Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ০৮
.
সকালে আজ জান্নাত ডাকল না। তাই ঘুম থেকে উঠে আমি অবাক।
৯:২৫ বেজে গেছে। ঠিক তখনই মনে
পরল কাল রাতে জান্নাত আমায় বলেছিল
আজ সকালে ওর কসিং ক্লাস আছে ভোরে। তাই আমায় আজ ডাকে তুলতে
পারবে না। তার মানে জান্নাত স্কুলে চলে
গেছে। অহ শিট। এখন কি হবে।
আর কিছু না ভেবে তারাতাড়ি ফ্রেশ
হয়ে নিলাম।
আজ আমার কপালে কি আছে কে জানে??
কারন অফিসে লেট করে গেলে ম্যাডাম
আবার কি বলে।
খুব তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
রস্তায় গিয়ে পরলাম আরেক বিপদে।
একে তো নাস্তা করতে পারি নাই।
আর এদিকে রাস্তায় এসে রিক্সা পাচ্ছি না।
উফ কি বপদ।
অনেক সময় পরে পেলাম একটা রিক্সা।
কোন কথা না বলে মামাকে তারাতাড়ি
যেতে বললাম।
১৫ মিনিট পরে অফিসে ঢুকলাম।
ভয়ে ভয়ে গিয়ে আমার কেবিনে বসলাম।
ঠিক তখনই
পিয়ন চাচা এসে বলে গেল ম্যাম আমায়
তার কেবিনে যেতে বলছে।
আমি ভয়ে ভয়ে ম্যাম এর কেবিন
এর সামনে গিয়ে বললাম
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম(রাগি ভাবে)
আমি- ম্যাম কিছু বলবেন??
ম্যাডাম- অফিসটা কি আপনার বাপের??
আমি- জ্বী না।
ম্যাডাম- তাহলে কি আপনার ইচ্ছে মতো
আফিসে আসবেন??
আমি- আসলে ম্যাডাম রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
ম্যাডাম- থাক আমি কিছু শুনতে চাই না। আর যদি কখন লেট হয়। তাহলে চাকরি থেকে বের করে দেব।
আমি- ম্যাম আর হবে না।
ম্যাডাম- ওকে। আর আপনাকে যে কাজ
দিছিলাম সেগুলো দিন??
আমি- (এই রে সেগুলো তো বাসায় রেখে এসেছি। ভুলে)
ম্যাডাম- কি হলো কথা বলুন??(রেগে)
আমি- আসলে ম্যাম ফাইল গুলো বাসায় রেখে এসেছি ভুলে।
আর কোন কিছু না বলে আমার কাছে
এসে ঠাসসসসস ঠাসসসস।
দুইটা চর দিলো খুব জোরে।
আমি- চুপ…
ম্যাডাম- ছোটলোক, লুইচ্চা, কুত্তার*চ্চা
এটা কি তোর অফিস। যে তুই যা ইচ্ছা তাই করবি।
আমি- ঠোঁট হালকা কেটে গেছে।
ম্যাডাম- এই তোর ওয়ালেট দে।
আমি- চুপ করে দিয়ে দিলাম।
ম্যাডাম- এই শোন তোকে ৩০ মিনিট সময়
দিলাম। এর মধ্যে আমায় ফাইলগুলো এনে দিবি।
আমি- কিন্তু ম্যাম আমার ওয়ালেটটা না দিলে কিভাবে যাব??(কথ বলতে কষ্ট হচ্ছে। ঠোঁট কেটে গেছে তাই)
ম্যাডাম- আমি কিছু জানি না। টাইম স্টার্ট নাউ।
আমি- কিছু না বলে চলে এলাম।
কাছে টাকা নেই। কিভাবে যাব বাসায়। কিছুই ভাবতে পারছি না। হাতে সময় নেই।
তাই কিছু না ভেবে হাটা শুরু করলাম।
আসতে ২০ মিনিট লেগে গেছে।
রুমে এসে ফাইলগুলো খোজ করে নিয়ে
আবার হাটা শুরু করলাম।
রাস্তার মাঝে এসে দেখি আর মাত্র ৩ মিনিট আছে।
তাই রাস্তা দিয়ে দৌড় শুরু করলাম।
এদিকে রোদে আমার শরীর পুরা ঘামে
ভিজে গেছে।
অফিসে আসতে ১০ মিনিট লেট।
আমি অফিসে ঢোকার সাথে সাথে সবাই
কেমন ভাবে তাকাচ্ছিল।
আমি সেটা খেয়াল না করে ম্যাম
এর কেবিনে গেলাম।
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম
আমি- ম্যাম এই যে ফাইলগুলো।
ম্যাডাম- ঘরি দেখিয়ে বলল কত বাজে এখন??
আমি- চুপ
ম্যাডাম- আরো কিছু কথা শুনিয়ে দিলো।
আমি চুপচাপ কথা গুলো শুনছিলাম।
এরপর আরো কিছু ফাইল ধরিয়ে দিলো।
আমি বাইরে আসতেই রুবেল,রহিম,রুহি,সিথি সকলে ঘিরে ধরল।
সবাই- ভাই কি হয়েছে। ম্যাম আপনাকে
এত বকল কেন??
আমি- ১৫ মিনিট লেট করে আসছি তাই।
রুবেল- কি বলেন ভাই। আমি তো কাল
৩০ মিনিট লেট করে এলাম। কিন্তু ম্যাম আমায় তেমন কিছু বলে নাই।
আমি- জানিনা
রুহি- আরো অনেকেই তো দেখি অফিসে লেট করে আসে। কিন্তু ম্যাম তো কিছু বলে না।
আমি- চুপ।
রহিম- ভাই এত ফাইল এক সাথে???
আমি- হুম।
রহিম- আময় তো এত ফাইল মেম কোন
দিন দেয় নি।
সিথি- শ্রাবণ ভাই ম্যাম তো কখনো আমাদের সাথে খারাপ আচরন করে না।
আর এত কাজের চাপও দেয় না। কিন্তু আপনাকে??
আমি- কিছুই জানি না।
আমি সবার সাথে কথা বলে আবার কাজে মন দিলাম।
কিন্তু পেটে কিছু নেই। এর মধ্যে জান্নাত
ফোন দিছিল। আমি বলছি বাইরে খেয়ে নিয়েছি।
মিথ্যা বললাম। কারন আমি না খেলে
পাগলিটাও খাবে না।
এইভাবে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে
গেল।
সকলে এসে আমায় ডেকে নিয়ে গেল।
আমিও খেয়ে নিলাম।
অবার সেই কাজে মন দিলাম।
অফিস ছুটি। সবাই বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু
আমি রয়ে গেছি। কারন বাসায় গিয়েও তো আমায় এই কাজগুলো করতে হবে।
তাই অফিসে বসেই করি।
ম্যাডাম বেরিয়ে যাবার সময় আমার দিকে
একবার দেখে আবার চলে গেল।
সব কাজ করে আমি বাসায় যাবার জন্য
তৈরি হলাম।
তখন পিয়ন চাচা এসে আমার ওয়ালেট দিয়ে গেল। মনে হয় ম্যাম তার কাছে
দিয়ে গেছে।
ওয়ালেট খুলে দেখি সব ঠিক আছে।
আমি কিছু না ভেবে বাসার দিকে
রওনা দিলাম। বাসায় আসতে রাত হয়ে
গেছে।
জান্নাত আমায় বলল দেরি হল কেন??
আমি ওকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বললাম।
আপু তেমন কিছু বলল না।
এইভবে চলছিল আমার জীবন।
রাতে আমি এবং জান্নাত খাবর খেয়ে
নিলাম।
এরপর জান্নাত কে নিয়ে পড়তে বসলাম।
কারন জান্নাত এর কিছু দিন পরে
টেষ্ট পরিক্ষা।
কিছু সময় পড়িয়ে আমি ঘুমাতে
গেলাম।
অবার সকালে সেই অফিস। এখন থেকে
আর আমি ভুল করি না।
কিন্তু ম্যাডাম আমায় অনেক বাহানায়
কথা শুনায়।
অফিসে কাজ করছিলাম। তখন আমার
ডাক পরল ম্যাম এর রুমে।
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম
আমি- জি বলুন??
ম্যাডাম- কাল সকালে আমাদের সিলেট
যেতে হবে।
আমি- হুম
ম্যাডাম- শুধু হুম নয়। আপনাকেও যেতে
হবে আমার সাথে।
আমি- কিন্তু ম্যাম আমি যেতে পারব না।
ম্যাডাম- কেন??
আমি- ম্যাম একটা personal problem আছে।
ম্যাডাম- ওহ বুজতে পারছি। বাসায় বউকে রেখে যেতে পারবেন না??
আমি- ম্যাম আমি সিংগেল।
ম্যাডাম- তাহলে??(অবাক হয়ে)
আমি- আসলে
ম্যাডাম- কি আসলে আসলে করছেন??
বলুন কি বলবেন??
আমি- ম্যাম আমার বোন বাসায় একা একা থাকতে পারবে না। তাই আমি যেতে
পারব না।
ম্যাডাম- কিহ??? আপনার বোন আছে?
আমি- ম্যাম আমি পারসোনাল কিছু বলতে পারব না।
ম্যাডাম- অহ বুজলাম। কিছু সময় ভেবে।
আমার একটা প্লান আছে।
আমি- জ্বি বলুন
ম্যাডাম- আপনি চাইলে আপনার বোনকে
আমাদের সাথে নিয়ে যেতে পারেন।
আমি- (ভাবলাম জান্নাত অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাই নি। তাই ভাবলাম জান্নাতের জন্য রাজি হয়ে যাই) হুম আমি রাজি।
ম্যাডাম- তাহলে এখন বাসায় গিয়ে তৈরি হোন। কাল সকাল ৯ টায় আমাদের গাড়ি ছারবে।
আমি- ওকে। বলে বাসায় চলে এলাম।
এরপর জান্নাতকে সব বললাম। জান্নাত তো খুব খুশী।
রাতে আমরা খেয়ে। সব কিছু ঘুছিয়ে নিলাম।
রাতে শুয়ে পরলাম। সহজেই ঘুমিয়ে
গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে সকালে উঠে তৈরি হয়ে
বের হলাম।
আমার আপুকে তো পরির মতো লাগছে।
এরপর অফিসে গিয়ে দেখি গাড়ি রেডি।
ম্যামও তৈরি।
আমরা গারিতে উঠে রওনা দিলাম।
আজ শিমলাকে খুব ভালো দেখাচ্ছিল।
কিন্তু আমি ওদিকে তাকালাম না।
ম্যাম এর গাড়ি করে আমরা রওনা দিলাম।
ম্যাম আর জান্নাত পিছনে। আমি আর ড্রাইভার সামনে।
এরপর জান্নাত আর ম্যাম গল্প করতে
শুরু করল। আমি চুপ।
খুব অল্প সময়েই জান্নাত এর সাথে ভাব জমে গেল ম্যামের। এরপর….
আমি চুপচাপ গাড়িতে বসে আছি।
জান্নাত আর ম্যাম কথা বলছেন।
আমি সামনের দিকে তাকিয়ে দেখতে
লাগলাম। আর ভাবতে লাগলাম পুরনো
সব দিনের কথা। আমার আর শিমলার
কাটানো সময় গুলোর কথা।
কিন্তু হটাৎ করে মনে পরে গেল
শিমলা আর এখন আমার না। সে এখন
অন্য কারো স্ত্রী।
তাই আর কিছু ভাবলাম না।
সিলেটে পৌছাতে ৭ ঘন্টা লাগবে।
তাই আমি সিটে হেলান দিয়ে ঘুমানোর
চেষ্টা করলাম। কানে হেডফোন লাগিয়ে
বসে আছি। এমন ভাব করতেছি যেন
আমি বিন্দাস আছি। কিন্তু আমার মনটা
যে চিরে ফেটে যাচ্ছে।
এইভাবে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না।
জান্নাত এর ডাকে ঘুম ভাংল।
দেখি আমরা গন্তব্য স্থানে পৌছে গেছি।
আমি গাড়ি থেকে নামলাম।
আমরা এখন একটা হোটেলে যাচ্ছি।
ম্যাম অনলাইন রুম বুক করে রেখেছে।
দুইটা রুম ভারা করা হয়েছে।
একটাতে আমি আর অন্যটাতে জান্নাত আর ম্যাম।
আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বিকাল ৪ টা বেজে গেছে।
তাই কিছু খাবার অডার করলাম।
খেয়ে জান্নাত কে ফোন দিলাম
আমি- আপু তুই কিছু খেয়েছিস??
জান্নাত- হুম ভাইয়া। তুই??
আমি- হুম।
জান্নাত- আমি আর শিমলা আপু বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি।
আমি- তুই একা একা বের হোস না প্লিজ..
জান্নাত- আরে ভাইয়া আপু আছে না।
আমি- তবুও
জান্নাত- ভাইয় প্লিজ……
আমি- ওকে।
আমি আর কোথাও বের হলাম না।
রুমে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করতেছি।
রাত হয়ে গেছে। কাল আমাদের মিটিং আছে। তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পরতে হবে।
আমি জান্নাতকে আবার ফোন দিলাম
আমি- আপু তুই কই
জান্নাত- ভাইয়া এত চিন্তা করতে হবে না। আমি রুমে আছি।
আমি- ওকে আপু গুড নাইট
জান্নাত- হুম গুড নাইট
আমি এরপর ঘুমিয়ে গেলাম।
অপর দিকে জান্নাত আর শিমলার কথা—-
শিমলা- জান্নাত তোমার ভাইয়া বিয়ে করেছে??(জেনেও না জানার ভান করে)
জান্নাত- না আপু।
শিমলা- কেন??
জান্নাত- আমি তা জানি না। ভাইয়া বিয়া তো দূরে কোন রিলেশন ই করে না।
শিমলা- কিহ.???(অবাক হয়ে)
জান্নাত- হুম আপু। তুমি কি সিংগেল নাকি ম্যারেইড??
শিমলা- সিংগেল। আমার একটা প্রশ্ন ছিল..??
জান্নাত- হুম বল.
শিমলা- তোমাদের বাসায় কে কে আছে??
শিমলা- আমি আর ভাইয়া শুধু
শিমলা- আমার জানা মতে শ্রাবনের তো কোন বোন ছিল না।
জান্নাত- হুম ঠিক।
শিমলা- তাহলে তুমি??(অবাক)
জান্নাত- আগে প্রমিজ করো কাউকে বলবে না।
শিমলা- ওকে প্রমিজ। এইবার বলো
জান্নাত- (সব খুলে বলল) কেদে কেদে
শিমলা- অহ সরি আমি বুজতে পারি নাই।
জান্নাত- হুম।
শিমলা- তোমার ভাইয়ার আব্বু আম্মু কই?
জান্নাত- আমি ছারা ভাইয়ার কেউ নেই। (জান্নাত কিছু জানে না যে আমার পরিবার আছে।)
শিমলা- অহ(অবাক হয়ে। তার মানে শ্রাবন ওর পরিবারের সাথে থাকে না।)
জান্নাত- জানো আপু আমার ভাইয়া খুব ভালো। আমায় ছোট থেকে কোন কষ্ট পেতে দেয় নি। ভাইয়া আমায় নিজের বোনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।
শিমলা- ওহ। তোমার ভাই তো তাহলে খুব ভালো মানুষ।
জান্নাত- হুম
শিমলা- (জান্নাত এর কাছ থেকে সব শুনতে হবে। কি করে ও এই পজিশনে) তোমার কয় বছর এই শহরে??
জান্নাত- ৬ বছর। মানে আমি ভাইয়াকে এই শহরেই দেখেছি ছোট থাকতে।
শিমলা- অবাক। এরপর জান্নাত আমার সম্পর্কে সব খবর জেনে নিল। মানে আমি কোথায় থাকি। কখন কি করি ইত্যাদি।
এবার শিমলা অনেক নরম হয়ে গেল। কারন সে আমার সাথে অনেক বাজে ব্যাবহার করছে এই কয়দিনে।
সকালে—-
জান্নাত এসে আমার রুমে ধাক্কা দিতে লাগল। আমি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে
দিলাম।
জান্নাত- ভাইয়া তুই এখন ঘুম থেকে উঠলি??
আমি- আসলে….
জান্নাত- তুই আগে ফ্রেশ হয়ে নে। আর আপু একটু পর বের হবে মিটিং করতে।
আমি আর কিছু না বলে ফ্রেশ হতে গেলাম।
এরপর রুমে এসে দেখি জান্নাত খাবার অডার করে রেখেছে। তাই আমি খেয়ে নিলাম।
এরপর রুমের বাইরে থেকে ম্যাম ডাক দেয়। তাই আমি বেরিয়ে গেলাম।
আর জান্নাত কে বললাম
আমি- আপু তুই কিন্তু এই রুমের ভিতরে থাকবি। কোথাও বের হবি না।
জান্নাত- ওকে ভাইয়া। আর তোর মোবাইলটা দিয়ে যা।
আমি- কেন??
জান্নাত- মানে… আমি..
আমি- বুজেছি তুই গেম খেলবি। এই নে
জান্নাত- ধন্যবাদ ভাইয়া। (গালে একটা চুমু দিয়ে। অনেক খুশি হলে দেয়)
আর এদিকে শিমলা আমাদের কাজ দেখে মনে মনে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কারন আজকেই এই আমি ৬ বিছর আগের আমির মিল নেই। আছে অনেক পরিবর্তন।
আমি বের হয়ে গেলাম রুম থেকে।
আমি দেখি ম্যাম কি জেন ভাবতেছিল।
আমি- ম্যাম..????
ম্যাডাম-…..
আমি- ম্যাম… কি হয়েছে??
ম্যাডাম- এবার বাস্তবে এসে, কিছু না।
এরপর দুজনে গাড়িতে বসে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে মিটিং করলাম। ডিল ফাইনাল।
তাই ম্যাম খুব খুশী। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে ম্যাম আজ আমার সাথে খারাপ আচরন করে নাই।
আমরা হোটেলে চলে এলাম।
আমি এসেই আগে আমার রুমে গেলাম।
গিয়ে দেখি জান্নাত টিভি দেখতেছে।
আমি- আমার কলিজা কি করে??
জান্নাত- ভাইয়া টিভি দেখি।
আমি- দুপুরে খেয়েছিস কিছু??
জান্নাত- না ভাইয়া
আমি- তাহলে চল দুজনে খেয়ে নি।
এরপর দুজনে খেয়ে নিলাম।
বিকালে শিমলা এসে আপুকে ডেকে
নিয়ে গেল।
আমিও ফোন চালাতে লাগলাম।
অপরদিকে—–
শিমলা- জান্নাত তোমার ভাইয়া রুমে থেকে বের হয় না কেন??
জান্নাত- জানি না। ভাইয়া বাসায় থাকতেও কখনো বের হতো না।
শিমলা- কেন??
জান্নাত- জানি না। আমি সেই ছোটকাল থেকেই এটা দেখে আসতেছি।
শিমলা- অহ।।
এরপর রাতে আমি সব গুছিয়ে নিলাম। কারন কাল আবার রওনা দিতে হবে।
জান্নাত আর ম্যামও সব গুছিয়ে নিল।
রাতে শিমলা জান্নাত এর কাছ থেকে তার
নাম্বার নিল। কারন ম্যাম(শিমলা) অনেকটা দুর্বল হয়ে পরেছে আমার উপরে। তাই খোজ নেবার জন্য জান্নাত এর নাম্বার নিছে। (আর হে জান্নাত এর একটা ছোট ফোন আছে)
জান্নাত ও কিছুটা বুজতে পারতেছে যে ম্যাম আমায় কিছুটা লাইক করে।
রাতে তারা ঘুমিয়ে পরল।
সকালে……………
চলবে…????