Dangerous_Villain_Lover part 23

1
2801

Dangerous_Villain_Lover
part 23
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

রুমে বসে আছি চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরে যাচ্ছে। কিছু তেই থামাতে পারছি না রাহুলের জন্য আববুর এই অবস্থা তবুও ওর জন্য কেন কষ্ট হচ্ছে আমার কেন? যার জন্য আমি আমার আববুর সাথে কথা বলতে পারছি না। আববু নরতে পারছে না কিছু করতে পারছে না, আম্মু কষ্ট পাচ্ছে সবাই রাহুলের জন্য কষ্ট পাচ্ছে ওক আমি ঘৃণা কেন করছি না। কেন ওকে হারিয়ে আমার এতো কষ্ট হচ্ছে আজকের পর আর চাইলে ও আর রাহুলের কাছে যেতে পারবো না। আমি কি ভুল করছি, নাহ এইসব আর ভাববো না আমি কোন ভুল করছি না যা করছি সব ঠিক করছি আগে যা করেছি তা ভুল ছিলো। রাহুল নামের বিশ্বাসঘাতকে ভালোবাসাটাই আমার ভুল ছিলো।
যার সাথে ভালোবাসার পর থেকে যা জেনেছিলাম মিথ্যে ছিলো কোন সত্য ছিলো না। সে একজন মাফিয়া যার পেশা লোক ঠকানো। নির্রিহ মানুষ কে কষ্ট দেওয়া যখন যে তার বিরুদ্ধে যাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা। আববু ও প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল বিনিময়ে কি পেলে? এমন একজন মাফিয়া কে আমি ভালোবাস

একমনে কথা গুলো ভাবছিল ছোঁয়া হঠাৎ আম্মু আসে রুমে তাই ভাবনা চিন্তা বাদ দেয়। আম্মুর সাথে নিচে আসি সবাই বসে আছে আমার অপেক্ষায় ই ছিলো আমাকে নিয়ে ভাইয়ার পাশে বসতে বলে যেই বসতে যাব কেউ টান মেরে দূরে সরিয়ে নেয় আচমকা এমন হওয়ায় সবাই বসা থেকে দাড়িয়ে যায়। লোকটির দিকে তাকিয়ে আতকে উঠি এ তো আর কেউ না রাহুল। কি বিচ্ছিরি অবস্থা হয়েছে চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে আছে চোখে নিচে কালো চুল গুলো উসকো খুসকো কতো দিন ঠিক করেনি কে জানে। এমন অবস্থা একে নিজের অজান্তেই বুকে কষ্ট অনুভব করলাম জানি কেন কষ্ট হচ্ছে? হঠাৎ ভাইয়ার চিৎকার শুনে ঘুরে তাকালাম……

–তুই এখানে কি করছিস? তোর সাহস কি করে হলো ছোঁয়া হাত ধরার ছার বলছি?

–আমার সাহসের এখন ও কিছুই দেখিসনি তুই? খুব শখ না বিয়ে করার করবি ভালো কথা মেয়ের কি দেশে অভাব পরেছে যে একজন বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করছিস?

–হুয়াট কে বিবাহিত কি বলছিস তুই?

— একি তুই জানিস না? যাকে বিয়ে করছিস তার সম্পর্কে সব না জেনেই বিয়ের জন্য হ্যা করে দিয়েছিস।

–রাহুল তোর ফালতু কথা শুনার মতো সময় আমার নেই ছোঁয়া কে ছার?

— অসম্ভব ছোঁয়া কে তো কখনো ছারতে পারবো না? সি ইজ মাই সুইট ওয়াইফ বলে কথা। বউ কে কেউ ছারে বুঝি?

–বউ মানে

— বউ মানে বউ।

— অসম্ভব আমি বিশ্বাস করি না ছোঁয়া এমন কাজ কখনো করবে না।ও কাউকে না জানিয়ে এমন একটা ডিসিশন একা নিবে না।

— নিয়েছে নিবে না কি? ছোঁয়া আমাকে ভালোবাসে আমি ও তাই এটা না নেওয়ার কি আছে? আর তোর বিশ্বাস না হলে ও এটাই ঠিক আর আমি তোকে বিশ্বাস করাতে ও চাই না। তুই যে নোংরা খেলা খেলছিস খুব তারাতারি আমি তা শেষ করে দেব কিন্তু এখন ছোঁয়া আমার সাথে যাবে।

এতোক্ষণ আমি চুপ করে দুজনের কথা শুনছিলাম। এখন কিছু বলতে যাবে আম্মু আমার কাছে এসে দাড়ালো সাথে সাথে রাহুল আমার আত ছেড়ে দেয়। আর সাথে সাথে আম্মু চর দেওয়ার জন্য হাত উঠায় আমি ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নেই কিন্তু কোন কিছু না হয় তাই চোখ খুলে দেখি রাহুল আম্মুর হাত ধরে রেখেছে যা দেখে আমার মাথায় রক্ত উঠে যায় পেয়েছে কি?

— স্যরি শাশুড়ি আম্মা, এটা আমি করতে দিতে পারবো না ছোঁয়া গায়ে হাত উঠাতে আপনি পারবেন না।

–রাহুল আম্মুর হাত ছারেন। আপনার এতো বড় সাহস আমার আম্মুর সাথে এভাবে কথা বলছেন। আম্মু আমাকে যা খুশি তাই করবে মারতে ইচ্ছে হলে মারবে এতে আপনি বাধা দেওয়ার কে?

–আমি তোমার স্বামী।

–মানি না আমি একজন মাফিয়া কখনো আমার স্বামী হতে পারে না। যার জন্য আমার আববু মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে তাকে আমি কখনো স্বামী মানিনা।

–আমি তোমার আববুকে কিছু করি নি সব তো

— মিথ্যে কথা একদম বলবেন না আমি নিজে আববুর পাশে আপনাকে দেখেছি। চলে যান আমি কখনো আপনার সাথে যাব না।

— স্যরি জান আমি যেতে পারবো না তোমাকে আমার সাথে যেতেই হবে।

— নাহ কখনো না।

এবার আম্মুর দিকে তাকালাম আম্মু কিছু বলছে না অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তারপর একটা কথা বলল যাতে আমি অবাকে চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম ভাইয়া ও কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। কারণে রাহুল বিয়ের কাগজ সবাই কে দেখিয়েছে।

— আপনি আপনার বউ কে নিয়ে যান।

— আম্মু কি সব বলছো তুমি?

— স্যরি আমি কারো আম্মু না, আমার একটা মেয়ে ছিলো যে অনেক ভালো ছিলো একটু জেদি দুষ্টু ছিলো কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ছিলো না। সে যাই করুক না কেন বাবা মাকে সব বলতো। আর আমার সামনে এখন যে দাড়িয়ে আছে যে সে আমার মেয়ে না সে একজন বিশ্বাস ঘাতক যে গুন্ডার বউ। যে একাই তার বিয়ের ডিসিশন নিয়েছে আমার ভেয়ে এভাবে ডিসিশন কখনো নিতো না কখনো না আমি তোর মুখ ও দেখতে চাই না তুই আমার চোখে সামনে থেকে চলে যা। যার জন্য তোর বাবার এই অবস্থা তাকে তুই ভালোবাসি এমন দিন দেখার আগে আমার মরণ হলো নাক কেন?

ভাইয়া আমার কাছে এগিয়ে এলো। কিছু বলতে যাবে কিন্তু রাহুলের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আবার চলে গেল।

আম্মু দৌড়ে উপরে চলে গেল আমি পেছনে যেতে গেলে রাহুল হাত টেনে ধরে।সবাঈ চলে যায় কেউ রইল না পাশে।

চলবে❤

[ গল্প লেখার মন মানুষিকা হারিয়ে ফেলেছি আমি। কিছু মানুষের কথায় এতো কষ্ট হয় মন চায় আর লেখবো না কিন্তু কিছু ভালো পাঠকের জন্য আবার লিখতে বসি। গল্প শুরু যেহেতু করেছি আপনারা খারাপ বললেও আমি ডিসিশন নিয়েছি গল্প শেষ করবো। আর লেখা অফ করবো তাও না আর ও বেশি লেখবো যত সমালোচনা করার ইচ্ছে করতে পারেন সমস্যা নেই। না প্রতিবাদ করেছি না করবো। শুধু এইটুকুই বলবো আমি লেখিকা একদমই ভালো না তাই প্রচুর ভালো পাঠক/ পাঠিকারা আমার গল্প থেকে দয়া করে দশ হাত দূরে থাকুন। ]

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে