Bestfriend part : 18

0
2285

#Bestfriend
part : 18
writer : Mohona

.

নিহাল : মোহনার সাথে।
নীড় : আবার বলো …
নিহাল : মোহনার সাথে…
নীড় : আবার বলো….
নিহাল : মোহনার সাথে মোহনার সাথে মোহনার সাথে…
নীড় : yahoo…
বলেই নীড় নিহালকে নিয়ে গোল গোল ঘুরতে লাগলো ।
নিহাল : আরে পরে যাবো তো … থামো।
নীড় : থামতে পারবোনা বাবা। আজকে আমি অনেক অনেক অনেক happy….
নীড় থামলো।
নিহাল : পাগল হয়েছিস না কি?
নীড় : হ্যা বাবা। আজকে খুশিতে পাগল হয়ে গিয়েছি । সাগরের জন্য ।
নিহাল : এই খুশির মধ্যে যদি বলি মেরিনকে ভুলে যেতে ? তাহলে মেরিনকে ভুলে যাওয়ার দুঃখ বড় হবে নাকি সাগরের খুশির জন্য সুখ বেশি হবে।
মুহুর্তেই নীড়ের মুখের রং উরে গেলো ।
নিহাল : মেরিন আর সাগরের মধ্যে কাকে বেছে নিবে ?
নীড় : …
নীড় কখনোই সাগর আর মেরিনের মধ্যে যেকোনো ১জনকে বেছে নিতে পারবেনা ।
নিহাল : বলো …
নীড় : ১জনকেও না। কারন ২জনকেই আমার চাই। ২জন থেকে ১জনকে বেছে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। এমন কোনো situation আমি আসতেই দিবোনা আমি।
নিহাল : i am really very proud of you my son…. তুমি আসলেই আমার গর্ব। & sorry… সেদিন ওই কথা বলার জন্য। রেদের কাছে অনেক বকা খেতে হয়েছে আমাকে । তোমার ভালোবাসাও থাকবে আর তোমার বন্ধুত্বও থাকবে। আমি নিহাল আহমেদ চৌধুরী কথা দিচ্ছি এমন situation কখনো উপস্থিত হতেই দিবোনা যেখানে সাগর অথবা মেরিন যেকোনো ১জনকে বেছে নিতে হয়… যাও যাও ২ বন্ধু এখন celebrate করো….

.

in the পাগলাগারদ …
৩জন ৩বস্তা সাহস নিয়ে গুটিগুটি পায়ে ভেতরে ঢুকলো। গিয়ে দেখে পাগলাগারদ আসলেই পাগলাগারদ । মোহনা কানে কটন গুজে বসে বসে ধিরিম ধিরিম করে ড্রাম বাজাচ্ছে। ওর সাথে সাথে রোদ্র উরাধুরা পিয়ানো বাজাচ্ছে । ওর কানেও কটন গোজা। মমতা খান হয়তো থামো থামো চেচাচ্ছে। কিন্তু ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছেনা। কেউ মোহনার একটু সামনে গেলেই মোহনা আরো জোরে জোরে ড্রাম বাজাচ্ছে।

মোহনা :

???

badtameej dil
badtameej dil
my name is khan…
mohona khan

badtameej dil
badtameej dill
my name is khan…
mohona khan

???

দীদা তো মোহনাকে দেখে চিনতে পারলো।
আসলে আজকে সকালবেলা মমতা খান মোহনাকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। যার ফল পুরো খান বাড়ি ভোগ করছে ।
মমতা খান : এই শুভ্র তোর মেয়েকে থামা…
শুভ্র : গেলাম তো কতোবার থামাতে। থামছেই তো না। তুমি ওকে রাগাতে গেলা কেন?
মমতা খান : তুই আমার দোষ দিবি…
শুভ্র : মা… তুমি…
দিপ্তী : মিষ্টি… মিষ্টি … থামোনা প্লিজ। দীদাকে বকে দিচ্ছি ।
কে শোনে কার কথা । বাজাতে বাজাতে মোহনার চোখ দরজার দিকে গেলো। ৩জনকে দেখতে পেলো । ড্রাম বাজানো থামালো । কান থেকে কটন বের করলো ।
মোহনা : আপনারা কারা ?
সবাই পিছে ঘুরলো। শুভ্র তো পিছে ঘুরেই ক্ষেপে গেলো। তবে শুভ্রর থেকে বেশি মমতা খান ক্ষেপে গেলো।
মমতা খান : যেখানে দারিয়ে আছেন ওখানেই থাকেন। আর ১পা বারানোর সাহচ করবেননা।
রেদোয়ান ৩কদম আগে বারলো।
রেদোয়ান : আমার সাহস বরাবরই একটু বেশি তাই ৩কদম আগে বারলাম।
মোহনা মনে মনে : আরিপাস… এই ত্রিমুর্তী তো ঢাকাইয়া বুড়ির দুশমন পার্টি। দুশমনের দুশমন তো দোস্ত হয় ।
মমতা খান : এখনই এই বাড়ি থেকে বের হ…
মোহনা : আপনারা ওখানে কেন? ভেতরে এসে বসুন।
মমতা খান : ওই অপয়া তুই চুপ থাক। এরা এই বাড়ি কি আপনার বাবার মিসেস খান? খান বাড়িতে এসে কেউ দরজা থেকেই চলে যাবে অমন নিয়ম খান বাড়ির নেই । চৌকাঠে কেউ এলে তাকে সমাদর করাই এ বাড়ির awwwe ki cute নিয়ম। অবশ্য সেটা আপনার মতো নিচু মনের মানুষের কাউকে সমাদর করার মানষিকতা নেই। ঠকবাজী গোষ্ঠীর মেয়ে তো।
মমতা খান : এই…
শুভ্র : থামো মা। এটা খান বাড়ি । তাই পথের ভিখারী এলেও তাদের সমাদর করা হয়। আর এরা তো “the” চৌধুরী। আসুন বসুন।
দাতে দাত চেপে কথা গুলো বলল শুভ্র।

৩জন বসলো।
মোহনা দীদা মানে পান্নার কাছে গেলো।
মোহনা : তুমি সেদিনের সেই পার্কটার বুড়িমা না?
দীদা : হামম।
মোহনা : তুমিনা খুব সুন্দর । একেবারে awwww ki cute…
দীদা মোহনার কপালে চুমু একে দিলো।
দীদা : হামম। কিন্তু তোমার থেকে কম।
রোদ্র : ফপ্পি চলো আমরা খেলা করি।
মোহনা : ok চলো।
মোহনা আর রোদ্র চলে গেলো।

.

শুভ্র : আপনাদের এ বাড়িতে আসার কারন জানতে পারি?
রেদোয়ান : ওয়াদা।
শুভ্র : মানে ?
রেদোয়ান : ১টা ওয়াদার কারনে এ বাড়িতে আবার আসা।
মমতা খান : কিসের ওয়াদা?
রেদোয়ান : সেই ওয়াদা যেটা সোহানা খান আর শিখা চৌধুরীর মধ্যে হয়েছিলো। সাগর-মোহনার বিয়ের ওয়াদা …
শুভ্র : মিস্টার রেদোয়ান জিভ সামলে কথা বলুন। এই কথা বলার আপনার সাহস কি করে হয়? ভাবলেন কি করে যে আমার মেয়ে আপনাদের বাড়ির বউ হয়ে যাবে।
রেদোয়ান : ভাবাভাবির কিছুই নেই। ১জন মৃত মানুষের শেষ ইচ্ছার দাম তোমাদের কাছে না থাকতে পারে কিন্তু আমাদের কাছে আছে। তাই এই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। মোহনা কে বাড়ির বউ করে নেয়ার আশায় এসেছি।
শুভ্র : আমার মেয়েকে তোমাদের বাড়ির বউ করে পাঠাই । আর আমার মেয়েকে তোমরা মেরে ফেলো। আর আমি আমার বোনের মতো মেয়েকেও হারিয়ে ফেলি। no never…
রেদোয়ান : পুরোনো তর্কে জরানোর কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। তোমাকে বোঝানো just বেকার। তোমাদের কাছে মোহনা আমাদের আমানত। সেই আমানত ফিরিয়ে নেয়ার সময় এসে গিয়েছে।
শুভ্র : আ…
মমতা খান : বেশ নিয়ে যাও ওই অপয়াটাকে । আমরাও একটু রক্ষা পাই। ওই অভিসাপটা থেকে।
পান্না : সাবধানে মিসেস খান যার সম্পর্কে কথা বলছেন সে চৌধুরী বাড়ির আমানত।
মমতা খান : আপনাদের কাছে আমানত কিন্তু আমাদের কাছে অভিশাপ। তাই নিয়ে যান।
শুভ্র : মা । কি যা তা বলছো ? আমার মেয়েকে আমি নিজের হাতে মেরে পানিতে ভাসাবো তবুও ওই বাড়ির বউ করে পাঠাবো না।
মমতা খান : কিন্তু আমি তো পাঠাবোই।
শুভ্র : মেয়ে আমার মা। আমি যেটা বলবো সেটাই শেষ কথা। আর আপনারা এসেছেন চা-নাস্তা খান। then চলে যান । যেই ইচ্ছা নিয়ে এসেছেন সেটাকে কবর দিয়ে যান। না হলে আপনাদেরকেই কবরে যেতে হবে।
রেদোয়ান : চলে তো আমি যাবোই । চলো মা-বাবা… তবে ১টা কথা বলতে চাই মিস্টার শভ্র। কলেজে যখন ১জন আমাকে বলতো যে আমার নাকি বাজের চোখ। বাজপাখি যেমন নিজের নিশানা কখনো ভোলেনা। তেমনি আমিও । আমি রেদোয়ান চৌধুরী আজকে সবার সামনে কথা দিচ্ছি মোহনা খান মিষ্টি আর কারোনা। কেবল আর কেবল সাগর চৌধুরীর ই বউ হবে। চৌধুরানী হবে । কথা দিলোম।
বলেই রেদোয়ান মা-বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
শুভ্র : দেখা যাবে।

.

সাগরদের বাসায়…
সাগর : কি হয়েছে? কি এমন কথা যে এভাবে সবাইকে বসিয়েছো ?
রেদোয়ান : অনেক জরুরী কথা ।
সাগর : কি কথা?
রেদোয়ান : জ্ঞান হওয়ার পর থেকে তোমার যা করতো মন চেয়েছে তুমি করেছো… কখনো আমরা কোনো বাধা দেইনি। কিছু চাইওনি তোমার কাছে। তোমাকে বলেছিলাম আমার business সামলাতে… তুমি ডক্টর হলে। ভালো। বলেছিলান abroad থেকে ডক্টর হয়ে আসো। তুমি এখানেই mbbs complete করলে । রাগ কমাতে বলেছি । বললে সেটাও সম্ভব না। কদিন আগে তোমার বিয়ের কথা উঠলে তুমি সেটাও বন্ধ করে দিয়েছো। government hospital ছেরে non-government hospital এ জব করছো। তাও কিছু বলিনি। তোমার যা ইচ্ছা হয় সেটাই তুমি করো। তবে এবার তোমাকে আমার ইচ্ছা পূরন করতে হবে।
সাগর : কি ইচ্ছা ?
রেদোয়ান : বলবো। তবে আগে তুমি আমার হাত ধরে কথা দাও যে সেটা পূরন করবে।
সাগর : …
রেদোয়ান : কি হলো কথা দাও।
সাগর: কথা দিলাম সাধ্যের মধ্যে হলে অবশ্যই পূরন করবো।
রেদোয়ান : গুড।
সাগর : এবার তো বলো।
রেদোয়ান : তোমাকে বিয়ে করতে হবে।
সাগর : what ? im…
রেদোয়ান : মোহনা খান মিষ্টিকে …
সাগর : কিহ??? কাকে বিয়ে করতে হবে….
রেদোয়ান : শুভ্র খানের ছোটো মেয়ে মোহনা খান মিষ্টিকে …
সাগর : আবার বলো…
রেদোয়ান : মোহনা খান মিষ্টিকে…
সাগর : তুমি বলেছো। এটাই যথেষ্ট । anything for you…
রেদোয়ান মনে মনে : এতো তারাতারি রাজি হয়ে গেলো আমার ঘাড়ত্যারা ছেলেটা ?
শিখা মনে মনে : আচ্ছা সেদিনের শপিং মলের সেই মোহোই মিষ্টি নয়তো…

.

২দিনপর…
মেরিন : বাবা কার না কার বিয়ে না বৌভাতে ২৫ গুষ্টিশুদ্ধ যাওয়াটা জরুরী…?
কবির : মামনি… business relation আছে ওদের সাথে আমার।
মেরিন : তাতে আমার বাপের কি ? জানোই তো আমার অচেনা কারো বিয়েতে যেতে ভালো লাগেনা।
কনিকা : তো তোমার জন্য কি রোজ রোজ family এর কারো না কারো বিয়ে দিতে হবে?
মেরিন : huh…
কবির : তোমরা মা-মেয়ে যতোটা ঝগড়া করো ততোটা ঝগড়া তো দুশমনেরাও করেনা।
মেরিন : আম্মুই তো আগে খোচা মারে। huh…
কবির : আচ্ছা হলো … বাদ দাও…

.

in the venue …
মেরিনরা পৌছালো… আর পৌছাতেই নিহাল-নীলিমা কে দেখতে পেলো। সবাই কুশল বিনিময় করলো।
কবির : নীড় দেখছিনা যে? আসেনি?
নিহাল : এসেছে। car park করছে । ওই তো চলে এসেছে ।
না চাইতেও মেরিন তাকালো। আর তাকিয়েই চোখ আটকে গেলো। নীড় আজকে ডার্ক ব্লু রঙের ব্লেজার পরেছে। দেখে মেরিন বড় সরো crush খেলো… ড্যাবড্যাব করে দেখতে লাগলো। খেয়াল করলো যে আশেপাশের মেয়েগুলোও নীড়ের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । যেটা দেখে মেরিনের বিরক্ত লাগলো।
মেরিন মনে মনে : এতো সেজেগুজে আসার কি আছে? যেন তারই বিয়ে। ১টা বোরখা পরে আসলে কি হতো উনার? huh…
নীড় মেরিনের দিকে তাকালো। এরপর অনেক কষ্টে চোখটা ঘুরিয়ে নিলো। মেরিন কফি রঙের ১টা গাউন পরেছে। এই রঙে নীড় প্রথম দেখলো মেরিনকে। নীড় মেরিনকে ignore করে কবির-কনিকাকে সালাম দিলো। ওরা নিলো।
নীড় : কেমন আছো তোমরা ?
কনিকা : ভালো। তুমি কেমন আছো।
নীড় : আমিও।
মেরিন মনে মনে : একটু আমার দিকে তাকালোও না। huh আবার নাকি আমাকে ভালোবাসে … পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং…
নিহাল : চলো ওখানে গিয়ে কথা বলি। এখানে কি আর বলবো? চলো ওখানে বসে আড্ডা মারি।
কবির : ok … চলো ।
নীড় : বাবা , uncle তোমরা বসো আমার call আসছে বারবার। কথা বলে আসছি।
নিহাল : ok…
ওরা গিয়ে বসলো। নীড় কথা বলার বাহানায় খানিকটা দূরে গিয়ে দারিয়ে মেরিনকে দেখতে লাগলো।
নীড় : কথা বলা তো বাহানামাত্র । উদ্দেশ্য তো তোমাকে দেখা ছিলো। তোমাকে একটু জ্বালানোর জন্য সরাসরি তোমাকে দেখতে পারবোনা। তাই একটু ছলনা করলাম। i love you my বনপাখি। আমি damn sure যে খুব শীঘ্রই তুমি বুঝতে পারবে যে তুমিও আমাকে ভালোবাসো।

.

একটুপর…
নীড় গিয়ে সবার সাথে বসলো।
নীড় : sorry … late হয়ে গেলো।
কবির : its ok বাবা।
মেরিন মনে মনে : একটু তাকাচ্ছেওনা। এমন কেন আপনি? কিন্তু কথা হলো উনার তাকানো না তাকানো আমাকে এতো effect করছে কেন? ভালো লাগেনা । আমিই বা কেন বেহায়ার মতো উনার দিকে বারবার তাকাচ্ছি…
নীলিমা : আচ্ছা চলোনা গিয়ে বউ দেখে আসি।
কনিকা : হ্যা হ্যা চলো চলো।
নীলিমা-কনিকা-মেরিন বউ দেখতে গেলো ।
নীড় ১বার বউয়ের দিকে তাকাচ্ছে ১বার মেরিনের দিকে তাকাচ্ছে।
নীড় : হায় আমার বউটা কতো সুন্দরগো। ওই বউটার থেকে তো আমার বউটাই সুন্দর। নজর না লাগুক…
তখন নীড় ়খেয়াল করলো ১টা ছেলে মেরিনের ছবি তুলছে….

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে