Love At 1St Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 20
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা…নিস্তব্ধ হয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিক চেয়ে আছে…এখনো…
মার্জান : [ বারন্দায় এগিয়ে এসে ] স্নেহা! ডিনার রেডি! খেতে চল,
স্নেহা : খিধে নেই আমার তোরা খেয়েনে!
মার্জান : আরে! সেই সকালে খেয়ে বেড়িয়েছিস! আর তো কিছুই খাসনি! খিধে নেই মানে?…
স্নেহা : [ মার্জানের দিক তাকিয়ে ] সত্যি খিধে নেই! [ বলেই ভেতরে চলে যায় ]
মার্জান ও আর কিছুই বললো না, সে জারিফাকে নিয়ে খেয়ে…রুমে ঘুমাতে চলে আসে,এবং রুমে ঢুকতেই দেখে..স্নেহা ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেঞ্জ করে জানালার পাশে বসে আছে…
জারিফা : [ মার্জানকে ফিসফিসিয়ে ] নাক-মুখটা দেখ এখনো লাল হয়ে আছে! মুখটাও শুকিয়ে আছে! সেই লাষ্ট সকালে খেয়ে বেড়িয়ে ছিলো!
মার্জান : এখন কি করতে পারি?…
হঠাৎ, স্নেহার চোখ পড়লো তাদের উপর!
স্নেহা : আরে তোরা?.. খেয়েছিস?..
জারিফা,মার্জান দুজনই মাথা নাড়ালো! হ্যা খেয়েছে!
স্নেহা : আর হ্যা! শায়লা কোথায়?..সেই কবে থেকে দেখছিনা!
মার্জান : আংকেলকে আবার হসপিটাল এডমিট করেছে…তাই সে আর্জেন্ট বাড়ী চলে গেছে…
স্নেহা : [ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে ] আচ্ছা?..কখন গিয়েছে?…
মার্জান : ব্যাস! তুই আসার কিছুক্ষণ আগেই বেড়িয়ে ছিলো!
স্নেহা : অহ! i hope যেন আংকেল তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়!
জারিফা : [ এসে স্নেহার পাশে বসে, ইমোশনাল হয়ে ] স্নেহা! মেরি জান একটা কথা বলি!
স্নেহা : হ্যা! বল!
জারিফা : না থাক…বলে কোনো লাভ নেই [ বলেই মন খারাপ করে অন্যপাশ ফিরে যায় ]
স্নেহা : [ জারিফার কাধে হাত রেখে ] বল?…
জারিফা : তুই এইভাবে সে্ড হয়ে আছিস! তা দেখতে আমাদের মোটেও ভালো লাগছে না…. [ স্নেহার দিক ফিরে ] তুই তো গিয়েছিলি রাহুলের কাছে তাই না?..তাহলে বলিসনি কেনো?..
স্নেহার চোখে জল জমে আসছে…ঠোট কাঁপছে তার…কিভাবে বলবে সে,মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ চুপ হয়ে রইলো,
স্নেহা : আমি যখনি গিয়েছিলাম ততোক্ষণে…ও চলে গিয়েছিলো…[ কাদো কণ্ঠে ] দোষ আমারই ছিলো জারিফা,আমি রাহুলকে ভুল বুঝেছি.. ও আমাকে ভালোবেসেছে আর আমি কিনা..[ বলেই ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো ]
মার্জান : [ স্নেহার পাশে এসে বসে ] আরে কাঁদছিস কেনো?..রাহুল কোথাও পালিয়ে তো আর যায়নি! [ স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে ] কাল ভার্সেটি গেলে তখন ওকে সব বুঝিয়ে বলে দিস! যে তুই ও ওকে ভালোবাসিস!
জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ইয়েস্! কাল সব বলেদিবি…ঝড়-তুফান যায়…আসুক তোকে বলতেই হবে!
মার্জান : আচ্ছা! এবার গুড গার্লের মতো ডিনার করে ঘুমিয়ে পর!
[ স্নেহার চোখ থেকে আবার জল গড়িয়ে পড়ছে,]
মার্জান : [ অবাক হয়ে ] আরে?.. আবার কাঁদছিস কেনো?..
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] ও নিশ্চয় কিছু খায়নি! আমি কিভাবে খাবো?… [ বলেই চোখ মুছে কম্বল টেনে নিয়ে ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো ]
মার্জান আর জারিফা অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে…তারাও শুয়ে পড়ে,
ভোর হলো, সূর্যের আনাগোনা ও নেই, চারদিক কুয়াশায় ভরপুর… পাখীরা কিচিরমিচির ডাকছে…
স্নেহা গায়ে শাল মুড়িয়ে চোখে চশমা লাগিয়ে, চুলে খোপা করতে করতে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়, পাখী গুলো কি নির্জনে গান করে যাচ্ছে..ভালোই লাগছে তা শুনতে…একদল শীতল বাতাস এসে গা ছুয়ে গেলো… চোখটা বন্ধ করে নিলো, শীতের সকালের আভাস মনে করে দিচ্ছে কারো কথা, চোখে ভেসে যাচ্ছে হাজারো সৃতি!…
হঠাৎ,টিট-টিট টিট-টিট করে ঘড়ির এলার্মটা বেজে উঠলো.. নিমিষেই চোখটা খুলে ফেললো স্নেহা! রুমের ভেতর এগিয়ে গিয়ে এলার্ম বন্ধ করলো,
[ জারিফা এলার্মের শব্দে কম্বল থেকে মাথা তুলে চোখ কচলে তাকাতেই শকড হয়ে গেলো,স্নেহা পাশে বসে তার দিক চেয়ে আছে ]
স্নেহা : [ একটু মুচকি হেসে জারিফার কপালে একটা চুমু দিয়ে ] হ্যাপি বার্থডে! জারিফা!
জারিফা : [ একটু হেসে উঠে বসে স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে ] থেংক ইউউউউউ মেরি জাননন! [ বলেই মার্জানের দিক তাকায় ] ইয়ার! এক তো তুই সকাল সকাল উঠে আমায় উইস করছিস আর এইদিকে ও কি আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছে…[ বলেই মার্জানের গায়ের কম্বলটা টান দিলো ] ইশ! কি ঘুম এখনো খবর নেই! [ ধীরে ধীরে চুল দিয়ে মার্জানের কানে শুরশুরি দিতে লাগলো ]
[ মার্জান কেপে উঠে চোখ খুললো, আর জারিফা তার সামনে গিয়ে দাত সব দেখিয়ে একটা হাসি দেই… ]
মার্জান : [ একটা জোড়ে শাস ফেলে ঘুম কন্ঠে ] I know that! অন্যের ভালো দেখাতো তোর সয় না…
জারিফা : [ হেসে হেসে ] Actually সবার না..কিন্তু তোরটা মোটেও সয় না.. [ নাক ফুলিয়ে ] আজ আমার কি?…
মার্জান : [ একটু চিন্তা করে জিহ্বায় কামড় খেয়ে উঠে বসে ] ওহো সরি! সরি! [ বলেই পাশের টেবিলের গ্লাসে পানি ঢেলে সাথে সাথে জারিফার মুখে পানি সব ছুড়ে মেরে ] হ্যাপি বার্থডে মাই ডিয়ার! জারিফা!
জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] মার্জাননন!
মার্জান : [ তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে ] সবাই কেক খাইয়ে উইশ করে! আমি পানি মেরে উইশ করলাম..You know জারিফা! মর্নিং ফ্রেশনেস্ এন্ড…
জারিফা : আচ্ছা?..[ বলেই লাফদিয়ে উঠে নেমে মার্জানকে দৌড়াতে শুরু করলো ]
স্নেহা বিছানা ঠিক করছে আর তাদের কান্ড দেখে হাসছে…হঠাৎ নিচ থেকে গাড়ীর হর্ণের শব্দ ভেসে এলো, স্নেহা একটু ব্লাশিং হয়ে তাড়াতাড়ি দৌড়ে বারান্দায় এগিয়ে গেলো, জারিফা আর মার্জান একটু অবাক হয়ে তারা ও পেছন পেছন এগিয়ে আসলো,
জারিফা : [ স্নেহার কাধে হাত রেখে ] What happen স্নেহা?..এভাবে দৌড়ে এলি কেনো?..
[ স্নেহার চোখে পানি টলমল করছে,কোনো জবাব দিলো না, জারিফার দিক একটু তাকিয়ে চোখ মুছে ভেতরে চলে গেলো ]
জারিফা : আরেহ স্নেহা!
মার্জান : ওয়েট জারিফা!
জারিফা : [ অবাক হয়ে ] এর আবার কি হলো?..
মার্জান : ও মনে করেছে রাহুল এসেছে…
জারিফা : [ একটু চিন্তা করে ] আচ্ছা! হ্যা তাই তো! [ ইমোশনাল হয়ে ] নাজানি স্নেহা আর রাহুলের প্রবলেম কবে Solve হবে, আমারতো খালি এখন অপেক্ষা কখন ভার্সেটি যাবো! [ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেলো ]
নাশতা করে সবাই ভার্সেটির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো, জারিফা আর মার্জান খেয়াল করলো, স্নেহার চেহেরাটা এখনো আপসে্ট হয়ে আছে…
গেইট দিয়ে ঢুকতেই স্নেহা সবার আগে পার্কিং এর দিক তাকালো, সবাই আছে কিন্তু রাহুল নেই!
জারিফা : রাহুলকে তো দেখছিনা…নিশ্চয় হলের মধ্যেই হবে!
হঠাৎ তাদের দেখে,
রিদোয়ান : [ এগিয়ে এসে ] হ্যালো গার্লস্! [ বলেই জারিফাকে চোখ টিপ মেরে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে ] হ্যাপি বার্থডে! মিস্ জারিফা!
জারিফা : [ হ্যান্ডশেক করে ] হুম! থেংক ইউ! [ বলেই হাত ছুটিয়ে আনার চেষ্টা করে কিন্তু রিদোয়ান তার হাত শক্ত করে ধরে রাখে, ]
জারিফা : [ একটানে হাত ছুটিয়ে ভাব নিয়ে হাতে হাত বটে ] আমরা রাহুলকে খুজছিলাম…আপনি দেখেছেন রাহুলকে?…
রিদোয়ান : [ একটু হেসে ] অউ রাহুল? রাহুলতো এখনো আসেনি! I think ও আসবে না!
জারিফা : [ অবাক হয়ে ] আচ্ছা?
[ বলেই স্নেহার দিক তাকালো, স্নেহা মন খারাপ করে অন্যদিক ফিরে গেলো ]
জারিফা : কিন্তু কেনো বলতে পারেন?…
রিদোয়ান : কেনো সেটাতো বলেনি! তবে মনে হচ্ছে কোনো কারণে আপসে্ট হয়ে আছে!
জারিফা : কেমন ফ্রেন্ডস আপনারা?..আপনার ফ্রেন্ড আপসে্ট আছে বুঝতে পারলেন কিন্তু কি কারণে সেটা জানেন না?..
রিদোয়ান : ইয়াহ! এক্সুলি আমার ওর সাথে এখনো মিট্ হয়নি! আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু ও বললো তেমন কিছুই না!
জারিফা : তেমন কিছু না বললেই হয়ে গেলো?..
রিদোয়ান : রিলেক্স! চেঁচাচ্ছো কেনো?..সন্ধায় তো মিট হচ্ছে ওখানেই জিজ্ঞেস করে নিবো!
– ও হ্যা! সন্ধায় আসছো তো?..
জারিফা : সন্ধায়…কি?..আমার তো কিছুই মনে নেই!
রিদোয়ান : আহা..প্রমিস করেছিলে! মাইন্ড ইট! [ স্নেহা আর মার্জানের দিক তাকিয়ে ] গার্লস্ তোমরা ও কিন্তু ইভিনিং এ মনে থাকে যেনো! [ বলেই রিদোয়ান হেসে হেসে চলে গেলো ]
মার্জান : [ জারিফাকে চিমটিয়ে ] আই! ইভনিং এ কি?.. কোথায় আসতে বলছে?…
জারিফা : আআহ! এইভাবে চিমটি দিচ্ছিস কেনো?
মার্জান : [ চোখ মেরে ] অউ! ডেটে নিয়ে যাচ্ছে বুঝি?..
জারিফা : আরে নাহ! পাগল নাকি?..
মার্জান : হ্যা! তাও ঠিক! ডেটে নিয়ে গেলে আমাদের ইনভাইট করতো নাকি! [ চিন্তা করতে করতে ] আচ্ছা! সো্ ইউর বার্থডে সেলেব্রেশন! রাইট!
জারিফা : আ..আই থিংক বাট নট শিয়র!
মার্জান : আচ্ছা তোর বার্থডে পার্টি তো রাহুল দেওয়ার কথা ছিলো তাই না?..উলটা হয়ে গেলো কেনো?..
জারিফা : রাহুলের বাসায়িতো পার্টি!
মার্জান : [ অবাক হয়ে ] হোয়াট?..
জারিফা : হুম!
মার্জান : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] ইয়ার! রাহুল কতো ওয়েল পার্সন তাই না…জারিফাকে কথা দিয়েছে এবং কথাটা ভাংগেনি!
স্নেহা : [ আনমনা হয়ে ] রাইট! কথা দিয়েছে তাই কথা ভাংগেনি!
[ মার্জান আর জারিফা কনফিউজড হয়ে স্নেহার দিক তাকালো ]
[ স্নেহা কিছু না বলে গার্ডেনের দিক হেটে গিয়ে গাছ তলায় বসলো, মার্জান আর জারিফা ও পাশে গিয়ে বসলো,]
[ স্নেহার চোখে পানি টলমল করছে আর রাহুলের বলে যাওয়া কথাটি ভাবছে ]
_________________________________
রাহুল : একবার reason বলো স্নেহা এরপর আমার এই চেহেরা ও কখনো দেখাবো না তোমাকে…
_________________________________
ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো স্নেহা!
মার্জান : [ অবাক হয়ে ] স্নেহা! ইউ ওকে?..
স্নেহা : [ চোখ মুছে দাঁড়িয়ে গিয়ে ] আমি আসছি!
মার্জান : কিন্তু কোথায় যাচ্ছিস?..
স্নেহা : রাহুলের কাছে [ বলেই পা বাড়িয়ে হাটা শুরু করে ]
[ মার্জান আর জারিফা মুচকি হেসে দূর থেকে চেয়ে আছে স্নেহার চলে যাওয়া ]
_________________________________
স্নেহা কাধে ব্যাগ ঠিক করে নিয়ে টেক্সি থেকে নামলো, এবং রাহুলের বাসার গেইটের সামনে দাঁড়ালো, বুকটা কাঁপছে তো কাঁপছে সাথে হাত, পা গুলো ও কাঁপছে,…
পা বাড়াতে যাবে ঠিক তখনি দেখে গেইট দিয়ে কেউ বেরুচ্ছে, সাথে সাথে স্নেহা শকড হয়ে থেমে যায়,
নেহা : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] ওহো সারপ্রাইজ মি স্নেহা! তুমি?.. [ হঠাৎ নেহার ফোন বেজে উঠলো ] এক্সকিউজমি! [ ফোন রিসিভ করে ] ইয়েস! ড্রাইভার you can come now!
[ স্নেহা পাথর হয়ে গেছে…আর ভাবছে, নেহা রাহুলের বাসা থেকে?.. কি করে সম্ভব?….]
নেহা : [ স্নেহার মুখের সামনে হাত নাড়িয়ে ] ও হ্যালো স্নেহা! কোথায় হারিয়ে গেলে?…
স্নেহা : কিক..কিছুনা…!
নেহা : ভাবছো আমি এইখানে কি করে? রাইট?..
[ স্নেহা অবাকচোখে তাকালো ]
নেহা : এক্সুলি! তুমি ঐদিন রাহুলের প্রোপোজ এক্সেপ্ট করোনি! তাই রাহুল আপসে্ট ছিলো!..
ইনফেক্ট তুমি ভালোই করেছো…স্নেহা!
এখন রাহুল আর আমি আই মিন! [ একটু ব্লাশিং হয়ে ] আচ্ছা থাক ওসব তোমায় বলে কি হবে! ওকে বাই হুম! [ বলেই স্নেহাকে চোখ টিপ মারলো ]
[ নেহার গাড়ী চলে আসাতে নেহা গাড়ীতে উঠে চলে যায় ]
স্নেহা এখনো মূর্তির মতো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…পানি গড়িয়ে পড়লো চোখ থেকে… [ মনে মনে ] তারমানে রাহুল কি আমায় মিথ্যে বলেছে?..নাহ তা কিভাবে সম্ভব?.. কিন্তু রাহুল সত্যি বললে নেহা রাহুলের…বাসায় কিভাবে সম্ভব!
হঠাৎ গেইট খোলার শব্দ,
স্নেহা তাড়াতাড়ি পাশের একটি বড় গাছের পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে…বুকটা ধুপধুপ করছে…আর এইদিকে চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়ছে,
গাড়ির হর্ন ভেসে আসলো কানে, পাশ ফিরে তাকালে দেখে…রাহুলের গাড়ী বেরুচ্ছে…
গাড়ী স্নেহার দিক ক্রস্ করে যেতেই জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে রাহুলকে, চোখে কালো সানগ্লাসটাও লাগিয়ে রেখেছে…
স্নেহার এমন লাগছে যেনো কতটা বছর পর রাহুলকে দেখছে! চোখে মুখে খুশির ঝলক ছুটছে স্নেহার…
গাছের ধার থেকে বেড়িয়ে চেয়ে আছে রাহুলের চলে যাওয়া…
হঠাৎ স্নেহা খেয়াল করলো রাহুলের গাড়ী কিছুটা এগিয়ে গিয়ে থেমে গেলো,
স্নেহা তাড়াতাড়ি আবার গাছের ওপাশ গিয়ে লুকে পড়ে,
_________________________________
এইদিকে,
রাহুল : [ গাড়ী থামিয়ে মনে মনে ] এমন কেনো মনে হচ্ছে যেনো স্নেহা আমার আশেপাশেই আছে! [ হঠাৎ সানগ্লাস খুলে লুকিং মিররে চোখ পড়তেই রাহুলের হার্টবিট দ্রুত চলতে থাকে ]
গাছের দিক স্নেহার স্কার্টের পার্ট উড়ছে…একটু পর পর স্নেহা মাথা বের করে উকি দিয়ে দিয়ে দেখছে,
রাহুল : [ চোখে পানি এসে জমে গেছে, মনেমনে একটু হেসে ] I knew that স্নেহা! তাই তো বলি এমন কেনো লাগছে! [ বলেই গাড়ী রেংকিং এ রেখে পেছনে ব্যাক দিলো ]
গাড়ী পেছনে যতো এগুচ্ছে স্নেহার হার্টবিট আরো দ্রুত দৌড়াচ্ছে,
গাছের দিক এসে গাড়ী থেমে গেলো…
স্নেহা চোখ বন্ধ করে বুক চেপে ধরে… আর মনে মনে ভাবছে কোনো রাহুল ওকে দেখে ফেলেনিতো!
একটু পর কানে আওয়াজ আসলো… এবং সাথে সাথে চোখ খুলে খেয়াল করলো…
চলবে……