Dark Mystery পর্ব-০২

0
140

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_2
#Sabrina_Summa

ইরফান এসে ছাতা ধরলো।
মিস সিক্রেট ছাতা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললো, ” গেট লস্ট ফ্রম হেয়ার। ”
ইরফান : বাট ম্যাম…
মিস সিক্রেট রেগে বললো, ” আই সেইড গেট লস্ট। ইউ কান্ট হেয়ার? ”
ইরফান : সরি ম্যাম। বাট প্লিজ ম্যাম…
মিস সিক্রেট রাগী চোখে তাকাতেই থেমে গেল ইরফান। সাথে সাথে মাথা নিচুও করে ফেললো। মিস সিক্রেট কিছুক্ষণ রাগী চোখে তাকিয়ে থেকে বললো, ” কোনো কাজ আছে? ”
ইরফান : ইয়েস ম্যাম।
মিস সিক্রেট : ওকে। গাড়ি বের করো। আগে বাসায় যাবো। তারপর অন্য কোথাও।
ইরফান গাড়ি নিয়ে এলো। মিস সিক্রেট ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে বললো, ” কী কাজ? ”
ইরফান : আপনি একটা গোয়েন্দা টিমের সদস্য না। সেখানে কেউ বেঈমানী করছে বলে ধারণা।
মিস সিক্রেট : ওকে, আমি দেখছি। বিকেলে মিটিং ডাকো।
ইরফান তাকে একটি পাবলিক ওয়াশ রুমের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। মিস সিক্রেট ভিতরে গেলো তবে তাকে বের হতে দেখা গেলো না।

বিকেলে.,.

সবাই বসে আছে তবে মিস সিক্রেট আসছে না। সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মিস সিক্রেট চলে এলো। সবাই দাঁড়ালো তবে একজন বাদে সে হলো রাজিব খান। নাম করা গোয়েন্দা।
সবাইকে বসতে বলে মিস সিক্রেট নিজেও বসলো।
রাজিব খান তিরস্কার করে বললো, ” আমি তো ভাবলাম আপনি আমাদের ডেকে নিজেই পালিয়ে গেলেন। ”
মিস সিক্রেট : আমি না আসলেই তো আপনি খুশি হতেন। আমার জায়গাটা আপনি পেতেন !
রাজিব চুপ হয়ে গেলো। বাকি সবাই মুখ লুকিয়ে হাসলো।
মিস সিক্রেট : হোয়াট ইভার। কারেন্ট নিউজ কী? পাওয়া গেল?
— “ইয়েস, ম্যাম। তারা বড় ডিল পেয়েছে সোমবারে কেরানীগঞ্জের বড় বাড়িটায় সকলে মিট করবে।
কখন অ্যাটাক করলে ভালো হয় ম্যাম? ”
মিস সিক্রেট : বিকেলেই করি। কী বলেন রাজিব স্যার?
রাজিব থতমত খেয়ে বললো, ” আপনি যা ভালো বুঝেন। ”
মিস সিক্রেট : তবে এ কথায় রইলো।
তাই বলে উঠে চলে গেলো। রুমের বাহিরে চলে আসতেই ইরফান বললো, ” ম্যাম, বেঈমানীর বিষয়টা! ”
মিস সিক্রেট গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললো, ” সবে আজ শনিবার। এত ব্যস্ত হচ্ছো কেন? ”
ইরফান : ম্যাম, যদি বলে দেয়।
মিস সিক্রেট : প্ল্যান বি তো আছেই। আচ্ছা এগুলো বাদ দেও৷ আরো কোনো কাজ আছে?
ইরফান : আজ নেই। তবে কাল একটা ইন্টারভিউ দিতে হবে আপনাকে।
মিস সিক্রেট : কেন? আই মিন কী উপলক্ষ্যে?
ইরফান : ম্যাম সাংবাদিকদের কাজ কি! শুধু শুধু বিরক্ত করা। আর পাবলিক তো আপনার পিছেই পড়ে আছে তাই।
মিস সিক্রেট : ওকে। বাট বেশি টাইম দিতে পারবো না।
ইরফান : আপনি রাজি হয়েছেন এইতো অনেক!
মিস সিক্রেট নিজের এপার্টমেন্টে চলে গেলো। সারাদিন খুব ধকল যায় প্রতিদিনই। আজ তো বৃষ্টিতে ভিজেছে কে জানে জ্বর চলে আসে কিনা!

সকাল.,.

মন্ত্রীর বাগানে বসে আছে মিস সিক্রেট, মাহির, রাগিনী।
আশেপাশে কিছু বডিগার্ড ও কিছু সাংবাদিক।
মাহফুজ চৌধুরী বক্তৃতা দিচ্ছে। সবাই খুব মন দিয়ে শুনছে। শুধু রাগিনী বেগম বাদে। তার এসব ভালো লাগে না। সারাদিন ছেলে ও স্বামীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখেই তার দিন যায়।
এরই মাঝে মাহফুজ চৌধুরীর বক্তৃতা শেষ হলো। এরপর মাহিরের স্থান হলেও সবাই মিস সিক্রেটকে এই স্থান দেয় কারণ সে দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার ভালো কাজের জন্য সবাই তাকে পছন্দ করে। তাছাড়াও মিস সিক্রেট মন্ত্রীর ডান হাত। বডিগার্ডও বলা চলে। মাহফুজ চৌধুরী কোনো কাজ করেন না মিস সিক্রেটের পরামর্শ ছাড়া।
মিস সিক্রেট মাইকের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে কিছু ফর্মাল কথা শেষ করে বললো,” আপনারা প্রশ্ন করুন আমি উত্তর দিচ্ছি। ”
এতে কেউ অবাক হলো না কারণ এটা প্রায়ই করে মিস সিক্রেট। সে কখনো বক্তৃতা দেয় না।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করছে। মিস সিক্রেটও খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে উত্তর দিচ্ছে।
হঠাৎই একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলো, ” ম্যাম আপনাকে আর তাশরিফ স্যারকে কী কখনো একসাথে দেখা যাবে? ”
সেই সাংবাদিকের দিকে তাকাতে গিয়ে মিস সিক্রেট খেয়াল করলো একজন স্নাইপারকে। যে তার দিকেই রাইফেল তাক করে আছে।
মিস সিক্রেট মাস্কের আড়ালে মুচকি হাসলো। তারপর ইরফান কে মেসেজ করে জানালো। এরপর সাংবাদিকের প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করে বললো, ” আমরা কোনো সিনেমার নায়ক নায়িকা নই যে একসাথে দেখার কথা বলছেন। ” বলা শেষ করে মাহিরের দিকে তাকাতেই চোখাচোখি হলো। মিস সিক্রেট চোখ সরিয়ে স্টেজ থেকে নামতে নামতে বললো, ” তাছাড়াও ও আমার টাইপের না। ” এ কথা শুনে মাহিরের রিয়েকশন দেখার মতো। মাহির বিড়বিড় করে বললো, ” অসভ্য মহিলা তুইই আমার টাইপের না। ” ততক্ষণে মিস সিক্রেট চলে গেছে।

#চলবে.,.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে