??Devil_Teacher??
?? রং তুলি ??
part – 9
তুলি : তাহলে আমি সবাইকে বলে দেবো আপনি আস্ত একটা লুচু
শান্ত : বললে বলবা ( দুষ্টামির হাসি দিয়ে )
তুলি : আমি কিন্তু এখন জোরে জোরে কান্না করবো।
শান্ত : কান্না করতে হবেনা, আমি এখন কিছু করছিনা। তুমিতো এখনো ছোট বড় হও তারপর ( কোল থেকে বিছানায় নামিয়ে )
তুলি : তারপর কি?
শান্ত : আমার তো মনে হয় তোমার থেকে সুমাইয়া ভালো জানবে তারপর কি ( হাসতে হাসতে )
তুলি : বলছি কি স্যার আপনি যেহেতু সুমাইয়াকে এতো পছন্দ করেন, আমি ওকে পটিয়ে আপনার গলায় ঝুলিয়ে দেই। মানে আপনার সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দেই, ও আপনাকে অনেক পছন্দ করে বিয়ের দিন আমাকে বলেছিলো। আপনারা দুজন দুজনকে পছন্দ করে মাঝখানে আমি থেকে কি করবো? শান্ত :….. ( নিশ্চুপ )
তুলি : স্যার এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কিন্তু আপনার ভালো জন্য বলছি।
— devil কিছু না বলে আমার দিকে এভাবে রেগে তাকিয়ে আছে কেন? মনে হয় কিছু ভুল বললাম। আমিতো ভালোর জন্য বলছি, এভাবে রাগার কি আছে? আমি বরং ঘুমিয়ে পরি এটাই আমার জন্য ভালো,,,
( ভোরে )
শান্ত : তুলি ওঠো
তুলি : উহু
শান্ত : তুলি ওঠবে না?
তুলি :………
কাব্য : ok fine…
— শান্ত এক গ্লাস পানি তুলির গায়ে ঢেলে দিলো, তুলি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে রেগে গেলো,,,
তুলি : এটা কি করলেন? এভাবে কেউ ঘুম থেকে জাগায়
শান্ত : কখন থেকে ডাকছি উঠছো না কেন?
তুলি : তাই বলে পানি ঢেলে দিবেন
শান্ত : হুম, এখন কথা না বাড়িয়ে নামাজ পরে রান্নাঘরে যাও
তুলি : রান্নাঘরে কি করবো?
শান্ত : সবার জন্য নাস্তা তৈরি করবে, মা বাবা আজকে রাজশাহী চলে যাবে। আজ থেকে রান্নাবাড়া তুমি করবে
তুলি : স্যার আমি রান্না করতে পারিনা। ( করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে )
শান্ত : রান্না তোমাকে করতে হবে, তুমি এই বাড়ির বৌ। আমি কোন অজুহাত শুনতে চাইনা, ১০ মিনিটের মধ্যে নাস্তা যেন তৈরি হয়ে যায়। ( কথাটা বলে শান্ত মসজিদে চলে গেলো )
— তুলি নামাজ পরে রান্না ঘরে গিয়ে শান্তকে বকতে লাগলো,,
তুলি : বজ্জাত devil টা আমাকে কাজের বুয়া বানিয়ে দিছে। এতো রান্না খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে কাজের বুয়াকে বিয়ে করলে তো পারতো, আমাকে কাজের বুয়া বানানোর কি দরকার ছিলো?
নদী : তুই এতো বকবক করছিস কেন?
তুলি : ফাজিল মেয়ে তোর কারনে আজকে আমি কাজের বুয়া হয়ে গেছি, রানা ঠিক বলেছিলো devil টা আমাকে কাজের বুয়া বানিয়ে দিবে। ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
নদী : ভাইয়া এখনি চলে আসবে, এসে যদি তোর এই বকবক শুনে রেগে যাবে। তুই যা আমি নাস্তা বানাচ্ছি
তুলি : শুনলে কি হবে, এটা দেখছিস ( চুরি দেখিয়ে ) এটা দিয়ে ঐ জিরাফটার গলা কাটবো, কেটে টুকরা টুকরা করে রান্না করে খাবো। এতো রাগ আসে কোথা থেকে আজকে দেখবো? আজকে আমার ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে ( রাগে গজগজ করে কথাগুলো বলছিলো )
শান্ত : তোমার ধৈর্য শেষ? আমার তো মনে হচ্ছে তোমার এই ব্যাবহারে আমার ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে ( পেছন থেকে )
নদী : ভাইয়া হয়েছে কি,,,
শান্ত : আমি তোকে বলিনি
তুলি : স্যা,,,স্যার আমি আপনাকে কেন বলতে যাবো, আমিতো এগুলো রানাকে বলছিলাম ( ভয়ে এখনি কেঁদে দেবে )
শান্ত : এতক্ষণতো রাগে গজগজ করছিলে, আবার এখনি মনে হয় কেঁদে দিবে ( ভ্রু কুচকে )
তুলি : না মানে,,( কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা ) শান্ত : নাস্তা তৈরি হয়েছে?
তুলি : না ( মাথা নেড়ে )
শান্ত : যদি তোমার বকবক শেষ হয়, তাহলে নাস্তা বানাতে পারো ( কথাটা বলে শান্ত চলে গেলো )
নদী : তুলি ভাইয়ার কি হয়েছে? ( চিন্তিত হয়ে )
তুলি : দেখছিস না এনাকন্ডাটা তো ঠিকি আছে।
নদী : আরে আমি এটা বলিনি, বলছি যে ভাইয়া তোর উপর রাগ হয়নি… how strange
তুলি : ঐ তুই আমার দোস্ত নাকি দুশমন একেতো এই জিরাফটার গলায় আমাকে ঝুলিয়ে দিলি এখন বলছিস রাগ করেনি কেন? ( রেগে গিয়ে )
নদী : তুই আসলেই পাগল, তোর জায়গায় যদি অন্যকেউ থাকতো দুই গালে দুইটা চড় বসিয়ে দিতো। ভাইয়াকে আমি চিনি
তুলি : ঠিক বলেছিস রে,, ( নিজের গালে হাত দিয়ে ) সাধে কি আর
নদী : আমার মনে হয় নিজের রাগ control করতে চেষ্টা করছে।
তুলি : হুম, এখন যদি নাস্তা না বানাই ঠিকি দুগালে চড় বসিয়ে দিবে।
— নাস্তা শেষ করে ঘর গুছিয়ে রুমে গিয়ে দেখি ওনি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,,,
শান্ত : ১০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নাও ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য।
তুলি : কেন?
শান্ত : তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো এটা তোমার ভুল ধারনা।
তুলি : স্যার আজকে আমি অনেক কাজ করে খেয়েছি।
শান্ত : আমি এই কাজের কথা বলিনি ( রাগি গলায় )
তুলি : শরীরটা কান্ত লাগছে, আজকে যাবোনা।
শান্ত : আমি কোন অজুহাত শুনতে চাইনা, গাড়িতে wait করছি তাড়াতাড়ি আসো ( বলেই চলে গেলো )
— সকাল থেকে কাজ করতে করতে আমি কাজের বুয়া হয়ে গেছি, এখন আবার ভার্সিটিতে যেতে হবে। ঐ বজ্জাত devil এর কারনে আমার জীবনে যে আরো কত কি দেখতে হবে,,,
চলবে,,,