Love At 1st Sight ♥ Season 3 Part – 41

0
6304

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 41

writer-Jubaida Sobti

মনে মনে ভাবতে লাগলো রাহুল, কি বলে ফেললো সে স্নেহাকে,

স্নেহা ও আর কিছু বললো না রাহুলের চেপে ধরা হাতটি পেছনে সরিয়ে নিলো, আরেক হাতে চোখ মুছে নিয়ে পাশ কেটে চলে যাচ্ছে, হঠাৎ পেছন থেকে, রাহুল স্নেহার হাত ধরে আটকে ফেললো, স্নেহা থেমে গিয়ে পেছন ফিরে তাকালো,

রাহুল : স্নেহা! আম সরি! আ..আমি আসলে..

স্নেহা : [ রাহুলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে ] সরি বলতে হবে না রাহুল! আমি জানি, আমি কিছু মনে করিনি,
– [ মুচকি হেসে ] এমনিতেও আপনার বকাগুলো অনেক মিস্ করছিলাম!

রাহুল : [ স্নেহার হাত এগিয়ে নিয়ে ] তোমার হাত…

স্নেহা : আরে ওটা কিছুনা!

রাহুল : [ গোমড়া মুখে ] ব্যথা?..

স্নেহা : সে..সেরে যাবে! [ বলেই হাত টেনে সরিয়ে নিলো ]

রাহুল : এক কাজ করো তুমিও আমায় ব্যথা দাও..[ মাথা চুলকিয়ে একটু চিন্তা করে ] আচ্ছা শুনো আমাকে জোড়ে একটা থাপ্পড় দাও!

স্নেহা : কিহ বলছেন এসব?..পাগল হয়েগিয়েছেন?..

রাহুল : হ্যা! যেটাই মনে করো স্নেহা! ব্যাস থাপ্পড় দাও!

স্নেহা : রাহুল! আমি আপনাকে থাপ্পড় দিবো? এটা কিভাবে সম্ভব হবে না আমার দ্বারা!
– আ..আর আমি কখনো কারো গায়ে হাত তুলিনি…সো্ এটাতো ইম্পসিবল!

রাহুল : [ এক্সাইটেড হয়ে ] তার মানে আমিই ফার্ষ্ট হবো! ওয়াও স্নেহা.. কামঅন স্লেপ মি!

স্নেহা : আপনি আসলেই কি বলবো [ বলেই বিরক্তি হয়ে চলে যাচ্ছে ]

রাহুল : [ চেচিয়ে ] স্নেহা তুমি কেদেছো! তার মানে ব্যথা পেয়েছো! [ স্নেহা থেমে গেলো ]

– আই সয়ার স্নেহা! তুমি থাপ্পড় না মাড়লে আমি…আ..আমি নিজেকে ক্ষতি করবো!

স্নেহা : [ এগিয়ে এসে ] এটা কোনো কথা রাহুল, আমি সত্যিই ব্যথা পাইনি,

রাহুল : আমি বলেছি আমি নিজেকে ক্ষতি করবো, ঠিকাছে! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] আচ্ছা ঠিকাছে!

রাহুল : [ হেসে ] ওকে! [ স্নেহা রাহুলের মুখের সামনে হাত এগুলো কিন্তু গালে লাগানোর আগেই স্নেহার হাত কাপতে লাগলো ]

স্নেহা : [ হাত নামিয়ে নিয়ে ] হবে না রাহুল!

রাহুল : কামঅন স্নেহা! রাগ তুলো নিজের মধ্যে, আমি তোমার হাত চেপে ধরেছি, বকেছি, মনে করো এসব বারবার, [ হেসে উঠলো স্নেহা ]

রাহুল : আমি হাসতে বলিনি, রাগ উঠাতে বলেছি,

স্নেহা : বাট রাহুল!

রাহুল : ঠিকাছে [ বলেই জোড়ে হেটে এগিয়ে চলে যাচ্ছে তখনিই স্নেহা রাহুলকে আবার টেনে ধরে, রাহুল থামতেই ]

স্নেহা : ওকেওকে! দিচ্ছি!

রাহুল : [ নাকফুলিয়ে ] তাড়াতাড়ি!

[ স্নেহা মাথা নাড়িয়ে ধীরে ধীরে হাত এগিয়ে রাহুলের গালে হালকা একটু টাচ করেই দু-হাত দিয়ে নিজের মুখ নিজে চেপে শকড হয়ে গেলো, রাহুল অবাক হয়ে তাকালো স্নেহার দিক, ]

স্নেহা : হোহ! সস..সরি! ব্যা..ব্যাথা পেয়েছেন?..

রাহুল : এটা থাপ্পড় ছিলো?.. [ স্নেহা চুপ হয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে রইলো, রাহুল কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো, আর স্নেহা অবাক হয়েই হা করে তাকিয়ে আছে ]

রাহুল : রিয়েলি স্নেহা! আসলেই তোমার দ্বারা হবে না!

হঠাৎ,

স্নেহা : [ পাশ ফিরে তাকিয়ে ] রাহুল! আপনি দু-মিনিট দাড়ান আমি এক্ষুনি আসছি, [ বলেই হাটা শুরু করলো ]

রাহুল : আরে কিন্তু কই যাও [ বলে পাশ ফিরে তাকাতেই দেখে তার বাবা বেরুচ্ছে পুলিশ স্টেশন থেকে, স্নেহা ও কোথায় যাচ্ছে এটা বুঝার আর বাকি ছিলো না রাহুলের, জোড়ে একটি শ্বাস ফেলে মুখ ফিরিয়ে নিলো ]

স্নেহা : [ দৌড়ে রাহুলের বাবার দিক এগিয়ে গিয়ে হাপিয়ে উঠে ] থেংক ইউ আংকেল!

রাহুলের বাবা : [ হেসে ] মাই প্লেজার!

স্নেহা : এক্সুলি রা..রাহুল ও আপনাকে থেংক্স বলেছে! [ মুচকি হাসলো রাহুলের বাবা স্নেহার কথা শুনে ]

স্নেহা : ও আসেনি কাক..কারণ [ একটু চিন্তা করে ] ল..লজ্জা পাচ্ছিলো হ্যা! [ হেসে ] লজ্জা পাচ্ছিলো তাই! আমি বললাম ঠিকাছে আমিই জানিয়ে আসি!

রাহুলের বাবা : অনেক ভালো লাগলো, তোমার সাথে দেখা করে,

স্নেহা : আ..আংকেল ও চাই আপনাকে, কিক..কিন্তু মনের মধ্যেই দাবিয়ে রেখেছে, ঠিক আপনার মতোই!

রাহুলের বাবা : ওর জেদ এর আগে কিছুই করেনা! যেটাই জেদ ধরবে ওটাই করে ছাড়বে! আসলে ওর জেদ দেখানো আমার উপর স্বাভাবিক!

– [ মুচকি হেসে স্নেহার মাথায় উপর হাত বুলিয়ে ] আগে ওকে দেখতে খুব গোমড়া লাগতো, তুমি ওর লাইফে আসার পর আবারও হাসতে শিখেছে! আর আমি দূর থেকে ওর হাসি দেখেই খুশি!

– আমিতো পেরেও পারলাম না, ব্যাস! তুমি ওকে এভাবেই রেখো, কখনো ছেড়ে যেও না!

[ স্নেহা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো ]

– বি হ্যাপি অলোয়েজ! মাই চাইল্ড!

স্নেহা : থেংক ইউ আংকেল! [ রাহুল আড়চোখে তাকালো চলে যাচ্ছে তার বাবা, স্নেহাটা এখনো ঐদিকে দাঁড়িয়ে আছে, তার বাবার গাড়ী বেরুবার পড়েই স্নেহা মুচকি হেসে এগিয়ে আসছে ]

রাহুল : আর না আসলেই পারতে!

স্নেহা : আরে আমার ফাদার-ইন-লো এর সাথে কথা বলছি সময় তো লাগবেই!

[ রাহুল মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেলো, স্নেহা বুঝতে পেরে হেসে রাহুলের হাত জড়িয়ে টেনে হাটা শুরু করলো ]

স্নেহা : আপনার পুরা নাম এটা আগে বলেননি যে!

রাহুল : হুম! বলে কি হতো! রাহলই ইনাফ!

স্নেহা : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] বললে কি একদম হয়ে যেতো?..

রাহুল : [ হেসে ] আমার আইডি কার্ডে দেওয়া ছিলো স্নেহা!

স্নেহা : আইডি কার্ডে দেখা এক কথা,আর আপনি বলা এক কথা! [ রাহুল হাসলো আর কিছু বললো না ]

স্নেহা : হার্শ নামটা আগে প্লেসের নাম শুনেছিলাম, ঐ যে আমাদের ভার্সেটির ঐদিকে..

রাহুল : হুমম!

স্নেহা : হার্শ এড়িয়া, হার্শ হস্পিটাল, হার্শ রেষ্টুরেন্ট, হার্শ শপিং মল! সবটাই শুনেছি, এবার হার্শ মানুষের নাম ও হয় এটাও শুনলাম!

রাহুল : [ মুচকি হেসে ] হার্শ কোনো গুন্ডার নাম শুনেছো?..

স্নেহা : আরে হ্যা! শুনেছিলাম, বড়োরা বলাবলি করতো কিন্তু তখন অনেক ছোট ছিলাম,

রাহুল : হার্শ ইন্ডাস্ট্রির, এড়িয়া, রেষ্টুরেন্ট, শপিংমল, হস্পিটাল, সবই ঐ গুন্ডার!

স্নেহা : আচ্ছা?.

রাহুল : [ থেমে গিয়ে ] আর ঐ গুন্ডাটা তোমার ফাদার-ইন-লো!

স্নেহা : গুগ..গু..গুন্ডা!

রাহুল : ভয় পাচ্ছো?..

স্নেহা : আপনি মজা করছেন তাই না?..

রাহুল : একটু চিন্তা করে দেখো মিলছে কিনা! তারপর আমি মজা করছি কিনা তা আপনাআপনি জবাব পেয়ে যাবে, [ বলেই তেডি স্মাইল দিতে লাগলো, আর স্নেহা সত্যি সত্যিই চিন্তা করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো ]

স্নেহা : কিন্তু রাহুল ওনাকে দেখে মোটেও মনে হয়নি ওনি এমন! কতোই ভালো ভালো কথা বললো গুন্ডা হলেতো আগে পিছে ছোট খাটো আরো গুন্ডা থাকতো, হাতে বন্ধুক-টন্ধুক থাকতো তাই না!

রাহুল : [ হেসে ] আমার ফোন গাড়ীতে ফেলে এসেছি! তোমার ফোনটা দাও! একটা কল করবো!

স্নেহা : [ ফোন এগিয়ে দিয়ে ] কাকে করবেন?..

রাহুল : ড্রাইভারকে! গাড়ী আনতে!

স্নেহা : আরে ড্রাইভারকে আবার গাড়ী আনতে বলার কি প্রয়োজন, আমরা টেক্সি করেই যায়!

– মাঝে মাঝে এসবে চড়তে ও শিখুন! এমনিতেও কবে এসবে চড়েছেন এটাও হয়তো মনে নেই আপনার! তাই না?..বড়লোক মানুষ আমাদের মতো কি আর টেক্সি-রিকশায় সয় নাকি!

রাহুল : [ হেসে ] ওহো, শাটআপ স্নেহা!

স্নেহা : তাহলে ডান?..

রাহুল : ইয়াহ! [ বলেই একটা টেক্সি ডেকে ঠিক করে নিলো, দুজনেই উঠে বসলো, চুপচাপ, টেক্সি চলছে ]

রাহুল : [ স্নেহার দিক ফিরে ] কি হলো? কি ভাবছো?.. [ হেসে ] তোমার ফাদার-ইন-লো কে?.. [ স্নেহা আড়চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে আবার চুপচাপ সোজা হয়ে তাকিয়ে রইলো ]

রাহুল : [ জোড়ে একটি শ্বাস ফেলে ] আগে ছিলো, এখন আর না!

– আমার দাদা ওয়াহিদ তাওয়াব, দাদা থেকেই শোনা ঘটনা, ওনার বিজনেস এর সব ডিল হতো স্কটল্যান্ডের ক্লাইন্টদের সাথে, একদিন দাদার এক ফ্রেন্ড তুরস্কতে থাকতো অনি, ওনার সাথে হটাৎ বিজনেস ডিল হয়, দাদা তুরস্কতে যায় ঐ ডিলের ব্যপারে, এবং তুরস্কের সৌন্দর্যতা ওখানের মানুষের আচরণ, ওখানের বাসস্থান দাদাকে মুগ্ধ করে দেই, দাদা স্কটল্যান্ডের সব ডিল আস্তে আস্তে ছুটিয়ে নিয়ে তুরস্কের ক্লাইন্টদের সাথে করা শুরু করে দিলো, এতে দাদার ঐ ফ্রেন্ডের সাথে দাদার আরো গভীর বন্ধুত্ব হয়ে গেলো, এমনটাই যে একজন আরেকজনের জন্য জান সহ দিয়ে দিবে ঠিক এমনি, দাদা তো বাংলাদেশের সবকিছু ছেড়ে তুরস্কে সেটেল হয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিলো, কিন্তু দাদী এতে মোটেও রাজি ছিলো না, তাই দাদীকে এইখানে রেখেই দাদাকে মাঝে মাঝে বিজনেস এর ব্যপারে তুরস্কে যেতে হতো,

– তখনকারই একদিন, দাদী তখন প্রেগন্যান্ট ছিলো, ডেলিভারির সময় ও একদম নিকটে, কিন্তু দাদার ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং তুরস্কে যেতে হবে, তবে দাদীকে এই অবস্থায় রেখে দাদা কিভাবে যাবে ? তখনি দাদার ঐ ফ্রেন্ডই দাদার মিটিং সামলিয়ে নিবে বলে ডিসাইড করে,

– পরদিন সকালে গুডনিউজ আসে, আই মিন আমার বাবা জন্ম নিয়েছিলো! দু-ঘন্টা পরই আবার বেড নিউজ আসে, ঐ মিটিংয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে ডিল নিয়ে, এতে দাদার ফ্রেন্ড চলে গিয়েছে!

স্নেহা : অন্য কান্ট্রিতে?..

রাহুল : [ হেসে চোখ দিয়ে ইশারা করে ] উপরে!

স্নেহা : হোহ!

রাহুল : অনি মারা যাওয়ার পর দাদা আর তুরস্কের কোনো ক্লাইন্টের সাথে ডিল করেনি, এবং ওনার নামেই বাবার নামকরণ করে হার্শ রাখা হয়!

স্নেহা : মানে আপনার দাদার ঐ ফ্রেন্ডের নাম হার্শ ছিলো?..

রাহুল : হুমম!

স্নেহা : এই নামের পেছনে এত্তো কাহিনী!

রাহুল : ঐ নামের মানুষটার মতোই বাবা হয়েছে! অনি তুরস্কের মাফিয়া ছিলো, আর বাবা বাংলাদেশের! [ স্নেহা শকড হয়ে তাকিয়ে রইলো ]

রাহুল : [ হেসে ] স্নেহা! সব মাফিয়ায় যে খারাপ কাজ করে তা না,
– আগে বাবার সাথে বড়বড় মাফিয়াদের হাত ছিলো, ইনফ্যাক্ট এখনো আছে তবে বাবা ওসব ছেড়ে দিয়েছে!

– নাইট-ক্লাব, লেইট নাইট পার্টি, ড্রিংকস করা এসব বাবার জন্য এভেইলেবল ছিলো, তারপর একদিন আমার মায়ের সাথে দেখা, মা অষ্ট্রেলিয়া থেকে পি.এইচডি কমপ্লিট করে এসেছিলো, বাবার স্কুল ফ্রেন্ড ছিলো মা,

– মায়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো বাবা,কিন্তু মাকে বলতে বলতে টু-ইয়ারস্ লাগলো, মা ও রাজি হলো, বিয়ে ও হলো, বাবা ফুল চেঞ্জ সব ছেড়ে দিয়েছে, সব ঠিকঠাক চলছিলো, এর মাঝেই হঠাৎ কি হয়েগিয়েছিলো বাবার কে জানে?.. আবারও আগের মতো হয়ে যায়, লেইট নাইটে বাসায় ফিরতো, উলটাপালটা কথা বলে মাকে বকতো, মা-রাগ করে চলে যায় বাসা ছেড়ে,

বাবা আবার মাকে মানিয়ে নিয়ে আসে, এর মাঝে কিছু ভালোবাসা কিছু রোমান্স ছিলো নিশ্চয়, যার কারণে আমি জন্ম নেই, তিন-চারবছর ভালো ভালোই কাটছিলো,

কিন্তু তিনি আর ঠিক হতে পারলো না,

মাকে আবারও সন্দেহ, নতুন নতুন দোষ খুজে বেড়ানো মায়ের এসবই চলছিলো, এরপর আর কি? মা আর না পেরে এক্কেবারে চলে যায়,

আর উনি ওনার মতো দিন কাটাচ্ছিলো, মা চলে যাওয়ার কয়েকবছর পর বাবা আবার সব ছেড়ে দেই, বিজনেস এ ধ্যান দিতে থাকে,সবাই ভেবেছিলো উনি আবারো ওসবে জড়াবে, কিন্তু এরপর আর করেনি, কি হয়েছিলো কি জানি, তাতে আমার কি? আমি আমার মতো চলছিলাম,

স্নেহা : হুমম! তারমানে আপনার বাবা-মায়ের ও লাভ ম্যারেজ ছিলো!

রাহুল : হুমম!

স্নেহা : আপনার নামের সাথে আপনার বাবার নাম হাফ জুড়ানো, তাই কিছুটা ওনার ক্যারেক্টার এর সাথে আপনার ক্যারেক্টার ও মিল আছে!

রাহুল : এক্সকিউজ মি ?..

স্নেহা : এই যে যেখানে সেখানে হুটহাট রেগে মারামারি করতে বসেন, তারপর পার্টি-শার্টি, ডিংক্স এসব তো বাদই দিলাম,আমার সাথে মিট হওয়ার আগে আপনিও এসব কম করেছেন নাকি?..[ রাহুল হেসে উঠলো ]

– আর রোমান্টিক আপনার বাবা ও নিশ্চয় ছিলো তাই তো লাভ ম্যারেজ করেছে তাই না! আর আপনিও এমনটা হয়েছেন!

রাহুল : [ স্নেহার কাছে মাথা এনে ফিসফিসিয়ে ] লিসেন্ট বাবার বলতে দু-বছর লেগেছে! আমার বলতে ওয়ান উইক ও লাগেনি!

– আর বাবা যদি অতোটাও রোমান্টিক হতো এতোদিনে আমার আরো দু-তিনটা ভাই-বোন থাকতো! সো্ রোমান্স কাকে বলে তা আমি…

স্নেহা : [ রাহুলকে সরিয়ে দিয়ে ] ছিঃ রাহুল! স্টপ ইট! কথাটা কোথার থেকে কোথায় নিয়ে চলে যান! [ রাহুল হাসতে থাকে ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] রাহুল, অনি লাষ্টে যখন এসবে আর জড়ায়নি নিশ্চয় অনি ওনার ভুল বুঝতে পেরেছে! ভুল তো সবাই করে থাকে শুধরানোর জন্য আমাদের উচিত মাফ করে দেওয়া!

– অন্ধকারকে তো অন্ধকার দিয়ে আলোকিতো করা যায় না! তাতে আলো দিতে হবে! [ রাহুল ঠিক হয়ে বসে অন্যপাশ ফিরে থাকে ]

স্নেহা : রাহুল! ওনি আপনাদের এখনো ভালোবাসে, ওনার চোখের দিক একবার তাকিয়ে দেখেন সব বুঝতে পারবেন আপনি! অনি চাইলেই তো আরেকটা বিয়ে করতে পারতো…

রাহুল : [ বিরক্ত হয়ে ] অন্য টপিকে কথা বলি স্নেহা!

স্নেহা : আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি আপনার বাবাকে ভালোবাসেন না?…এখনো বাসেন আপনার চেহেরায় বলছে!

রাহুল : স্নেহা! প্লিজ!

স্নেহা : তাহলে আপনি যে বলেছেন একটু আগে আপনার আইডিকার্ডে আপনার নামের সাথে আপনার বাবার নামে টিটল দেওয়া আছে! ওটা দিয়ে রেখেছেন কেনো?..এতোই যখন ঘৃণা করেন ওটাও সরিয়ে ফেলতেন!

রাহুল : ওটা আমি দেইনি! স্কুল থেকেই সার্টিফিকেটে দেওয়া ছিলো তাই বাধ্য হয়ে দিতে হয়েছে!

স্নেহা : আচ্ছা?.. তাহলে আপনার বাবার বাড়ির পাশের গেষ্ট হাউজে কেনো থাকেন এক্কেবারে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতেন!

– আপনি ওখানে এই কারণেই থাকেন যাতে আপনার বাবাকে আপনি প্রতিদিন দেখতে পারেন!

রাহুল : তুমি কি চাও আমি নেমে যায়?..

স্নেহা : [ আড়চোখে তাকিয়ে রাহুলের হাত আরো শক্ত করে জড়িয়ে চেপে ধরে ] দরকার নেই!

রাহুল : তাহলে অন্য টপিকে কথা বলো আর নয়তো চুপ করে থাকো!

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আপনার বাবা…

রাহুল : আবার?..

স্নেহা : আরে পুরো কথাটাতো শুনেন!

– আপনার বাবা বলেছিলো আপনি অলোয়েজ পুলিশের সাথে পাংগা নেড়ে আসেন আজ লকাপে বন্ধি হলেন কিভাবে!

– আ..আই মিন এর আগেও আপনি পুলিশের কাছে আরেষ্ট হয়েছিলেন?..

রাহুল : কয়েকবার ধরেছিলো লেইট নাইটে বাড়ি ফেরার সময়, ড্রাংক অবস্থায় গাড়ী চালানোর জন্য, গাড়ীতে ব্লাক মিরর লাগিয়েছিলাম তার জন্য! ব্যাস কয়েকমিনিটের জন্যই, টাকা দিতেই ছেড়ে দিয়েছে!

স্নেহা : টাকা দেওয়ার কি দরকার ছিলো আপনার বাবার নাম বললেই তো ছেড়ে দিতো! নয়তো আপনার পুরো নাম বলতেন! [ রাহুল আড়চোখে তাকাতেই ]

স্নেহা : [ হেসে ] ওকে সরি সরি! [ কিছুক্ষণ পরই স্নেহার বাড়ির সামনে এসে পৌছালো, দু-জনেই টেক্সির দু-দিক থেকে নেমে দাড়ালো, স্নেহা খেয়াল করলো রাহুল পকেটে হাত দিয়ে টেনশন ভাব নিয়ে হাত দিয়ে চেক করছে ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] নিশ্চয় টাকা সব ঐপুলিশই নিয়ে নিয়েছে! [ চেচিয়ে ] শুনেন! আ..আমি আনছি উপর থেকে একটু ওয়েট করেন!

রাহুল : নো নো ওয়েট! গাড়ীতেই আছে মানিব্যাগ! [ বলেই রাহুল গাড়ীর দিক এগিয়ে গিয়ে মানিব্যাগটা নিয়ে আবার এগিয়ে এসে টেক্সির ড্রাইভারকে ভারা দিয়ে দেই, টেক্সি সামনেরদিক কিছুটা এগিয়ে চলে যেতেই হঠাৎ রাহুল হুট করে একটানে স্নেহাকে কাছে টেনে নিলো,
আনব্যালেন্স থাকায় দুজনেই একসাথে মাটিতে পড়ে গেলো যেখানে ছিলো ছোট ছোট পাথরের কণা, যা রাহুলের পিঠে চুপকে ধরলো, খানিকটা ব্যথা অনুভব করলেও রাহুল তাড়াতাড়ি পাশ মুড়ে তাকালো, রাগান্বিত ভাবে উঠে দাড়াতে যাবে কিন্তু খেয়াল করলো স্নেহা রাহুলের গায়ের উপর ভয়ে কুকরে আছে ]

রাহুল : [ চেচিয়ে ] স্নেহা সরো! [ বলেই উঠতে যাচ্ছিলো! ]

স্নেহা : [ রাহুলকে চেপে ধরে ] না রাহুল প্লিজ! যাবেননা!

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে ] স্নেহা প্লিজ! [ পাশফিরে তাকিয়ে চেচিয়ে ] শিট!

রাহুল : হোয়াট দ্যা হেল স্নেহা?.. তোমার সেন্স কই থাকে?..

স্নেহা : [ তাড়াহুড়ো করেই উঠে বসে ] আমার কি দোষ?.. আপনিই তো হঠাৎ টান দিলেন!

রাহুল : [ দাতকিলিয়ে ] আমি এটার কথা বলছিনা, [ পাশফিরে তাকিয়ে ] ঐ গাড়ীটা তোমার দিকই আসছিলো আর তোমার খবরই নেই!

স্নেহা : কিন্তু কোনো আওয়াজই তো হলো না! তাই…

[ রাহুল আর কিছু না বলে উঠে দাঁড়িয়ে, স্নেহাকে ও হাত ধরে টেনে উঠে দাড় করালো, রাগান্বিত ভাবে ফুফিয়ে ফুফিয়েই শ্বাস ফেলছে রাহুল ]

স্নেহা : আ..আপনি ঠিকাছেন?..

রাহুল : গাড়ীর নাম্বারটা খেয়াল করতে পারলাম না! [ চেচিয়ে ] তোমার জন্য!

স্নেহা : আরে এমন ওতো হতে পারে ঐ দিকটা রাস্তা ছোট তাই ভুলে আমার দিক এগিয়ে দিলো,

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে ] ড্রাইভ আমিও জানি, কোন রাস্তায় কতো বড় গাড়ী যাওয়া যাবে এটাও ভালো জানি! আচ্ছা বাদ দিলাম এসব, গাড়ীর হর্ণ তো ছিলো!

স্নেহা : হ..হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে!

রাহুল : তোমার মাথায় বুদ্ধি বলতে কিছু নেই! ঐদিকে এতো বড় জায়গা খালি..ও এইদিকটাই কেনো এগিয়ে এলো, তারমধ্যে তোমাকে সরিয়ে নেওয়ার পর গাড়ীটা কিছুদূর গিয়েই থেমে গেলো, আমি উঠতে উঠতেই পালালো!

স্নেহা : ভালোই হয়েছে পালিয়েছে! হয়তো সামিরই ছিলো! আর আপনি আবার মারামারি করার জন্য যেতেছিলেন তাই না?..

রাহুল : সামির না সামির হলে আমার দিকই আসতো গাড়ী তোমার দিক না!

[ স্নেহা রাহুলের গলার দিক তাকিয়ে, মুখে হাত রেখে হোহ বলেই চেচিয়ে উঠলো ]

রাহুল : কি হলো?..

স্নেহা : [ রাহুলের গলায় হাত রেখে ] ব্লাড?.. কেমনি হলো ?..

রাহুল : [ স্নেহার হাতের নখের দিক তাকিয়ে বুঝতে পেরে ] বাদ দাও…

[ স্নেহা কিছুক্ষণ চিন্তা করে মনে পড়লো সে তো ভয়ে রাহুলকে খামছে ধরেছিলো ]

স্নেহা : সরি রাহুল..আ..আমি আসলে..তখন..

রাহুল : ডোন্ট-ওয়ারি! তুমি বাসায় যাও এখন! আমি আসছি পরে দেখা করবো… [ বলেই তাড়াহুড়া করে গাড়ীর দিক এগুচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] কোথায় যাচ্ছেন আপনি আমি ভালো করেই জানি!
– আমার সাথে চলেন বাসায়, আমি ঔষধ লাগিয়ে দিচ্ছি!

রাহুল : স্নেহা জাষ্ট সামান্য একটুই সেড়ে যাবে!

স্নেহা : একটু হোক আর বেশি আপনি এখন আমার সাথে বাসায় যাবেন ব্যাস আমি আর কিছু শুনবো না…

রাহুল : লিসেন্ট!

স্নেহা : [ কান চেপে ধরে ] নো লিসেন্ট!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] ওকে চলো! [ স্নেহা একটু হেসে রাহুলের হাত ধরলো, রাহুল ও হাত ধরে উপরে নিয়ে গেলো, দুজনেই রুমে গিয়ে ঢুকলো, স্নেহা টেবিলের ড্রয়ার থেকে কটোন আর ঔষধ নিয়ে পাশ ফিরতেই দেখে রাহুল তার জ্যাকেট খুলে চেয়ারের উপর রাখছে, অমনিই রাহুল বলে চেচিয়ে উঠলো স্নেহা! ]

রাহুল : [ অবাক হয়ে ] কি হলো?..

স্নেহা : [ দৌড়ে এগিয়ে এসে ] দেখি আপনার পেছনে?…

রাহুল : অও! ওটা তেমন কিছুনা সামান্য একটু ব্যথা পেয়েছি! হয়তো ছোট ছোট পাথর ছিলো!

স্নেহা : কিন্তু রাহুল ব্লিডিং হচ্ছে! আপনার শার্টের উপরই ভেসে উঠছে…

রাহুল : আচ্ছা?..

স্নেহা : আপনি এইদিকে বসেন আমি মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছি, [ বলেই স্নেহা কটোন আর ঔষধ নিয়ে খাটে বসলো, রাহুল শার্ট খুলে চেয়ারে বিলিয়ে রেখে স্নেহার পাশে এসে বসলো, স্নেহা কটোনে মেডিসিন লাগিয়ে রাহুলের দিক তাকাতেই চমকে যায় ]

[ রাহুল কিছুক্ষণ নিজের চুলগুলো এপাশ-ওপাশ করে ঠিক করতে থাকে.. দীর্ঘ একটি শ্বাস ফেলে হাত পেছনে রেখে ভর দিয়ে বসলো, স্নেহার দিক তাকাতেই দেখে সে চমকে চেয়ে আছে ]

রাহুল : [ ভোর তুলে ইশারা করে ] কি হলো?..

স্নেহা : নাহ.. কিক…কিছুনা..আ..আপনি পেছনে ফিরেন!

রাহুল বুঝতে পেরে তেডি স্মাইল দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার ধীরে ধীরে পেছন ফিরে বসলো, স্নেহাও ধীরে ধীরে মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছে.. ব্যাথা অনুভব হচ্ছিলো রাহুলের তবে স্নেহার হাতের স্পর্শে ব্যথাটাও ভুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে,

স্নেহা : [ পিঠে মেডিসিন লাগিয়ে দেওয়ার পর ] এ..এবার সামনে ফিরতে পারবেন..

রাহুল ধীরে ধীরে স্নেহার পাশ ফিরে ঘুরে বসলো.. স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে কটোনে মেডিসিন লাগাচ্ছে, চোখ তুলে মেডিসিন লাগাতেই যাবে তখনি থমকে গিয়ে আবার আড়চোখে রাহুলের দিক তাকালো, রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়েই আছে স্নেহার দিক..স্নেহা কাপা হাতে রাহুলের গলার দিক কটোন দিয়ে মেডিসিন লাগাতে লাগলো, আর রাহুল ধীরে ধীরে স্নেহার ঘাড়ের কাছে মাথা আনলো, হাত দিয়ে চুল গুলি সরিয়ে একপাশ করে রাখলো, স্নেহা ঢোগ গিলতে লাগলো, তাও মেডিসিন লাগাতে নিজেকে ব্যস্ত রাখার অপারগ চেষ্টা, হঠাৎ ঘাড়ে কারো ঠোটের স্পর্ষ পেতেই স্নেহা চোখ বন্ধ করে শিউরে উঠলো, নিজের অজান্তে রাহুলের ক্ষত জায়গায় মেডিসিন লাগানো কটোনটি জোড়ে চেপে ধরলো, রাহুল ব্যথা অনুভব করায় স্নেহার কোমোড়ে হাত রেখে চেপে ধরলো, সাথে স্নেহার ঘাড়ে আরো গভীরভাবে চুমু দিলো

চোখ খুললো স্নেহা, রাহুল তার দাড়ি দিয়ে স্নেহার গাল ঘষে দিলো স্নেহা আবারো কেপে উঠলো..
ধীরেধীরে স্নেহার ঠোটের দিক তাকিয়ে এগুতেই স্নেহা কটোনটি ক্ষতো জায়গায় আবার ও জোড়ে চেপে ধরলো,

রাহুল : আহহ! স্নেহা! [ কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো স্নেহা ] হোয়াট আর ইউ ডুয়িং? হ্যা!

স্নেহা : [ হেসে ] আর আপনি কি করছিলেন?..

রাহুল : আ.. আমি তো [ বলেই তেডি স্মাইল দিয়ে নটি মাইন্ডে তাকিয়ে থাকলো, একটু হেসে চলে যাচ্ছিলো স্নেহা হুট করেই রাহুল স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে আবার বসিয়ে দিলো ]

রাহুল : আহা..মেডিসিন কমপ্লিট করে যাও..

স্নেহা : কিক..কিন্তু লাগালামই তো…

[ রাহুল হাত দিয়ে গলার মেডিসিন সব মুছে ফেলে খাটের মাঝে শুয়ে পড়ে, স্নেহা অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে রইলো ]

রাহুল : চলে গেছে সব! এবার লাগাও…

স্নেহা : কিন্তু আপনি তো ইচ্ছে করেই…

[ বলতেই রাহুল একটানে স্নেহাকে কাছে টেনে নেই, স্নেহার মুখ দিয়ে কিছুই বেরুচ্ছেনা রাহুলের খালি বুকের মাঝেই সে পড়ে আছে… রাহুল স্নেহার সামনে নুয়ে যাওয়া চুল গুলো কানের ধারে গুজে দিলো,স্নেহা চোখ বন্ধ করেই জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো ধীরে ধীরে স্নেহাকে কাত করে পাশে শুয়ে দিয়ে রাহুল স্নেহার উপুর হয়ে শুলো ]

রাহুল : কামঅন স্নেহা ভয় পাচ্ছো কেনো ঐদিনই তো বলেছো আমার উপর ভরসা আছে, [ স্নেহা চোখ নামিয়ে রাখলো ]

রাহুল হাতে ভর করে মাথা রেখে তেডি স্নাইল দিয়ে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ,

ধীরে ধীরে হাত এগিয়ে স্নেহার ওড়না সরাতে লাগলো ঐ সময়ই হুট করে স্নেহা লাফিয়ে উঠে বসলো, আর কিছু না ভেবে খাট থেকে উঠে দৌড়ে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ ওড়না কারো হাতে টান পড়তেই স্নেহা আবার থেমে যায়, কোমোড়ে স্পর্শ পেলো কারো, বুকটাও কেপে চলছে এবার.. রাহুল তার দিকই ফেরালো স্নেহাকে,

রাহুল : কই যাও…

স্নেহা : আ..আমি..

রাহুল : ইয়েস ইউ…

পিছিয়ে গেলো স্নেহা..আর রাহুল পা বাড়িয়ে এগিয়ে এলো স্নেহার নিকটে, লেগেপড়লো স্নেহা আলমারির সাথে! পেছানোর আর জায়গা নেই, পাশ কেটে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই রাহুলের হাত আলমারিতে রেখে বাধা দিলো… অন্যহাতে স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে ধরলো, চোখ তুলে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল এমনভাবে তাকিয়ে আছে, যে চাহনিতে সে বারবার মরতে চাইবে, চোখ বন্ধ করে ফেললো স্নেহা! ঠোটে রাহুলের ঠোটের আলতো স্পর্শ পেলো..

রাহুল : [ ধীরে ধীরে স্নেহার হাত স্লাইড করে ধরে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] ব্যথা পেয়েছিলে তখন স্নেহা?.. [ স্নেহা মাথা নাড়াতেই, হাতটি মুখের কাছে তুলে চুমু খেলো রাহুল, শিউরে উঠলো স্নেহা যেনো শরীরের সব লোমই দাঁড়িয়ে পড়েছে ]

ধীরেধীরে গলায় হাত রেখে ওড়নাটা টেনে ফেলে দিলো রাহুল! চুল সরিয়ে আলতো করেই চুমু খেলো গলায়,
চোখ বন্ধ করে রাহুলের খালি কাধেই খামছে ধরলো স্নেহা! রাহুল স্নেহার কপালে চুমু খেয়ে ধীরেধীরে সরে পিছিয়ে দাড়ালো,স্নেহা চোখ নামিয়ে ঐ দিকটাই দাঁড়িয়ে আছে…চেয়ার থেকে শার্টটা এগিয়ে নিয়ে পড়ে নিলো রাহুল! কলার ঠিক করে পকেটে হাত রেখে হেসে স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ, ব্লাশিং হয়ে চোখ নামিয়ে মুচকি হাসছে স্নেহা ও,

ধীরে ধীরে স্নেহার কাছে এগিয়ে এসে দাড়ালো রাহুল,গলায় হাত দিয়ে স্লাইড করে দিলো,স্নেহা চেয়ে আছে রাহুলের দিক,

রাহুল : স্নেহা আমার কিছু বলার ছিলো তোমাকে! [ স্নেহা কৌতুহল চোখে তাকালো ]

– আই নো স্নেহা ইউ লাভ মি! এন্ড ইউ অলসো্ লাভ ইউর প্যারেন্টস!
– তোমার বাবার মাথায় আমার ব্যপারে যা ঢুকেছে হয়তো ওনার জায়গায় আমি হলে ও এটা মেনে নিতাম না!
– সো্ আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি বুঝতে পারছো?…

স্নেহা : [ কাদো ভাবে ] রাহুল! বাবা আমার এংগেজমেন্ড ঠিক করেছে আজ সামিরের সাথে! তাও আবার আমাকে না জানিয়ে! ঐ সামিরই বলে গেলো যাওয়ার সময়! [ রাহুল রাগান্বিতভাবে হাত মুঠি বেধে অন্যপাশ ফিরে গেলো স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুলের রাগ উঠছে ]

স্নেহা : [ রাহুলের কাছে এগিয়ে গিয়ে ] রাহুল আপনি…

রাহুল : তো কি ভেবেছো স্নেহা ? করে নিবে এনগেজমেন্ট সামিরের সাথে?..

স্নেহা : কি বলছেন আপনি আমি ওর সাথে কেনো এনগেজমেন্ট করবো!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তাহলে চলো আমার সাথে! [ স্নেহা চুপ করে চেয়ে রইলো ] কি হলো স্নেহা?..এতো কি ভাবছো?.. পারবানা আমার হাত ধরে যেতে! [ চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো স্নেহার, কষ্টমাখা একটি দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো রাহুলের, স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

রাহুল : আমি আমার রাগ মেঠানোর জন্য সামিরকে মারবো ঠিকই স্নেহা! কিন্তু তাও তোমার বাবা আমাকে মেনে নিবে না! আর সামির ও থেমে থাকবে না ও এসবের জন্য অনেক নিচুই নামতে পারে,
– আর ওকে মারার পর তোমার একা চলাটাও মোটেও সেফটি না! ইনফ্যাক্ট তোমাকে বাসায় একা রাখাটাও আমার সেফটি মনে হচ্ছে না!
– আর এইদিকে তুমিও আমার সাথে যেতে রাজি নও! আমি আর কি করতে পারি স্নেহা! তুমিই বলো কি করবো?..

স্নেহা : [ রাহুলের শার্ট মুচড়ে ধরে তারদিক ফিরিয়ে ] তাহলে নিয়েই চলুন আপনার সাথে! [ কাদো ভাবে ] আমি না কবে বললাম?..

রাহুল : [ অবাক হয়ে তাকিয়ে ] রি…রিয়েলি স্নেহা!

স্নেহা : [ হেসে মাথা নাড়িয়ে ] রিয়েলি! আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ রাহুল! ব্যাস যেখানেই নিয়ে যাবেন যান আমার এসব আর সজ্য হচ্ছে না!

– আ..আই লাভ ইউ রাহুল!

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে