♥Love At 1St Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 33
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল হাত দিয়ে স্নেহার পিঠ আলগে ধরে স্লাইড করছে, ক্রীম গুলো সব স্নেহার পিঠেই মাঝতে লাগলো তাতেও খবর নেই, হারিয়ে গেছে রাহুল অজানা এক ভালো লাগাই!…
স্নেহা : [ ছুটে এসে ] রার…রাহুল! ড্রেস খারাপ হচ্ছে…
রাহুল : হোক! [ বলেই স্নেহার গলায় কিস্ করতে লাগলো ]
কিছুক্ষণ পরেই স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে দৌড়ে সরে যাচ্ছিলো …. রাহুল ও ব্লাশিং হয়ে হেসে স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে আবার দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দাড় করায়,
রাহুল : সামান্যতে এতো লজ্জা স্নেহা?…[ with tedi smile ]
স্নেহা কিছু বললো না লজ্জায় ঘাবড়ে গেলো, চুপ করে মাথা নুয়ে আছে,জোড়ে জোড়ে শাস ফেলছে,
রাহুল : [ স্নেহার একদম কাছে মুখ এনে ] কামঅন স্নেহা! ভয় পেতে হবে না, আমি তোমার পার্মিশন ছাড়া আর কিছু করবো না…
– উইদাউট কিস্ [ বলেই স্নেহার গালে একটি চুমু খেলো, স্নেহা শকড হয়ে তাকালে, রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার গায়ে ওড়নাটা পড়িয়ে দিলো, তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহাকে কাছে টেনে হুট করে কোলে তুলে নিলো ]
স্নেহা : আরে ?…
রাহুল : অওহ! স্নেহা! তোমাকে দেখে লাগছে না, কিন্তু আগে থেকে একটু ভারী হয়ে গেছো!
স্নেহা : দেখেন উল্টা পাল্টা কথা বলবেন না,আপনি যে ড্রেস টা কিনেছেন এটাই তো কমপক্ষে চল্লিশ-পঞ্চাশ কেজি হবে!
– [ মুখ ভেঙিয়ে ] এমনিতেও! আমি কি বলেছি আপনাকে কোলে নিতে?…
রাহুল : না বলোনি কিন্তু আমার ইচ্ছে হয়েছে নিয়েছি! যখন ইচ্ছে হবে নিবো, এবং সারাজীবনই নিয়ে যাবো,
স্নেহা : [ একটু হেসে ] নিয়ে যাবেন?.. কোথায়?..
রাহুল : স্মার্ট কুয়েশন!.. [ with tedi smile ]
– বাকি গুলো পরে দেখে নেবো, তবে আপাতত এখন রুফটপে নিয়ে যাচ্ছি, [ বলেই হাটা শুরু করে ]
স্নেহা : রুফ টপে?..কিন্তু কেনো?..
রাহুল : আগে চলোতো…তারপর নিজেই দেখে নিবে! [ আর কিছু বললো না স্নেহা, ব্লাশিং হয়ে মুচকি হেসে রাহুলের কাধ শক্ত করে জড়িয়ে তাকিয়ে রইলো এক পলকে ]
রুফ টপে পৌছাতেই স্নেহা আশেপাশে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলো,চারদিক সাদা কাপড় আর অনেকগুচ্ছো সাদা গোলাপে মুড়িয়ে সাজানো হলো…
রাহুলের কোল থেকে নেমে দাঁড়ালো স্নেহা!
সামনে হেটে এগিয়ে যেতেই দেখে মাঝে একটি ডিনার টেবিল ও রেডি করা আছে, তারউপর হলুদ বাতির দুটো ক্যান্ডেল লাইট জলছে! হঠাৎ খেয়াল করলো রাহুল পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, স্নেহা তাকাতেই,
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম?..
রাহুল : আজ ডিনার করবে তো?..নাকি আজ ও পেট ভরে গেছে সামথিং অর ক্ষিধে নেই!…
[ রাহুলের কথা শুনে স্নেহা লজ্জায় একটু হেসে তাড়াতাড়ি অন্যপাশ ফিরে যায় ]
রাহুল : তবে আজ কিন্তু পেট আমার অনেক ভরেছে…ডিলেশিয়াস্ ক্রিমি প্লাস…
স্নেহা : [ লজ্জায় চেঁচিয়ে ] রাহুল!
রাহুল : [ হেসে ] ওকে ওকে.. ফিনিশ!
[ বলেই হাত বাড়িয়ে দিলো স্নেহার দিক, একটু হেসে রাহুলের হাতের উপর হাত রাখলো স্নেহা!, এগিয়ে নিয়ে একটি চেয়ার টেনে বসালো রাহুল স্নেহাকে!]
স্নেহা : এমন লাগছে যেনো,কোনো সাদা গোলাপের বাগানে এসেছি!
রাহুল : পরীরা যেখানে পা রাখবে জায়গাটা ডেফিনিটলি ফুলের বাগানের মতোই তো লাগবে!
স্নেহা : হোহ?.. পরী কে?…
রাহুল : তুমি!
স্নেহা : ওও! তাহলে আপনি?…
রাহুল : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] আমি ভুত!
স্নেহা : [ হেসে ] ভুত হতে যাবেন কেনো?..
রাহুল : [ হেসে ] তাহলে আর কি হবো?..ভুত ছাড়া?..সব ইউজলেস জিনিষের সাথেই ছেলেদের তুলোনা করা হয়!
– মেয়েদের ডেডিকেট করার জন্য, পরী আছে, ফুল আছে, চাঁদ আছে, আরো কতো কি…আর এগুলোর অপোজিট ডেডিকেট করো ছেলেদের,
– তুমি পরী হলে আমি ভুত!, ভুত দেখলেই তো মানুষ ভয়ে কাঁপতে থাকে, কারণ এর চেহেরা ভয়ানক আর কুৎসিত,
– তুমি ফুল হলে আমি কাটা, একটা সুন্দর ফুল দেখে মুগ্ধ হয়ে যখন সেটা ছিড়তে যাবে তখন ঐ যে কাটায় গিয়ে আঘাত পাবে [ একটু হেসে ] তারপর নাও কাটার উষ্টিগুষ্টিকে গালি দিয়ে ভরিয়ে ফেলবে!
– তারপর তুমি চাঁদ হলে আমি সূর্য, ইংলিশ ট্রান্সলেটে ও মুনকে ফিমেল ধরে আর সা্ন কে মেল, চাঁদ দেখলেই মানুষ পোয়োট্রিক হয়ে যায়, চাঁদের আলো আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাকে মেয়েদের সাথে তুলোনা করে, আর সূর্য যার আলোতে গোটা পৃথিবী ভরে যায় তাকে মানুষ গালি দিতে থাকে কারণ তার তাপ একটু বেশী,
[ স্নেহা রাহুলের কথা শুনে কিটকিটিয়ে হেসে উঠে ]
রাহুল : হুম! হুম! হাসো…
স্নেহা : কিন্তু রাহুল! আপসে্ট হচ্ছেন কেনো?…সব স্ট্রং জিনিষই তো ছেলেদের সাথে তুলোনা করা হয়েছে!
– এই যে যেমন বলছেন ভুত, যেটা দেখলে মানুষ ভয় পায় কারণ তার সাথে মানুষ মোকাবেলা করতে পারবে না,
– সেকেন্ড কাটা, কাটাতো ফুলের সুরক্ষকারী যার ভয়ে মানুষ ফুল ছিরতে ভয় পায়,
– আর সূর্য যার তাপ অনেক বেশি যেমনটা ছেলেদের রাগ বেশি, ইনফ্যাক্ট সূর্যের এমন আলো যার কারণে মানুষ চোখ তুলে ও সূর্যের দিক বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না, সো্ দ্যাটস্ ইট!
রাহুল : হুম! এবার বুঝলাম তোমার চশমা কেনো প্রয়োজন হয়েছে! লজিক আছে কথায়, ব্রিলিয়ান্ট!
স্নেহা : এক্সকিউজ মি! চশমা আমি Headache এর জন্য ইউজ করি!
রাহুল : ঐ তো Headache তখনিই তো হয় যখন তুমি প্রেশার দিয়ে এসব চিন্তাভাবনা করো!
স্নেহা : হয়েছে?..হুম?..
রাহুল : হুম! হয়েছে [ with tedi smile ]
– ওকে..এবার ডিনার শুরু করো!
– আচ্ছা ওয়েট…ওয়েট ফার্ষ্ট মি..ওকে.?.[ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো, রাহুল স্পুনে খাবার তুলে স্নেহার মুখের দিক এগিয়ে দিলো ]
স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] ওয়েট! [ বলেই সে ও তার স্পুনে খাবার তুলে রাহুলের মুখের দিক এগিয়ে দিলো, দুজনেই হেসে উঠে দুজনের হাতে এগিয়ে দেওয়া স্পুনের খাবারগুলো খেয়ে নিলো ]
After Dinner,
রাহুল ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক, স্নেহা হেসে হেসে পানি খেয়ে একটা টিসু এগিয়ে নিয়ে মুখ মুছে নিলো…
মুখে হাত দিয়ে বসে আছে স্নেহা..আর রাহুল তাকিয়েই আছে… [ Then Eye Contact ]
কিছুক্ষণ পর, স্নেহা চোখ দিয়ে ইশারা করলো রাহুলকে… দেখা হয়েছে কিনা..?
রাহুল ও ভোর কুঁচকে ইশারা করে বললো… না হয়নি!
স্নেহা : [ একটু হেসে ] আই থিংক আমার এখন ড্রেসটা চেঞ্জ করা উচিৎ! রাহুল!
– আমি যাচ্ছি! [ বলেই উঠে দাঁড়ালো ]
রাহুল : আরে চেঞ্জ করবা মানে ?…ভালোই তো লাগছে!
স্নেহা : পাগল নাকি?.. আমি এটা কেড়ি করে নিয়ে এখন বাসায় যাবো?…
রাহুল : [ উঠে দাঁড়িয়ে ] হ্যা তো কি হয়েছে…?
– ওকে তোমার হাটতে হবে না আমি কোলে করে গাড়ীতে তুলে দিবো তারপর আবার কোলে করে গাড়ী থেকে নামিয়ে আবার কোলে তুলে…
স্নেহা : ব্যাস! ব্যাস! [ হেসে ] এতোবার কোলে তুলতে হবে না…এটা এখানেই থাক…
রাহুল : এখানে থাকবে কেনো ?..আমি পড়ার জন্য?…
স্নেহা : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] আপনি পড়তে যাবেন কেনো…. [ রাহুলের কাছে এসে জ্যাকেট টেনে ঠিক করে দিয়ে.. ]
– আসবোই তো একদিন এইখানে, এক্কেবারের জন্য…. হুম?…তখন পড়বো!
রাহুল : [ স্নেহার কোমোড়ে হাত রেখে কাছে টেনে ] আচ্ছা?… তো ঐ দিনটা কবে আসছে…?
স্নেহা : আসছে! ওয়েট করুন!…
রাহুল : [ স্নেহার নাকের সাথে নাক লাগিয়ে ] ওহ নো স্নেহা! আই কান্ট ওয়েট!
স্নেহা : [ হেসে রাহুলের গাল টেনে দিয়ে ] বাট ওয়েট করতে হবে! [ বলেই কোমোড় থেকে রাহুলের হাত ছুটিয়ে ঘাগড়া হাতে তুলে দৌড়ে চলে যাচ্ছে ]
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা!
[ স্নেহা থেমে গিয়ে পেছন মুড়ে তাকায়, রাহুল এগিয়ে এসে তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহাকে কোলে তুলে নেয়! স্নেহা ও আর কিছু বললো না… ব্লাশিং হয়ে হেসে রাহুলের গলায় জড়িয়ে কাধে মাথা রেখে তাকিয়ে থাকে রাহুলের দিক ]
নিচে নেমে আসলে…রাহুল কোল থেকে নামাতে না চাইলেও স্নেহা ছুটাছুটি করে নেমে বেডরুমে চলে যায়,রাহুল হাসতে থাকে,
কিছুক্ষণ পর স্নেহা চেঞ্জ করে ড্রইংরুমে এগিয়ে এসে দেখে রাহুল সোফার হাতের উপর বসে আছে, পা নাড়িয়ে গুণগুণ করে গান করছে….
রাহুল : [ স্নেহাকে দেখতেই ঘুমের আলসেমি কেটে ] স্নেহা! আমার না আসলে অনেক টায়ার্ড লাগছে…আ..আই মিন ঘুম পাচ্ছে চোখটা খুলে রাখতে পারছি না, চলো ঘুমিয়ে পড়ি!
স্নেহা : [ একটু হেসে ] তাই?…কম্বল আর বালিশটাও কি এইখানে সোফায় এনে দেবো?..
রাহুল : না..নাহ থাক ওসবের দরকার নেই! [ চোখ টিপ মেরে ] শুধু তুমি আসলেই চলবে…
স্নেহা : তাই?…
রাহুল : ইয়েস্! [ With tedi smile ]
স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের কাছে এগিয়ে এসে দাঁড়ালো, রাহুল ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে স্নেহার হাত ধরতেই যাবে..তখনি
স্নেহা : [ হেসে হাত কাধে উঠিয়ে ব্যাগ ঠিক করে ] বাই! [ বলেই হেটে দরজার দিক চলে যায় ]
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] আরে স্নেহা ওয়েট! [ বলেই দৌড়ে এগিয়ে যায় স্নেহা হেসে দরজা খুলে বেড়িয়ে গেলো ]
রাহুল : [ পেছন থেকে স্নেহার হাত ধরে ] ঐ…
স্নেহা : ইয়েস্
রাহুল : নাহ বলছিলাম যে.. আজ না হয় থেকে যাও…
স্নেহা : থেকে কি হবে?…
রাহুল : থেকে কি হবে মানে?..কিছু তো করতে দিবা না…এমনিতেও আর একদিনে কি বা..হয়ে যাবে…আফটার অল! টেন মানথস্ তো লাগবেই!
স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] ছিঃ রাহুল!
রাহুল : [ স্নেহার কাছে মুখ এনে ] Listen! জাষ্ট তাকিয়ে থাকবো তোমাকে!…
স্নেহা : [ রাহুলের নাক চেপে দিয়ে ] অনেক তাকিয়ে ফেলেছেন আজ! আর তাকিয়ে থাকতে হবে না! [ বলেই হাটা শুরু করে ]
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] ওহো স্নেহা! আমি যেমনকি বাচ্চা! নাক চেপে আদর করে দিলা তো ব্যাস! হয়ে গেলো!
[ স্নেহা ফিরে তাকিয়ে একটু হেসে মুখে আংগুল দিয়ে আস্তে বলার জন্য ইশারা করে, রাহুল ও তেডি স্মাইল দিয়ে দৌড়ে গিয়ে স্নেহাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ]
স্নেহা : আরে রাহুল! কি করছেন! পাগল নাকি?..সিকিউরিটি দেখছেন না?…[ বলেই ছুটাছুটি করতে থাকে, রাহুল হেসে স্নেহাকে টেনে তারদিক ফিরিয়ে কোলে তুলে নেয়! ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে রাহুল! নামান প্লিজ! এসব ভালো হচ্ছে না…[ বলেই নেমে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে ]
[ রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহাকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে, সিকিউরিটিদের দিক তাকিয়ে,কাঁকা বলে চেঁচিয়ে উঠে, এবং সিকিউরিটি দু-জনই হেসে আঙুল দেখিয়ে অল দ্যা বেষ্ট ইশারা করে ]
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] জানো ওরা কি বললো?… মানে অল দ্যা বেষ্ট! প্রেম চালিয়ে যাও!
স্নেহা : আপনি না একটু বেশিই করছেন রাহুল!
– নামান আমাকে প্লিইইজ!
[ রাহুল একটু হেসে গাড়ীর দিক এগিয়ে গিয়ে স্নেহাকে নামিয়ে দরজা খুলে দিলো, স্নেহা নাক ফুলিয়ে গাড়ীতে উঠে বসে, রাহুল দরজা বন্ধ করার আগেই স্নেহা ধুম করে টেনে দরজা বন্ধ করে দিলো, রাহুল ও তেডি স্মাইল দিয়ে ড্রাইভিং সি্টে এগিয়ে গিয়ে বসলো ]
গাড়ী চলছে স্নেহা কিছু বলছে না জানালার দিক তাকিয়ে আছে…রাহুল কিছুক্ষণ সোজা তাকাচ্ছে তো কিছুক্ষণ হেসে আবার স্নেহার দিক তাকাচ্ছে, রেগে আছে স্নেহা! তবে রাগ দেখালে স্নেহাকে আরো একটু বেশিই কিউট লাগে…
রাহুল : এতো রাগার কি আছে…ওরা আমার ঘরের মানুষের মতোই! ইনফ্যাক্ট আমার কয়টা গার্লফ্রেন্ড আছে না আছে, ওরা কবে আমার বাসায় আসছে না আসছে সব খবরই ওদের থাকে…এক কথায় আমার ভেতর বাহিরের খবর…
– [ একটু হেসে ] দাদী যদি ওদের জিজ্ঞেস করে বাসায় কবে ফিরেছি…লেইট নাইটে ফিরলেও ওরা বাচিয়ে নেই! দ্যাটস্ হোয়াই আই লাভ দেম!
স্নেহা : [ আড় চোখে অবাক হয়ে তাকালো ] কয়টা গার্লফ্রেন্ড আছে না আছে মানে?…কয়টা আছে?…
রাহুল : [ হেসে ] ওহহো এভাবে তাকাচ্ছো কেনো… গার্লফ্রেন্ড মিনস্ আ..জাষ্ট লাইক শ্রেয়া!
– নট ইউ! [ With tedi smile ]
[ স্নেহা কোনো জবাব দিলো না জানালার দিক ফিরে গেলো ]
রাহুল : ওয়াও! স্নেহা জলতে ও পারে!
স্নেহা : আই এম নট ফিলিং জ্যালা্স! ইফ দেয়ার অনলি ফ্রেন্ডস!
– লাইক শ্রেয়া!
রাহুল : ওকেই! [ With tedi smile ]
স্নেহা : আর আপনি বক বক না করে না সোজা তাকিয়ে গাড়ী চালান! প্লিজ!
রাহুল : তুমি যতোই রাগো না কেনো স্নেহা…আমার মন চাইলেই কোলে তুলে নিবো… সেটা পাবলিক প্লেস্ হোক অর প্রাইভেট প্লেস্ আই ডোন্ট কেয়ার!
[ স্নেহা আর তাকালো না রাহুলের দিক, মনে মনে হাসছে রাহুলের কথায়, আর ব্লাশিং হচ্ছে ]
বাড়ী এসে পৌছালো, গাড়ী থামিয়ে স্নেহার দিক তাকালো রাহুল!
স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] রাহুল! আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো!
রাহুল : ইয়েস্!
স্নেহা : আমি কাল থেকে আর ডান্স ক্লাস যাচ্ছিনা!
রাহুল : ওওয়াও! দ্যাটস্ আ..গ্রেট নিউজ!
স্নেহা : কাল! বাবা-মা আসছে, মামার বাসায়!
রাহুল : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ওউউউ! গুড নিউজ!..
স্নেহা : আমি কাল আপনার কথা বাবা-মা কে জানিয়ে দিবো!
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] ওহ! ওয়াওও! দ্যাটস্ আ…ব্রেকিং নিউজ ফর টুডে!
স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] উফফো! রাহুল! আমি সিরিয়াসলি কথা বলে যাচ্ছি…আর আপনি মজা করেই যাচ্ছেন! [ বলেই দরজা খুলে নেমে পড়ে ]
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা! ওয়েট! [ বলেই নেমে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে ] আমি মজা করছিলাম না সত্যি! বাই দ্যা ওয়ে ব্রেকিং নিউজই তো হবে তাই না? ফাইনালি স্নেহা তার পেরেন্টস্ কে তার ভালোবাসার কথা বলবে! হুম! হুম!
স্নেহা : সব কিছু যতোটাও সোজা মনে করছেন রাহুল! ততোটাও সোজা না! ভালোবাসায় দু-জনের মনের মিল করে! আর বিয়ে! দুটো পরিবারকে এক করে!
– রাহুল! আপনার পরিবারের স্ট্যাটাস আর আমার পরিবারের স্ট্যাটাস আসমান-জমিনের তফাৎ!
রাহুল : বাট! স্নেহা! আমি কারো স্ট্যাটাসকে ভালোবাসিনি… আমি তোমাকে ভালোবেসেছি! আমাদের ভালোবাসায় স্ট্যাটাস কেনো আসবে?
স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] আই হোপ সো্… যাতে কোনো বাধা না আসে!
রাহুল : বাধা কেনো আসবে?…কে বাধা দেবে?..
– [ হাত দিয়ে স্নেহার মুখ তুলে ] Listen! তোমাকে রাহুল ভালোবেসেছে ওকে?…
স্নেহা : [ একটু হেসে রাহুলের নাক চেপে দিয়ে ] হুম! রাহুল ভালোবেসেছে…
রাহুল : ইয়েস্ মাইন্ড ইট!
স্নেহা : [ রাহুলের দুহাত মুঠি বেধে ধরে ] রাহুল!
রাহুল : হুম!
স্নেহা : বাবা অনেক সেনসিটিভ মাইণ্ডের মানুষ! ছোট থেকেই আমি বাবাকে মুখ ফুটে কিছু বলিনি! মনের মধ্যে ভয় কাজ করে কিছু বলতে!
– কিন্তু আজ উদ্দ্যেগ নিয়েছি! বাবাকে বলবোই, আমার আপনাকেই চাই সারাজীবনের জন্য!
[ চোখে পানি টলমল করছে স্নেহার তাও হেসে উঠে ] এই প্রথম কিছু বলবো তো!.. তাও ভালোবাসার কথা… একটু নার্ভাস লাগছে…
রাহুল : [ হেসে স্নেহার চোখের পানি গুলো মুছে দিয়ে ] You know স্নেহা?
– জীবনে হয়তো কোনো একটা ভালোকাজ করেছিলাম..যার কারণে আমি তোমাকে পেয়েছি!
– দেখোনা তুমি তোমার ফাদারকে কতো রেসপেক্ট করো, কতো ভালোবাসো… আর আমাকে দেখো.. [ বলেই হেসে উঠে ] তোমার এই পিউর লাইফের সাথে না আমার এই ডিস্কাস্টিং লাইফের তুলোনাই হয়না!
স্নেহা : [ রাহুলের চেপে রাখা কষ্ট!বুঝতে পেরে তার হাত আরো শক্ত করে ধরে ]
– রাহুল!
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা! তোমার বাবাও তোমাকে এমনভাবে ভালোবাসে তাই না!
স্নেহা : রাহুল! পাষ্ট সবারই থাকে…পাষ্ট দিয়ে কি থেমে থাকা যায়?.. এসব নিয়ে নিজেকে কষ্ট দিয়ে কি লাভ? চাইলেই আপনি আপনার বাবা… [ বলতেই রাহুল জোড়ে একটি শাস ফেলে স্নেহার দুগালে হাত রাখে ]
রাহুল : ওকে স্নেহা! অল দ্যা বেষ্ট!…সব ঠিকটাকই হবে…ডোন্ট ওয়ারি!
– এন্ড আই এম ওয়েটিং! [ with tedi smile ] কখন আসবে এক্কেবারের জন্য! হুম?…
স্নেহা : [ একটু হেসে ] রাহুল!
রাহুল : হুম?…
স্নেহা : আপনি আপনার বাবাকে ভালোবাসেন?..
রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে অন্যপাশ তাকিয়ে ] ঠান্ডা অনেক ভেতরে যাও…গুড নাইট!
স্নেহা : [ বুঝতে পেরে মুচকি হেসে কিছুক্ষণ একপলকে রাহুলের দিক তাকিয়ে থেকে ] গুড নাইট!
চলে গেলো স্নেহা, তাকিয়ে আছে রাহুল, চোখ লাল হয়ে আসছে রাহুলের কেনো যেনো,
তাও কন্ট্রোল করে নিচ্ছে নিজেকে…
গাড়ীতে উঠে বসলো,
ভাবতে লাগলো সেই মোমেন্ট গুলো, একা একা রাতে বসে বাবার বার্থডে সেলেব্রেট করা, সব গাড়ীর টায়ার ইচ্ছে করে পাম্পচার করে দেওয়া, যাতে বাবা গেইটের দিক তার থেকে লিফট নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে! চোখ ভিজে যাচ্ছে রাহুলের!
________________________________
এইদিকে,
স্নেহা বেল বাজাতেই জারিফা আর মার্জান দুজনেই একসাথে এগিয়ে এসে দরজা খুললো,
মার্জান : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ওউ বার্থডে গার্ল কামিং!
[ স্নেহা ঢুকতেই জারিফা মার্জান দুজনেই ঝাপিয়ে জড়িয়ে ধরে,]
– হ্যাপি বার্থডে মেরি জান!
স্নেহা : [ দুজনকে জড়িয়ে দুজনের কপালে চুমু দিয়ে ] থেংক ইউউ!
জারিফা : [ স্নেহাকে টেনে ভেতরের রুমে এগিয়ে নিয়ে ] চল চল! স্নেহা… কেক টেষ্ট করে বল কেমন হয়েছে! [ স্নেহা হাসতে লাগলো জারিফার কান্ডে ]
চলবে….