Crush যখন বর Season_3Part_7
Writer-Afnan Lara
তনু শিশিরের রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে গেলো,,
শিশির তখন শার্ট খুলতেছিলো
শিশির-কি??আসার সময় নক করা যায় না
তনু-ঢাকায় যাওয়ার আগে বলে যাওয়া যায় না
তনু ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো,,
শিশির-আমার personal matter এ আমি তোমাকে involve করতে চাই না,,তোমার ও এত জানার দরকার নেই
তনু-ওওওও তাই না???হুমম??
তনু এগিয়ে গিয়ে শিশিরের শার্টের কলার ধরে টেনে এক ধাক্কা মেরে খাটে ফেলে দিলো,,তারপর শিশির কিছু করার আগেই ওর উপরে উঠে বসলো
শিশির-এই এই কি করতেছো কি তুমি,সরো
তনু-চুপ একদম চুপ,
তনু শিশিরের মুখ চেপে ধরলো,
তনু-তোর সাহস হয় কেমনে আমাকে ignore করার জানস আমি কে??হবু মিসেস চৌধুরী,,আর একদিন এমন করবি তো তোর হাড় ভেঙে তোর কোলে ধরায় দিব,বেয়াদব ছেলে কোথাকার,আমি আর ৫টা মেয়ের মতন না যে তো এসব ফালতু ignore accept করে নিব,যা আমি পাই না তা জোর করে নেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে,,
শিশির তনুর কথা শুনে রাগে তনুকে নিচে ফেলে নিজে উপরে উঠে তনুর হাত চেপে ধরলো
তনু মোটেও প্রস্তুত ছিলো না এটার জন্য,
শিশির কথা বলতে যাবে তখন তনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর গা থেকে শাড়ী সরে গেসে,তনু ও এটা খেয়াল করে লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললো
শিশির তনুকে ছেড়ে দিয়ে উঠে গেলো
তনু উঠে শাড়ী ঠিক করে বেরিয়ে চলে গেলো,,
শিশির কিছুটা শক খেয়েছে,,এত dangerous, না আর যাই হোক একটা ছেলের সাথে কখনও পেরে উঠবে না,,
শিশির fresh হতে চলে গেলো,, fresh হয়ে বাইরে বেরিয়ে চারিদিক দেখতে থাকলো
মা-কি দেখস?তোর বউ চলে গেসে
শিশির হকচকিয়ে বললো
শিশির-আমি ওরে খুঁজতেছি না
মা-হুম তা তো দেখতেছিই
শিশির -হয়সে বাদ দাও,আমার ক্ষিধা পেয়েছে
মা মুচকি হেসে শিশিরকে খেতে দিলো,,
পরেরদিন ♥♥♥
মা শিশির তনু আর তনুর মা গেলো shopping করতে,,
তনু একটা শাড়ী নিয়ে শিশিরের দিকে তাকালো,শিশির না দেখার ভান করে আরেক দিকে তাকিয়ে রইলো, তনু আরেকটা শাড়ী নিয়ে শিশিরের সামনে এসে দাঁড়ালো,তাও শিশির তাকালো না দেখে তনু রেগে গিয়ে শিশিরের পা মাড়িয়ে দিলো নিজের পা দিয়ে,
শিশির-আউচচচচ!
তনু-জানু,এটাতে আমায় ভালো লাগে বলো?
শিশির-যাও এখান থেকে
তনু -আরও একটা দিব নাকি
শিশির-আগেরটা বেটার ছিলো,,
তনু-উম্মমাহহ thanku
শিশির -?
মা-কিরে পছন্দ হলো তোদের
তনু-হুম, কিন্তু তোমার ছেলে দেখো দাঁড়িয়ে ফোন টিপতেছে,
মা-শিশির?
শিশির-হ্যাঁ বলো
মা-তনু তুই পছন্দ করে দে
তনু পছন্দ করে একটা পাঞ্জাবি নিলো,,
শিশিরের মা আর তনুর মা রাস্তায় নেমে গেলো কিছু গয়না কেনার আছে ইচ্ছে করেই নামলো ওদেরকে একটু টাইম দেওয়ার জন্য
শিশির চুইং গাম নিলো হাতে তনু থাবা দিয়ে নিয়ে নিলো,,
শিশির কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো
শিশির-আমার জিনিসে হাত দেওয়া আমি লাইক করি না
তনু-আমাকে না দিয়ে খাওয়াও আমি লাইক করি না,,হয় একসাথে খামু নয় তো না খেয়ে থাকমু,তনু চুইংগাম ২ভাগ করে ১ভাগ শিশিরের মুখে ঢুকিয়ে দিলো,মেয়েটা এমন এমন এমন কাজ করে যার জন্য আমি প্রস্তুত থাকি না,সারাটা জীবন কি করবে আল্লাহ জানে
তনু-কি ভাবেন এতো,আপনার বাতাসার থুক্কু নাতাশার কি খবর,তাকেই তো দেখতে গেসিলেন ঢাকায়
শিশির-???
তনু-যাই হোক,বিয়ের পর এই বাতাসারে আমি গরম পানিতে ভিজায় রাখমু then গলে যাবে,,I mean কোমা থেকে চলে আসবে,আপনার ও আর দেখতে যেতে হবে না
শিশির-ও ভালো হয়ে গেলে আমি ওরে বিয়ে করে আনবো
তনু-তাই নাকি,তাহলে হাইকোর্টে মামলা করবো,আমার ও হবেন না ঐ নাতাশার ও হবেন না,,জেলে বসে তাকাই দেখবেন বুঝছেন
শিশির- ??????????
তনু-??????
তনু-আচ্ছা একটা কথা বলেন
শিশির-কি
তনু-বাতাসা সত্যি সত্যি কোমায় তো??
শিশির-কি বলতে চাও তুমি
তনু-আসলে আপনাকে বোকা বানানো খুব সোজা,আমার মনে হচ্ছে বাতাসা সত্যি কোমায় না
শিশির-আমি বোকা?
তনু-হুম,না হলে তাকিয়ে দেখেন আমার হাত কোথায়
শিশির নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর হাঁটুতে তনুর হাত,এটা দেখে শিশিরের কাশ উঠে গেলো,তনু পানির বোতল এগিয়ে দিলো
তনু-যাই হোক,বিয়ের পর ঐ বাতাসার কেস আমি solve করবো,এখন শুধু বিয়েটা হোক,,
শিশির তনুকে বাসায় নামিয়ে দিলো,,
তারপর না তাকিয়েই চলে গেলো
তনু-সব কিছুর প্রতিশোধ নিব আমি,বিয়ে হোক
রাত ১১:৫৫মিনিট ♥♥
শিশির ফোন রেখে চোখ বুজে শুয়ে আছে,হঠাৎ ঠাস করে শব্দ হলো বারান্দায়,
শিশির উঠে গেলো দেখতে,,নিচ থেকে একটা হাত শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরে উপরে উঠে এলো,,
শিশির কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে গলা থেকে হাত সরিয়ে নিতে নিলো তনু চিৎকার দিয়ে শিশিরকে ভালো করে ধরলো,
শিশির-তনু???
শিশির তনুকে টেনে তুলে আনলো
তনু-এই কোনো কান্ডজ্ঞান নেই আপনার???আমাকে ফেলে দিচ্ছিলেন কেন
শিশির-তুমি এত রাতে এখানে আসছো কেন??আর তুমি একা আসছো এত রাতে?
তনু-না,,রনি(তনুর ভাই) দিয়ে গেসে আমাকে.ও নিচে
শিশির-কেন আসলা এখানে??কোন ধরনের অভদ্রতা
তনু-চুপ
তনু প্যাকেট একটা নিয়ে শিশিরের খাটের মাঝখানে গিয়ে বসলো
শিশির-কি??আজব
তনু-চুপ,একদম চুপ
তনু-ইয়েইয়েইয়ে Happy birthday to me???????????????.Adult হইয়া গেসি,
এটা বলেই তনু শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরলো,সাথে সাথে শিশির ছাড়িয়ে দিলো
শিশির-don’t touch me?,
তনু-wish করো নইলে ছুরি পেটে ঢুকিয়ে দিব
শিশির-তোমার এত সাহস নেই
তনু-হুম,আপনার পেটে ঢুকানোর সাহস আমার নেই তবে আমার পেটে ঢুকাতে পারি তাই বললাম
শিশির-তুমি আসলেই পাগল,উশৃঙখল একটা মেয়ে
তনু-wish?
শিশির-Okh,Happy birthday
তনু-উম্মাহ,তনু কেক কাটলো
শিশির মনে মনে ভাবলো কেক খাওয়তে আসলো খাবো না
তনু কেক কেটে সবটা নিজের মুখে পুরে নিলো,,
তনু-আহা চকলেট কেক আমার খুব প্রিয়,
তনু এক পিস বাইরে রেখে বাকি গুলা নিয়ে ভিতরে চলে গেলো
শিশির-এই এই দাঁড়াও কই যাচ্ছ তুমি
তনু গিয়ে ফ্রিজে কেক রাখলো
তনু-কাল আপনার আম্মু আব্বুরে এগুলা দিবেন,
কাল তো আমাদের গায়ে হলুদ,,
তনু রুমে এসে কেক নিয়ে বসে রইলো
শিশির-এটাও maybe খেয়ে ফেলবে,
শিশির ফোন নিয়ে বসলো,আর তনু খপ করে ধরে শিশিরের মুখে কেক ঢুকিয়ে দিলো
তনু-ব্যস আমারর কাজ শেষ,,জন্মদিন টা আপনাকে দিয়ে শুরু করলাম,,বাই জামাই,কাল দেখা হবে
শিশির পানি দিয়ে কেক গিললো,,
তনু-জামাই আমাকে ধরো নিচে নামতে গেলে নইলে পড়ে যাব
শিশির -ধরবো না
তনু-চিল্লাবো?
শিশির -আচ্ছা ধরতেছি,
তনু নিচে নামলো বারান্দা দিয়ে
তনু-বাই বাই
শিশির হঠাৎ মুচকি হেসে দিলো,একটা পাগল মেয়ে,যার বাইরের জগৎ এর প্রতি কোনো interest নেই,যেন আমিই তার সবটা জুড়ে,যাই হোক আমার সবটা জুড়ে নাতাশা,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_8
পরেরদিন হইহুল্লড় শুরু হয়ে গেলো,,শিশির পাঞ্জাবি পড়ে বসে আছে মুখ গোমড়া করে
মা-শিশির এসব কি,হাসি মুখে থাক,
শিশির তাও হাসলো না,,সবাই গাড়ীতে উঠলো,,Party center এ যাওয়ার জন্য,,
মীম-ভাইয়া দেখ দেখ তনু ভাবীকে কি সুন্দর লাগতেছে
শিশির তাকালো না
মা-শিশির তুই এমন করলে কিন্তু আমি ভাত খাবোই না
শিশির-তোমার ভালোর জন্যই আমি বিয়েটা করতেছি,আর চাপ দিও না আমাকে প্লিস
শিশির এসে stage এ বসলো,
সবাই মিলে জড়ো হয়ে শিশিরের ছবি তুলতেছে,বউকে কে দেখবে সবাই পারে না শিশিরকে নিয়েই চলে যায়,,
পাঞ্জাবি তে যা দেখতে লাগতেছে,,তনু না জানি বেহুশ হয় এটা বলেই কয়েকজন হাসতে হাসতে শেষ
তনুকে আনা হলো,,হলুদ শাড়ী পড়ে আছে,মুখ তুলে শিশিরকে দেখে তনুর মুখে হাসি ফুটলো,এত খুশি হলো আর এত crush খেয়ে গেলো মনে হলো এখনই পড়ে যাবে,,মীম ধরলো
মীম-ভাইয়া ভাবী তো তোরে দেখে জ্ঞান হারানো অবস্থা এবার তুই তাকিয়ে আমাদের উদ্ধার কর
শিশির তাকাচ্ছে না দেখে মা জোর করে ওর থুতনি ধরে মুখ উঁচু করলো তখনই তনু চোখ মেরে দিলো
চোখ মারা দেখে শিশিরের কাশ উঠে গেলো,রনি এসে শরবত দিলো শিশিরকে,
তনু গিয়ে গা ঘেঁষে বসলো শিশিরের,এই অবস্থায় শিশিরের খুব অসস্থি লাগতেছে,,নড়তে পারতেছে না,,মা বকবে,মা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে শিশিরের দিকে
তনুর মা-এই শুনো তোমার মেয়েকে একটু থামাও দেখো না কেমন জামাইর গা ঘেঁষে বসে আছে,লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে নাকি
বাবা-আমি কি বলবো,,
গান বাজানো শুরু হলো
Te-Te-Tere vargi na pind vich duji
Punjabi koi chick mahiya
Kyun tu khidki te baithi sharmaye
Barande utte dikh mahiya
Tere vargi na pind vich duji
Punjabi koi chick mahiya
Kyun tu khidki te baithi sharmaye
Barande utte dikh mahiya
Banno tashan tera atti fantastic
Social media pe hukam chalaaye
Phone pe baatein kare apne left hand se
Right hand pe mehandi lagaye
Boyfriend ki tujhe koi fikar nahi
Pehli date pe kahe, okay bye!
Devdas ki tarah afsoos wo kare
Ke tu haske innocent si shakal banaye
Cutiepie, Cutiepie, cutiepie..
Aaye haaye
Cutie-Cutiepie
তনু উঠে গিয়ে নাচতে থাকলো,ওর এত খুশি দেখে ওর মা বাবাও খুশি হয়ে গেলো,
শিশির-১০০বার বলসি এই মাইয়ার লগে বিয়া দিও না আমায়,এখনই সামলাতে পারি না পরে কিভাবে সামলাবো,
তনু নাচতে নাচতে ওর পেটের উপর থেকে শাড়ী সরে গেলো অনেকক্ষানি
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরানোর সময় ওর চোখ তনুর পেটের দিকে গেলো
শিশির-উঠে গিয়ে বলবো? না পরে আমার পিছু ছাড়বে না,শিশির দেখলো তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে হাসতেছে আর নাচতেছে,শিশির ইশারায় তনুর পেটের দিকে বুঝালো
তনু থেমে গিয়ে পেটের দিকে তাকিয়েই জিহ্বায় কামড় দিয়ে শাড়ী টেনে দিলো,
শিশির-যাক সাপ ও মরলো,, লাঠিও ভাঙলো না
তনু flying kiss পাঠালো
শিশির-???????অসহ্য,
তনু এবার এসে শিশিরের পাশে বসলো
তনু-কি মশাই আমাকে পছন্দ করেন না তো আমার পেট অন্য কেউ দেখলে আপনার prob কি,ঢাকতে বললেন যে
শিশির-আমার কর্তব্য আমি পালন করসি বাকিটা তোমার ইচ্ছা
তনু-বিয়ের পরের দায়িত্ব পালন করবেন??
শিশির-করবো,,
তনু-দিবেন আমাকে ভালোবাসা?
শিশির-সেটা আশা করবা না,,হুদাই কষ্ট পাবা
তনু-এক লাথি দিয়ে বাতাসার ভূত তোর মাথা থেকে নামাবো
শিশির-কিছু বললা?
তনু-হুম,বলসি কেমন আছেন
তনুর মা-তনু তোর ফুফু আসছে
তনু-আসসালামু আলাইকুম,,
ফুফু-কিরে তনু,,,
বেশ handsome জামাই পেলো আমাদের তনু?
ফুফাতো বোন(রিপা)-আমাদের তনু ও কম কিসের
এই ফাঁকে শিশিরের মা এসে তনুর গলায় হার পরিয়ে দিলো
তনুর বাবা-নাও সবাই হলুদ দেওয়া শুরু করো,,
একে একে সবাই হলুদ লাগিয়ে দিলো,,,শিশির উঠে রনির কাছে গেলো
শিশির-ওয়াসরুম টা কোনদিকে
রনি-এদিকে আসো
তনু হাতে হলুদের বাটি নিয়ে ওয়াসরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো,,শিশির বের হতেই ওর সামনে গিয়ে দাড়াঁলো
শিশির-কি??
তনু হলুদ নিয়ে শিশিরের গালে লাগালো,,শিশিরের দিকে এগিয়ে যেতে নিলো শিশির ও পিছিয়ে গেলো,,যেতে যেতে শিশির দেওয়ালের সাথে লেগে গেলো
শিশির-এসব কি,,মানুষে ভর্তি,এমন করতেছো কেন
তনু-চুপ,
তনু শিশিরের গলায় হাত দিয়ে হলুদ লাগিয়ে দিলো,শিশিরের বুক কাঁপতেছে,,এ প্রথম নারী জাতির স্পর্শে এতটা ভয় লজ্জা কাজ করতেছে,নাতাশাও এমন ভাবে ছোঁয় নি কখনও,
শিশিরের হুস আসতেই সাইডে দিয়ে চলে যেতে নিলো তনু হাত ধরে ফেললো
তনু-আমাকে হলুদ লাগাবা না?
শিশির-কাজ নাই আমার
তনু-নাই তো,একটু লাগিয়ে দাওও
শিশির-পারবো না
তনু-দাও
শিশির-বলসি না পারবো না
তনু-তুই লাগাবি না তোর ঘাড় লাগাবে,
তনু শিশিরের হাতের আঙুল বাটিতে ডুবিয়ে নিজের গালে লাগিয়ে দিলো
তনু-যা এবার
শিশির রেগে চলে গেলো,,গিয়ে মায়ের সামনে পড়লো
মা-কিরে তোর গলায় আবার কে হলুদ লাগালো
শিশির -তনু আর কে
মা-??????একদম কামের কাম করসে
শিশির-তুমিও বলতেছো এটা
মা-যাক আমি নিশ্চিত এই মেয়ে আমার শিশিরকে আয়ত্তে আনতে পারবে,,
শিশির-????
তনু বাসায় এসে change করে নিলো,হলুদ উঠাতে গিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো,ইস এই হলুদে শিশিরের ছোঁয়া আছে,উঠাতে মন চাইতেছে না
শিশির বাথরুমে গিয়ে আয়নায় দাঁড়ানোর সাথে সাথে ওর গলার হলুদের দাগের দিকে নজর গেলো
শিশিট-প্রচণ্ড বেয়াদব একটা মেয়ে,,কত বড় সাহস দেখসো,না ওরে বেশি পাত্তা দিয়ে ফেলসি তাই এমন করতেছে,,
শিশিরের চোখ ঘুম নেই কি করবে বাসর রাতে কাল তা ভেবে
শিশির-যদি জোর করতে চায় একটা চড় মেরে দিব,বাচ্চা মেয়েদের এমন করে শাসন করতে হয়,
শিশির-সোফায় ঘুমাবো আমি,ওর সাথে ঘুমাবো না,,এসব ভাবতে ভাবতে শিশির ঘুমিয়ে পড়লো
তনু সকাল থেকে ব্যস্ত,, পার্লারের লোক এসে গেছে,,তনুর জন্য শাড়ী, গয়না পাঠানো হয়েছে,,শাড়ীটা বেশ দেখতে,,খয়েরী রঙের,,নেটের শাড়ী,,,,,
শিশিরকে ওর frd রা মিলে সাজাচ্ছে,,
টিপু-কিরে ভাই তোর মন খারাপ কেন
রিপন-ভাবী পছন্দ হয়নি নাকি?
অমি-না রে ভাবীরে আমি দেখসি,, heavy দেখতে ,, হট??
হট কথাটা শুনে শিশিরের কেন যেন রাগ হলো
শিশির-এসব ভাষা use করবি না
টিপু-দেখছো ওর গায়ে লাগসে,আমরা হুদাই ভাবতেছি
রিপন-ভাবীর প্রতি অনেক টান শিশিরের তা বুঝা যাচ্ছে,,
শিশিরকে golden কালারের শেরওয়ানি পরানো হলো,,গাড়ী সাজানো রেডি,,শিশিরের frd রা ওকে নিয়ে গাড়ীতে বসালো,,
টিপু-নাতাশার মা জানে তুই যে বিয়ে করছিস??
শিশির-না,জানলে হয়ত নাতাশার সামনে বলে দিবে,তখন ওর যদি ক্ষতি হয়
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
কিছুক্ষণ পরই party center এ এসে পড়লো শিশিরের গাড়ী,,গেটে তনুর খালাতো ভাই বোন দাঁড়িয়ে আছে,
শিশির গিয়ে দাঁড়ালো,,জামাই আপ্যায়ন শুরু হলো
রিপা-ভাইয়া আমরা কিন্তু ৫হাজার ছাড়া ঢুকতে দিব না
রিপন-মগের মুলুক নাকি,
ঐশি-তাহলে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন
শিশির পকেট থেকে ৫হাজার টাকা নিয়ে দিয়ে দিলো
অমি-ঐ তুই পাগল হইছস
শিশির-কথা বলিস না চলে আয়
শিশির ভিতরে ঢুকে গেলো,,
রিপা-আমাদের দুলাভাই কত ভালো,
শিশির গিয়ে stage এ বসে রইলো, মা হাত থেকে আসার সময় ফোন নিয়ে নিয়েছে,,
তনুকে সাজানো শেষ এবার আনতেছে
তনু-আজ না জানি উনারে দেখে আমি জ্ঞান হারাই,কেমন লাগতেছে কে জানে
তনু center এ ঢুকে,নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলো,ভয় করতেছে, লজ্জা লাগতেছে,,
শিশির চোখ তুলে তাকালো,তনুর দিকে তাকিয়ে শিশির অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো,মেক আপ এ অপ্সরী বানিয়ে দিসে নাকি সত্যি সে অপ্সরী,, আগে কখনও এমন ভাবে তাকাইনি,শিশিরের চোখের পাতা নড়তেছে না কিছুটা হা হয়েই তাকিয়ে আছে,,
অমি-ঐ শালা চোখ নামা মাইনষে কি কইবে
শিশির চোখ নামিয়ে নিলো
তনু চোখ তুলে শিশিরের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিলো,,,সেই হাসি শিশির দেখলো না,,তনুকে শিশিরের পাশে বসানো হলো,,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_9
শিশির উঠে গিয়ে মায়ের কাছে গেলো
শিশির-মা আমার একটা জরুরি কল আসছে,,আমার আজই ঢাকা যেতে হবে
মা-পাগল হইছস তুই???আজ তোর বিয়ে,,কাল বৌভাত
শিশির-ডিল টা ফাইনাল না করলে কোটি টাকা লস হবে
মা-হোক
শিশির-কি বলছো কি মা,,আচ্ছা আমি বিয়ে করে then যাব
মা-তনুকে সাথে করে নিয়ে যা
শিশির-পারবো না,ওকে কে সামলাবে
মা-কেন? তুই সামলাবি
শিশির-পারবো না
মা-আজ রাত তোদের বাসর রাত,,মেয়েটা বুঝি আমাদের সাথে থাকবে??চুপচাপ ওকে সাথে নিয়ে যাবি,,আমাদের তো ওখানে বাসা আছেই
মা তনুর খালাতো বোন কে ডেকে তনুর জামা কাপড় গুছিয়ে দিতে বললো ব্যাগে
তনু stage থেকে উঠে আসলো
তনু-কি হয়সে মা?
মা-শিশির আজ ঢাকা চলে যাবে
তনু-???
মা-তোকেও নিয়ে যাবে
তনু-সত্যি?????????
মা-হয়সে লজ্জা পেতে হবে না,,যাও বসো গিয়ে এখনই তোমারে বউ বানাবো,
শিশির মুখ গোমড়া করে গিয়ে বসলো
হুজুর-বলো মা কবুল
তনু-কবুল কবুল কবুল ?
তনুর মা-চুপ,আস্তে আস্তে বলতে পারস না,শয়তান মেয়ে,বেহায়া
শিশির-(ঠিক হয়সে,আরও বকো)
তনু ভেঁংচি কেটে আরেক দিকে তাকালো,,,অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হলো,,
শিশির বিয়ে শেষ হওয়ার পর রাত ৮টা পর্যন্ত বের হতে পারেনি,,তনুর বোন ভাইরা আটকে রেখে ছিলো,,পরে দুজনে গিয়ে গাড়ীতে উঠলো,,
তনু সবাইকে টাটা দিচ্ছে
শিশির -এত ঢং করে লাভ নেই কালই তোমায় বাসায় ফিরে আসতে হবে
তনু-ওহ তাই নাকি,কিন্তু বউয়ের সাথে তো জামাইকেও আসতে হয় এটাই নিয়ম
শিশির-আমি আসবো না
তনু-দেখা যাবে
গাড়ীতে তনুর খালি ঘুম আসতেছে,,,ঝিমচ্ছে,,,শিশির কোনায় গিয়ে বসেছে,,একটু যে কাঁধে হেলান দিবে তার ও উপায় নেই,,
১টা বাজে
তনু-এই এই
শিশির-কি হয়সে
তনু-চা খাবো
শিশির-এত রাতে চা কই পাবা তুমি
তনু-আমি কেন পাবো,পাবেন তো আপনি,,নতুন বউ চা খাবে যান গিয়ে চা আনেন
শিশির-শখ কত,পারবো না আমি
তনু-তাহলে আপনার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো
শিশির-খবরদার
তনু-যেকোনো একটা করেন
শিশির Driver কে গাড়ী থামাতে বললো,,,একটা টং খোলা তবে দোকানদার দোকানটা অফ করতেছে,শিশির এক দৌড়ে ওখানে গিয়ে দাঁড়ালো,,এরকম দৌড় কখনও দৌড়ায়নি,বিয়ের পরেই এগুলা সম্ভব,,?????
শিশির চা নিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখলো তনু দাঁড়িয়ে আছে
শিশির-আল্লাহ!কি এখানে আসছো কেন তুমি
তনু-গাড়ীতে ভয় লাগে
শিশির-Driver তে আছেই
তনু-Driver কি আমার জামাই?যে ভয় লাগবে না,আবোলতাবোল কথা বলে,
শিশির-গাড়ীর দরজা খুললা কিভাবে তুমি
তনু-সত্যি বলবো?
শিশির-বলো
তনু-লাত্তি মেরে????
শিশির-আমার গাড়ী,ভেঙে ফেলো নাই তো
তনু -হুহ আমি এত অলক্ষী না
শিশির বসে আছে আর তার বউ আরামে চা খাচ্ছে,,
তনু-আমাকে কয়েকটা চিপস কিনে দিন,খিধা লাগসে আমার
শিশির ১০টা প্যাকেট কিনলো,,তনু ওগুলা কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো,,গিয়ে গাড়ীতে বসলো দুজনে,,তখন থেকে তনু ঠুস ঠাস করে চিপস খাইতেছে,শিশিরের মন চাচ্ছে তুলে একটা আছাড় মারি,আমার কপালেই জুটছে
শিশিরের চোখ লেগে আসলো,,যখন খুললো দেখলো তনু শেরওয়ানি শক্ত করে ধরে শিশিরের বুকে ঘুমাচ্ছে,,
শিশির চোখ বড়বড় করে তনুকে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো
তনু ভয় পেয়ে গিয়ে চোখ খুলে তাকালো
শিশির -লিমিটে থাকবা
তনু-নতুন বউয়ের সাথে কেউ এমন বিহেভ করে???শিশির আর কিছু বললো না
তনু ও আর কথা বললো না..২টার সময় বাসায় গিয়ে পৌঁছালো,,দরজা খুলেই শিশির ফোন নিয়ে অফিসে কল দিলো
শিশির-হ্যাঁ আমি এসে গেছি,এখনই আসতেছি,,
তনু-এই কই যান আপনি
শিশির-অফিসে,,
তনু-আআআমি কি করবো? শিশির আর কিছু না বলে শেরওয়ানি change করেই চলে গেলো,
তনু-দাঁড়ান আমি একা একা কি করবো,আমাকে একা রেখে যাইয়েন না,কে শুনে কার কথা,,শিশির চলে গেলো,
তনু-আসুক,তোর চামড়া তুলে আমি ব্যাগ বানাবো,বাসর রাত টা আমার নষ্ট করসে
তনু সব রুম খুঁজে একটা রুম বের করলো যেখানে সুন্দর একটা বারান্দা আছে,,রুমটা ভালো করে দেখে খাটে গিয়ে বসতেই চোখ লেগে গেলো,,
পরেরদিন সকাল ৬টায়
শিশির বাসায় আসলো, চাবি দিয়ে দরজা খুলে নিজের রুমে যেতেই দেখলো তনুর খাটে শুয়ে আছে,,দরজা টা ধাক্কা দিয়ে sound করতেই তনু জেগে গেলো
তনু-নতুন বউকে কেউ এভাবে জাগায় ঘুম থেকে,,চুমু দিয়েও তো জাগাতে পারেন নাকি??আর আমাকে রেখে কই গেসেন,একা একা আমার ভয় লাগে না, আপনি কি আমার কথা শুনছেন না??
শিশির-চুপচাপ fresh হয়ে নাও,আমি হোটেল থেকে খাবার আনছি ওগুলা টেবিলে রেডি করো
তনু-হুহ
তনু উঠে গিয়ে fresh হয়ে নিলো তারপর নিমিষেই সব টেবিলে রেডি করে রাখলো,শিশির বাইরে এসে দেখলো তনু টিভি দেখতেছে,কার্টুন
শিশির খেতে বসায় তনু এসে পাশে বসলো,,
তনু-মা ফোন দিসে,উনারা কাল আসবে
শিশির-আমি বুয়াকে ফোন দিসি,,আজ চলে আসবে,,
তনু-বুয়ার কি দরকার আমি করতে পারবো
শিশির-একা থাকতে পারলে ঠিক আছে
তনু-কেন?আপনি আজও অফিস যাবেন নাকি
শিশির-হুম
তনু-???????নাকি বাতাসা কে দেখতে যাবেন
শিশির খাওয়া বন্ধ করে তনুর দিকে তাকালো
শিশির-ওটা আমার personal ব্যাপার,তোমার এত interest দেখানের দরকার নেই
তনু-অবশ্যই আছে,আমি আপনার বউ
শিশির-বিয়ে হয়সে তারমানে এই নয় যে মাথায় উঠে বসবা তুমি
শিশির উঠে রুমে চলে গেলো,তারপর ৫মিনিট পরই রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলো,তনুর দিকে তাকালে না পর্যন্ত,,
তনু-হ্যালো মা
মা-কিরে
তনু-তোমার ছেলে আসার পর থেকে শুধু অফিস নিয়েই আছে
মা-তুই বাসায় একা?
তনু-হুম,বুয়াকে কল দিছে আসার জন্য
মা-আচ্ছা,,
তনু মুখ গোমড়া করে বসে আছে,,দিন শেষে বিকাল হয়ে গেসে,,তনু বারান্দার দোলনায় হাত পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছে
শিশির অফিস থেকে নাতাশা কে দেখতে গেলো,,,
নাতাশার মায়ের নজর গেলো শিশিরের হাতের মেহেদির দিকে,ছেলেরা বিয়ে ছাড়া হাতে মেহেদি দেয় না তেমন,,
নাতাশার মা -শিশির তুমি কি বিয়ে করেছো?
কথাটা শুনে শিশিরের বুক কেঁপে উঠলো
শিশির-হুম
নাতাশা শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে
শিশির-আজ আসি আমি
শিশির উঠে চলে গেলো,ওখানে আর থাকতে পারছে না শিশির,,হসপিটাল থেকে বের হওয়ার পর মা কল দিলো
শিশির-হুম মা বলো
মা-তুই তনুকে টাইম দেস না কেন,বিয়ের একদিন ও হয়নি,মেয়েটা একা একা বাসায়,এমন করস কেন,
শিশির ফোন কেটে দিয়ে রেগে বাসার দিকে গেলো,,বাসায় এসে তনু তনু চিল্লানো শুরু করতে করতে গিয়ে দেখলো তনু ঘুমাচ্ছে,
শিশির তনুর হাত ধরে টেনে উঠালো
তনু-আপনি এসে গেসেন
শিশির-সব কথা মাকে বলো কেন,কি সমস্যা তোমার, আমার আর মায়ের মধ্যে ভেজাল লাগাতে চাও
তনু-যা সত্যি তাই বলসি,
শিশির তনুর হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো
তনু-এই যে শুনুন
শিশির -কি
তনু-আমি বাতাসা কে দেখব
শিশির-তোমার কোনো দরকার নেই ওকে দেখা না দেখায়
তনু-না দেখালে একা একা চলে যাব
শিশির-যাও,ঢাকা শহরে ছেলেরা তোমাকে পেলে ১মিনিট ও ছাড়বে না
তনু-?
শিশির বাথরুমে চলে গেলো,,তনু খাটে বসে বাথরুমের দিকে তাকিয়ে আছে,,
শিশির টাওয়েল পড়ে বের হতেই দেখলো তনু তাকিয়ে আছে
শিশির-নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে,
তনু-আমার জামাইর দিকে আমি তাকিয়ে আছে তাতে আপনার কি,,
শিশির শার্ট নিয়ে আবার বাথরুমে চলে গেলো বাইরেই পরতে পারতো কিন্তু তনুর জন্য পারছে না,হ্যাবলার মতব তাকিয়ে আছে,
শিশির বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো তনু নেই
তনু-এহেম এহেম
শিশির পিছনে তাকালো
তনু-কি খুঁজো জামাই
শিশির-কিছু না,শিশির চলে গেলো সোফার রুমে দিকে,তনু গিয়ে শিশিরের গা ঘেঁষে বসলো
শিশির সরে গেলো তনু আরও কাছে গেলে,যেতে যেতে সোফার শেষ প্রান্তে এসে শিশির আটকে গেলো,,
শিশির-(মেয়েটা বেশি জ্বালাচ্ছে,,ওয়েট টাইট দিই,তাও শান্তি তে থাকা যাবে একটু)
শিশির তনুর দিকে তাকালো,,
তনুর দিকে এবার শিশির এগিয়ে গেলো,,নিজের গায়ের গেঞ্জি খুলে নিচে ফেলে দিয়ে তনুকে ঝাঁপটে ধরলো
শিশির-(হিহিহি এবার যে ভয় পাবে আর আমার কাছে আসতে চাইবে না,শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো তনু ৩২পাটি দাঁত বের করে তাকিয়ে আছে
তনু-seriously এখন করবেন?
শিশির-wtf!!!তোমার লজ্জা করছে না?একটুও?
তনু-না,কেন?
শিশির-আজব একটা মেয়ে,
শিশির ফ্লোর থেকে জামা নিয়ে উঠে গেলো
তনু-যাক বাবা আমি কি করলাম
চলবে♥