Gangstar In Love Part-10+11

0
3658

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part__10

🍁🍁.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম আইরাতকে দেখতে দেখতে আইরাতের পাশেই শুয়ে পড়লো এবং বলতে লাগলো….

আব্রাহাম; খুব খুব বেশি কাছে পেতে ইচ্ছে করে তোমাকে,, এতো কাছে যে তোমার আর আমার মধ্যে কোন দূরত্ব না থাকে।। পুরো পুরি আপন করে নিতে ইচ্ছে করে তোমাকে জানপাখি। কিন্তু আমি চাই আমাদের মাঝে যেন বৈর্ধ সম্পর্ক গড়ুক। আর সেই সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি ই গড়ে উঠবে জান শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। তখন তো আর পালাই পালাই করবে না। তোমাকে কোথাও পালাতে দিবো না আমার কাছ থেকে।

আব্রাহাম শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমের ঘোরে তলিয়ে গেলো।

সকালে🌞….
..
..
..
..
..
আইরাত ঘুম থেকে জেগে ওঠে। বিছানা থেকে উঠতে চাইলে সে পারে না তাকিয়ে দেখে আব্রাহাম তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আইরাত একবার ধাক্কা দিয়ে উঠতে চেয়েও দিলো না। সে আব্রাহাম দিকে তাকিয়ে থাকলো। একদম বাচ্চা লাগছে কেও দেখলে বলবেই না যে এই লোকটি এতো টা ভয়ংকর। আইরাত আব্রাহানের মাথায় হাত দিতে চেয়েও হাত আবার নামিয়ে নিলো। আইরাত দূরে সরে আসতে চাইলে আব্রাহাম তাকে আরো জোড়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আইরাতের বেশ অসস্তি লাগছে। আর কোন উপায় না পেয়ে আইরাত আব্রাহাম কে দিলো এক ধাক্কা। আব্রাহাম তো একদম চমকে উঠলো, উঠে দেখলো আইরাত তাকে ধাক্কা দিয়েছে। আব্রাহামের মেজাজ গেলো চটে।

আব্রাহাম; এই মেয়ে এই সমস্যা কি তোমার এভাবে ধাক্কা দিলে কেন?
আইরাত; আপনি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরেছেন কেন?
আব্রাহাম; ওই আমি জড়িয়ে ধরি না অন্য কিছু করি তাতে তোমার কি, অনেক বেশি সাহস হয়ে গিয়েছে তোমার তাই না (রেগে)
আইরাত; আমার ভালো লাগছিলো না তাই আর কি
আব্রাহাম; ভালো লাগলেও তুমি আমার,, আর আমাকে সহ্য করতে হবেই তোমাকে জানপাখি। Btw আমি শুধু এখানে রাত টুকু থাকতে এসেছিলাম কেননা তোমাকে ছাড়া থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এখন বের হবো কিছুক্ষণ পরে আবার আসবো কিন্তু তুমি, তুমি কোন রকম কোন ফালতু কাজ করবে না। কারণ তুমি জানো যে কিছু করেও লাভ নেই।

আইরাত; জানি না আবার নিজ বাড়ি থেকে পর্যন্ত তুলে এনে পড়েছে এই পাগল,, (মনে মনে)

আব্রাহাম; আমাকে পাগল-টাগল বলা হলে এবার ফ্রেশ হয়ে আসো Breakfast করে নাও

আইরাত; এখন কি মনে মনে কথা বলেও শান্তি নেই নাকি
আব্রাহাম; না, আমার কাছে তোমার কিছুই গোপন থাকবে না থাকতে পারে না বুঝলে। এবার যাবে নাকি আমি রেখে আসবো আর আমি যদি রেখে আসি তাহলে তুমি তা মোটেও পছন্দ করবে না
আইরাত; সবসময় হুমকি কেন দেন যাচ্ছি তো
আব্রাহাম; Good

আইরাত ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলো। নিচে গিয়ে দেখলো আব্রাহাম টেবিলের ওপর খাবার রাখছে।

আব্রাহাম; Baby girl এসে গেছো নাও নাও এবার তাড়াতাড়ি খেতে বসো।
আইরাত; খেতে ইচ্ছে করছে না
আব্রাহাম; কি বললে (আইরাতের দিকে তাকিয়ে দাত কটমট করতে করতে)
আইরাত; না মানে খাবো আমি খাবো আর কি

আইরাত খেতে বসলো,, অল্প কিছু খেয়ে চলে যেতে নিলো আব্রাহাম কে কিছু না বলেই

আব্রাহাম; এই কোথায় যাচ্ছো
আইরাত; ওপরে
আব্রাহাম; আমি কি তোমায় যেতে বলেছি
আইরাত; না মানে খাওয়া তো শেষ তাহলে আর থেকে কি করবো
আব্রাহাম; বেশি বুঝা বন্ধ করো তুমি। এদিকে এসো (ধমক দিয়ে)
আইরাত ধীরে ধীরে আব্রাহামের কাছে গেলো…

আব্রাহাম; খাইয়ে দাও আমায়
আইরাত; কিইই
আব্রাহাম; কানে কি বেশি শুনো নাকি, কথা মাথায় ঢুকে না,, খাইয়ে দিতে বলেছি আমায়
আইরাত; আপনি তো নিজেও হাত দিয়ে খেতে পারেন আমি কেন (আমতা আমতা করে)

আব্রাহাম; আমি যদি নিজেই খেতাম তাহলে তোমাকে আর বলতাম না। এবার পেচাল কম পারো আর খাইয়ে দাও তো আমাকে

আইরাত আর কিছু না বলে বাধ্য মেয়ের মতো খাইয়ে দিতে লাগলো আব্রাহামকে। মাঝে মাঝে আব্রাহাম ইচ্ছে করেই আইরাতের আংঙুলে কামোড় দিচ্ছে। আইরাত বিরক্তি নিয়ে আব্রাহাম কে খাইয়ে দিয়ে উঠলো। খাওয়া শেষ হলে আইরাত আর কিছু না বলে সোজা উপরে চলে গেলো।

আব্রাহাম রুবিনা কে বলে গেলো আইরাত কে দেখার জন্য। আব্রাহাম বাইরে বেড়িয়ে পড়লো। এবং চৌধুরী ভবনে (আব্রাহামের নিজ বাড়ি) এসে পড়লো।

আব্রাহাম বাড়িতে এসে দেখলো তার বাপি আর অয়ন বসে আছে।

আবির আহমেদ; কিরে কোথায় গিয়েছিলি তুই ঘুম থেকে জেগে ওঠে তো তোকে পেলাম না
আব্রাহাম; বাপি আসলে আমি একটু বাইরে গিয়েছিলান তোমরা তো ঘুমে ছিল তাই ডাকতে চাই নি।
অয়ন; আচ্ছা আয় খেয়ে নে এবার..
আব্রাহাম; এই না না আমার পেট ভরা আমি এখন খেতে পারবো না
অয়ন; কখন কি খেলি তুই
আব্রাহাম; আরে না এমনি
আবির আহমেদ; আচ্ছা যখন ইচ্ছা খেয়ে নিস
আব্রাহাম; হুমমম

আব্রাহাম ওপরে যেতে নিলে আবির আহমেদ আব্রাহামকে পিছন থেকে ডাক দেয়….

আবির আহমেদ; আব্রাহাম বাবা
আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি বালো
আবির আহমেদ; তোর সাথে কিছু কথা ছিলো আমার
আব্রাহাম; হুমম বলো না বাপি
আবির আহমেদ; বাবা তুই আর অয়ন তো চলে যাস কাজে আমি পড়ে থাকি বাড়িতে একা। আমার সময় কাটে না রে খুব বরিং লাগে,, আমি এই পরিবার টাকে তিন জন থেকে চার জনের করতে চাই। আমি এই পরিবার টাকে পূর্ণ করতে চাই বাবা। আমি কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছিস তুই!!
আব্রাহাম; বাপি,
অয়ন; হ্যাঁ ভাই, আমার ও একটা ভাবি চাই
আব্রাহাম; আহা তোমরা মিলে কি শুরু করলে বলো তো
অয়ন; বাপি ভাইকে ভালোভাবে বললে বুঝবে না কিছু করো
আবির আহমেদ; আব্রাহাম বিয়ে টা এবার করে নে না বাবা আর কতো এভাবে থাকবো আমি। আমার কি ইচ্ছে করে না যে আমার ও নাতি-নাতনি হবে আমি তাদের সাথে খেলবো বল না
আব্রাহাম; আচ্ছা আচ্ছা তোমরা থামো প্লিজ। ঠিক আছে আমি বিয়ে করবো
অয়ন; কিইইই ভাই সত্যি,, যাক অবশেষে তোর বিয়ে তো খাবো।

আব্রাহাম আর কিছুই না বলে ওপরে চলে যেতে লাগলো।

আবির আহমেদ; অয়ন, আমার আব্রাহাম হ্যাঁ বলেছে রে তাড়াতাড়ি পাত্রী দেখা শুরু করে দে

আব্রাহাম থেমে গেলো এবং আবির আহমেদ– অয়নের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো যে

আব্রাহাম; বাপি, পাত্রী রেডি আছে already
এই বলে আব্রাহাম চলে গেলো।

আবির আহমেদ–অয়ন একসাথে;; কিইইইইইইইইইই

অয়ন; বাপি আমি ঠিক শুনছি তো,, আমার বিশ্বাস হচ্ছে না মানে যে ছেলে কিনা মেয়ের দের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতো সে কিনা বলছে যে তার জন্য পাত্রী রেডি হয়ে আছে।। দেখেছো বাপি দেখেছো তোমার ছেলে ছুপা রুস্তাম বের হলো। তলে তলে কতো কি করে বেড়াচ্ছে।।।

আবির আহমেদ; আরে মেয়ে যে পছন্দ করেছে তাই অনেক। এখন শুধু ওর পেট থেকে বের করতে হবে যে কে সেই মেয়ে যার ওপর আমার ছেলে পাগল হয়ে গেছে।

আব্রাহাম রুমের এসে……

আব্রাহাম; কিভাবে আমি বলবো যে আমার পছন্দ করা মেয়ে আর কেও না বাপির ই ভাই আশরাফুল আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে। যাকে বাপি এখন ভাই না বরং শত্রুর চোখে দেখে তারই মেয়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছি আমি। এতো টাই ভালোবেসে ফেলেছি যে তাকে ছাড়া এখন আমি নিজেকে কল্পনাই করতে পারি না। কিভাবে বলবো আমি বাপিকে,

আব্রাহাম এইসব ভাবছিলো ঠিক তখনই আব্রাহামের ফোনে call আসে। আব্রাহাম ফোন রিসিভ করে …….

ওপর পাশ; স্যার, কাজ হয়ে গেছে।
আব্রাহাম; রাশেদের হাতে টাকা গুলো তুই পেয়ে যাবি।আর আমি আসছি

এই বলে আব্রাহাম ফোন কেটে দিলো। আব্রাহাম রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো।

আব্রাহাম; বাপি আমি অফিসে যাচ্ছি আসতে দেরি হবে
আবির আহমেদ; ঠিক আছে যা আর বাড়িতে এসে আগে আমার সাথে কথা বলবি কিছু দরকারি কথা আছে তোর সাথে
আব্রাহাম; আচ্ছা বাপি

আব্রাহাম বের হয়ে গেলো। আব্রাহাম তার মনিটর রুমে গেলো। গিয়ে সকল ক্যামেরা চেক করতে লাগলো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
In নীড় মহল……

আশরাফুল আহমেদ; আতিয়া কিছু হাল্কা খেয়ে নাও। তুমি এভাবে না খেয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পরবে পরে আয়ুশকে কে দেখবে বলো

আতিয়া আহমেদ; আমার মেয়ে কে এনে দাও তুমি আমি আর কিচ্ছু চাই না আমার আইরাত কে এনে দাও

আশরাফুল আহমেদ; তুমি চিন্তা করো না আইরাত ফিরে আসবে কিছু হবে না

আব্রাহাম এই সব কিছু ক্যামেরা তে দেখছে আর বাকা হাসছে। আব্রাহাম কিছু একটা ভাবলো তারপর অন্য একটা ফোন দিয়ে আশরাফুল আহমেদ কে ফোন দিলো

ফোনের স্ক্রিনে আননোন নাম্বার দেখে আশরাফুল আহমেদ কিছুটা ভ্রু কুচকালো। আশরাফুল আহমেদ ফোন রিসিভ করলেন

আশরাফুল আহমেদ; Hello
আব্রাহাম; আহহহ অনেক বছর পর এই চিরচেনা কন্ঠ টা শোনার ভাগ্য হলো।
আশরাফুল আহমেদ; কে কে বলছেন
আব্রাহাম; আপনার আপনজন তো ছিলাম ই কিন্তু আর কিছু দিন পরে আপনার মেয়ের জামাই এ পরিনত হবো
আশরাফুল আহমেদ; Whaaaaaattttttttt… এই এইই কে তুই আমার মেয়ে তোর কাছে। আমার মেয়ে কে কোথায় নিয়ে গিয়েছিস বল। আমার মেয়ের যদি একটা আচর ও এসেছে তাহলে আমি তোকে জানে মেরে ফেলবো

আব্রাহাম; আরে আরে আস্তে শশুড়।। তুমি তো দেখি আগেই মারামারিতে নেমে এসেছ। শুনো আমি বলি কি এতো চিল্লিয় না নইতো আগেই তুমি পরপারে চলে যাবে। যা আমি এতো তাড়াতাড়ি চাচ্ছি না। আর শুনো তোমার মেয়ের গায়ে আচর না শুধু তোমাকে একদম নানাভাই বানানোর কাজ করে আসবো বুঝলে

আশরাফুল আহমেদ; এইইইই হারামজাদা মুখ সামলিয়ে কথা বল তুই জানিস তুই কার সাথে কথা বলছি

আব্রাহাম; আওয়াজ নিচে। খুব ভালো করেই জানি আমি কার সাথে কথা বলছি, In fact আমার থেকে ভালো আর কেও তোকে চিনবেও না। একজন ধোকাবাজ, হত্যাকারী, বেইমানের সাথে কথা বলছি আমি যে নিজের বড়ো ভাই ভাবি কেও মারতে পিছপা হয় নি। তুই তোর মেয়ে না তুই এখন তোর চিন্তা কর কেননা তোর মেয়ে তো আমারই। আর তুই অযথা চিন্তা নিয়ে মরিস না কারণ তোকে আমি আমার নিজ হাতে মারবো।

আশরাফুল আহমেদ বড়ো ভাই-ভাবির কথা শুনে কিছুটা ভরকে গেলো এবং ভয় পেয়ে গেলো তবুও তিনি জোড়ে চিল্লিয়ে বললেন,,,,,

আশরাফুল আহমেদ; তোকে আমি একবার পাই কি যে করবো আমি তা নিজেও জানি না

আব্রাহাম; আমাকে যা করার তা পরে করিস আগে নিজের ব্যাবস্থা কর

আশরাফুল আহমেদ; মানে, কি বলতে চাচ্ছিস তুই (কিছুটা চিন্তিত হয়ে)

আব্রাহাম; নিউ মার্কেটে তোর যে অবৈধ ঔষধের ব্যাবসা আছে না সেই ব্যাবসার খুবই তাড়াতাড়ি ই ইন্না-লিল্লাহ হতে যাচ্ছে। (বাকা হেসে)

আশরাফুল আহমেদ; ককককি বববলতে চাচ্ছিস তুই

আব্রাহাম; আরে এতো তাড়াতাড়ি ভয় পেয়ে গেলি, এখনও তো কিছুই করলাম না তার আগেই এতো ভয়। শোন এখন আমি তোকে ঠিক ১০ মিন টাইম দিচ্ছি পারলে তোর অবৈধ কাজের ব্যাবসা কে বাচিয়ে দেখা

আশরাফুল আহমেদ; ননা এএএমন কিছুই হবে না, আমি থাকতে হতে দিবো না। আমি আসছি

আব্রাহাম; যা যা পারলে বাচিয়ে নে, ১০ মিন তোর হাতে রয়েছে।

আশরাফুল আহমেদ ফোন কেটে দিলো এবং দৌড়ে যেতে লাগলো তার গোডাউনে…..

আশরাফুল আহমেদ; আতিয়া তুমি আয়ুশের এবং নিজের দিকে খেয়াল রেখো আমি আসছি

আতিয়া আহমেদ; যাচ্ছো কোথায়? আর কার ফোন ছিলো?

আশরাফুল আহমেদ; দুলাল(ড্রাইভারের নাম) জলদি,, জলদি গাড়ি বের কর আর গোডাউনের দিকে যা…..

আশরাফুল আহমেদ আর কিছু না বলে দ্রুত বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো…..

অন্যদিকে আব্রাহাম ফোন রেখে পাগলের মতো হাসতে লাগলো

আব্রাহাম; এতো ট্রেইলার থা চাচাজান,,পিকচার আভি ভি বাকি হে। বরবাদি শুরুউউউউউ

আশরাফুল আহমেদ কিছুক্ষণ পর তার গোডাউনের সামনে চলে আসলো এবং গিয়ে দেখলো কিছুই হয় নি সব কিছুই ঠিক রয়েছে। তা দেখে আশরাফুল আহমেদ এক সস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। ঠিক সেই সময় ই আবার তার ফোনে call আসলো।

আব্রাহাম; হাহাহা কি ভয় পেয়ে গেলে বুঝি। আরে না আমি এতো টাও খারাপ না যে তোমাকে এতো টা টেনশন দিবো যদি তুমি মরে যাও তাহলে আমার কি হবে আমি কাকে মারবো বলো।

আশরাফুল আহমেদ; হারামি তুই যেই হোস না কেন তোকে আমি খুজে বের করে আনবোই। আমার সাথে যা করছিস তুই তা একদমই খারাপ করছিস। এর ফল তোকে ভোগ করতেই হবে,, করতেই হবে (চিল্লিয়ে)

আব্রাহাম; আমাকে পরে দেখে নিস আগে সামনে দিকে তাকিয়ে একটু সুন্দর দৃশ্য তো উপভোগ করে নে…..

আশরাফুল আহমেদ সামনে তাকালো আর সাথে সাথেই এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দে তার পুরো গোডাউন উড়ে গেলো। আশরাফুল আহমেদ ব্যাপক ভাব চমকে গেলেন এবং বেশ দূরে সরে গেলেন। তার চোখের সামনে তার পুরো কারখানা জলে পুরে ছাড়খার হয়ে গেলো। রাগে গজগজ করছে আশরাফুল আহমেদ। তার ফোন বেজে উঠলো তিনি তা ধরলেন,,,,,,

আব্রাহাম; হাহাহাহাহাহাহাহা,,,,,, কিরে কিছু মনে পড়লো, ঠিক এভাবেই একদিন এক হাসিখুশি পিরিবারকে জালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিলি তুই,, এবার তোর পালা।। এখন তো কেবল তোর গোডাউন উড়িয়েছি আস্তে আস্তে তোর সব কিছু উড়িয়ে দিব আর একদিন তোকেও। খুব তো মানুষ কে মেরেছিস আর ধ্বংস করেছিস এবার তুই নিজের চোখে নিজের বরবাদি দেখ। Get ready শশুড়মশাই

আব্রাহাম ফোন রেখে দিল। এবং ভাবতে লাগলো যে কে হতে পারে এই যে তার মেয়ের এবং তার পিছু পড়লো। আশরাফুল আহমেদ রেগে ফেটে পড়লেন। একসময় বাড়ি ফিরে গেলেন।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম;; এবার আমি আমার জানপাখির কাছে যাবো। চাচাজানের যে কাজ করে দিয়েছি মনে হয় না ২-৩ দিনের আগে তিনি এই shock থেকে বের হতে পারবেন।

এদিকে আইরাত বসে বসে ভাবছে যে এভাবে তো আর সারাদিন এক ঘরে বসে থাকা যায় না। আইরাত শেষে রুবিনা কে ডাক দিলো……..

আইরাত; রুবিনা, রুবিনা
রুবিনা; জি ম্যাম
আইরাত; আচ্ছা তুমি কি এই বাড়ির সব দিক ভালো করে চিনো?
রুবিনা; জি ম্যাম, কিন্তু কেন!
আইরাত; না মানে আমি না আসলে এখানে বসে বসে বরিং হচ্ছি খুব। তুমি কি আমাকে পুরো বাড়ি টা একবার ঘুড়িয়ে দেখাবে?!
রুবিনা; এই রে কি বলছে ম্যাম, আমি যদি এখন ম্যাম কে বাড়ি দেখাতে নিয়ে যাই আর ম্যাম যদি আবার পালিয়ে যায় তাহলে আব্রাহাম স্যার তো আমাকে পুরা কাচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবেন (মনে মনে)

আইরাত; আরে না না এতো ভাবার কিছুই নেই। আমি পালাবো না কারণ আমি এখন নিজেও জানি যে এখান থেকে পালিয়ে লাভ নেই। উনি আমাকে আকাশ পাতাল থেকেও ধরে আনবেন নিজের কাছে। তাই যেহেতু পালিয়ে লাভ নেই সেহেতু আর পালাবো ও না। এখন কি তুমি প্লিজ আমাকে নিয়ে যাবে

রুবিনা; Yeah ma’am sure.. আসুন

আইরাত আর রুবিনা চলে গেলো বাড়ি ঘুড়ে দেখতে।

এইদিকে আব্রাহাম গাড়িতে উঠে পড়লো এবং গাড়ি চালিয়ে যেতে লাগলো।
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম বাড়ির সামনে এসে পড়লো। গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে আসতে লাগলো। আব্রাহাম ওপরে যেতেই দেখলো আইরাতের রুমের দরজা খোলা। আব্রাহামের সাথে সাথে পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেলো। আব্রাহাম ভেবেছে আইরাত তাকে ফেলে রেখে আবার পালিয়ে গেছে।

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part__11

🍁🍁
.
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম ভেবেছে আইরাত তাকে ফেলে রেখে আবার পালিয়ে গেছে। আব্রাহাম আইরাতের নাম নিয়ে গর্জে উঠলো।

আব্রাহাম; আইরায়ায়ায়ায়ায়াত আইরায়ায়ায়ায়াত।
আবার, আবার আমাকে রেখে তুমি পালিয়ে গেছো। যতোই তোমাকে আমার কাছে আগলে রাখতে চাই ততোই তুমি আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাও। জীবনের সবকিছু হারিয়ে তোমাকে আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছিলাম আমি কিন্তু তুমি আর তা হতে দিলে না। বার বার আমাকে আঘাত করে চলে যাও। তোমাকে তো আমার কাছে আসতেই হবে

আব্রাহাম রেগে ঘরের জিনিসপত্র সব ভাংচুর করতে লাগলো। পাশে থাকা ফুলদানি টা তুলে সামনে থাকা বড়ো টেবিলে এক আছাড় দিলো,, ঝড়ঝড় করে টেবিল ভেংে গেলো। আব্রাহাম রাগে শুধু ফুসছে,, দুইহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে বিছানায় বসে পড়লো। আইরাত কে সামনে না পেয়ে আব্রাহাম যেন পুরো এক বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। আব্রাহাম কোন মতেই তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না। সে আবার উঠে ঘরের জিনিসপত্র ছুড়াছুড়ি করতে লাগলো।

আইরাত আর রুবিনা বাড়ির পিছনে বাগানে হাটছে। আইরাতের বেশ ভালো লাগছে জায়গাটা। অনেক খোলা-মেলা, বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ, সবুজ ঘাসে ঢাকা, আর কিছুটা সামনে ছোট পানির ঝরণা আর পাশেই একটা সুন্দর দোলনা ঠিক যেমনটা ছিলো আইরাতদের বাড়িতে। রুবিনা আর আইরাত কথা বলছিলো কিন্তু হঠাৎ উপর থেকে প্রচুর ভাংচুর এর আওয়াজ পেলো। আইরাত কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।

আইরাত; ওপরে এতো আওয়াজ কিশের,, কি হচ্ছে?

রুবিনা; ম্যাম,, ম্যাম আমার মনে হয় স্যার ফিরে এসেছে। আপনাকে তো বাইরে আসতে নিষেধ করেছিলো কিন্তু আপনি এসেছেন। ম্যাম, স্যার মনে হয় আপনাকে রুমের ভিতর না পেয়ে ভাংচুর করছে।

আইরাত; কিইইইই, এই লোকটা এমন পাগল কেন?

রুবিনা; ম্যাম, প্লিজ আপনি তাড়াতাড়ি উপরে যান

আইরাত আর কিছু না বলে দৌড়ে উপরে যেতে লাগলো।

আইরাত; হায় আল্লাহ, এনি তো মনে হচ্ছে সব শেষ করে ফেলবেন। আমি বাইরে এসেছি এখন আমাকে সামনে পেলে না জানি কি করে, আইরাত রে আজকে তুই শেষ

আইরাত ভয়ে ভয়ে উপরে যেতে লাগলো। আইরাত রুমের সামনে যেতেই থ হয়ে গেলো। রুমের সব কিছু তছনছ করা, যেন এখানে মাত্রই কোন ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেছে। আইরাতের সাহস হচ্ছে না রুমের ভিতরে যাওয়ার। কেননা আব্রাহাম সামনে কাচের জানালাতে এক হাত দিয়ে আর এক হাত পকেটে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে হাতে এক Gun ও আছে। ঝড় আসার আগে যেমন সব শান্ত থাকে কিন্তু পরে শুরু হয় ধ্বংসলীলা,, ঠিক তেমন। রুমের সবকিছু তো ধ্বংস হয়েই গেছে এখন আবার সব শান্ত মনে হয় আবার ঝড় আসবে। আর তা আব্রাহাম কে দেখে বেশ ভালোই বুঝা যাচ্ছে। আইরাতের ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে,, হাত-পা কাপছে। আইরাত যদি আগে যানতো যে মাত্র তার ঘরের বাইরে যাওয়াতে এমন একটা কিছু হয়ে যাবে তাহলে সে কোনদিন ও বাইরে পা দিতো না। এখন আইরাত কিভাবে কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। আইরাত ভাবছিলো কিন্তু ঠিক তখনই হুট করে আব্রাহাম পিছনে তাকালো। আইরাত এতো টাই ভয়ে ছিলো ছিলো যে আব্রাহামের রাগ আর চোখ দেখে দিলো এক চিৎকার।

আব্রাহাম ঝড়ের বেগে আইরাতের সামনে গেলো এবং আইরাতের মুখ চেপে ধরলো। আব্রাহাম এর মনে হচ্ছে যে এখন আগে আইরাত মারুক তারপর নিজে মরে যাক।

আব্রাহাম; তোর এতো সাহস হয় ক করে হে, তোকে বার বার বলে গিয়েছি আমি যে এই ঘর থেকে এক কদম ও বাইরে যাবি না। তার পরেও আমার কথার অবাধ্য হওয়ার সাহস কি করে হলো তোর বল (আইরাতের চুলের মুঠি ধরে রাগে চিল্লিয়ে)

আইরাত; আআআআমি ততো শুধু এএএকটু বাবাবাইরে গিয়েছিলাম। ঘঘঘরে দদম আটকে আসছিলো বববলে।

আব্রাহাম; কেন তুই বাইরে যাবি, কেন যাবি তুই। যদি তুই আবার পালিয়ে যেতি তখন তখন আমি কি করতাম। জানিস কতো টা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি তোকে না দেখতে পেয়ে। তোর খুব সাহস হয়ে গিয়েছে তোর এই সাহস আমি ঘুচিয়ে দেবো (আইরাতকে আরো জোড়ে চেপে ধরে)

আইরাত; আহহহ, প্লিপ্লিজ আমাকে ছাছাড়ুন আমি খুখুব বব্যাথা পাপাচ্ছি (আইরাত শেষ কান্নাই করে দিলো)

আব্রাহাম; ব্যাথা, ব্যাথা তো আমিও পেয়েছিলাম এই যে এইখানে (হাতে থাকা Gun দিয়ে বুকের বা পাশে দেখিয়ে)
তোকে সামনে না দেখতে পেয়ে ভেবেছিলাম আবার দূরে হারিয়ে গেছিস তুই আমার থেকে।

আইরাত তো লাগাতার কেদেই যাচ্ছে।

আব্রাহাম; তোর, তোর এই সাহস আমি একদম শেষ করে দিবো

এই বলেই আব্রাহাম আইরাতকে বিছানাতে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো। আইরাত তাল সামলাতে না পেয়ে বেশ জোড়েই পড়ে গেলো, যার ফলে হালকা ব্যাথা ও পেলো। আব্রাহাম পুরো পাগলের মতো কাজ করছে। আব্রাহাম তার এক হাত দিয়ে আইরাতের দুই হাত বেডের সাথে চেপে ধরলো। আব্রাহাম আইরাতের ওরনা গলা থেকে এক টানে ফেলে দিলো।

আইরাত; কককি করছেন আপনি, প্লিজ ছাড়ুন আমায় আমি ব্যাথা পাচ্ছি (কেদে কেদে)

কিন্তু কে শোনে কার কথা,, আব্রাহাম আইরাতের খুব কাছে এসে পড়লো। সে নেশা লাগানো দৃষ্টিতে আইরাতের দিকে তাকিয়ে আছে। আব্রাহাম নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না,, আইরাতের গলায় মুখ গুজে দিলো এবং কোমরে হাত দিয়ে চেপে ধরলো। আইরাতের পুরো শরীর যেন কেপে উঠলো। আইরাত আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আব্রাহাম আইরাতের ঠোঁট জোড়া আকড়ে ধরলো। আইরাতের চোখ তো বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আইরাত অনেক চেষ্টা করছে ছাড়া পাওয়ার জন্য কিন্তু আব্রাহামের মতো বডিবিল্ডার এর সাথে আইরাত কেন আইরাতের মতো আরো দশ জনও পেরে উঠবে না। আব্রাহাম যেন এক ঘোরের মধ্যে হারিয়ে গেছে, আশে পাশে কি হচ্ছে তাতে তার কোন খেয়াল নেই। সে আইরাতের নেশাতে মগ্ন রয়েছে। আইরাত অনেক ঠেলাঠেলি করছে আব্রাহাম কে দূরে সরানোর কিন্তু লাভ নেই। অবশেষে আইরাত সহ্য করতে না পেরে ঢুকরে কেদে উঠলো। আব্রাহাম এবার চোখ মেলে তাকালো এবং আইরাতের চোখে পানি দেখলো। আইরাতের চোখের পানি দেখে এবার যেন আব্রাহামের হুশ ফিরে আসলো,, আব্রাহাম সাথে সাথে আইরাত কে ছেড়ে দিলো। আইরাতের চোখ বেয়ে পানি পরছে। আইরাত ভাবতে পারছে না যে মাত্রই তার সাথে কি হয়ে গেলো,, আইরাত কোন রকমে বিছানাতে উঠে বসলো। আব্রাহাম নিচ থেকে ওরনা তুলে আইরাতের সামনে গেলো। আইরাতের সামনে বসে আব্রাহাম আইরাতের গলায় ওরনা জড়িয়ে দিতে দিতে বলল……………

আব্রাহাম; আশা করছি এর পর থেকে আমার কথার অবাধ্য হতে গেলে এই দিন টার কথা মনে করবে, হুমমম?! (আইরাতের ঠোঁটে স্লাইভ করতে করতে)

আইরাত আর কিছু বলল না এক ঝটকায় আব্রাহাম কে দূরে থেলে দিলো,, আইরাত পিছাতে লাগলো আর কাদতে কাদতে বলতে লাগলো….

আইরাত; আপনি কি ভেবেছেন আপনি এভাবে জোড় করলেই আমি আপনার কাছে থেকে যাবো না কখনোই না,, আমি আজ হোক কাল হোক আমি ঠিক একদিন পালিয়ে যাবো। আপনার এই অত্যাচার আমি আর মেনে নিতে পারছি না। প্রথমে আমাকে তুলে আনলেন তারপর আমাকে এভাবে আটকিয়ে রেখেছেন,, এতে লাভ কি হচ্ছে আপনার বলুন। আমি মুক্তি চাই,, আপনি কেন কেন আপনি আমার সাথে এমন করছেন, এতে কি পাচ্ছেন আপনি। আপনি একটা সাইকো, পাগল আপনি একটা। কোন অধিকার,, কোন অধিকারে আপনি আমার সাথে এমন করেন। আমার উপর অধিকার খাটাতে আসেন, কে হন আপনি আমার I hate you…..

আইরাতেএ কথা শুনে আব্রাহানের রাগ তো সাত আসমানে চলে গেলো। I hate you কথা টা যেন সোজা আব্রাহামের বুকে গিয়ে লাগলো। আব্রাহাম এবার আইরাত কে কিছু না করে Gun বের করে উপরে শুন্যে Shoot করে দিলো। আইরাত চমকে গিয়ে চিল্লিয়ে উঠলো।

আব্রাহাম; কে তাই না কে,, আমি কে হই তোর? তা খুব তাড়াতাড়ি ই জানতে পারবি যে আমি তোর কে হই। আর তখন তুই আমার থেকে দূরে কিভাবে পালাস তাই আমি দেখবো,, wait and watch

আব্রাহাম এই বলে Gun হাতে নিয়ে রেগে আগুন হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।

আইরাত; আমি আর পারছিনা এইসব নিতে,, পারছি না আমি।

আইরাত কান্না করতে লাগলো। কোন ভাবেই আইরাত তার কান্না থামাতে পারছে না। আব্রাহামের কাজে খুবই Hurt হয়েছে আইরাত। কান্না করতে করতে হিচকি উঠে গেছে আইরাতের।

আইরাত; পাপা, আম্মু কোথায় তোমরা, প্লিজ নিয়ে যাও না আমায় এখান থেকে আমি আর থাকতে পারছি না। খুব খারাপ লাগছে আমার তোমাদের কে খুব মিস করছি। আয়ুশের কথা মনে পরছে খুব।

আব্রাহাম রেগে মেগে বাইরে চলে এলো। এখন তার একটু একা থাকা দরকার। তাহলেই মাথা ঠিক হবে তার। আব্রাহাম গাড়ি নিয়ে দূরে এক ফাকা জাইগা তে এসে দাড়ালো। এটাকে সাধারনত Highway বলে। আব্রাহাম প্রায় ই আসা যাওয়া করে যখনই তার একা লাগে বা ভালো না লাগে। Highway এর পাশেই একটা ছোট নদী আছে। নদীরে পাশেই বসার জন্য কয়েকটা টেবিল রেয়েছে। আব্রাহাম গাড়ি থেকে নেমে এসে নদীরে পাশে গিয়ে বসে পড়লো। আব্রাহাম এর খুব খারাল লাগছে এখন, সে ভাবছে আইরাতের সাথে রাগের মাথায় যা করছে তা একদমই ঠিক করে নি। আইরাত এতে খুব কষ্ট পেয়েছে। আব্রাহাম তার মাথায় Gun দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। আর ভাবছে কি থেকে ক করে ফেললো রাগের মাথায়। কেন যে সে তার রাগটাকে সামলাতে পারে না,, অনেক চেষ্টা করেও সে পারে না।

আব্রাহাম; Sorry জান, I am really very very sorry.. আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। আমি তো এমন কিছু করতে চাই নি, তুমিই আমাকে বাধ্য করেছো, কে বলেছিলো তোমাকে রুমের বাইরে পা রাখার। আমি, আমি সত্যি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তোমাকে না পেয়ে। সবসময় তোমাকে হারানোর ভয়ে থাকি আমি। কিন্তু এখন আর না। তোমাকে সারাজীবন এর জন্য কিভাবে নিজের কাছে বন্ধি করে রাখতে পারি তারই ব্যাবস্থা করবো আমি। তোমাকে তো আমার হতেই হবে তাও খুব শীঘ্রই My Love…..

আব্রাহাম সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে এলো।।

আব্রাহাম; নাহ অনেক সময় ধরে আমার শশুড়মশাই কে দেখছি না,, একটু দেখতে হয়। কে জানে পাগল টাগল হয়ে গেলো না তো আবার

আব্রাহাম এই বলে মনিটর রুমে ঢুকে পোড়ল। আব্রাহাম দেখছে আশরাফুল আহমেদ মাথায় Ice beg দিয়ে বসে আছে। প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় তাকে তার বডিগার্ড রা দু পাশ দিয়ে বাতাস করছে। তা দেখে আব্রাহাম হাহাহা করে হেসে উঠলো।

আব্রাহাম; আরে চাচাজান Oops sry শশুড়মশাই এই টুকু তেই যদি তোমার এই দশা হয় তাহলে সামনে তোমার কি হবে ভাবতে পারছো। এর পরের কান্ড কারখানা দেখলে তো তোমায় Direct ICU তে যেতে হবে। (হাসতে হাসতে)

In নীড় মহল……….

আতিয়া আহমেদ; আচ্ছা তোমার হয়েছি কি বলো তো সেই কখন থেকে দেখছি এভাবে বসে আছো। আর তখন ওভাবে অস্থির হয়ে কোথায় বেরিয়ে গেলে। কি হলো কিছু বলছো না যে

আশরাফুল আহমেদ; কি বলবো, কি বলবো আমি আতিয়া। আমার সব শেষ সব। আমার ঔষধের কারখানা কে যেন জালিয়ে দিয়েছে। তখন এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আছে আমি ধরতেই ওপাশ থেকে বলে উঠে পারলে বাচিয়ে নে তোর কারখানা কে। কিছুই নেই আতিয়া

আতিয়া আহমেদ; কিহহহহহ,, কি বলছো কি তুমি কিভাবে কি হলো। প্রথমে তো মেয়ের চিন্তা আর এখন এই কান্ড। কি হচ্চে কি এসব, কে করছে

আশরাফুল আহমেদ; জানি না আতিয়া জানি না। আমিও তাই ভাবছি যে কার এতো সাহস হয়ে গেছে যে আমার ক্ষতি করে।

আতিয়া আহমেদ; দেখো, দেখো তুমি একদমই চিন্তা করো না। আমাদের অঢেল সম্পত্তি রয়েছে। সারাজীবন যদি বসেও খাই তবুও কম পড়বে না। তুমি চিন্তা করো না

আশরাফুল আহমেদ; না আতিয়া আমি তার জন্য চিন্তা করছি না চিন্তা করছি এমন কাজ কে করতে পারে আর কেনই বা করছে। কি চাই ও।
আচ্ছা তুমি এইসব বাদ দাও আমি সামলে নিবো। তুমি আয়ুশের খেয়াল রাখো।

আতিয়া আহমেদ; হুমম

আতিয়া আহমেদ ওপরের ঘরে চলে গেলো আর এই দিকে আশরাফুল আহমেদ সব কিছু ভাবছে যে কি থেকে কি হয়ে গেলো।

অন্যদিকে আব্রাহাম এই সব কিছুই ক্যামেরা তে দেখছে। একসময় আব্রাহাম মনিটর রুম থেকে বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে এসে রাশেদ কে ফোন দিলো।

আব্রাহাম; Hello রাশেদ…
রাশেদ; জি স্যার বলুন
আব্রাহাম; অফিসের কাজ কতোটুকু, আর আমার কি আসতে হবে?
রাশেদ; স্যার, কাজ বলতে গেলে শেষই। আর না স্যার আপনার আসতে হবে না আমি সব সামলিয়ে নিয়েছি।
আব্রাহাম; Good, রাখছি
রাশেদ; জি স্যার

আব্রাহাম ফোন কেটে দিলো। বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে লাগলো। বাড়ির সামনে গেলে বডিগার্ড রা গেট খুলে দিলো। গাড়ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো আব্রাহাম। আব্রাহামের ফোনে আমেরিকা থেকে একটা Important Call আসলো। আব্রাহাম কথা বলতে বলতে বাড়ির ভিতরে যাচ্ছে। ভিতরে গিয়ে আব্রাহাম দেখলো তার বাপি আর অয়ন একসাথে বসে দাবা খেলছে। আব্রাহাম তাদের দেখে মুচকি হেসে call কেটে দিয়ে এগিয়ে এলো।

আব্রাহাম; Hay guys, what’s up!
অয়ন; ভাই এসেছিস, দেখ না অনেক জোড়দার একটা খেলা হচ্ছে বাপি আর আমার মাঝে।
আব্রাহাম; হুমম তা তো দেখতেই পাচ্ছি
আবির আহমেদ; আব্রাহাম বল তো কে জিতবে অবশেষে?
অয়ন; ভাই😒

অয়ন আহত দৃষ্টি নিয়ে আব্রাহামের দিকে তাকালো। কেননা অয়নের বাপিই জিতবে যা তাদের খেলা দেখে ক্লিয়ার বুঝা যাচ্ছে। এটা নতুন কিছু না অয়ন কখনোই তার বাপির সাথে দাবা খেলা তে পেরে উঠে না ।
আব্রাহাম তবুও কিছুটা আমতা আমতা করে বলতে লাগলো।

আব্রাহাম; না আসলে বাপি দেখো বলে তো লাভ নেই কারণ উত্তর আমরা সবাই জানি। আর উত্তর হচ্ছে হামার প্রিয় গুনধর ভাই আজ ও আমার বাপির সাথে পেরে উঠবে না,, তাই না আমার Expert ভাই (অয়নকে পিঞ্চ করে)

অয়ন; ভাই, (এই বলে অয়ন আব্রাহামকে সোফার বালিশ দিয়ে মারতে লাগলো)

আব্রাহাম; আরে আরে মারছিস কেন, আমি কি করেছি সত্য কথার বলা জন্য বুঝি মার খেতে হয়

আবির আহমেদ; আরেএএ তোরা থাম।

অয়ন; আজ আমি দাবা খেলা পারি না বলে তোমরা দুই বাপ-বেটা মিলে আমাকে চেতাচ্ছো।

আব্রাহাম; আহারে বেচারা।

তারপর সবাই একসাথে হেসে উঠলো। এবার আব্রাহাম কিছুটা সিরিয়াস মুড নিয়ে তার বাপিকে বলে উঠলো………

আব্রাহাম; বাপি কিছু কথা ছিলো!
আবির আহমেদ; হে বাবা বল না
আব্রাহাম; বাবা একটা মেয়ে কে খুব ভালোবাসি,, এতো টাই ভালোবাসি যে তাকে ছাড়া হইতো আমি মরেই যাবো।
আবির আহমেদ; বাবা, আমি সবসময় আল্লাহর কাছে চেয়েছি যেন আমার দুই ছেলে খুশি থাকুক, ভালো থাকুক। আমি সব সময় চেয়েছি যে পৃথিবীর সকল খুশি তোদের দেয়ার। এখন তোরা বড় হয়েছিস, বুঝতে শিখেছিস, আমি জানি আমার ছেলেরা কখনও খারাপ কিছু করবে না। ভালো করবে পুরো বিশ্বাস আছে আমার তোদের ওপর। আর, আর তুই এখন যা শুনালি তাতে তো আমি পুরো অবাক যে আমার এই পাগল ছেলেটাও কারো প্রেমে পড়েছে, কাউকে ভালোবেসেছে। আরে এতো খুশির খবর (আব্রাহামের মাথায় হাত বুলিয়ে) নে এবার তাড়াতাড়ি বল দেখি তো যে আমার পুত্রবধূ টা কে, যে আমার ছেলেকে পাগল করে ছেড়েছে!!

আব্রাহাম; বাপি, ওর নাম নুজাইফা বিনতে আইরাত

আবির আহমেদ; মাশআল্লাহ অনেক সুন্দর নাম। তা মেয়ে কি করে কোথায় থাকে?

আব্রাহাম; ( মনে মনে,,বাপি আইরাতের নাম শুনে কিছুই বলল না যে, তাহলে কি বাপি আইরাত নিজের ভাই এর মেয়ে কে ভুলে গেলো)

আবির আহমেদ; কিরে বল

আব্রাহাম; ওহ বাপি। আব.. আসলে বাপি আইরাত এতিম খানায় থাকে ওর বাবা মা নেই কেউ (sorry বাপি মাফ করে দিও মিথ্যা বললাম তোমায়)

আবির আহমেদ; ওহহ আচ্ছা। তাহলে এক কাজ কর ওকে বাড়িতে নিয়ে এসে পড় আমরা ওর সব দায়িত্ব নিবো আর তুই তো ওকে ভালোবাসিস। বিয়ে দিয়ে দিবক তোদের।

আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি, আমি ওকে খুব তাড়াতাড়িই নিজের কাছে নিয়ে আসবো।

অয়ন; “আজক খুশির চাঁদ উঠেছে, আজকে খুশির বাধ ভেংেছে ওহহ বিয়ে হবে রে ওহহ বিয়ে হবে রে, আমার ভাই এর বিয়ে হবে রে” 📢📢📢

আবির আহমেদ-আব্রাহাম;; হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা।

অয়ন; যাক শেষে কিনা আমার ভাই এর বিয়ে হবে। আর তারপর আমার

আব্রাহাম; ওরে বাদর তোর আমার বিয়ে নিয়ে খুশি হচ্ছে নাকি তোর নিজের বিয়ের কথা চিন্তা করে কোনটা (অয়নের কান মলে)

অয়ন; আহ ভাই ছাড় লাগছে আমার

আব্রাহাম; বাপি আমি তোমাকে বলে দিচ্ছি এই বাদর টার বিয়ে তুমি ১০০ বছরেও দিবে না। দাড়া তোর বিয়ের করার সাধ মিটাচ্ছি আমি!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সবাই সব খুনশুটি শেষে খেয়ে দেয়ে যে যার ঘরে গিয়ে শুরে পড়লো
.
.
.
.
.
.
.
🌸🌼চলবে~~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে