Dangerous_Villian_Lover
part 5
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
রাহুল ছোঁয়া কে কোলে করে হসপিটালের বাইরে আসতে লাগে। আশেপাশের সবাই অবাক হয়ে দেখছে।
ছোঁয়া : ছারুন আমাকে নিচে নামান বলছি।
রাহুল : ওফ জান এতো নরো না তো তুমিই পরে ব্যাথা পাবে চুপ চাপ থাক তো।
বলেই রাহুল আরও শক্ত করে ধরে ছোঁয়া কে ছোঁয়া রেগে তাকায় রাহুলের দিকে। কিন্তু রাহুল সে দিকে ভূখেপ না করে হাটতে লাগে। রাহুল গাড়ির কাছে আসার সাথে সাথে সবুজ এসে দরজা খুলে দেয় গাড়ির। ( সবুজ রাহুলের দলের একজন )
ছোঁয়া কি করবে ভেবে না পেয়ে আচমকা রাহুলের গলায় জোরে কামড় দিয়ে বসে। হঠাৎ এমন হওয়ায় রাহুলের হাত আলগা হয়ে আসে ছোঁয়া পরে যেতে নিলে ছোঁয়া ভয় পেয়ে রাহুলের গলা ঝাপটে ধরে।
— একি আপনি আমাকে এভাবে ফালাচ্ছেন কেন? ভালো করে নামিয়ে দেন নয়তো আমি পরে ব্যাথা পাবো।
রাহুলের দিকে তাকিয়ে।
— কেন জান পরে ব্যাথা পাবে কেন তুমি তো এই জন্য আমাকে কামড় দিয়েছো এখন আবার ধরে রেখেছো কেন?
— আমি এভাবে পরতে দেয় নি।
কথা বলতে বলতে রাহুল ছোঁয়া কে গাড়ির ভেতরে বসিয়ে দেয়। দরজা লাগানোতে বুঝতে পারে।
— আমাকে গাড়ির ভেতরে বসালেন কেন? আমি বাইরে নামাতে বলেছি।
রাহুল কথা কানে না নিয়ে নিজের সিটে উঠে বসে আর ওর লোকদের জেসিকে নিয়ে আসতে বলে।
ছোঁয়া নানা কথা বলেই যাচ্ছে রাহুল তার উওর না দিয়ে গাড়ি ইস্টাট দেয়। ছোঁয়া নামতেও পারছে না কারণে গাড়ি লক করা।
— কে আপনি আর আমার সাথে এমন কেন করছেন?
— ( রাহুল ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে বাকাঁ হাসলো তারপর ছোঁয়ার হাত একটা নিজের হাতে ভাঝে নিয়ে গাড়ি চালাতে লাগল)
— কি হলো কথা বলছেন না কেন? কে আপনি আমার পেছনে পরেছেন কেন আর এখন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। আমি বাড়ি যাবো আমার গাড়ি কোথায়?
— মায়াবতী তুমি এতো প্রশ্ন করলে আমি কোনটির উওর দেবো বলো তো।
— আপনি সব গুলোর উওর দেন আর জেসি কই ওর যদি কোন ক্ষতি করেছেন আপনাকে আমি ছারবো না।
— আমি তো তাই চাই জান তুমি আমাকে কখনো ছেরো না। আর কারো কোন ক্ষতি হবে না বুঝছো এখন চিন্তা বাদ দাও।
— আপনি কি আমাকে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। একটু আগে তো একজনকে মেরে ফেলেন আপনি ভিলেন।
রাহুল সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ব্রেক করে তারপর ছোঁয়ার হাত ধরে টেনে নিজের কোলের উপর বসিয়ে দেয়। ছোঁয়ার তো অসহ্য লাগছে এসব করায় উঠে আসতে ও পারছে না দুই হাতের মাঝে বন্ধি হয়ে আছে।
— জান কি বলো তুমি আমি তোমাকে মারবো। এটা তো কখনো সম্ভব না তোমার কিছু হলে আমি বাচবো কি করে। তোমার শরীরে তো কেউ ফুলের টোকা ও দিতে পারবো না এই রাহুল যত দিন বেচে আছে।
ছোঁয়ার গালে হাত দিয়ে নরম কণ্ঠে কথা গুলো বলছিল রাহুল। ছোঁয়া এতোক্ষণে খেয়াল করলো ছেলে দেখতে অনেক সুন্দর গালে খোচাখোচা দাড়ি। ফর্সা গায়ের রং আর কালো ড্রেস দেখতে যতটা সুন্দর ড্রেস টা ততোটাই ভিলেন দেও।
রাহুল ছোঁয়ার কপালে একটা কিস করার সাথে সাথে ছোঁয়া ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।তারপর নিজের সিটে এসে বসে।
— আপনি এতো চিপকে কেন? খালি চুমু দেন।
বলেই কপালে হাত দিয়ে ঘষে লাগল হঠাৎ রাহুলের দিকে তাকিয়ে হাত সরিয়ে নিলো তখন মুছছিল বলে আবার দিছিলো। রাহুল এটা দেখে বাকা হেসে গাড়ি চালাতে লাগে।
ছোঁয়াদের বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায়। ছোঁয়া তো নিজের বাড়িতে এসে খুশি আত্ম হারা হ য়ে আবার চিন্তিত হয় জেসিকে নিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে জেসি এখানেই আছে বাইরে দাড়িয়ে ছোঁয়া বের হতে যাবে রাহুল ছোঁয়ার হাত ধরে আটকে দেয়।
একদম নিজের কাছে এনে কোমর জরিয়ে ধরে। বলতে লাগে,,,,,
— মায়াবতী তোমার বাড়িতে আজকের বিষয় কিছুই জানিয়ো না কেমন?
— আপনি বলবেন আর আমি শুনবো অসম্ভব আমি আববুকে সব বলবো।
— না বলবে না।
— বললাম তো বলবো আপনি উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।
— জান সে আমার কিছু করতে পারবেনা উল্টো তুমি যদি জানিয়ে দাও তাহলে তোমার আববুর ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু আমি আমার শশুর মশাইয়ের কিছু করতে চাই না তাই বলতে নিষেধ করছি। আর আমি কি করতে পারি সেটা নিশ্চয়ই শপিং মলে দেখেছো জান।
ছোঁয়া ভয় পেয়ে গেল শপিং মলের কথা মনে করে সবার সামনে লোকটাকে মেরে ফেললো অথচ কেউ কিছু বললো না। ভয়ে ভয়ে রাহুলের দিকে তাকালো।
— প্লিজ আমার আববুর কোনো ক্ষতি করবেন না।
— ওফ জান কেদো না তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না। তুমি না বললে আমি কিছু করবো না।
বলেই রাহুল ছোঁয়ার চোখের পানি মুছে দিলো। ঠোটে হালকা করে চুমু দিয়ে সরে এলো।
– যাও আর ফোন দিলে রিসিভ করো।
ছোঁয়া নেমে গেল আর রাহুল চোখে সানগ্লাস পরে চলে গেল।
জেসি: ছোঁয়া তুই ঠিক আছিস?
ছোঁয়া : হুম তুই
জেসি; হ্যা চল সবাইকে সব বলতে হবে।
ছোঁয়া : নাহ
জেসি : মানে
ছোঁয়া : কাউকে কিছু বলা যাবে না।
সব খুলে বলল।
জেসি: কি dangerous এই লোকের হাত থেকে বাচবি কি করে এ যে তোকে সহজে ছারবে না আমি নিশ্চিত।
ছোঁয়া : আমি কিছু জানি না।
ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল জেসি আর ভেতরে যায় নি চলে গেছে নিজের বাড়ি।
চলবে…….