Dangerous_Villien_Lover part 1
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
ছোঁয়া কলেজে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তা তাই হেটেই যাচ্ছে। হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ ওরনা টেনে ধরলো রেগে পেছনে তাকানোর আগেই এতো জোরে টান মারলো যে ওরনা ওর শরীরের রইল না রাস্তায় তো আর মানুষ কম থাকে না লজ্জায় কুকড়ে উঠলো ছোঁয়া। ব্যাঘ কাধেঁ থেকে নামিয়ে বুকে চেপে পেছনে ঘুরার আগেই গুলির শব্দ কানে ভেসে এলো তরিৎ গতিতে পেছনে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে গেল ছোঁয়া।
ওর সামনে একজন পরে আছে শরীরে রক্তে মাখা ভয় চোখে তাকিয়ে আছে। ছোঁয়া ছোট থেকেই রক্তে প্রচুর ভয় পায়। সামনে তাকালো কে এই কাজ করলো কে মারলো ছেলটাকে সামনে তাকিয়ে দেখলো একটা কালো গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটা চলে গেল। ছোঁয়া হতবাক হয়ে চলে যাওয়া দেখলো কে ছিলো গাড়িতে আর সে কেন বা মারলো লোকটাকে হঠাৎ লোকটার হাতের দিকে চোখ গেল।
এটা তো আমার ওরনা তাহলে এই ছেলেই আমার ওরনা টেন ধরছিল কে এ ছেলে আর কে বা ওই গাড়িতে ছিলো। হ্যা ছেলেটা আমার ওরনা ধরে অপরাধ করেছে কিন্তু তাকে এভাবে মরতে দেখে ছোঁয়ার প্রচুর কষ্ট হচ্ছে আবার ভয় ও এতো রক্ত বের হচ্ছে প্রথমে কমই ছিলো এখন আর ও বেরে যাচ্ছে আশেপাশের লোক চিৎকার করতে করতে এদিকে আসছে।
এতো রক্ত দেখে ছোঁয়া নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলো না সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারালো। পরে যাওয়ার সময় মনে হলো কেউ ওকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলো কিন্তু তার মুখটা দেখতে পেলাম না কারণ তখন আমার চোখ অন্ধকারময় হয়ে গেছে। কিছু কথার আওয়াজ কানে এসেছে।
.
.
চোখ খুলে নিজেকে বেডরুমে পেলাম। আমার মাথার কাছে আম্মু বসে আছে আমি মিটিমিটি করে তাকিয়ে পুরো ঘর চোখ বুলালাম,,,,
তা দেখে আম্মু জিগ্গেস করলো,,,, কি হয়েছে কাউকে খুজছিস।
— আম্মু আমি বাড়িতে কিভাবে আসলাম!
— একটা ফোন আসছিল তোর আববুর নাম্বারে যে তুই রাস্তা অজ্ঞান হয়ে গেছিস সেই খবর পেয়ে তোর আববু অফিস থেকে ছুটে চলে আসে।
হুম আমি জ্ঞান হারিয়ে ছিলাম মনে আছে কিন্তু তখন আমাকে জরিয়ে ধরলো কে সে আমাকে বলছিল,,,
জান তোমার কি হয়েছে চোখ খুল প্লিজ চোখ খুল তোমার কিছু হতে পারে না।
অনেক মায়া সেই কথায় মনে হয়েছে খুব আপন কেউ বলছে কথা গুলো কিন্তু তাকে আমি দেখতে পারি নি সে কে।
— কি রে কি ভাবছিস?
আম্মুকে কিছু বললাম না,, কিছু না আম্মু?
আম্মু আমাকে জিগ্গেস করলো ওই ছেলের কিভাবে মারা গেল আমি আবার চিন্তায় পরে গেলাম সত্যি তো কিভাবে কেন কে মারলো লোকটাকে আম্মু কে জানি না বলে দিলাম।
আম্মু দুধ নিয়ে এলো আমার জন্য সব চিন্তা বাদ দিয়ে দুধ না খাওয়া নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগলাম। আমার সব চেয়ে না পছন্দের জিনিস হচ্ছে দুধ অনেক বলেও আম্মুকে থামাতে পারলাম না জোর করে খাইয়ে ছারলো।
রাতে কথাগুলো ভাবছি কে ছিলো ওই গাড়িতে আর সে এই ছেলেটাকে মারলোই বা কেন আমার সাথে মিসবিভের জন্য আমি আর তো কোন দোষ দেখছি না।
অনেক ক্ষণ ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
ঘুমের ঘুরে মনে হচ্ছে খুব নরম কিছু ছোঁয়া আমার কপালে গালে, আস্তে আস্তে সারা মুখে পাচ্ছি। আচমকা চোখ খুলে তাকালাম রুমে পুরো অন্ধকার হাত বাড়িয়ে ফোন খুজছি হঠাৎ একটা ছায়া দেখতে পেলাম যেটা আমার পাশে এসে বসলো আমি সঙ্গে উঠে ভালো করে ফোন খুজছি যেই আলো জালাতে যাবো ছায়াটা আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে নিলো।
এবার আমি সিউর কেউ আছে এ ঘরে কিন্তু কে আমি ভয়ে কথা বলতে পারছি না তবুও অনেক কষ্টে কে বললাম কিন্তু কোন সারা শব্দ নেয়।
আমি চিৎকার করতে যাবো হঠাৎ একটা হাত আমার মুখ চেপে ধরলো ভয়ে আমি ঘেমে একাকার। এতো ভয় জীবনে আজই ফাস্ট পাচ্ছি। ভয়ে কান্না করে দিলাম।
— চিৎকার করো না সবাই তাহলে জেগে যাবে মায়াবতী।
আমি উম উম করছি।
হঠাৎ আমার মুখে থেকে হাত সরিয়ে নিলো আমি তো আর একটু হলে মরেই যেতাম জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম,,,,
কিছু বলবো তার আগে এমন কিছু করবে আমি শক হয়ে আছি এতোটাই শক হয়েছি যে নরতে ভুলে গেছি যখন বুঝতে পারলাম,, কিল গুসি দিতে লাগলাম কিন্তু ছারছেই না।
চলবে……….?