Angry_Husband
Season_2___Part_5
Written by Avantika Anha
তারপর আর আরাভের সামনে আসি নি সারাদিন। মুখপোড়া বান্দর টা আমাকে দেখলে যে শাস্তি দিবে আমি ভালো করেই জানি। মানুষ এতো রাগী কেমনে হতে পারে ইয়ার।
.
রাতের বেলায়….
আমি প্রেয়সির রুমে গেলাম।
প্রেয়সি- কি রে আপি তুই আমার রুমে যে….
আমি- না মানে এতোদিন তোকে অনেক মিস করছি তো তাই ভাবছি আজ তোর সাথেই থাকবো।
প্রেয়সি- ওমা তুই আমাকে মিসও করিস। কি হইছে? সত্যি বল।
আমি- তোর বড় বোন আমি নাকি তুই আমার বড় বোন। সরে যা আমি এখানে ঘুমাবো। কোনো মুভি লাগা তো। ভুতের মুভি দে।
প্রেয়সি- এ্যা । আমার ভয় লাগে।
আমি- হাহা। এতো বড় হইয়া ভয় পাইস।
প্রেয়সি- নিজে বেশি লাফাইয়ো না। তুমি নিজেও ভয় পাও।
আমি- তোরে কইছে আমি ভয় পাই না। লাগা তুই। (সত্যি ভয় পাই। কিন্তু ওর সামনে সাহস দেখাতে বললাম)
প্রেয়সি- ওকে ওয়েট।
.
প্রেয়সি ভুতের মুভি চালু করে দিলো। আর এদিকে দুজনেই কাচুমাচু হয়ে আছি। আমি একবার প্রেয়সির দিকে তাকায় ঢোক গিললাম আরেকবার প্রেয়সি আমার দিকে তাকায় ঢোক গিলতে লাগলো। দুজনেই নিজেকে সাহসী দেখানোর ট্রাই করছি।
.
এদিকে আরাভ ভালোমতোই বুঝছে যে, আমি ভয় পেয়েই ওর সামনে আসছি না। কিন্তু এখন তো রাত। রাতেও কেনো আসছে না এটাই ভেবে পাচ্ছে না আরাভ। তাই ও একটু দেখতে বের হলো কই আমি। এদিক ওদিক ঘুরে সে প্রেয়সির রুমের বাইরে এসে দাড়ালো।
কিছু কথা শুনতে পেলো..
প্রেয়সি- আপু ভয় লাগছে।
আমি- কিসের ভয় হা। মজাই তো হচ্ছে। (এদিকে ভয়ে আমার অবস্থাও শেষ কিন্তু প্রকাশ করছি না)
.
আরাভ রুমে আসলো। পুরো রুম অন্ধকার ছিলো। তাই হঠাৎ ও আসায় আমি আর প্রেয়সি দুজনই চিল্লায় উঠলাম। আমাদের চিৎকার শুনে আম্মু আর আব্বু রুমে আসলো।
আম্মু- কি হইছে রে চিল্লাচ্ছিস কেনো?
আমি- না না কিছু হয় নি। এমনি এমনি।
আম্মু- ও বুঝছি। দুজনেই তো ভুত ভয় পাইস । তবুও সাহস করে দেখতেছিস কেনো?
আমি- ওই আর কি না মানে।
আম্মু- চুপচাপ আনহা তুমি রুমে যাও। জামাই তুমিও যাও। তুমি এখানে কি করছো?
আরাভ- আনহা কে ডাকতে এসেছিলাম।
আম্মু- ও আনহা যাও।
.
কিছু করার নাই আমি রুমে গেলাম। আমি রুমে গিয়েইইইই বকবক করতে শুরু করলাম…
আমি- সব দোষ আপনার। এতো রাগী কেনো? বান্দর কোনেকার। আপনার থেইকা তো রকিও ভালো।
আরাভ- রকি কে?
আমি- পাশের বাড়ির আংকেলের খরগোস।
আরাভ- হোয়াট? (রাগ উঠে গেলো)
আমি- হোয়াট না আপনি বাজে মানুষ হুহ।
.
এই বলে বিছানার দিকে পা বাড়াচ্ছিলাম। সেই সময় আরাভ আমার হাত ধরে টান দিলো। আবার আমি দেয়ালের সাথে।
আরাভ- আমি কি এবার বলো। (দাঁতে দাঁত চেপে)
আমি- না ক. ক. কিছু না।
আরাভ- বলো কি বলছিলা ?
আমি- আপনি ভ. ভালো। (কি করি কি করি ভেবে আইডিয়া পেলাম)
আরাভ- বলো বলছি। (একটু জোড়ে)
.
আমি ফিল্মে দেখছিলাম। তার চেষ্টাই করার নামে মাথা ঘুরে পড়ার ভান করলাম। আমি পড়তে যাচ্ছিলাম এমন সময় আরাভ আমাকে ধরলো। আরাভ আমাকে ডাকতে লাগলো। কিন্তু আমি চোখ খুলছিলাম না। কারণ জানি চোখ খুললে বাঁশ আছে।
আরাভ- আনহা চোখ খুলো। প্লিজ। ওই ।
.
আমি এদিকে চুপচাপ। আরাভ আমাকে কোলে করে বিছানার দিকে আগাচ্ছিলো। আমার গালে দুই ফোঁটা পানি পড়লো। হায় খোদা। বুঝে গেলাম। আরাভ কাঁদে ফেলছে। আমি তাড়াতাড়ি চোখ খুলে ফেললাম। আরাভ আমাকে চোখ খুলতে দেখে কান্না থামালো। আমাকে শুইয়ে দিতেই আমি বসে পড়লাম।
আমি- মি. আরাভ কাঁদিয়েন না প্লিজ। আমি যাস্ট একটু নাটক করছি। যেনো আপনি আমাকে না বকেন তাই আর কি।
আরাভ- কি?? তুমি নাটক করছিলা।
আমি- হিহি হুমম। সরি সরি।
.
আরাভ তার রাগকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। আমাকে একটা থাপ্পর দিয়ে দিলো। থাপ্পর খেয়ে এবার আমার মাথা সত্যি বন বন করতে লাগলো কিন্তু কিছু কইলাম না। জানি ওয় রাগ করছে। নিজের বাড়ি না বলে ওয় ছাদে গেলো। এতো রাতে ভুতের মুভি দেখার পর ছাদে যাইতে ভয় লাগছিলো। তবুও চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে ছাদের উপরে উঠলাম। একবার তাকিয়ে দেখি পুরাই অন্ধকার একটু একটু আলো আসছে পাশের বাড়ির থেকে হালকা আলো আমাদের ছাদে পড়ছিলো। দেখি আরাভ চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। কি করবো ভেবে পারছিলাম না। তবুও আরাভের পাশে দাড়িয়ে কান ধরে “সরি” বললাম। আরাভ আমার দিকে একবার তাকালো কিন্তু জবাব দিলো না।
আমি- সরি তো প্লিজ এতো রাগেন কেনো?
আরাভ- নিশ্চুপ।
আমি- মি. আরাভ আপনি যদি মাফ না করেন আমি কিন্তু এখন চিল্লাবো।
আরাভ- যা ইচ্ছা করতে পারো।
আমি- (ভাবছি চিল্লাইলে সমস্যা হবে।) না না চিল্লাবো না। লাফ দিবো।
আরাভ- হাহা নাটক। দেও লাফ।
আমি- আমি কিন্তু সিরিয়াস।(কেউ রাগ করলে সেই খারাপ লাগে)
আরাভ- ওহ। (এখনো রেগে)
.
আমি দেখি ও সিরিয়াস হচ্ছে না। এমনি আমার উঁচু জায়গা একটু ভয় লাগে। তাও সাহস নিয়ে আগালাম। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও তাকাচ্ছে না। তাই পিলার এর উপর বসে পড়লাম। নিচের দিকে একবার তাকালাম। নাহ পড়লে খালি হাত পা ভাঙবে। মরবো না। আমি আরাভের দিকে একবার তাকালাম, বললাম, “সরি শেষ বার বেঁচে থাকলে কথা হবে।” এই বলে পিলারের উপর দাড়াইলাম। আম্মু ভয় লাগে খুব। মনে মনে ভাবছি থাক। অন্য উপায়ে রাগ ভাঙ্গাবো নামে যাই। কিন্তু নামার আগে হলো এক বিপদ ব্যালেন্স হারাবো হারাবো এমন ভাব হয়ে গেলো। তখনি আরাভ আমার হাত ধরে দিলো টান ওর দিকে। ও আর আমি দুজনেই পড়ে গেলাম। ও নিচে আমি ওর উপরে। ও আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আমি দেখলাম আমার হাত কিছুটা ছিলে গেছে । সেই সাথে আরাভের হাতেও লেগেছে। নিরবতা ভেঙ্গে…
আমি- কোমড় ভাঙলো ?
আরাভ- কী?
আমি- না মানে আপনার উপর পড়লাম তাই আর কি।
.
এই বলতে বলতে উঠে বসলাম। আরাভ আমাকে টেনে নিয়ে ঘরে নিয়ে গেলো….। আমি ভাবছি রাগ মনে হয় কমে গেছে। কিন্তু নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়েই আমাকে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে আটকে ধরলো। আর সেই সাথে আমার দুই শক্ত করে চেপে ধরলো। এতোটাই শক্ত করে ধরেছিলো যে আমার প্রচন্ড ব্যাথা করতে শুরু করলো।
আরাভ- তুমি কি বাচ্চা মেয়ে হা…
কি ভাবো নিজেকে ড্রামা কুইন?
আমি- না আমি আনহা ভাবি নিজেকে।
আরাভ- চুপপপপপ একদম চুপপ।
.
এই বলে এর হাত দিয়ে আমর মুখ চেপে ধরলো।
আরাভ- ছাদে লাফ দিতে কে বলছে হা ? পড়ে গেলে কি হতো ?
.
আমি আরাভের হাতে কামড় দিলবলে আরাভ হাতটা সরিয়ে নিলো..
আরাভ- কামড় দিলে কেনো?
আমি- কথা তো বলতে দেন। সরি তো।
আরাভ- ভালো।
আমি- এখনো রাগ আমি আবার ছাদে যাবো বাই।
.
এই বলে আমি আরাভের হাতটা ছাড়িয়ে নিলাম। ও কিছুটা আস্তে ধরেছিলো তাই ছাড়িয়ে নিতে পারলাম। আমি যেতে ধরলাম যখন তখন আরাভ আমাকে আবার টান দিলো ওর দিকে তারপর…
আরাভ- চুপচাপ শুয়ে পড়ো ঘুমাও।
আমি- না আমি ছাদে যাবো।
আরাভ- বললাম না শুঁয়ে পড়ো।
আমি- না না না।
.
আরাভ আমাকে এক টানে বিছানায় নিতে জোড় করে শুঁয়ে দিলো। আমি আবার উঠতে ধরলাম। এইবার আরাভ আমার পাশে শুয়ে দুহাত আর দু পা দ্বারা আমাকে আটকে ধরলো। এইবার আমি বারবার চেয়েও উঠতে পারছিলাম না। রেগে গেলাম…
আমি- বান্দর পোলা, বাজে পোলা, শয়তান কোনেকার দুররররর হন। ছাড়েন আমাকে।
আরাভ- কি বললা? (কিছুটা রাগী স্বরে)
আমি- না না আপনি এভাবেই থাকেন। ছাড়তে হবে না তো। আমি ঘুমাচ্ছি। যাচ্ছি না। এই দেখেন চোখ বন্ধ তো। গুড নাইট। (ওর রাগী স্বর শুনে ভয় পেয়ে গেছি)
আরাভ- (কিছু বললো না। কিন্তু ওর হাসি পাচ্ছিলো খুব। আরাভ প্রায়ই ভাবে প্রচন্ড বকবে আনহাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে ওর বাচ্চা বিহেভের জন্য পারে না। কিন্তু আজ ওর প্রচন্ড রাগ হয়েছিলো।কেউ কি এভাবে করে? রাগ করছি তো করছি। পড়ে গেলে কি হতো?)
.
আমি চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারছি না। কিন্তু চোখ খুললে আরাভ রাগ করবে। এমন করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর বেলা ঘুম ভেঙ্গে গেলো আরাভের দ্রুত ও উঠে দেখে আমি কাচুমাচু হয়ে ঘুমিয়ে আছি। এক হাত ওর কাধ বরাবর। আর পা দুটো আমার আরাভের পায়ের আড়ালে পড়ে গেছে। মাথার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে কিছুটা আরাভের মুখে। এই অবস্থায় আরাভের মনে হচ্ছিলো, “আনহার মাঝে মনে হয় একটা আকর্ষণ ওকে আনহার দিকে টানছে।” সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করছে ওর ঠোঁটজোড়া। কিন্তু ওর কপালে কিস করতে ইচ্ছে করছে আরাভের। এটায় তো সমস্যা নেই । তাই ও নিজের অজান্তেই আমার কপালে কিস করে বসলো। এতে আমি কিছুটা নড়ে উঠলাম। আরাভ তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে দিয়ে উঠে পড়লো। তার কিছু সময় পর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। নামাযটাও সেরে নিলাম। বের হয়ে দেখি আরাভ আব্বুর সাথে গল্প করছে দেশ নিয়ে। মাঝে মাঝে ভাবি ছেলেরা এমন কেনো? তাও কিছু বললাম না। সেদিন সারাদিন আমার ফ্রেন্ডরা এলো। গল্প গুজবেই কাটলো। সেদিন বিকেলে আমার খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছিলো।তাই কাউকে না বলে দোকান গেলাম কিন্তু কাছাকাছি আইসকক্রিমের দোকানে গিয়ে দেখি দোকান বন্ধ। মুডটাই নষ্ট হয়ে গেলো। কেউ যেনো আমার কাধে হাত দিলো। পুরো ভয় পেয়ে গেলাম। পিছনে ঘুরে দেখি আরাভ।
.
আমি- আপনি এখানে আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আরাভ- কাউকে না বলে বাইরে এসেছো কেনো?
আমি- আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছিলো। তাই আসলাম। কিন্তু এসে দেখি দোকান বন্ধ।
আরাভ- ও আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি- মি. আরাভ চলেন।
আরাভ- কোথায়?
আমি- একটু সামনে আরেকটা দোকান আছে।
আরাভ- ওহ চলো।
.
এই বলে আমি আর আরাভ হাটতে ধরলাম। আমার একটা বদ অভ্যাস আছে। বাইরে হাটলে পাশে যদি কেউ থাকে তাহলে হাত না ধরলে শান্ত পাই না। তাই কিছু না ভেবেই আমি আরাভের হাতটা ধরে ফেললাম। ও কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলো। কিন্তু কিছু বললো না। কিন্তু মনে মনে ভাবছিলো, “পিচ্চিটার মনে এতো সাহস কিভাবে হলো?” দোকানে যেতে দোকান পার হতে হবে। তাই আমি আর ও রাস্তা পার হবো। এমন সময় আরাভের ফোনে একটা কল আসলো। দরকারি কল। তাই ও কলটা ধরলো। ও আমাকে একটু দাড়াতে বললো। আমি ভাবলাম দাড়িয়ে কি করবো? এই ভেবে আমি পার হয়ে দোকানটায় গেলাম।
.
আমি- আংকেল ৮টা কোণ আইসক্রিম দেন।
আংকেল- আচ্ছা।
.
পাশে কয়েকটা ছেলে দাড়িয়ে ছিলো।
একজন- আপু এতো ঠান্ডা কেনো আমাদেরও খাওয়াও।
.
বুঝে গেলাম, ছেলেগুলো বাজে তাই কোনো কথা বললাম না। আংকেলকে ৫০০ টাকার নোট দিলাম। উনি খুচরা দিতে লাগলো।
আবার একজন কথা বলে উঠলো- কি আপু? খাওয়াবেন না নাকি? আমাদেরও তো খেতে ইচ্ছে করে।
হঠাৎ আরাভ এলো আর কথাটা ওর কানে গেলো….
আরাভ- কেনো মা খাওয়ায় না?
ছেলেগুলোর একজন- আপনার লাগছে কই?
আরাভ- ও আমার বউ। আর মেয়ে দেখলে বাদরামি আসে তাই না? এক থাপ্পর দিবো বাপ বাপ করবা। মাকেও এমন লুলামি কথা বলো নাকি? হা মেয়েদের রিস্পেক্ট করো। বদৌলতে রিস্পেক্ট পাবে।
ওরা- সরি ভাইয়া। সরি আপু।
.
আমি খুচরা টাকাটা নিয়ে আরাভকে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম। কারণ ওর যা রাগ থাপ্পর দিতেও পারে।
রাস্তায় পুরো আরাভ রেগে ছিলো। আমি বুঝে গেছি ও আমার উপর রাগ করছে। তাই কিছু বললাম না । বাড়িতে যায়ে আইসক্রিমটা ফ্রিজে রেখে রুমে আসলাম। ও রুমে ঢুকতেই…
আরাভ- কি মনে করো নিজেকে? বললাম না একটু থামো আমি আসছি। এতো জেদ কেনো হা? নাকি ছেলেগুলোকে তোমারো ভালো লাগছে। এরকম কথা শুনতে ভালো লাগে নাকি?
আমি- আপনি কিন্তু বেশি বলছেন।
আরাভ- কি বেশি হা?
আমি- চুপ করুন আপনি। নিজে খুব ভালো। শোধ তুলতে বিয়ে করছে আরো বড় কথা।
.
আরাভ আরো রেগে গেলো এ কথা শুনে আমাকে টান দিয়ে আবার দেয়ালের সাথে আটকে ধরলো। ওর রাগ আবার উঠছে। চোখ দুটো কিছুটা লাল হয়ে গেছে। বুঝতেই পারছি রেগে।
আরাভ- কি বললা ? আমি শোধ তুলতে বিয়ে করছি?
আমি- তা নয় তো কি ২ বার দেখাতে তো খালি ঝগড়াই হইছে এইজন্যই তো।
আরাভ- চুপ একদম চুপ কে বলছে দুইবার দেখা হইছে? আমাদের আরো একবার দেখা হইছে। তুমি না জানলেও আমি জানি।
আমি- এ্যা।
আরাভ- কেনো গেছিলা? আমি না বললাম থামতে।
আমি- ভাবলাম। নিজেই কিনে নেই তাই আরকি।
আরাভ- বেশি পাকামি এইটুকু মেয়ের।
আমি- আমি তো এইটুকু না। এই যে ৫” ৫ ।
আরাভ- আমি ৫”১০ সো? আমার কাছে এইটুকুই।
আমি- নিজে লম্বা বলে কথা শুনান।
আরাভ- কথা সেটা না। কথা হলো।
আমি- চুপপপপ। এটাই কথা। এমনি তো কিউট। রাগলে এতো ওয়াইলড ক্যাট হন কেনো?
আরাভ- হুহ।
আমি- মি. আরাভ একটা সত্যি কথা বলবো?
আরাভ- হুম।
আমি- আপনাকে রাগলে সেই লাগে একটা পিক তুলি দেখি ছাড়েন তো।
আরাভ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। এই অবস্থায় কেউ এমন কথা বলবে বলে ওর জানা ছিলো না। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। তবুও ছেড়ে দিলো আমাকে। আমি গিয়েই ফোন নিয়ে ওর একটা পিক তুলে নিলাম।
আমি- এই দেখেন সুন্দর লাগছে না? আমি প্রেয়সিকে দেখায় আসি আচ্ছা টাটা।
.
এই বলে আমি তাড়াতাড়ি রুম ছেড়ে চলে গেলাম। আসলে ভয় পেয়েই পালাইছি। এটা আরাভ জানেই না। এই ভেবে হাসতে হাসতে পালালাম।
.
চলবে…..