Crush যখন বর Season_3 Part_28/29/30

0
3124

Crush যখন বর Season_3 Part_28
Writer-Afnan Lara

সকালে তনু চোখ খুলে যা দেখলো তার জন্য প্রস্তুত ছিলো না,,কতগুলো বেলুন ফ্লোরে দেওয়ালে,
তনু-আজ কারো বার্থ ডে নাকি
শিশির দরজা খুলে ঢুকলো
শিশির-আজ special day,আর আমি চাই তোমার সাথে সারাটা দিন কাটাতে
তনু-কি আজকে?
শিশির-ভাবো
শিশির তনুর হাত ধরে উঠালো,,একটা প্যাকেট দিলো ওর হাতে
শিশিরের মুখে আজ হাসি,তনু কি স্বপ্ন দেখতেছে??নাহ এটা তো সত্যি
তনু প্যাকেট খুলে দেখলো নীল রঙের শাড়ী,,
তনু খুশি হয়ে গিয়ে পড়ে আসলো,
তনু-আসেন নাস্তা করবো
শিশির কিছুক্ষন তনুর দিকে তাকিয়ে থাকলো,,নাতাশার চাইতেওও তনু একটু বেশি মিষ্টি,,চেহারার গঠন দেখতে বেশ,হবে নাতাশা বেশি ফর্সা,তাও তনুর গায়ের রঙ সুন্দর লাগে শিশিরের কাছে,,ওমন ফর্সা শিশিরের ভালো লাগে না,,নাতাশার নাক বোচা তবে তনুর নাক চিকন আর চুল ও বড় আছে,নাতাশার চুল একদম ছোট,,শিশির তনুর সাথে নাতাশাকে কখনও তুলনা করেনি,কারন তনুকে তার কাছে অন্যরকম লাগে,এমন রুপ তার কারোর সাথে মিলানো সম্ভব নাহ
তনু-এই যে কি হলো?কি ভাবেন?
শিশির-ওও না কিছু না,চলো যাই
দুজনে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো,,তনু গাড়ীতে বসে রাস্তায় রাস্তায় দেখলো গোলাপ নিয়ে মানুষ বসে আছে,কাপল আর কাপল, তখনি ওর মনে পড়লো আজ তো valentines day,ইস আমার মনে ছিলো না
শিশির মুচকি হাসলো,,গাড়ী থামালো একটা লেকের সামনে,
শিশির তনুর হাত ধরে হাঁটা ধরলো
তনু চারিদিক দেখতেছে
শিশির-Restaurant যাবা নাকি এখানেই থাকবা
তনু-এখানেই থাকবো
দুজনে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বসলো এক জায়গায়,,
তনু শিশিরের কাঁধে মাথা রেখে বসলো,শিশির বাধা দিলো না
তনুর হাতে একটা লাল লাভ বেলুন,,তনু সেটা নিয়ে খেলতেছে,,
শিশির-তোমার সত্যি ১৮তো, দেখে তো মনে হয় বাচ্চা মেয়ে তুমি,,
তনু-হুহ,কাল পরশুর দিকে বাবুর মা হয়ে যাব আর আপনি আমাকে বাবু বলেন?
এটা বলেই তনু জ্বিভে কামড় দিলো,ইস কি বলে ফেললাম,?
শিশির-??
শিশির বাদাম কিনে তনুর হাতে দিলো,তনু মজা করে খেতে লাগলো,
শিশির বাদাম মুখে দিয়ে পুরুত করে ফেলে দিলো,কাশতে থাকলো যেন কেউ গুল্লি ধরে তাকিয়ে আছে
তনু লেকের ওপাশে তাকালো,নাতাশা কোমড়ে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে হাতে ফুল,
শিশির-চলো যাই এখান থেকে
তনু-না কেন??হুহ,
তনু শিশিরের এক হাত জড়িয়ে বসে থাকলো,
শিশির-শুধু শুধু prb হবে,চলো যাই
তনু না শুনার ভান করে বাদাম খাচ্ছে
নাতাশা আসতেছে
নাতাশা শিশিরের পাশে বসে ওর এক হাত চেপে ধরলো
তনু চোখ বড়বড় করে হাত ছাড়িয়ে নিলো
তনু-ঐদিন চুমু খাইয়ে দেখিয়ে দিসে তাও তোর শিক্ষা হয়নি??অন্য কিছু দেখতে চাস?
নাতাশা-you shut up!দুদিনের মেয়ে আমাকে সরাতে আসছে
তনু-তুই তো একদিনের মেয়ে,যারে কাঁচকলা দেখিয়ে আমি শিশিরকে বিয়ে করেছি
নাতাশস-তো কি হয়সে,শিশির শুধু আমার
তনু-লাত্তি দিয়া পানিতে ফালাই দিমু
নাতাশা-ফালাও,শিশির আমাকে তুলবে,আমি সাঁতার জানি না,তাই না জানু?
তনু-ওহ তাই,ওকে
তনু এক ধাক্কা দিয়ে নাতাশাকে পানিতে ফালাই দিলো
নাতাশা-বাঁচাও শিশির
তনু -এই যে হকার ভাইয়া লাফ দেন, আমার বোন পড়ে গেসে, আল্লাহ কি হবে,আমার জামাইর জ্বর পানিতে নামা যাবে না,আল্লাহ?????
হকার তার জিনিস রেখে এক লাফ দিয়ে নাতাশাকে ধরে তুললো,
নাতাশা রেগে গজগজ করতেছে
শিশিরের পকেট থেকে ৫০০টাকার নোট নিয়ে তনু জোর করে হকারকে দিয়ে দিলো
তনু-thanks ভাইয়া,আপনি না থাকলে আমার বোনের কি হতো????
নাতাশা-?
নাতাশা-আমি এখন বাসায় যাব কি করে, শিশির তোমার শার্ট টা দাও
তনু -হকার ভাইয়া দাঁড়ান
তনু শিশিরকে দাঁড় করিয়ে ওর গায়ের থেকে শার্ট খুলে নিলো,ওর গায়ে শুধু টি শার্ট একটা
শিশির-কি করতেছো কি
তনু শার্টটা হকার কে দিয়ে দিলো আর হকারের শার্ট টা নিয়ে নাতাশার গায়ে ছুড়ে মারলো
তনু-যাও,Next time পাঙ্গা করতে আসবা না বুঝছ
তনু শিশিরের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো
দুজনেই আরেকটু ঘুরে বাসায় চলে আসলো কারন মেঘের অবস্থা ভালো না
শিশির রুমে এসে change করে দেখলো তনু নেই,
শিশির বাইরে এসে দেখলো মেইন দরজা ফাঁক,
শিশির ছাদের দিকে গেলো ছাতা নিয়ে কারন খুব জোরে বৃষ্টি শুরু হয়সে
তনু ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,দুহাত মেলে
শিশির -তনু! চলে এসো,জ্বর হয়ে যাবে তোমার
তনু-আপনি যান
শিশির ছাতা নিয়ে এসে তনুর মাথার উপর ধরলো,,বছরের প্রথম বৃষ্টি,জোরেই হচ্ছে,
তনু সরে গেলো
শিশির-জ্বর হবে তোমার
তনু-কিচ্ছু হবে না
শিশির ছাতা নিচে রেখে দিলো,
তনু-????
শিশির- আমিও ভিজি,
অনেকক্ষন দুজনে নিচে বসে ভিজলো,,
তনুর গা কাঁপুনি উঠতেই শিশির একটান দিয়ে গায়ের সাথে লাগিয়ে নিলো,,
বৃষ্টি থেমে গেসে,কিন্তু তনুর চুল থেকে পানি এখনও পড়তেছে,,গায়ের শাড়ী ভিজে একাকার,শিশির একবার তাকিয়ে আর তাকালো না আরেকদিকে তাকিয়ে রইলো,এসব তাকে আকর্ষন বেশি করে যা এখন সে চাচ্ছে না তাই আরেকদিকে ফিরে থাকা
তনুর মন খারাপ হয়ে গেলো,উঠে চলে গেলো,
শিশির আরও কয়েক মিনিট থাকলো সেখানে তারপর নিজেও চলে আসলো,তনু যে রুমে এতদিন ঘুমাতো সেখানে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে
শিশির-হুম রাগ হয়েছে
তনু হঠাৎ খেয়াল করলো শিশির তনুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শুয়েছে
তনু আচমকা তাকাতেই দেখলো শিশির চোখ বন্ধ করে আছে
তনু কোমড় থেকে হাত সরিয়ে উঠে বসলো
শিশির -কি?
তনু-এসব দিয়ে কি বুঝাতে চান,ভালোবাসার লোভ দেখিয়ে তো ভালোবাসা দেন না,তাহলে এসব কেন?লাগবে না আমার এসব
তনু উঠে চলে গেলো
শিশির আর কিছু বললো না,ঘুমিয়ে পড়লো
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_29
সকালে তনু নাস্তা বানিয়ে শিশিরকে ডাক দিলো,আজ শিশির ঘুমাচ্ছে এখনও,,
তনু-এই যে খাবার রেডি,অফিস যাবেন না??
শিশির-হুমমম, আসতেছি
শিশির উঠে গিয়ে fresh হয়ে বেরিয়ে হাতে অফিসের শার্টটা নিলো,তারপর কি যেন ভাবলো, ভেবে শার্টটা রেখে দিয়ে ডাইনিং এ আসলো,
তনু-একি রেডি হলেন না,আজ অফিস যাবেন না?
শিশির-নাহ
তনু দেখলো শিশির তনুর দিকে কেমন করে তাকাতে তাকাতে বসলো,এমনকি এখনও তাকিয়েই আছে,তনুর বুকের ভিতর কেঁপে উঠলো,,শিশিরের এমন চাহনি কেন,
তনু খাবার এগিয়ে দিলো
শিশির চুপচাপ খাচ্ছে,,
মা ফোন দিতেই তনু ফোন হাতে নিয়ে কথা বলতে বলতে সোফা গুছাতে থাকলো,
হ্যাঁ মা সবাই ভালো আছি,তোমরা কবে আসবা,অনেকদিন তোমাদের দেখি না আমি,মীমের পরীক্ষা শেষ হলেই আসতে হবে, ওকে বাই
তনু ফোন রেখে পিছনে তাকাতেই শিশিরকে হঠাৎ দেখে ভয় পেয়ে গেলো,পড়ে যেতে নিলো শিশির ধরে ফেললো
তনু-আপনি এখানে কেন,খাচ্ছেন না?
শিশির-ঐ আসলে মা কি বলে শুনার জন্য এলাম
তনু -ওহ,মা ভালো আছে,বলসে কয়েকদিন পর আসবে
শিশির-ওও
তনু খেয়াল করলো তনু যখন যে রুমে যাচ্ছে,শিশির ও যাচ্ছে
তনু-কি ব্যাপার বলুন তো
শিশির -আমার বাসায় আমি কি আমার মন মত রুমে ঘুরাঘুরিও করতে পারবো না??
তনু-হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন,
শিশির- রেড কালার এটা কি??সস?
তনু-(এটা তো লাল মরিচের বাটা পানি মিক্স করা)হ্যাঁ সেটাই
শিশির-ওয়াও,
বুয়া ইশারা করতেছে শিশিরকে,যেন এটা না খায়,শিশির এক চামচ নিয়ে মুখে দিলো
মুখে দিয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে,এখনও গিলেনি,গিলার মত অবস্থাতে নেই শিশির,রোবটের মতন দাঁড়িয়ে আছে
তনু এক গ্লাস পানি এগিয়ে ধরলো
শিশিরের চোখ লাল টুকটুকে হয়ে আছে,জীবনে এমন ঝাল সে মুখে দেয় নি
তনু-নিন পানি খান
শিশির তনুকে ধরে এক টান দিয়ে কাছে নিয়ে এলো,
তনু খুব বুঝতে পারছে এখন কি ঘটতে চলছে,তাই সে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে রাখলো
শিশির আর কোনো ওয়ে না পেয়ে তনুর কাঁধ থেকে চুল সরিয়ে সেখানে কামড়ে ধরে চুমু খেতে লাগলো
বুয়া চোখে হাত দিলো?
তনু-?
শিশির মরিচগুলা তনুর ঘাড় থেকেই খেয়েছে,যখন তার মুখ থেকে ঝাল গেলো সে তনুকে ছেড়ে দিলো,এতক্ষন তনু অনেক ছটফট করেছে কিন্তু শিশির তার দুহাত চেপে ধরে রেখেছিলো,
শিশির মুখ মুছতে মুছতে পানির বোতল নিয়ে গিয়ে সোফায় বসলো
তনু তো চিল্লাতে চিল্লাতে পুরো বাসা মনে হয় ভেঙে ফেলবে,
এক দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিলো,আর এর ভিতর বালতি থেকে পানি নিয়েও ঘাড়ে ঢালতে থাকলো,ও মাগো, আমাকে শেষ করে দিলো গো,আল্লাহ গো,আব্বু গো,,আম্মু গো,,
৩০মিনিট পর কাঁদতে কাঁদতে বের হলো,এমন নাজেহাল আর কখনও হয়নি তার,,খাটে বসে বসে ভিজা রুমাল দিয়ে চাপতেছে ঘাড়ে,,
শিশির এসে পাশে বসলো,
শিশির-আর খাওয়াবা আমাকে মরিচ???
তনু চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে,ইচ্ছে করতেছে এখনই খুন করে ফেলি
বুয়া-আপা কে জানি আসছে
শিশির গিয়ে দরজা খুললো,পাশের বাসার আন্টি মিষ্টি নিয়ে এসেছে,তার ছেলের মেয়ে হয়েছে,
তনুকে ডাকতে বললো,
তনু এসে সালাম দিলো,
আন্টি-নাও মিষ্টি,
তনু বারবার ঘাড়ের দিকে হাত দিচ্ছে,
আন্টি-তুমি কি অসুস্থ??
তনু-না আসলে,
তনুর খুব অসস্তি লাগতেছে,,
আন্টি-কি হয়সে মা?দেখি
আন্টি গিয়ে তনুর ঘাড় ধরে দেখলো লাল টুকটুকে হয়ে আছে
আন্টি-একি পুড়লো কি করে
শিশির-নাহ, পুড়ে নাই,টমেটো বাটা ঘষতে গিয়ে মরিচবাটা ঘষে ফেলেছে তনু?
আন্টি-ইস,আহারে মেয়েটা,,
আন্টি-আমি বুয়াকে দিয়ে একটা মলম পাঠাচ্ছি,ওটা দিলে ঠিক হয়ে যাবে
শিশির-আচ্ছা
শিশির মলমটা তনুর ঘাড়ে লাগিয়ে দিলো,
বুয়া মুচকি মুচকি হাসতেছে,
তনু এটা দেখে রেগে শিশিরকে কয়েকটা কিল বসিয়ে দিলো ঠাস ঠাস করে
শিশির -আউচ,আমি কি করসি,তুমি কেন বলসো ওটা সস,
তনু-তাই বলে এভাবে প্রতিশোধ নিবেন?
শিশির-অন্যভাবে নেওয়া উচিত ছিলো নাকি?
শিশির তনুর দিকে এগিয়ে গেলো
তনু সোফার সাথে লেগে গেলো,
বুয়া-আপা
তনু-হুম বলো
বুয়া-আমার কাম শেষ,আমি যাই তাইলে
তনু-আচ্ছা
শিশির গিয়ে দরজা লাগালো,,
তনু টেবিলে খাবার দিতেছে,,
শিশিরের মুখে শয়তানি হাসি,খাবার খেয়ে উঠে গেলো
তনু-এমন করতেছে কেন। আজকে?হুহ
তনু হাত ধুয়ে গেলো,,উফ ঘাড় এখনও জ্বালা করতেছে,অসভ্য একটা?
তনু গিয়ে আলমারি গুছাতে লাগলো,শিশির ফোন দেখতেছে আর বারবার তনুর দিকে তাকাচ্ছে,,
তনু সোজা বারান্দায় চলে গেলো,
শিশির রেগে গেলো এবার
শিশির-কি এখানে আসতে মন চায় না তোমার
তনু অবাক হয়ে পিছনে তাকালো
শিশিরের মুখ একদম ভিলেনদের মত করে রাখসে,
তনু-এসে কি হবে?
শিশির-বাচ্চা হবে
কি বললো পরে মাথায় আসতেই শিশির মুখ আরেকদিকে ফিরিয়ে নিলো
তনু-তাই নাকি,বাচ্চা হবে?তা কেমনে?ম্যাজিক শিখলেন নাকি,নাকি কিস করবেন আর বাচ্চা হয়ে যাবে?
শিশিরের গায়ে কথাটা লাগলো,উঠে গিয়ে তনুর দিকে এগিয়ে গেলো
তনুর একদম ভয় লাগতেছে না,কারন শিশির কিছুই করবে না,কিন্তু সে জানে না সকাল থেকে শিশিরের মাথায় কি চলতেছে
শিশির তনুর চুলের মুঠি ধরে বারান্দার গ্রিলের সাথে তনুকে ঠেকে ধরলো
তনু-কি?
শিশির-তোমার ভয় লাগতেছে না?
তনু-কিসের জন্য?আর কি নিয়ে
শিশির-আমি যদি তোমার সাথে খারাপ কিছু করি?
তনু-ভিজা শরীরের একটা মেয়েকে দেখে বারবার যে চোখ ফিরিয়ে নিতে পারে,সে আর কি করবে?
শিশির তনুর চুল আরও জোরে টেনে ধরলো
তনু ব্যাথা পেলো,কিন্তু আওয়াজ করলো না
তনুর মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে সেখানে জমে আছে শত শত অভিমান
তনু-যার মনে সারাদিন নাতাশা থাকে সে আর কি করবে?
শিশিরের রাগ বাড়তেছে,
তনু-ছাড়ুন,আশেপাশের মানুষ অন্য কিছু ভাববে
শিশির-কি ভাববে?
তনু-English এ এটাকে বলে Domestic violence
শিশির-মারতেছি তোমাকে?
তনু-তাই দেখা যাচ্ছে
শিশির-দূর থেকেও কি তাই দেখা যাবে?
তনু খেয়াল করলে শিশির তনুর একদম কাছে,,
তনু চোখ আরেকদিকে ফিরিয়ে নিলো
শিশিরের চোখ তনুর ঘাড়ের দিকে গেলো,,স্পষ্ট লাল বর্ন হয়ে আছে
শিশির আরও এগিয়ে গেলো
তনু চোখ মুখ খিঁচিয়ে সরে যেতে নিলে,শিশির মুখ নিয়ে ঘাড়ে চুমু দিলো,তারপর ছেড়ে দিলো তনুকে
শিশির-আজ আমি তোমাকে…
তনু তাকিয়ে আছে শিশিরের মুখের দিকে
শিশির-পারবো না,আমি পারবো না
শিশির বেরিয়ে গেলো,
তনু সেই জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
শিশির বেরিয়ে এসে গাড়ী চালিয়ে সোজা নাতাশাদের বাসায় গেলো,,
নাতাশা ফোনে কথা বলতে বলতে দরজা খুললো
শিশিরকে দেখে খুশি হয়ে ওর হাত ধরে ভিতরে আনলো
নাতাশা-তুমি ফিরে এসেছো আমার কাছে?
শিশির-চলো রুম ডেট করি
(নাতাশাকে last বারের মত test করছে শিশির)
নাতাশা-what, r u sserious? ok চলো,তনুকে দিয়ে হচ্ছে না বুঝি???নাকি ও হিজলা??
শিশির-নাহ আসলে এইডস হয়সে আমার??,চলো সময় নষ্ট করবো না
নাতাশা-কিহ,আর ইউ সিওর?
শিশির-হুম
নাতাশা-,,আমার একটা জরুরি কাজ আছে, পরে কথা হবে কেমন??রাগ করো না প্লিস
শিশির মুচকি হাসলে,বাহ বেশ ভালই প্রমান পেলো সে,,মনে হচ্ছে মাথা থেকে একটা বোঝা নেমে গেসে,শান্তির একটা শ্বাস নিয়ে হাসতে হাসতে চলে আসলো বাসায়,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_30
রাতে শিশির বাসায় ফিরলো,দরজা লক থাকায় পকেট থেকে চাবি নিয়ে শিশির দরজা খুললো,তনু সোফায় ঘুমিয়ে আছে,
শিশির তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,হাত লাগতেই তনু উঠে গেলো
তনু-কখন এলেন
শিশির-মাত্র
তনু-ওহ,আসুন খাবার দিচ্ছি
শিশির-আমার খিধে নেই,
শিশির রুমে চলে গেলো,
তনুকে নাতাশা ফোন দিলো
তনু-হ্যালো কে?
নাতাশা-আমি নাতাশা
তনু-ওহ কি মনে করে?
শিশির দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে শুনতেছে
নাতাশা-শিশিরের নাকি এইডস হয়সে,তোমার কি এইডস ছিলো নাকি
তনু-মানে!
নাতাশা-হুম আজ এসেছিলো আমার বাসায়,রুম ডেট করবে বলে,আমি বাবা এইডস এর কথা শুনে পালাই গেসি
তনু-রুম ডেট!!!?
নাতাশা-হ্যাঁ,ও বলসে তোমাতে নাকি মন ভরে না তার
তনু ফোন রেখে দিলো,,
শিশিরের কাছে গেলো,
তনু-আপনি নাতাশাদের বাসায় গিয়েছিলেন??
শিশির-হুম
তনু-রুম ডেট করতে চেয়েছিলেন?
শিশির -হ্যাঁ,কিন্তু
তনু আর কিছু বলতে দিলো না,থামিয়ে দিলো
তনুর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তেছে
শিশির তনুর হাত ধরতে গেলো,তনু হাত সরিয়ে ফেললো,তনু বেরিয়ে গেলো রুম থেকে গিয়ে আরেক রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো,
শিশির-তনু আমার কথা শুনো,আমি রুমডেট করার কথা বলেছি তার পিছনে কারন আছে,তনু!তনু প্লিস দরজা খুলো
তনু ফ্লোরে বসে আছে,বিয়ের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত স্মৃতি ওর মনে আসতেছে,আর কান্না পাচ্ছে খুব,
শিশির-তনু দরজা খুলো
শিশির অনেকক্ষন ডাকলো,তনুর সাড়া না পেয়ে চলে গেলো,
সকালে শিশির তাড়াতাড়ি উঠে তনুকে দেখতে গেলো,দরজা এখনও বন্ধ,,
শিশির এবার আর থাকতে না পেরে সারা বাসা খুঁজে ঐ রুমের চাবি বের করলো,তারপর দরজা খুললো,ভিতরে গিয়ে দেখলো তনু খাটের পাশে নিচে বসে আছে,মাথা বিছানায় হেলিয়ে দিয়ে,
শিশির তনুকে ধরে উঠাতে গেলো তনুর হাত পা ঠাণ্ডা বরফ হয়ে আছে ফ্লোরে সারারাত থাকার কারনে,তার উপর তনু চোখ খুলছে না,জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে তনু
শিশির তনুকে বিছানায় নিয়ে শোয়ালো,কল দিয়ে পাশের হসপিটালের একজন doctorকে ডাকলো,
উনি ২০মিনিট পর আসলো,তনুকে ভালো করে দেখে বললেন চিন্তার কিছু নেই,pressure এ senseless হয়ে গেসে,,একটা ইনজেকশান দিয়ে দিলেন,,আর বললেন যেন ঠাণ্ডা কিছু না খায় তনু
শিশির গিয়ে তনুর পাশে বসলো,,
তনু চোখ বুজে আছে,doctor একটা সেলাইন লাগিয়ে দিয়ে গেসে,,
দুপুরের দিকে তনুর জ্ঞান ফিরলো,শিশির পাশে বসে তাকিয়ে আছে
তনু উঠে বসতে লাগলো শিশির ধরতে যেতেই তনুর হাত আটকালে
তনু-Don’t touch me
তনু উঠে বসলো,
শিশির-আমি খাবার আনতেছি,
তনু-আমি খাব না
শিশির গিয়ে এক plate আনলো,,এনে তনুর মুখে খাবার ধরতেই তনু প্লেট নিয়ে নিচে ফেলে দিলো
তনু-আপনার থেকে আমি এত নিচ কাজ আশা করিনি,
তনুর চোখে পানি
শিশির-তুমি ব্যাপারটা না বুঝেই এটা বলতেছো
তনু-আমার আর কিছুই বুঝার নেই,চলে যান এখান থেকে
শিশির উঠে চলে গেল
কিছু না খেয়ে থাকায় তনুর মাথা ঘুরতে থাকলো,,শুয়ে পড়লো
দুপুরের দিকে শিশির তনুকে আবার দেখতে আসলো,
তনু বমি করতেছে বাথরুমে,শিশির গিয়ে হাত ধরলো,তনু ছাড়িয়ে নিলো,ঠিকমত হাঁটতেও পারতেছে না সে,,শিশিরকেও ধরতে দিচ্ছে না,কিছুদূর যেতেই নিচে পড়ে গেলো,শিশির গিয়ে ধরলো
শিশির-হলো তো,আমাকে ধরতে দেও না,
তনু উঠে বসলো খাটে,,
শিশির-শুনো আমার কথাটা শুনো
তনু-আমি বাসায় যাব
শিশির -আগে আমার কথাটা….
তনু উঠে দাঁড়ালো, শিশিরের এবার রাগ উঠে গেলো
সামনে হাঁটার জন্য পা বারাতেই শিশির হাত চেপে ধরে টান দিয়ে বিছানায় ফেললো তনুকে
তনু-আহ,
হাতে ক্যানেলারের সাথে ব্যাথা লাগসে তনুর
শিশির-তুমি আমার বিবাহিত স্ত্রী,,,
আমি যা বলবো তুমি তা শুনতে বাধ্য,,আর misunderstanding আমি clear করতে চাচ্ছি আর তুমি শুনতেই চাচ্ছ না
তনু হাত দিয়ে চোখ মুছতেছে,
শিশির রুমাল দিয়ে মুখ মুছে দিলো তনুর,
তনুকে কোলে তুলে নিয়ে সুন্দর করে খাটে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিলো,বুয়াকে বলতেই বুয়া খাবার নিয়ে আসলো,
শিশির খাবার নিয়ে মুখে ধরতেই তনু আবার মুখ ফিরিয়ে নিলো
শিশির এবার মুখ টিপে ধরে খাইয়ে দিলো জোর করে,
খাওয়ানো শেষে তনু উঠতে গেলো শিশির কোমড় চেপে ধরে বসিয়ে দিলো
শিশির-চুপ হয়ে বসে থাকো,আমার কথা শেষ হোক
শিশির -আমার মাথা থেকে নাতাশা যাচ্ছিলই না তাই গেসিলাম ওকে test করতে,,,বলসি চলো রুম ডেট করি আর ও সাথে সাথে রাজি হয়ে যায় আর তাই বলসি আমার এইডস,,ও আমার শরীরের অবস্থার কথা না ask করেই পালালো,,মাথা থেকে আমার যেন একটা বোঝা নামলো
তনু-আপনি নাতাশাকে বলেন নি যে আমাতে মন ভরে না আপনার,
শিশির-কই,আমি এটা কেন বলতে যাব
তনু-তার মানে নাতাশা মিথ্যা কথা বলেছে
শিশির-এটা কি নতুন নাকি, নাতাশা তো মিথ্যা কথাই বলে সবসময়
তনু-সামনে পাইলে ঐ হকারের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতাম আমি,
শিশির-পরেরটা পরে দেখা যাবে,এখন তুমি ঘুমাও,তোমার rest দরকার
তনু শুয়ে পড়লো,,
বিকালে শিশির কফি খেতে খেতে তনুকে দেখতে আসলে,তনু কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে,, শিশির গিয়ে ওর পাশে নিচু হয়ে বসলো
ওর কপালে চুমু দিয়ে তারপর ঠোঁটের উপর চুমু দিয়ে চলে গেলো,?
যাওয়ার সময় দেখলো তনু ঘুমের মধ্যে হাসতেছে মুচকি মুচকি,শিশির তনুর গাল টিপে দিলো,তারপর চলে গেলো
রাত ৮টার দিকে তনু উঠলো,,
রুম অন্ধকার,,লাইট জ্বালিয়ে দেখলো সব রুমই অন্ধকার,শুধু শিশিরের রুমের আলো জ্বলছে,শিশির ল্যাপটপে কাজ করতেছে,তনু দাঁড়িয়ে দেখেতেছে
শিশির তনুকে দেখেই বললো ভিতরে আসতে,কিন্তু তনু এলো না,আবার চলে গেলো
শিশির উঠে গেলো তনুর কাছে
গিয়ে ওর হাত ধরলো
শিশির-আবার কি?
তনু-আপনার রুমে গিয়ে আমি কি করবো?
শিশির-কি করবা, আগে যা করতা তাই করবা
তনু-নাহ
তনু হাত ছাড়াতে লাগলো,শিশির আরও শক্ত করে ধরলো,ধরে নিয়ে গেলো,,
তনুকে খাটে বসিয়ে শিশির তনুর পাশে বসলো
শিশির-আমাদের মাঝে আর কোনো 3rd person নেই,সুতরাং তুমি এখন আর এমন রাগ দেখাবা না
তনু-কিসের রাগ,যেটা সত্যি সেটাই,এখানে থাকলে আমার ভালোবাসা পেতে মন চাইবে তার চেয়ে ভালো দূরে দূরে থাকি,,
শিশির-আমি তোমাকে ভালোবাসবো
তনু-জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায় না
শিশির-আসলে তোমরা মেয়ে জাতি এমন কেন?একবার বলো ভালোবাসি না কেন,এখন যখন ভালোবাসব বলসি এখন বলো লাগবে না,আজব তো,এদের কে কাঁচা মরিচ খাইয়ে মরুভূমিতে রেখে আসা উচিত
তনু-কিহ
শিশির-?????
তনু-?
শিশির হাসতে হাসতে শেষ,এমন একটা হাসির কথা বললো সে, সে নিজেই হাসতে হাসতে শেষ
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ হয়ে,এত্ত কিউট কেন এই ছেলেটা,তনুর চোখ শিশিরের কানের পাশের তিলের টার দিকে গেলো,লোভ সামলাতে না পেরে তনু মাথা উঁচু করে সেখানে একটা চুমু দিয়ে দিলো
শিশির হাসি থামিয়ে তনুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো
তনু লজ্জা পেয়ে উঠে যেতে নিলো শিশির হাত ধরে ফেললো
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে