Bestfriend part : 1

0
6814

#Bestfriend
part : 1
writer : Mohona

.

নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন প্রচন্ড স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে । আর ফোনে কথা বলছে । bluetooth এ of course …
নীড় : রনি… মিটিং রুম রেডি করো। লেট যেন না হয় ? তুমি ভালো মতোই জানো যে লেটা করা আমার পছন্দ না …
রনি : sure sir…
নীড় ফোন রেখে দিলো । তখন নীলিমা ফোন করলো।
নীড় : মামনি drive করছি। পরে ফোন দিচ্ছি….
নীলিমা : রাখবোনা রাখবোনা রাখবোনা … মেয়ে দেখতে আসবে না বেবি… আমি কি ছেলের বউয়ের মুখ দেখতে পারবোনা?
নীড় : মামনি always drama ভালো লাগেনা। & i am not baby… bye…
নীড় দুম করে ফোন রেখে দিলো ।

.

অন্যদিকে গান শুনতে শুনতে চকোলেট খেতে খেতে মনের সুখে drive করছে। মোহনা খান মিষ্টি।

মোহনা : আজকে রোডই শেষ হচ্ছেনা । ও তো আমাকে খেয়েই ফেলবে । ফেলুক তাতে আমার জামাইর কি ? কিন্তু আমার জামাইটা কে??? যেই হোক আমার বাপের কি …
মোহনা বকবক করতে করতে drive করছে তখন ধিরিম করে কারো গাড়ির সাথে সংঘর্ষ হলো ।

মোহনা : উহ মাগো … আব্বে কোন সালারে ( শালা )…
মোহনা রেগে bomb হয়ে নিচে নামলো । মোহনার গাড়ি টক্কর খেলো নীড়ের গাড়ির সাথে ।

নীড় : what the hell is this… ?…
নীড়ও রেগে আগুনে বেগুনে হয়ে গাড়ি থেকে নামলো ।

মোহনা : চোখ কি পকেটে নিয়ে ঘোরেন নাকি বাসায় রেখে আসেন? যদি চোখ শোপিজ সাজিয়ে রাখতে মন চায় তবে বাসা থেকে বের হন কেন?
নীড় : shut up just shut up you stupid girl… আর এটা গাড়ি। plane না যে এহাবে উরবে। গাড়ি চালাতে হয় ওরাতেনা…
মোহনা : আমার গাড়ি আমার ইচ্ছা ।
নীড় : গাড়িটা তোমার হতে পারে। রোড না।
মোহনা : so what… আমার যেভাবে ইচ্ছা আমি সেভাবে চালাবো। problem ???
নীড় : এমন ভাবে কথা বলছো যেন রাস্তাটা তোমার বাবার… ?…
মোহনা : হ্যা রাস্তাটা আমার বাবার। আমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে। সরকার অনুদান দেয় আর আমার বাবা মানে যোগাযোগ মন্ত্রি সেই অনুদান দিয়ে রাস্তাঘাট ঠিক করে। so এই রাস্তা আমার বাবার । not only এই রোড but also সব রোড ই আমার বাবার। বুঝেছেন… ??? ???

পরে নিজে নিজে খুসফুস করে
মোহনা বলল : এইরে বলে তো দিলাম যে আমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে। এখন যদি বাবার নাম বলতে বলে!!!??? । আমি তো যোগাযোগ মন্ত্রির নামই জানিনা… ???

মোহনার কাছে মোহনা আস্তে কথাই বলেছে । কিন্তু সেটা এতো আস্তেই ছিলো যে নীড়ের কান পর্যন্ত যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মোহনার এমন কথা শুনে নীড়ের হাসি পেলো ।
নীড় : oh really …? তুমি যোগাযোগ মন্ত্রির মেয়ে।
মোহনা : obviously … ?… স
so মিস্টার whatever আপনার গাড়ি reverse gear এ নিন…
নীড় : oh hello… i am nir ahmed chowdhuri borshon…
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি? গাড়ি পেছনে নিন…
নীড় : no..never…
মোহনা : আপনার জন্য আমি শপিংএ যেতে লেট হচ্ছি । লেট হওয়ার অপরাধে খুন হয়ে যেতে পারি। so পিছে যান।
নীড় : তুমি পিছে যাও। তোমার জন্য আমি মিটিংএ লেট হচ্ছি । ৫০কোটি টাকার ডিল। so go back….
মোহনা : শেষবারের মতো বলছি পিছে যাবেন কি যাবেননা?
নীড় : no… never…
মোহনা : ok…
বলেই মোহনা নীড়ের গাড়ির চাবিটা নিয়ে দূরে ফেলে দিলো।
নীড় : you…
বলেই নীড় চাবিটা নিতে গেলো। সেই সুযোগ মোহনা নীড়ের গাড়ির ১টা চাকার হাওয়া বের করা শুরু করলো। নীড় পিছে ঘুরে কাহিনি দেখে আরো ক্ষেপে গেলো।
নীড় : এই মেয়ে…
নীড় ছুটে আসতে আসতে মোহনা গাড়িতে বসে গাড়ি নিয়ে দে দৌড় …
যাওয়ার সময় বলে
গেলো : ও লে লে লে লে… isn’t it awwwe ki cute… মিস্টার ঢোল???
নীড় : ?।
মোহনা : ঢোল কেন বললাম জানেন… কারন আপনার band বাজিয়ে গেলাম।
নীড় : you…
মোহনাকে আর পায় কে…

.

in the shopping mall…
সাগর চৌধুরী ওর বন্ধু ধ্রুব হাসানের সাথে shoppinএ এসেছে ।
সাগর : তুই তোর gf এর জন্য gift কিন না আরো কিছু কিন সেটা তোর ব্যাপার । আমাকে নিয়ে এলি কেন ?
ধ্রুব : এই মনে কর খুশির ঠ্যালায়।
সাগর : ?।
ধ্রুব : রররাগ করিস কেন? তুই যখন তোর ভালোবাসার পাখির জন্য gift কিনিস তখন তো আমরাও আসি মাঝে মাঝে।
সাগর : তোরা জবর দস্তি চলে আসিস। stupid …
ধ্রুব : ছার না । একটু helping helping … করনা জানু…
সাগর : মেয়েদের বুলি বলছিস কেন ? গবেট কোথাকার ।

.

মেরিন বন্যা খানও শপিং করতে এসেছে ।
মেরিন : এখনও এলোনা? একে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে কিমা বানাতে পারতাম । ?।
আনমনে বকাবকি করতে করতে মেরিনের সাথেও সংঘর্ষ হলো কারো সাথে । সাগরের সাথে ।
মেরিন : উ আম্মুরে গেলামরে আমার মাথাটা বোধ হয় পরেই গেলো রে…. এই শপিং মলে কুতুব মিনার কে রাখলো …
বলেই মেরিন মাথা ওঠালো। সাগরকে দেখলো । সাগরকে দেখতে গিয়ে মেরিনের মনে হচ্ছে ওর ঘাড় ভেঙে যাবে ।
সাগর : মেরিন … ( ফিসফিস করে )

মেরিন : দেখে হাটতে পারেন না? চোখ নেই ? you কানার ঘরে অন্ধ।
সাগর : তোমার চোখ নেই ? তুমি দেখে হাটতে পারোনা ? নাকি ছেলে দেখলেই ধাক্কা দিতে মন চায়?
মেরিন : কি কি বললেন আপনি? আমি ধাক্কা দিয়েছি না আপনি ?
সাগর : of course তুমি।
মেরিন : oh hello… খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনার মতো তারখাম্বার সাথে ধাক্কা খাবো … আম্মুইগো ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেলো।
সাগর : নিজেই ধাক্কা দিয়ে ড্রামা করা হচ্ছে ??

মেরিন : তার থেকে বড় কথা হলো এই আপনি মানুষ নাকি কুতুব মিনার বলুন তো? শুরু হলে শেষই হন না।কুতুব মিনার ভালো কথা । ১জায়গায় দারিয়ে থাকলেই তো পারেন। সবাই এসে আপনার দর্শন করতো। আর সারা পৃথিবী জানতো বাংলাদেশেও কুতুব মিনার আছে আফ্রিকার মতো। এতে আপনি এবং দেশ ২জনই লাভবান হতো।

মনে মনে : কুতুব মিনার তো মনে হয় আফ্রিকাতেই । আর না হলে আমার ২৫গুষ্ঠির কি? ??? ।

মেরিনের কথা শুনে সাগর কি react করবে বুঝতে পারছেনা। হাসবে নাকি কাদবে ?
সাগর মনে মনে : control সাগর হাসা যাবেনা ।

ধ্রুব : ওই কুতুব মিনার আফ্রিকাতে কবে shift হলো!!! আর টেলিভিশনে টেলিকাস্ট হলোনা কেন ?
সাগর : সেটা এই সুন্দরী থুরি বান্দরি মহাশয়াকে জিজ্ঞেস।
মেরিন : কি কি বললেন আপনি ? আমি বান্দরি ?
সাগর : দেখ স্বীকার করলো যে তিনি বান্দরি ।
মেরিন : মোটেও না। আমি বান্দরি ।
সাগর : বান্দরি বান্দরি বান্দরি ।
মেরিন : আমি যদি বান্দরি হই তাহলে আপনি কানকাটা হনুমান ।
বলেই ব্যাগ থেকে eyeliner বের করে হাতে গপগপ করে ঢেলে সাগরের মুখে লাগিয়ে দে দৌড় …

সাগর : মেরিন ….?…
ধ্রুব : হাহাহাহাহা….
আশেপাশের সবাই সাগরকে ড্যাবড্যাব করে দেখছে ।

.

দৌড়াতে দৌড়াতে মেরিন গিয়ে মোহনার সাথে ধাক্কা খেলো । ২জনই ধিরিম করে পরে গেলো ।
২জন : ouch… কোন গরুরে…
২জন তুলে তাকালো ।
মেরিন : ?
মোহনা : ?
২জন : হাহাহাহাহা ।
মোহনা : কি রে উড়োজাহাজের মতো উড়ে কোথায় যাচ্ছিলি? অলিম্পিকে ?
মেরিন : আরে জানিস না। কুতুব মিনার মা… oh no… আসতেছে। চল … ওঠ।
মেরিন মোহনার হাত ধরে দৌড়াতে লাগলো। কারন সাগর রেগে atom bomb হয়ে তেরে আসছে ।
মোহনা : আরে আমার হাত খুলে পরে যাবেতো ছারনা মেরুন…
মেরিন : কথা না বলে দৌড়াতো মিষ্টু …
জলদি । না হলে শহীদ হয়ে যাবো ।
মোহনা : আরে শপিং করবোনা ?
মেরিন : বেচে থাকলে শপিং আরো করতে পারবো। তুই চল ।

২জন গাড়ি নিয়ে ভাগলো।

? নীড় : stupid মেয়েটার জন্য মিটিং ও লেট হয়ে গেলাম…. আরেকবার সামনে পেলে কি করবো নিজেও জানিনা। ?।

?সাগর : মেরিনের বাচ্চি… খবর আছে। আমার মুখে কালি দেয়া ।

.

খান মঞ্জিল…
( মেরিনদের বাসা )…
কনিকা : কি ব্যাপার ২জন যে ফিরে এলে?
মোহনা : জানোনা কাকীমা… তোমার মেয়ে কুতুব মিনার দেখে পালিয়ে এলো।
কনিকা : কুতুব মিনার দেখে পালিয়ে এলো মানে ? কুতুব মিনার india থেকে এখানে কবে shift হলো।
মেরিন : কুতুবমিনার india তে?
মোহনা : হ্যা তা নয়তো কি এখানে হবে?
মেরিন : ?।
মোহনা : কাহিনি কি বলতো…
মেরিন সব বলল।

কনিকা-মোহনা : হাহাহা…
মেরিন : হাহাহা… কিন্তু মিষ্টু তোর এতো লেট হলো কেন? তোর জন্যেই আজকে আমি শহীদ হতে হতে বেচেছি। ??।
মোহনা : আর বলিসনারে। তোর তো কুতুবমিনার দর্শন হয়েছে । আর আমার…
কনিকা : তোমার কি আইফেল টাওয়ার from দুবাই। ?। মেরিন আইফেল টাওয়ার দুবাই এ না ?
মেরিন : না। এটা আমি জানি। পাকিস্তানে। ?।

কনিকা-মোহনা : ?।
মেরিন : তুই বলবি লেট হলো কেন ? ?।
মোহনা : বলছি তো। তুই তো কুতুবমিনার পেয়েছিস আর আমি পেয়েছি ঢোল…
কনিকা – মেরিন : ঢোল ?
মোহনা সব বলল।
কনিকা-মেরিন : হাহাহাহাহা।

মোহনা : মেরুন আমার কি মনে হয় জানিস ?
মেরিন : কি ?
মোহনা : তুই আর আমি আসলেই জমজ বান্ধবী । তাই আমাদের মধ্যে সেম হয়।
মেরিন : হামমম। ?।
মোহনা : আব্বে সালা আবার জিগায় বল…
মেরিন : আবার জিগায়। ?।

২জন খিলখিল করে হাসতে লাগলো। কনিকা ২জনের কান মলে দিলো।
কনিকা : সারাদিন খালি বদমাইশি না ?
২জন : হামম।
কনিকা : পাজি ২টা। খান বাড়ি মানেই বদমাইশ।
২জন : ?।
মোহনা : কাকীমা ক্ষুধা পেয়েছে। দারুন করে ফাটিয়ে জমিয়ে রান্না করো তো। এর ভয়ে সকালে breakfast ও করিনি।
মেরিন : ওটাকে সকাল না দুপুর বলে।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি ? ?।
কনিকা : ওলে আমার সোনারে। আগে বলবেনা ক্ষুধা পেয়েছে। তুমি কাকীমার কাছে থাকতে পারোনা ?
মোহনা : হ্যা থাকি আর ঢাকাইয়া কুটনী আমাকে কথা শোনাক। আমি তো সবার থেকে আলাদাই ভালো আছি….

.

চৌধুরী ভিলা…
( নীড়দের বাসা )…

নীলিমা : বুঝলে গো ঝুমুর আমার কপালে বোধহয় আর ছেলের বউয়ের মুখ দেখা নেই।
ঝুমুর : খালাম্মা এই কথা বলেন কেন?
নীলিমা : আর কি বলবো দে… নীড়…. ঝুমুর ঠান্ডা পানি আনো।
নীড় রেগে আগুনে বেগুনে হয়ে বাড়িতে ঢুকলো।
নীলিমা : আমার সোনা বাচ্চাটা এতো রেগে আছো কেন ? কি হয়েছে বেবি?
নীড় : মামনি i am not baby… ok ?
নীলিমা : ok… ?… কিন্তু কি হয়েছে?
নীড় : কিছুনা…
নীলিমা নীড়কে পানি দিলো ।
নীড় কাউকে ফোন করলো।
নীড় : find her at any cost… i just want that girl…
নীলিমা : মেয়ে?।
নীড় ফোন রেখে দিলো। এরপর ওপরে চলে গেলো।

নীলিমা : আমার ছেলে ১টা মেয়েকে খুজছে। এই কারনেই মেয়ে দেখতে রাজী হয়না। হায়… হ্যালো নিহাল।
নিহাল : হ্যা বলো।
নীলিমা : জানো… আমাদের ছেলে না ১টা মেয়েকে খুজছে… ?… মনে হয় এই কারনেই অন্য কাউকে দেখতে পর্যন্ত রাজী হয়না… ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ।
নিহাল : তোমার ছেলে বিয়ে করার জন্য খুজছে না মারার জন্য খুজছে সেটা sure হয়ে খুশি হও।
নীলিমা : একদম অকথা কুকথা বলবেনা বলে দিলাম। huh…
নীলিমা ধপাস করে ফোন কেটে দিলো।

.

চৌধুরী প্যালেস…
( সাগরদের বাসা )…
শিখা : আআআ… এটা কে ভূত ভূত… না না দিনের বেল কিসের ভূত? ডাকাত ডাকাত….
সাগর : মামনি its me…
শিখা : ডাকাত আমাকে মামনি ডাকে কেন রে? রেদ…?…
রেদোয়ান ছুটে এলো ।
রেদোয়ান : কি হয়েছে?
শিখা হাত দিয়ে ইশারা করলো। হঠাৎ দেখে রেদোয়ানও চমকে উঠলো ।
রেদোয়ান : who are you? যেই হও চলে যাও হুস… আমার ছেলে কিন্তু অনননেক রাগী… ভয়ংকর। চলে যাও….
সাগর : enough … ???…
সারা চৌধুরী বাড়ি কেপে উঠলো।
শিখা : ধমকে বলছে এটা আমারই ছেলে…
রেদোয়ান : হ্যা আমারও তাই লাগছো। তা বাবা তুমি এমন হনুমান সেজে এসেছো কেন? fancy dress competition ছিলো বুঝি…?
সাগর : কি বললা আমি হনুমান?
রেদোয়ান : না না তুমি হনুমান না তো। তোমার এই get up টা হনুমান…
সাগর কোন কথা না বলে হনহন করে রুমে চলে গেলো।

চলবে????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে