#Khatarnak_Isq.[Impossible Love]
#Sumaiya_Moni.
#Part_08.
_______________________
একের পর এক মানুষের রক্ত পান করে স্যাম অনেকটা শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। আগে শুধু মেয়ে মানুষের রক্ত পান করতো।এখন ছোট,বড়,অর্ধবয়ষ্ক যাকে পাচ্ছে তাকেই শিকার বানাচ্ছে।
এদিকে এলেন,এরোন ভ্যাম্পায়ারদের নিয়ে হন্য হয়ে খোঁজ করছে স্যামকে। আলফির কাছেও স্যামের খবর পৌঁছে গেছে। নিরীহ মানুষকে মারার কথা শুনে আলফি চুপ থাকতে পারে না।
আলফি দিনের বেলা জঙ্গল ভ্রমণ করতে বের না হলেও।রাতে ঠিক বের হয়।আজকেও তাঁর ব্যতিক্রম হলো না। একাই বের হয়েছে। পুরো আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। ঘুরে ঘুরে দেখছে। কথা হলো, স্যামকে খুঁজতে হবে। যে-ভাবেই হোক! আলফি ফাঁদ পাতে স্যামকে ধরার জন্য। মাটিতে নেমে এসে মানুষের ভেশ নিয়ে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। বেশিদূর হাঁটতে হয় না। কিছুটা রাস্তা অতিক্রম করার পরই স্যাম রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়ায়। আলফি স্যামকে দেখে ভয় পাওয়ার নাটক করে। ভীতু ফেইস নিয়ে স্যামের দিকে তাকায়।
স্যাম তীক্ষ্ণ চোখে আলফির দিকে তাকিয়ে এক পা দু পা করে এগিয়ে আসছে। রক্ত খাওয়ার নেশা মাথায় এতটা জেঁকে বসেছে সামনে থাকা ব্যাক্তিটির কথা এক বারও ভাবল না। ভেবে দেখল না এত রাতে,এই ঘন জঙ্গলে এই সুন্দরী রমনী কোথা থেকে আসলো। রক্ত খাওয়ার নেশা নিয়ে আলফির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আলফি মনের মধ্যে ক্ষোভ নিয়ে সরল ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে।
স্যাম তাঁর আসল বীভৎস ফেইস নিয়ে চোখের পলকের মধ্যে আলফির উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে নিলে সামনে ইয়ান এসে দাঁড়িয়ে গলা চেপে ধরে। আলফিকে পাশে সরিয়ে ইয়ান স্যামকে নিয়ে জঙ্গলের ভেতরে চলে আসে। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। আলফি নিজে সেখানে যেতে নিলে তখনি কোথা থেকে এলেন উপস্থিত হয় ওর সামনে৷ কপাল কুঁচকে আলফিকে জিজ্ঞেস করে,
-“হেই! এত রাতে তুমি এখানে কী করছো? তোমার বাড়ি কোথায়?”
আলফি বুঝতে পারে রূপ বদলানোর কারণে এলেন আলফিকে চিনতে পারেনি। আলফি তারি ফায়দা উঠায়। নেকা কান্নার ভান ধরে বলে,
-“আমাকে একটি লোক এখানে নিয়ে এসেছে ক্লাব থেকে। আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন। মম-ড্যাড আমার জন্য চিন্তা করছে।”
-“আচ্ছা,কাঁদতে হবে না। চলো আমার সাথে।”
এলেনের এমন সৎ ব্যবহার দেখে আলফির মনটা হালকা হয়ে যায়।
আলফি চোখ মুছার অভিনয় করে বলে,
-“চলুন!”
দুজনেই সামনের দিকে হাঁটা ধরলে জঙ্গলের ভেতর থেকে হিংস্র হুংকারের শব্দ ভেসে আসে। এলেন পিছনে ফিরে তাকিয়ে বুঝতে পারে ভেতরে কিছু একটা হচ্ছে। মেয়েটির কথা তখন মাথায় আসে না। এলেন জঙ্গলের দিকে হাঁটা ধরতেই আলফি কান্নার ভঙ্গিতে সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,
-“প্লিজ আমাকে রেখে যাবেন না। আমার খুব ভয় করছে।”
-“তুমি এখানে দাঁড়াও,দেখে আসি সেখানে কী হচ্ছে!”
-“না প্লিজ যাবেন না।” করুন স্বরে কথাটা বলে আলফি।
-“তুমি জাস্ট পাঁচ মিনিট ওয়েট করো আমি এখনি আসছি…..!”
কথাটা শেষ করার আগেই আলফি এলেনকে ঝাপটে ধরে। অস্থির হয়ে বলে,
-“প্লিজ যাবেন না। প্লিজ! আমার খুব ভয় করছে।”
আলফি কোনোভাবেই চায় না এলেন সেখানে যাক। সেখানে গেলে এলেন ঠিক স্যামকে সেদিনের মতো বাঁচিয়ে নিবে। কিন্তু আলফি সেটা চায় না। তাই যে করেই হোক এলেনকে আটকে রাখতে চায়। এলেন মেয়েটির এমন কাণ্ডে আশ্চর্য না হয়ে পারে না। অন্য কোনো মেয়েকে গাঁ ঘেঁষতে দিলেও এই মেয়েটি ইচ্ছাকৃত ভাবে এমনটা করবে এলেনের জানা ছিল না।
-“কী করছো? ছাড়ো আমাকে।” দূরে সরাতে সরাতে বলে এলেন।
আলফি এলেনের কাছে ঘেঁষে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছে।
-“এই মেয়ে,করছোটা কি? ছাড়ো…।”
-“নাহ!”
-“আরে…..।” এলেন বাকিটা বলতে পারে না। থেমে যায়। সুন্দর একটি সুভাস এলেনের নাকে আসে। যেটা মেয়েটির গাঁ থেকে পাচ্ছে। এলেন কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যায়। সুবাস টা খুব চেনা চেনা লাগছে। এলেন চোখ বন্ধ করে কিছু একটা উপলব্ধি করতে থাকে। পরক্ষণে চোখ মেলে আলফির চুলের মুঠি ধরে তীক্ষ্ণ নজরে তাকায়। আলফি ভয় না পেলেও,ভয় পাওয়া ফেইস নিয়ে এলেনের দিকে তাকায়। এলেন আলফির গলার কাছে নাক এনে স্মেইল নিতে থাকে। আলফি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হাত মুঠো বদ্ধ করে। এলেন স্মেইল নিতে নিতে আলফির কানের কাছে এসে স্লো ভয়েসে প্রশ্ন করে,
-“হু আর ইউ?”
প্রশ্নটা শুনে আলফি এলেনকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। এলেন সেদিনের মতো দু কদম পিছনে চলে যায়। ধাক্কা দেওয়ার ফলে এলেনের সন্দেহ টা আরো একটু তীব্র হয়। দু কদম আলফির দিকে এগিয়ে এসে গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
-“বলো কে তুমি?”
কী বলবে আলফি ভেবে পাচ্ছে না। ধরা পড়ার ভয়তে আলফি এলেনের মুখের উপর একটি রুমাল ছুঁড়ে মারে। চোখ জোড়া ডেকে যায় এলেনের।এলেন রুমালটা মুখ থেকে সরাতেই সেই অচেনা মেয়েটি উধাও হয়ে যায়,সাথে রুমালটিও। এলেন চারদিক তাকিয়ে আর খুঁজে পায় না।মেয়েটি যে কোনো সাধারণ মানুষ নয় সেটা এলেন ভালো করেই বুঝতে পারে। সন্দেহ জাগে মনে।সেটাও আলফির প্রতি। দেরি না করে বাতাসের বেগে আলফিদের বাড়িতে আসে। বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে ধীরে দরজার ছিটকানি খুলে ভেতরে আসে। সারা রুম অন্ধকার। আলফির বেডের পাশে এসে দাঁড়িয়ে স্পেশাল পাওয়ার দিকে দেখতে থাকে আলফি বেডে আছে কি না। যখন বুঝতে পারে আলফি শুয়ে আছে তখন এলেন বেশ অবাক হয়। কেন জানি মনের সন্দেহ টা মিটছে না। বেড়ে যাচ্ছে। এলেন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে এটা ওটা ভেবে চলে আসে রুমের বাহিরে। জঙ্গলের মেয়েটির কথা ভাবে। তারপর সেদিনের শাহজাদী কায়রার কথা ভাবে। কিন্তু কিছুর হিসাব মিলছে না। হুট করে এলেনের জঙ্গলের সেই হুংকারের কথা মনে পড়ে। এলেন দেরি না করে দ্রুত চলে আসে সেই স্থানে। এসে দেখে সেখানের কয়েকটা গাছপালা উপড়ে পড়া। ডাল ভেঙে ঝুঁলে আছে। দেখে মনে হচ্ছে এখানে যুদ্ধ হায়েছে বেশ বড় সড়ো। এলেন শক্তি দিয়ে বুঝার ট্রাই করে এখানে কিছুক্ষণ আগে কী হয়েছিল? চোখ বন্ধ করে ভাঙা গাছের ডাল স্পর্শ করে দেখছে। এলেন বুঝে যায় এখানে একটু আগে কি হয়েছিল। স্যাম এখনো মারা যায়নি। এটাও বুঝতে পারে এলেন। রাগে রাজ্যে ফিরে আসে।
.
.
-“স্যামকে মারতে পেরেছো?”আলফি ইয়ানকে জিজ্ঞেস করে।
-“নাহ! মারামারির এক পর্যায়ে স্যাম পালিয়ে যায়।”
-“এটা….। যে করেই হোক স্যামকে মারতে হবে। আর না হলে স্যাম মানুষকে মেরে ওর রক্তের পিপাসা মেটাবে।” রাগে উত্তেজিত হয়ে বলে আলফি।
-“এত টেনশন কোরো না। স্যামকে খোঁজার ব্যবস্থা করছি আমি।”
আলফি কিছু বলে না। নিজ কক্ষে ফিরে আসে। নিজে নিজে বলতে থাকে।
-“কিছুতেই এলেনকে জানতে দেওয়া যাবে না আমি শাহজাদী কায়রা।আমি জানি এলেন আমাকে সন্দেহ করছে। আমাকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। তবে…..?” আলফি কিছু একটা ভেবে শুয়ে পড়ে।
ভ্যাম্পায়ার কিংডম…….
-“কোনো খবর পেয়েছো স্যামের?” কিং এবিল জিজ্ঞেস করে এলেন ও এরোনকে।
-“ড্যাড,জ্বীনের সাথে স্যামের লড়ায় হয়েছে। সেই লড়াইয়ে স্যাম বেঁচে যায়।”
-“কী দিন এসেছে। স্যামের জন্য এখন আমাদের লড়াই জ্বীনদের সাথে হচ্ছে। যেই জ্বীনরা আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত পারত না।”
-“কিং এসব হয়েছে তাঁদের শাহজাদী ফিরে আসার কারণে। শাহজাদী ফিরে আসার কারণে ওদের পাওয়ার ভেড়ে গেছে।” ইয়াঙ্ক বলে।
-“হুম,তুমি ঠিক বলেছো। আরলেন,যে করেই হোক শাহজাদী কায়রাকে খুঁজে বের করো।”
-“কিন্তু সে কি মানুষের সাথে থাকবে? সে তো জ্বীন রাজ্যে থাকবে।” এরোন বলে।
-“উঁহু! সে মানুষের সাথেই থাকে। জ্বীন রাজ্যে নয়।” এলিব বলে।
-“কিন্তু কেন?”
-“আমার ধরনা মতে কায়রা ছোট্ট থেকে মানুষের সঙ্গে থেকেছে। সে এই ঘোলা পরিবেশে বসবাস করে। জ্বীন রাজ্যে না।” এবিল বসা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে বলে।
-“তাকে খোঁজার উপায়?” এরোন প্রশ্ন করে।
-“তাঁর শরীর থেকে মানুষের স্মেইল আসবে না। তাঁর রক্ত কেউ খেতে পরবে না।”
বিয়ার খেতে খেতে এলেন তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে। আলফির সাথে প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত দেখা করার মুহূর্ত গুলো ভাবছে। ওর ড্যাডের কথার সাথে আলফির কিছুটা মিল পাচ্ছে এলেন। ক্যান ফেলে ওঠে চলে আসে কক্ষে। মনে মনে ডিসাইট করে নেয় কাল থেকে আলফির উপর কঁড়া নজর রাখবে।
.
.
সকালে…..
আলফিকে আজ ইয়ান কলেজে পৌঁছে দেয়৷ আলফি ক্লাস রুমে এসে বসতেই এনা আলফিকে উত্তেজিত কন্ঠে বলে,
-“আলফি শুনেছিস! এই দুই দিন পাঁচ ছয়জন মানুষের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাও পূর্ব দিকের জঙ্গলটা থেকে।”
এনার মুখ থেকে কথা কেঁড়ে নিয়ে লিনা বলে,
-“সেই জঙ্গলটা অনেক ভয়ংকর। অনেক ধরনের জন্তুজানোয়ার সেখানে বসবাস করে ।”
-“হুম,তারপর?” আলফি জিজ্ঞেস করে।
-“তারপর,সেখানের রাস্তাটা দিয়ে যদি কেও যায় তাহলে ফিরে আসার চান্স খুব কম থাকে।” ম্যারি ভয় জড়িত কন্ঠে বলে।
-“তারপর? ” আলফি বলে।
-“তারপর,সে মারা যায়!”
-“তারপর!”
-“আমাদের সবার মাথা। হয়েছে!” জন দাঁত কেলিয়ে করে।
আলফি মুখের উপর হাত দিয়ে জোরে হাসতে লাগল। ওর হাসি দেখে ওরা সবাই সরু চোখে তাকিয়ে আছে। এমন মনে হচ্ছে ওরা আলফিকে জোক্স শুনিয়েছে। যেটা শুনে আলফি হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে। তবে, আলফির কাছে বিষয়টা,মার কাছে মাশির বাড়ির গল্প বলার মতো লাগছে।আলফির আগে থেকেই সব জানা।
-“আলফি তুই মানুষের দুর্দিনে হাসছিস?” লিনা বলে।
-“আরে না! আমি তো আমার তারপর,তারপর কথাটা শুনে হাসলাম।”
জি-তাও আলফির উদ্দেশ্যে কিছু বলার আগেই স্যার চলে আসে ক্লাসে। সবাই ক্লাসে মনোযোগ হয়।
তিন পিরিয়ডের পর আলফির মনে হতে থাকে এলেন ওর আশেপাশেই ঘুরঘুর করছে। আলফি এলেনের উদ্দেশ্যে মনে মনে বলে,
-“বেহায়াপনা ছেড়ে ক্লাস রুম থেকে চলে যান এলেন মামু।”
কথাটা এলেন ঠিক শুনে ফেলে। স্পেশাল শক্তি দিয়ে ক্লাস রুমের সব কিছু স্টপ করে দেয়। যে যেভাবে আছে সবাই ঠিক ঐভাবেই বসে থাকে। শুধু আলফি বাদে। কারণ আলফির উপর এলেনের শক্তি প্রয়োগ হয়নি। কিন্তু তবুও আলফি মূর্তির মতো বসে থাকে। যাতে এলেন বুঝতে পারে আলফিও স্ট্যাচু হয়ে গেছে সবার মতো। এলেন দরজাটা বন্ধ করে দেয়। যাতে বাহিরের কেউ না দেখতে পায়। আলফির খুব হাসি পাচ্ছে স্যারকে দেখে। স্যার চক হাতে নিয়ে সামনের দিকে হাত উঁচু করে ধরে রেখেছে। কথা বলার এক পর্যায় এলেন স্ট্যাচু করে ফেলেছে যার কারণে মুখটা বাঁকানো। হাসতে পারছে না আলফি। এর জন্য বেশ কষ্ট হচ্ছে। এলেন বাতাসের বেগে আলফির মুখের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওর পাশে বসেছিল এনা। এনাকে সিট থেকে দূরে সরিয়ে পাশে বসে এলেন।
-“কী বলেছিলে যেনো? এলেন মামু? আচ্ছা তাহলে মামু যখন বলেছো তখন আমার ভাতিজিকে একটু আদর করে দেই। কি বলো ভাতিজি!” হেসে হেসে বলে এলেন।
আলফি ভেতরে ভেতরে অবাক হয়ে যায়। সামনে কি করবে সেটা এখন দেখার পালা। এলেন আলফিকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা একটা করে চুমো দিচ্ছে আর বলছে,
-“আয়…ভাতিজি আয়। আয়… ভাতিজি আয়।”
যতবার বলছে,ততবার আলফির গালে চুমো খাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে রাগের চোটে আলফি ফেটে যাচ্ছে। এটার জন্য আলফি মোটেও প্রস্তুত ছিল না। আর এলেন তো কিস দিয়েই যাচ্ছে। পরের কলি টুকু বলার আগেই ঘন্টা পড়ে যায়। এলেন আলফির কাছ থেকে সরে এসে অদৃশ্য হয়ে সব আগের মতো করে দেয়। স্যার যখন শুনলো ঘন্টা পরে গেছে তখন ক্লাস রুম থেকে চলে যায়। আলফি তো রাগে ফোসফাস করছে। সোজা হয়ে বসে আছে। এনা ব্যাক গুছিয়ে আলফির দিকে তাকিয়ে দেখে আলফি সোজা হয়ে বসে আছে। কাঁধে হাত রেখে বলে,
-“আলফি কী হলো যাবি না?”
আলফি নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে,
-“যাব!”
-“চল তাহলে,ব্যাক গুছা।”
আলফি চুপ করে ব্যাগ গুছাতে থাকে। বাহিরে গিয়ে এলেনের খবর নিতে চাইলেও আলফি শান্ত থাকে। এলেনকে জানাতে চায় না কিছু। এলেন দু তিনজন মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিল। আলফি দেখেও না দেখার ভাব ধরে এনাদের সাথে চলে যায় ক্যান্টিনে। ইয়ান আলফিকে নিতে আসে। ইয়ান গাড়ি থেকে বের হতেই এলেনের নজর ওর উপর পড়ে। ইয়ান এলেনকে দেখেছে। কিন্তু পাত্তা দেয় না। আলফি কোথায় আছে এটা জানে ইয়ান। ক্যান্টিনে এসে আলফির বন্ধুদের সাথে পরিচিত হয়। তারপর আলফি ইয়ানের সাথে কথা বলতে বলতে গাড়ির কাছে চলে আসে। এলেনের রাগ হয় আলফিকে অন্য একজন ছেলের সাথে দেখে। কিন্তু সেটা মনের মধ্যে পুষে রাখে।
আলফি চলে আসে বাসায়। ক্লাস রুমের কথা মনে পড়তেই রাগ,হাসি দুটোই পাচ্ছে আলফির। প্রথমে হাসতে হাসতে বিছানার শুয়ে পড়ে। আর তারপর এলেনের গালে কিস করার কথা ভাবে।
আলফি নিজে নিজে ব্ল্যাশিং হয়।
.
.
.
.
.
.
.
Continue To……