Bestfriend part : 3

0
3580

#Bestfriend
part : 3
writer : Mohona

.

মোহনা খেয়াল করলো যে ও পাগলাগারতে। মাথায় রক্ত উঠে গেলো ।
মোহনা : আমি এখানে কি করে এলাম ? কার এতো বড় সাহস যে আমাকে এখানে এনেছে?
মেরিন : মিষ্টু ঠান্ডা হ…
মোহনা দাত কটমট করে
বলল : আমাকে এ বাড়িতে কে এনেছে মেরুন?
মেরিন : প্লিজ ঠান্ডা কর মিষ্টু । ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখ। তোর ভালোর জন্যেই তোকে এখানে আনা হয়েছে।
মোহনা : আমার জানের কসম বল আমাকে এখানে কে এনেছে ?
মেরিন : কককাকা …
মেরিনের কাকা বলতে দেরি আছে পাগলাগারতে বাজ পরতে দেরি নেই ।
মোহনা : শুভ্র খান… ???

.

মোহনা সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে । মোহনার হুংকারে পাগলাগারত কেপে উঠলো । মোহনা সিরি দিয়ে নিচে নামছে ।
মেরিন : মিষ্টু মিষ্টু… ঠান্ডা হ প্লিজ।
মোহনা : মিস্টার শুভ্র খান where are you?
শুভ্র খান অনেক সাহস জুগিয়ে নিলো । নিজেকে শক্ত করলো। কারন অভিমানী মেয়েকে সামলাতে হলে নিজেকে শক্ত হতেই হবে।
মমতা খান : এতো চিল্লাইতাছোস ক্যালা? এডা ভদ্রলোকের বাড়ি … আর বাপের নাম ধইরা ডাকোচ … ছাহস কতো।
মোহনা : এটা খান বাড়ি। আমি জন্মগত খান … আর আপনি বিয়েগত। so shut your mouth up… এমন না হয় আমি আপনার জিভ টা কেটে ফেলি।
মমতা খান : তর ছাহস (সাহস) তো কমনা। তুই আমারে আমারে এতো বড় কথা কছ (কস)।
শুভ্র : মা let me handle …
মমতা খান : কি আর handle করবি? তোর মাইয়া তো লাগাম ছারা ঐইয়া গেচেগা…
শুভ্র : তাই তো লাগাম দিচ্ছি।
মোহনা : don’t you dare to…আমাকে লাগাম দেখাতে আসবেননা। আমি আপনারটা খাইও না আর পরিও না।
শুভ্র : তবে আমার বাবার টাকাতে তো চলো।
মোহনা : no… আমি আমার দাদুভাইয়ের টাকায় চলি। যেই টাকা আমার জন্মের পর দাদুভাই share এ লাগিয়েছিলো সেই share এর দাম হুরহুর করে বেরে যায়। আর সেই share ই দাদুভাই আমার নামে করে গিয়েছে । এটা আপনারই মুখের কথা । so shut up… anyway .. আমাকে এ বাড়িতে এনেছেন কোন সাহসে?
শুভ্র : বাবা হওয়ার সাহসে?
মোহনা : বাবা? ” কেবল আর কেবল অভ্র আর অহনাই আমার সন্তান… তুমি মানে মোহনা আমার জীবনের একমাত্র ভুল” এই কথাটা কে যেন বলেছিলো ?
শুভ্র : আমিই বলেছিলাম।তবে দুনিয়া জানে যে মোহনা খান মিষ্টি এই শুভ্র খানের মেয়ে ।তাই মোহনাক দিকে আঙুল তোলা মানে শুভ্র খানের দিকে আঙ্গুল তোলা …
মোহনা : আ…
আর বলতে পারলোনা। কারন তখন শুনতে
পেলো : ফপ্পি/ মাম্মামপাকি

[{( ফুপ্পি… মাম্মামপাখি । আসলে আমার নিজের ভাতিজা এখনো কথা বলতে পারেনা। তবে কাকাতো ভাইয়ের মেয়ে ফুপ্পি না বলে ফপ্পি বলে ডাকে। মাঝে মাঝে ফুইফুই বলে ডাকে। ২টা ডাকই ভীষন awwwe ki cute লাগে । নিজের ভাগনিটাও কথা বলতে শিখেনি। আর কাকাতো বোনের মেয়ে হালকা কথা শিখেছে । তাই গণহারে সবাইকে মাম্মাম মাম্মাম বলে ডাকে । এটাও awwwe ki cute লাগে। তাই use করলাম। )}]

মোহনা দরজার দিকে তাকালো।
মোহনা : রোদ-মেঘলা…
মোহনা দৌড়ে গিয়ে হাটু গেরে বসে ২জনকে বুকে জরিয়ে নিলো ।
এই রৌদ্র আর মেঘলাই হলো মোহনার সবথেকে বড় দুর্বলতা । আর তাই মোহনার জ্ঞান ফেরার আগেই মেরিন ওদেরকে আনার ব্যাবস্থা করেছে। রৌদ্র মামাবাসায় বেরাতে গিয়েছিলো মায়ের সাথে । যেই শুনেছে ফপ্পি এসেছে ওমনি বায়না ধরে চলে এসেছে । আর মেঘলাও মাম্মামপাকির কথা শুনে ছুটে এসেছে।

.

মোহনা : কেমন আছে আমার কলিজা ২টা?
২জন : বালো ( ভালো )।
রৌদ্র : মেয়িন ( মেরিন ) ফপ্পি …
মেঘলা : মেলিন মাম্মামপাকি…
২জন ছুটে মেরিনের কাছে গেলো। মেরিনও ২জনকে বুকে জরিয়ে নিলো ।
মোহনা মনে মনে : ওরে হারামী মেরুন… আমি জানি ওদের পেছনে তুইই আছিস। ?।
মেরিন মনে মনে : sorry মিষ্টু । কিন্তু তোকে ঠান্ডা করার আর কোনো উপায় ছিলোনা। ?।
রৌদ্র : ফপ্পি তুমি নাকি এ বাসাতেই থাকবে ।আগের মতো। মামনি বলল। তাই তো চলে এলাম।
মোহনা : …
রৌদ্র : ও ফপ্পি বলো…তুমি না আমার awwwe ki cute ফুইফুই …
মেঘলা : না আমাল মাম্মামপাকি…
রৌদ্র : আমার ফপ্পি…
মেঘলা : আমাল মাম্মাম…
মোহনা : চুপ চুপ চুপ… no ঝগড়া no ঝাটি। now give me আপ্পা।
২জন : তাহলে প্রমিস/প্লমিস করো/কলো যাবেনা থাকবে …
মোহনা : …
২জন : বলো …
মোহনা : promise … ???..
২জন মোহনাকে ২গালে চুমু দিলো ।
মেরিন : আমাকে কেউ ভালোবাসেনা…
২জন গিয়ে মেরিনকেও দিলো ।
মেরিন : আমরা ৪জন একসাথে থাকবো ।
২জন : yeah…

.

খান বাড়িতে…
( মেরিনদের বাসা )…
কনিকা : কি এতো ভাবছো কবির … আজকে সেই কখন থেকে দেখছি কিছু ভাবছো। এখনো কি মিষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করছো? ও তো ঠিক আছে।
কবির : না সেটা না। অন্য কিছু ভাবছি।
কনিকা : কি ?
কবির : ১টাই তো মেয়ে আমাদের। আমার ২ ২ বার heart attack হয়েছে। কিছুদিন আগে major stroke করলাম। কোনদিন মরে টরে যাই তার কোনো ঠিক নেই ।
কনিকা : কি যা তা বলছো ।
কবির : practically ভেবে দেখো । একমাত্র মেয়ের যদি বিয়ে না দিয়ে যেতে পারি তবে কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে।
কনিকা : বিয়ে…
কবির : হামম বিয়ে ।
কনিকা : মেয়েটার তো এখনো mbbs টাও কমপ্লিট হলোনা।
কবির : জানি। কিন্তু তুমি আমার দিকটা ভেবেছো। একমাত্র মেয়ে আমার …
কনিকা : তোমার মেয়েকে রাজী হবে? যে রাগী…
কবির : মেয়ে আমার রাগী হলেও মনটা নরম ।
কনিকা : study ?
কবির : আমার মেয়ের স্বপ্নের পথে আমি কোনো বাধা রাখবোনা । দরকার হলে ঘরজামাই রাখবো। তবুও মেয়ের স্বপ্ন কি অপূর্ন রাখবো…

.

২দিনপর…..
মোহনা : তুই sure যে কালকে তুই মেডিকেল যাবিনা।
মেরিন : আমার কি মরার পাখনা গজিয়ে়ছে যে যাবো।
মোহনা : যাক ভালোই হয়েছে আমিও যাবোনা।
মেরিন : এই তুই যাবিনা কেন?
মোহনা : তুই যাবিনা তাই আমিও যাবোনা । awwwe ki cute.. সারাদিন ঘুমাবো।
মেরিন : shut up… তুই না গেলে topic বুঝবো কি করে?
মোহনা : সে ১জনের কাছে থেকে নিয়ে নিবো।
মেরিন : ওরে চান্দুরে এটা স্কুল-কলেজ না… এটা মেডিকেল। তাও 3rd year… so.. যা । ২জনই না হলে মরবো।
মোহনা : না।
মেরিন : হ্যা । আমার জানের কসম…
মোহনা : ?।

.

পরদিন…
মোহনা রেডি হয়ে পিঠে ছালা বাধতেছে। দিপ্তী ওর জন্য খাবার নিয়ে এসে অবাক হয়ে গেলো।
দিপ্তী : মিষ্টি তুমি কি করছো ?
মোহনা : ছালা বাধছি ভাবি…
দিপ্তী : ছালা বাধছো মানে?!!!?
মোহনা : এখন ছালা বাধাকে বাংলায় translate করবো…
দিপ্তী : তুমি এটা বাধতেছো কেন ?
মোহনা : স্যার বলেছে পিঠে ছালা বেধে যেতে ।
বলেই মোহনা বেরিয়ে গেলো ।
দিপ্তী : পিঠে ছালা বেধে যেতে বলেছে স্যার!!! এই মিষ্টি দারাও পিঠে ছালা বেধে যাওয়া মানে পিঠে সত্যি সত্যি ছালা বাধা না… মাইর খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাওয়া… মিষ্টি…
মোহনা তো বেরিয়েও গেলো । শুনতেই পায়নি ভাবির কথা ।

.

ওদিকে …
মেরিন চকোলেট খেতে খেতে রাস্তা দিয়ে হাটছে । আর বকবক করছে ।
মেরিন : ধুর ধুর … মেডিকেল গেলেই ভালো হতো … মিষ্টুর সাথে তো থাকতে পারতাম … কই এখন বিরহ প্রেমিক দেবদাসের মতো পথে পথে হাটছি । হাতে চকোলেট নিয়ে … কি ঠাটা পরা রোদ রে বাবা । এক কাজ করি ওই ছায়ায় দারিয় চকোলেটটা খেয়েনি …
মেরিন দারিয়ে খেতে লাগলো।

নীড়ের bestfriend ওকে ফোন করেছে । তাই নীড় গাড়ি থামিয়ে কথা বলছে । মেরিনের পেছন দিকটা দেখতে পাচ্ছে । উচু করে ঝুটি করা … আজগুবি কেমন ১টা ড্রেস পরা। নীড় কথা বলায় মন দিলো । একটুপরই দেখলো যে ১টা ছেলে খুব বাজেভাবে মেরিনের দিকে তাকিয়ে আছে । ধাক্কা খেয়ে পরে যাওয়ার ভান করে মেরিনের ঘাড়ে হাত দিলো । নীড়ের মেজাজ বিগরে গেলো । ও মেয়েদের অনেক সম্মান করে । তাই ফোন রেখে এগিয়ে যেতে নিলো । কিন্তু ও যেতে যেতে মেরিন ওই ছেলেটাকে ডিটারজেন্ট ছারাই ধুতে শুরু করলো । নীড়সহ আশেপাশের সবাই হা করে দেখতে লাগলো। তবে নীড় মেরিনের মুখ দেখলোনা … কেবল কন্ঠ শুনলো ।

মেরিন : তোর এতো বড় কলিজা তুই মেরিন বন্যা খানের গায়ে হাত দিস… মেরিন বন্যা খানের গায়ে… শালী…
ছেলেটা কোনোরকমে নিজেকে ছারিয়ে দে দৌড়। মেরিনও ওটার পিছে দে দৌড়।

নীড় : কি ছিলো এটা …. বাঘিনী… মেরিন বন্যা খান … interesting … সময় পেলে ১দিন তোমায় নিয়ে গবেষণা করবো।

.

in the মেডিকেল …
সাগর : আজকে তো মোহোপাখির সাথে class আছে ।

☆ : আপনার ক্লাস তো কেবল মোহোপাখির সাথেই স্যার…

সাগর : ?। আর কেউ নেই মনে হয় ক্লাসে ?
☆: আছে । কিন্তু আপনি তো কেবল মোহোপাখির জন্যেই এখানে টিচার হিসেবে join করেছেন। এতো টাকা দিয়ে …
সাগর : of course…
☆ : তবে অন্যদের ক্লাসও নিন। ?।
সাগর : shut up…

মোহনা মেডিকেলে entry নিলো । আর মোহনাকে দেখে সবার চোখ কপালে । কারন এমন দৃশ্য কেউ কখনো দেখেনি । ছালা পিঠে বাধতে কেউ কাউকে দেখেনি । সবাই react করতেই ভুলে গিয়েছে। মোহনা damn care ভাব নিয়ে গিয়ে as usual সিটে বসলো। মেরিন-মোহনা সবসময় ১ম সারিতে বসে । আজকে শুরুতেই সাগরের ক্লাস । সাগর ঢুকলো । ঢুকেই মোহনার দিকে নজর গেলো । আর মহাঅবাক হলো । পিঠে ছালা বাধা দেখে … অবাক হয়ে মোহনার সামনে গিয়ে দারালো।
মোহনা : হ্যালো স্যার। ?।
সাগর : what is all this??
মোহনা : ছালা…
সাগর : পিঠে বেধে এসেছেন কেন ?
মোহনা : স্যার আপনিই না last class এ বললেন যে আজকে যেন পিঠে ছালা বেধে আসি…
সাগর অনেক চেষ্টা করলো নিজেকে সামলানোর । কিন্তু পারলোনা। অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
মোহনা : ?

.

রাতে
খান বাড়িতে…
( মেরিনদের বাসায় ) …
কবির : মামনি আসবো?
মেরিন : আরে বাবা যে। আসো আসো। বসে। তুমি permission নিবে কেন হামম হামম?
কবির বড় সরো চকোলেট বক্স দিলো।
মেরিন : thank u বাবা। এখন বলে ফেলো তো কি বলবে?
কবির : বুঝে গিয়েছে ?
মেরিন : হামম। আমার বাবার মনের কথা আমি বুঝবোনা ? এখন বলো কি বলবে?
কবির বসলো। মেরিনকেও বসালো। মেয়ের ২হাত নিজের ২হাতের মুঠোয় নিলো ।
কবির : রাগ করবেনা বলো… ঠান্ডা মাথায় শুনবে ।
মেরিন : হামম।
কবির : বাবার ওপর বিশ্বাস আছে?
মেরিন মুচকি হেসে
বলল : নিজের চেয়েও বেশি…
কবির : বাবা কি কখনো তোমার খারাপ চাইবে?
মেরিন : উহু…
কবির : দেখ মামনি … বাবার শরীরটা কেমন সেটা তো ভালো মতোই জানো… যেকোনো মুহুর্তে…
মেরিন : তুমি যদি চাও আমি রাগ না করি তবে এই ফালতু কথা বন্ধ করো ।
কবির : ok… ?। জানো মামনি তোমাকে নিয়ে সারাক্ষন tension এ থাকতে হয় । আমার পরে তোমার …
মেরিন : আবার … ?…
কবির : বলতে দাও । কখনো তোমার কাছে কিছুই চাইনি… আজকে যদি চাই তবে দিবে …
মেরিন : বাবা। just order me…
কবির : বিয়ের জন্য অনুমতি দিবে…? ?…
মেরিন : কি?
কবির : শোনো শোনো … শোনো … তোমকে আমি বিয়ের জন্য অনুমতি দিতে বলেছি মাত্র আজই বিয়ে করতে বলিনি। আর না তোমার স্বপ্ন অপূর্ন রাখতে বলছি … তোমার পছন্দ না হলে আমি কখনোই জোর করে কারো সাথে বিয়ে দিবোনা। তুমি just অনুমতি দাও … আমি বাবা কথা দিচ্ছি যে তোমাক স্বাধিনতায় কখনো বাধা আসতে দিবোনা …
মোটামোটি emotional blackmail করে কবির মেরিনকে রাজী করালো ।

.

৩দিনপর…
নীড় : মামনি কি সকাল সকাল ড্রামা শুরু করলে…?
নীলিমা : ড্রামা না। যদি আজকে মেয়ে দেখতে রাজী না হও আমি suicide করবো।
নীড় : মামনি… বাবা কিছু বলো ।
নিহাল : আমি কিছু বললে আমাকে নিয়েই মরবে । তাই চুপ থাকাই ভালো ।
নীড় : তোমরা এতো ড্রামাবাজ কেন??? ?।
নীলিমা : বিদায় পৃথিবী …
নীড় : fine… i will go…
নীলিমা : সত্যি … ?
নীড় : হামমম। কিন্তু…
২জন : কিন্তু!!!
নীড় : এটাই শেষ মেয়ে দেখা হবে। পছন্দ না হলে next time আর মেয়ে দেখতে যাবার ড্রামা করবেনা। রাজী …?
নীলিমা : রাজী। মেয়েটার নাম আচল।

.

মেরিন : দেখনা তোর কাকা কি করেছে ? ৩দিন আগে মত দিলাম কি দেইনি আর আজই নাকি কোন restaurant এ নিয়ে যাচ্ছে কোন না কোন বন্ধুর ছেলে আর তার ২৫ গুষ্ঠির সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাচ্ছে ।
মোহনা : ভালো তো ভালোনা। বিয়ে খাবো।
মেরিন : হারামী…
মোহনা : এতো ড্রামা করছিস কেন ? দেখতে গেলেই কি আর বিয়ে হয়? আর তোর পছন্দ না হলে কি কাকা তোকে জোর করে বিয়ে দিবে? so chill…
মেরিন : তবুও…?।

.

in চাংপাই…
কবিরের বন্ধু আরহান রায়হান , তার স্ত্রী রুবিনা , মেয়ে মিরা আগে থেকেই এসে পরেছে। তবে ছেলে অনন্ত এখনও আসেনা । মেরিনকে দেখেই মিরা আপু আপু বলে ছুটে এলো । মিরা মেরিনকে নিয়ে 2nd floorএ গেলো । আর বড়রা 1st floor এই রইলো । মিরা মেরিনকে বসালো।
মিরা : এই টেবিল কেন বুক করা হয়েছে? যেন তুমি আর ভাইয়া আলাদা কথা বলতে পারো । wow এখানে কতো রঙের গোলাপ। এই লাল গোলাপটা হাতে রাখো। আমি দেখি ভাইয়া এসেছে কিনা?
মিরা লাফিয়ে চলে গেলো । আর মিরা যেতেই মেরিন লাল গোলাপ রেখে কালো গোলাপ হাতে নিলো।
মেরিন : আমার প্রিয় লাগে কালো গোলাপা আর আমি হাতে নিবো লালটা। huh… শখ কতো… reject করে দিবো ।

মিরা : ভাইয়া এসেছিস? যা যা… ভাবি কালো ড্রেস পরে এসেছে। হাতে লাল গোলাপ ভয়ানক সুন্দরী লাগছে।

অনন্ত : যাচ্ছিরে বাবা যাচ্ছি…
অনন্ত গিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন ২টেবিলে ২জন কালো ড্রেস পরা । ১টা মেরিন আর অন্যটা আচল । যাকে নীড় দেখতে আসবে। নীড়-আচলকেও আলাদাভাবে কথা বলানোর জন্য 2nd floor এ দেয়া হয়েছে। আচলও ভীষন সুন্দর।
অনন্ত : আরে ২জনই তো কালো। মেরিন কোনটা!!! ১মিনিট মিরা বলেছিলো যে মেয়ের হাতে লাল গোলাপ। তারমানে ডানদিকেরটা। তবে কালো গোলাপ ওয়ালী বেশি সুন্দরী। আচল লাল গোলাপ হাতে নিয়ে বসে আছে । ?
অনন্ত আচলের কাছে গেলো।

.

নীড় ৩বস্তা রাগ নিয়ে সিড়ি দিয়ে উঠছে ।
নীড় : reject করে দিবো। কালো রঙের পোশাক পরেছে। নিশ্চয়ই মামনি বলেছে আমার সাথে ম্যাচিং করে পরতে। উফফ কেন যে কালো পরতে গেলাম …damn it …
নীড় ওপরে উঠলো । আর ঢুকেই চোখ গেলো মেরিনের দিকে। কালো রঙের জামদানী থ্রীপিছ। খুব সুন্দর , stylish & মার্জিতভাবে ওড়নাটা নেয়া। হাতে কালো গোলাপ। ছোট্ট ১টা বাচ্চার দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে …

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে