#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””
#Writer; Tamanna Islam
#part__09
.
.
.
.
.
.
🍁🍁…..
আব্রাহাম; কেনো জানপাখি কেনো বুঝো না যে কতোটা ভালোবাসি তোমায় (আইরাতের গালে দুই হাত রেখে)
বাচতে পারবো না তোমাকে ছাড়া। একটু বুঝতে চেষ্টা করো। থেকে যাও না আমার কাছে, আমি জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছি অনেক কিছুই হারিয়েছি,, আর যতো টুকু পেয়েছি তা খুবই কষ্ট করে। তোমাকে হারাতে পারবো না প্লিজ জান আমাকে একা করে দিয়ে যেও না প্লিজ (আইরাতের মাথার সাথে মাথা ঠেকিয়ে)
আইরাত আর না পেরে এক ঝটকায় আব্রাহাম কে নিজের থেকে দূরে ঠেলে দিলো। এতে আব্রাহাম কিছুটা পিছিয়ে সরে গেলো।
আইরাত; আপনি কেনো বুঝেন না যে আমি ভালোবাসি না আপনাকে আমার ভয় হয় ভিষন ভয় হয় তাও আপনার কাছ থেকে, এতো মানুষ মারেন কখন না আমাকে মেরে ফেলেন, কেনো থাকবো আমি আপনার কাছে কেনো… আপনি কে হন আমার কোন অধিকারে আপনি আমার সাথে এমন করেন। আমি থাকতে চাই না আপনার কাছে।
আব্রাহাম বেশ রেগে গেলো। ঝট করেই আইরাতের দিকে চোখ তুলে তাকালো। আইরাত আব্রাহাম এর রাগ দেখে কাদো কাদো অবস্থা।
আব্রাহাম; ভুল করেছি আমি ভুল। তোমাকে ভালোভাবে বুঝানোই আমার ভুল। ওহহ সরি সরি আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে তুমি কার মেয়ে। মিঃ আশরাফুল আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে তুমি বাকা পথে তো চলবেই। সোজা কথা বুঝা তোমার আর তোমার বাবার পক্ষে সম্ভব না। আচ্ছা এখন যখন সোজা ভাবে বুঝলেই না তাহলে বাকা পথ ই Apply করে দেখি। আর অধিকার তাই না, অধিকার তো আমি আদায় করে নিবোই তুমি চাইলেও আর না চাইলেও আর তা খুব তাড়াতাড়ি ই।
এই বলে আব্রাহাম হন হন করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। আর আইরাত রাগ+কান্না দুটোই নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।
আইরাত; কি ভেবেছে তুলে আনলেই সব কিছু এতো সহজে মেনে নিব না কখনোই না।।। আমি মরে যাবো তবুও আপনাকে মেনে নিবো না।
কিছুক্ষন পর রুমে একটি মেয়ে প্রবেশ করলো হাতে তার একটি ট্রে, ট্রে তে কিছু খাবার।
আইরাত; তুমি রুবিনা তাইনা?
রুবিনা; জি ম্যাম। ম্যাম আমাকে স্যার পাঠিয়েছে আপনাকে খাওয়ানোর জন্য
আইরাত; খাবো না আমি খাবো না (অনেক রেগে)
যে এগুলো পাঠিয়েছে তাকেই গিয়ে খাওয়াও।
সাথে সাথে রুমে আব্রাহাম এলো, এবং পিছন থেকে বলতে লাগলো,,,,
আব্রাহাম; কেও যদি না খায় তাহলে খাওয়ানোর অন্য রাস্তা ও আমার জানা আছে, এখন বলছি কি যে ভালোভাবে খাবে নাকি আমি কিছু করবো?! (রাগি চোখে)
আইরাত; (এই ছেলের বিশ্বাস নেই, কখন যে কি করে বসে ঠিক নেই আর যে রাগ) আরে না না আপনি সবসময় এমন রেগে বলেন কেন, আআআমি খাবো তো। রুরুবিনা তুমি ট্রে টা রেখে যাও আমি পরে খেয়ে নিবো।
আব্রাহাম; রুবিনা তুমি ট্রে টা আমাকে দাও আর তুমি যাও আর এই যে ঘার ত্যাড়া (আইরাতের উদ্দেশ্যে) যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।
আইরাত আর কোন কথা না বলে ওয়াসরুমে চলে গেলো এবং ইচ্ছা মতো আব্রাহাম কে বকতে লাগলো। ৩০ মিন. এর উপরে হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আইরাতের বের হওয়ার নাম নেই। আর আব্রাহাম বসে থাকতে থাকতে রেগে গেলো।
আব্রাহাম; এই মেয়ে কি করছে এতোক্ষন, এতো দেরি করছে কেন, আবার উলটা পালটা কিছু করে বসলো না তো
আব্রাহাম ওয়াসরুমের দরজার সামনে গেলো গিয়ে আইরাত কে ডাকতে লাগলো,,
আব্রাহাম; Baby girl,, baby girl,,
………………………
আব্রাহাম; জানপাখি কি করছো তুমি এতোক্ষন সময় লাগে,,প্লিজ বের হও,,,
……………………..
আব্রাহাম; আইরাত,,আইরাত
ওপাশ থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আব্রাহাম বেশ চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলো
আব্রাহাম; আইরাত আমি শেষ বারের মতো বলছি এইবার যদি দরজা না খুলেছো তাহলে আমি কিন্তু দরজা ভেংে দিবো তাই বলছি Open the door….
……………………………………………..
আব্রাহামের এইবার বেশ রাগ চেপে বসলো। সে আর কিছু না বলে এক লাথি দিয়ে দরজা ভেংে ফেললো এবং যা দেখলো তাতে আব্রাহাম পুরোই বোকা বনে গেলো। আব্রাহাম দেখলো আইরাত বসে বসে পানি দিয়ে খেলছে।
আব্রাহাম; এই মেয়ে তুমি কি পাগল নাকি
আইরাত একবার আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে আবার পানি দিয়ে খেলতে শুরু করে দিলো
আব্রাহাম তো পারছে না আইরাত কে এক আছাড় দিতে।
আব্রাহাম; আইরাত এখনই যদি তুমি এই ঠান্ডা পানি থেকে না উঠেছো তাহলে আমি কি যে করবো আমি নিজেও জানি না।
আইরাত তবুও খেলেই যাচ্ছে। এবার আব্রাহাম আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না,, আইরাতের হাত ধরে এক টানে দাড় করিয়ে ঠাটিয়ে দিলো এক থাপ্পর।
আব্রাহামের থাপ্পর খেয়ে আইরাতের দুনিয়া যেন ঘুরে গেলো। আইরাত গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
আব্রাহামের তো আইরাতে কে থাপ্পর মেরে এখন নিজেরই খারাপ লাগছে। আব্রাহাম মাথায় হাত দিয়ে এক লম্বা নিঃশ্বাস ছাড়লো পরক্ষনেই আইরাত কে জড়িয়ে ধরলো….
আব্রাহাম; কেন একই কাজ বার বার করো বলোতো। যে কাজ গুলোতে আমি রেগে যাই সেগুলোই বার বার করো পরে আমি উলটা পালটা কিছু করে বসি। এখন যে এই ঠান্ডা পানি দিয়ে খেলছো পরে তো ঠান্ডা লেগে যাবে,,জর এসে যাবে এমন ছেলেমানুষী কেন যে করতে যাও।। আমি তো এমন করতে চাই না জানপাখি কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করো। জানোই যে তোমাকে নিয়ে কতোটা টেনশন করি আমি। কখন থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছিলাম খোলার নামই নেই, ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,, ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে তুমি আবার আমাকে ছেড়ে পালিয়ে গেলে না তো।
এই দিকে আইরাতের দম আটকে আসছে ছাড়ার চেষ্টা করেও লাভ নেই আব্রাহাম তাকে ছাড়বে না।
আইরাত; আমাকে ছাড়ুন, আমার কষ্ট হচ্ছে প্লিজ
আব্রাহাম আইরাতকে ছেড়ে দিলো। এবং টেনে বাইরে নিয়ে আসলো,
আইরাত; আহহ আপনি বার বার এভাবে আমাকে নিয়ে টানাটানি করেন কেন বলুন তো
আব্রাহাম; আমার ইচ্ছা আমি টেনেছি,, যা ইচ্ছা করবো তুমি বলার কে হুমমম?!
আইরাত; বারে, আমাকে নিয়েই টানবেন আর আমি কিছু বললেই দোষ
আব্রাহাম; এই চুপ একদম মুখ বন্ধ
এই বলেই আব্রাহাম আইরাতের মুখের সামনে খাবার ধরলো,, আইরাত কিছু বলতে যাবে তার আগেই আব্রাহাম বলে উঠলো…..
আব্রাহাম; এখন যদি বলেছো যে খাবো না তাহলে I Swear কিস সাথে আরো অনেক কিছু করে বসবো
আইরাত; এএএএইইইই নননা আআ আমি খাচ্ছি দিন দিন আমি খাবো
আব্রাহাম; Good baby girl…..
আব্রাহাম আইরাত কে খাইয়ে দিয়ে এসে পড়লো এবং তার সাথে আইরাতকে সুন্দর করে বুঝিয়েও দিয়ে আসলো যাতে পালানোর চেষ্টা একদমই না করে যাকে বলে থ্রেইট আর কি। আইরাত ও সুন্দর করে মাথা নাড়িয়ে হে বলে দিলো,, ভেজা বিড়াল।
আইরাত; আব্রাহাম শয়তানের বাচ্চা দেখে নিবো তোকে হাহ (মনে মনে)
আব্রাহাম বাইরে বের হয়ে সোজা মনিটর রুমে গেলো এবং গিয়ে দেখতে লাগলো কোথায় কি হচ্ছে,, কারণ আব্রাহাম আইরাতদের বাসায় মানে নীড় মহলের পুরোটাই ক্যামেরা ফিট করে দিয়ে এসেছে,, কোথায় কখন কে কি করছে তা সহজেই দেখতে পারবে আব্রাহাম। আব্রাহাম রকিং চেয়ারে বসে হাতে ব্লু কালারের একটা গ্লোব নিয়ে ঘুড়াতে থাকলো আর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকলো……
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
নীড় মহল……….
আইরাতের মা আতিয়া আহমেদ সেই কখন থেকে মেয়ের জন্য কেদেই যাচ্ছে। আশরাফুল আহমেদ কোমিশনারের সাথে রাগারাগি করছেন।
আশরাফুল আহমেদ; চেষ্টা করছেন মানে কি চেষ্টা করছেন আপনারা।।। আপনারা এতো জন মানুষ মিলেও আমার মেয়ের কিডনেপার কে ধরতে পারলেন না। আমার মেয়ে টাকে প্রথমে তুলে নিয়ে গেলো তখনও আপনারা কিছুই করেন নি। এখন আমার মেয়ে কে ওই হারামজাদা টা নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে আর এখনো আপনারা হাতে হাত রেখে বসে আছেন কি করছেন আপনারা। দেখুন আমি কিছুই জানি না আমি আমার মেয়ে কে সহি-সালামোত আমার সামনে চাই বেস (রেগে বোম হয়ে)
কমিশনার; দেখুন মি. আশরাফুল আহমেদ আপনি একদমই চিন্তা করবেন না। We will try our best দিন রাত এক করে দিবো আমরা আপনার মেয়ে কে খুজে আনতে আমাদের শুধু কিছুটা সময় দিন।
আশরাফুল আহমেদ; সময় সময় সময় আর কতো সময় দিবো আপনাদের কে বাড়িতে এতো গার্ড থাকা সর্তেও আমার মেয়ে কে নিয়ে গেলো। কমিশনার আমি আমার মেয়ে কে চাই নইতো এইটা মাথায় রাখবেন যে আপনার হাত থেকে আপনার চাকরি গেছে।
কমিশনার; ননা সস্যার এমন ভাবে বলবেন না,, আমরা যে করেই হোক আইরাত মামনি কে খুজে নিয়ে আসবো কোন চিন্তা করেবেন না আপনি,,,, এই তোমরা সবাই চলো (পুলিশদের উদ্দেশ্যে বলে)
কমিশনার এই বলে বেরিয়ে গেলো এবং আশরাফুল আহমেদ ধপ করে সোফাতে বসে পড়লেন
আতিয়া আহমেদ; ওগো তুমি এভাবে ভেংে পড়ো না ব্লাড প্রেশার বেরে যাবে যে তুমি শান্ত হও।
আশরাফুল আহমেদ; কিভাবে আতিয়া কিভাবে শান্ত হই। মেয়েকে দু-দুবার তুলে নিয়ে গেলো অথচ আমি বাবা হয়ে কিছুই করতে পারলাম না। (কেদে কেদে)
আতিয়া আহমেদ; তুমি দেখো আমাদের মেয়ের কিছুই হবে না ঠিক আমাদের কাছে চলে আসবে তুমি ধৌর্য্য ধরো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ওইদিকে আইরাতের বাবা-মা চিন্তায় মরে যাচ্ছে। আর এইদিকে আব্রাহাম পায়ের ওপর পা তুলে তাদের Camera তে দেখছে আর বাকা হাসছে
আব্রাহাম; কি ভেবেছো কি চাচাজান,,তোমার কালো অতীত এতো সহজেই তোমার পিছ ছাড়বে না না তা কি করে হয়,, কেননা আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী এখনো বেচে আছে। আর এই আব্রাহাম বেচে থাকার প্রথম কারণ হচ্ছে আইরাত তার জানপাখি আর সেকেন্ড হচ্ছে তোমার মি. আশরাফুল আহমেদ চৌধুরীর বরবাদি। তোমাকে বলেছিলাম না যে নিজের আপন কেও যখন নিজের থেকে দূরে চলে যায় তখন কেমন লাগে তা তোমাকে আমি হারে হারে বুঝাবো। নাও এখন বুঝো।
আইরাতের তার বাবা মা ভাইয়ের কথা অনেক মরে পড়ছে কানতে কানতে চোখের নিচে কালো দাক পড়ে গিয়েছে। একসময় আইরাত কানতে কানতে ঘুমিয়ে পড়লো।
আব্রাহাম এবার তার নিজ বাড়িতে গেলো,, যেখানে তার বাবা ভাই রয়েছে।
আব্রাহাম; বাপি বাপিইই
আবির আহমেদ; কিরে এই তোর আসার সময় তুই না বলেছিলি যে তোর এক রাত থাকতে হবে বাইরে কোন এক কাজের জন্য তাহলে তো আজকে সকালেই আসার কথা তুই ফিরে এলি রাতে বেপার কি?
আব্রাহাম; উফফ বাপি একটু কাজ বেশিই ছিলো তুমি তো দেখছি আমাকে পুরা CID এর মতো জিগ্যেস করছো… রাখো না এখন এইসব আচ্ছা বলো অয়ন কোথায়?
অয়ন; এইইইই যে আমি ভাই ( পিছন থেকে এসে)
আব্রাহাম; কিরে খবর কি তোর, অফিসে গিয়েছিলি?
অয়ন; হুমম ভাই গিয়েছিলাম তো আর সব ফাইল ও চেক করে এসেছি। বাট তুই আসতে এতো দেরি করলি যে
আব্রাহাম ; আরে ওইতো কাজের চাপ একটু বেশিই ছিলো
আবির আহমেদ; নে এবার চল খেয়ে তারাতারি সুয়ে পড় কাল তো আবার দুই ভাই কে কাজে যেতে হবে
অয়ন; হুমম বাপি আসছি,, চল ভাই
আব্রাহাম; তুই যা আমি একটু ওপর থেকে আসি
অয়ন; আচ্ছা
আব্রাহাম সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো এবং ফোনে কথা বলতে লাগলো..
আব্রাহাম; Is everything done?
……………….yes, sir
আব্রাহাম; Good, এখন শুধু কাল সকালের অপেক্ষা। তুই তোর বাকি টাকা কাল কের মধ্যেই পেয়ে যাবি
……………….Thank you sir
আব্রাহাম ফোন কেটে দিলো। ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসলো। তারপর আবির আহমেদ- অয়ন- আব্রাহাম একসাথে খেয়ে যে যার যার রুমে চলে গেলো।
আব্রাহাম ঘুমোতে চেয়েও পারছে না,, আইরাতের কথা বার বার মনে পড়ছে তার,, শেষে আর না পেরে আব্রাহাম কালো হুডি টা পড়ে বাড়ির পিছন দিয়ে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর আব্রাহাম একটি বাড়ির সামনে চলে এলো ধীর পায়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। আইরাতের রুমের দিকে এগুতে লাগলো। আব্রাহাম গিয়ে দেখে আইরাত বিছানার এক কোণ জোড়সোড় হয়ে শুয়ে আছে দেখতে একদমই বাচ্ছা লাগছে। বাইরের আলো ভিতরে হাল্কা এসে পড়েছে তাতে আইরাতের মুখখানা দেখতে মায়াবি লাগছে। আব্রাহাম তার পাশে এসে বসে পড়লো। আইরাতের গালগুলো হালকা হাতে ছুয়ে দিতে লাগলো….
আব্রাহাম; তোমার এই মায়াতে আমি আটকা পড়েছি। এক মৃত্যু বেতীত কেও আমাকে তোমার কাছ থেকে আর তোমাকে আমার কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না। আর শাস্তি তো আমি তোমার বাবা মানে চাচাজানকে দিতে এসেছি। তোমাকে তো ভালোবেসে আগলে রাখতে এসেছি। তুমি আমার আইরাত শুধুই আমার,, তুমি আব্রাহামের আইরাত আর আমি আইরাতের আব্রাহাম (আইরাতের কপালে কিস দিয়ে)
🍁চলবে~~~~