Devil love part-15

0
4449

Devil love part-15
#writer_kabbo_Mahmud


সুমিঃ আরে আপু তুই(দরজা খুলে)
,
তানিশাঃ হুম কোন সমস্যা??
,
সুমিঃ কী যে বলিস সমস্যা হবে কেন??
,
তানিশাঃ তাহলে জিজ্ঞেস করছিস কেন??
,
কাব্যঃ উফ্ তানিশা থামো,আর সুমি শুধু আপুকে দেখে অবাক হলেই হবে আমি নেই???
,
সুমিঃ কী যে বলেন দুলাভাই, কে বলল নেই,আচ্ছা ভিতরে আসুন
,
কাব্যঃ আর দুলাভাই থাকব না(ভিতরে যেতে যেতে)
,
সুমিঃ মানে(দাড়িয়ে যেয়ে)
,
তানিশাঃ ওই যাতো এখন, খুব ক্লান্ত আছি, এসব পরে হবে(তানিশা কাব্যকে তার বাবা-মার সাথে কথা বলতে না দিয়ে হাত ধরে নিয়ে তার রুমে চলে যাই,)
,
–রুমে এসে—
তানিশাঃ সত্যি কী আমাকে বিয়ে করবেন না??(বিছানায় বসে)
,
কাব্যঃ কেন?তুমি কী করবে নাকি??
,
তানিশাঃ না আমি সেটা বোঝাতে চাইছি না,আপনি যে আমাকে এভাবে বলে দিলেন আমাকে বিয়ে করবেন না,কিন্ত এর আগে আমি তো অনেকবার বলেছিলাম যে আমি বিয়ে করব না তখন তো শুনলেন না,
,
কাব্যঃ হুম শুনিনি,ভেবেছিলাম তুমি মেনে নেবে কিন্ত তোমার একটি কথাই আমি বুঝি যে সবারই একটা ইচ্ছা বা স্বাধীনতা থাকে তাই আমি সেটা তোমাকে দিলাম
,
তানিশাঃ wowwww তারমানে আমার ভেতরে এই গুনটাও আছে?(আনন্দ পেয়ে)
,
কাব্যঃ মানে??
,
তানিশাঃ মানে! জানেন আমার ভেতরে ২টি গুন আছে?
,
কাব্যঃ কী??
,
তানিশাঃ ১ম টি- হলো,আমার বাসাই সুমি কোথাই চকলেট লুকিয়ে রেখেছে সেটা বলে দিতে পারব
২টি হলো-এইযে আমি নিজের স্বাধীনতা বুঝে নিতে পেরেছি, আপনিই বলুন এগুলো যেকোন মানুষ পারে??
,
কাব্যঃ (তানিশার কথা শুনে কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না)
,
তানিশাঃ কী হলো কিছু বলুন!!
,
কাব্যঃ হুম খুব ভালো, আচ্ছা এবার নিচে যাই বাবা-মা সবাই অপেক্ষা করছে, তাদের সাথে কোন কথা বলা হয় নিই””
,
তানিশাঃ হুম, আপনি যান আমি একটু পর আসছি, রুমটা একটু দেখে নিই, কতদিন পর দেখছি(হেঁসে)
,
কাব্যঃ হুম আচ্ছা (কাব্য নিচে চলে আসে)
,
কাব্যঃ আসসালামু আলাইকুম বাবা ভালো আছেন??(নিচে এসে)
,
বাবাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,ভালো আছি বাবা, তুমি ভালো আছো তো?
,
কাব্যঃ জ্বী ভালো আছি,মা কোথাই??
,
বাবাঃ তোমার মাতো মনে হয় রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে, আচ্ছা
তা কোন সমস্যা হয় নি তো আমার মেয়েকে নিয়ে?? ও যা দুষ্টুমি করে আমার তো মনে হয় তুমি বিরক্ত হয়ে গিয়েছ?
,
কাব্য: না তেমন কোন দুষ্টুমি করেনি,,আর সেভাবে কোন প্রব্লেমও হয় নি,,নিজেদের খুব ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি।
,
বাবাঃ মানে???
,
কাব্যঃ মানে হলো বাবা কিছু মনে করবেন না – আমি কারোর অনিচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে চাই না বাবা,আমি শুধু একটা কথা বলতে চাই আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই না,কীসের জন্য বা কী কারণ এসব বলতে পারব না,(মাথা নিচু করে)
,
বাবাঃ এটা কেমন কথা আর এসব কেন বলছ??
,
মাঃ আসলেই এসব কী কথা আর তুমি এসব কেন বলছ(সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় সব কথা শুনেছে)
,
কাব্যঃ আমি ঠিকই বলছি মা,আমি এই বিয়ে করতে পারব না
,
বাবাঃ দেখ বাবা আমার মনে হয় ও তোমাকে কোনভাবে কিছু বলে হার্ট করেছে, যার জন্য তুমি এসব বলছ
,
কাব্যঃ না ও কিছু বলেনি আমায়,,,কিন্ত আমি আপনার মেয়েকেই কিন্ত বিয়ে করব(মুচকি হেসে)
,
বাবাঃ মানে(অবাক হয়ে)
,
মাঃ এটা কেমন কথা??
,
কাব্যঃ হুম, আপনার মেয়ে আমাকে ভালবাসে না ও একজনকে ভালবাসে
,
বাবাঃ কে সে(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
,
কাব্যঃ (তারপর তানিশার বাবা মাকে সব বলে,যে সে রোজ কাব্য নামে একজন এর গল্প পড়তে পড়তে তাকে পছন্দ করে ফেলে, আর তখন থেকে তার জন্যই তানিশা পাগল,,,,কিন্ত তানিশা জানেনা যে সেই কাব্য আর এই কাব্য এক)
,
–তানিশার বাবা তো কাব্যর কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছে,আর তানিশার মা তো জানত এসব কারণ সুমির কাছে থেকে সব জেনেছিল কিন্ত সেভাবে জানত না যে কাব্যই লিখত তাদের একটা আন্দাজ ছিল যে এই কাব্যই সে কাব্য?
,
বাবাঃ এই জন্যই বলি আমার মেয়ে কখন কী করতে কী করে বসে তার ঠিক নেই,
,
কাব্যঃ হুম,যা করেছে ভালোই করেছে?এবার বলুন কী করা যাই,,,যাই করি তানিশাকে বলা যাবে না,,
,
বাবাঃ হুম যা করার আমাদেরই করতে হবে কী বলো গিন্নি??
,
মাঃ হুম,,, আমারো তাই মনে হয়,
,
কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে কী করা যাই সেটা তো বুঝতেই পারছেন,আর যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে তানিশাকে কিছু বলা যাবে না যে আমিই সেই, তাকে এটা বলবেন যে তার বিয়ে ওই লেখক কাব্যর সাথেই হচ্ছে,,
,
বাবাঃ হুম,,, সব ব্যাবস্থা করে ফেলতে হবে,
,
মাঃ আচ্ছা সব হবে,গল্পই করে যাচ্ছি,,,lunch time হয়ে গিয়েছে,,চলো সবাই
,
—সবাই মিলে খাওয়ার টেবিলে বসে, কিন্ত সুমি+,তানিশা কই??
,
মাঃ এইযে আমার দুই গুনবতী মেয়ে নিচে এসে খেয়ে যাও(নিচে থেকে ডাকল)
,
—তারপর তারা দুজন নেবে চেয়ারে বসল
,
মাঃ এতক্ষন সব কী করছিলে তোমরা??
,
সুমিঃ আমার তো সামনে এক্সাম তাই ব্যাস্ত থাকছি
,
তানিশাঃ আর আমি তো অনেক দিন পর আমার রুমটা দেখলাম তাই একটু খেয়াল করে দেখলাম কোন শাকচুন্নি আমার রুমে নজর দিয়েছিল কিনা””””
,
সুমিঃ আপু আমি কিন্ত ভালো করে বুঝতে পারছি তুমি কী বলতে চাইছো??
,
তানিশাঃ বুঝেছিস তো ভালো, আমার কপাল ভালো যে সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম বলে বুঝতে পেরেছি
,
সুমিঃ আপুউউউউউ(রেগে গিয়ে)
,
বাবাঃ আহ্ চুপ করবে তোমরা, খেতে খেতে কথা কেন?
,
সুমিঃ বাবা তুমি কিছু বলছ না কেন?
,
বাবাঃ আমার কিছু বলার নেই তোমরা চুপ কর
,
–দুজনেই চুপ করার পর
,
বাবাঃ কাব্য
,
কাব্যঃ জ্বী!!!
,
বাবাঃ কিছু মনে করো না, তুমি যখন আমাদের ছেলে তাহলে তোমাকে আমরা নাম ধরেই ডাকব
,
কাব্যঃ হুম এতে আবার পারমিশন নেওয়া লাগে?
,
তানিশাঃ ছেলে মানে???ও কোন দিক দিয়ে তোমাদের ছেলে বাবা??
,
বাবাঃ সেসব তোমাকে বুঝতে হবে না, চুপ করে খেয়ে রুমে যাও(ঝাড়ি দিয়ে)
,
–তানিশা আর কোন কথা না বলে চুপচাপ খেতে লাগল
,
বাবাঃ আচ্ছা কাব্য তোমার বাবার অফিসের কাজ কেমন কী,আমাকে তো যেতে নিষেধ করে দিয়েছে, সারাদিন বাসাই বসে থাকি,বলেছে এখন আমার বসে থাকার সময় যা করার জামাই করবে
,
তানিশাঃ জামাই করবে মানে???কে জামাই? আর চাকরি না করলে টাকা কোথাই পাবে??(খাওয়া বন্ধ করে)
,
বাবাঃ সেসব তোমাকে চিন্তা করতে হবে না!
,
তানিশাঃ আর আপনাকে আমি যা বলতে বলেছিলাম।আপনি বলেন নি???
,
বাবাঃ (তানিশার বাবা অবাক হয়ে) তারমানে এসব তুমিই বলতে বলেছ??
,
তানিশাঃ না ম্মান্নেএএএএ(তুঁতলিয়ে)
,
বাবাঃ কী না মানে না মানে??সোজাসুজি বলো
,
কাব্যঃ থাক না বাবা এখন এসব,আপনিও না,?
,
বাবাঃ হুম বাদ দিলাম,
,
কাব্যঃ অফিস এর দেখা শোনা আবির করে আব্বুর পাশাপাশি ও আমাদের পরিবারের একজন সন্তান এর দায়িত্ব পালন করে,আর ও আমার ফ্রেন্ড হলেও আমি তাকে আমার পরিবারেরই একজন ভাবি
,
বাবাঃ হুম বুঝলাম,
,
মাঃ আরেকটু দিই (খাবার দিতে যেয়ে)
,
কাব্যঃ না মা আর না,,, খুব হয়েছে?
,
*-এদিকে তানিশা তো রেগেমেগে আগুন, কাব্য তার মা-বাবাকে এতো আপন করে নিয়েছে যে তার সাথে কোন কথা বলছে না,আর সুমি তো সব দেখে চলেছে তার যেহেতু এসবে কোন কথা না বললেই চলবে

–অত,এব খাওয়ার সময় শেষ
,
–কাব্য ও তার শশুর-শাশুড়ি একসাথে মিলে তাদের পরিবার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলে হাসাহাসি করে
,
আর তানিশা ও সুমি দুজনে রুমে চলে গেছে
,,
কাব্যঃ আচ্ছা বাবা আমাকে এবার যেতে হবে
,
মাঃ সে কী আজকের দিনটা থেকে যাও
,
কাব্যঃ না মা, অনেকদিন হলো বাসাই যাই নি, আর সব কী করছে খবর নিয়েছি কিন্ত কাউকে এখনো দেখি নি
,
বাবাঃ আচ্ছা আর নিষেধ করব না
,
কাব্যঃ হুম আর আপনারা তানিশার সাথে কথা বলবেন যা বলতে হবে জানেনই তো
,
বাবাঃ হুম চিন্তা কর না
,
কাব্যঃ হুম, যাই তাহলে
,
মাঃ হুম,যাই বলতে নেই বল আসি
,
কাব্যঃ হুম আসি(মুচকি হাসি দিয়ে)

+/কাব্য সবার সাথে বিদাই নিয়ে বাসাই রওনা দিল,,

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে