Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন রায়
পর্বঃ ০৬
হটাৎ একদিন বাপ্পি কল করে যা বলল আমি তা শুনে তো ১০০ বোল্টের শক খেলাম।
সকালে বাপ্পির ফোন। এই সময়ে বাপ্পি তো কল করে না। এইসব ভাবতে ভাবতে
কলটি ধরলাম।
বাপ্পি- হ্যালো বন্ধু??
আমি- হুম বল। কি ব্যাপার??
বাপ্পি- দোস্ত একটা কথা বলার ছিল??
আমি- হুম তো বল।
বাপ্পি- আসলে দোস্ত…
আমি- ধুর,,বল তো?
বাপ্পি- দোস্ত তোর ex গার্লফ্রেন্ড শিমলা ছিল না??
আমি- (শিমলার নামটা শুনে বুকটা কেপে উঠল। তারপরও স্বাভাবিক হয়ে বললাম) হুম।
বাপ্পি- দোস্ত ওর না কালকে বিয়ে…
আমি- ( আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শক।) দোস্ত তুই কি বলিস এইসব???
বাপ্পি- দোস্ত আমি বুঝতে পারতেছি। কিন্তু সত্যি তো সত্যিই।
আমি- দোস্ত আমি ওকে আমার জিবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।
বাপ্পি- হুম আমি বুজতে পারতেছি। কিন্তু তুই বুঝার চেষ্টা কর।
আমি- দোস্ত ও কি রাজি??
বাপ্পি- আমি তা জানি না। তবে রাজি না হলে কি আর বিয়ে হয়??
আমি- হুম। দোস্ত তোকে একটা কথা বলব??
বাপ্পি- বল।
আমি- তুই আমাকে একটা হেল্প করবি??
বাপ্পি- হুম বল।
আমি- তুই আর জীবনেও শিমলার কথা আমার কাছে বলবি না। কারন এই এক বছরে প্রায় ওকে আমি ভুলেই গেছিলাম। কিন্তু তুই আজ আবার??
বাপ্পি- হুম দোস্ত আমি বুজতে পারতেছি।
আমি- হুম। ঠিক আছে।
বাপ্পি- ওকে। দোস্ত তুই আবার নতুন করে শুরু কর।
আমি- বলাটা যত সহজ। করাটা তত কঠিন।
বাপ্পি- হুম বুজতে পারতেছি। কিন্তু প্লিজ দোস্ত
আমি- ওকে দোস্ত ভালো থাকিস। বলেই কেটে দিলাম।
কারন আর কিছু সময় কথা বললে হয়তো কেদে দিতাম। আজ আবার সেই অতিত আমায় টেনে ধরছে। আমি যতই ভুলে যেতে চাচ্ছি ততোই মনে পরছে।
এই সব ভাবতেছিলাম। তখনই জান্নাত
জান্নাত- ভাইয়া তুমি কাদতেছ?
আমি- না আপু। (চোখ মুছে)
জান্নাত- না আমি সব বুঝি। তুমি আমায় মিথ্যা বলতেছ।
আমি- জান্নাতকে আকরে ধরে কেদে দিলাম।
জান্নাত আমায় জরিয়ে ধরে চোখের জল মুছে দিল। তখন আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। মনে হচ্ছে আমিই পৃথিবীর সবথেকে লাকি ভাই। যার কাছে এইরকম একটা বোন আছে সে সত্যিই খুব লাকি।
এরপর জান্নাত আমায় নিজের হাতে খায়িয়ে দিল।
আমিও ওকে খাইয়ে দিলাম।
আমি মনে মনে ভেবে নিলাম যে
আমায় বাচতে হবে। জান্নাতের জন্য বাচতে হবে।
এই ভাবে চলছিল আমাদের জীবন।
জান্নাতের রাগ,অভিমান,ভালোবাসা নিয়ে ভালোই চলছিল।
যেমন এক দিনের কথা বলি—
একদিন রাতে টিউশন করিয়ে বাসায় ফিরলাম। জান্নাত এর জন্য চকলেট না নিয়ে। আসলে ভুলে গিয়েছিলাম।
সে কি রাগ। আমায় ঘরের বাইরে রেখেছিল অনেক সময়। এরপর অনেক আকুতি মিনতি করে ঘরে ঢুকলাম।
এইরকম অনেক নিয়ম ছিল।
যেমন- তকে নিয়ে নিয়মিত ঘুরতে যাওয়া, শপিং করানো, রাতে বাইরে ডিনার করানো ইত্যাদি।
এইভাবে চলছিল আমাদের জীবন।
১ বছর পরে………..
আজ আমি খুব টেনশনে আছি।
আসুন আপনাদেরকেও বলি। আজ আমার কলিজার পিএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট দিবে। হুম জান্নাত পিএসসি পরিক্ষা দিছে।
অবশেষে সেই সময় এল। কিন্তু জান্নাতকে দেখে কেউ বলবে না যে আজ ওর রেজাল্ট দিবে। সে সকাল থেকেই হেসে খেলে বেরাচ্ছে। সব জালা আমার। ধুর।
রেজাল্ট পেয়ে আমার মাথা খারাপ।
হুম জান্নাত গোল্ডেন A+ পেয়েছে।
আজ আমি খুব খুশী। জান্নাতকে কোলে নিয়ে সারা বাসা দৌরালাম। খুব খুশী তো তাই। এরপর আপুকে নিয়ে সেইদিন খুব ঘুরলাম। মহারানিও খুব খুশী।
আমার লেখাপড়া শেষ হবার আর ৩ বছর বাকি ।
আমিও নিয়মিত ক্লাস করি। তবে এখন আমি আগের মতো নেই। সম্পুর্ন বদলে গেছি। কি ভাবে বাইরে একা একা চলতে হয় তা আমি বুঝে গেছি।
এরপর জান্নাত কে একটা গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি করে দিলাম।
কিছুদিন পরে। আজ ১১ই এপ্রিল।
আমার কলিজার জন্মদিন। জান্নাত জানে না। মানে মনে নেই যে আজ ওর বার্থডে।
আমি ওকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে,,কিছু ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করে বাসায় আসতে বললাম। সবাইকে নিয়ে বাসা সাজিয়ে ফেললাম। এরপর সবাইকে লুকিয়ে যেতে বললাম। কারন আপুকে সারপ্রাইজ দিবো।
জান্নাত এসে কলিং বেল চাপল বিকাল ৪ টার সময়। আমি দরজা খুলে দিলাম। (কাজ থেকে ছুটি নিয়েছি। তাই বাসায়)
জান্নাত- ভাইয়া বাসা সাজিয়েছো কেন??
আমি- আজ একটা বিশেষ দিন।
জান্নাত- কি দিন আজ??
আমি ওকে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললাম ফ্রেশ হয়ে এটা পরে বাইরে আয়।
জান্নাত- কি এটা???
আমি- তোর জন্য একটা লেহেঙ্গা।(মেয়েদের জামা কাপর সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাই এইটা লিখে দিলাম। ভুল হলে আমি কিন্তু কিছু জানি না?)
জান্নাত- কিন্তু কেন??
আমি ওকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দিলাম।
কিছুক্ষণ পরে
আমার কলিজাটা বাইরে এল। অনেক কিউট লাগছিল ওকে।
আমার কাছে এসেই ও জিজ্ঞেস করল যে কি আজকে??
ঠিক তখনই আমার বন্ধু গুলো একসাথে —
Happy Birthday apu?
Happy Birthday to you Jannat?
আমার আপ্পি আর কিছু না বলেই আমায়
জরিয়ে ধরল।
জান্নাত- ভাইয়া (কেদে)
আমি- কিরে পাগলি কাদিস কেন?
জান্নাত- ভাইয়া আজ আমি খুব খুশী।
এইভাবে কিছু সময় পরে আমাদের ছোটখাটো পার্টি শেষ হল।
এরপর সেই দিন জান্নাতকে নিয়ে সারা দিন ঘুরলাম।
এইভাবে আমাদের জীবন চলছিল।
আর একটা কথা জান্নাত কিন্তু লেখাপড়ায় খুব ভালো। আমার মতো মাথায় গোবর না?।
আমার & জান্নাত এর লেখাপড়া ভালোই চলছিল।
আর আমি যেখানে যব করি। সেখানে এখন সবচেয়ে উচু স্থানে কাজ করি।
মানে ম্যানেজারের নিচ স্থানে। বেতন প্রায়
১৪ হাজার। + টিউশন ফি ৫ হাজার
ভালোভাবেই আমাদের চলছিল। প্রথম দিকে যদিও একটু কষ্ট হচ্ছিল।
বাট এখন দিব্বি চলে যাচ্ছে।
৫ বছর পর……………..
আমার লেখাপড়া সম্পূর্ণ শেষ। এখন আমি ভালো একটা চাকরির খোজ করতেছি। আমি কিন্তু বেকার না। এখনো সেই দোকানে যব করি। ভালো একটা চাকরি পেলে এই যব টা ছেড়ে দিব।
কিন্তু চাকরি মনে হয় আমার কপালে নেই। কারণ এই পর্যন্ত ৯/১০ টার বেশি ইন্টারভিউ দেওয়া হয়ে গেছে। আসলে আমি যে ভালো ইন্টারভিউ দেই নাই তা নয়। আসলে আপনারা তো জানেন টাকা ছাড়া কিছুই হয় না এই ব্যাস্ত শহরে।
ওহ শিট ভুলেই গেছি। আমার কলিজাটার ব্যাপারে তো কিছুই বলা হয় নি। জান্নাত এবার দশম শ্রেনিতে।
আর আমার আপু জেএসসি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন A+ পেয়েছ। আসলে আমার আপু লেখাপড়ায় খুব ভালো।
এখন আমার বন্ধু গুলোকে আপনার চিনবেন না। কারন বাপ্পি ছাড়া আর কারো সাথে আমার যোগাযোগ নেই দীর্ঘ ৫ বছর। আমি ইচ্ছে করে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিছি। আর বাপ্পিকে আমার কছম দিয়ে কাউকে বলতে বারন করেছি। তাই বাপ্পি কাউকে বলে না।
আজ সকালে একটা ইন্টারভিউ আছে। কিন্তু এতে আমার কোন ইচ্ছে নেই। ভাবতেছি এই সামান্য চাকরি নিয়েই জীবন কাবার করে দিব। কিন্তু জান্নাত এর জন্য আমি কি আর আমার ইচ্ছে মতো থাকতে পারি।
সকাল ৬.৩০ মিনিটে………
আমি শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্ত হটাৎ উপর থেকে কেমন যেন পানি পরতেছে। আমি ভাবলাম ছাদ কি ফুটো হয়ে গেল নাকি??
হটাৎ করে মনে হল কে জেন আমার সামনে দারিয়ে আছে। তাই আমি লাফ দিয়ে উঠলাম। একি এতো জান্নাত রাগি মুডে দারিয়ে আছে। হাতে বালতি নিয়ে।
আমি- কি হয়েছে আপু??(ভয়ে)
জান্নাত-…….. (রাগে ফুসতেছে)
আমি- আপু..?????(ভয়ে ভয়ে)
জান্নাত- ওই রাখ তোর আপু। (জান্নাত এখন আমায় আদর করে তুই বলে ডাকে। আর আমি মনে করি ভাই বোনের সম্পর্কে তুই শব্দটাই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী)
আমি-……
জান্নাত- ভাইয়া তোকে কত করে বলছি??সকালে ঘুম থেকে উঠতে। আজ না তোর চাকরির ইন্টারভিউ আছে??
আমি- হুম
জান্নাত- তাহলে এখনো আমার মুখ না দেখে, গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।
আমি আর কিছু না বলে ফ্রেশ হয়ে এলাম। এরপর মোবাইল টিপতে লাগলাম। হটাৎ রিয়ার ফোন—-
রিয়া- ওই হাদারাম কি করিস??
আমি- কিছু না, বসে আছি। তুই??
রিয়া- আমি বাবুকে খাওয়াচ্ছি।( রিয়ার বিয়ে হয়েছে ২ বছর ৭ মাসের বেশি। আর ওর একটা বেবি আছে। ৯ মাসের )
আমি- ওহ। আমার আব্বু কি খাইতেছে??
রিয়া- নাহ। আমায় শুধু বিরক্ত করে।
আমি- ঠিক হয়েছে। তোর মতো বাচালকে তোর ছেলেই টাইট করতে পারবে।(রাগানোর জন্য)
রিয়া- শ্রাবনের বাচ্চা,,,,তুই আবার শুরু করলি??
আমি- হিহিহি
এইভাবে দুই বন্ধু কিছু সময় দুষ্টমি করে ফোন রেখে দিলাম। এটা আমদের ডেইলি রুটিন।
এর কিছু সময় পরে মহারানি খাবার খেতে ডাক দিলো।
আমি মোবাইল রেখে খেতে গেলাম।
আমার আপু কিন্তু জোস রান্না করে।
খেয়ে রেডি হলাম, সাথে জান্নাতও।
কারন প্রতিদিন ওকে স্কুলে এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে। এটা তার আদেশ।
স্কুলের গেটের সামনে এসে—
জান্নাত- ভাইয়া তুই ভালোভাবে ইন্টারভিউ দিস…
আমি- ওকে আপু। তুইও কোন বাদরামি করিস না কিন্তু স্কুলে।
জান্নাত- ওকে ভাইয়া। আর এই চাকরিটা ও না পেলে একদম মন খারাপ করবি না। মনে রাখিস আল্লাহ আছেন আমাদের সাথে।
আমি- ওকে মাই ডিয়ার মহারানী।
এরপর জান্নাত হাসতে হাসতে স্কুলে চলে গেল। আমিও একটি টেক্সি নিয়ে রওনা দিলাম অফিসের দিকে। যেখানে আজ ইন্টারভিউ আছে। আমি জানি হবে না। তাই কোন ইন্টারেস্ট নাই। খুব ধির ভাবে ঢুকলাম অফিসে।
অফিসে ঢুকে দেখলাম অনেকে বসে আছে একটা রুমে। আমিও সেখানে গিয়ে তাদের পাশে গিয়ে বসে পরলাম। অনেকে বসে আছে। ১০-১৫ জন হবে। অফিসে লোক নিয়োগ করা হবে ৫ জন। কিছুক্ষণ পরে আমার পাশের একটা ছেলে বলে উঠল—
ছেলেটি- ভাইয়া আপনার নাম কি??
আমি- শ্রাবন। (বাকিটুকু বললাম না। কারন আমি আমার পরিবারের কিছু মনে রাখতে চাই না।)
ছেলেটি- আমি রহিম।
আমি- ওহ। ভালো নাম আপনারা।
রহিম- আপনার ও। ভাইয়া আমি আপনার থেকে ছোট। তাই আমায় তুমি করে বললে খুশী হব।
আমি- ওকে ছোট ভাই।
রহিম- ???
আমি- ভাই বুজলে আমার চাকরি হবে বলে আমার মনে হয় না।
রহিম- কেন ভাইয়া??
আমি- তুমিতো জানো। আমাদের বাংলাদেশে টাকা ছাড়া কোন চাকরি হয় না।
রহিম- জি না ভাইয়া। আমি শুনেছি এখানকার ম্যাম নাকি খুব ভালো। তিনি ট্যালেণ্টেড মানুষ খোজে। ঘুস নেয় না।
আমি- ধুর। যা হয় হোক। আমার তাতে কি??
রহিম- ভাইয়া দেখবেন আপনার চাকরিটা হবে।
আমি- হাসলাম।
এই ভাবে কিছু কথা হলো আমাদের মাঝে। আসলে রহিম খুব ভালো ছেলে। কথায় যা বুজলাম।
এরপর রহিম এর ডাক পরল ইন্টারভিউ রুমে।
রহিম চলে গেল। আমি ভাবলাম এরপর আমি। আমি তেমন নারভাস নই। কারন এর আমি অনেক গুলো ইন্টারভিউ দিছি।
রহিম বের হল। আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বাইরে চলে গেল।
আমি বুজলাম ভালো ইন্টারভিউ হয়েছে ওর।
এরপর পিয়ন চাচা আমায় ডাক দিলো।
আমি রুমের বাইরে দারিয়ে বললাম….
(রুমে তিন জন আছে। দুইজন স্যার। একজন ম্যাডাম।)
আমি- মে আই কামিন স্যার???
স্যার- ইয়েস কামিন।
দুইজন স্যারকে দেখলাম। আমার দিকে চেয়ে আছে। আর ম্যাডাম নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকে দেখতে পারি নাই এখনো।
এরপর ম্যাডাম যেই আমার দিকে তাকালো আমি তো পুরা অবাক। এই বেইমান এখানে। হুম শিমলা। সে আমায় দেখে চমকে উঠল। পরে আমার দিকে রাগি চোখে তাকালো। আমার আর বুজতে বাকি রইল না যে সে আমায় এখন অপরাধী ভাবে। আর আমিও বুজলাম যে এটা শিমলাদের অফিস। এই সব ভাব ছিলাম। মনে মনে। কাউকে বুজতে দিলাম না। স্বাভাবিক হয়ে সামনের সিটে বসলাম। দুই স্যার আমায় অনেক সহজ প্রশ্ন করল। কিন্তু শিমলা আমায় অনেক কঠিক প্রশ্ন করল। বাট আমি ঠিকঠাক উত্তর দিলাম। বুজলাম শিমলা পুরা অবাক। কারন সেই ৬ বছর আগের শ্রাবণ কে এই প্রশ্ন করলে হার্টফেল করত। আমিও স্বাভাবিক ভাবে বাইরে চলে এলাম।
শিমলা বাদে স্যার দুইজন আমার প্রতি খুবই খুশী।
পিওন চাচা আমায় বলল ১ দিন পর আমায় মেইল করে পাঠানো হবে আমার চাকরি হবে কি না???
আমি বাইরে এসে ভাবতে লাগলাম আমার এই চাকরিটাও আর হলো না।
কারন শিমলা আমায় চাকরি দিবে না। আমি শিওর।
এরপর একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
আরে ভাই আপনারা কি ভাবতেছেন??
আমি এখন কাদব? সিগারেট খাব?
আরে না। বাস্তব জীবনটা এইরকম না। কারন আমার একটা বোন আছে। তার সব দায়িত্ব আমার। তাই আমি স্বাভাবিক ভাবে আছি। ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নিলাম। এরপর দিলাম এক ঘুম।
জান্নাত আমার অতীত সম্পর্কে কিছু জানে না। এই শহরে কেউ জানে না।
এরপর জান্নাত স্কুল থেকে বিকালে এসে আমায় ডেকে তুলল। আমি উঠে সব কিছু বললাম। মানে চাকরির রেজাল্ট ১ দিন পর দিবে। এরপর আমি রাতে টিউশন করাতে গেলাম। টিউশন করে বাসায় এসে আমি আর জান্নাত খাবার খেয়ে নিলাম।
এরপর জান্নাত কে কিছু সময় বই পড়িয়ে দুজনে ঘুমিয়ে পরলাম।
চলবে….?????