♥Love At 1St Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 27
writer-Jubaida Sobti♥
After 5 mins,
রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার ঠোটের স্পর্শ ত্যাগ করে,চোখ খুলে তাকালো স্নেহার দিক….
লালচে হয়ে আছে স্নেহা, বাতাসে কিছু চুল বারবার মুখের সামনে এসে বাড়ি খেয়ে যাচ্ছে, লজ্জায় চোখটা এখনো বন্ধ করে রেখেছে,জোড়ে জোড়ে শাস ফেলছে…
[ রাহুল ধীরেধীরে দু-কদম পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো ]
রাহুল : যদি প্রতিদিন রাতের ডিনার এটাই হয়! তাহলে সারাদিনই উপাস থাকতে রাজি আমি!
[ চুপ করে আছে স্নেহা চোখটা এখনো বন্ধ, রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে….ক্যান্ডেল লাইটের হলদে আলো স্নেহার গায়ে নিবু নিবু করে ভেসে যাচ্ছে, সব মিলিয়ে স্নেহার দিক তাকাতেই অপরুপ লাগছে স্নেহাকে ]
রাহুল : এতোটাই ব্লাশিং হইয়ো না স্নেহা! স্ট্রোভেরি ভেবে কখন যে কামড়াতে শুরু করি ঠেরই পাবা না…
[ একটু মুচকি হেসে ধীরেধীরে চোখ খুললো স্নেহা… রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল পকেটে হাত রেখে তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে, চোখেচোখ রাখতে না পেরে হুট করেই দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লো স্নেহা, রাহুল ও ব্লাশিং হয়ে হেসে মাথা চুলকাতে লাগলো ]
[ স্নেহা ড্রইং রুমে গিয়ে সোফার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বুকটা এখনো ধুপধুপ করে স্নেহার,
কিছুক্ষণপর খেয়াল করলো কানের ধারে ফু দিয়ে কেউ চুল গুলো সরিয়ে দিচ্ছে…স্নেহা শিউরে উঠে কোণা চোখে তাকিয়ে দেখে রাহুলই পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, স্নেহা রাহুলের দিক না তাকিয়ে ব্লাশিং হয়ে মাথা নিচু করে রাখে ]
রাহুল : আমি খাবার অর্ডার করেছি,কিছুক্ষণ পরই চলে আসবে!
স্নেহা : রাহুল! আমার এখন..যাওয়া উচিৎ!
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] আর ডিনার?..
স্নেহা : খাবো না! খিখ…খিধে নেই!
রাহুল : কেনো? কিস্ করে পেট ভরে গেছে নাকি ?…[ With tedi smile ]
[ স্নেহা লজ্জায় সরে যাচ্ছিলো ]
রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] আমি ভেবেছি খালি আমার পেট ভরেছে….
স্নেহা : এ..এমন কিক..কিছুই না…
রাহুল : [ স্নেহাকে কাছে টেনে নিয়ে ] তাহলে কেমন!
স্নেহা : তেত…তেমন কিছুই না যেমন টা আপনি ভাব..ভাবছেন!
রাহুল : অহ! রিয়েলি
[ বলেই স্নেহাকে সোফার সাথে হেলান দিয়ে দাড় করালো, স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক, ]
রাহুল : খিধে নেই তাহলে খিধে কিভাবে মিটেছে স্নেহা?…
স্নেহা : [ বিরক্তি হয়ে হেসে ] হাটেন রাহুল! প্লিজ
[ বলেই রাহুলকে ধাক্ষিয়ে সরিয়ে দিয়ে টেবিল থেকে ব্যাগটা কাধে তুলে নিলো ]
রাহুল : আরে স্নেহা! ডিনার অর্ডার করেছি খেয়েতো যাও….
স্নেহা : বললাম তো খিধে নেই!
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে চেঁচিয়ে ] অহ! ইয়াহ আই গট ইট! খিধে কই গেছে….
[ স্নেহা রাহুলের দিক ফিরে তাকিয়ে দেখে রাহুল তার মজা উড়িয়ে হাসছে ]
স্নেহা : বাই! [ বলেই এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলতে লাগলো ]
রাহুল : আরে একা কই যাচ্ছো?..
স্নেহা : [ রাহুলের দিক ফিরে ] একাইতো এসেছি! আর আমি বাচ্চা না এখনো… একা চলতে পারি! সো্ বাইই
[ বলেই স্নেহা দরজাটা ধুম করে লাগিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে আসে আর মুচকি মুচকি হাসতে থাকে…কিছুদূর হেটে যেতেই দেখে রাহুল এসে স্নেহার হাত ধরে টেনে গাড়ীর দিক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ]
স্নেহা : আরে! বললাম তো আমি একা যেতে পারি!
রাহুল : ইয়া! i know! [ বলেই গাড়ীর দরজা খুলে ইশারা করলো ভেতরে বসতে ]
[ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে রাহুল থেকে পাশ কেটে চলে যাচ্ছে ]
রাহুল : [ অবাক হয়ে চেঁচিয়ে ] কামঅন স্নেহা বাচ্চাদের মতো জেদ করছো কিন্তু!
স্নেহা : [ ফিরে তাকিয়ে পেছন হয়ে হাটতে হাটতে ] কিন্তু আমি গাড়ীতে উঠবো না!
রাহুল : But why?…
স্নেহা : আরে ভুলে গেছেন?..আপনিই তো বলেছিলেন…যদি গাড়ীতে না উঠি তাহলে আপনার কাছে উঠানোর অনেক ওয়ে আছে…সো্ ডু ইট! [ বলেই হেসে সামনে ফিরে ব্যাগটা নাড়িয়ে নাড়িয়ে হাটতে লাগলো ]
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে মনে মনে ] ওহ! এখন বুঝছি!
[ বলেই দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে টেনে তার দিক ফেরালো ]
রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] মুখে বললেই তো হতো কোলে চড়বা! [ with tedi smile ]
[ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে চলে যাচ্ছিলো রাহুল টেনে নিয়ে হুট করেই কোলে তুলে নিলো, স্নেহা কিছু না বলে তাকিয়ে থেকে ধীরেধীরে রাহুলের কাধের দিক হাত রেখে জড়িয়ে জ্যাকেটটা শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে, রাহুল ও কিছু না বলে তেডি স্মাইল দিয়ে গাড়ীর দিক এগিয়ে এসে স্নেহাকে সিটে্ বসিয়ে দিলো এবং সে গিয়ে ড্রাইভিং সি্টে বসে ড্রাইভ করতে লাগলো… ]
কিছুদূর আসার পর,
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম!
রাহুল : এইদিকে সামনে রেষ্টুরেন্ট আছে ডিনার করে নাও! [ With tedi smile ]
[ স্নেহা চোখ রাংগিয়ে রাহুলের দিক তাকালে ]
রাহুল : [ হেসে ] ওহো! তোমার তো আবার পেট ভরে গেছে!
– আচ্ছা স্নেহা! তুমি তো বললা না কিভাবে ভরলো?..
স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] রাহুল!
রাহুল : [ হাসতে হাসতে ] ওক্কে ওকে! সরি! [ বলেই আবার হাসতে লাগলো ]
স্নেহা : আপনি! হাসছেন কেনো?..
রাহুল : এমনিতেই!
স্নেহা : হোহ! এমনিতে তো পাগলরাই হাসে! আপনি পাগল নাকি?…
রাহুল : পাগল তো তুমি আমাকে করেই দিয়েছো আজ!
[ স্নেহা লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি জানালার পাশ ফিরে যায় ]
হঠাৎ, চোখে পড়লো… সামনে সেই বরফওয়ালা কুলফি আইসক্রিম এর গাড়ীটি! তা দেখে রাহুল স্নেহার দিক তাকালো…স্নেহা ও রাহুলের দিক তাকালো কিন্তু কিছু বললো না!
রাহুল : স্নেহা! সামনে একটা আইসক্রিম পার্লার আছে চলো ওখান থেকে আইসক্রিম খাই!
স্নেহা : [ রাহুলের দিক ফিরে ] বাট রাহুল আমি এটাই খাবো!
রাহুল : [ হেসে ] I knew that!
স্নেহা : [ এক্সাইটেড হয়ে হেসে ] থেংক ইউ!
রাহুল : বাট উইন্টারে আমি তোমাকে আইসক্রিম খাইয়ে ভুল করছি!
স্নেহা : আরে উইন্টারে আইসক্রিম খাওয়ার মজাটাই আলাদা!
রাহুল হেসে গাড়ী একপাশ সাইড করে রেখে স্নেহাকে নিয়ে নেমে আইসক্রিম ভ্যান এর সামনে এগিয়ে এলো,
রাহুল : [ স্নেহার দিক ফিরে ] ম্যাঙ্গো ফ্লেভার তো তাই না?..
স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!
[ রাহুল দু-টো ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের আইসক্রিমই অর্ডার করলো এবং আইসক্রিম দিতেই একটা স্নেহাকে এবং একটা সে নিলো,…চেয়ে আছে রাহুল আবারো স্নেহার বরফ চুষে আইসক্রিম খাওয়া…কিছুক্ষণ পর রাহুল ইচ্ছে করেই তার আইসক্রিমটা হাত থেকে ছেড়ে দিলো ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে?..
রাহুল : আ..আমার কি দোষ পড়ে গেছে!
স্নেহা : [ বুঝতে পেরে ] আচ্ছা তাই?..কিন্তু আমি শেয়ার করছি না…
রাহুল : কামঅন স্নেহা! তুমি অতোটাও সেল্ফিস হতে পারো না!
স্নেহা : I know রাহুল! আপনি ইচ্ছে করেই ফেলেছেন!
রাহুল : বুঝতেই যখন পেরেছো তাহলে…
স্নেহা : তাহলে?..
রাহুল : তাহলে এটা আমাকে দাও [ বলেই স্নেহা থেকে আইসক্রিমটা কেড়ে নিয়ে নেই ]
স্নেহা : রাহুল! সব আইসক্রিমই তো সেইম টেষ্ট! আপনি আমার মুখেরটা নিয়ে কাড়াকাড়ি করছেন কেনো?…
রাহুল : হ্যা সব গুলোর সেইম টেষ্ট তাই খাচ্ছি না…আর এটাই তোমার ঠোটের ছোয়ায় স্পাশাল টেষ্ট হয়ে গেছে তাই আমি এটাই খাবো!
– [ চেঁচিয়ে ] মামা ওনাকে আরেকটা আইসক্রিম দেন!
স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] না.. নাহ আর লাগবে না…
রাহুল : আরে…
স্নেহা : মানে…আ..আমি ও এটা থেকে শেয়ার করে…নিবো [ বলেই ব্লাশিং হয়ে অন্যদিক ফিরে যায় ]
[ Rahul give a tedi smile ]
[ রাহুল অল্প একটু খেয়ে আইসক্রিমটা স্নেহাকে দিলো… এবং স্নেহা ও অল্প একটু খেয়ে আবার রাহুলকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলো, দুজনেই এভাবে শেয়ার করে আইসক্রিম টা খেয়ে নিলো, স্নেহা মনে মনে হাসছে রাহুলের কান্ডে…রাহুল আইসক্রিম খাবে তা না…বরং স্নেহার মুখে দেওয়া আইসক্রিমটাই খাবে এটা তার আসল বায়না ]
[ অতঃপর রাহুল স্নেহাকে বাড়ী পৌছে দিয়ে চলে গেলো… ]
[ বাসায় এসে বেল দিতেই জারিফা দরজা খুললো, স্নেহা ভেতরে ঢুকলো ]
জারিফা : [ স্নেহার পিছে পিছে এগিয়ে গিয়ে ] স্নেহা! মেরি জান…তোর ঠোট লাল কেনো…কি করেছে রাহুল হুম হুম [ বলেই স্নেহাকে ধাক্ষাতে লাগলো ]
স্নেহা : Shut-up জারিফা! আইসক্রিম খেয়েছি তাই লাল হয়েছে!
জারিফা : ওহ! আমিতো ভেবেছি রাহুল করে দিয়েছে…
[ জারিফার কথা শুনে মার্জান ও হাসতে লাগলো, স্নেহা রিলেক্স হয়ে খাটে গিয়ে বসলো ]
মার্জান : [ স্নেহার পাশে এসে ] আচ্ছা স্নেহা তোর ডান্স ক্লাসেরটা কি হলো?..
স্নেহা : ওভারটাইম করবো কাল থেকে!
মার্জান : মানে?..
স্নেহা : [ মার্জানের দিক ফিরে ] স্যালারি ৪ হাজার…আর যদি ওভারটাইম করি তাহলে ৮হাজার!
জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] আর বাসায় কবে আসবি?..
স্নেহা : রাত দশটা সাড়ে দশটা তো হবেই!
মার্জান : আর যাবি কবে?..
স্নেহা : ভার্সেটি থেকে সোজা চলে যাবো!
মার্জান : এমনিতেই তো ধুবলি! এসব ওভারটাইম ডান্স শেখাতে শেখাতে আরো ধুবলি হয়ে যাবি স্নেহা!
জারিফা : [ স্নেহাকে তার দিক ফিরিয়ে ] ইয়ার! মেরি জান…তুই সারাদিন এসবে থাকবি নাকি?…
স্নেহা : বাট জারিফা আমার করতে হবে! বাবার লোনের এখনো ১৫লাখ টাকা বাকি আছে! ১মাসের মধ্যে টাকা জমা না দিতে পারলে বাড়ীটা ও চলে যাবে!
– [ মুখ গোমড়া করে ] আমার তো মাথায় আসছে না কিভাবে ১মাসের মধ্যে এতোটাকা জমা করবো!
মার্জান : ডোন্ট বি সে্ড ডিয়ার [ স্নেহাকে জড়িয়ে ] কিছু না কিছু হাল তো বেড়িয়ে আসবে!
স্নেহা : আচ্ছা! আমার না তোদের কিছু দেখানোর ছিলো…
মার্জান : [ মাথা তুলে ] কিহ!
[ স্নেহা তার হাত উপর করে ধরে হাতের রিংটি দেখালো ]
জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] রাহুল পড়িয়েছে?..[ স্নেহা মাথা নাড়ালে ] ওয়াও… স্নেহা! [ বলেই জড়িয়ে ধরলো ]
মার্জান : আরে আমি দেখছিনা তো [ বলেই স্নেহার হাত এগিয়ে নিয়ে দেখে ] নাইস্! স্নেহা তোর হাতে তো দারুণ মানিয়েছে! আচ্ছা শোন আর কি কি করেছিস? [ বলেই চোখ টিপ মাড়লো ]
স্নেহা : ডিনার রান্না করেছিলাম ওর জন্য!
জারিফা : আচ্ছা…তাই? তো বল খেয়ে কি বললো?…
স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] লবণ এর জায়গায় সব চিনিই দিয়ে দিলাম!
মার্জান : [ মুখে হাত দিয়ে ] হোয়াট!
স্নেহা : [ ব্লাশিং হয়ে ] বাট ও তাও মজা হয়েছে বলে খাচ্ছিলো!
জারিফা : ওহো! খাবে না বুঝি! বিকজ রাহুলের স্নেহা বানিয়েছে বলে কথা! হুম হুম…
[ স্নেহা ব্লাশিং ]
মার্জান : বাট স্নেহা! তুই এতো বড় ভুল কিভাবে করলি! তুই তো রান্না ভালোই পারিস!
স্নেহা : আসলে আমরা তো আনপ্যাকড লবণ কিনে খায়, আর আমাদের লবণ গুলো ও দেখতে প্রায় চিনির মতো, তাই লবণ ভেবে চিনিই ঢেলে দিয়েছি!
[ মার্জান আর জারিফা হাসতে থাকে স্নেহার কথা শুনে ]
মার্জান : [ হেসে হেসে ] স্নেহা! তোর মাথায় রাখা উচিৎ ছিলো রাহুল তো আর আমাদের মতো খোলা লবণ খাবে না… ব্রান্ডেড সল্ট খাবে তাই না…[ বলেই আবার কিটকিটিয়ে হাসতে থাকে ]
স্নেহা : ব্যাস! এবার তোরা এটা নিয়ে ও মজা শুরু করে দিস না! [ বলেই উঠে দাঁড়িয়ে যেতে চাই ]
জারিফা : [ হাত টেনে আবার বসিয়ে দিয়ে ] আচ্ছা স্নেহা! খাবার কে তো তুই মার্ডার করে দিলি… সো্ ডিনার করলি কি দিয়ে?…
[ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে হুট করেই উঠে চলে যায় ]
জারিফা : আরে স্নেহা! কিছুতো বল…[ চেঁচিয়ে ] কোনো অনাথসনাথ কিছু খাওয়াই দিলি নাতো?…
[ স্নেহা ওয়াসরুমে ঢুকতেই ছিলো জারিফার কথা শুনে আবার ব্লাশিং হয়ে হেসে দেই,]
________________________________
পরদিন ভার্সেটিতে, সবাই কথা বলে বলে ঢুকছিলো…হঠাৎ রিদোয়ান সামনে এসে দাঁড়ায়!
রিদোয়ান : হ্যালো গাইস্!
[ মার্জান আর স্নেহা জারিফার দিক তাকালো দেখে সে রিদোয়ানকে দেখে মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেছে ]
মার্জান : হ্যা..হ্যালো রিদোয়ান গুড মর্নিং!
রিদোয়ান : [ হেসে ] গুড মর্নিং!
– গুড মর্নিং স্নেহা!
স্নেহা : গুড মর্নিং!
জারিফা : লেটস্ গো গাইস্ আমাদের ক্লাসে লেইট হচ্ছে [ বলেই এগুতে চাইলো ]
রিদোয়ান : [ জারিফার হাত ধরে ] সকালে, ২৫টা কল ৫৬টা মেসেজ করেছি আমি!
জারিফা : [ নাক ফুলিয়ে ] আচ্ছা তাই? কই আমিতো দেখিনি ?..
রিদোয়ান : দেখোনি মানে?..জারিফা তুমি আমার সাথে কথা বলছো না কেনো?…
জারিফা : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] আপনার সাথে কথা বলাটা জরুরী মনে করছি না তাই! [ বলেই হাত ছুটিয়ে চলে যাচ্ছিলো, রিদোয়ান জারিফাকে টেনে গার্ডেনের দিক নিয়ে চলে গেলো ]
মার্জান : [ হেসে ] এই নটাংকির কান্ড দেখলি?…ভার্সেটি আসার আগে ওর মেসেজ গুলো ব্লাশিং হয়ে হয়ে পড়ছিলো আর এখন ওর সামনে কি না নাটক করছে!
[ স্নেহা ও হেসে দিলো ]
মার্জান : বাই দ্যা ওয়ে আজ রাহুলকে দেখছি না!
স্নেহা : হয়তো এখনো আসেনি! আচ্ছা চল ক্লাসে [ বলেই হাটা শুরু করলো, ]
মার্জান : চল পার্কিং এ দেখি [ বলেই স্নেহাকে টেনে নিয়ে পার্কিং এর দিক চলে গেলো ]
স্নেহা : আরে মার্জান! আসলে তো মিট করতোই!
মার্জান : [ স্নেহার হাত জড়িয়ে নিয়ে হাটতে হাটতে ] আসলে না আমার আজ ক্লাস করতে মন চাইছে না…তাই হাটছি!
স্নেহা : [ হেসে ] আচ্ছা তো এটাই রিজন!
হঠাৎ দেখে,পার্ক করা একটি গাড়ী থেকে নেহা বেড়িয়ে আসছে! স্নেহা নেহাকে দেখে চোখ সরিয়ে ফেললো তাড়াতাড়ি!
মার্জান : [ দাত কিলিয়ে স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে ] আহারে! এই পেত্নীটার চেহেরা দেখতে হবে জানলে এইদিকে আসতামই না!
নেহা : [ তাদের সামনে এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে ] হেই স্নেহা! এইখানে কি করছো?..ওউ! ইয়াহ! আই আন্ডারস্ট্যান্ড কাউকে খুজছো বোধ হয়!
মার্জান : যাকেই খুজছে ইটস্ নান অফ ইয়র বিজনেস ওকে?…
নেহা : [ একটু হেসে ] অন্যের কথায় নাক গলাতে তোমাদের বলতে হয়না! [ মুখ ভেংগিয়ে ] হুহ! অন্যের জিনিষ চুরি করা ও তোমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] এম আই রাইট স্নেহা?..
স্নেহা : [ মার্জানকে টেনে ] ক্লাসে চল মার্জান!
নেহা : হ্যা হ্যা! যাও…এমনিতেই তো চুরি করে নেওয়া ছাড়া এই রুপে কেউ মরবে না!
মার্জান নাক ফুলিয়ে স্নেহা থেকে হাত ছুটিয়ে এপাশ ওপাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে দুটো গাড়ী বাদেই আসিফ তার গাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং একটা পিচ্ছি ছেলে তার গাড়ীর উপর লেগে যাওয়া কিছু ময়লা হয়তো তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে
পাশে ছোট একটি বালতি এবং তাতে কিছু নোংরা পানি ও আছে…নিশ্চয় গাড়ী পরিষ্কার করে রেখে গেছে!
দৌড়ে গিয়ে বালতিটা হাতে নিয়ে এগিয়ে এলো…
আসিফ : [ চেঁচিয়ে ] হেইই! কই নিচ্ছো এটা?…[ বলেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ]
মার্জান সাতপাঁচ না ভেবেই নেহার গায়ে ছুড়ে মারলো নোংরা পানি গুলো!
[ স্নেহা শকড হয়ে মুখে হাত দিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো ]
মার্জান : [ হাত থেকে বালতি ছুড়ে ফেলে ] এখন দেখি তোর এই রুপে কজন মরে?…
নেহা : [ রাগান্বিত ভাবে চেঁচিয়ে ] ইউ! ব্লাডি… স্টুপিড…বাস্টার্ড [ বলতেই আসিফ দৌড়ে এগিয়ে আসে ]
আসিফ : হেই, হেই,স্টপ স্টপ! গাইস্!
[ আশেপাশে সবাই ভীর জমিয়ে তাকিয়ে আছে ]
নেহা : [ মার্জানের দিক আংগুল তুলে ] Listen! যা করেছো অনেক বড় ভুল করেছো…পঁচতাতে হবে কিন্তু তোমার!
– এর চেয়ে বড় ইন্সাল্ট হবা তুমি মাইন্ড ইট!
মার্জান : [ হেসে ] আরে যা যা…তোর ধমোকে কে ভয় পায়! আগে নিজের দিক একবার তাকিয়ে দেখ কি হাল হয়েছে!
আসিফ : শিসস! মার্জান স্টপ! [ মার্জান মুখ ভেংগিয়ে হাতে হাত বটে অন্যদিক ফিরে যায় ]
নেহা : [ আশেপাশে একবার তাকিয়ে ] কি হচ্ছে?..সিনেমা চলছে এইখানে…সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?..
স্নেহা : [ মার্জানের কানে ফিসফিসিয়ে ] কি দরকার ছিলো মার্জান এসব করার?..
মার্জান : তুই চুপ কর!
[ আশেপাশের সবাই মুখ লুকিয়ে একটু একটু হেসে সরে যায়, তা দেখে নেহা হনহনিয়ে চলে যাচ্ছে, হঠাৎ দেখে সামনের দিক থেকে রাহুল আসছে বাইক করে, নেহা নাক ফুলিয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে
রাহুল : [ বাইক থামিয়ে সানগ্লাসটা খুলে অবাক হয়ে সবার দিক একবার তাকিয়ে আবার নেহার দিক তাকিয়ে হেসে ] হেইই নেহা! কিভাবে হলো এই হাল!
[ নেহা কোনো জবাব না দিয়ে নাকফুলিয়ে ফুফাতে লাগলো ]
রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে ইউ লুকিং [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] ফরগেট ইট!
[ বলেই সানগ্লাসটা আবার চোখে লাগিয়ে বাইকটা পার্কিং এ পার্ক করে রাখলো, নেহা চলে গেলো ]
রাহুল : [ হেসে হেসে আসিফের দিক এগিয়ে এসে ] কেমনি হলো দোস্ত?..
[ আসিফ হেসে চোখ দিয়ে ইশারা করে মার্জানের দিক দেখিয়ে দিলো ]
চলবে….