#Bestfriend
part : 1
writer : Mohona
.
নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন প্রচন্ড স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে । আর ফোনে কথা বলছে । bluetooth এ of course …
নীড় : রনি… মিটিং রুম রেডি করো। লেট যেন না হয় ? তুমি ভালো মতোই জানো যে লেটা করা আমার পছন্দ না …
রনি : sure sir…
নীড় ফোন রেখে দিলো । তখন নীলিমা ফোন করলো।
নীড় : মামনি drive করছি। পরে ফোন দিচ্ছি….
নীলিমা : রাখবোনা রাখবোনা রাখবোনা … মেয়ে দেখতে আসবে না বেবি… আমি কি ছেলের বউয়ের মুখ দেখতে পারবোনা?
নীড় : মামনি always drama ভালো লাগেনা। & i am not baby… bye…
নীড় দুম করে ফোন রেখে দিলো ।
.
অন্যদিকে গান শুনতে শুনতে চকোলেট খেতে খেতে মনের সুখে drive করছে। মোহনা খান মিষ্টি।
মোহনা : আজকে রোডই শেষ হচ্ছেনা । ও তো আমাকে খেয়েই ফেলবে । ফেলুক তাতে আমার জামাইর কি ? কিন্তু আমার জামাইটা কে??? যেই হোক আমার বাপের কি …
মোহনা বকবক করতে করতে drive করছে তখন ধিরিম করে কারো গাড়ির সাথে সংঘর্ষ হলো ।
মোহনা : উহ মাগো … আব্বে কোন সালারে ( শালা )…
মোহনা রেগে bomb হয়ে নিচে নামলো । মোহনার গাড়ি টক্কর খেলো নীড়ের গাড়ির সাথে ।
নীড় : what the hell is this… ?…
নীড়ও রেগে আগুনে বেগুনে হয়ে গাড়ি থেকে নামলো ।
মোহনা : চোখ কি পকেটে নিয়ে ঘোরেন নাকি বাসায় রেখে আসেন? যদি চোখ শোপিজ সাজিয়ে রাখতে মন চায় তবে বাসা থেকে বের হন কেন?
নীড় : shut up just shut up you stupid girl… আর এটা গাড়ি। plane না যে এহাবে উরবে। গাড়ি চালাতে হয় ওরাতেনা…
মোহনা : আমার গাড়ি আমার ইচ্ছা ।
নীড় : গাড়িটা তোমার হতে পারে। রোড না।
মোহনা : so what… আমার যেভাবে ইচ্ছা আমি সেভাবে চালাবো। problem ???
নীড় : এমন ভাবে কথা বলছো যেন রাস্তাটা তোমার বাবার… ?…
মোহনা : হ্যা রাস্তাটা আমার বাবার। আমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে। সরকার অনুদান দেয় আর আমার বাবা মানে যোগাযোগ মন্ত্রি সেই অনুদান দিয়ে রাস্তাঘাট ঠিক করে। so এই রাস্তা আমার বাবার । not only এই রোড but also সব রোড ই আমার বাবার। বুঝেছেন… ??? ???
পরে নিজে নিজে খুসফুস করে
মোহনা বলল : এইরে বলে তো দিলাম যে আমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে। এখন যদি বাবার নাম বলতে বলে!!!??? । আমি তো যোগাযোগ মন্ত্রির নামই জানিনা… ???
মোহনার কাছে মোহনা আস্তে কথাই বলেছে । কিন্তু সেটা এতো আস্তেই ছিলো যে নীড়ের কান পর্যন্ত যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মোহনার এমন কথা শুনে নীড়ের হাসি পেলো ।
নীড় : oh really …? তুমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে।
মোহনা : obviously … ?… স
so মিস্টার whatever আপনার গাড়ি reverse gear এ নিন…
নীড় : oh hello… i am nir ahmed chowdhuri borshon…
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি? গাড়ি পেছনে নিন…
নীড় : no..never…
মোহনা : আপনার জন্য আমি শপিংএ যেতে লেট হচ্ছি । লেট হওয়ার অপরাধে খুন হয়ে যেতে পারি। so পিছে যান।
নীড় : তুমি পিছে যাও। তোমার জন্য আমি মিটিংএ লেট হচ্ছি । ৫০কোটি টাকার ডিল। so go back….
মোহনা : শেষবারের মতো বলছি পিছে যাবেন কি যাবেননা?
নীড় : no… never…
মোহনা : ok…
বলেই মোহনা নীড়ের গাড়ির চাবিটা নিয়ে দূরে ফেলে দিলো।
নীড় : you…
বলেই নীড় চাবিটা নিতে গেলো। সেই সুযোগ মোহনা নীড়ের গাড়ির ১টা চাকার হাওয়া বের করা শুরু করলো। নীড় পিছে ঘুরে কাহিনি দেখে আরো ক্ষেপে গেলো।
নীড় : এই মেয়ে…
নীড় ছুটে আসতে আসতে মোহনা গাড়িতে বসে গাড়ি নিয়ে দে দৌড় …
যাওয়ার সময় বলে
গেলো : ও লে লে লে লে… isn’t it awwwe ki cute… মিস্টার ঢোল???
নীড় : ?।
মোহনা : ঢোল কেন বললাম জানেন… কারন আপনার band বাজিয়ে গেলাম।
নীড় : you…
মোহনাকে আর পায় কে…
.
in the shopping mall…
সাগর চৌধুরী ওর বন্ধু ধ্রুব হাসানের সাথে shoppinএ এসেছে ।
সাগর : তুই তোর gf এর জন্য gift কিন না আরো কিছু কিন সেটা তোর ব্যাপার । আমাকে নিয়ে এলি কেন ?
ধ্রুব : এই মনে কর খুশির ঠ্যালায়।
সাগর : ?।
ধ্রুব : রররাগ করিস কেন? তুই যখন তোর ভালোবাসার পাখির জন্য gift কিনিস তখন তো আমরাও আসি মাঝে মাঝে।
সাগর : তোরা জবর দস্তি চলে আসিস। stupid …
ধ্রুব : ছার না । একটু helping helping … করনা জানু…
সাগর : মেয়েদের বুলি বলছিস কেন ? গবেট কোথাকার ।
.
মেরিন বন্যা খানও শপিং করতে এসেছে ।
মেরিন : এখনও এলোনা? একে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে কিমা বানাতে পারতাম । ?।
আনমনে বকাবকি করতে করতে মেরিনের সাথেও সংঘর্ষ হলো কারো সাথে । সাগরের সাথে ।
মেরিন : উ আম্মুরে গেলামরে আমার মাথাটা বোধ হয় পরেই গেলো রে…. এই শপিং মলে কুতুব মিনার কে রাখলো …
বলেই মেরিন মাথা ওঠালো। সাগরকে দেখলো । সাগরকে দেখতে গিয়ে মেরিনের মনে হচ্ছে ওর ঘাড় ভেঙে যাবে ।
সাগর : মেরিন … ( ফিসফিস করে )
মেরিন : দেখে হাটতে পারেন না? চোখ নেই ? you কানার ঘরে অন্ধ।
সাগর : তোমার চোখ নেই ? তুমি দেখে হাটতে পারোনা ? নাকি ছেলে দেখলেই ধাক্কা দিতে মন চায়?
মেরিন : কি কি বললেন আপনি? আমি ধাক্কা দিয়েছি না আপনি ?
সাগর : of course তুমি।
মেরিন : oh hello… খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনার মতো তারখাম্বার সাথে ধাক্কা খাবো … আম্মুইগো ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেলো।
সাগর : নিজেই ধাক্কা দিয়ে ড্রামা করা হচ্ছে ??
মেরিন : তার থেকে বড় কথা হলো এই আপনি মানুষ নাকি কুতুব মিনার বলুন তো? শুরু হলে শেষই হন না।কুতুব মিনার ভালো কথা । ১জায়গায় দারিয়ে থাকলেই তো পারেন। সবাই এসে আপনার দর্শন করতো। আর সারা পৃথিবী জানতো বাংলাদেশেও কুতুব মিনার আছে আফ্রিকার মতো। এতে আপনি এবং দেশ ২জনই লাভবান হতো।
মনে মনে : কুতুব মিনার তো মনে হয় আফ্রিকাতেই । আর না হলে আমার ২৫গুষ্ঠির কি? ??? ।
মেরিনের কথা শুনে সাগর কি react করবে বুঝতে পারছেনা। হাসবে নাকি কাদবে ?
সাগর মনে মনে : control সাগর হাসা যাবেনা ।
ধ্রুব : ওই কুতুব মিনার আফ্রিকাতে কবে shift হলো!!! আর টেলিভিশনে টেলিকাস্ট হলোনা কেন ?
সাগর : সেটা এই সুন্দরী থুরি বান্দরি মহাশয়াকে জিজ্ঞেস।
মেরিন : কি কি বললেন আপনি ? আমি বান্দরি ?
সাগর : দেখ স্বীকার করলো যে তিনি বান্দরি ।
মেরিন : মোটেও না। আমি বান্দরি ।
সাগর : বান্দরি বান্দরি বান্দরি ।
মেরিন : আমি যদি বান্দরি হই তাহলে আপনি কানকাটা হনুমান ।
বলেই ব্যাগ থেকে eyeliner বের করে হাতে গপগপ করে ঢেলে সাগরের মুখে লাগিয়ে দে দৌড় …
সাগর : মেরিন ….?…
ধ্রুব : হাহাহাহাহা….
আশেপাশের সবাই সাগরকে ড্যাবড্যাব করে দেখছে ।
.
দৌড়াতে দৌড়াতে মেরিন গিয়ে মোহনার সাথে ধাক্কা খেলো । ২জনই ধিরিম করে পরে গেলো ।
২জন : ouch… কোন গরুরে…
২জন তুলে তাকালো ।
মেরিন : ?
মোহনা : ?
২জন : হাহাহাহাহা ।
মোহনা : কি রে উড়োজাহাজের মতো উড়ে কোথায় যাচ্ছিলি? অলিম্পিকে ?
মেরিন : আরে জানিস না। কুতুব মিনার মা… oh no… আসতেছে। চল … ওঠ।
মেরিন মোহনার হাত ধরে দৌড়াতে লাগলো। কারন সাগর রেগে atom bomb হয়ে তেরে আসছে ।
মোহনা : আরে আমার হাত খুলে পরে যাবেতো ছারনা মেরুন…
মেরিন : কথা না বলে দৌড়াতো মিষ্টু …
জলদি । না হলে শহীদ হয়ে যাবো ।
মোহনা : আরে শপিং করবোনা ?
মেরিন : বেচে থাকলে শপিং আরো করতে পারবো। তুই চল ।
২জন গাড়ি নিয়ে ভাগলো।
? নীড় : stupid মেয়েটার জন্য মিটিং ও লেট হয়ে গেলাম…. আরেকবার সামনে পেলে কি করবো নিজেও জানিনা। ?।
?সাগর : মেরিনের বাচ্চি… খবর আছে। আমার মুখে কালি দেয়া ।
.
খান মঞ্জিল…
( মেরিনদের বাসা )…
কনিকা : কি ব্যাপার ২জন যে ফিরে এলে?
মোহনা : জানোনা কাকীমা… তোমার মেয়ে কুতুব মিনার দেখে পালিয়ে এলো।
কনিকা : কুতুব মিনার দেখে পালিয়ে এলো মানে ? কুতুব মিনার india থেকে এখানে কবে shift হলো।
মেরিন : কুতুবমিনার india তে?
মোহনা : হ্যা তা নয়তো কি এখানে হবে?
মেরিন : ?।
মোহনা : কাহিনি কি বলতো…
মেরিন সব বলল।
কনিকা-মোহনা : হাহাহা…
মেরিন : হাহাহা… কিন্তু মিষ্টু তোর এতো লেট হলো কেন? তোর জন্যেই আজকে আমি শহীদ হতে হতে বেচেছি। ??।
মোহনা : আর বলিসনারে। তোর তো কুতুবমিনার দর্শন হয়েছে । আর আমার…
কনিকা : তোমার কি আইফেল টাওয়ার from দুবাই। ?। মেরিন আইফেল টাওয়ার দুবাই এ না ?
মেরিন : না। এটা আমি জানি। পাকিস্তানে। ?।
কনিকা-মোহনা : ?।
মেরিন : তুই বলবি লেট হলো কেন ? ?।
মোহনা : বলছি তো। তুই তো কুতুবমিনার পেয়েছিস আর আমি পেয়েছি ঢোল…
কনিকা – মেরিন : ঢোল ?
মোহনা সব বলল।
কনিকা-মেরিন : হাহাহাহাহা।
মোহনা : মেরুন আমার কি মনে হয় জানিস ?
মেরিন : কি ?
মোহনা : তুই আর আমি আসলেই জমজ বান্ধবী । তাই আমাদের মধ্যে সেম হয়।
মেরিন : হামমম। ?।
মোহনা : আব্বে সালা আবার জিগায় বল…
মেরিন : আবার জিগায়। ?।
২জন খিলখিল করে হাসতে লাগলো। কনিকা ২জনের কান মলে দিলো।
কনিকা : সারাদিন খালি বদমাইশি না ?
২জন : হামম।
কনিকা : পাজি ২টা। খান বাড়ি মানেই বদমাইশ।
২জন : ?।
মোহনা : কাকীমা ক্ষুধা পেয়েছে। দারুন করে ফাটিয়ে জমিয়ে রান্না করো তো। এর ভয়ে সকালে breakfast ও করিনি।
মেরিন : ওটাকে সকাল না দুপুর বলে।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি ? ?।
কনিকা : ওলে আমার সোনারে। আগে বলবেনা ক্ষুধা পেয়েছে। তুমি কাকীমার কাছে থাকতে পারোনা ?
মোহনা : হ্যা থাকি আর ঢাকাইয়া কুটনী আমাকে কথা শোনাক। আমি তো সবার থেকে আলাদাই ভালো আছি….
.
চৌধুরী ভিলা…
( নীড়দের বাসা )…
নীলিমা : বুঝলে গো ঝুমুর আমার কপালে বোধহয় আর ছেলের বউয়ের মুখ দেখা নেই।
ঝুমুর : খালাম্মা এই কথা বলেন কেন?
নীলিমা : আর কি বলবো দে… নীড়…. ঝুমুর ঠান্ডা পানি আনো।
নীড় রেগে আগুনে বেগুনে হয়ে বাড়িতে ঢুকলো।
নীলিমা : আমার সোনা বাচ্চাটা এতো রেগে আছো কেন ? কি হয়েছে বেবি?
নীড় : মামনি i am not baby… ok ?
নীলিমা : ok… ?… কিন্তু কি হয়েছে?
নীড় : কিছুনা…
নীলিমা নীড়কে পানি দিলো ।
নীড় কাউকে ফোন করলো।
নীড় : find her at any cost… i just want that girl…
নীলিমা : মেয়ে?।
নীড় ফোন রেখে দিলো। এরপর ওপরে চলে গেলো।
নীলিমা : আমার ছেলে ১টা মেয়েকে খুজছে। এই কারনেই মেয়ে দেখতে রাজী হয়না। হায়… হ্যালো নিহাল।
নিহাল : হ্যা বলো।
নীলিমা : জানো… আমাদের ছেলে না ১টা মেয়েকে খুজছে… ?… মনে হয় এই কারনেই অন্য কাউকে দেখতে পর্যন্ত রাজী হয়না… ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ।
নিহাল : তোমার ছেলে বিয়ে করার জন্য খুজছে না মারার জন্য খুজছে সেটা sure হয়ে খুশি হও।
নীলিমা : একদম অকথা কুকথা বলবেনা বলে দিলাম। huh…
নীলিমা ধপাস করে ফোন কেটে দিলো।
.
চৌধুরী প্যালেস…
( সাগরদের বাসা )…
শিখা : আআআ… এটা কে ভূত ভূত… না না দিনের বেল কিসের ভূত? ডাকাত ডাকাত….
সাগর : মামনি its me…
শিখা : ডাকাত আমাকে মামনি ডাকে কেন রে? রেদ…?…
রেদোয়ান ছুটে এলো ।
রেদোয়ান : কি হয়েছে?
শিখা হাত দিয়ে ইশারা করলো। হঠাৎ দেখে রেদোয়ানও চমকে উঠলো ।
রেদোয়ান : who are you? যেই হও চলে যাও হুস… আমার ছেলে কিন্তু অনননেক রাগী… ভয়ংকর। চলে যাও….
সাগর : enough … ???…
সারা চৌধুরী বাড়ি কেপে উঠলো।
শিখা : ধমকে বলছে এটা আমারই ছেলে…
রেদোয়ান : হ্যা আমারও তাই লাগছো। তা বাবা তুমি এমন হনুমান সেজে এসেছো কেন? fancy dress competition ছিলো বুঝি…?
সাগর : কি বললা আমি হনুমান?
রেদোয়ান : না না তুমি হনুমান না তো। তোমার এই get up টা হনুমান…
সাগর কোন কথা না বলে হনহন করে রুমে চলে গেলো।
চলবে????