সবাই শকড হয়ে তাকালো স্নেহার আন্সারে ]
রাহুল : আর ইউ ক্রেজি স্নেহা? ইফ ইউ লাইক মাই অল বেড হ্যাবিটস্ সো তুত..তুমি আমায় এসবে বারণ করো কেনো?
স্নেহা : বিকজ অল আর বেড হ্যাবিটস! থিংক রাহুল! আমার আপনার বেড হ্যাবিটস গুলো পছন্দ বাট আমি আপনাকে এসবে বারণ করি কারণ এসব আপনার জন্য হার্মফুল!
আসিফ : [ হেসে ] ইন্ট্রেষ্টিং! বাট বেড লাক ফর রাহুল! স্নেহার পছন্দ হলেও তোর কোনো লাভ নেই দোস্ত!
আলিসা : বাট ভাবী! কয়েকটা বেড হ্যাবিটস্ এর নাম বলে দাওনা আমরাও একটু শুনি!
স্নেহা : এলকোহল! ইটস্ ইঞ্জুরিস্ টু লিভার! বাট যখন ও এটা খায় তখন ও অনেক কিউট করে কথা বলে! [ হেসে উঠলো রাহুল ]
আলিসা : হাও কিউট!
স্নেহা : ড্রাইভিং উইদ সানগ্লাস, ইটস্ অ্যা ভেরী ডেঞ্জার ফর অল ড্রাইভারস্! যেটা ও সচরাচরই করে থাকে! বাট যখন ও সানগ্লাস পড়ে তখন ওকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগে!
– আরেকটা যেটা আছে মানে রাতেও সানগ্লাস পড়ে থাকে মাঝেমাঝে! এটা কোনো হার্মফুল না বাট তাও এটা ওর বেড হ্যাবিটস্ এ পড়ে কজ যেহেতু ও বেশিরভাগই ব্লাক ড্রেস পড়ে, সো্ তাতে অনেকে মবস্টার ও ভেবে নিতে পারে অর ব্লাইন্ড ও! [ কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো সবাই ]
রাহুল : এক্সকিউজ মি! মবস্টার অর ব্লাইন্ড ভাববে আমাকে তাই না?
আলিসা : [ হেসে ] বাট ভাইয়া ঠিকই তো বলেছে ভাবী! যেদিন আপনাদের ফাষ্ট মিট হয়েছে, ঐদিনই ভাবী আপনাকে মবস্টার ভেবেফেলেছিলো [ হেসে উঠলো সবাই ]
রাহুল : [ হেসে ] লল!
রোহানী : [ হাসি থামিয়ে ] ও..ওকে রাহুল ভাইয়া নাও ইয়র ট্রান!
– সো্ তুমি না আমাদের একটিং করে দেখাও যে যখন তোমরা রোমেন্স করো তখন ও কি ভাবীর এক্সপ্রেশন লজ্জাবতী থাকে? নাকি অন্যরকম? আই মিন কেমনটা থাকে ওটাই শো করো প্লিজ!
নেহাল : গাইস্ জাষ্ট লাইক এমনটা হয়, যখন রাহুল রোমান্সের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে আর ভাবী বলে কাম বেবী কাম!
রাহুল : নোওওও! শি নেভার টোল্ড মি কাম বেবী কাম! এক্সুলি ও কেমন বিহেভ করে আমি দেখাচ্ছি, [ বলেই স্নেহার কাধে হাত রেখে জড়িয়ে কাছে টেনে নিলো ]
স্নেহা : [ শকড হয়ে আড়চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে ] রার..রাহুলল!
রাহুল : সি্ গাইস্! এমনটাই করে, রার..রাহুল কি করেছেন আপনি, রার..রাহুল কেক..কেউ দেখবে, পি..প্লিজ রাহুল ছাড়ুন, আরে..রার..রাহুল কেউ আসবে, রার..রাহুললল দরজা খোলা,আ..আরে রাহুল কোলে কেনো নিলেন কেউ দেখবে তো না..নামান প্লিজ!
– যদি কারো সামনে ওকে হাত ধরে আটকায়, তখন,
– ল..লজ্জা করে না আপনার সবার সামনেই এসব!
– হোয়েন উই আর ইন কার! এন্ড আই ট্রাই টু কিস হার!
– রার..রাহুল আশেপাশের কেউ দেখবে তো! [ বাকিরা হাসতে হাসতে লুঠিয়ে পড়লো রাহুলের কথা শুনে ]
শায়লা : [ হেসে হেসে ] বাট জিজু! ঠিকই তো গাড়ীতে কিস্ করলে আশেপাশের সবাই দেখবে না বুঝি!
রাহুল : ইয়ার! মাই কারস্ বেক সাইড গ্লাসেস্ আর ব্লাক!
স্নেহা : [ লজ্জায় হেসে রাহুলের মুখ চেপে ধরে ] ওকে স্টপপপ! এখন ওদের ট্রান! [ হাসতে লাগলো সবাই ]
রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] আমার কিসে্র ট্রান কবে দিবে সেটা বলো?
স্নেহা : ছিইই রাহুল! শুনবে ওরা!
রাহুল : ছিঃ তাই না? [ বলেই হঠাৎ ]
রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে টেনে উঠিয়ে ] গাইস্ তোমরা গেইম কন্টিনিউ করো আমরা আসছি! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে নিয়ে হাটা ধরলো ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে রাহুল কোথায় নিচ্ছেন?
আলিসা : [ চেচিয়ে ] ওকেইইই! অল দ্যা বেষ্ট গাইস্!
স্নেহা : আরে কিছু বলছেন না কেনো?
রাহুল : চুপচাপ দেখে থাকো কোথায় নিচ্ছি!
স্নেহা : কিন্তু ও..ওরা.. [ রাহুল কোনো জবাব দিলো না,শিরি দিয়ে নেমে ডিরেক্ট গেষ্ট হাউজের দিক নিয়ে চলে যায়, গেষ্ট হাউজের দরজা খুলেই ভেতরে ঢুকিয়ে লাইট অন করলো ]
রাহুল : নাও আমাদের কেউ ডিষ্টার্ব করবে না!
স্নেহা : মা..মানে?
রাহুল : [ দরজা লক করে স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] মানে হচ্ছে! নাও আই উইল কিস্ ইউ!
স্নেহা : কিক..কিস্
রাহুল : ইয়াহ! কিস্ [ স্নেহা কিছু বলতে যাবে তখনিই রাহুল স্নেহাকে পিছে ঠেলে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দাড় করাই ]
স্নেহা : রাহুল..
রাহুল : শিসসসস! [ বলেই স্নেহার পেটের দিক শাড়ী উঠিয়ে হাতে মুঠি বেধে আলতো করে পেটে চেপে ধরে, সাথে সাথেই স্নেহাও কেপে উঠে রাহুলের জ্যাকেট মুচড়ে ধরলো ]
রাহুল : [ ব্লাশিং হয়ে হেসে স্নেহার গালের সাথে গাল লাগিয়ে দাড়ি ঘষে ] এসেছি শুধু কিস্ করতে স্নেহা! কিন্তু তুমি তো মাথায় নেশা ছড়িয়ে দিচ্ছো! তোমার এই খুশবো… [ বলেই স্নেহার পেট থেকে স্লাইড করে হাত উপরের দিক উঠাচ্ছিলো তখনিই স্নেহা রাহুলের হাত সরিয়ে দিয়ে পাশ মুড়ে চলে যাচ্ছিলো রাহুল আবারো হেসে দেওয়ালে হাত রেখে আটকিয়ে ফেলে স্নেহাকে, স্নেহা লজ্জা পেয়ে পেছন মুড়ে যায় তাড়াতাড়ি ]
রাহুল : [ স্নেহার চুল সরিয়ে পিঠে আলতো একটি চুমু খেয়ে ] তুমি ভাগতে থাকো স্নেহা! আমি আটকাতে থাকবো! তুমি লজ্জা পেতে থাকো আর আমি ভাংগতে থাকবো! [ বলেই স্নেহার শোল্ডারে ব্লাউজের হাত নামিয়ে দাত দিয়ে আলতো করে কামড়ে ধরলো, শিহরে উঠছে স্নেহা বারবারই ]
রাহুল : স্নেহা! [ বলতেই স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের দিক ফিরে তাকালো, ঢোগ গিলছে স্নেহা, জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে, গলার চুল গুলো সরিয়ে নিলো রাহুল! চোখ কুচকে বন্ধ করে ফেললো স্নেহা! তা দেখে রাহুল এক-হাতে স্নেহার হাত মুঠি বেধে ধরে অন্যহাতে কোমোড়ে স্লাইড করে ধরে,গলায় গভীরভাবে চুমু বর্ষণ করতে লাগলো, অন্যএক অনুভুতির সীমানা পাড়ী দিচ্ছিলো স্নেহা! মুঠি বেধে রাহুলের চুল শক্ত করে ধরে রইলো, আর রাহুল তার স্নেহাকে আদর করতেই ব্যস্ত! কিছু সময় পরই রাহুল মুখ তুলে স্নেহার নাকে নাক ঘষে চোখের দিক তাকালো, স্নেহা পা আলগে করে দাড়াতেই রাহুল স্নেহার ঠোট জোড়া নিজের ঠোটের দখলে নিয়ে নিলো, রাহুলের জ্যাকেট খামছে ধরেছে স্নেহা, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে সেও তালমেলাতে লাগলো,
হঠাৎ কিছুসময় পেড়িয়ে যাওয়ার পরই স্নেহা উমম! বলে চেচিয়ে শব্দ করে উঠায় রাহুল ছুটে এসে তাকালো!
স্নেহা : [ ঠোট চেপে ধরে ] আহহ!
রাহুল : [ তাড়াতাড়ি স্নেহার হাত সরিয়ে দেখে কামড় পড়ে স্নেহার ঠোট লাল হয়ে গেছে ] অহ শিট! সরি সরি স্নেহা! আম সরি
স্নেহা : [ হেসে ] ইটস্ ওকে রাহুল!
রাহুল : হোয়াই আর ইউ লাফিং ইডিয়ট!
স্নেহা : আপনার চেহেরা দেখে!
রাহুল : ওহ তাই?
স্নেহা : আম ওকে রাহুল!
রাহুল : শাট-আপ! চলো মেডিসিন লাগিয়েদি! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে পাশ মুড়তেই ]
স্নেহা : [ রাহুলের জ্যাকেটের কলার ধরে কাছে টেনে ] আদর দিয়ে ব্যথা দিয়েছেন! সো্ আদর দিয়েই মেডিসিন দিননা!
রাহুল : মা..মানে? [ বলতেই স্নেহা পা আলগে তুলে রাহুলের দু-গালে হাত রেখে ঠোটে চুমু বসালো, রাহুল ও বুঝতে পেরে হেসে স্নেহাকে পিছে ঠেলে দেওয়ালে লাগিয়ে স্নেহার ঠোটের সাথে তাল মেলাতে লাগলো ]
চলবে…