#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””
#Writer; Tamanna Islam
#part__ 06
“In নীড় মহল………………
আতিয়া আহমেদ; আইরাত, আইরাত। এই মেয়ের সাথে আমি আর পারি না। একে ঘুম থেকে তোলার জন্য আমাকে প্রতিদিন সকালে উঠে যুদ্ধ করতে হয়। এইইইইই আইরাত উঠ মা। কত্তো বেলা হয়ে গেছে খেয়াল আছে কিছু,, আজ কি কলেজে যাওয়ার ইচ্ছে নেই তোর তাড়াতাড়ি উঠে পর।
আইরাত; উফফফ মা চিল্লাচ্ছো কেন আর আবার শুরে হয়ে গেছে তোমার সেই ভাংগা রেকর্ড 🥱 (ঘুম থেকে উঠে হাই তুলতে তুলতে)
আতিয়া আহমেদ; কি আমি চিল্লাচ্ছি একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেছিস কটা বাজে😤
আইরাত; কটা আর বাজবে ৬/৭ হইতো
আতিয়া আহমেদ; জি না নবাবের বেটি, এখন বাজছে ৪ঃ২০ আর ঠিক ৯ টাই আপনার কলেজ আছে
আইরাত; কিইইইইইইইইইইই
আতিয়া আহমেদ; জিইইইইইইইইইইই
আইরাত; আম্মু এত্তো বেলা হয়ে গেছে তুমি আমাকে আরও আগে ডাকো নি কেন (বিছানা থেকে তাড়াতাড়ি করে উঠে)
আতিয়া আহমেদ; কি বললি আমি তোকে গতো ১ ঘন্টা যাবৎ ডেকে চলেছি কিন্তু তোর তো উঠার কোন নাম গন্ধই নেই
আইরাত; আচ্ছা হয়েছে তুমি নিচে গিয়ে Breakfast বানাও আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আসছি (এই বলে আইরাত ওয়াসরুমে চলে গেলো)
আতিয়া আহমেদ নিচে রান্নাঘরে গিয়ে সবার জন্য নাস্তা বানাতে লাগলো। আশরাফুল আহমেদ (আইরাতের বাবা) টেবিলে এসে পেপার পড়াতে মনোযোগ দিলেন। কিছুক্ষণ পরে আইরাত ফ্রেশ হয়ে একটা মিস্টি কালারের চূড়িদার পরে নিচে নেমে এলো।
আইরাত; পাপা, পাপা
আশরাফুল আহমেদ; Good morning মামনি
আইরাত; Very good morning পাপা, (জড়িয়ে ধরে)
আশরাফুল আহমেদ; তা ঘুম কেমন হলো?
আইরাত; অনেক ভালো পাপা
আশরাফুল আহমেদ; নে নে এবার তাড়াতাড়ি খাবার টেবিলে বস তোর মা নাস্তা আনছে।
আইরাত; না পাপা এখন আর খাবো না হাতে একদম সময় নেই
আতিয়া আহমেদ; ঘুম থেকে এত্তো বেলা করে উঠলে এমন ই হবে। হালকা কিছু খেয়ে যা ( রান্না ঘরে থেকে আসতে আসতে)
আইরাত; না আম্মু দেরি হয়ে যাবে খেতে গেলে, আর আমি এটা খেয়ে নিবো ( ফলের ঝুড়ি থেকে একটা আপেল হাতে নিয়ে)
ঠিক সেই সময় লাফাতে লাফাতে আয়ুশ (আইরাতের ভাই) এলো।
আয়ুশ; Good morning আপি
আইরাত; good morning সোনা
আশরাফুল আহমেদ; আচ্ছা দাড়া দাড়া তাহলে আমি ড্রাইভার কে বলে দিচ্ছি সে তোকে কলেজে নামিয়ে দিবে।
আইরাত; না বাবা আবনি আসবে ( আইরাতের Best friend) আমি ওর সাথেই চলে যাবো।
আতিয়া আহমেদ; আচ্ছা যা তাহলে সাবধানে যাস।
আইরাত; হুমম ঠিক আছে, আয়ুশ থাক (আয়ুশের মাথায় কিস দিয়ে) আম্মু-পাপা আমি যাই,, আল্লাহ হাফেয
আশরাফুলে আহমেদ; আল্লাহ হাফেয মামনি
এই বলে আইরাত সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো। বাইরে এসে আইরাত বারবার আবনি কে ফোন দিচ্ছে কিন্তু অবনি ফোন ধরছে না।
আইরাত; আল্লাহ এই মেয়ে কবে মানুষ হবে, কাজের সময়ই এই মেয়ে আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় না (রেগে বোম হয়ে)। এদিকে সব রিকশাওয়ালা রা কি বিয়ে করতে গেছে নাকি একটা কেও আজ দেখা যাচ্ছে না। বাবা বলল গাড়ি নিয়ে যেতে কেন যে নিয়ে এলাম না ধের ভালো লাগে না (বিরক্তি হয়ে)
এই বলে আইরাত সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু কিছু দূরে যেতেই কথা থেকে যেন একটা কালো গাড়ি এসে আইরাতের পথ আটকে ধরলো। গাড়ি থেকে কে যেন নেমে আইরাতের সামনে এসে দাড়ালো এবং কিছু একটা স্প্রে করলে আইরাত তৎক্ষনাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সে আর কেও না বরং আব্রাহাম ছিলো।
আব্রাহাম আইরাত কে গাড়িতে তুললো, সারা রাস্তা আব্রাহাম নেশা লাগানোর মতো আইরাতের দিকে তাকিয়ে ছিলো ,, তারপর আইরাত কে নিয়ে গিয়ে একটা বাংলোতে যায়।
আর তার পরের কাহিনি তো আপ্নারা জানেন ই
~~অতীত শেষ “”””””
বর্তমান——————–
আইরাতের পাশে সুয়ে পুরনো অতীত গুলো ভাবছিলো আব্রাহাম, আইরাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো আইরাত গভীর ঘুমে,, আব্রাহাম তাকে দেখে মুচকি হেসে উঠে গেলো,, Corridor এ গিয়ে দুইহাত ভাজ করে দাড়ালো আব্রাহাম,,,
তার কিছুক্ষণ পরে আইরাতের ঘুম ভেংে গেলো। আইরাত ধীরে ধীরে উঠে নিজের চারপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলো। কিন্তু না সে কোথায় আছে এখন তাকে যখন প্রথম তুলে আনা হয় তখন তো এই ঘর ছিলো না তাহলে এইটা এখন কোন ঘর। মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো আইরাত। এই রুমটি পুরো পুরি আলাদা কিন্তু রুমটি অনেক সুন্দর করে সাজানো। এবং আইরাত একটি গোল বিছানাতে রয়েছে।।পরক্ষনেই তার সব কিছু মনে পরে গেলো যে সে তো এখান থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু তা আর পাড়লো না আব্রাহাম তাকে আবার খুজে বের করে ধরে এনেছে তার কাছে,, আইরাত নিজের দিকে খেয়াল করে দেখলো তার শরীরের জায়গায় জায়গায় কামড়ের দাগ রয়েছে।। আইরাতের এখন ভীষণ কান্না পাচ্ছে।। তবুও নিজেকে সামলে নিলো,, আইরাত খেয়াল করলো তার গায়ে ওরনা নেই।। ঠিক সেই সময় আব্রাহাম রুমে আসলো এবং আইরাত কে দেখে বলতে লাগলো
আব্রাহাম; কি miss ঘুম ভাংলো?
আইরাত;………………….
আব্রাহাম; Baby girl!
আইরাত কিছু বলছে না সে তার ওরনা খুজছে। আব্রাহাম বেপার টা খেয়াল করে বলে উঠলো
আব্রাহাম; তোমাকে ওরনা ছাড়াই ভালো লাগে (বাকা হাসি)
আইরাত; অসভ্য (ওরনা পরতে পরতে)
আব্রাহাম; অসভ্য বলো আর যাই বলো আমি তোমার ই
আইরাত; আপনি কেন বুঝতেছেন না যে আমি আপনাকে ভালোবাসি না। এভাবে জোড়াজুড়ি করে আর জাই হোক কখনো ভালোবাসা হয় না। আপনি প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমি বাড়ি যাবো সবাই আমার জন্য চিন্তা করছে।
আব্রাহাম; ন্যাহ জান, আমি তো তোমাকে চলে যাওয়ার জন্য ধরে আনি নি। তুমি আমাকে ভালো বাস আর না ই বাস তাতে আমার কোন কিছুই যায় আসে না।। কেননা আমার ভালোবাসাই আমাদের দুইজনের জন্য যথেষ্ট। আর আমি তোমাকে আমার জন্য এনেছি,,আমার ভালো থাকার জন্য Bcz i need u badly আমার তোমাকে লাগবে যে করেক হোক যে ভাবেই হোক। তুমি আমার
আইরাত; টাকা,, টাকা তাইনা টালা লাগবে আপনার। আপনি টাকার লোভে এমন টা করেছেন তাই না। কতো ঠিক কতো টাকা লাগবে আপনার,, বলুন আমার বাবা আপনাকে সব দিবে তাও প্লিজ আপনি আমাকে যেতে দিন প্লিজ
আব্রাহাম; হাহাহাহাহা (জোড়ে জোড়ে হেসে)
আইরাত; এভাবে পাগলের মতো হাসার কি আছে
আব্রাহাম; Baby girl,, Like seriously….. আমি আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী টাকার জন্য তাও আবার তোমাকে তুলে আনবো হাহাহাহাহা,, হাসালে জান
আইরাত; আমাকে এখান থেকে যেতে দিন,, ভালোই ভালোই বলছি আমার বাবা একবার জানতে পারলে আপনাকে মেরে ফেলবে (রেগে গিয়ে)
আব্রাহাম; We shall see,, দেখা যাক কে কাকে মারে
আইরাত; মানে, কি বলতে চাচ্ছেন কি আপনি?
আব্রাহাম; তা তোমার ওই ছোট্ট মাথায় ঢুকবে না। বাদ দাও (মুখে অন্য দিকে ঘুরিয়ে)
আইরাত; আমি থাকবো না এখানে চলে যাবো আমি এখনই।
এই বলে আইরাত দরজার দিকে যেতে লাগলে আব্রাহাম খোপ করে আইরাতের হাত ধরে ফেলে। আইরাতের দুইহাত মুচরিয়ে পিছনে ধরে আইরাতকে নিজের সাথে একদম চেপে ধরে আব্রাহাম। আইরাত ব্যাথায় কুকড়িয়ে উঠে। আব্রাহাম আইরাতের মুখের কাছে মুখ এনে বলতে লাগে…….
আব্রাহাম; কোথায় যাচ্ছো জানেমান,, তুমি কি ভেবেছো এত সহজেই আমি তোমাকে এখান থেকে যেতে দিবো কখনোই না। এখানে এই আব্রাহামের হুকুম ছাড়া একটা পাতাও নড়ে না আর তুমি কি করে ভাবলে যে আমি তোমাকে ছেড়ে দেবো। (রেগে গিয়ে)
আইরাত ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে রয়েছে। আইরাত চোখ জোড়া খুলে আব্রাহামের দিকে তাকালো,, তাকিয়ে দেখলো আব্রাহাম রক্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে আইরাত ভয় পেয়ে গেল।। ভয়ে কয়েকটা শুকনো ঢোক ও গিললো। আব্রাহাম হাত জোড়া আরও শক্ত করে চেপে ধরলে আইরাত আবারও চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললো। এভাবে কিছুক্ষন থেকে আব্রাহাম আইরাতের হার ছেড়ে দিলো। এবার হুট করে আইরাত কে টাইটলি জড়িয়ে ধরলো এবং কানের কাছে বলতে লাগলো,,,,,,,,,
আব্রাহাম; কেন জান কেন রাগিয়ে দাও আমায় বার বার। আমি আমার রাগ সামলাতে পারি না। প্লিজ এমন আর কোর না। আমার থেকে দূরে যেও না প্লিজ জান।। আমি আমার জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি কিন্তু তোমাকে হারাতে পারবো না।।। কেননা তুমি আমার অস্তিত্ব তোমাকে হারালে আমি আমাকে হারিয়ে ফেলবো। জেন্ত লাশ হয়ে যাবো আমি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না।।।।
আইরাত বুঝতে পারলো যে আব্রাহাম কিছুটা ইমোশনাল হয়ে পড়েছে। আব্রাহাম আইরাতে কে ছাড়িয়ে বললো……….
আব্রাহাম; Baby girl তোমার অনেক খিদে পেয়েছে তাই না। আমি জানি তুমি খিদে কিছুতেই সহ্য করতে পারো না। আর সকাল থেকে তুমি কিছুই খাও নি।আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
এই বলে আব্রাহাম আইরাতের গালে টুক করে একটা কিস দিয়ে চলে গেলো। আইরাত অবাকের শেষ প্রান্তে।
যাওয়ার আগে আব্রাহাম আইরাতের রুমের দরজা পিছনে দিক দিয়ে লাগিয়ে রেখে গেলো
আইরাত আস্তে করে বিছানাতে বসে পড়লো এবং ভাবতে লাগলো যে কি থেকে কি হয়ে গেলো। কে এই লোক বার বার নিজেকে আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী বলে দাবি করছে। আইরাত তো এই লোক কে ভালোভাবে চিনেও না। তাহলে কেনই বা তাকে তুলে আনা হলো। কি চাই এই লোক। লোকট পুরোই পাগল কি সব অদ্ভুত অদ্ভুত আচরণ করে বেড়ায়। সব কিছু যেন আইরাতের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। আইরাতের বসে বসে এইসব ভাবছিল তখনই আব্রাহাম প্লেটে করে খাবার নিয়ে এলো।
আব্রাহাম; আমাকে নিয়ে ভাবা শেষ হলে এখন খেয়ে নিতে পারো
আইরাত; আপনি কিভাবে জানলেন?
আব্রাহাম; Come on baby girl তুমি আমার আর হবু বউ ও তাহলে আমি তোমার মনের কথা জানবো না
তো আর কে জানবে শুনি।
আইরাত; কিহহহহ মানে কিই,, কে কার হবু বউ এসব কি বলছেন আপনি? (অনেক অবাক হয়ে)
আব্রাহাম; তুমি আমার হবু বউ। এই আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর হবু বউ,,,
আইরাত; ককি যাত,,,,,,,,,,,,
আর কিছু বলতে পারলো না আইরাত আব্রাহাম আইরাতের ঠোঁটে আংগুল দিয়ে চুল করিয়ে দিলো।
আব্রাহাম; hussssssssss!! আর একটা কথাও না এবার খাবার টা খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি। আর যদি বেশি বক বক করেছো তো আমি মুখ বন্ধ করার অন্য রাস্তা অবলম্বন করবো।
আইরাত আব্রাহামের দিকে তাকালে আব্রাহাম টুক করে আইরাত কে চোখ টিপ মারে। আইরাত অবাক হয়ে যায় + খুব রেগে যায়।।
আব্রাহাম; Baby girl, হা করো (এই বলে আব্রাহাম আইরাতের সামনে খাবার ধরলো)
আইরাত………………
আব্রাহাম; হা করো জান
আইরাত; খাবো না আমি
আব্রাহাম; দেখো আমি বেশ ভালো করেই জানি যে তোমার অনেক খিদে পেয়েছে তো অযাথা Time waste না করে চুপচাপ খেয়ে নাও।। হা করো।
আইরাত; আমি বলছি তো খাব না
আব্রাহাম; (এবার আব্রাহাম আইরাতের হাতে কামড় দিলো আইরাত ব্যাথা পেয়ে চিল্লিয়ে উঠলো)
আইরাত; আম্মুউউউউউউউউউউউউউউউউউ
এই সুযোগে আব্রাহাম আইরাতের মুখে খাবার পুড়ে দিলো। আইরাত তো পুরাই বোকা বনে গেলো। আইরাত উমম উমম আওয়াজ করতে লাগলো। আব্রাহাম তা দেখে দিলে এক ধমক। আইরাত ভয় লেয়ে একদম চুপসে গেলো। তারপর খেতে লাগলো।
আব্রাহাম; Baby girl,, তুমি থাকো আমি একটু বাইরে যাচ্ছি ok একটু পরেই ফিরে আসবো। তুমি রেস্ট নাও।আর শুনো উল্টা-পাল্টা কোন কিছু করা তো দূর ভেবেও না তাহলে কপালে শনি আছে। অবশ্য চাইলেও তুমি এখান থেকে আমার permission ছাড়া বেড়তে পারবে না কেননা এখানে ১৫ জন Bodyguard পাহারা দিচ্ছে। নাই বাইরে থেকে কেও ভিতরে আসতে পারবে আর নাই ভিতর থেকে কেও বাইরে যেতে পারবে। So Don’t try to escape from here ok baby girl.. Love you😘 i”ll be back after sometime Bye…..
এই বলে আব্রাহাম চলে গেলো। আইরাত জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালো। এক মনে আকাশের দিকে দিকে তাকিয়ে আছে আইরাত আর চোখের পানি ফেলছে।। আম্মু- পাপা – আয়ুশের কথা খুব মনে পড়ছে আইরাতের না জানি তারা কেমন আছেন, কি করছেন।
অন্যদিকে নীড় মহলে…………………
আশরাফুল আহমেদ; আমার মেয়ে কে পাওয়া যাচ্ছে না মানে কি অফিসার। আমার মেয়ে সেই সকালে কলেজের জন্য বেড়িয়ে গেছে আর এখন বাজে রাত ৯ টা এখনো আমার মেয়ে বাসায় এলো না। কোথায় গেলো আমার মেয়ে আমি কিছু জানি না যে করেই হোক আমার মেয়েকে আমার সামনে আমি দেখতে চাই অফিসার।। আমি টাকা দিয়ে এই অপদার্থ গুলোকে পালছি।। অফিসার আমি আমার মেয়ে কে আমার সামনে চাই বেস। ( প্রচন্ড রেগে চোখ মুখ লাল করে)
আতিয়া আহমেদ; ওগো শুনছো আমি তো আবনি কে ফোন করেছিলাম আবনি বলল যে আইরাত নাকি আজকে কলেজেই যায় নি। ওর সাথে দেখাই হই নি।। আমি জানি না আমি কিচ্ছু জনি না তুমি আমার মেয়ে কে আমার কাছে এনে দাও যে করেই হোক এনে দাও ( আইরাতের মা কান্নায় ভেংেপড়ে)
আশরাফুল আহমেদ; আহা আতিয়া এভাবে ভেংে পড়লে কি চলবে শক্ত হও। ধৈর্য্য ধরো আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের মেয়ে কে আমাদের সামনে পাবো। তুমি শান্ত হও আতিয়া।
আয়ুশ; পাপা পাপা,, আপি কোথায় চলে গেছে আমাদের ছেড়ে।।
আশরাফুল আহমেদ; না বাবা তোমার আপি কোথাও জাই নি,, তোমার আপি তাড়াতাড়িই ফিরে আসবে আমাদের কাছে।
আইরাতের পুরো পরিবার আইরাতের চিন্তায় মগ্ন। আর অন্য দিকে আইরাতের কান্না করতে করতে নাজেহাল অবস্থা।
🍁চলবে~~~~~~