Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ১০
.
বাসায় ঢুকে জান্নাত কে৷ কিছু চকলেট দিয়ে আমার রুমে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে ছাদে চলে গেলাম। এক কাপ কপি নিয়ে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতেছি। আর ভাবতেছি কত বছর নিজের পরিবার থেকে দূরে।
অপরদিকে শিমলা জান্নাত কে ফোন দিল–
শিমলা- জান্নাত কেমন আছ?
জান্নাত- হুম আপু ভালো। তুমি??
শিমলা- হুম ভালো। তোমার ভাইয়া কোথায়??
জান্নাত- ছাদে বসে আছে।(আমাকে ফোন দেবার আসল কারন তাহলে এটা)
শিমলা- অহ। তোমার ভাইয়া কি কারো সাথে প্রেম ভালোবাসা করে নাকি??
জান্নাত- না আপু(হাহাহা)
শিমলা- ওহ। (আমার রাস্তা তো ফাকা)
জান্নাত- আপু একটা কথা বলব?
শিমলা- হুম বল।
জান্নাত- আপু তুমি কি ভাইয়াকে লাভ কর???
শিমলা- কিছুক্ষণ পরে। হুম??
জান্নাত- তাই তো ভাবি এত ভাইয়া ভাইয়া কেন কর…
শিমলা- হুম। তোমার পড়াশোনা কেমন চলে??
জান্নাত- ভালো না।
শিমলা- কেন???
জান্নাত- কে পড়িয়ে দেবে?? ভাইয়া তো বাসায় থাকে না।(দেখি কি বলে?)
শিমলা- তুমি চিন্তা কর না। তোমার ভাবি আসতেছে কিছু দিন পরে সে পরাবে।??
জান্নাত- হুম। আমিও তো তাই চাই ভাবি।(যা ভাবছিলাম তাই)
শিমলা- হুম। ওকে বায়
জান্নাত- হুম আপু বায়।
আমি কপি শেষ করে রুমে এলাম। রাত হয়ে গেছে।
তাই জান্নাত কে নিয়ে পড়তে বসলাম।
এটা রোজকার রুটিন। কিছু করি আর না করি জান্নাত জে রোজ পড়াই।
এরপর রাতের খাবার খেয়ে জান্নাত কে পড়তে দিয়ে আমি রুমে চলে এলাম।
কিছুক্ষণ পরে ম্যাডাম কল দিল–
ম্যাডাম- ওই কি কর??
আমি- কে আপনি..??(না জানার ভান করে। কারন নাম্বার সেভ করা নেই)
ম্যাডাম- অই তুমি আমায় চিন না??
আমি- আপু আপনি কে??(রাগানোর জন্য)
ম্যাডাম- ওই আমি তোর আপু লাগি???
আমি- সরি আপু রং নাম্বার।
ম্যাডাম- ওই ফোন কাটবি না আমি শিমলা।
আমি- ওহ ম্যাম কেমন আছেন??
ম্যাডাম- অই চুপ। একদম চুপ থাক তুই। মজা করিস আমার সাথে?? কাল অফিসে আয় তোকে দেখাব মজা।
আমি- সরি ম্যাম। (বেশি রেগে গেছে মনে হয়)
ম্যাডাম- আবার ম্যাম ডাকা হচ্ছে?? কাল আয় তুই? বলে কেটে দিল।
শিমলার সেই পুরনো অভ্যাস গুলো রয়ে গেছে। ওকে রাগাতে আমার খুব ভালো লাগে।
কিন্তু আমায় এখন এই সব ভুলে যেতে হবে। আবেগে জরিয়ে গেলে চলবে না।
আর কিছু না ভেবে গুমিয়ে গেলাম।
সকালে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম। আমি আর জান্নাত আপু খেয়ে নিলাম।
দুজনে বেরিয়ে পরলাম।
অফিসে এসে সকলের সাথে কিছু কথা বললাম। রহিমের সাথে কিছুক্ষণ মজা করলাম।
নিজের ডেস্কে বসে আছি।
কোন কাজ নেই। ম্যামের ডাক পরল
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম আয়। (রেগে)
আমি- ভয়ে জি ম্যাম বলুন??
ম্যাডাম- কিছু না বলে নিজের কেবিনের দরজা দিয়ে দিল।
আমি- ম্যাম কি করছেন???
ম্যাডাম- কিছু না বলে আমার ঠোঁট আর ম্যামের ঠোঁট এক করে দিল।
আমি ছারানোর চেষ্টা করতেছি। কিন্তু পারতেছি না। ৪ মিনিট পরে ছেরে দিল।
আমি- ম্যাম এটা কি ছিল??
ম্যাডাম- এটা তোর শাস্থি। আমার সাথে আবার মজা করলে দেখে নএব??
আমি- চুপ….(কিছু বললে আবার যদি,,, না থাক)
ম্যাডাম- এই নেও। আস্তে আস্তে কাজ গুলো কর।
আমি- জি ম্যাম। বলে চলে এলাম।
(আপনারা ভাবতেছেন আমি কিছু বললাম না কেন..?? আসলে সকলের ভালোবাসা এক নয়। আমি যাকে মন থেকে ভালোবাসি তার হাজারো দেওয়া কষ্ট ব্যাথ্যা আমি মনে রাখি না। কারন আমি তাকে ভালোবাসি। আর আমারো কেন যানি শিমলার আমার পর এই অধিকার গুলো ভালো লাগতেছে। আপনারা হয়তো আপনাদের উত্তর পেয়ে
গেছেন। হুম শিমলাকে কিছু দিন ঘুরিয়ে ওকে আপন করে নিব যদি ওর ভালোবাসা সত্য হয়)
নিজের ডেস্কে বসে কাজ করতেছি। কোন চাপ নেই।
ঠিক তখনই আমার পাশের কলিগ মিষ্টি বলল–
মিষ্টি – কি করেন??
আমি- এই তো একটা ফাইল দেখি..??
মিষ্টি- সারাদিন শুধু কাজ কেন করেন?? একটু কথাও তো বলতে পারেন।
আমি- হুম। তাহলে এখন বলি..
মিষ্টি- হুম। বাসায় কে কে আছে আপনার??
আমি- আমি আর আমার বোন। আপনার?
মিষ্টি- আমি আব্বু,আম্মু,আর ছোট একটা ভাই।
এইভাবে কিছু কথা বললাম মিষ্টির সাথে। কথায় বুজলাম মিষ্টি আমায় কিছুটা লাইক করে…
ওদিকে দেখি শিমলা আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে। আমিও মজা নিতেছি। মানে শিমলাকে রাগাচ্ছি।
লাঞ্চ টাইমে আমি আর মিষ্টি একসাথে লাঞ্চ করলাম। এটা শিমিলা দেখেছে।
হাহাহাহা।
নিজের ডেস্কে বসে কাজ করতেছি। তখন– ম্যামের ডাক
আমি- ম্যাম আসব..??
ম্যাডাম- হুম। এদিকে আয়..??
আমি- জি। (আবার রেগে গেছে)
ম্যাডাম- খুব ভালো লাগে মেয়েদের সাথে কথা বলতে তাই না??
আমি- কি বলছেন এইসব..??
ম্যাডাম- ঠাসসসসসস ঠাসসসসস বেশি না দুইটা চর। এটা হবারই ছিল। বেশি রাগিয়ে ফেলেছি।
আমি- মারলেন কেন??
ম্যাডাম- আবার আপনি?? তুমি করে বল??
আমি- এইজন্য কি মারতে হবে বললেই তো পারতে??
ম্যাডাম- চুপ। আজ থেকে তুই আমার কেবিনে বসে কাজ করবি। এই বলে ম্যানেজারকে ডাক দিল।
আমি- কিন্তু ম্যাম….
ম্যাডাম- চুপ।
ম্যানেজার আসার পরে ম্যাম তাকে আমার টেবিল আর বাকি জিনিস গুলো ম্যামের কেবিনে দিয়ে গেল।
আমি- পুরাই বোকা বুনে গেলাম। এতবড় শাস্থি। আগে তো বাইরে অনেক মানুষ ছিল। কিন্তু এখানে আমি আর ম্যাম। কোন ভুল হলেই চর+ রাগারাগি।
ম্যাডাম- এদিকে আস।
আমি- হুম বল।(তুমি করে বলি)
ম্যাডাম- একটা টিফিন বাটি খুলে বলল কাছে এসে বস।
আমি- হুম।
ম্যাডাম- হা কর…
আমি- আমি খাব না।
ম্যাডাম- হা কর বলছি??
আমি- কিছু করারা নাই তাই হা করলাম।
ম্যাম আমায় খাইয়ে দিল।
কিছুই বুজি না। কখন রাগ আবার কখন ভালো কিছুই বুজি না।
এরপর
ম্যাডাম- এইবার ভদ্র ছেলের মতো বসে কাজ কর। আমিও বসে কাজ করতেছি।
বইরের সকলে অলরেডি বুজে গেছে আমার আর ম্যামের মধ্যে কিছু চলতেছে। ম্যাম রাগী দেখে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
আমি কাজ করতেছি আর ম্যাম শুধু আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু বলতেও পারতেছি না।
এইভাবে দিনটা কেটে গেল।
ম্যাম আমায় বাসায় যেতে বলল। আমিও ছুটি পেয়ে এক দৌরে বাসায় চলে এলাম।
এরপর…….
বাসায় এসে দেখি জান্নাত টিভি দেখে।
আমি ওকে চকলেট দিয়ে আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
এরপর জান্নাত কে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।
আমি আর জান্নাত রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি।
তখন জান্নাতকে কে যেন ফোন দিল।
কিছু সময় পরে কেটে দিল।
আমি- কে ছিল??
জান্নাত- এক ফ্রেন্ড।
আমি- ওহ।
জান্নাত- ভাইয়া চল ওই পার্কে গিয়ে বসি।
আমি- তোর ইচ্ছা চল।
জান্নাত- হুম।
আসলে অফিস থেকে খুব তারাতাড়ি চলে এসেছি তো। তাই জান্নাতকে নিয়ে বের হলাম।
আমি আর জান্নাত বেঞ্চে বসে আছি।
আমি বাদাম খাচ্ছি আর জান্নাত বসে বসে চকলেট খাচ্ছে।
ঠিক তখনই একটা মেয়ে কন্ঠ পেছন থেকে ডাক দিল।
আমি তো দেখেই অবাক। এটাতো শিমলা।
ও জানলো কিভাবে আমরা এখানে। তার মানে জান্নাত তখন ফোন করে বলছে।
শিমলা- জান্নাত কেমন আছ.??
জান্নাত- হুম ভাবি থুক্কু আপু ভালো। তুমি?
শিমলা- হুম আমিও ভালো। তুমি কেমন আছ??? (আমায় বলল)
আমি- জি ম্যাম সরি ভালো। তুমি….??
শিমলা- ভালো ছিলাম না এখন ভালো আছি।
আমি- ওহ। তুমি জানলে কিভাবে?? আমি এখানে।
শিমলা- হুহ জানতে হয়।
জান্নাত- ভাইয়া আপু তোরা কথা বল। আমি ওই দিকটায় যাচ্ছি। এই বলেই দৌর।
আমি- আপু সাবধানে??
শিমলা- হুহ আমায় তো কখনো এভাবে বলতে না??
আমি- তুমি আমার কে যে তোমায় বলব??
শিমলা- আমি সরি শ্রাবন। আসলে তুমি মিমের সাথে যেটা করেছ তার জন্য আমি তোমায় বকেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি তোমায় আজও ভালোবাসি। তাই তুমি হাজারো অন্যায় করলেও তোমায়
আমার চাই।
আমি- তার মানে তুমি আজও আমায় বিশ্বাস কর না।
শিমলা- আসলে আমি তা বলতে চাই নি।
আমি- থাক আমি বুজেছি। আমি ভাবছিলাম তোমায় মাপ করে আপন করে নিব। কিন্তু তুমি..??? ওকে বায় ভালো থেকো।
শিমলা- শ্রাবন তুমি……
আমি আর কিছু না বলে চলে আসলাম।
এরপর জান্নাতকে খুজে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। আজ মেজাজ টা ভালো নেই। আমি ভাবছিলাম জান্নতকে ক্ষমা করে দিব। কিন্তু জান্নাত আমায় বিশ্বাস করে না। ও আজও সেটা বিশ্বাস করে।
জান্নাত খাবার খেতে ডাক দিল।
খাবার খাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না।
কিন্তু জান্নাত এর সাথে কি আমি আর পারি। তাই জোর করে খেতে হল।
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
আজ আর জান্নাত আপুকে পড়ালাম না।
অপরদিকে শিমলা——
না আজ শ্রাবন অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমায় আর অপেক্ষা করলে চলবে না। কালকেই বাগেরহাট গিয়ে সব সত্য উদ্ধার করতে হবে।
ড্রাইভারকে ফোন করে সব বুঝিয়ে দিল।
বাসায় আব্বুকে ফোন দিল শিমলা।
শিমলা- আব্বু কেমন আছ?
শিমলার আব্বু- হুম মা ভালো আছি। তুই কেমন আছিস??
শিমলা- হুম আব্বু ভালো। কালকে আমি বাগেরহাট আসতেছি।
শিমলার আব্বু- এটা তো ভালো কথা। তাহলে আমি বাসায় সব গুছিয়ে নেই।
শিমলা- হুম আব্বু বায় ভালো থেক।
এরপর শিমলা অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে ঘুমিয়ে পরল।
আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আমি- আপু খাবার খেয়েছিস??
জান্নাত- না। আমি তোকে ছাড়া খাই?
আমি- হুম। আয় খেয়ে নি।
জান্নাত- হুম চল।
এরপর দুজনে খেয়ে রওনা দিলাম।
জান্নাতকে ওর স্কুলে রেখে আমি চলে গেলাম আমার অফিসে।
গিয়ে ম্যামের কেবিনে গিয়ে বসলাম।
(শিমলার কেবিনে আমার টেবিল)
আজ শিমলা আসে নাই অফিসে।
এরপর জানতে পারলাম ম্যাম কিছুদিন অফিসে আসবে না।
আমি শান্তিতে বসলাম। না হলে সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত।
যাক বাচা গেল একদিক দিয়ে।
এদিকে আমার নিজেকে অফিসের বস বস মনে হচ্ছে। কারন বসের কেবিনে আমি একা।
এতে আমার খুব খারাপ লাগতেছিল।
তাই আমি ম্যানেজার এর কাছে গেলাম।
আমি- স্যার একটা কথা ছিল।
ম্যানেজার- স্যার বলার দরকার নেই। (ম্যানেজার আমার থেকে কিছুটা বড় হবে)
আমি- স্যার কেন??
ম্যানেজার- ম্যাম বারন করছে তাই। আমি এর কোন উত্তর দিতে পারব না। সরি।
আমি-( তার মানে এটা শিমলার কাজ।) একটা কথা ছিল।
ম্যানেজার- হুম বলুন।
আমি- আমি আবার আমার আগের ডেস্কে বসে কাজ করতে চাই।
ম্যানেজার- সরি। ম্যাম আপনাকে তার কেবিন থেকে বের হতে মানা করছে।
আমি- ওহ। ওকে। বলে চলে এলাম কেবিনে।
কার ভালো লাগে বলুন। হাতে কোন কাজ নেই। কি করব বলুন। কেবিনে আমি ছারা কেউ নেই। কারো সাথে কথাও বলতে পারতেছি না। এভাবে কেটে গেল আজকের দিনটা।
অপরদিকে——-
শিমলা তার বাসায় পৌছে তার বাবার সাথে কিছু কথা বলে নিল।
এরপর বিকালে শিমলা সেই চিরচেনা শহরের রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগল।
চলে গেল সেই পার্কে। যেখানে আমি আর শিমলা কাটিয়েছি হাজারো মুহুর্ত। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আবার রওনা দিল আমার সেই পুরনো বাসার দিকে।
যেতে ২০ মিনিট লাগে।
বাসার সামনে এসে। বেল দিল।
একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে দিল।
শিমলা একে কোন দিন দেখি নাই।(বয়স ২৩-২৪ হবে।)
শিমলা- আপু বাসায় শ্রাবন আছে??
আপু(মেয়েটি)- আপনি কে?? আর শ্রাবনকে চিনেন কিভাবে??
শিমলা- আমি ওর বন্ধু। ঠিক তখনই আমার আম্মু এল। শিমলা আমার আম্মুকে দেখে শান্তি পেল। কারন শিমলা ভাবছিল। তারা বোধহয় বাসা ছেরে দিছে।
আম্মু- কে তুমি মা…??
শিমলা- আন্টি আমি শ্রাবন এর ফ্রেন্ড।
আম্মু- কিহ শ্রাবন। তুমি চেন আমার ছেলেকে। বল কোথায় আমার ছেলে?? কই শ্রাবন?? (কেদে দিয়ে)
শিমলা- কিছুই বুজতেছে না। আন্টি আপনি শান্ত হন। এরপর শিমলা আর ওই নতুন মেয়েটি আম্মুকে নিয়ে বসিয়ে দিল৷
এরপর আমার আব্বু আর ভাইয়া নিচে এল।
ভাইয়া- আম্মু কি হয়েছে?? তুমি কাদ কেন??
আম্মু- আব্বু দেখ এই মেয়েটা শ্রাবণকে চিনে?? ও নাকি ওর ফ্রেন্ড। তুই বল না ওকে আমার শ্রাবনকে এনে দিতে। (কেদে)
ভাইয়া- আম্মু তুমি শান্ত হও। আমি দেখতেছি।।
এরপর শিমলা যেটা শুনল তার জন্য শিমলা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ১০০ ⚡ ভোল্টের শক খেল।
চলবে…???