Love At 1st Sight Season 3 Part – 50

0
6127

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 50

writer-Jubaida Sobti

স্নেহা খুশিতে তালি দিয়ে কখন যে রাহুলের হাত জড়িয়ে ধরে রাখলো খেয়ালই নেই! রাহুল বুঝতে পেরে হেসে তাকিয়ে রইলো স্নেহার দিক, স্নেহা ও খেয়াল করতে পেরে চিমটি দিয়ে আড়চোখে তাকালো রাহুলের দিক,

রাহুল : আহহ! স্নেহা!

স্নেহা : আমার দিক নয় ডান্স ফ্লোরের দিক তাকান!

_________এইদিকে,

মার্জান : [ আসিফের দিক এগিয়ে গিয়ে চিৎকার করে ] শুনেন! ভোট নিবেন বললেন না? কোথায়?

আসিফ : [ কানে হাত রেখে মাথা এগিয়ে দিয়ে ] কি বলছো শুনছি না!

মার্জান : [ আরো জোড়ে চেচিয়ে ] ভোট কোথায়?

আসিফ : শুনছিনা মিউজিকের আওয়াজে!

মার্জান : আরে বলছি আপনি বললেন না ভোট নিবেন সবার কাছ থেকে!

আসিফ : নোট?

মার্জান : ভোট, ভোটটট!

আসিফ : [ পকেটে হাত রেখে ] আপাতত পকেটে দু-টাকার নোট আছে! চলবে?

মার্জান : ইউউ…ইডিয়ট!

আসিফ : [ ডান্স করে করে ] এক্সুলি মিউজিক চলছে তো তাই কন্ট্রোল করতে পারছি না নিজেকে!

মার্জান : [ মুখ ভেংগিয়ে ইচ্ছে করেই গায়ে লেগে ধাক্ষা দিয়ে ] উফফ! সরি! [ বলেই চোখ টিপ মেরে নেচে নেচে শায়লার পাশে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে, হাসতে থাকে আসিফ ]

শায়লা : [ তালি দিয়ে লাফিয়ে উঠে ] উফফ গাইস্! কি না ডান্স! ছিলো..কিন্তু সবাই ডান্স দিচ্ছে আমি বাদ যাবো কেনো?

রিদোয়ান : ওহ! নটি গার্ল হোয়াই আর ইউ ওয়েটিং?

জারিফা : আরে তো যা না… [ বলেই ডান্স ফ্লোরের দিক ধাক্ষা দিলো ]

মার্জান : হেইই! শায়লা ঐ গানটায় ওকে?

শায়লা : [ দৌড়ে চেচিয়ে ] ওকে!

___________ মিউজিক ~~~

♪♪ মুনডা থোডা অফবিট হে ♪♪
♪♪ পার কুরিয়া দেনাল বহোদ সুইট হে ♪♪

♪♪ ডোংগিসা্ ইয়ে বাডা ডিট হে ♪♪
♪♪ ভাইরাল হোগেয়া ইয়ে টুইট ♪♪

[ তাল সামলাতে না পেরে রিদোয়ান ও নেচে নেচে এগিয়ে গেলো ডান্স ফ্লোরে ]

♪♪ পার ফুল ভুল কারনে মে কুল ♪♪
♪♪ তু বাডি তেজ কিটারি হে ♪♪

♪♪ সাগান তেরি কি, লাগান তেরি কি ♪♪
♪♪ হামনে কারদি তায়ারি হে ♪♪

[ আসিফ ও পেছন থেকে এগিয়ে শোল্ডার দিয়ে মার্জানকে ধাক্ষা দিয়ে দৌড়ে জয়েন করে ডান্স ফ্লোরে ]

♪♪ নাচদে নে সা্রে রাল মিলকে ♪♪
♪♪ আজ হিল ডুল কে ♪♪
♪♪ লে সা্রে কে সা্রে নাজা্রে ♪♪

♪♪ নাচদে নে সা্রে রাল মিলকে ♪♪
♪♪ আজ হিল ডুল কে ♪♪
♪♪ লে সা্রে কে সা্রে নাজা্রে ♪♪

♪♪ খাস্ মানু খানে ♪♪

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইয়ার মার্জান, চলনা আমরা ও যায়,

[ মার্জান কোনো জবাব দিলো না, রাগ চাপা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে আসিফের দিক, ঐ দিকে রাহুল ও সি্টে বসে হাত নাড়িয়ে, নেচে নেচে শিসস বাজাতে লাগলো, সাথে স্নেহাকে ও টিস্ করে করে ধাক্ষাতে লাগলো,জারিফার চোখ পড়তেই সে ও দৌড়ে গিয়ে রাহুল স্নেহা, দুজনকেই টানতে থাকে ডান্স ফ্লোরে আসার জন্য, স্নেহা তো হাত ছুটিয়ে আবারো বসে পড়লো সিটে, কিন্তু রাহুলকে আর কে থামায়, জারিফার হাত ধরে নিয়ে সে ও নেচে নেচে এগিয়ে চলে আসে ডান্স ফ্লোরে ]
_______ ♪♪

♪♪ জোর জোরসে্, সোর বোর কারে ♪♪
♪♪ ডিজে গানে বাজানে আ ♪♪
♪♪ রুঠডে রুঠডে জিজা, ফুফাদ ♪♪
♪♪ হামনে সা্রে মানানে হা ♪♪

রিদোয়ান : [ মার্জান এর দিক দৌড়ে এসে ] আরে ডার্লিং তুমি আবার এইখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো! [ বলেই টেনে নিয়ে চলে যায় ডান্স ফ্লোরে ]

♪♪ পার ফুল ভুল কারনে মে কুল ♪♪
♪♪ তু বাডি তেজ কিটারি হে ♪♪

♪♪ সাগান তেরি কি, লাগান তেরি কি ♪♪
♪♪ হামনে কারদি তায়ারি হে ♪♪

♪♪ নাচদে নে সা্রে রাল মিলকে ♪♪
♪♪ আজ হিল ডুল কে ♪♪
♪♪ লে সা্রে কে সা্রে নাজা্রে ♪♪

♪♪ নাচদে নে সা্রে রাল মিলকে ♪♪
♪♪ আজ হিল ডুল কে ♪♪
♪♪ লে সা্রে কে সা্রে নাজা্রে ♪♪

সবাই আনন্দে মেতে উঠে আরো অনেকেই জয়েন করে ডান্স ফ্লোরে একসাথেই উরাধুরা ডান্স করতে লাগলো একের পর এক গানে, রাহুল তার মা এবং স্নেহার মা কে ও টেনে নিয়ে চলে আসে ডান্স ফ্লোরে, অন্যদিকে রিদোয়ান, আসিফ এবং রাশু মিলে স্নেহার বাবা এবং রাহুলের বাবাকে না চাইতেও জোড় করে করে নাচাতে লাগলো, স্নেহা বসে বসে দেখছে আর হাত তালি দিচ্ছে, খুশিতে যেনো তার চোখ থেকে এক্ষুণিই পানি গড়িয়ে পড়বে,

একদুঘন্টা একনাগাড়ে নাচানাচি করে হাপিয়ে উঠে স্নেহার পাশে এসেই বসলো রাহুল,মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে স্নেহা, উইন্টার সিজন অথচ তাও ঘাম দিচ্ছে রাহুলের শরীরে, ওড়নার আচল তুলে ঘাম মুছে দিতে লাগলো স্নেহা,রাহুল ও চান্স পেয়ে এদিক আছে ওদিক আছে বলে বলে ইচ্ছে করেই স্নেহার দিয়ে আরো এক্সট্রা মুছাতে লাগলো, অতপর রাহুলের হাসিতে স্নেহা বুঝতে পেরে যা শক্তি ছিলো তা দিয়েই দিলো আবার চিমটি,

আসিফ : হেই গাইস্ কাম!

রাহুল : কোথায়?

আসিফ : ডিনার করতে!

রাহুল : অহ! শিয়র! শিয়র, আমার তো অলরেডি ক্ষিধেই পেটের মধ্যে ডান্স চলছে,কাম স্নেহা! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে নামিয়ে নিলো ]

ডিনার টেবিলে আসতেই দেখে, বাকিরা আগে থেকেই বসে আছে,

জারিফা : মিসেস্ রাহুল, আপনি তো ডান্স মাষ্টার, আজ সবাই ডান্স করলো অথচ আপনি একটু ও ডান্স করলেননা!

স্নেহা : আমি তোদের বিয়েতে ডান্স করবো তাই!

জারিফা : হুমম! তাতো অবশ্যই বাট তাও নিজের বিয়ে বলে কথা,

হঠাৎ,

রাহুলের মা : [ এগিয়ে এসে ] আরে তোমরা এখনো শুরুই করোনি, ক্ষিধে পাইনি তোমাদের? না খেয়ে ডান্স করতে করতে তো আজ সবাই শুকিয়ে যাবা!

মার্জান : এক্সুলি আন্টি আমরা না আপনার জন্য ওয়েট করছিলাম!

আসিফ : হ্যা! অলরেডি এক প্লেট খেয়ে!

মার্জান : [ নাক ফুলিয়ে ] আপনি কখন দেখলেন আমাকে খেতে?

রাহুলের মা : [ আসিফের মাথায় বাড়ি মেরে ] শয়তান! এমন করছিস কেনো ওদের, যা খেতে বয়!

আসিফ : [ মার্জানের বরাবর অপোজিটে বসে ] ওহো আন্টি! এই টেবিলে খাওয়ার পাবো বলে তো মনে হচ্ছে না,লিটল এলিফ্যান্ট বসেছে বলে কথা, [ বলেই চোখ টিপ মারলো মার্জানকে, বাকিরা হেসে উঠলো মুখে হাত দিয়ে ]

রাহুলের মা : কি বলছিস এসব এইখানে এলিফ্যান্ট আসবে কোথার থেকে, পাগল একটা! [ বলেই খাবার সার্ব করে দিতে লাগলো, নাকফুলিয়ে আসিফের দিক আড়চোখে তাকিয়ে রইলো মার্জান,যেনো এক্ষুণিই গিলে খেয়ে ফেলবে ]

রাহুলের মা : আচ্ছা তোমরা খাও! আমি আসি! [ এইদিকে, রাহুল ইচ্ছে মতো স্নেহার প্লেটে ঢালতে আছে ]

স্নেহা : আরেহ কি করছেন এসব? [ বলেই নিজের প্লেটটা রাহুলকে দিয়ে রাহুলেরটা নিয়ে নিলো, রাহুল ও কি করার তারটা পাশে বসা শায়লাকে দিয়ে শায়লার প্লেটটা নিয়ে নিলো ]

শায়লা : অহ মাই গড এত্তগুলা কে খাবে? [ বলেই পাশে বসা রিদোয়ানকে প্লেটটা দিয়ে রিদোয়ানের প্লেটটা নিয়ে নিলো, রিদোয়ানের আর খবর নেই পাশে বসা জারিফার দিক তাকিয়ে আছে ]

রিদোয়ান : [ জারিফাকে ফিসফিসিয়ে ] বেবী! খাইয়ে দাওনা!

জারিফা : কতো বছরের বাচ্চা আপনি?

রিদোয়ান : এইতো মাত্র! চব্বিশ হবে!

জারিফা : মাত্র?

রিদোয়ান : [ মাথা নাড়িয়ে ] ইয়েস্

জারিফা : [ ডেজার্ট থেকে চামচ কেটে নিয়ে রিদোয়ানের মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে ] তাহলে তো আপনাকে এভাবে সেরেলাক খাওয়ানো উচিৎ! রাইস্ না!

রিদোয়ান : [ মুখ থেকে চামচটা প্লেটে রেখে ] তুমি না আসলে অনেক সেল্ফিশ হয়ে গেছো, আগে থেকে! [ শায়লার দিক তাকিয়ে ] আরে শায়লা আস্তে খাওনা লিপ স্টিক চলে যাবে তো!

শায়লা : [ চমকে উঠে ] যাক বাবা এখনো মুখেও দিলাম না! [ হেসে উঠলো বাকিরা ]

আসিফ : আরে তাড়াতাড়ি মুখে দাও নাহয় পড়ে পাবা না, মানে বুঝছো তো কি হতে পারে,

শায়লা : [ মার্জানের দিক তাকিয়ে শান্তনা দিয়ে ] আরে তোর কথা বলছে না,লিটল এলিফ্যান্ট এর কথা বলছে! [ খাবার মুখে হাসতে গিয়ে কেশে উঠলো আসিফ, পানি এগিয়ে দিলো রাহুল ]

শায়লা : [ তাড়াতাড়ি জিহবায় কামড় দিয়ে মার্জানের দিক তাকিয়ে ] সরি! আমি ওটা মিন করিনি! [ রাগান্বিত চোখে আসিফের দিক তাকিয়ে আছে মার্জান, আসিফ বুঝতে পারছে রাগে ফুলছে, যে কোনো মুহূর্তেই তার সাথে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে, কিন্তু কি করার মজাও লাগছে অনেক তার,যা হবার হবে তাও রাগিয়ে ছাড়বে ]

আসিফ : আরে শায়লা! সত্য গোপন থাকে না মুখ পিছলে ও বেড়িয়ে যায়!

রিদোয়ান : [ মার্জানকে আরো খাবার সার্ব করে দিয়ে ] আরে ডার্লিং খাচ্ছো না কেনো! তুমি খেতে থাকো,ওর কাজই পাপির মতো বক বক করা!

মার্জান : থেংক্স! এন্ড নাইস এক্সাম্পল! [ মুচকি হাসলো আসিফ ]

অতপর, ডিনার শেষে সবাই হ্যান্ড-ওয়াস করে ধীরেধীরে উঠতেই যাচ্ছে,

মার্জান : [ তার প্লেটে থাকা চিকেনের কিছু হাড্ডি সহ প্লেটটা হাতে তুলে ধরে ] সো্ পাপ্পিস্ ফেভরিট ফুড ইস রেডি! [ আসিফের দিক তাকিয়ে ] আপনার ও একবার ও টেষ্ট করা উচিৎ! সবার প্লেটে প্লেটে ও আছে লাগলে আরো নিতে পারেন!

আসিফ : এক্সুলি আই ডোন্ট লাইক পাপ্পি বাট! আই থিংক এলিফ্যান্ট হলে ভালো হতো! অহ সরি, লিটল এলিফ্যান্ট,[ বলতেই মার্জান সামনে থাকা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে, পানি সব ছুড়ে মারলো আসিফের মুখে ]

শায়লা : [ মুখে হাত দিয়ে ] অহ মাই গড! [ আসিফ, রাহুল,জারিফা তিনজনই কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো আসিফের হাল দেখে, মার্জান দাত দেখানো একটা হাসি দিয়ে হনহন করে চলে যায় ]

স্নেহা : ওয়াও! দিস্ ইস্ সো্ মাচ ফানি! [ এক্সাইটেড হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] কেন আই ট্রাই দিস রাহুল?

রাহুল : মানে?

স্নেহা : ওয়েট! [ বলেই টেবিল থেকে গ্লাসটা এগিয়ে নিয়ে,হুট করেই গ্লাসে থাকা পানি সব ছুড়ে মারলো রাহুলের মুখে, রাহুল তো হতভম্ব,চোখ কুচকে বন্ধ করে অতোটুকুতেই স্থির হয়ে গেছে, এক মুহুর্তের জন্য ও প্রস্তুত ছিলো না রাহুল ]

রিদোয়ান : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] বাহ বাহ! স্নেহা! গুড জব! দোস্ত তোকে এখনি লাগছে দুলার মতো! [ বলতেই হঠাৎ নিজের মাথায় ভেজা ভেজা কিছু অনুভব করতে লাগলো,মাথায় হাত দিয়ে উপরের দিক তাকাতেই, আর কিছু খেয়াল করতে পারলো না মুখের উপর আধা জাগ পানি ঢলে পড়লো শুধু এটাই বুঝতে পারলো ]

জারিফা : আমি ও বাদ যাবো কেনো,সবাই করেছে আমারও কি ইচ্ছে হয়না!

রিদোয়ান : [ ফু মেরে মুখ থেকে পানি ফেলে ] তাই বলে তুমি একধাপ এগিয়ে, গ্লাস থেকে ডিরেক্ট জাগ এ চলে গেলে,

স্নেহা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] আরে! রাহুল! জাগেরটা ও একবার ট্রাই করি!

রাহুল : না স্নেহা! জাগ কেনো? আমি কি পানির ট্রাংক এনে দেবো?

স্নেহা : আরে না! পাগল নাকি!

জারিফা : [ স্নেহাকে টেনে নিয়ে ] চল স্নেহা!

স্নেহা : কোথায়?

জারিফা : আরে আয় না! [ বলেই টেনে নিয়ে চলে যায় ]

[ ওয়েটার মুচকি হেসে টিসুর বাক্স টেবিলে এগিয়ে দিলো ]

রাহুল : ব্রো আজকে কি হলি?

ওয়েটার : [ মুচকি হেসে ] না স্যার!

শায়লা : আপনাদের তো বাসায় গিয়ে আর শাওয়ার নিতে হবে না, আজই করিয়ে দিলো! [ হেসে ] এবার আমিও যায়..

রিদোয়ান : [ শায়লার ওড়না টেনে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে ] তুমি আবার কই যাও! [ বলেই শায়লার ওড়নার আচল দিয়ে মাথা মুছতে লাগলো, রাহুলের ও কি আর করার শায়লার ওপাশের আচল ধরে সেও মুছা শুরু করে দিলো ]

শায়লা : [ মাথা ঘুরিয়ে দু-পাশে চোখ বুলিয়ে ] এক্সকিউজ মি! আপনারা আমার ওড়নাটাই পেলেন মুছতে!

রিদোয়ান : দেখো তোমার ফ্রেন্ডসরা আমাদের সাথে বেইমানী করেছে, পানিশমেন্ট তো শুধু আসিফের পাওয়ার উচিৎ ছিলো তাই না!

আসিফ : হ্যাঁ আমার পানিশমেন্টের খুশিতে নাচতে গিয়েই তো উল্টো নিজেই পড়ে গেলি সেই পানিশমেন্টে!

শায়লা : ভালোই করেছে আপনাকে পানি মেরে,আপনি কখন থেকেই ওকে রাগাচ্ছেন বলেন তো?

আসিফ : আসলে পানিসব রাহুলকেই মারা উচিত ছিলো!

রাহুল : এক্সকিউজ মি!

আসিফ : আজ সকাল থেকে পানি মারার শুরুটা তুই আগে শুরু করেছিস!

হঠাৎ,

রাহুলের মা : [ এগিয়ে এসে ] আরে তোরা ভিজে আছিস কেনো?

রাহুল : গগ..গরম লাগছিলো..মা তাই ভাবলাম একটু মাথায় পানি ঢালি!

রাহুলের মা : [ শাড়ীর আচল টেনে আরো মুছে দিতে দিতে ] কিসব আজেবাজে কান্ড করিস না তোরা! এটা মাথায় পানি ঢালার সময়? আর এই উইন্টার সিজনে তোদের একদম কোন গরমে জড়িয়ে রেখেছে!

শায়লা : হ্যা! আন্টি আ..আমিও এটাই বলছিলাম ওদের! [ বলেই মুচকি হেসে ধীরেধীরে হাটা ধরে ]

রাহুলের মা : মেয়েগুলো থেকে কিছু শিখ! কি সুন্দর খাবার-দাবার খেয়ে ঐখানে সবার সাথে ছবি তুলছে কথা বলছে, আর তোরা আছিস তোদের বদমাইশি নিয়ে!

রিদোয়ান : [ ফিসফিসিয়ে ] হ্যা আমাদের ব্যান্ড বাজিয়ে এখন ওরাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো!

রাহুলের মা : কি বলছিস ফিসফিস করে বড় করে বল!

রিদোয়ান : না আন্টি বলছি যে আসলেই কি নাজুক নাজুক মেয়েগুলো তাই না!

রাহুলের মা : তা তো বটেই! আর তুই তো পুরা শাওয়ারই নিয়ে নিয়েছিস মনে হচ্ছে! [ বলেই মাথা টেনে মুছে দিতে লাগলো, রাহুল আর আসিফ হেসে উঠলো ]

এইদিকে, স্নেহা রাহুলের অপেক্ষায় বসে আছে একা চেয়ারে, আর জারিফা আর শায়লা ডান্সে যোগ হয়ে গেলো আবার,মার্জানের তো খবরই নেই!
হঠাৎ পাশ মুড়তেই দেখে মিষ্টার তেডি স্মাইল চুল-টুল ঠিক করে আবারো সেই সানগ্লাস চোখে লাগিয়ে এইদিকটায় এগিয়ে আসছে,মুচকি হাসলো স্নেহা!

রাহুল : [ স্নেহার পাশে বসে ] কাজটা কি করে এসেছো তুমি?

স্নেহা : এটা আপনার পানিশমেন্ট ছিলো সকালের কান্ডের! এতো এক্টিং করেছিলেন কেনো তখন বলেন তো? জানেন আমি সারাদিন কতো টেনশনে ছিলাম? তারউপর মোবাইলটাও সুইচ-অফ করে রেখেছিলেন!

রাহুল : মোবাইলের ব্যাটারী লো ছিলো,

স্নেহা : আপনার মোবাইলের কখনোই চার্জ থাকে না, আচ্ছা চার্জার ও ছিলো না নাকি? যে চার্জ দিয়ে ও ফোন দিতে পারেননি,

রাহুল : তোমার সাথে দেখা করে আমি বাসায় গিয়েছিলাম বিকেলে,

স্নেহা : হোহ! এতো লেইট লাগলো কেনো পৌছাতে?

রাহুল : সামিরের কাছে গিয়েছিলাম তাই!

স্নেহা : আপনি আবার…

রাহুল : [ স্নেহার মুখে হাত রেখে ] স্টপ!

স্নেহা : আরে কিন্তু..

রাহুল : বললাম তো স্নেহা! স্টপ! [ মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায় স্নেহা ]

________ এইদিকে,

শায়লা : আরে মার্জান তুই কোথায় হারিয়ে গিয়েছিস খুজতে খুজতে শেষ হয়ে যাচ্ছি,

মার্জান : একটা ইম্পর্টেন্ট মিশন কমপ্লিট করছিলাম, ব্যাস এখন শুধু কোনো ভাবে কাজটা চালাতে হবে,

শায়লা : কিসের মিশন?

মার্জান : তুই বুঝবি না!

শায়লা : [ কনফিউজড হয়ে ] আমি বুঝবো না? ওকেই! আচ্ছা হ্যা! শোন [ চোখ টিপ মেরে ] আসিফ ও খুজছিলো!

মার্জান : খুজবেই তো সময় খারাপ আসলে নাকি রাজা ও মাথা ঝুকিয়ে নেই! বাই দ্যা ওয়ে, এসব ইডিয়ট পার্সনদের জন্য আমার কাছে টাইম নেই! হুহ! [ বলেই পাশ ফিরে চলে যাবে তখনিই দেখে দু-তিন-হাতের দূরত্বেই একটা চেয়ারের দিক এসে বসেছে আসিফ ]

মার্জান : [ কিছুটা কাছে এগিয়ে গিয়ে ] এই লুজার চেহেরা নিয়ে উইনারের সামনে আসতে লজ্জা করে না আপনার ?

আসিফ : রেজাল্ট তো এখনো আমার হাতে,তুমি কিভাবে বুঝলে যে তুমিই উইনার! [ বলেই পাশের আরেকটি চেয়ার টেনে, একটি বক্স এগিয়ে নিয়ে ] এই বক্সের কাগজেই আছে রেজাল্ট, আমার ভোট আছে সেভেন্টি পার্সেন্ট, তোমার টুয়েন্টি.. আচ্ছা যাও আরও ফাইভ পার্সেন্ট বাড়িয়ে দিলাম, টুয়েন্টি ফাইভ পার্সেন্ট তোমার!

মার্জান : এসব ভোট কবে হয়েছে শুনি? আমি কি এতোক্ষণ উগান্ডায় ছিলাম?

আসিফ : তুমি উগান্ডায় ছিলা নাকি আফ্রিকায় ছিলা তাতো আমি জানিনা, বাট ভোট হয়ে গেছে এটাই জানি!

মার্জান : শুনেন আপনার এসব ফালতু চোরামির ভোটে না, আমার কোনো ইন্ট্রেষ্ট নেই! টুয়েন্টি ফাইভ পার্সেন্ট ভোট গুলো ও আপনার নামেই করিয়ে নিন, সব মিলিয়ে নাইন্টি ফাইভ পার্সেন্ট চোরা ভোট হয়ে যাবে আপনার!

– আর কান খুলে শুনে রাখুন আমার জন্য রেজাল্ট না, পাবলিকের তালিই ইনাফ! হুহহ! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো, তখনিই ]

আসিফ : দেখলা শায়লা? লুজাররা কিভাবে ভয়ে চ্যালেঞ্জ এর রুলস ভংগো করে? বাট ডোন্ট ওয়ারি আমি এমনিও আগে জানতাম এমনটাই হবে,

মার্জান : ঠিকাছে যান, আমিই হেরেছি, আপনিই উইন হয়েছেন, বাট হু কেয়ারস্? এভ্রিওয়ান নোও দ্যাট, হু ইস বেট্যার ডান্সার! [ বলেই চলে যাচ্ছে তখনি আবার ]

আসিফ : [ হেসে ] বাট রুলস্ আরেকটা ভংগো করছো! যেহেতু আমি উইনার তাহলে.. রুলস অনুযায়ী উইনার যা বলবে লুজার তাই করবে!

মার্জান : [ দাঁত দেখানো একটা হাসি দিয়ে ] আচ্ছা তাইইই? তো বলুন কি করতে পারি আপনার জন্য?

আসিফ : কঠিন কিছু না! সিম্পল একটা জিনিষ! আমার পেছন পেছনই থাকবা, যতোক্ষণ প্রোগ্রাম চলবে,

মার্জান : আপনার মাথা ঠিকাছে? আমি আপনার পেছন পেছন ঘুরবো?

শায়লা : আরে মার্জান সিম্পলই তো, শুকোর কর এর চেয়ে বেশি কঠিন কিছু দেইনি!

মার্জান : তুই চুপ কর!

আসিফ : [ হেসে ] আচ্ছা ঠিকাছে! তোমার জন্য নেক্সট অপশন! যেহেতু আমরা বরপক্ষ তাহলে তোমার এমনিতেও উচিৎ আমাদের এক্সট্রা আপ্যায়ন করা! সো তুমি এককাজ করো… [ আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে ] হ্যা! ঐখান থেকে দু-গ্লাস জুস আনবা, একটা তোমার জন্য একটা আমার জন্য! আমার অপোজিটে বসে খাবা আমার সাথে,[ মুখ কাছে এনে ] ও হ্যা! চোখে চোখ রেখে!

মার্জান : [ মনে মনে ] ওয়াও! নট বেড আইডিয়া! এই সুযোগে তো আমার মিশনটাও কমপ্লিট হয়ে যাবে! কিন্তু জুস না চেয়ে আইসক্রিম চাইলে কাজটা আরেকটু সহজ হতো, ঠিক এমনটাই আইস্ক্রীমের বরফ মুখে লাগিয়ে রস টেনে নিতেই মুখ জ্বলেপুরে ছায় হয়ে যাবে!

– বাট ডোন্ট ওয়ারি মিষ্টার! কাজটা নাহয় জুস দিয়েই চালিয়ে দিবো!

আসিফ : [ মুখের সামনে হাত নেড়ে ] ও হ্যালো! এক্ষুণিই চোখের মাঝে হারিয়ে গেলে! নট বেড কাজে তো অনেক ফাষ্ট বেড়িয়েছো তুমি আই লাইক ইট!

মার্জান : [ মুচকি হেসে ] জ্বি! স্যার এবার আপনি পার্মিশন দিলে আমি কি আপনার আপ্যায়ণের কাজে লেগে যেতে পারি?

আসিফ : শিয়র! [ মার্জান মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো জুস আনতে ]

শায়লা : আরে ওয়াহ! এতো সহজেই মেনে নিয়েছে! আপনার চোখের জাদু কাজে লেগে গেছে বোধ হয়, [ হাসতে লাগলো আসিফ ]

– আচ্ছা আমি আসি, আর আপনি আপনার কাজে লেগে পড়িয়েন, হিহি! [ বলেই হুরহুর করে চলে গেলো ]

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওয়েট করলো আসিফ, মনে মনে ভাবছে, জুস আনতে গিয়ে নিজেই জুস হয়ে বসে আছে নাকি কি জানি! পাঁচ দশমিনিট পেড়িয়ে যাওয়ার পর চোখ পড়লো, আসছে এংগ্রি বার্ড,

মার্জান : [ মুচকি হেসে ] হ্যালোওও! আপনার জুস রেডিইই! একটা অরেঞ্জ ফ্লেভার আরেকটা গ্রেপ ফ্লেভার এনেছি, [ বলেই অরেঞ্জ জুসটাই নিজ হাতে এগিয়ে দিলো আসিফকে ]

আসিফ : [ মনে মনে ] ওয়াও নিজ হাতেই এতো সুন্দর করে এগিয়ে দিচ্ছে…উমম! এতো সহজে ট্রাষ্ট করা যায় না এই এংগ্রি বার্ডকে, ও যেটা এগিয়ে দিচ্ছে, আম শিয়র, নিশ্চয় কিছু না কিছু মিশিয়ে এনেছে এই জুসের সাথে!

মার্জান : আরে কি ভাবছেন? নিন! অরেঞ্জ জুস, হেলদ এর জন্য ও পুষ্টিকর!

আসিফ : না থাক, অরেঞ্জটা তুমিই খাও আমি গ্রেপটা খায়! [ বলেই গ্রেপ জুসের গ্লাসটায় এগিয়ে নিলো ]

মার্জান : আরে আরে! আপনি অরেঞ্জটা খান,এটা স্পেশাল ভাবে বানিয়ে এনেছি,আপনাকে যাতে স্পেশালভাবে আপ্যায়ন করতে পারি, গ্রেপ জুসটা ছোলা সহ বানিয়েছে নিশ্চয় তাই দেখছেন না ডার্ক গ্রীন!

আসিফ : [ জুসের গ্লাসের দিক তাকিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করে ] নো থেংক্স স্পেশালটা তুমিই খাও, আমি এটাই খায়, [ চেয়ার টেনে দিয়ে ] কাম! সি্ট! [ মার্জানের ও কি আর করার বসে পড়লো চেয়ারে ]

আসিফ : [ মনে মনে হেসে ] হুমম! নিজেকে অতি চালাক মনে করলে এমনি হয়! এবার নিজেই ফাসো নিজের জ্বালে! [ বলেই তাকিয়ে রইলো মার্জানের চোখের দিক ]

মার্জান : [ মুখ গোমড়া করে আসিফের দিক তাকিয়ে মনে মনে ] আহা! এখন তো দেখছি, উট পাহাড়ের নিচে নয়,পাহাড়ই উটের নিচে চলে এলো, নিজেকে অতি চালাক মনে করলে এমনিই হয় মিষ্টার!

আসিফ : কি ভাবছো খাও!

মার্জান : হ্যা! আ..আপনিও খান! [ বলেই গ্লাস মুখের দিক এগিয়ে নিলো, সাথে আড়চোখে ও তাকাচ্ছে আসিফের দিক, আসিফ ও হেসে জুস মুখে দিতেই চোখ বড় করে ফেলে, মুখ থেকে ফেলতেই যাবে তখনি ]

মার্জান : [ চেচিয়ে ] আরে আরে কি করছেন ফ্লোর নষ্ট হবে তো, [ বলেই মুখ চেপে ধরে ] গিলে নিন,গিলে নিন! [ ততোক্ষণে গিলেই ফেললো আসিফ, জ্বালে জিহবা জ্বলে পুরে এক হয়ে যাচ্ছে,কান দিয়ে যেনো ধুয়া বেরুচ্ছে ]

মার্জান : কি করছিলেনটা কি আপনি? মানুষ দেখলে কি বলবে, এতো সুন্দর হ্যান্ডসাম একটা ছেলের মেন্যার নেই! সবার সামনেই বমি করছেন ভাবতো! হুহ… [ ভোর কুচকে গড়গড় চোখে তাকিয়ে রইলো আসিফ ]

মার্জান : [ মুচকি হেসে ] আচ্ছা অরেঞ্জ জুস খাবেন? থাক আপনি তো খাবেন না বলেছেন, এটা আমি স্পেশাল ভাবেই বানিয়েছিলাম, তাই আমিই খায়, [ বলেই গডগড করে পুরো অরেঞ্জ জুসটা খেয়েই নিলো ] আরে আরেহ! আপনি টমেটোর মতো লাল হয়ে যাচ্ছেন কেনো? বাহহ! কাউকে দেখে ব্লাশিং হচ্ছেন নাকি? আশেপাশে তো অনেক মেয়ে..কাকে বুঝবো! উমমম [ চোখ টিপ মেরে ] নাকি কোনো আমাকে দেখে! [ বলেই কিটকিটিয়ে হেসে, মুখ ভেংগিয়ে উঠে হনহন করে চলে আসে, ডান্স ফ্লোরের দিক ]
_______________ অন্যদিকে,

রাহুলের মা : [ স্নেহা আর রাহুলের দিক এগিয়ে এসে, দুটো রিং বক্স আগলে দিয়ে ] এই নাও, এবার দুজন দুজনকে, রিং দুটো পড়িয়ে দাও, হুটহাট করেই প্রোগ্রাম সব করতে হচ্ছে, তাই আলাদা করে এনগেজমেন্ট করার টাইমই পায়নি! [ রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকালো স্নেহার দিক, স্নেহা চোখ সরিয়ে ফেললো, বুঝতে পারলো রাহুল আবারও রেগে আছে ]

জারিফা : ওহো আন্টি! যে প্রোগ্রাম দিলেন না, দুটো প্রোগ্রামের চেয়ে কম নাকি!

শায়লা : ওহ কামঅন! কামঅন! স্নেহা হাত এগিয়ে দে! [ রাহুল রিং এগিয়ে নিয়ে স্নেহার হাতে পড়াতেই যাবে হঠাৎ তখনি আবার থেমে গিয়ে, উঠে দাঁড়ায়, সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ডান্স ফ্লোরের দিক এগিয়ে চলে গেলো ]

শায়লা : [ ফিসফিসিয়ে ] আরে জারিফা! এরা কই যাচ্ছে রিং না পড়িয়ে?

জারিফা : [ চোখ মেরে ] আই থিংক কিছু আলাদা আন্দাজ দেখাতে! আচ্ছা চল [ বলেই এগিয়ে গেলো ]

[ রাহুল স্নেহার হাত ছেড়ে মিউজিশিয়ানদের কাছে এগিয়ে গিয়ে, কানে কানে কি যেনো বলে ওদের কাছ থেকে স্পিকারটা এগিয়ে নিলো ]

শায়লা : অও! এবার বুঝলাম! [ রিদোয়ান শিস! বাজিয়ে উঠলো রাহুল আর স্নেহাকে ডান্স ফ্লোরে দেখে, হঠাৎ মিউজিক টোন বেজে উঠলো ]

রিদোয়ান : [ দৌড়ে গিয়ে আরেকটি স্পিকার এগিয়ে নিয়ে ] লেডিস এন্ড জ্যান্টেলমেন উড ইউ হ্যান্ডস্ টুগেদার ফর আওয়ার দুলা এন্ড দুলহান, মিষ্টার এন্ড মিসেস রাহুলললল! [ এক্সাইটেড হয়ে তালি বাজিয়ে উঠলো সবাই, স্পিকার হাতে সরে দাড়ালো রিদোয়ান, চারদিক মিউজিকের ধুমধুম আওয়াজ, যেনো সবারই নাচের তাল উঠতে চলছে ]

_____রাহুল ♪♪

♪♪আরে কাবতাক জাওয়ানি ছুপা ওগি রাণী ♪♪
♪♪ খানওয়ারো কো কিতনা সা্থা ওগি রাণী ♪♪
♪♪ কাভী তো কিসি্ কি দুলহানিয়া বানোগি ♪♪

♪♪ মুঝসে্ শাদী কারোগি ♪♪
?
♪♪ মুঝসে্ শাদী কারোগি ♪♪

♪♪ মুঝসে্ শাদী কারোগি ♪♪
♪♪ মুঝসে্ শাদী কারোগি ♪♪

[ হেসে উঠলো স্নেহা, রাহুল রিং সহ হাত বাড়িয়ে রাখলো,স্নেহা হাত বাড়াতে যাবে তখনি রিদোয়ান এসে স্নেহার সামনে নেচে নেচে হাত বাড়ালো, স্নেহা ও সুযোগ পেয়ে রিদোয়ানের হাতে হাত ঢুকিয়ে রাহুলকে বাই দেখালো, রিদোয়ান কমোড় ধুলিয়ে নেচে নেচে স্নেহাকে নিয়ে একপাশ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো, রাহুল ও কি আর করার হাসতে লাগলো ]

জারিফা : আরেহ! [ বলেই দৌড়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে টেনে রাহুলের দিক নিয়ে যাচ্ছিলো, রিদোয়ান ও ছাড়ছে না অতো সহজে স্নেহার আরেক হাত টেনে ধরে রাখলো, জারিফা ও হাল ছাড়ার পাত্র নয়, টানতেই চলছে স্নেহাকে, এইদিকে বাকিরা হাসতে হাসতে লোড হয়ে যাচ্ছে, জারিফার পক্ষে শায়লা ও এসে যোগ দিলো ]

অবশেষে রিদোয়ান আস্তে আস্তে স্নেহাকে ছেড়ে দিলো, জারিফা আর শায়লা ইয়েএএ বলে চিৎকার করে স্নেহাকে রাহুলের দিক এনে দিলো,

রিদোয়ান : [ চেচিয়ে কাদো কন্ঠে ] নো স্নেহা নো ডোন্ট লিভ মি! [ সবাই আবারো হাসতে লাগলো, রাহুল ও হেসে রিং পড়াতে যাচ্ছিলো তখনি খেয়াল করলো স্নেহার ফিংগারে অলরেডি রিং পড়া! রাহুল খুলে নিতে চাইলো কিন্তু স্নেহা বাধা দিলো ]

রাহুল : কামঅন স্নেহা! দুটো এক ফিংগারে কিভাবে পড়াবো?

স্নেহা : এটা আমাদের ভালোবাসার প্রথম নিশান রাহুল! এটা এই আংগুলেই থাকবে, [ বলেই ডান হাত এগিয়ে দিলো ]

রাহুল : [ মুচকি হেসে ] ওকেই! [ বলেই ডানহাতেই পড়িয়ে দিলো রিংটি, স্নেহা ও রাহুলকে পড়িয়ে দিলো, সবাই একত্রে তালি দিয়ে উঠলো আবারো, মার্জান ও এক্সাইটেড হয়ে তালি দিয়ে এপাশ,ওপাশ উকি দিতে লাগলো, সবাই আছে কিন্তু আসিফকে দেখতে পাচ্ছে না, এতোক্ষণ মজা করছিলো, কিন্তু এখন আবার কই গায়েব হয়ে গেলো, মরিচের জুসের জ্বালে লাল হয়ে যাওয়া মুখটা ভেসে উঠলো চোখে, আশেপাশে ও দেখা যাচ্ছে না, কেমন যেনো মায়া লেগে উঠলো মার্জানের, পেছন ফিরে হাটা শুরু করলো, উকি দিয়ে দিয়ে চারদিক খুজতে লাগলো, ডান্স ফ্লোরের দিক আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিলো, রাহুল হেসে হেসে স্নেহাকে কি কি যেনো বলছে স্নেহা লজ্জায় হেসে রাহুলের হাত জড়িয়ে ধরে আছে, রিদোয়ান, জারিফা, শায়লা, রাহুলের মা, স্নেহার মা ও পাশে আছে, রাহুলের বাবা, স্নেহার বাবা,দাদী বাকি আরো অনেকেই চেয়ারে বসে আছে…কিন্তু আসিফই নেই!

মার্জান : [ মনে মনে ] গেলো কই? উফফফ! ওভার করে ফেলেছি নিশচয়!

চলবে….

বি.দ্র : [ আমি আমার ইচ্ছে মতো স্টোরি সাজাবো লাষ্ট দিকে এসে তাড়াহুড়ো করে ইন্ডিং দিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করার ইচ্ছে নেই আমার মেহনতের লিখা এগুলো,গল্প ভালো না লাগলে বা বোরিং লাগলে ইগনোর করবেন, সবাইকে মিন করছি না কিছু মানুষদের আমি জাষ্ট জানিয়ে রাখলাম, ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে