♥Love At 1St Sight♥
~~~Season 3~~~
Part : 37
writer-Jubaida Sobti♥
কাপড়-চোপড় পড়ে তৈরী হয়ে ব্যাগ গোছাতে লাগলো স্নেহা!
মার্জান : আরে বাহ, স্নেহা! আজ তো রাহুল তোকে দেখলে শুধু হা করেই তাকিয়ে থাকবে,
জারিফা : [ চোখ টিপ মেরে ] স্নেহা! মেরি জান, টিপ গুলো কে দিয়েছে শুনি? হুম..
[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে হাসলো কিছু বললো না ]
জারিফা : হাও কিউট! মেরি জিজাজি![ স্নেহাকে জড়িয়ে ] ব্যাস! এখন শুধু সামির নামের কালো ছায়াটা যেনো দূরই হয়ে যায়,
মার্জান : দূর হওয়ার কি আছে?..ওকে তো লাত্তি মেরে দূর করা উচিৎ লুচ্চা একটা!
শায়লা : [ হেসে ] আচ্ছা তোরা কি বের হবি?.. বাস্ ছুটে যাবে তো!
জারিফা : ও হ্যা! চল চল,
মার্জান : ওকে স্নেহা! আমরা যাচ্ছি, রাহুল আসলে তুই ও চলে আসিস! [ চোখ মেরে ] বাই!
স্নেহা : বাই!
চলে গেলো স্নেহার ফ্রেন্ডসরা, বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রাহুলের অপেক্ষা করছে স্নেহা, হঠাৎ কিছুক্ষণ পর গাড়ীর হর্ণ বেজে উঠলো সাথে সাথে নিচে তাকিয়ে দেখে রাহুলের গাড়ীই এসেছে, তাড়াতাড়ি টেবিলের উপর থেকে ব্যাগ কাধে নিয়ে বেড়িয়ে আসলো স্নেহা, নিচে নেমে এগিয়ে এসে গাড়ীতে উঠে বসলো, রাহুল তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক কিন্তু কিছু বললো না, স্নেহা ও চুপ করে রইলো,
রাহুল : [ সোজা তাকিয়ে ] তোমার ফ্রেন্ডসরা কোথায়!
স্নেহা : ওরা চলে গেছে!
রাহুল : ওরা আবার আলাদা গেলো কেনো?.. আমাদের সাথেই তো যেতে পারতো!
স্নেহা : আ…আজকে আমাদের এক্সট্রা ক্লাস ছিলো! তাই! [ রাহুল অবাক হয়ে তাকালে ]
– আ..আমি যায়নি Assignment রেডি করা ছিলো না তাই!
রাহুল : অও, সো্ এখন কি যাবো ?
স্নেহা : [ অবাক হলো রাহুলের বিহেভিয়ারে তাও মাথা নাড়িয়ে বলে উঠলো ] হুম!
গাড়ী চলছে, স্নেহা বার বার খেয়াল করছে রাহুলের দিক, আজ রাহুল না তার দিক তাকাচ্ছে না কথা বলছে, তারমানে রাহুল তারউপর এখনো রাগ করে আছে, মনটা খারাপ হয়ে গেলো স্নেহার, মুখ গোমড়া করে জানালার দিক ফিরে রইলো, এভাবেই অনেক্ষণ কেটে যায়,
হঠাৎ, কিছুক্ষণ পর,
রাহুল : কিউট লাগছে! [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালে ]
– আই মিন অলওয়েজ লাগে বাট যখন সেইম কম্বিনেশন করে পড়ি তখন একটু বেশিই লাগে! [ স্নেহা মুচকি হাসলো ]
স্নেহা : আপনি আমার উপর এখনো রাগ করে আছেন?…
রাহুল : আমার তোমার উপর কোনো রাগ নেই স্নেহা!
স্নেহা : আচ্ছা! আপনি ব্রেকফাস্ট করেছেন?…
রাহুল : হুম!
স্নেহা : মিথ্যে বলছেন কেনো?…
রাহুল : আমার পেট ব্যাথা করছে! তাই করিনি,
স্নেহা : ব্রেকফাস্ট করেননি তাই হয়তো পেট ব্যথা করছে!
– আমি জানতাম আপনি ব্রেকফাস্ট করবেননা, আচ্ছা দেখেন আমি আপনার জন্য কি এনেছি [ বলেই ব্যাগ থেকে একটা বক্স বের করলো ]
রাহুল : এটাই কি?..
স্নেহা : ফ্রুট সেন্ডুইচ উইথ ভ্যানিলা বাটার!
রাহুল : অও!
স্নেহা : অও না! এটা এখন আপনি খাবেন!
রাহুল : আগেই বলেছি আমি সেন্ডুইচ পছন্দ করিনা!
স্নেহা : জানি! তাও আনলাম কারণ এটা ব্রেকফাস্টের জন্য হেলদি!
– [ রাহুলের দিক এগিয়ে দিয়ে ] সো্ নিন এটা ফিনিশ করেন!
রাহুল : ড্রাইভ করছি!
স্নেহা : তাহলে গাড়ী কোথাও থামিয়ে নিন!
রাহুল : এখন গাড়ী থামালে সামনে ট্রাফিক এ আটকে পড়বো!
স্নেহা : [ মনে মনে ] খালি বাহানা!..
– এটা খেলে আপনার পেট ব্যথাও চলে যাবে আই গ্যারান্টি!
রাহুল : রিয়েলি স্নেহা! আমার আসলেই…
স্নেহা : আচ্ছা আমি খাইয়েদি?..
রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] ঠিকাছে! খাওয়াও… তুমি আর কোথায় মানছো!
স্নেহা মুচকি হেসে রাহুলের মুখের দিক এগিয়ে দিলো সেন্ডুইচটি,রাহুলের ও কি আর করার খেয়েই নিলো!
রাহুল : উম! টেষ্টি! …
স্নেহা : আমি বানিয়েছি…
রাহুল : গ্রেট! সেন্ডুইচ তাহলে ঠিক বানাতে পারো!
স্নেহা : বাকিগুলাও পারি! ঐদিন তো…কিজানি কি হয়েছিলো মাথায়!
রাহুল : তাই? [ with tedi smile ]
[ স্নেহা আর কিছু বললো না, খাওয়াতেই লাগলো রাহুলকে ]
কিছুক্ষণপর,
রাহুল : ব্যাস! স্নেহা..ওভার! আজকেই সব খাইয়ে ছাড়বে নাকি?..
[ স্নেহা হেসে পানির বোতোলটা খুলে এগিয়ে দিলো ]
________________________________
ভার্সেটি এসে পৌছালো, স্নেহা গেইট এর দিকই নেমে পড়লো, রাহুল গাড়ী নিয়ে পার্কিং এর দিক চলে গেলো গাড়ী পার্ক করতে, স্নেহা হেটে ক্লাসের দিকই এগিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ পাশ থেকে কেউ স্নেহা বলে ডেকে উঠলো, ফিরে তাকাতেই স্নেহা চমকে উঠলো,
সামির : হাই!
[ স্নেহা কোনো জবাব দিলো না তাকিয়েই আছে, আর মনে মনে ভাবছে কেনো যে আজ ভার্সেটি আসতে গেলো,প্রবলেম শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাহুল আর সামির মুখোমুখি হলেই তো সমস্যা ]
সামির : [ হাত নাড়িয়ে ] স্নেহা! ইউ অলরাইট?…
স্নেহা : আসলে আ..আমার ক্লাসে লেইট হচ্ছে, [ বলেই চলে যাচ্ছিলো ]
সামির : [ স্নেহার হাত ধরে ] লিসেন্ট টু মি স্নেহা!
স্নেহা : [ সামিরের হাত ঝাড়া মেরে ছুটিয়ে ] এক্সকিউজ মি!
সামির : ওকে আম সরি! [ একটু হেসে ] আচ্ছা তুমি আমার উপর রেগে আছো নাকি টেনশন করছো ঐ ব্যাপারটা নিয়ে?..
স্নেহা : আমার মনে হয় আপনাকে যেটা বলতে বলেছি আশা করি সেটা আপনার বাবা-মা কে বলে দিয়েছেন!
সামির : তুমি আমাকে বলেছো আমি যেনো বলি তুমি আমার পছন্দ না রাইট?..
– [ একটু হেসে ] কিন্তু স্নেহা! তুমি তো আমার পছন্দ! আমি না কিভাবে বলবো? [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো ]
সামির : আ..আই মিন, তুমি এতোটাই সুন্দর যে, তোমাকে পছন্দ না এটা বললে কেউ বিশাসই করবে না!
স্নেহা : [ নাক ফুলিয়ে ] দেখেন আপনি বলেন আর না বলেন, এতে আমার এখন কিছু যায় আসে না, আমি নিজেই বাবাকে বলবো, আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না!
সামির : ওয়েল! এটা তো গুড নিউজ! [ হঠাৎ পেছন থেকে ]
রাহুল : গুড নিউজ দিয়ে কি হবে? আসল ব্রেকিং নিউজ তো বাকি রয়েগেছে! [ বলেই পকেটে হাত রেখে স্নেহার পাশে এসে দাঁড়ালো ]
– এন্ড আই লাইক দিস্ গেইম ?..
সামির : [ মুচকি হেসে ] i knew that!
– বাই দ্যা ওয়ে, মাত্রই তো শুরু হলো!
রাহুল : ইউ নো! গেইম অলওয়েজ নিজের লেভেল এর প্লেয়ার এর সাথে খেলা উচিৎ, কারণ প্লেয়ার যদি আমার চেয়ে লুজার হয় তাহলে জেতার মজাটাই আসে না,
– এন্ড রিমেম্বার আর যদি প্লেয়ার আমার চেয়েও ভালো হয়, তাহলে হারের দামটাও অনেক বড় দিতে হয়! আই হোপ ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড! [ With tedi smile ]
সামির : গেইম জিততে সুযোগ লাগে,আর সুযোগ কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকে, ব্যাস ঐ সুযোগটা খুঁজে সঠিকভাবে ব্যবহার করা জানতে হয়,
রাহুল : দেয়ার ইজ আ মিলিয়ন ফিস ইন দ্যা সি, [ স্নেহার হাত ধরে ] বাট শি ইজ মার্মিড ফর হার প্রিন্স, নট ফর ফিসারম্যান! [ বলেই তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে চলে গেলো, স্নেহা হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]
________________________________
স্নেহার ক্লাসের সামনে এসে থামতেই,
রাহুল : [ বোতোল এগিয়ে দিয়ে ] তোমার পানির বোতোল গাড়ীতে রয়ে গিয়েছিলো!
স্নেহা : অহ! [ বলেই এগিয়ে নিলো, আর ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে রইলো রাহুলের দিক ]
রাহুল : বাই!
স্নেহা : বাই!.. [ চলে গেলো রাহুল,স্নেহা ও ব্লাশিং হয়ে ক্লাসে ঢুকে এগিয়ে গিয়ে সি্টে বসলো ]
মার্জান : [ স্নেহার কাধে হাত রেখে ] আরে বাহ! স্নেহা, রাহুল তো আজ ক্লাস পর্যন্ত পৌছে দিয়ে গেলো!
জারিফা : হ্যা! তাতে অবাক হওয়ার কি আছে, [ বাকিরা একসাথে জারিফার দিক তাকালো ]
– আব..আই মিন স্নেহা রাহুলের গার্লফ্রেন্ড, খেয়াল রাখতেই পারে সাভাবিক!
মার্জান : তাতো বটেই কিন্তু তুই হঠাৎ হঠাৎ অসাভাবিক ভাবে বলে উঠিস না যেমনকি দুনিয়া উল্টে গেছে!
জারিফা : হিহি তাই! [ বলেই স্নেহার কাধে জড়িয়ে ধরে ] এনিওয়ে স্নেহা! আমাদের জিজুর সাথে মর্নিং ট্রাভেল কেমন ছিলো! শুনি!
স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] ভালো! [জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আসলে রাহুল! সবদিক থেকেই আমার খেয়াল রাখে, ইনফ্যাক্ট সবসময় আমাকে হ্যাপি রাখার চেষ্টা করে, [ সবাই হুমম বলে মাথা নাড়ালো ]
– আচ্ছা জানিস আমি কি ভেবেছি?
মার্জান : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] স্নেহা! মাই ডিয়ার! আমরা মনোবিজ্ঞানী নয়! সো্ কেমনি জানবো তুই কি ভেবেছিস?…
জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] আই থিংক তুই ট্রিট দিবি রাইট?…
শায়লা : আচ্ছা তোর মাথায় ট্রিট ছাড়া আর কিছু আসে না?..
– আর এমনিতেও কাউন্ট করতে গেলে সবচেয়ে বেশী তোর ট্রিটই জমে আছে!
জারিফা : আ…আই থিংক! আমাদের এখন অন্য টপিকে যাওয়া উচিৎ! হুম!
মার্জান : [ হেসে ] হ্যা! এখন তো অন্য টপিকেই যেতে বলবি!
জারিফা : ধুর রাখতো! আচ্ছা স্নেহা! তুই বল কি ভেবেছিস?..
স্নেহা : আ..আমি ভেবেছি..বাবাকে আজ রাহুলের কথা বলেই দিবো!
জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] ওয়াও স্নেহা! ফ্যান্টাস্টিক আইডিয়া ইয়ার!
মার্জান : [ জারিফা মুখ চেপে ] শিসসস! জারিফা, পাগল নাকি এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেনো?..
জারিফা : অহ! সরি সরি!..
মার্জান : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] গ্রেট স্নেহা! ফাইনালি, তুই অনেক ভালো একটা ডিশিসন নিয়েছিস!
– আমার তো অপেক্ষায় হচ্ছে না ঐ সামিরের বাচ্চাটা কখন দূর হবে,
শায়লা : হ্যা! স্নেহা আই থিংক সামির কি বলবে না বলবে এর অপেক্ষা না করে তোরই আগে বলে দেওয়া উচিৎ!
জারিফা : কিন্তু স্নেহা! তুই বলতে পারবি তো?..নাকি কলেজের পিকনিকে যেতে বলার সময় আংকেল এর সামনে গিয়ে যেভাবে তোতলাচ্ছিলি ঐরকমি করবি?..[ কিটকিটিয়ে হেসে ] বলবি না বাবা কিছুনা..আমিতো তোমাকে দেখতে এসেছি সব ঠিকাছে কিনা!
শায়লা : [ জারিফার মাথায় বাড়ি দিয়ে ] জারিফা! দেখছিস এমনিতেই ও ভয় পেয়ে আছে, তারউপর আরো ভয় লাগিয়ে যাচ্ছিস!
স্নেহা : আরে হ্যা! ঐদিন যেভাবে তোরা বাবাকে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলেছিলি, আজও তোরা আমার সাথে চলনা..
জারিফা : আরে বাপরে, ঐদিনের ম্যাটারটা পিকনিক ছিলো…আজকের ম্যাটারটা শুনলে নাজানি আংকেল আমাদের কতোবড় লাঠি নিয়ে পেঠানো শুরু করে!
মার্জান : পেটাবে কেনো?..আজিব! ও কাউকে ভালোবাসে ওটাইতো বলবে, তাই না?
শায়লা : হ্যা! স্নেহা! তুই মোটেও ভয়পাস না, আমারা তোর সাথে আছি!
মার্জান : [ টেবিলে বাড়ি মেরে ] থুফান আসুক আর ঘূর্ণিঝড়, আজকে তোর বলতেই হবে!
জারিফা : ই..ইয়েস! বলতেই হবে, ডোন্ট ওয়ারি স্নেহা! তুই আংকেলকে বলার সময় আমি তোর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকবো! তুই আমার হাত ধরে রাখিস হুম!
শায়লা : আচ্ছা? হাত ধরে রাখবে কেনো?..[ হেসে ] লাঠি দিয়ে পেঠানোর সময় হাত ধরে পালানোর জন্য নাকি?..
জারিফা : আরে না গাধী! সাহস রাখার জন্যে!
শায়লা : ওওহ! তাই ভালো!
মার্জান : এতোক্ষন তো লাঠির ভয়ে বাবাকে ডাকছিলি,
জারিফা : আরে ওটা জোকস্ ছিলো! [ সবাই হেসে উঠে ]
________________________________
After Class, [ in varsity garden ]
মার্জান : বাহ বাহ বাহ! শীতের এই কিচিরমিচির পাখীর গানগুলো শুনলে না জাষ্ট ফিদা হয়ে যায়,
শায়লা : ইয়েস, ইয়ার ঐদিকটা দেখ কতোগুলো পাখি,
মার্জান : হ্যা তাই তো! [ বলেই হঠাৎ স্নেহার দিক চোখ পড়তেই দেখে স্নেহা এদিকওদিক উকি দিচ্ছে ]
মার্জান : [ স্নেহার মাথায় টুকা মেরে ] কাকে উকি দিচ্ছিস স্নেহা?..
জারিফা : কাকে আর দিবে?..আমাদের জিজাজিকে উকি দিচ্ছে আরকি!
স্নেহা : আচ্ছা আমি একটু পার্কিং এর দিকটা দেখে আসছি! তোরা এইদিকে থাকছিস তো?
মার্জান : হ্যা! হ্যা! আমরা এইদিকটাই আছি! তুই তোর কাজে লেগে পড়! [ চোখ মেরে ]
স্নেহা মুচকি হেসে চলে গেলো, পার্কিং এর দিক খুজে দেখলো, কিন্তু রাহুল নেই, হঠাৎ আবার চোখ পড়লো রাহুলের গাড়ীর দিক, [ ভাবছে ] তারমানে রাহুল ভার্সেটিতেই আছে, কিন্তু ফোন উঠাচ্ছে না কেনো?.. এদিকওদিক তাকাতে তাকাতে আবার গার্ডেনের দিকই ফিরে এলো,
স্নেহা : [ অবাক হয়ে মনে মনে ] আরে! এরা আবার কই গেলো?… [ চারদিক উকি দিয়ে খুঁজতে লাগলো ] এইদিকটাই তো থাকার কথা ছিলো! পাখী দেখতে দেখতে তিনজনই উধাও হয়ে গেলো, এমন লাগছে যেনো সবার সাথে হাইড এন্ড সি্ক খেলছি!
[ ক্লাসের দিক এগিয়ে এসে দেখলো, কয়েকজন বসা আছে, কিন্তু তারা নেই ]
[ তিনতলায় উঠে হলরুমের সামনে আসতেই হঠাৎ পেছন থেকে কেউ মুখ চেপে ধরে ভেতরে ঢুকিয়ে নিলো ]
[ স্নেহা হাত ছুটিয়ে নিয়ে পেছন ফিরে জোড়ে একটি শাস ফেললো ]
স্নেহা : পাগল হয়েছেন আপনি?..ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম না আমি!.
[ রাহুল কিছু বললো না তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়েই আছে ]
স্নেহা : কি হলো! এভাবে তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? [ বলেই অন্যপাশ ফিরে গিয়ে ] আমার সামনে বারবার তেডি স্মাইল দিবেন না!
রাহুল : [ স্নেহার দিক পা বাড়িয়ে ] কেনো?… [ With tedi smile ]
স্নেহা : [ পা পিছিয়ে ] ব্যা..ব্যাস! এ..এমনিই!
রাহুল : [ আবারো পা বাড়িয়ে ] অও রিয়েলি?…
স্নেহা : [ পা পিছিয়ে ] হ্যাহ…রি..রিয়েলি!
রাহুল : [ স্নেহার একদম কাছে এসে দাঁড়িয়ে, কানের দিক মুখ এনে ] আই থট! ইউ ফিল সামথিং!
স্নেহা : কিক…কিসব আজেবাজে! বলছেন [ বলেই সরে যাচ্ছিলো, রাহুল আবারো টেনে একই জায়গায় দাড় করালো, স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]
রাহুল : নিচে আমাকেই খুঁজছিলে?…
স্নেহা : হুম, ফোন দিচ্ছিলাম আপনার ফোন সুইচড অফ আসছিলো!
রাহুল : [ হেসে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ] ব্যাটারি লো ছিলো তাই অফ হয়ে গেছে!
স্নেহা : ওহ!
[ মোবাইল পকেটে রেখে রাহুল একদৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক, না পলক ফেলছে না এন্টেনা নড়ছে ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে তাকিয়ে ] আরে কি দেখছেন এভাবে?…
রাহুল : পড়ছি! তোমার চোখে,
স্নেহা : কিক…কি পড়ছেন?…
রাহুল : এটাই! তুমি আমাকে কতোটা ভালোবাসো!
স্নেহা : তো কি পড়লেন?..কতোটা?..
রাহুল : কাউন্ট করছি, শেষ হচ্ছে না,
– আই থিংক শেষ করা যাবেও না… [ With tedi smile ]
[ স্নেহা হেসে চোখ নামিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ফেলে ]
রাহুল : আরে?…
[ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো আর রাহুল হুট করেই আলগে ধরে স্নেহাকে একটি হায়-বেঞ্চে বসিয়ে দিলো ]
স্নেহা : রাহুল! কি করছেন পড়ে যাবো তো!
রাহুল : পড়বানা আমি আছি! [ বলেই বেঞ্চের দু-পাশ হাত রেখে দাঁড়ালো, এবং আবারো তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে রইলো একপলকে, ]
স্নেহা : [ হেসে ] রাহুল!
রাহুল : পেট তো ভরিয়ে দিয়েছো! তাই এবার তাকিয়ে থেকে মনটাও ভরে নিচ্ছি!
স্নেহা : কি বলছেন আমি কিছুই বুঝছি না, আই থিংক পাগল হয়ে গেছেন!
রাহুল : দিমাগ দিয়ে নয় স্নেহা! মন দিয়ে ভেবে দেখো, বুঝতে পারবা!
স্নেহা : [ হেসে ] তাই?..
রাহুল : ইয়াহ!
[ স্নেহা রাহুলের গাল টেনে দিয়ে হাসতে থাকে ]
রাহুল : কামঅন স্নেহা! আমি ছোট বাচ্চা নয়, গাল টেনে দাও কেনো বলোতো? [ স্নেহা হেসে এবার দু-হাত দিয়েই দু-দিক থেকে গাল টেনে দিলো ]
রাহুল : ওকে! আন্ডারস্ট্যান্ড! তোমাকে নিষেধ করলেই ওটা রিপিট করবা!
– আচ্ছা! তুমি কালরাতে অনেক কেঁদেছিলে তাই না?.. [ স্নেহার হাতের উপর হাত রেখে ] আপসে্ট ছিলে অনেক আমার বিহেভিয়ারে,
– আসলে তখন ওসব শুনে এমন রাগ উঠছিলো না, তাই তোমার উপর ও অনেক রাগ দেখিয়ে ফেলেছি! আমার আসলে তোমার উপর রাগ দেখানো মোটেও উচিৎ হয়নি!
স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত বুলিয়ে ] আপনার রাগ করা জায়েজ ছিলো রাহুল!
– [ হেসে ] আর আপনার রাগে কি?..দু-মিনিট রাগ দেখাচ্ছিলেন তো আবার দু-মিনিট পর চোখ মুছে দিচ্ছিলেন!
রাহুল : [ স্নেহার কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে ] ব্যাস! তোমার উপর রেগে থাকতে পারিনা,
[ হঠাৎ পাশ থেকে দরজা টুকা দেওয়ার শব্দ এলো, ফিরে তাকাতেই দেখে স্নেহার ফ্রেন্ডসরা, শুরশুর করে সবাই ঢুকে পড়লো ভেতরে ]
রাহুল : আরে! তোমাদের না আইসক্রিম খেতে পাঠিয়েছিলাম, তোমরা এইখানে কি করছো!
জারিফা : আইসক্রিম তো অনেক খেয়েফেলেছি জিজু, এবার আমাদের যাওয়ার পালা,
রাহুল : অহ! ওকে যাও বাই! অল দ্যা বেষ্ট!
জারিফা : বাইইই! জিজু! চল স্নেহা, [ স্নেহা নেমে দাঁড়ালো ]
রাহুল : আরে ও কেনো!
জারিফা : কারণ আমাদের ওকে দরকার,
রাহুল : আচ্ছা কিসের জন্য?..
জারিফা : ওহো জিজু সব কথা কি বলা যায়?…কিছু কথা সিক্রেট থাক, [ ফিসফিসিয়ে ] যেমন আপনাদের সিক্রেট রোমান্স আছে হুম হুম!
রাহুল : আচ্ছা?..তো সিক্রেট রাখার দরকার কি সবার সামনে একটু দেখিয়ে দি [ বলেই জারিফার দিক পা বাড়াতে লাগলো ]
জারিফা : আ..আমিতো স্নে..স্নেহার কথা বললাম…
রাহুল : রোমান্স করতে শুধু স্নেহাকে কেনো লাগবে এতোগুলো শালী থাকতে,[ with tedi smile ]
জারিফা : ছিঃইইইই….[ বলেই রাহুল থেকে সরে স্নেহার পাশে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো, বাকিরা হাসতে লাগলো ]
হঠাৎ, হলে! আসিফের এন্ট্রি, আসিফকে দেখার সাথে সাথেই মার্জান চেহেরার হাসি উড়িয়ে দিয়ে নাক ফুলিয়ে, আড়চোখে তাকিয়ে থাকে,
আসিফ ও একটু তাকিয়ে, হেসে আবার রাহুলের দিক তাকিয়ে ফেলে,
আসিফ : আরে বাহ! সবাই দেখছি এইখানে,
রাহুল : তুই কোথায় ছিলি?..তোকে খুঁজছিলাম!
আসিফ : আমার কথা ছাড় তোর ফোন সুইচড অফ কেনো?…
রাহুল : ওহ ইয়াহ! এক্সুলি ব্যাটারি লো তাই!
আসিফ : [ মোবাইল এগিয়ে দিয়ে ] ওকে! দাদী কল দিয়েছে, তোকে এক্ষুনি যেতে বললো! কি যেনো ইম্পর্টেন্ট কথা আছে নাকি! [ রাহুল ফোন এগিয়ে নিলো, আর আসিফ বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য পাশমুড়তেই আবারো মার্জানের সাথে চোখাচোখি হলো, মার্জান মুখ ভেংগিয়ে দিলো, আসিফ ও আর পিছিয়ে কি, সে ও হেসে চোখটিপ মেরে চলে গেলো, মার্জান শকড হয়ে হা করে তাকিয়ে আছে, আর মনে মনে ইচ্ছামতো গালি দিতে লাগলো ]
জারিফা : সো্ জিজাজি, বাইই! আমাদের লেইট হচ্ছে,
রাহুল : এতো তাড়াহুড়ো করছো কেনো? ওয়েট,
জারিফা : সিক্রেট কথা, পড়ে বলিয়েন এখন আমাদের যেতে হবে, [ বলেই কিটকিটিয়ে হেসে স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো ]
রাহুল : আরে?…
[ চেঁচিয়ে উঠলে ও কেউ আর শুনলো না চলে গেলো, জোড়ে একটি শাস ফেলে বেঞ্চে বসে পড়লো কি আর করার, দাদীকে কল দিতে যাবে ঐ টাইমেই দেখে হঠাৎ আবার স্নেহা দৌড়ে ভেতরে এগিয়ে এলো, স্নেহাকে দেখে রাহুল ও অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো ]
স্নেহা : [ হাপিয়ে উঠে ] আব…আপনাকে বাই বলিনি,
[ Rahul give a tedi smile ]
স্নেহা : এক্সুলি আমরা মামার বাসায় যাচ্ছিলাম, তাই তাড়াহুড়ো করছি,
রাহুল : ওহ ওকেই! সো্ তাহলে চলো আমি পৌছেদি!
স্নেহা : আরে না, আমরা যেতে পারবো! আপনি বাসায় যান, দাদীর সাথে দেখা করেন উনি হয়তো অপেক্ষা করছে,
রাহুল : দ্যাটস্ ওকে স্নেহা! সমস্যা নেই! তোমরা একা যাবা নাকি! চলো আমি ড্রপ করেদি!
স্নেহা : [ রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] ওকে রাহুল রিলেক্স! বললাম তো যেতে পারবো! আর আমরা একাও নয় সবাই সাথে আছি তাতে ভয় কিসের!
– ওকে বাইই! ওরা ওয়েট করছে!
রাহুল : [ স্নেহার কপালে একটি চুমু দিয়ে ] বাই! টেক কেয়ার!
স্নেহা : বাই! [ বলেই বেড়িয়ে গেলো ]
________________________________
সবাই মিলে একসাথেই গেলো স্নেহার মামার বাসায়,দরজার ধারেই দাঁড়িয়ে আছে একত্রে,
জারিফা : বাপড়ে,এখনো ভেতরেই ঢুকলাম না বুকটা এখন থেকেই কাঁপছে,
মার্জান : কেনো ওটাতো জোকস্ ছিলো তাই না! জারিফা?…
জারিফা : হিহি! হ্যা! এটাও জোকস্ ছিলো! [ সবাই হেসে উঠলো, মার্জান বেল বাজিয়ে দিতেই, স্নেহার মামী এসে দরজা খুললো, সবাই সালাম করে ভেতরে ঢুকলো, স্নেহার মা ও মহা খুশি সবাইকে একত্রে দেখে, হঠাৎ স্নেহার বাবাকে দেখে সবাই ভয়ে থমকে গেলো, কিনা চেহেরা বানিয়ে রাখলো মনে হচ্ছে এক্ষুণি সবকটাকে গিলে খেয়ে ফেলবে! সবাই সালাম করে একপাশ দাঁড়িয়ে পড়লো, ]
স্নেহার বাবা : ভালো করেছো তোমরা সবাই এসে, অনেকদিন পরই দেখা হয়েছে! এসো ভেতরে বসো! [ স্নেহা তাদের নিয়ে ভেতরে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ ]
স্নেহার বাবা : স্নেহা! তুই আমার সাথে একটু আয়, তোরই অপেক্ষা করছিলাম! কথা ছিলো তোর সাথে, অনেক জরুরী,
স্নেহার মা : আ..আরে ওসব কথা পড়ে হবে, ওরা ভার্সেটি থেকে এসেছে আগে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়েনিক, তাই না! এসো তোমরা ভেতরে এসো!
জারিফা : [ শায়লার কানে ফিসফিসিয়ে ] স্নেহার বাবার চেহেরা দেখে মনে হচ্ছে জীবনেও হাসতে শিখেনি!
শায়লা : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] চুপ করবি তুই?..
জারিফা : ওখে ওখে!
ভেতরের রুমে বসে স্নেহার মা এবং মামীর সাথে আড্ডা জমিয়ে দিলো স্নেহার ফ্রেন্ডসরা, আর স্নেহার মন ঘাবড়াতে লাগলো কিভাবে বলবে তার বাবাকে রাহুলের কথা….
সবাই দুপুরের লাঞ্চ করে এক রুমে বসে আছে, জারিফা পর্দার আড়াল থেকে উকি মেরে মেরে দেখছে স্নেহার বাবা কি করছে,
রাশু : [ এগিয়ে এসে ] চোরের মতো কি উকি দিচ্ছো?..
জারিফা : [ হেসে ] হিহি! কক..কই কিছুই তো না.. ও হ্যা! তোকে দেখছিলাম, কত্তো বড় হয়ে গেছিস তুই রাশু, কি হ্যান্ডসাম লাগছেড়ে তোকে!
রাশু : [ জারিফাকে চিমটি কেটে ] ওকে! নজর দিবানা [ বলেই বেড়িয়ে গেলো ]
জারিফা : বাপড়ে! আমাদের সময় কেউ তারিফ করলে আমরা খুশীতে লাফিয়ে উঠতাম আর এখনের বাচ্চারা চিমটি দিয়ে নজর কাটছে!
শায়লা : [ হেসে] কিন্তু জারিফা! তুই চোরের মতো কি উকি দিচ্ছিলি বলতো?
জারিফা : আরে আংকেলকে দেখছিলাম! ভোর কুচকে কি ধ্যান দিয়ে পেপার পড়ছে,
মার্জান : স্নেহা! তুই আবার বসে আছিস কেনো?…যা গিয়ে আংকেলকে বল! এখন তো উনি ফ্রি আছে!
স্নেহা : বাবা বলেছে কি যেনো ইম্পর্টেন্ট কথা বলবে! ঐটা নিয়ে ভয় হচ্ছে, নাজানি আবার নতুন কি বলে বসে,
জারিফা : যদি এবার বিয়ের ডেট ফিক্সড করে বলে এই তারিখ তোর বিয়ে!
শায়লা : তোর মুখে অশুভ কথা ছাড়া আর কোনো কথা নেই!
মার্জান : উফফ! স্নেহা! দেখ আংকেল ইম্পর্টেন্ট কিছু কি বলবে না বলবে এসব ভেবে টাইম ওয়েষ্ট করে লাভ নেই! অনি কিছু বলার আগে তুই তোরটা বলেদে! যা হবার হবে,
শায়লা : হ্যা! স্নেহা বলতে তো হবেই তাই না!
স্নেহা : আচ্ছা ঠিকাছে! চল,
জারিফা : ওহ মাই গড! আমরা ও?..
[ স্নেহা মুখ গোমড়া করে তাকালো ]
মার্জান : [ নাক ফুলিয়ে ] জারিফা!
জারিফা : ওকে ওকে!
মার্জান : [ স্নেহার দিক ফিরে ] আরে মন খারাপ করছিস কেনো স্নেহা?..আমরা এসেছিই তো তোর হেল্প করতে! চল আমরা ও সাথে যাবো!
[ বলেই স্নেহার হাত ধরে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো, বাকিরা ও পিছে পিছে এগিয়ে গেলো, সবাই ড্রইংরুমে গিয়ে লাইন হয়ে দাঁড়ালো ]
স্নেহার বাবা : [ অবাক হয়ে ] আরে দাড়িয়ে আছো কেনো তোমরা ? বসো!
মার্জান : না আংকেল! ইটস্ ওকে! আ..আস আসলে..আংকেল স্নেহা আপনাকে কিছু বলতে চাই!
স্নেহার বাবা : হ্যা! বল… [ বুকটা ধুপধুপ করছে স্নেহার, ভয়ে মাথা নিচু করে আছে ]
মার্জান : [ স্নেহার হাতে চিমটিয়ে ফিসফিস করে ] বল স্নেহা! [ চুপ করে আছে স্নেহা! তাও, বার ঢোগ গিলতে লাগলো ]
জারিফা : [ শায়লার কানে ] দোয়া পড় শায়লা, কিছু একটা হতে পারে,
শায়লা : আরে এমন ভাবছিস কেনো?..এটাও তো হতে পারে! আংকেল ভালো ভালোই সব মেনে নিয়েছে!
জারিফা : হ্যা! এটাও ঠিক! [ হঠাৎ পেছন থেকে স্নেহার মা এবং মামী ও এগিয়ে এলো ]
স্নেহার মা : আরে তোমরা সবাই এইখানে! তবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?..বসো!
মার্জান : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] স্নেহা! বলনা!
স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যা! আ..এক্সুলি..বা..বাবা.. আ..আমিনা এই বিব..বিয়ে করতে পারবো না..
[ স্নেহার বাবা কোনো রিয়েক্ট করলো না শুধু তাকিয়েই রইলো স্নেহার দিক ]
স্নেহার মা : [ স্নেহার পাশে এসে ] কিন্তু কেনো স্নেহা?…যেটা আমরা শুনছি কোনো ঐটা সত্যি নয়তো!
স্নেহা : মা..আম..আমি…[ বলতেই চোখ থেকে গড় গড় করে পানি ঝড়তে লাগলো ] রার…রাহুলকে…[ বলেই চুপ হয়ে গেলো ]
মার্জান : [ চোখ বন্ধ করে একশাসে বলে উঠে ] আসলে স্নেহা রাহুলকে ভালোবাসে, [ সবাই মার্জানের দিক তাকালো শকড হয়ে, স্নেহা ভয়ে মাথা নিচু করে রইলো ]
– রার..রাহুল ও.. ভাব..ভালোবাসে স্নেহাকে!
জারিফা : [ মনে মনে কাদো কন্ঠে ] হ্যা! আল্লাহ উঠাই নাও এই মুহূর্তেই উঠাই নাও!
স্নেহার বাবা : [ স্নেহার কাছে এসে দাঁড়িয়ে ] একমিনিট! [ বলেই ভেতরের রুমে গিয়ে একটা প্যাকেট হাতে নিয়ে এগিয়ে এলো, সবাই কৌতুহল ভাবে তাকিয়ে রইলো ]
– [ স্নেহার কাছে প্যাকেটটা এগিয়ে দিয়ে ] যার কথা বলছিস কোনো এই ছেলেটা নয়তো! [ স্নেহা অবাক হয়ে কাপা হাতে প্যাকেটটা এগিয়ে নিলো, প্যাকেট খোলার সাথে সাথেই কিছু ছবি চোখে পড়লো , চমকে গেলো স্নেহা! মাথার উপর যেনো বাজ ভেংগে পড়েছে
স্নেহা : [মনে মনে ভাবছে ] এটা কিভাবে সম্ভব? এসব, বাবার কাছে কিভাবে?
[ হাত আরো জোড়ে কাপতে লাগলো স্নেহার! কিছু বলছে না দেখে মার্জান স্নেহা থেকে কেড়ে নিলো ছবি গুলো, সাথেসাথে সে ও অবাক হলো, রাহুল আর নেহার এমন ছবি সে কল্পণা ও করতে পারছে না, এক এক করে সবাই ছবি গুলো দেখতে লাগলো ]
স্নেহা ওভাবেই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,মার্জান ও আর কিছু বলে উঠবে কিন্তু সে নিজেই ভাষায় হারিয়ে ফেলেছে ছবি গুলো দেখে!
স্নেহার বাবা : লোকে বলতো আমি বিশাস করতাম না, কারণ আমার বিশাস তো তুই ছিলি! [ কেঁদে চলছে স্নেহা ]
– কিন্তু তোর যদি কাউকে পছন্দ হয়ে থাকে তাতে আমার ও কোনো আপত্তি নেই! তবে সেটা ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে হতে হবে! এমন অশ্লীল আচরণতার ছেলে নয়,
– আমি জেনে শুনে কখনো এমন অশালীন ছেলের কাছে তোকে ঠেলে দিতে পারিনা,
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] বাব..বাবা ছ..ছবি গুলো আমি দেখেছি অ..অনেক আগে!
[ স্নেহার ফ্রেন্ডসরা ও অবাক হয়ে তাকালো স্নেহার দিক, স্নেহা অনেক আগে জেনেছে তবে এই ব্যপারে তাদের ও তো কিছু বললো না ]
স্নেহা : ছ..ছবি গুলো দেখে যেমন মনে হচ্ছে তেমন কিছুই না ওদের মাঝে,
স্নেহার বাবা : ব্যাস! স্নেহা আমি বাচ্চা না, আমি তোর বাবা,
– যার বাবা-মা একসাথে সংসার করতে পারেনি, সে আর তোকে নিয়ে কি সংসার করবে,
– আমি আর কিছু বলবো না, শুধু একটাই কথা বলবো! যদি আমাদের তোর বাবা-মা মনে করিস,আমাদের কাছে থাকতে চাস তাহলে ওকে ভুলে যা
– আর যদি তুই ওকে বিয়ে করতে চাস তাহলে করতে পারিস, আমি বাধা দেবো না, তবে এক্ষুনি ওর কাছে চলে যাবি, আর কক্ষনো আমাদের কাছে আসবি না! তোর চেহেরা আমাকে কখনো দেখাবি না, [ সবাই অবাক হলো স্নেহার বাবার কথায়, থমকে গেলো স্নেহা, কানে শুধু বাবার বলা কথা গুলোই বাজছে, চোখ থেকে ও ঝড়ছে না আর পানি, যেনো বরফ হয়ে জমে গেছে সব, ধুপ করেই মাঠিতে বসে পড়লো, ]
মার্জান : [ স্নেহাকে ধরে ] স্নেহা! রিলেক্স!
[ স্নেহার বাবা ও আর কিছু বললো না কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে সোজা ভেতরে চলে যাচ্ছিলো, তখনি, ]
স্নেহা : [ চোখ মুছে, চেঁচিয়ে ] ঠিকাছে বাবা! [ বাবা থেমে গেলো ]
স্নেহা : [ উঠে দাঁড়িয়ে ধীরেধীরে বাবার দিক এগিয়ে এসে ] ঠিকাছে! আমি…[ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] ভুলে যাবো.. রাহুলকে! [ স্নেহার ফ্রেন্ডসরা শকড হলো স্নেহার কথায়, এক একজন একজনের দিক তাকাতে লাগলো ]
জারিফা : [ ফিসফিসিয়ে ] এটাতো সবচেয়ে বড় জোকস্ ছিলো! শায়লা,
– স্নেহা রাহুলকে ভুলবে!
চলবে…