# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ৪র্থ
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো। দেখি অপরিচিত নাম্বার। আমি রিসিভ করলাম। রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠে বললোঃ আসসালামুয়ালাইকুম।
আমিঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। কে আপনি?
মেয়েটি বললঃ চিনতে পারোনি?
আমিঃ না চিনতে পারিনি। কে আপনি নাম বলুন?
মেয়েটিঃ আজকে কাকে ফোন নাম্বার দিয়েছিলে।
আমি একটু রেগেই বললামঃ কই কাউকে দেইনি তো। আর পরিচয় না দিলে ফোন কাটলাম।
মেয়েটিঃ আরে রেগে যাচ্ছো কেন? আমি সামিয়া।
সামিয়ার কথা শুনে আমি শুয়া থেকে ধড়ফড় উঠে বসলাম।
আমিঃ ওহহ সামিয়া। আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
সামিয়াঃ ঠিক আছে সমস্যা নেই।
আমিঃ হুমমম। তো দিয়েছো কী জন্য? কোনো দরকার নাকি?
সামিয়াঃ না তেমন কিছু না। আমি ফোন দেওয়ায় তোমার অসুবিধা হলো নাকি।
আমিঃ আরে না অসুবিধা হতে যাবেন কেন?
( তোমার কথাই তো ভাবতে ছিলাম গো,,,। মনে মনে)
সামিয়াঃ আমি আবার ভাবলাম, আমি ফোন দেওয়ায় তোমার জিএফ এর সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে বুঝি।
আমিঃ কিযে বলো না। আমার কোনো জিএফ নেই।
সামিয়াঃ সত্যি। ( খুশি হয়ে)
আমিঃ হুমম। কিন্তু তোমার এতো খুশি হওয়ার কারণ কি?( অবাক হয়ে)
সামিয়াঃ সেটা তুমি বুঝবে না। আর শুনো আজকে বিকালে ফ্রি আছো।
আমিঃ হ্যাঁ কেন?
সামিয়াঃ তোমার সাথে ঘুরতে যাবো তাই।
সামিয়ার কথা শুনে তো আমার লুঙ্গি ড্যান্স দেওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু নিজের আনন্দ টাকে চাপা রেখে বললামঃ কিহহ তুমি আমার সাথে ঘুরতে যাবে মানে? আমার সঙ্গে তো তোমার তেমন পরিচয়ই নেয়।
সামিয়াঃ আমি এই শহরে নতুন এসেছি তাই ঘুরতে বের হবো। আর সেটাও তোমার সাথে,,, ব্যাসসস । তুমি পরিচিত হও আর অপরিচিত হও। বিকালে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে এটাই ফাইনাল। বুঝেছো?
আমিঃ ঠিক আছে মহারানী।
সামিয়াঃ এই এই তুমি আমাকে মহারানী বললে কেন? মহারানি তো বিএফ তার জিএফ কে আদর করে বলে।
আমিঃ সরি ভুল হয়ে গেছে।
সামিয়াঃ হুঁ।
আমিঃ তোমাকে আমার জিএফ করতে কতক্ষন। ( বিরবির করে)
সামিয়াঃ এই কিছু বললে?
আমিঃ কই ন না। ( ভয় পেয়ে। এই মেয়ে আবার শুনতে পেলো নাকি।)
সামিয়াঃ ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে থাকবো তুমি আমার বাসায় সামনে এসে ফোন দিবো।
আমিঃ আমি তো তোমার বাসা চিনি না।
সামিয়াঃ আমার বাসার ঠিকানা তোমার ফোনে এসএমএস করে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
আমিঃ ওকে।
ফোন রেখে ভাবতে লাগলাম সামিয়াও কী প্রথম দেখায় আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর তা না হলে আমার জিএফ না থাকার কথা শুনে এমন বিহেভ করলো কেন? না এখন এসব ভেবে লাভ নেই। ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি সাড়ে চারটা। দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আম্মুর কাছে যায়ে বললামঃ আম্মু আমি একটু ঘুরতে বের হচ্ছি।
আম্মুঃ ঠিক আছে তাড়াতাড়ি এসো।
আমিঃ ঠিক আছে।
আম্মুর রুম থেকে বের হতেই সাফিয়া এসে বললোঃ ভাইয়া কোথায় যাবে?
আমিঃ একটু বাইরে যাচ্ছি। তোর কিছু লাগবে?
সাফিয়া কিছুক্ষণ ভেবে বললোঃ উমমম চকলেট আর ফুচকা নিয়ে এসো।
আমিঃ কিহহ তুই কি এখনো ছোট বাচ্চা হয়ে আছিস? এই বয়সে কেউ চকলেট খায়।( হাসতে হাসতে)
সাফিয়াঃ তুমি আনবে কিনা বল?
আমিঃ ঠিক আছে আমার একমাত্র বোন যখন নিয়ে আসতে বলেছে তা আর না নিয়ে আসে পারি?
সাফিয়াঃ হুঁ,, তাড়াতাড়ি আসবে?
আমিঃ আচ্ছা।
এরপরে আমি বাইক নিয়ে বের হলাম সামিয়ার দেওয়া ঠিকানাই মানে সামিয়ার বাসায়। আমার বাসা থেকে সামিয়ার বাসা বেশ দূরেই। প্রায় পঁচিশ মিনিট বাইক চালানোর পর সামিয়ার বাসার সামনে এসে পৌঁছলাম।
বাইকে বসে থেকেই সামিয়ার কাছে ফোন দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসতে বললাম।
একটু পর সামিয়া ওর বাসা থেকে বের হয়ে আসলো। আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে তো আবার ক্রাশ খেলাম। কি আছে এই মেয়েটার প্রতি যা বার বার আমাকে তার প্রতি আকর্ষিত করে। নীল কালারের শাড়ি, ঠোঁটে গোলাপী লিপস্টিক আর হালকা মেকাপে যা লাগতেছে বলে বুঝাতে পারবো না।
সামিয়া আমার সামনে এসে তুড়ি মেরে বললোঃ এই যে মিস্টার কি দেখো এমন হা করে।
আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বললামঃ তোমাকে দেখতেছি। মন চাচ্ছে সারাজীবন এভাবে তাকিয়ে থাকি।
সামিয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললোঃ তাই।
আমিঃ হুম। বাইকে উঠো।
এরপরে সামিয়া আমার বাইকে উঠলো। আর আমি ওকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। সামিয়ার বাসা থেকে খানিকটা দূরে যাওয়ার পরে বাইকের গতি বাড়িয়ে দিলাম। বাইকের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামিয়া আমার কাঁধে হাত রেখে জড়িয়ে ধরলো। আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতেছি। কারণ, সামিয়াই আমার জীবনে প্রথম মেয়ে যে, আমার বাইকে এতো ঘনিষ্ঠ ভাবে বসে আছে। আমি সামিয়া কে নিয়ে একটা পার্কে আসলাম। বাইক থেকে নেমে ওকে নিয়ে একটা গাছের নিচে বসলাম।
দুজনে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। এরপরে আমি সামিয়া কে নিয়ে কিছু জায়গায় ঘোরাফেরা করে দুইজনে নিয়ে ফুচকা খাইয়ে ওকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে বাসায় আসলাম।
বাসায় আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। বাসায় যায়ে সাফিয়া কে ওর ফুচকা আর চকলেট দিয়ে রুমে আসলাম। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে স্টাডি করতে বসলাম। এরপরে ডিনার করে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম। বন্ধুদের কাছে যায়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লাসে আসলাম। কিন্তু সামিয়া এখনো আসলো না। ফোন দিলাম কিন্তু রিসিভ করলো না। আমাকে মনে করে থাকতে দেখে মিতু বললঃ
দোস মন খারাপ করিস না ভাবী একটু পরে চলে আসবে।
আমিঃ হুমমম। ( মন খারাপ করে)
মিতুঃ আচ্ছা তুই কি সামিয়াকে তোর ভালোবাসার কথা বলেছিস?
আমিঃ না এখনো বলিনি। তবে ভাবতেছি কয়েক দিন পর বলবো।
মিতুঃ ঠিক আছে। কিন্তু বেশি দেরি করিস না নইলে পাখি ফূরুৎ করে উড়াল দিবে। ( হাসতে হাসতে)
আমি মুচকি হেঁসে বললামঃ হুমম তুই ঠিক বলেছিস।
আমরা কথা বলতে বলতেই সামিয়া ক্লাসে ঢুকলো। ঢুকে সোজায় আমার পাশে এসে বসলো। এতে ক্লাসের স্টুডেন্টরা কিছুটা অবাক হলো। কারণ আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ে আমার পাশে বসে নি।
সামিয়া আমার পাশে বসতেই আমি সামিয়া কে বললামঃ আসতে এতো দেরি হলো কেন?
সামিয়াঃ রাস্তায় রিকশা পাচ্ছিলাম না তাই।
আমিঃ ওহহহ। কিন্তু আমার ফোনটা তো রিসিভ করবে। জানো তোমার জন্য আমার কত চিন্তা হচ্ছিলো।
সামিয়া মুচকি হেসে বললঃ কেন কেন আমার জন্য তোমার এতো চিন্তা কিসের?
আমিও প্রতি উত্তরে একটা মুচকি হেঁসে বললামঃ সেটা তুমি এখন বুঝবে না। তবে সময় হলেই বুঝবে।
সামিয়াঃ তাই ,,,,,?
আমিঃ হ্যাঁ।
এরপরে ক্লাসে স্যার আসলেন। একে একে সব ক্লাস করলাম। ক্লাস শেষ করে আমি, সামিয়া, ইকবাল, মিতু, নিলা, রিয়াদ আর শাকিব এই কয়জন ক্যান্টিনে গেলাম। আজকে আমিই ওদেরকে খাওয়ালাম।
ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে আমি সামিয়া কে একটা রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে ওর বাসায় পাঠিয়ে দিলাম। আর হ্যাঁ বাসা সামিয়ার বাসা থেকে বিপরীত দিকে।
আমিও বন্ধুদেরকে বলে বাইক নিয়ে বাসায় আসলাম।
এইভাবে কেটে গেল এক মাস। আর এই এক মাস সামিয়া আর আমি অনেকটা ক্লোজ হয়ে গেছি। সে আমার অনেক কেয়ার করতে লাগলো। সামিয়া মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় আসে। আমার আব্বু আম্মু জানে আমরা ফ্রেন্ড। তবে আমি এখনো সামিয়া কে আমার ভালোবাসার কথা বলিনি।
আজকেও মহারানী সরি এখন তো মহারানী বলা যাবে না ??? মানে সামিয়া বায়না ধরেছে আজকে বিকালে ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি সামিয়ার ৫০+ মিসড কল। হায় আল্লাহ আজকে কপালে খারাপ কিছু আছে। কারণ যেই কদিন ঘুরতে যাওয়ার সময় সামিয়া আমাকে ফোনে না পেয়েছে সেই ক’দিন সামিয়া সোজায় আমার বাসায় চলে এসেছে।
তাড়াতাড়ি করে নিচে এসে দেখি আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ম্যাম সোফায় বসে থেকে আম্মু আর সাফিয়ার সাথে গল্প করতেছে।
আমাকে দেখেই দাঁড়িয়ে গেল।এরপরে আমি আম্মু কে বলে সামিয়া কে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। বাইক নিয়ে আসলাম আব্দুল জলিল শিশু পার্কে [ হামাকে নওগাঁর ঐতিহ্য ????]। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পরে সামিয়া কে নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় বসলাম।
আমি সামিয়া কে জিজ্ঞাসা করলামঃ সামিয়া তোমার কি বিএফ আছে?
সামিয়াঃ না নাই। তবে একজন কে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।
সামিয়ার কথাটা শুনে আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল। ভালোবাসার কথাটা না বলতেই আমি দেবদাস হয়ে গেলাম। তাহলে সামিয়া এতো দিন আমার এতো কেয়ার করলো কেন? আমি মনে খারাপ করে মাথা নিচু করে বসে আছি।
সামিয়া আমার এমন অবস্থা দেখে মুচকি হেসে বললঃ কী হলো তোমার মুখ অফ হয়ে গেল কেন?
আমিঃ না আমি ঠিক আছি।( অন্য দিকে তাকিয়ে)
সামিয়া বসা থেকে উঠে আমার সামনে এসে আমার হাত ধরে বললোঃ সাহিদ তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
সামিয়ার কথা শুনে হকচকিয়ে গেলাম। আমি সামিয়ার চোখে চোখ রেখে বললামঃ তুমি কি কিছুই বুঝতে পারো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না।
সামিয়াঃ না বললে কী করে বুঝবো বলো।
আমি সামিয়ার হাত দুটি শক্ত করে ধরে বললামঃ হ্যাঁ সামিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমার ভালোলাগে। আর এখনো সেটা ভালবাসায় পরিনত হয়ে গেছে।
সামিয়াঃ তাহলে আমাকে আগে বলো নি কেন?
আমি অন্য দিকে তাকিয়ে বললামঃ ভয় করতাম যদি তুমি আমাকে ভুল বুঝে ছেড়ে চলে যেতে তাহলে হয়তো আমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতাম। এতোটাই ভালোবেসে ছিলাম তোমাকে। কিন্তু আজ তোমাকে আমার সেই জমানো কথা গুলো না বলার জন্য আজ তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেতে হচ্ছে।
সামিয়া অবাক হয়ে বললোঃ কেন?
আমিঃ এইতো আমার মনের কথা গুলো তোমাকে না বলার জন্যে আজ তুমি তোমার মনে অন্য কারো জন্য বাসা বেধেছো। আগেই যদি তোমাকে আমার ভালোবাসার কথা বলতাম তাহলে হয়তোবা এই কষ্ট টা আমাকে পেতে হতো না।( কথা গুলো বলতে আমার চোখের কোণায় পানি চলে আসলো)
সামিয়া তার আঙ্গুল দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললামঃ
এই পাগল আমি আমার মনে কার জন্য বাসা বেধেছি জানো। যার জন্য আমি আমার মনে বাসা বেঁধেছি সে আর কেউ নয়রে পাগল সেটা তুমিই। তোমাকেও আমি প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি। আর তোমাকে ভালো না বাসলে তোমার এতো কেয়ার, তোমাকে সাথে এতো ঘোরাফেরা করতাম বলো।
সামিয়ার কথা শুনে অবাকের উপর অবাক হয়ে গেলাম। আমি সামিয়া কে জড়িয়ে ধরে বললামঃ তাহলে তুমি আমাকে বলো নি কেন? জানো কতো কষ্ট পেয়েছি।
সামিয়াঃ তাই।
আমিঃ হ্যাঁ মহারানী। তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
সামিয়াঃ না মহারাজ কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবো না।
আমিঃ ছেড়ে গেলে কিন্তু আমি বাঁচবো না।
সামিয়া আমার কথা শুনে আমার মুখে হাত দিয়ে বললোঃ আর কখনো মরার কথা বলবে না। আর আমি তোমাকে কখনই ছেড়ে যাবো না।
বলেই আমার কপালে একটা চুমু দিল।
এরপরে খুশি মনে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে সামিয়াকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেলাম। নামিয়ে দেওয়ার পর সামিয়া আমাকে ওর বাসায় যেতে বললো কিন্তু আমি গেলাম না।
বাসায় এসে আম্মু আব্বু আর সাফিয়ার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে আসলাম।
এরপরে ডিনার করে ছাদে যায়ে সামিয়ার সাথে ফোনে কিছুক্ষণ কথা বলে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজে গেলাম। ক্লাস করে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ওদেরকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। আমি ওদেরকে ইচ্ছে মতো খাইতে বললাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে বন্ধুরা আমাকে জিজ্ঞেস করলো কিসের জন্য আমি ওদের কে ট্রিট দিচ্ছি। এরপরে আমি ওদেরকে আমার আর সামিয়ার সব কাহিনী বললাম।
সামিয়া মাথা নিচু করে বসে আছে।
এরপরে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে গোসল করে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
লেখা পড়া করে, আড্ডা দিয়ে, সামিয়াকে নিয়ে ঘোরাফেরা করে কাটিয়ে গেল একবছর। সামিয়া আর আমার ভালোবাসা আগের থেকে অনেক জোরালো হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে সামিয়া আমাকে সন্দেহ করে। আর আমি যদি মেয়েদের সাথে মানে বন্ধুদের কথা বলি তাহলে আমার সাথে ঠিক মতো কথা বলে না। আমিও তেমন কিছু মনে করি না। হয়তো ভালোবাসাটা বেশি হওয়ার জন্য এমন করে বা আমার প্রতি এখনো পূর্ণ বিশ্বাস জন্মে নি তাই এমন করে। পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যাবে।
আর কয়েকদিন পর আমাদের ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা। এখন লেখাপড়ায় একটু বেশিই সময় দিতে হচ্ছে। যার ফলে সামিয়া কে বেশি সময় দিতে পারি না।
পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল। পরিক্ষার মধ্যে সামিয়া কে নিয়ে তেমন ঘোরাফেরা করা হয়নি। শুধু কথা হয়।
আজকে পরিক্ষা শেষ হলো। আল্লাহর রহমতে ভালোভাবেই পরিক্ষা দিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে,,,,,,
( চলবে)
??? কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ????