Love At 1st Sight Season 3 Part – 11

0
6226

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 11

writer-Jubaida Sobti

রাহুল : স্নেহা!

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] হুম!

রাহুল : আসমান থেকে চাঁদ এনে যদি তোমার পাশে বসিয়ে দেওয়া হয় না, চাঁদ ও লজ্জা পেয়ে সরে যাবে,

এইবার বলো এই সৌন্দর্যের তারিফ করে কি আমি শেষ করতে পারবো….?

স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকায়,

রাহুল : [ স্নেহার চশমাটা খুলে নেই! ] আচ্ছা এতো সুন্দর চোখ গুলো.. এই চশমা দিয়ে ঢেকে রাখো কেনো বলো তো?

স্নেহা : আমার Headache বেশী… মানে রাত জেগে পড়ি তাই ডক্টর সাজেষ্ট করেছে!

রাহুল : হুম! বাট ডক্টর থেকে বেটার সাজেষ্ট আমার কাছে আছে,

স্নেহা : কিরকম?..

রাহুল : ওটা হবে নেক্সট সারপ্রাইজ, আগে আজকেরটা দেখে নাও.. [ বলেই রাহুল দাঁড়িয়ে যায় ] তুমি ফাইভ মিনিটস্ অপেক্ষা করো আমি এক্ষুণি আসছি…

স্নেহা : আরে আরে আরে….আপনি কোথায় যাচ্ছেন?…

রাহুল : তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছিনা!

[ স্নেহা রাহুলের কথায় লজ্জা পেয়ে অন্যদিক ফিরে যায় ]

রাহুল : একটা ফোনকল করবো! জাষ্ট ফাইভ মিনিটস্ এর আগেও চলে আসতে পারি! [ with tedi smile ]

রাহুল বেড়িয়ে যায় স্নেহা ব্লাশিং হতে থাকে…উঠে দাঁড়িয়ে কাধ থেকে ব্যাগটা টেবিলে রাখে…চারদিক তাকিয়ে শালটাও খুলে টেবিলে রাখলো! তিন মিনিটের মধ্যেই রাহুল আবার ফিরে আসে…স্নেহা কিছু বলার আগেই রাহুল হাত ধরে নিয়ে বেড়িয়ে যায়,

স্নেহা : আবার কই নিচ্ছেন বলেন তো?

রাহুল : আগে চলো তারপর না হয় দেখবা…

স্নেহা ও আর কিছু বললো না…রাহুলের সাথে সাথেই চলছে…পেছানো-পাছানো কতোরকমের শিড়ি দিয়ে হেটে…একটা ফ্লোরে এসে থামে…যার চারদিক শুধু ব্লু আর স্কাই কালার কম্বিনেশনের লাইটিং.. মিডলে কতোবড় একটি পুল…এবং পুলের মধ্যেই সাতার কাটছে বিভিন্ন রঙের মার্মিড…

স্নেহা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] এটাই মার্মিড হাউজ তাই না?..

রাহুল : ইয়েস্ কাম!

[ বলেই স্নেহার হাত ধরে পুলের কাছে এসে দাঁড়ায়… তাদের দেখে গ্রীন কালারের একটি মার্মিড এগিয়ে আসে…]

রাহুল : [ মার্মিডের সাথে হ্যান্ডশেক করে ] হেইই!

মার্মিড : হ্যালো! ওয়েলকাম টু আওর মার্মিড হাউজ!

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকালে স্নেহা ও এক্সাইটেড হয়ে সে ও হাত বাড়িয়ে দেই হ্যান্ডশেক করার জন্য… স্নেহার সাথে হ্যান্ডশেক করে মার্মিডটি আবার সাতার কাটতে চলে যায় ]

স্নেহা : জানেন আমার তো বিশাসই হচ্ছে না…আমি কোনো জলপরীর হাতের ছোয়া পেয়েছি!

রাহুল : [ হেসে ] কামঅন স্নেহা! তুমি দেখছি একদমই বোকা!

স্নেহা : কেনো?..কি হয়েছে?..

রাহুল : [ একটু হেসে ] রিয়েলিটিতে কোনো মার্মিড আছে কিনা.. আমি জানিনা, তবে শুনেছি অনেক যুগ আগে জলপরীরা নদী,সমুদ্রে বাস করতো! আর এগুলো রিয়েল না…জাষ্ট মার্মিডের মতো সেজে তারা এন্টারটেইন করছে…

স্নেহা : তো কি হয়েছে?..লাগছেই তো পুরো জলপরী! বিটউইন ঐদিকটা দেখেন…ঐজলপরীটা..ওর চুল গুলো কি লম্বা..ওয়াও

রাহুল : কাছ থেকে দেখবে?…

স্নেহা কিছু বললো না কিন্তু রাহুলের দিক তাকালো তবে স্নেহার চেহেরায় যে খুশিটি ভাসছে তা দেখে রাহুল জবাব পেয়ে গেছে, রাহুল হাত উঠিয়ে লম্বাচুল ওয়ালা মার্মিডটিকে হাত নাড়ালো, এবং মার্মিডটি তাদের দিক এগিয়ে আসে…

মার্মিড : হ্যালো!

রাহুল : [ স্নেহার দিক দেখিয়ে ] শি সে্ই ইউ লুক প্রিট্টি!

মার্মিড : অউ! থেংক ইউ সো্ মাচ্! ইউ লুক প্রিট্টি টু!

স্নেহা খুশি হয়ে হ্যান্ডশেক করলো,

মার্মিড : নাইস্ টু মিট্ ইউ!

রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে…স্নেহার এক্সাইটমেন্ট দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিতে থাকে,কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির…পর,

রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে! স্নেহা! তুমি ও মার্মিড সাজলে কেমন হয়?..

স্নেহা : [ হেসে ] আমি?..আমাকে জলপরী না ভুতনী পরীর মতোই লাগবে..

রাহুল : বললেই হলো তাই না ?… [ স্নেহার হাত ধরে ] চলো একবার ট্রাই করি!

স্নেহা : মানে?..

রাহুল : আরে চলো তো! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে হাটা শুরু করলো ]

স্নেহা : দেখেন রাহুল! আপনার মাথা ঠিকাছে ?..আমি ওসব ড্রেস পরবো?..

রাহুল : আরে আমি কি তোমাকে ড্রেস পড়ে পুলে নামতে বলছি নাকি?…জাষ্ট আমি দেখবো…

স্নেহা : আ..আপ… আপনি?

রাহুল স্নেহাকে কোনো জবাব না দিয়ে হাত ধরে শিরি দিয়ে উপরে উঠে, ম্যালেসা্র মতোই আরেকজন ফরেনার মহিলা লুহেভার হাতে স্নেহাকে তুলে দিলো!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে?..

রাহুল : ভয় পেয়ো না স্নেহা! ও তোমাকে কিছুই করবে না…

স্নেহা : কিন্তু আপনি কোথায় যাচ্ছেন?…

রাহুল : আমি ঐ রুমটাতেই আছি! তুমি বললে সাথে আসতে পারি [ বলেই চোখ টিপ মাড়লো ]

স্নেহা : [ মহিলাটির থেকে হাত ছুটিয়ে রাহুলের পাশে এগিয়ে আসে ] দেখেন আমার অনেক ভয় করছে…আপনি কি করছেন আমার মাথায় কিছুই আসছে না…ভালো এটাই হবে আমরা এখন এইখান থেকে বেড়িয়ে পড়ি প্লিজ!

রাহুল : [ দুহাত দিয়ে স্নেহার মুখ উঠিয়ে ] রিলেক্স স্নেহা ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই আমি আছিতো!

[ স্নেহা তাও মুখ গোমড়া করে মাথা নিচু করে ফেললো ]

রাহুল : [ স্নেহার দু-হাত ধরে ] মার্মিড তোমার অনেক পছন্দ রাইট ?..

স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম!

রাহুল : জাষ্ট একটা মার্মিড ড্রেসই ট্রাই করবা…

[ স্নেহা চুপ হয়ে মাথা নিচু করে আছে ]

রাহুল : প্লিজ!

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে ভেবে ] ওকে!

রাহুল : [ পিছিয়ে গিয়ে ] আই এম ওয়েটিং! [ with tedi smile ]

স্নেহা কিছু না বলে মহিলাটির সাথে চলে গেলো!

রাহুল রুমটাই গিয়ে ওয়েট করতে লাগলো,হঠাৎ দেখে স্নেহার মোবাইলটা বাজছে! হাতে নিয়ে দেখে মার্জান, রাহুল ফোন রিসি্ভ করতেই,

মার্জান : ইয়ার স্নেহা!..কোথায় তুই?..

রাহুল : স্নেহা! আমার সাথেই আছে!

মার্জান : [ অবাক হয়ে ] আপনার সাথে মানে?…আরে আপনি কে?..স্নেহা কোথায়?..

রাহুল : [ একটু হেসে ] হোহো কিডন্যাপার!

মার্জান : [ শকড হয়ে ] কিডন্যাপার?..মানে কি?.. আরে স্নেহা কোথায়…?..

জারিফা : [ দৌড়ে উঠে মার্জানের কাছে এসে ] আরে মার্জান কে কিডন্যাপ হয়েছে?..

রাহুল : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] রিলেক্স রিলেক্স!

মার্জান : রিলেক্স মানে?..আপনি হাসছেন…

রাহুল : Listen আই এম রাহুল!

মার্জান : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] ওহ! রাহুল! [ বলেই আবার শকড হয়ে গেলো ]

রাহুল : [ হাসতে হাসতে ] এত্তো সিরিয়াস্ কেনো তোমরা বলোতো!

মার্জান : ফার্ষ্ট টাইম তাই! বাই দ্যা ওয়ে! স্নেহা আপনার সাথেই? ওর ফোন আপনার কাছে কিভাবে?..

জারিফা : [ মার্জান থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ] হেইইইই রাহুল! স্নেহা আপনার সাথেই!

রাহুল : ইয়াহ!

জারিফা : ওহ ও! ডান্স ক্লাসের নাম দিয়ে ডেটিং করতে গিয়েছে তাই না…

রাহুল : [ হেসে ] জারিফা!

জারিফা : হ্যা হ্যা! বলুন বলুন..

রাহুল : স্নেহার আসতে একটু লেইট হবে! So…

জারিফা : So আমরা একদমই চিন্তা করবো না তাই তো!

রাহুল : [ হেসে ] ব্রিলিয়ান্ট!

জারিফা : ইয়েস্ মেরি জিজাজি? অল দ্যা বেষ্ট!

রাহুল : [ হেসে ] ওকেই থেংক ইউ! মেরি আধি ঘারওয়ালি!

জারিফা হাসতে হাসতে ফোন রাখে,

মার্জান : কি হলো কি বললো?..

জারিফা : স্নেহা! রাহুলের সাথেই আছে..আসতে একটু লেইট হবে So নো্ চিন্তা!

মার্জান : এই স্নেহা কি ফার্ষ্ট হয়ে গেলো! দেখলি!

যাওয়ার সময় আমাদের জ্ঞান দিয়ে গেছে রাহুল থেকে দূরে দূরে থাকবে! আর উল্টা আজই…

শায়লা : এমন ওতো! হতে পারে! ঐদিনের মতো রাহুল আবারো স্নেহাকে জোড় করে তার সাথে নিয়ে গেছে…

মার্জান : [ খাটে বসে ] হ্যা! তাও হতে পারে!

জারিফা : আরে এতো টেনশন নিচ্ছিস কেনো! ও আসবেই তো ঘরে তাই না!

এইদিকে,

স্নেহাকে সাজানো শেষ… স্নেহার গায়ের পরনে আছে একটি প্রিন্সেস মার্মিড স্কার্ট সাথে একটি শর্ট টপস্ কিন্তু স্নেহা এইভাবে রাহুলের সামনে আসতে uncomfortable ফিল করছে…

লুহেভা : হেই স্নেহা! কাম..ডিয়ার! রাহুল ওয়েটিং

স্নেহা : দেখেন আমি ওড়না ছাড়া ওর সামনে কিভাবে সম্ভব?..

লুহেভা : ইটস্ আ মার্মিড ড্রেস! উইদআউট ওড়না! ওখেই!

স্নেহা : [ মনে মনে ] ইনি আর ওড়নার মানে কি বুঝবে! নিজেই ওড়না ছাড়া.. হাপ ড্রেস পড়ে ঘুরছে! ইয়া আল্লাহ! তার মানে এইভাবেই যেতে হবে! এই রাহুলটাও না…সব কিছুতে জেদ করে বসে! [ কিছুক্ষণ ভেবে ] হ্যা! এটাই বেষ্ট আইডিয়া [ বলেই চুল গুলো দু-ভাগ করে সামনে এনে দেই ]

রাহুল স্নেহার চশমাটা হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে…হঠাৎ দরজা ওপেন হওয়ার শব্দ! ফিরে তাকাতেই রাহুল শকড হয়ে ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে যায়…দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দরজার সামনে…এক অপরুপ পরী দাঁড়িয়ে আছে…চোখের পাতা ফেলতে চাইছে না রাহুল! চেয়ে আছে স্নেহার দিক!…যেনো সত্যিই কোনো পরী তার সামনে দাড়িয়ে আছে… গোলাপী রঙের টপস্ টা গায়ের সাথে মিশেই গেছে…পেটের দিকটা খালি দেখেই এক হাত কোমোড় পর্যন্ত জড়িয়ে রেখেছে! আরেক হাত কাধে রেখে..এদিক ওদিক ঠিক করছে!

রাহুল : [ ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে ] ড্রিংকস করে নেশা করতে হবে না…স্নেহা তোমাকে দেখেই নেশা হয়ে যাবে!

স্নেহা কোনো জবাব দিলো না নিচের দিকই তাকিয়ে আছে!

রাহুল : [ ধীরে ধীরে স্নেহার কোমোড় থেকে তার হাতটি সরিয়ে নিলো!] Easy থাকো! Uncomfortable ফিল করতে হবে না!

স্নেহা : [ তাড়াহুড়ো করে ] হয়েছে দেখা! এবার চেঞ্জ করে আসি! [ বলেই স্নেহা চলে যাচ্ছিলো…হুট করে রাহুল স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে তাকে কাছে টেনে নেই ]

রাহুল : যতোই দেখবো স্নেহা! চোখে ছানি পড়ে যাবে, তাও ইচ্ছে মিটবে না [ স্নেহা চোখ নামিয়ে ফেললো ] আচ্ছা তুমি এতো লজ্জা পাচ্ছো কেনো?.. বিটউইন আই লাইক ইট!

[ স্নেহা ব্লাশিং ]

রাহুল তার পকেট থেকে একটা রিমোট বের করে বাটন প্রেস্ করলো!… এবং সাথে সাথে একটা সফটেড ♪♪ টোন বাজতে লাগলো!

স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালো,

রাহুল তার কপালটা স্নেহার কপালের সাথে লাগালো দুজন দুজনের দিক তাকিয়ে রইলো! স্নেহার একহাত তার হাতের মুঠোই শক্ত করে ধরলো! আরেকহাতে স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে ধরলো…[ গা শিউরে উঠলে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলে স্নেহা! বুকটাও জোরে জোরে কাঁপতে শুরু করলো ]

রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু তেডি স্মাইল দেই! এবং ধীরে ধীরে নাচাতে লাগলো… স্নেহাকে!

ডান্স করতে করতে, হঠাৎ…রাহুল স্নেহাকে তার বুকের অনেকটা কাছে নিয়ে এলো… স্নেহার মাথা রাহুলের..বুকের উপর…অন্যরকম একটা ভালো লাগছে রাহুলের…নিস্তব্ধ চারদিক…শুধু সফটেড মিউজিকের সাউন্ড ভাজছে….আর স্নেহার কানে ভাজছে…রাহুলের হার্টের ধুপধুপ করা..প্রতিটি শব্দ…

হঠাৎ, চোখ খুলে চমকে উঠে স্নেহা রাহুল থেকে তাড়াতাড়ি সরে দাঁড়ালো…

রাহুল : ইউ ওকে?…

স্নেহা কিছু না বলে স্কার্ট হাতে তুলে দৌড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো….

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা! আমার তোমাকে কিছু বলার ছিলো!

স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস ফেলতে লাগলো….

রাহুল : [ স্নেহাকে তার দিক ফেরালো ] স্নেহা!

স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকালো ] আমার দেরী হচ্ছে…তাড়াতাড়ি বলেন!

রাহুল : আ..আমি! স্নেহা!

স্নেহা : হ্যা!

রাহুল : মানে! আমি…

স্নেহা : কি হয়েছে আপনি?..

রাহুল : [ কপাল থেকে ঘাম মুছতে লাগলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো ] আজিব ব্যাপার! উইন্টার সিজন তার উপর এ.সি চলছে…আর আমি ঘামছি কেনো?…

স্নেহা : আপনি?…মানে আপনি ঠিকাছেন?..

রাহুল : ইয়া..ইয়াহ! আই এম ফাইন!

[ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো… স্নেহার দিক তাকিয়ে দেখে সে ও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে ]

রাহুল : খুব ঠান্ডা তাই না!

স্নেহা একটু অবাক হলো তাও মাথা নাড়িয়ে বললো হুম!

রাহুল : আসলে…আমি..আ..বলছিলাম যে…
[ মনে মনে] আরে রাহুল Damn it! কি হয়েছে তোর?..তুই নার্ভাস্ হচ্ছিস কেনো?..সিম্পলই তো!

স্নেহা : বলেন!

রাহুল : আচ্ছা তুমি কোথায় যাচ্ছিলে?..

স্নেহা : ড্রেসটা চেঞ্জ করতে!

রাহুল : না করোনা!

স্নেহা : মানে?..

রাহুল : মানে হচ্ছে এটাই পড়ে যাবা!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] পাগল হয়েছেন নাকি আপনি?..আমি এটা পড়ে এইভাবে…[ বলেই বেড়িয়ে যাচ্ছিলো ]

রাহুল : ওয়েট স্নেহা!

[ বলেই টেবিল থেকে স্নেহার শালটা নিয়ে স্নেহার গায়ে মুড়িয়ে দিলো! ]

রাহুল : [ স্নেহার ব্যাগটা হাতে এগিয়ে দিয়ে ] চলো!

[ স্নেহা ব্যাগটা হাতে নিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি রাহুল স্নেহার হাত ধরে নিয়ে হাটা শুরু করে ]

স্নেহা : আরে! এতো দামি ড্রেস এইভাবেই নিয়ে চলে যাবো নাকি?.. আপনার মাথা ঠিকাছে?..

রাহুল : চুপচাপ হাটতে থাকো!

স্নেহা : কিন্তু!

রাহুল : এটা তোমার জন্যই বুকিং দেওয়া হয়েছিলো!

স্নেহা : [ শকড হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] কিহ! এতো দামি ড্রেস আপনি আমার জন্য কেনো বুকিং দিলেন?..এমনিতেই এইখানে ঢুকতে কতো টাকা চলে গেলো…তার উপর এই ড্রেস!

রাহুল : [ থেমে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তোমাকে টাকার চিন্তা করতে বলেছি আমি?..দেখো এমনিতে মাথাটা খারাপ হয়ে আছে…এসব নিয়ে আর কথা বাড়িও না…

[ স্নেহা চুপ হয়ে অন্যদিক ফিরে গেলো.. রাহুল আবারো স্নেহার হাত ধরে হাটা শুরু করলো…দুজন দুজনকে আর কিছুই বললো না চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলো…. ]

প্রায় কিছুক্ষণ পর স্নেহা খেয়াল করলো… রাহুলের মুখটা কেমন গোমড়া করেই গাড়ী চালাচ্ছে…তার উপর তখন বললো..মাথা খারাপ…স্নেহা মনে মনে ভাবতে লাগলো কোনো সে উল্টা পাল্টা কিছু বললো নাকি…

স্নেহা : আ..আপনি ঠিকাছেন?..মানে আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো কারণে রেগে আছেন!

রাহুল : [ বিড়বিড় করে ] রেগে তো নিজের উপর আছি! যেটা বলতে আসলাম সেটাই বলতে পারলাম না…

স্নেহা : কিছু বললেন?..

রাহুল : নাহ! কিছু না…আ..স্নেহা তোমার ফ্রেন্ডস ফোন করেছিলো! আমি ধরেছিলাম!

স্নেহা : আচ্ছা?..কি বলেছেন আপনি?..

রাহুল : কিছুনা! জাষ্ট বললাম চিন্তা না করতে তুমি আমার সাথেই আছো!

স্নেহা : [ মনে মনে ] তারমানে হান্ড্রেট পার্সেন্ট সবাই মিলে আমাকে ধরার জন্য বসে আছে… [ ড্রেসের দিক তাকিয়ে ] তার উপর এই ড্রেস!

বাড়ী এসে পৌছালো…রাহুল আগে নেমে এসে স্নেহার দরজা খুলে দিলো! স্নেহা নেমে এলো…রাস্তার ল্যাম্পের আলোয় স্নেহাকে ড্রেসটাই আরো জলমলে লাগছে! রাহুলের কাছে…

রাহুল স্নেহার চোখ থেকে তার হাতে কিছু কাজল লাগিয়ে নিলো…

স্নেহা : আরে কি করছেন!

রাহুল : [ স্নেহার কানের নিচে কালি লাগিয়ে দিয়ে ] ছোট বেলায়! যখন ফ্রেশ হয়ে মায়ের কাছে আসতাম…মা তখন চোখ থেকে কাজল নিয়ে আর নয়তো ছোট একটা বক্স থেকে কালি নিয়ে কানের নিচে লাগিয়ে দিতো! এতে নাকি কারো নজর পরে না…Obviously আমি এসবে বিশাস করি না তাও রিস্ক নিতে নেই তাই না… [ বলেই পকেটে হাত দিয়ে তেডি স্মাইল দিতে লাগলো ]

স্নেহা কিছু বললো না একটু হাসলো..কিন্তু মনে মনে ব্লাশিং হতে লাগলো,

রাহুল : ওকে! Sooo বাই!

স্নেহা : বাই! গুড নাইট!

রাহুল : গুড নাইট!

[ স্নেহা চলে গেলো.. রাহুল ও গাড়ী নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো ]

দু-বার বেল বাজাতেই…মার্জান এসে দরজা খুললো!

স্নেহা কিছু না বলে শালটা ঠিক করতে লাগলো.. মার্জানের দিক তাকাতেই দেখে চোখ গুলো হাসের ডিমের মতো করে হা করে রেখেছে…

পেছন থেকে,

শায়লা : [ এগিয়ে এসে ] আরে মার্জান কে এসে…. [ বলতেই সে ও হা হয়ে আছে ]

স্নেহা : আরে কি হলো..? আমাকে ভেতরে আসতে দিবিনা..?এইভাবে হা করে চেয়ে আছিস কেনো?…

স্নেহার কন্ঠ শুনে জারিফা ও দৌড়ে এগিয়ে আসে…

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] হাইইইই স্নেহা মেরি জান! [ বলেই সেও অবাক হয়ে যায় ]

মার্জান : তোওবা মেরি জান!আমি কি সপ্ন দেখছি নাকি সত্যিই কোনো পরী এসেছে…কেউ আমাকে চিমটি কাট!

জারিফা মার্জানকে জোড়ে একটা চিমটি দিলো,

মার্জান : আআহ! [ জারিফার গায়ে একটি চড় মেরে ] আরে! ইডিয়ট এত্তো জোড়ে দিতে বলেছি?…

শায়লা : স্নেহা! মানে…এটা স্নেহা শিউর তো?…

স্নেহা কিছু না বলে দরজার ধার থেকে তাদের সরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে,

জারিফা : [ পেছন পেছনে এগিয়ে গিয়ে ] ইয়ার! স্নেহা মেরি জান! ড্রেসটা রাহুল গিফট করেছে তাই না?…তুকে তো পুরাই লিটল মার্মিডের মতো লাগছে!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে