Love At 1St Sight Season 3 Part – 36

0
5361

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 36

writer-Jubaida Sobti

দুজনেই হাসছে মিটিমিটি করে…রাহুল স্নেহার ঘাড়ে মাথা রেখে নাক দিয়ে চুলের স্মেল নিচ্ছে…. [ জানালা দিয়ে বয়ে আসছে হালকা ঠান্ডা বাতাস, কিছুক্ষণ পর পর মুখের উপর এসে পড়ছে লাল-সাদা গাড়ীর ফ্লাস, সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছিলো রাহুলের ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত মুঠি বেধে ধরে ] স্নেহা!

স্নেহা : হুম!

রাহুল : তুমি ঠিকাছো তো?… [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো রাহুলের দিক ]

রাহুল : [ একটু হেসে মাথা তুলে স্নেহার দিক ফিরে ] সব ঠিকঠাক?

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] হ্যা! স…সব ঠিকই তো আছে!

রাহুল : ইউ নো স্নেহা! ইউ হেভ ফোর স্মাইল!

স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে ] মা..মানে?

রাহুল : মানে হচ্ছে! যখন তুমি খুব খুশি হও তখনের হাসিতে তোমার চোখে এক্সাইটমেন্ট থাকে, সেকেন্ড! যখন তুমি লজ্জা পেয়ে ব্লাশিং হয়ে হাসো! থার্ড যখন তুমি কষ্ট চেপে রেখে চোখের জল ফেলে হাসো, ফোর্থ যখন তুমি কোনো কথা লুকানোর চেষ্টায় মিথ্যে হাসির অভিনয় করো!

[ স্নেহা অবাক হয়ে এক পলকে তাকিয়ে রইলো রাহুলের দিক ]

রাহুল : [ আঙুল দিয়ে স্নেহার নাকে বাড়ি দিয়ে ] আই হোপ ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড স্নেহা!

স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যা..! [ স্নেহার কান্ডে রাহুল হেসে সি্টে হেলান দিয়ে বসলো, তা দেখে স্নেহা ও হেসে রাহুলকে জড়িয়ে বুকে মাথা রাখলো, রাহুল ও এক হাতে টাইট করে জড়িয়ে ধরে রাখলো ]

স্নেহা : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] কতো ভালো হতো না রাহুল! যদি আমরা সারাজীবনই এভাবে কাটিয়ে দিতে পারতাম!

– আমি,আপনি আর আমাদের ছোট্ট দুনিয়াটা!

রাহুল : বাট সবাইতো বড় দুনিয়াটাই চাই! তুমি ছোট দুনিয়াটা কেনো চাইছো?…

স্নেহা : বড় দুনিয়াময় তো অনেক মানুষ,অনেক ধরনের,তাদের অনেক বাহানা,অনেক ধারণা,অনেক কষ্ট,অনেক বেদনা,

– [ একটু হেসে চোখ তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আর আমাদের ছোট দুনিয়াতে তো এসব কিছুই হবে না কারণ এই দুনিয়ায় শুধু আমি আর আপনি,

রাহুল : হুমম! হঠাৎ এমন কেনো বলছো?..

স্নেহা : ব্যাস! এমনিতেই!

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : [ বুঝতে পারলো রাহুল তার কাছ থেকে আবারো ঐ প্রশ্নই জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করবে ]

– আব…রাহুল! আমার না অনেক ক্ষিধে পেয়েছে!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তুমি কিছু খাওনি?

স্নেহা : হ্যা! খে…খেয়েছি না…অনেক কিছুই তো খেয়েছি! তাত…তারপর ও কেনো যেনো ক্ষিধে পেয়ে গেলো…

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে ] যখন মিথ্যে বলতে জানো না তখন বারবার মিথ্যে বলার প্রয়োজন কি বলোতো?… [ চুপ করে রইলো স্নেহা ]

[ রাহুল কিছুক্ষণ চুপ করে অন্যপাশ ফিরে থাকে, স্নেহার দিক তাকাতেই দেখে মুখ গোমড়া করে আছে ]

রাহুল : ওকে সরি!

স্নেহা : স…সরি কেনো!

রাহুল : রাগ দেখিয়েছি বলে!

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] দু-মিনিটই তো হলো না রাগলেন, সাথে সাথে সরি?

রাহুল : আমি সহজে কাউকে সরি বলিনা স্নেহা! একবার রাগ উঠলে তার চেহেরা দেখতে ও আমার পছন্দ না,

– যদি ও সেটা আমার বাবা হোক! আই ডোন্ট কেয়ার!

– [ স্নেহার কাছে মুখ এনে ] বাট! রাগ এর চেয়ে ও আমার ঐ মোমেন্টটা খুব কষ্ট হয় যখন তোমার ফেইস্ সেড থাকে,

– ইউ ডোন্ট নো স্নেহা! তুমি আমার জন্য কতোটা ইম্পোরটেন্ট! তুমি আমার লাইফে আসার পর আবার নতুন করে সপ্ন দেখতে শিখেছি স্নেহা!

[ স্নেহার চোখে জল এসে জমে যাচ্ছে, দু-হাত দিয়ে রাহুলের গাল ছুয়ে দিলো,]

রাহুল : চলো উঠো, সামনে বসো!

স্নেহা : সামনে কেনো?…

রাহুল : রেষ্টুরেন্ট যাবো!

স্নেহা : রে…রেষ্টুরেন্ট না গেলে হয় না…এইখানেই খায় গাড়ীতে!

রাহুল : বাট স্নেহা! এইখানে ভালো ফুড স্টল থাকবে বলে আমার মনে হচ্ছে না!

স্নেহা : [ রাহুলের হাত জড়িয়ে ] তা..তাহলে বাদ দেন! আমরা এইখানেই বসে থাকি! এমনিতেও আমার ক্ষিধে চলে গেছে!

রাহুল : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] স্টপ ইট ওকে ?…[ স্নেহার হাত ছুটিয়ে দরজা খুলে ] তুমি গাড়ীতে বসো আমি আসছি!

স্নেহা : হুম!

রাহুল : [ বেড়িয়ে দরজা বন্ধ করে চলে যাচ্ছে হঠাৎ আবারো জানালার দিক এগিয়ে এসে ] Listen! গাড়ী থেকে বের হবা না!

স্নেহা : [ হেসে ] হলেও কি?..আমি তো একাই এসেছিলাম!

রাহুল : অনেক ভালো করেছো একা এসে, তাই না?.. [ চুপ হয়ে গেলো স্নেহা ]

স্নেহা : আচ্ছা! আপনার আসতে লেইট হলে?…

রাহুল : লেইট হবে না আমার আসতে,

স্নেহা : আচ্ছা!

[ রাহুল আর কিছু না বলে সোজা পকেট থেকে চাবি বের করে গাড়ি লক করে দেই ]

স্নেহা : আরে! আপনি লক করে দিলেন কেনো ?..

রাহুল : আমি সেইম মিস্টেক দু-বার করতে চাই না! [ বলেই চাবি পকেটে ঢুকিয়ে চলে গেলো ]

স্নেহা মিটিমিটি হাসছে আর ব্লাশিং হচ্ছে, চোখ দুটি জানালা দিয়ে তাকিয়ে রইলো বাহিরের দিক, জানালা দিয়ে মাথা বের করে বাতাস উপভোগ করছে, আর মনে মনে ভাবছে, রাহুল তাকে কতো ভালোবাসে, সত্যিই সে অনেক ভাগ্যবান যে সে রাহুলের মতোই কাউকে পেয়েছে তার জীবনে, ভাবছে সেই দিন গুলোর কথা আর হাসছে, যখন সে রাহুলের কাছ থেকে দূরে দূরে পালানোর চেষ্টা করতো, প্রথম যেদিন রাতে স্টেশনে ধাক্ষা খেয়েছিলো, পরদিন আবার ভার্সেটিতে, লাইব্রেরীতে,

তারপর, র্যাগিং এর সময় হাত থেকে কেড়ে নিয়ে সিগারেটটা ফেলে দেওয়া,জোড় করে তার সাথে ডান্স করানো, তার সামনে শাড়ী খুলে যাওয়া, জোড় করে ব্রেকফাস্ট করানো, হাত ধরে মার্মিড হাউজ ঘুরে দেখানো, মার্মিড ড্রেস পড়িয়ে ডান্স করানো, একসাথে হরোর মুভি দেখার সময় ভয় পাওয়াতে ওর বুকে লুকিয়ে রাখানো, হস্পিটাল থেকে নিজের কোলে করে গাড়ীতে উঠানো, এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ কিছুক্ষণ পর রাহুল এসে হুটহাট করে দরজা খুলে প্যাকেট হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকে বসলো,

রাহুল : বোরিং হচ্ছিলে একা?..

স্নেহা : আমাদের এতো সুন্দর সুন্দর মোমেন্ট থাকতে বোরিং কিভাবে হই?..

রাহুল : আচ্ছা [ With tedi smile, স্নেহা ব্লাশিং হয়ে সোজা তাকিয়ে ফেলে ]

রাহুল : ওকে নাও, কিছু পাচ্ছিলাম না এগুলোই পেলাম! খেয়ে নাও!

স্নেহা : সেন্ডুইচ! ওকে এটাই ইনাফ! [ বলেই খুলে নিয়ে এক কামড় খেলো ] উমম! টেস্টি! [ বলেই রাহুলের মুখের দিক এগিয়ে দিলো ]

রাহুল : [ মুখ সরিয়ে ] এক্সকিউজ মি! দুনোটাই তুমি ফিনিশ করবা!

স্নেহা : খাবার কে না করতে নেই!

রাহুল : [ হেসে ] ফরগিভ মি! প্লিজ! আই ডোন্ট লাইক সেন্ডুইচ!

স্নেহা : আচ্ছা?..তাহলে আপনার পছন্দের কিছু নিয়ে আসতেন!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আমারতো ক্ষিধে লাগেনি স্নেহা!

স্নেহা : কিন্তু অল্প একটু খেলে কি হবে!

রাহুল : তুমি আগে থেকেই একটু বেশি জেদ করো না?..

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে ] ওকেই [ বলেই খেতে লাগলো, রাহুল হাসতে লাগলো ]

স্নেহা : [ মনেমনে ] কেমনি না খায় মিস্টার তেডি স্মাইল! আমিও দেখি!

– [ মুচকি হেসে ] আচ্ছা আপনার কি খেতে বেশি পছন্দ?…

রাহুল : বললে রাগবা না তো?…

স্নেহা : উমহুম! রাগবো কেনো আজিব?..বলেন!

রাহুল : সিগারেট! [ বলতেই স্নেহা কেশে উঠে ]
– ইউ ওকে স্নেহা?..[ বলেই পানির বোতোলটা খুলে এগিয়ে দেই ]

স্নেহা : সিগারেট?.. আপনার পছন্দের খাবার?

– দেখেন রাহুল! আপনি প্রমিস করেছেন কিন্তু আমাকে!

রাহুল : [ হেসে ] রিলেক্স স্নেহা! আমি খাচ্ছি নাকি?..তুমি জিজ্ঞেস করলে তাই আমি বললাম!

স্নেহা : কিন্তু এটা কোনো খাবার হলো?.. ফুড জাতীয় এইধরনের কিছু বলেন!

রাহুল : স্পেশালি তেমন কিছুই আমার ভালো লাগেনা, তবে মায়ের হাতের খাবার হলে তখন ওটা অনেক পছন্দের হয়ে যায়!

– [ একটু হেসে ] আর তুমি সুগার দিয়ে স্পাইসি্ ডিশ যেটা রান্না করেছিলে আমি তো ওটার ও বিগ ফ্যান হয়ে গেছি!

স্নেহা : [ হেসে উঠে রাহুলের গায়ে একটা চড় মেরে ] ঐদিন আপনার কারণেই আমি অর্ধেক কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম ওকে?

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] আচ্ছা?…কি এমন করেছিলাম আমি?..

স্নেহা : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] আব..কিক…কিছুনা! [ রাহুল হেসে জানালার পাশ ফিরে গেলো ]

স্নেহা : আচ্ছা রাহুল!

রাহুল : হুম! [ বলে স্নেহার দিক তাকাতেই দেখে তার মুখের মধ্যে মেউনেইস লেগে আছে, রাহুল তাকাতেই স্নেহা জিহ্বা দিয়ে তা চেটে নিচ্ছে, আবার কিছুক্ষণ পর পর আড়চোখে রাহুলের দিক ও তাকাচ্ছে, রাহুল বুঝতে পেরে হেসে আবার জানালার পাশ ফিরে যায় ]

স্নেহা : রাহুল!

রাহুল : [ ফিরে তাকিয়ে ] হুম!

স্নেহা : [ তার মুখ রাহুলের সামনে এনে ] দেখেন তো আর লেগে আছে কিনা ? উফফ!…[ বলেই বিরক্তিকর চেহেরা বানিয়ে ফেললো, এমন ভাব করছে যেন মেউনেইস গুলো খাওয়ার সময়ই লেগে গিয়েছে, রাহুল বুঝতে পেরে একটু হেসে স্নেহার ঠোটের দিক তাকিয়ে আবার স্নেহার দিক তাকাতেই স্নেহা চোখ টিপ মাড়লো ] [ Rahul give e tedi smile ]

স্নেহা ভ্রু নেড়ে কপালে তুলে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো, কি হলো?..

রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] এবার..সত্যিই ক্ষিধে পেয়ে গেছে!

স্নেহা আবারো ভ্রু নেড়ে ইশারা করলো, তাইই?… মাথা নাড়িয়ে ইশারা করলো ওকে!

সেন্ডুইচটা তুলে ধরে আংগুল নাড়িয়ে কাছে আসতে ইশারা করলো রাহুলকে!
রাহুল কাছে আসতেই হেসে ঠোটের সামনে সেন্ডুইচটা দিয়ে দিলো!

রাহুল : দিস্ ইস্ নট ফেয়ার স্নেহা!

স্নেহা : আচ্ছা?.. [ বলেই রাহুলের নাকের উপর সেন্ডুইচটা লাগিয়ে দেই, নাকে মেউনেইস লেগে যাওয়ায় স্নেহা কিটকিটিয়ে হাসতে থাকে ]

রাহুল : ইয়াহ! স্মাইল প্লিজ! [ বলেই স্নেহার ওড়নার আচল টেনে নাক থেকে মেউনেইস গুলো মুছে নেই ]

স্নেহা : [ হেসে ] মুছলেন কেনো দারুণই তো লাগছিলো! একদম টম এন্ড জেরির টমের মতো দেখাচ্ছিলো!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] বাট স্নেহা! [ With tedi smile ]

স্নেহা : [ মুখ ভেংগিয়ে সিটে হেলান দিয়ে বসে, সোজা তাকিয়ে ] তা, মিলবে না!

[ রাহুল কাছে এসে স্নেহার পেট থেকে স্লাইড করে ধীরেধীরে কোমোড়ের উপর হাত রাখলো, স্নেহা কেপে উঠলো, হার্টবিট বেড়ে চলছে ,আড়চোখে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে ]

রাহুল : [ স্নেহার কানে ] তাহলে মুছে ফেলছো না কেনো?..

স্নেহা জোড়ে একটি শাস ফেলে ধীরেধীরে রাহুলের দিক তাকিয়ে, তার জ্যাকেটের কলার ধরে একটানে তার মুখের একদম কাছে নিয়ে আনলো,রাহুলের ছুড়ে ফেলা প্রতিটা নিশাসই উপভোগ করছে স্নেহা,

স্নেহা : বিকজ! আই থট! কেউ আমাকে আদর করে মুছে দিবে!

একটু হেসে মুখটা এগিয়ে স্নেহার ঠোটে কিস করলো রাহুল! স্নেহা চোখ বন্ধ করে রাহুলের জ্যাকেটটা শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে রাখলো, ধীরেধীরে স্নেহার পুরো ঠোটটাই তার ঠোট দিয়ে দখল করে নিলো রাহুল!

কিছুক্ষণ পরই, কোনো এক গাড়ীর হর্ণে স্নেহা চমকে উঠলো, রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলো স্নেহা!
রাহুল হেসে জোড়ে একটি শাস ফেলে সিটে হেলান দিয়ে বসলো,চোখটাও স্থির হয়ে বন্ধ করে রাখলো!

স্নেহা পাশফিরে তাকালো রাহুলের দিক,তাকিয়েই রইলো, রাহুল বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো, স্নেহা ও ব্লাশিং হয়ে হেসে উঠলো,

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে, স্নেহার চুল গুলো স্লাইড করে কানে গুজে দিয়ে ] রিয়েলি স্নেহা! আসলেই অনেক টেষ্টি ছিলো! [ স্নেহা আড়চোখে তাকালো রাহুলের দিক ]

রাহুল : আ..আই মিন মেউনেইস্! [ With tedi smile ]

স্নেহা : [ হেসে সোজা তাকিয়ে ] আই থিংক এখন আমাদের যাওয়া উচিৎ!

রাহুল : [ হুট করেই স্নেহার কাছে মুখ এনে ] তাতো যাবে, তবে আরেকটু টেস্ট নিলে বোধ হয়..

স্নেহা : [ হেসে রাহুলের মুখ সরিয়ে দিয়ে ] রাহুলল!

রাহুল : ওখেই! [ বলেই দরজা খুলে নেমে দাঁড়িয়ে ] এক্সকিউজ মি! মেম আপনি ও নেমে কষ্ট করে সামনের সিটে্ বসবেন?…নাকি আমি কোলে করে বসিয়ে দিবো?…

স্নেহা : থেংক্স বাট নো নিড! [ বলেই নেমে সামনের সিটে গিয়ে বসলো,রাহুল ও হেসে ড্রাইভিং সিটে এসে বসে গাড়ী স্টার্ট দিলো ]

স্নেহা : আমি পেছনে বসলেও চলতো! আমিতো আর ড্রাইভিং করছি না!

রাহুল : পেছনে বসলে আমি দেখবো কিভাবে?..

স্নেহা : ড্রাইভ করার সময় ড্রাইভিং এ ফোকাস্ করুণ! আশেপাশের মানুষের দিক না!

রাহুল : তুমি সাথে থাকলে তো চোখ শুধু তোমাকেই ফোকাস্ করে!

স্নেহা : আপনার সাথে আর কথায় পারা যাবে না! [ বলেই হেসে জানালার পাশ ফিরে যায়, রাহুল ও আর কিছু বললো না চুপ করে ড্রাইভিং করতে লাগলো ]

বাড়ী এসে পৌছালো, রাহুল গাড়ী থামিয়ে স্নেহার দিক তাকালো,

স্নেহা : [ একটু হেসে ] থেংক্স রাহুল!

রাহুল : কেনো?..

স্নেহা : ব্যাস এমনিই!

রাহুল : [ কনফিউজড হয়ে ] এমনিই?..

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] বাই! [ বলেই দরজা খুলতে লাগলো, হঠাৎ আবার রাহুলের দিক তাকিয়ে ] ও..হ্যা! গুড নাইট! [ বলেই আবার দরজা খুলতে লাগলো, কিন্তু দরজা খুলছে না ]

স্নেহা : রাহুল! আই থিংক ডোর লক করা!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আমিই করেছি!

স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে ] কিন্তু কেনো?..

রাহুল : আমার কিছু জিজ্ঞেস করার ছিলো তোমার কাছ থেকে!

স্নেহা : হ্যা! বলেন?..

রাহুল : ব্রীজের ধারে আপসে্ট হয়ে একা একা কেনো দাঁড়িয়ে ছিলে?.. তখন তুমি কেনো কাঁদছিলে?..আমি এটার জবাব পাইনি এখনো স্নেহা!

[ বুকটা ধুপ করে উঠলো স্নেহার, এতো সময় পেড়িয়ে এসে রাহুল হঠাৎ করে আবার এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে ভাবেনি]

রাহুল : স্নেহা! আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি! [ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে আবারো দরজাটা খোলার চেষ্টা করলো ]

– [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা! আমি যতোবারই এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছি! তুমি এভোইড করে যাচ্ছো!

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] রার..রাহুল! লক খুলেন এমনিতেও অনেক লেইট হয়ে গেছে!

রাহুল : [ দাত কিলিয়ে ] ডোর ততোক্ষণ ওপেন হবে না যতোক্ষণ না তুমি আমাকে সত্যিটা বলছো!

– আমি আগেও বলেছি স্নেহা! এখনো বলছি ইউ কান্ট লাই টু মি! আমাকে মিথ্যা বলার চেষ্টা করোনা!

স্নেহা : কি হয়ে গেছে আপনার? এতোক্ষণ তো ঠিকই ছিলেন!

রাহুল : ইয়াহ! তোমার চেহেরার খুশিটা দেখতে চাইছিলাম আমি! তুমি হাসছিলা আমার সাথে..খুশিতে ছিলা..তবে তোমার এই হাসিখুশি চেহেরার পেছনে কোনো এক ভয় তোমাকে তাড়া করছিলো!

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] তেমন কিছুই না রাহুল…! সবই তো ঠিক আছে! প্লিজ ডো..ডোর ওপেন করেন!

রাহুলের রাগ বাড়তেই চলছে, স্নেহা এখনো সেই একই কথা বলে যাচ্ছে, রাগান্বিত ভাবে গাড়ীরর দরজা খুলে নেমে ধুপ করেই বন্ধ করে দিলো,

ভয়ে কেপে উঠলো স্নেহা, তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক, তার দিকই এগিয়ে আসছে, স্নেহার পাশে এসে দরজাটা খুলে এক টানে নামিয়ে গাড়ীর সাথে হেলান দিয়ে দাড় করালো,

রাহুল : একটু আগে যা বলেছো, তেমন কিছুই না, ঐ সেন্টেন্সটা আমার চোখের দিক তাকিয়ে বলো!

স্নেহা : কি..করছেন রাহুল কেউ দেখবে তো!

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] দেখুক! আই ডোন্ট কেয়ার!

[ স্নেহা চমকে উঠে ভীতু হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে, রাগ কন্ট্রোল করে ] প্লিজ স্নেহা! ইউ লাভ মি! না?.. [ স্নেহা মাথা নাড়ালো হুম! ]

– সো্ প্লিজ টেল মি!

[ কেঁদে দিলো স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে আছে ]

রাহুল : স্নেহা! তুমি আমাকে কিছু না বললে আমি কিভাবে বুঝবো তোমার প্রবলেমটা কি?…

– Listen! প্লিজ! টেল মি!

[ গড় গড় করে চোখ বেয়ে পানি পড়ছে স্নেহার, ফুফাতে লাগলো, কেঁদে কেঁদেই রাহুলকে সব বলে চলছে ]

স্নেহা : আমি ওকে বলেছি! যাতে ও বব..বলে দেই ও..ওর আমাকে পছন্দ না!

[ বলেই মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকালো, চোখ লাল হয়ে আছে রাহুলের, যেনো আগুন জলছে, ধীরেধীরে রাহুলের হাতের দিক তাকাতেই দেখে রাহুলের হাত মুঠি বেধে রেখেছে, এবার আর স্নেহার আর বুঝতে বাকি নেই, রাহুল অনেক রেগে আছে ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত কাছে টেনে নিয়ে মুঠি ছুটিয়ে তার হাতে শক্ত করে ধরে ] রাহুল!

রাহুল : [ রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে ] আমাকে এসব আগেই বলা উচিৎ ছিলো স্নেহা!

স্নেহা : রাহুল! আমি…

রাহুল : [ দাত কিলিয়ে ] তুমি ডান্স ক্লাস যাচ্ছিলে তখন আমি বারবার বলেছিলাম! ফাইনেনশিলাল কোনো প্রবলেম হলে আমাকে বলো!

– কিন্তু আমাকে কিছুই শেয়ার করোনি! আমাকে এসবের ডিসার্ব মনে করোনি তুমি স্নেহা!

স্নেহা : এমন কিছুই না রাহুল! আমিতো ভেবেছিলাম স..সব ঠিকই হয়ে যাবে,

রাহুল : এটাই ভেবেছিলে তাই না যদি আমাকে এসব শেয়ার করো আমি ভাববো তুমি আমার কাছ থেকে টাকা চাইছো ?…

– [ দু-হাত দিয়ে স্নেহার মুখ তুলে ] স্নেহা! আমি ঐ দিন ডান্স ক্লাস থেকে তোমাকে বাড়ী ড্রপ করে দেওয়ার সময় এটা বলেছিলাম, তোমার যদি কিছু চাই আমাকে বলতে পারো! তুমি এমনটাও মনে করোনা যে আমি কিছু ভাববো এতে নিজেকে ছোট মনে করার প্রশ্নই আসে না! [ ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো স্নেহা ]

রাহুল : [ হাত দিয়ে গাড়ীতে জোড়ে বাড়ি মেরে ] কতোটাই না বোকা তুমি! এতোকিছু হয়ে যাওয়ার পরেও চুপ করে আছো স্নেহা! আমাকে কিছুই বলার যোগ্য মনে করছিলেনা!

– [ চেঁচিয়ে ] তোমার কি মনে হয় স্নেহা?. সামির গিয়ে ওর বাবা-মা কে ঐটাই বলবে যেমনটা তুমি শিখিয়ে দিয়েছো!

– [ দাতকিলিয়ে ] ওকে তো আমি! [ বলেই গাড়ীতে উঠতে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে আটিকিয়ে ] রাহুল! প্লিজ নো!

– [ কাদো কন্ঠে ] ভেবেছিলাম টাকার ব্যাপারটা ও আপনাকে সব খুলে বলে দিবো, ঐদিনই মা ফোন করে বলে সব ঠিক হয়ে গেছে, তাই আর বলিনি আপনাকে,

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে চেঁচিয়ে ] তাহলে আজ?.. আজকে যা হলো এসব বলা আমাকে ইম্পোর্টেন্ট মনে করোনি?…

– ওকে তো আমি আজ ছাড়ছি না!

স্নেহা : [ রাহুলের জ্যাকেট টেনে আটকে ধরে, কাদো কন্ঠে ] এই কারণে! রাহুল! এই কারণে বলিনি আমি!

– আমি জানি আপনি সামিরের উপর রেগে মারামারি করতে যাবেন!

– আ..আমি চাই না আপনি মারামারি করেন, আপনার কিছু হোক!

[ বলেই কেঁদে কেঁদে রাহুলের বুকে মাথা রাখে স্নেহা, রাহুল জোড়ে একটি শাস ফেলে রাগ কন্ট্রোল করে নিলো, স্নেহার মাথার উপর হাত বুলিয়ে, দু-হাত দিয়ে তুলে ধরে চোখের পানি মুছে দিলো, শালটাও ঠিক মতো গায়ে মুড়িয়ে! দিলো ]

রাহুল : ব..বললাম না..আমার সামনে এভাবে কাঁদবা না! [ দু-হাতে চুল গুলো দু-কানে গুজে দিলো

– যাও! ভেতরে যাও…

স্নেহা মাথা নাড়িয়ে পাশ মুড়তেই দেখে আশেপাশে হেটে চলে যাওয়া অনেক লোকজনই তাকিয়ে তাকিয়ে চলে যাচ্ছে, স্নেহা ও আর কিছু না বলে গেইট দিয়ে ঢুকেই যাচ্ছিলো, হঠাৎ ধুপ করে গাড়ীর দরজা বন্ধ করার শব্দ কানে ভেসে এলো, পেছন মুড়ে তাকাতেই ততোক্ষণে গাড়ী স্টার্ট দিয়ে দিলো রাহুল! সামনের দিক এগুচ্ছিলোই গাড়ী, ঐ মুহুর্তেই তাড়াতাড়ি দৌড়ে গাড়ীর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়লো স্নেহা!

রাহুল : [ তাড়াতাড়ি গাড়ী থামিয়ে দরজা খুলে রাগান্বিত ভাবে এগিয়ে এসে চেঁচিয়ে উঠে ] পাগল নাকি তুমি?..এভাবে কেউ দাঁড়ায়?..যদি এক সেকেন্ড লেইট করতাম কি হতো জানো?..

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে কাদো কন্ঠে ] রাহুল! আপনি সামিরের কাছেই যাচ্ছিলেন তাই না?… [ রাহুল চুপ করে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

– আমি জানি আপনি এখনো রেগে আছেন, কেনো করছেন এমন রাহুল! [ চেঁচিয়ে ] এজন্যই তো আপনাকে বলতে চাইনি! আমি জানতাম আপনি এসবই করবেন!

রাহুল : [ দাত কিলিয়ে ] স্নেহা! আই কান্ট কন্ট্রোল মাইসেল্ফ! [ চেঁচিয়ে ] ওর সাহস কতো বড়?..ও তোমার দিক নজর দিয়েছে!

– ওর তো চোখ তুলে ফেলা দরকার! [ বলেই এগিয়ে গিয়ে গাড়ীর দরজা খুলতেই ]

হঠাৎ,

স্নেহা : [ পেছন থেকে এগিয়ে এসে ধুপ করেই দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে ] আপনি এমন কিছুই করবেন না রাহুল!

রাহুল : বাসায় যাও স্নেহা!

স্নেহা : আগে বলেন আপনি এখন আর কোথাও যাবেন না!

রাহুল : স্নেহা! আমি বললাম বাসায় যাও!

স্নেহা : ঠিকাছে যাচ্ছি! কিন্তু আমার কসম আছে রাহুল! আপনার কাছে, আপনি এখন সামিরের কাছে যাবেন না, সোজা বাসায় যাবেন! আর কোথাও না! [ কাদো কন্ঠে ] কোনো মারামারি করবেন না!

রাহুল : স্নেহা! তুমি….

স্নেহা : [ কানে হাত দিয়ে ] বললাম তো আমার কসম আছে!

রাহুল : [ নিজের চুল নিজে টেনে ধরে ] Damn it! [ বলেই গাড়ীতে জোড়ে একটি লাত্তি মারে ]

[ স্নেহা চেয়ে আছে রাহুলের দিক চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে ]

রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে মুখের সামনে আংগুল তুলে ] আই টোল্ড ইউ না! কান্না করবানা…হুম?…[ বলেই আঙুল দিয়ে চোখের পানি গুলো মুছে দিলো, বাতাসে উড়ছে স্নেহার চুল, কাদো কাদো মুখে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক, রাহুল ও তাকিয়ে আছে ]

রাহুল : কালকের ভুল যদি আজকের সপ্ন ভাংগতে চাই না স্নেহা! তাহলে ওর সাহসকেই ভেংগে দেওয়া উচিৎ!

– [ জোড়ে শাস ফেলে ] এনিওয়ে ভেতরে যাও!

[ স্নেহা মাথা নাড়িয়ে ধীরেধীরে ভেতরে চলে গেলো, উপরে উঠে ভালো করে চোখ মুছে বেল বাজাতেই জারিফা দরজা খুললো! ]

জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা! এক সেকেন্ড এক সেকেন্ড এইদিকে আয় [ বলেই স্নেহাকে কাছে টেনে পেছন থেকে চোখে হাত দিয়ে ভেতরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে জারিফা করছিসটা কি?..

জারিফা : আরে দাড়ানা স্যারপ্রাইজ! [ বলেই ভেতরে নিয়ে চোখ থেকে হাত সরিয়ে ] টেট..টেনেড…

স্নেহা : শায়লা! তুইইই [ জড়িয়ে ] কবে এলি?…

শায়লা : হাইইই স্নেহা! বিকেলেই এলাম!

স্নেহা : আই মিসড্ ইউ!

শায়লা : মিসড্ ইউ টু!

– বাই দ্যা ওয়ে, আমি আসতে আসতে তো তোর আর জারিফার সেটিং হয়ে গেছে, কি না লাভ স্টোরি ছিলো! আর আমি কিসব মোমেন্ট মিস্ করে ফেললাম উফফ!

[ জারিফা ব্লাশিং হয়ে হাসতে লাগলো, স্নেহা কেঁদেই দিলো শায়লাকে শক্ত করে জড়িয়ে ]

শায়লা : আরে স্নেহা! কি হলো কাঁদছিস কেনো?… [ স্নেহা কোনো জবাব দিচ্ছে না ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে চলছে ]

মার্জান : [ স্নেহাকে সরিয়ে এনে খাটে বসিয়ে ] কি হয়েছে স্নেহা?..সব ঠিকাছে তো?.. আংকেল আন্টি কিছু বলেছে?..

– আব..রাহুলের সাথে ঝগড়া হয়েছে?..

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] কিচ্ছু ঠিক নেই মার্জান! সব বিগ্রে গেছে!

জারিফা : আরে বিগ্রে গেছে মানে?..কি হয়েছে সেটা তো বল?..

[ স্নেহা কেঁদে সব খুলে বললো, সবার মাথায় যেন বিজলী চমকে পড়েছে ঐভাবেই শকড হয়ে বসে আছে ]

জারিফা : [ মাথায় হাত দিয়ে ] ইয়া আল্লাহ! গতকাল রাত থেকেই রাহুল আর স্নেহার বিয়ের সপ্ন দেখছিলাম..কিন্তু কি হয়ে গেলো এসব!

মার্জান : [ রাগান্বিত ভাবে ] আমার তো প্রথম যেদিন দেখেছি ঐ সামিরটাকে সেদিনই সন্দেহ হয়েছিলো এর মাথায় কিছু পাকিয়ে এসেছে!

– [ দাঁড়িয়ে কোমোড়ে হাত দিয়ে ] কতো বড় সাহস ওর, রাহুল আর তোর রিলেশন আছে জেনে ও আবার তোকে বিয়ে করতে এসেছে!

জারিফা : [ নাক ফুলিয়ে ] একেই বলে কাবাব মে হাড্ডি!

মার্জান : [ স্নেহার পাশে বসে ] কিন্তু স্নেহা! তুই আংকেল আর আন্টিকে রাহুল আর তোর কথা সব খুলে বলে দিশনি কেনো?..

শায়লা : স্টপ ইট! গাইস্ ও বললোই তো আংকেল কি বলেছে এসব লাভসাভের ব্যাপারে!

– হুট করেই কি বলে দেওয়া যায় নাকি?..বাবা আমি সামিরকে বিয়ে করবো না আমি রাহুলকে ভালোবাসি!

– [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] দেখ স্নেহা সামির বলবে কিনা এটা তো শিয়র না! আর যদি নাই বা বলে…তাহলে বাধ্য হয়ে সব সাহস করে বলেই দিবি!

জারিফা : [ স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে ] বাই দ্যা ওয়ে স্নেহা! রাহুলকে সব বলে দিয়ে ঠিক করেছিস! ঐ সামিরকে তো ইচ্ছে মতো একটা ধোলায় দিলে ভালো হবে! [ মুখ ভেংগিয়ে ] এনিমেল একটা!

স্নেহা : মারামারি করলে সব সমাধান হয় না জারিফা! এতে ব্যাপারটা আরো বড় হবে!

– এমনিতেই ওকে বলার সাথে সাথে রেগেমেগে সামিরের কাছেই চলে যাচ্ছিলো!

মার্জান : [ স্নেহাকে জড়িয়ে কাধে মাথায় রেখে ] ডোন্ট ওয়ারি মাই ডিয়ার! সব ঠিক হয়ে যাবে! তোকে তো রাহুলের জন্যই বানিয়েছে, ঐ সামিরের বাচ্চা সামিরকে তো আমি দেখিস কি করি!

জারিফা : আরে স্নেহা তুই কাঁদছিস কেনো?.. এখন তো রাহুল সব জানে!…ঐ সামিরের ছায়া ও আর তোর আশেপাশে আসতে দিবে না হুম!

স্নেহা : [ জারিফার দিক তাকিয়ে ] রাহুল অনেক আপসে্ট হয়ে আছে! জারিফা! রাতে আর ডিনার ও করবে না আমি জানি!

জারিফা : অউউ! মেরি জান! রাহুলকে কত্তো ভালোবাসে! [ বলেই জড়িয়ে ধরলো ]
________________________________

রাতে সবাই ডিনার করে শুয়ে পড়েছে,
স্নেহা ফোন হাতে নিয়ে তাকিয়ে আছে, ভাবছে রাহুলকে কল দিবে কি দিবে না… হঠাৎ ফোনটা বেজেই উঠলো,সাথে সাথেই রিসি্ভ করলো স্নেহা!

স্নেহা : হ্যালো!

রাহুল : মনে হচ্ছে..আমার ফোনেরই অপেক্ষা করছিলা?..

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আপনি ডিনার করেছেন?..

রাহুল : হ্যা! তুমি?..

স্নেহা : নাহ! যেমনটা আপনি করেন নি!

রাহুল : কামঅন স্নেহা!

স্নেহা : আপনি এখনো রেগে আছেন রাহুল! তাই না! [ চুপ করে রইলো রাহুল ]

– [ কাঁদো কন্ঠে ] সরি! রাহুল!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আই লাভ ইউ স্নেহা!

[ মুখ চেপে ধরে আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো স্নেহা ]

রাহুল : ডোন্ট ক্রাই স্নেহা!

– এন্ড লিসে্ন ডোন্ট ওয়ারি আই এম ওকে!

স্নেহা : হুম!

রাহুল : ঘুমিয়ে পড়ো! গুড নাইট!

স্নেহা : গুড নাইট!

পরদিন সকালে,

সবাই তৈরী হচ্ছে ভার্সেটির জন্য,স্নেহা মুখ গোমড়া করে বসে আছে বারান্দায়!

মার্জান : [ বারান্দায় এসে ] স্নেহা! ভার্সেটি যাবি না?..আবারো মন খারাপ করে বসে আছিস?..

– তুকে বললাম না এসব নিয়ে টেনশন না করতে!

স্নেহা : আমার টেনশন রাহুলকে নিয়ে মার্জান! তোরা তো জানিস রাহুলকে!

মার্জান : ওকে এক সেকেন্ড [ বলেই ভেতরে গিয়ে স্নেহার ফোনটা এগিয়ে এনে স্নেহার হাতে ধরিয়ে দিলো, স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো মার্জানের দিক ]

মার্জান : নে ধর রাহুলকে ফোন দে!

স্নেহা : কিক..কিন্তু…

মার্জান : [ চেঁচিয়ে ] আরে তুই দে না…

– ওকে বলবি! ও ভার্সেটি যাওয়ার সময় যাতে তুকে পিক করে নেই!

স্নেহা : কিন্তু ও পিক করে দেওয়ার কি দরকার…আমরা তো যাচ্ছিই বাস করে!

মার্জান : আরে গাধী! তুই এমনটা ওকে বললে…ওর হয়তো,ভালো লাগবে! ওর মন আপসে্ট থাকলে মনে রাগ থাকলে, ওটা হয়তো সকাল সকাল তুকে দেখেই [ চোখ মেরে ] পাল্টে যাবে!

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] আচ্ছা!

মার্জান : হুম! তুই বল..আমি যায় রেডি হতে হবে!

স্নেহা রাহুলকে ফোন দিলো, দু-তিন রিং পড়তেই রাহুল ফোন উঠালো!

রাহুল : [ ড্রাইভ করতে করতে ] গুড মর্নিং!

স্নেহা : গুড মর্নিং! আ..ব্রেকফাস্ট করেছেন?..

রাহুল : হুম! তুমি?..

স্নেহা : আচ্ছা আপনি কি কালার কাপড় পড়েছেন আজ?…

রাহুল : [ কনফিউজড হয়ে ] মানে?..

স্নেহা : [ মন খারাপ করে ] কিক..কিছু না!

রাহুল : স্কাই কালার!

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] শার্ট? নাকি টি-শার্ট?

রাহুল : শার্ট!

স্নেহা : ওকে! আচ্ছা শুনেন!

রাহুল : হুম!

স্নেহা : আপনি কি এখন ভার্সেটি যাওয়ার সময় আমাকে পিক করে নিতে পারবেন?…

[ বলতেই রাহুল সামনের দিক তাকিয়ে গাড়ী থামালো,দেখে সে অলরেডি ভার্সেটির গেইটের সামনে পৌছে গেছে, ভেবেছিলো স্নেহা ভার্সেটি আসার আগেই সামিরকে দেখে নিবে, কিন্তু কি আর করার স্নেহাকে ও আর নিষেধ করতে পারবে নাকি…? স্নেহা আগে ইম্পোরটেন্ট! তারপর বাকিসব! ]

স্নেহা : রাহুল! কোথায় হারিয়ে গেছেন?..

রাহুল : ইয়াহ!…আ..আমি আসছি!

স্নেহা : ওকে! তাহলে!

রাহুল : ওকে!

[ স্নেহা ফোন কেটে এক্সাইটেড হয়ে উঠে দৌড়ে গিয়ে আলমারি খুলে স্কাই কালার কাপড় খুঁজতে লাগলো, এইদিকে রাহুল আর গাড়ী গেইটের ভেতর ঢুকালো না পেছনে ব্যাক দিলো স্নেহাকে পিক করার উদ্দেশ্যে ]

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে