Love At 1St Sight Season 3 Part – 15

0
5895

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 15

writer-Jubaida Sobti

মাথা থেকে রক্ত ঝড়ছে রাহুলের, ব্যথা অনুভব হচ্ছে, চারদিক সব কেমন যেন ঘুরঘুর করছে, চোখটাও অন্ধকার হয়ে ঝাপসা হয়ে আসছে …কিন্তু যেকরেই হোক স্নেহাকে হসপিটাল পৌছাতে হবে, অনেক কষ্টে নিজেকে কন্ট্রোল করে ড্রাইভ করে…গাড়ী হসপিটাল পর্যন্ত পৌছালো!

রাহুল গাড়ী থেকে নেমে এসে…স্নেহাকে কোলে তুলে হসপিটালের ভেতরে নিয়ে গেলো, তাদের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে কয়েকজন নার্স এবং ওয়ার্ড বয় পেশেন্ট সি্ট নিয়ে এগিয়ে এলো! স্নেহাকে রাহুল কোল থেকে শুয়ে দিলো! তারা স্নেহাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে…পেশেন্ট নেম জিজ্ঞেস করাই রাহুল শুধু স্নেহা বলে জবাব দিতে পারলো, রাহুল ও যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে, হঠাৎ চোখ বন্ধ করে মাথায় হাত দিয়ে নিস্থব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে…চোখ খুলতেই দেখে… তার আশেপাশের সব ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে কেউ একজন এসে রাহুলকে ধরে ফেলে,

নার্স : আপনার মাথা থেকে প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে! আপনি ঐদিকটা গিয়ে বসুন আমি ব্যান্ডেজ নিয়ে আসছি!

রাহুল : No no! I am Ok! [ আংগুল দিয়ে সামনের দিক দেখিয়ে ] স্নেহা! স্নেহাকে…

নার্স : হ্যা! ওনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থার্ড ফ্লোরে!

রাহুল : থেংক্স! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো ]

নার্স : এক্সকিউজমি! আপনার ব্লিডিং…

রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে থার্ড ফ্লোরে এসে পৌছায়! আশেপাশে কয়েকজন মানুষজন ও আছে, রাহুল তাদের দিক একবার চেয়ে এবং একটি চেয়ারে গিয়ে বসে!

আধ ঘন্টা পর, একজন ডক্টর আর একজন নার্স বেড়িয়ে আসে,

রাহুল : [ উঠে এগিয়ে গিয়ে ] ডক্টর! স্নেহা..এখন

ডক্টর : Yeah! She is safe now! But, পা এবং মাথায় এফেক্ট হয়েছে..তাই অনেক ব্লিডিং ও হয়েছে…আমি ব্লাড দিয়ে দিতে বললাম! দু-ঘন্টার মধ্যে সেন্স চলে আসবে… আরে আপনার মাথা থেকেওতো ব্লিডিং হচ্ছে! সি্স্টার ওনাকে ব্যান্ডেজ করে দাও! দাঁড়িয়ে আছো কেনো?..

রাহুল : I am fine doctor!

ডক্টর : You are not fine, I am a doctor! you know! [ একটু হেসে রাহুলের কাধে হাত দিয়ে ] don’t worry! she is alright now!

রাহুল : থেংক্স ডক্টর!

ডক্টর : My pleasure! [ বলেই চলে গেলো ]

নার্স এসে রাহুলকে মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেই! এবং একটা টেবলেট আর পানি এগিয়ে দেই!

রাহুল : [ এগিয়ে নিয়ে ] আ..স্নেহা! আমি এখন মিট করতে পারি?..স্নেহার সাথে?..

নার্স : Sure!

রাহুল তাড়াতাড়ি পানি খেয়ে উঠে কেবিনরুমে এগিয়ে যায়!

স্নেহা নিষ্পাপ হয়ে শুয়ে আছে…হাতে, পায়ে,মাথায় ব্যান্ডেজ করা স্নেহার!
স্নেহাকে দেখতেই রাহুলের চোখ ভিজে এলো! নিজেকে কন্ট্রোলে এনে স্নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো! স্নেহা কথা বলছেনা রাহুলকে দেখে! স্নেহার চোখ বন্ধ! এমন অবস্থাতে স্নেহাকে দেখে সইতে না পেরে রাহুল তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেড়িয়ে যায়!

চোখ মুছে সিটে্ গিয়ে বসে,

নিজের উপর ও রাগ উঠছে রাহুলের!কেনো যে অতঃ স্পীডে গাড়ী চালাতে গেলো! নাহয় আজ স্নেহার এমন হতোনা!

ভাবতে ভাবতে সময় পেড়িয়ে গেলো! ঘড়িতে টাইমিং দেখলে দেখে,দু-ঘন্টা পেড়িয়ে গেছে, রাহুল তাড়াতাড়ি উঠে রুমে ঢুকলে দেখে, স্নেহা তার হাত থেকে স্লাইন খুলে ফেলেছে..এবং সি্ট থেকে উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করছে…কিন্তু পারছে না..

রাহুল : [ তাড়াহুড়ো করে স্নেহার কাছে গিয়ে ] স্নেহা! কি করছো?..এসব কেনো খুললে [ বলেই রাহুল আবার স্নেহার হাতের কেনলে স্লাইন লাগিয়ে দিলো! ]

[ স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালো ]

রাহুল : স্নেহা! শুয়ে থাকো! তোমার এখন রেষ্ট দরকার! [ বলেই রাহুল স্নেহার কাধে ধরে শুয়ে দিচ্ছিলো ]

[ স্নেহা তার কাধ থেকে রাহুলের হাত সরিয়ে দিলো…রাহুল অবাক হয়ে চেয়ে আছে! ]

স্নেহা : থেংক্স রাহুল! ফর এব্রিথিং!

রাহুল : [ স্নেহার পাশে বসে ] স্নেহা! I am really sorry! [ কাদো কন্ঠে ] তোমাকে পাচ্ছিলামনা বলেই রাগে গাড়ী কন্ট্রোলে রাখতে পারিনি!

স্নেহা : আমার এখন বাসায় যাওয়া দরকার! অনেক লেইট হয়ে গেছে!

রাহুল : বাসায়! এখন এই অবস্থায় কেমনি?…

স্নেহা কিছু না বলেই আবার হাতের কেনল থেকে স্লাইন ছুটিয়ে নিয়ে নেয়!

রাহুল : [ রেগে ] আরে পাগল নাকি?..করছোটা কি?… [ বলেই আবার লাগিয়ে দিতে চাইলে, স্নেহা হাত সরিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায়… রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে দেখে স্নেহার চোখ থেকে পানি পড়ছে! ]

রাহুল : স্নেহা! প্লিজ এইদিকে তাকাও! [ স্নেহার হাতের উপর হাত রেখে ] স্নেহা Talk to me!

[ স্নেহা হাত সরিয়ে নিয়ে…নিচে দাড়ানোর চেষ্টা করছে ]

রাহুল : কি করছো স্নেহা তুমি দাঁড়াতে পারবেনা! পায়ে ব্যান্ডেজ করা!

স্নেহা : [ কেঁদে উঠে ] রাহুল! আমি বাসায় যাবো!

রাহুল : কিন্তু স্নেহা..

স্নেহা : প্লিজ! রাহুল!

রাহুল : [ অন্যপাশ ফিরে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] ওকে! তুমি বসো! আমি ডিসচার্জ নিয়ে আসছি!

[ রাহুল উঠে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে, স্নেহা চেয়ে থাকে… কিছুক্ষণ পর একটি নার্স ভেতরে এগিয়ে আসে ]

নার্স : [ অবাক হয়ে ] আরে কি সমস্যা?..আপনি এগুলো খুললেন কেনো?…[ বলেই লাগিয়ে দিচ্ছে ]

স্নেহা : [ হাত সরিয়ে ] আমি এখন বাসায় চলে যাবো তাই!

নার্স : কিন্তু আপনি এখনো পুরোপুরি ঠিক হননি! এখন তো ডিসচার্জ দিবেনা! [ বলেই কেনলে স্লাইন লাগিয়ে দিলো এবং স্নেহাকে জোর করে শুয়ে দেই ] এখন আপনার বেডরেষ্ট দরকার আপনি শুয়ে থাকুন!

[ ঔষধ রেডি করতে করতে ]

আর আপনার হ্যাজবেন্ড কোথায় গেছে?…

স্নেহা : উনি আমার..আ আমার হ্যাজবেন্ড না!

নার্স : তাহলে?..

[ স্নেহা অন্যপাশ ফিরে চুপ হয়ে থাকে ]

[ দরজা খুলে রাহুল এগিয়ে আসলো, স্নেহা উঠে বসে একটানে সব আবার খুলে ফেলে ]

নার্স : আরে কি করছেন আপনি?..[ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আপনি একটু ওনার পাশে পাশে থাকুন উনি সব খুলে ফেলছে! [ বলেই স্নেহাকে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে,]

[ স্নেহা রেগে জোড়ে হাত সরিয়ে নিতে হঠাৎ হাতে লাগানো কেনল ছুটে সাথে সাথে রক্ত ছিটকে উঠে হাত থেকে ]

রাহুল : [ দৌড়ে এগিয়ে এসে চেঁচিয়ে ] Careful স্নেহা!

স্নেহা : [ কেঁদে ] আমি বাসায় যাবো বললাম না রাহুল, বারবার এসব লাগিয়ে দিচ্ছে কেনো আমাকে!

রাহুল : [ নার্স কে ইশারা করলে নার্স সরে যায়, স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে ] ওকে রিলেক্স স্নেহা! আমি ডক্টরকে বলে এসেছি! এখন বাসায় যাবা…

[ নার্স রাহুলকে কটোন এগিয়ে দিলে রাহুল তা নিয়ে স্নেহার হাতের ব্লাড ওয়াস করে দেই.. [ নার্স বেড়িয়ে যায় ] স্নেহা চেয়ে থাকে রাহুলের দিক… হঠাৎ রাহুলের কাছ থেকে হাত ছুটিয়ে নিয়ে নেয় স্নেহা! ]

স্নেহা : আমার লেইট হচ্ছে!

[ বলেই আবার দাড়ানোর চেষ্টা করছে রাহুল কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্নেহাকে কোলে তুলে নেয়! ]

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] আরেহ! কোলে কেনো নিলেন..

রাহুল : চেষ্টা তো অনেক করেছো…হাটতে পারছো না তাই তুলে নিলাম!

স্নেহা : ওদের বলেন ট্রলি দিতে,

রাহুল স্নেহার কথায় কোনো জবাব না দিয়ে স্নেহাকে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে, [ আশেপাশের সবাই তাকিয়ে আছে ]

স্নেহা : আরে আপনি! পাগল নাকি..সবাই দেখছে তো!

রাহুল : ডক্টর বলেছে তোমাকে বেশী কথা না বলতে…মাথায় এফেক্ট হবে!

স্নেহা : [ রাগান্বিত ভাবে ]আগে নামান আমাকে!

রাহুল : [ থেমে গিয়ে ] নামালে দাঁড়াতে পারবাতো?.. [ স্নেহা চুপ হয়ে তাকিয়ে থাকে ] কি হলো?..

স্নেহা : ঐদিকেই রেখে আসতেন! তাহলে আমি…

রাহুল : আহা রেখে আসিনি অর্ধেক চলেও এসেছি এখন বলেও কি ফাইদা আছে?.. [ বলেই হাটতে লাগলো ]

স্নেহা : ফাইদা আছে মানে?..সব সময় আপনার যা ইচ্ছে তাই করবেন নাকি?.. আপনি আমাকে উঠালেন কেনো? আমি কি বলেছি আপনাকে আমাকে কোলে নিতে?..

[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে হাটতেই লাগলো, স্নেহা আশেপাশে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে…অনেকেই চেয়ে আছে..তা দেখে স্নেহার অনেক লজ্জা লাগছিলো…তাই সে রাহুলের কাধের দিক মাথা নামিয়ে ঘুটিয়েশুটিয়ে এক হয়ে থাকে ]

গাড়ীর সামনে এসে,

রাহুল : চাবি নাও

স্নেহা : [ অবাক হয়ে তাকিয়ে ] কিহ?..

রাহুল : গাড়ীর দরজা খুলতে হবে পকেট থেকে চাবি বের করো!

স্নেহা রাহুলের জ্যাকেটের পকেটে হাত দিয়ে চাবি বের করে নিয়ে রাহুলের দিক তাকালো!

রাহুল : ওপেন করো!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আমি?..

রাহুল : আমার দু-হাত বন্ধী! আপনাকে কোলে নিয়ে রেখেছি! যদি দয়া করে ডোরটা ওপেন করতেন আরকি!

স্নেহা : [ রাগান্বিত ভাবে ] আমি কি বলেছি কোলে নিতে?..আপনি নিলেন কেনো?..আপনিই খুলুন [ বলেই অন্যপাশ ফিরে যায় ]

রাহুল : দেখো স্নেহা জেদ করো না! ডোর ওপেন করো!

[ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে অন্যপাশ ফিরেই আছে ]

রাহুল : স্নেহার দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ] ওকেহ! এক্সকিউজমি [ বলেই রাস্তায় হেটে যাওয়া একজন লোককে ডাক দেই ]

লোকটি : হ্যা! বলুন..

রাহুল : I need a help please! ডোরটা একটু ওপেন করে দিন!

লোকটি : Sure!

[ স্নেহা রাহুলের দিক আড়চোখে চেয়ে লোকটির হাতে চাবি দিয়ে দেই… রাহুল লোকটিকে থেংক্স দিয়ে স্নেহাকে গাড়ীর ভেতরে বসিয়ে দিয়ে… সেও গিয়ে বসলো… গাড়ী চলতে লাগলো দুজনই চুপচাপ!…স্নেহা জানালার দিক এক ধ্যানে চেয়ে আছে রাহুল কিছুক্ষণ পর পর স্নেহার দিক তাকাচ্ছে…হঠাৎ দেখে স্নেহার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে ]

রাহুল : স্নেহা! তোমার…[স্নেহা চোখ মুছে নিলো ] তোমার কি বেশী কষ্ট হচ্ছে?..
[স্নেহা কোনো জবাব দিলো না ]

রাহুল : [ মনে মনে ভাবতে লাগলো ] স্নেহা আমার সাথে এমন বিহেভ করছে কেনো! আমি তো ইচ্ছে করে করিনি! অবশ্য করারই কথা! আমি ওকে প্রোটেক্ট করতে পারিনি উলটা!

[ ভাবতে ভাবতেই বাসায় এসে পৌছালো!]

রাহুল : [ নেমে স্নেহারদিক এসে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ] নেমে এসো!

[ স্নেহা অবাক হয়ে রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে থাকে, ]

রাহুল : [ কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে..] আমি কি কোলে নিবো?..

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] Why did you come to my life ?.. why did I even meet you?

[ রাহুল চোখ রাংগিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে…

স্নেহা নাক ফুলিয়ে রাগান্বিতভাবে অন্যপাশ ফিরে যায়…. রাহুল স্নেহার হাত কাধে তুলে কোলে নিতে চাইলে স্নেহা…ছুটাছুটি করতে থাকে..রাহুল তাও জোড় করে কোলে নিয়ে নিলো স্নেহাকে ]

স্নেহা : [ চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়ছে! রাহুলের দিক তাকিয়ে ] You’re the biggest mistake of my life rahul! I wish I had never meet you

রাহুল : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] But, I will still love you sneha! [ বলেই হাটা শুরু করে…স্নেহা চেয়ে থাকে রাহুলের দিক ]

বাসায় বেল দিতেই মার্জান এসে দরজা খুললো,

মার্জান : [ অবাক হয়ে চেঁচিয়ে ] স্নেহা! রাহুল! আরে কি হয়েছে তোমাদের?..

রাহুল কিছু না বলে স্নেহাকে নিয়ে ভেতরে এগিয়ে গিয়ে খাটে শুয়ে দিলো

মার্জান, জারিফা, শায়লা এগিয়ে এসে সবাই একই প্রশ্ন করতে লাগলো রাহুল থেকে!

স্নেহা : কিছু হয়নি! জাষ্ট ছোট-খাটো এক্সিডেন্ট হয়েছে!

রাহুল : [ মার্জানের দিক তাকিয়ে ] ওর বেডরেষ্ট দরকার… [ পকেট থেকে কিছু ঔষধ এর প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে ] এগুলো ওকে খাইয়ে দিয়ো!

জারিফা : আমরা তো ভেবেছিলাম তোমরা এনজয় করছো! কিন্তু কি হয়ে গেলো দেখো তো!

রাহুল : আমি আসি! [ বলেই স্নেহার দিক একবার তাকায় কিন্তু স্নেহা রাহুলের দিক তাকালো না… রাহুল চলে যায় ]

বাড়ী গিয়ে রুমে ঢুকে খাটে বসে পড়ে রাহুল! বারবার স্নেহার কথাগুলো কানে বাজছে! মাথায় হাত দিয়ে নিস্থব্দ হয়ে বসে রইলো….

উঠে আবার এদিকওদিক ছুটাছুটি করে হাটছে…

আবার, ভাবতে লাগলো কি করছে এখন ও কি অবস্থায় আছে!… ফ্রিজ খুলে..বেয়ার নিয়ে খেতে লাগলো

বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে স্নেহার সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো ভাবতে লাগলো.. চোখ লাল হয়ে পানিতে ভেসে যাচ্ছে রাহুলের,

স্নেহা রাহুলের সাথে এমন বিহেভ কেনো করছে?…

পরদিন! ভোর হলো,

সবাই নাশতা করে স্নেহাকে ঔষধ খাইয়ে স্নেহার পাশে বসে আছে!

স্নেহা : আরে মার্জান বললাম তো আমি একা থাকতে পারবো! তোরা ভার্সেটি যা!

মার্জান : স্নেহা! মাই ডিয়ার! তুই যদি আরেকবার আমাদের ভার্সেটি যাওয়ার কথা বলিস না! তোর মাথায় বাড়ি দিয়ে আমি আরো ফাটিয়ে দিবো!

হঠাৎ, দরজায় বেল বেজে উঠলো!

জারিফা : [ গিয়ে দরজা খুলে ] আরে রাহুল! [চোখ মেরে ] ওহো! টেনশন হচ্ছিলো অনেক স্নেহার জন্য তাই না! আরে আসুন আসুন! [ জারিফা রাহুলকে নিয়ে ভেতরে আসে ] স্নেহা দেখ কে এসেছে!

[ স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে ]

মার্জান : গুড মর্নিং রাহুল!

রাহুল : গুড মর্নিং!

শায়লা : হাই রাহুল! গুড মর্নিং!

রাহুল : গুড মর্নিং [ স্নেহার দিক তাকালে দেখে স্নেহা মাথা নিচু করে অন্যপাশ ফিরে আছে ]

সবাই তাদের দুজনের দিক অবাক হয়ে তাকালো,

মার্জান, জারিফা আর শায়লাকে ইশারা করলো যাতে অন্য রুমে চলে আসে…তিনজনই বেড়িয়ে গেলো!

রাহুল : [ স্নেহার পাশে গিয়ে বসে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আমি রাতভর ঘুমোইনি স্নেহা!

[ স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়ে দেখে রাহুলের চোখ নাক লাল হয়ে আছে,

রাহুল ও স্নেহার দিক ফিরে তাকালে, স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায় ]

রাহুল : What happen sneha?..তুমি আমার সাথে কথা বলছোনা কেনো?..

[স্নেহা চুপ হয়ে আছে,]

রাহুল : এইদিকে তাকাও স্নেহা! [ বলেই হাত দিয়ে স্নেহার মুখ তারদিক ফিরিয়ে নিলো…স্নেহার চোখে পানি টলমল করছে ]

রাহুল : [ অবাক হয়ে] কাদছো কেনো স্নেহা ?..

স্নেহা : চলে যান রাহুল!

রাহুল : এতো easy তোমার জন্য স্নেহা?..

স্নেহা : [ চোখ চেপে পানি ফেলে ] ব্যাস! রাহুল বললাম না চলে যান! প্লিজ!

রাহুল : [ রেগে অন্যপাশ ফিরে ] নেহার জন্য করছো এসব তাই না!

স্নেহা : আমি কারো জন্য কিছু করছিনা…[ চেচিয়ে] প্লিজ রাহুল! Go!

রাহুল : গতকাল রাতে তোমাকে কিছু বলেছিলাম মনে আছে?..

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আমার কিছু মনে নেই!

রাহুল : [ রাগান্বিতভাবে উঠে দাঁড়িয়ে টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা জোড়ে মাটিতে ছুড়ে মারলো, স্নেহা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে তাকালো! ] ইয়াহ! I see তোমার কিছু মনে নেই! তাহলে কাঁদছো কেনো স্নেহা?

[ স্নেহা তাড়াতাড়ি অন্যদিক ফিরে যায় ]

রাহুল : চেহেরা লুকিয়ে কান্না লুকানো যায় না স্নেহা!

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে