Angry_Husband Season_2_ Part_29

0
3512
Angry_Husband Season_2_ Part_29
Angry_Husband Season_2_ Part_29

Angry_Husband
Season_2_ Part_29
Written by Avantika Anha
আরাভ- আস্তে খাও রে।
আমি- আপনি চুপ করুন। এতোদিন পর ফুচকা খাচ্ছি। আপনি কি বুঝবেন? আমার মতো আলাদা তো ছিলেন না।
আরাভ- হুম বুঝছি তাও আস্তে খাও নইলে গলায় লাগবে।
আমি- লাগবে না।
.
খেয়ে খেয়ে প্রায় অনেক গুলো ফুচকা খেয়ে ফেললাম। আরাভ পানি এগিয়ে দিলো পানি খেলাম।
আরাভ- আনহা একটা কথা বলবো?
আমি- হুমম বলুন।
আরাভ- আমি তো জানতামই না আমার বউ এতো বড় পেটুক।
আমি- কি বললেন ?
আরাভ- পেটুক বললাম পেটুক।
আমি- এই ভালো হচ্ছে না কিন্তু আপনাকে আমি মাইরালাম।
আরাভ- আহা পেটুক বউ আমার।
আমি- আমি পেটুক না ওকে?
আরাভ- পেটুক না হলে এতোগুলো ফুচকা কে একা খায়?
আমি- এতোদিন পর হলে যে কেউ খাবে আর ওটা যদি কোনো মেয়ে হয় তাহলে এমনি হবে।
আরাভ- তাও সবশেষে তুমি পেটুক।
আমি- ভালো হচ্ছে না কিন্তু।
আরাভ- হুহাহা আনহা পেটুক।
আমি- ওই angry husband আপনাকে আমি কুচি কুচি করবো আফ্রিকান ইঁদুর কোনেকার।
আরাভ- হায়য়য়য়।
আমি- কি?
আরাভ- এতোদিন পর এই নাম তোমার মুখে শুনে আমি তো পুরাই দিওয়ানা।
.
আমি ওর দিকে তাকায় ভেংচি দিলাম।
.
সেদিন রাতে,,,,
আমি ভাবতেছি কি করা যায়? মাফ করবো কি না? মন বলছিলো মাফ কর, আবার ব্রেইন বলছিলো যে এতো কষ্ট দিলো এতো সহজে মাফ না করতে। কি করবো কিছুই বুঝছিলাম না। আনভীর ঘুমোচ্ছিলো। আনভীরের কথা ভাবছিলাম, ওরও বাবা প্রয়োজন। তাহলে কি মাফ করে দিবো ওকে। কিছু মাথায় আসছিলো না। আরাভ ঘরে আসলো।
আরাভ- ঘুমাইছে বাবু?
আমি- হুমমম।
আরাভ- তুমি ঘুমাবা না?
আমি- ঘুমাচ্ছিলাম এখনি।
আরাভ- বুঝি বুঝি আমার অপেক্ষা করছিলে।
আমি- একদম না।
আরাভ- ম্যাম আমি জানি আপনি কেমন সো মিথ্যা বলে লাভ নাই।
আমি- হাহা যদি জানতেন সেদিন তাহলে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে আমাকে নিজের থেকে দূর করতেন না। এমনকি বুঝতেন যে আমি সব পরিস্থিতিতেই আপনার‌ পাশে থাকতে চাই।
.
আরাভ আর কিছু বললো না। শুয়ে পড়লো। পরেরদিন খবর এলো আরাভের মা নাকি অনেক অসুস্থ। আরাভ আর অপেক্ষা করলো না। আমাকে আর আনভীরকে নিয়েই হসপিতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। দেখলাম এক ক্যাবিনে মা আছেন।
.
আমাকে দেখেই মা ইশারায় ডাকলেন। সবার কাছে শুনলাম হালকা নাকি চিন্তার কারণে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন উনি।
.
আমি- আসসালামুয়ালাইকুম।
মা- (ইশারায় সালাম নিলো)
আমি- (আনভীরকে দেখালাম) আপনার নাতি।
মা- (আনভীরের মাথায় হাত রাখলো। দু ফোঁটা পানি পড়লো তার চোখ দিয়ে)
.
পরিবারের বাকীরাও আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করলো। আনভীরকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলো। তবুও আমি কারো প্রশ্নের জবাব দিলাম না। মা কিছুটা সুস্থ হয়ে বললো আমাকে তাদের ছেড়ে যেন না যাই। কিছু বলতে পারলাম না। তাকে বললাম, “হুম আমি আর যাবো না।”
.
মা কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলো। রাতে আরাভ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমি- ছাড়ুন।
আরাভ- কেনো গো?
আমি- আমি মায়ের কথায় এখানে আছি। আপনাকে আমি এখনো মাফ করি নি মাথায় রাখবেন।
.
আরাভ কিছু না বলে আমাকে ছেড়ে দিলো।
আমি- হুমমম।
.
আরাভ রাগে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। আরাভের মাঝে এখনো রাগ আছে এই জিনিসটা দেখে আমি মুচকি মুচকি হাসলাম। কারণ আমি ঠিক করছি আরাভকে মাফ করবো কিন্তু এতো সহজে না।
.
রাতে আরাভ ঘরে এলো,
আরাভ- আনহা।
আমি- কন।
আরাভ- আমি না।
আমি- কি?
আরাভ- তোমাকে অন্নেক ভালোবাসি।
আমি- আপনি কি ড্রিংক করেছেন?
আরাভ- হুমমম। তুমি আমাকে এতো কষ্ট দেও কি করবো বলো?
আমি- তাই বলে ড্রিংক?
আরাভ- হুম খাবা তুমি।
আমি- আপনার হুশ নাই এখন। আসুন শুয়ে পড়ুন।
আরাভ- না আগে তুমি বলো তুমিও আমাকে ভালোবাসো।
আমি- না বলবো না।
আরাভ- আমিও শুবো না।
আমি- আপনি শুয়ে পড়ুন প্লিজ।
আরাভ- না আমি মায়ের কাছে যাবো মাকে গিয়ে বলবো তুমি বলছো না আমাকে।
.
আমি ভাবলাম যে, মা ওকে এই অবস্থায় দেখলে আরো চিন্তায় পড়বে। সব ঘরে থাকলেই ভালো তাই,
আমি- যাইয়েন না। আই লাভ ইউ।
আরাভ- এভাবে না আমাকে হাগ করে বলো।
আমি- না শুয়ে পড়ুন।
আরাভ- আমি গেলাম।
আমি- আচ্ছা আচ্ছা।
.
আরাভকে হাগ করে ভালোবাসি বললাম।
আরাভ- এবার একটা কিসসি।
আমি- একদম না।
আরাভ- আচ্ছা গেলাম।
আমি- ওকে যান।
আরাভ- সত্যি গেলাম।
আমি- যান যান আমি তো আর মানা করি নি।
.
আসলে আরাভ ড্রিংক করে নি। নাটক করছিলো। প্রথমে বুঝি নি। কিন্তু হাগ করে বুঝলাম। কারণ প্রথমে টললেও জড়িয়ে ধরার সময় আরাভ সোজা ছিলো। আর সেই সাথে তার হার্টবিটও ঠিক ছিলো।
আরাভ- না কিসসি দেও।
আমি- দাড়ান।
আরাভ- না আমি দাড়াবো না।
আমি- একটু।
আরাভ- জ্বলদি আসো।
.
একটা লাঠি আনে আরাভকে মারা শুরু করলাম।
আরাভ- আরে আরে এসব কি বর নির্যাতন হচ্ছে।
আমি- নাটক আমার সাথে। বুঝাচ্ছি মজা।
আরাভ- আরে আরে বইন থাম।
আমি- থামানো বুঝাচ্ছি।
.
আরাভ দৌড়াচ্ছে। আমিও পিছনে লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছি।
কিছু সময় পর, আমি হাপিয়ে গেলাম। সাথে আরাভও। দুজনেই হাপাচ্ছি।
আরাভ- ওই গুন্ডি থামো রে।
আমি- নাটক কেন করলেন?
আরাভ- ভালোবাসা নিতে।
আমি- তোর ভালোবাসার গুষ্টি কিলাই। আমি এখনো তোরে মাফ করি নি। কর তো যা ইচ্ছা তা। (রাগে বললাম)
.
আরাভ কিছু বললো না। কিন্তু হাসতে লাগলো।
আমি- হাসছো কেনো?
আরাভ- কিছু না গো। তুমি আমাকে মাফ করবাই আমি জানি।
আমি- দেখা যাবে।
আরাভ- হুহাহা।
আমি- বুইড়া বেডার ঢং বেশি।
আরাভ- যাই বলবা বলো আমি বুড়া না ওকে?
আমি- বুড়া বুড়া বুড়া।
আরাভ- আনহা বেশি হচ্ছে আমি বুড়া না।
আমি- মি. আরাভ বুইড়া বুইড়া।
আরাভ- আনহার বাচ্চি দেইখা নিমু তোরে।
আমি- এই যে দেখেন।
আরাভ- খাড়া রে।
.
আরাভ উঠতে ধরবে তার আগেই আমি রুমের বাইরে চলে গেলাম। আরাভ ভাবছিলো ধীরে ধীরে আমি আগের অবস্থায় আসছি। তাই ও কিছুটা খুশি হলো।
.
বাইরে দেখি, আভা টিভি দেখছে। টিভিতে এক মহিলাকে দেখাচ্ছে। যার স্বামী তাকে ছেড়ে দিছে ও প্রেগনেন্ট অবস্থায়। এসময় সে কষ্ট পাচ্ছে। এসব দেখে নিজের অবস্থা মনে পড়লো। আভা আমাকে দেখেই চ্যানেল পাল্টালো কিন্তু‌ আমার খুব কষ্ট লাগছিলো।
কিছু সময় পর রুমে ঢুকতেই,
.
আরাভ- ওগো কাছে আসো। (একটু ঢং করে)
আমি- শুনুন আমার সাথে ঢং করবেন না। আমি এখনো আপনাকে মাফ করি নি। এখানে আছি আমি শুধু মায়ের জন্য।
আরাভ- মানে কি?
আমি- যা শুনলেন।
আরাভ- তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
আমি- না বাসি না।
আরাভ- ওহ।
আমি- জ্বী
.
আরাভ মন খারাপ করে শুয়ে পড়লো।
.
 

 

রাতে,,, আরাভ ভাবছে, “আমি কি আনহার উপর জোর করছি? ও তো আমাকে মনে হয় না আর ভালোবাসে। কি করবো কিছু বুঝছি না।” আরাভের মাথায় এসবই ঘুরছে। কিন্তু সে কি করবে কিছুই বুঝছে না। সে ভাবলো আনহা যদি সত্যি ওকে না চায়, ও তাকে মুক্তি দিয়ে দিবে।
.
কিন্তু আনহাকে ছাড়া থাকতে হবে এই কথাটা ভাবতেই আরাভের মন আরো খারাপ হয়ে উঠলো। কারণ ও এখন আনহাকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলেছে।
.
পরেরদিন,,,,,,
আনভীর কাঁদছিলো।
আমি- আনভীরকে একটু দেখুন তো কি হয়েছে?
.
আরাভ চুপচাপ‌ আনভীরকে কোলে নিয়ে চলে গেলো ঘরের বাইরে। এটা দেখে আমি কিছুটা অবাক হলাম। কারণ অন্য দিন হলে আরাভ আনভীরকে কোলে নিয়েই আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে অনেক কথা বলতো।‌আজ আবার কি হলো ওর?” এটাই ভাবছিলাম।
.
কিন্তু বিশেষ কোনো গুরুত্ব দিলাম না। আমি সকালে গোসল করে নিলাম। বের হয়ে দেখি আরাভ অফিসে গেছে। কিন্তু আমার কেমন খটকা লাগলো। কারণ আরাভ যাওয়ার আগে আমাকে একবারও কিছু বললো না।
..
মনে মনে ভাবছি, “আমি কি বেশি কিছু বলে ফেলছি ওকে?” ভেবে নিলাম, আর না। আমিও আর এভাবে ঝগড়ার মাঝে থাকতে পারবো না। ঠিক করে নিলাম ওকে মাফ করে আবার নতুন শুরু করবো।”
.
যেই ভাবা সেই কাজ। চলে গেলাম রান্নাঘরে। দেখলাম ওখানে আভা কি জানি করছে। আমাকে দেখেই,
আভা- ভাবি এখানে যে?
আমি- না মানে রান্না করতে আসছি একটু।
ভাবি- ও আচ্ছা আসো আসো। একটা কথা ছিলো বলবো?
আমি- হুমম বলো।
আভা- ভাবি তোমাদের ঝগড়া তো মিটে গেছে তাই না?
আমি- না মানে হ্যা। কিন্তু কেনো?
আভা- না মনে হলো ভাইয়ার মন খারাপ। কাল রাতে পানি আনতে এসেছিলাম। দেখি ভাইয়া সোফার ঘরে হেলানি দিয়ে আছে। মুখ দেখে মনে হচ্ছিলো কষ্টে আছে তাই আস্ক করলাম আরকি। কিছু মনে করো না।
আমি- একটু ঝগড়া হইছিলো আর কি।
আভা- ওওও আমি ভাবলাম কি না কি। যাই হোক মিটিয়ে নিও।
আমি- হুমম ওর‌ জন্যই রান্না করতে আসছি। দুপুরে ওর জন্য খাবার নিয়ে যাবো।
আভা- বাহ দারুণ তো।
আমি- তুমি আনভীরকে একটু দেখবে?
আভা- আচ্ছা বলার কি আছে। আমি দেখে রাখবো আনভীরকে।
আমি- থেংকস। আমাকে চিন্তামুক্ত করলে।
আভা- এখন রান্না করো। কোনো সাহায্য লাগবে নাকি?
আমি- না না আমি নিজেই করবো নে। তুমি শুধু আনভীরকে একটু দেখে রেখো।
আভা- আচ্ছা।
.
খুশি মন নিয়ে রান্নাঘরে আরাভের পছন্দের বিরিয়ানি বানাইলাম। অনেকদিন পর প্রিয় মানুষটির জন্য কিছু রান্না করতে গিয়ে এমনিই মনটা প্রচুর ভালো হয়ে গেলো।
.
আমি রান্নাশেষে তৈরি হয়ে নিলাম। তারপর আরাভের অফিসের ওদিক রওয়ানা হলাম।
.
অফিসে যেতেই অনেকে অামাকে দেখে অবাক হলো। হয়তো এতোদিন পর বলে। আবার অনেকে খুশিও হলো। অনেকের সাথে কথা বলে আরাভের ক্যাবিনের বাইরে যেতেই শব্দ পেলাম একটা মেয়ের, “আরে সোজা হন। নড়ছেন কেনো?” এই টাইপ কথা। তাড়াতাড়ি দরজা খুলে যা দেখলাম রাগ ৩৬০° তে উঠে গেলো।
.
“ভিতরে এক মেয়ে আরাভের ব্লেজারে কফির দাগ মুছে দিচ্ছে।” আর হাসে হাসে কথা বলছে।
.
আমি- ওই শয়তান্নি ছাড় উনাকে।
.
আমার কথা শুনে আরাভ আর ওই মেয়ে দুজনেই আমার দিকে ঘুড়লো।
আমি- ওই শাকচুন্নি ছাড় ওনাকে শুনতে পাচ্ছিস না।
.
মেয়েটা কিছু বলতে যাবে কিন্তু আরাভ চুপ করতে বললো।
আরাভ- তুমি এখানে যে?
আমি- তুই চুপ কর। আগে ওই শাকচুন্নি তোর সাহস তো কম না উনার গায়ে হাত দিস।
আরাভ- আনহা বিহেভ ইওরসেল্ফ একটা বাচ্চার মা তুমি। তাও এমন কেনো?
আমি- ওই শয়তান তোর লজ্জা করে না? তুইও তো একটা বাচ্চার বাপ। তাও শাকচুন্নিদের সাথে থাকস কেন?
আরাভ- আনহা।
আমি- নাম নেওয়া বন্ধ কর। বুড়া বেডা। কয়েকদিন পর টাকলু হবি তাও মাইয়াগো লগে এতো কাছাকাছি যাস।
আরাভ- বউ কাছে না আসলে কি করবো?
আমি- আমি যাই না তোর কাছে? হা গতকাল রাতেও তো… (পুরোটা বলতে পারলাম না। আরাভ এসে মুখ চেপে ধরলো)
.
.
আরাভ- চুপ একদম চুপ। আশা এখন এখান থেকে যাও। পরে আসবা।
.
আমি তার হাতে কামড় দিলাম। আরাভ একটু আহ করে হাত নামিয়ে নিলো।
আমি- তুই চুপ।
আরাভ- আ…
আমি- বললাম না চুপ। ওই মাইয়া তুই উনার কাছে গেলি কেন? তুই আর আসবি না। তোর চাকরি ওভার যা তুই। গেট আউট ইউ শাকচুন্নি।
আশা- ম্যাম আমি তো যাস্ট।
আমি- কোনো যাস্ট না তুই কেনো আমার উনার কাছে আসবি। আমার উনার উপর আমি ছাড়া কেউ লাইন মারতে পারবে না। ইউ আফ্রিকার তেলাপোকা গেট আউট।
আশা- ম্যাম আমার চাকরি খাইয়েন না। আই নিড দিস।
আমি- এক মিনিট।
.
ব্যাগ থেকে একটা ব্রাদার্স ব্যান্ড বের করলাম।
আমি- এটা পড়া উনাকে।
.
মেয়েটা একবার আমার দিকে তাকালো একবার আরাভের দিকে। অগত্যা ওই ব্যান্ড পড়ায় দিলো আরাভকে।
আমি- বলো এবার।
আশা- কি?
আমি- আজ থেকে
আশা- আজ থেকে…
আমি- আরাভ স্যার আমার নিজের ভাই এর মতো।
আশা- আরাভ স্যার আমার নিজের ভাই এর মতো।
আমি- আমি আর তার দিকে ভাই ছাড়া অন্য নজরে তাকাবো না। যদি তাকাই তাহলে ম্যাম যেন আমাকে কুচি কুচি করে টমিকে খাওয়ায়।
আশা- (বললো)
আমি- এবার গেট আউট এখান থেকে ইউ শাকচুন্নি
.
.
মেয়েটা আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো। আমি ভালোই বুঝলাম মেয়েটা ভয় পাইছে। বাট মেয়েটা যেতেই মাথায় এলো আমি কি কি করলাম? আমি আরাভের দিকে তাকালাম,
আরাভ- এটা কেমন বিহেভ?
আমি- ইয়ে মানে।
আরাভ- হোয়াট দা হেল। মেয়েটাকে কাঁদিয়ে ছাড়লা।
.
আমি মাথা নিচু করে আছি।
আরাভ- জবাব দেও না কেন? এমনি বলো ভালোবাসো না। এটা আবার কেনো করলা?
আমি- আমি আপনাকে…
আরাভ- চুপপপপ। যাস্ট গেট আউট।
আমি- না মানে।
আরাভ- বললাম না যাও।
আমি- ওকে ফাইন। আর শুন মুখবাকা আমি তোরেই ভালোবাসি। ভাবলাম সব ঝগড়া মিটাবো। তোর লাইগা বিরিয়ানিও বানাইছিলাম। বাট না আর দিবো না। সব আমিই খাবো। গেলাম আমি। ইউ ইঁদুর হুহ।
.
আরাভ কিছু বলার সুযোগ পেলো না। আমি চলে আসলাম।
.
আমি বেড়িয়ে আসতেই আরাভও বেড়িয়ে এলো। আমাকে থামাতে। কিন্তু আমি চলে আসতে ধরেছিলাম। আরাভ রাগের মাথায় আমাকে ওসব বললো। কারণ আমার রাতের ব্যবহার তার মাথায় গেঁথে ছিলো।
.
আমি বুঝেছি কিন্তু এতোটা বলবে কেনো? এই রাগে আমি বাড়ি এলাম। দেরি করেই ফিরলাম। কারণ আগে বিরিয়ানি খামু আমি। তাই এক রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। আরাভ আমার গাড়ি এক রেস্টুরেন্টের বাইরে দেখলো। ও নিজেও ভিতরে গেলো।যেয়ে দেখে আমি টিফিন খুলে বিরিয়ানি খাচ্ছি আর আইসক্রিমও খাচ্ছি রেস্টুরেন্ট থেকে। এটা দেখে আরাভের প্রচন্ড হাসি পেলো। ও ভাবতে লাগলো, “আজব পাগলি। এরকম কে করে?”
.
ও আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি একবার তাকালাম কিন্তু পরে ইগনোর করলাম।
আরাভ- সরি ম্যাম। রেগে ছিলাম।
আমি- কে আপনি?
আরাভ- চিনো না?
আমি- না।
আরাভ- তাই?
আমি- জ্বী। গেট আউট। আমি বিরিয়ানি খাচ্ছি।
আরাভ- আমাকে দিবা না?
আমি- নো। এটা আমিই খাবো।
আরাভ- ওকে।
.
আরাভ সামনে বসে পড়লো। আর আমি খেতে লাগলাম। ও ভেবেছিলো আমি ওকে দিবো। কিন্তু না আমি বলছি যে, আমি খাবো মানে আমিই। ঠিকই সব খেলাম।
আরাভ- আনহা তুমি দিন দিন পেটুক হচ্ছো।
আমি- ভালো।
আরাভ- আরে সরি।
আমি- নো।
আরাভ- আর হবে না সরি।
আমি- আপনি সবসময় আমাকে কষ্ট দেন। আপনি ভালো না। চলে যান।
আরাভ- আর হবে না।
আমি- ঠিকই করবেন।
আরাভ- আর করবো না। ওই শুনো মিটায় ফেলি সব চলো।
আমি- মিটাইতে চাইছিলাম। কিন্তু আর মিটাবো না।
আরাভ- ওই সরি তো।
আমি- না।
আরাভ- সরি সরি সরি।
আমি- এক শর্তে।
আরাভ- রাজি।
আমি- প্রপোজ করতে হবে এখানে সবার সামনে ।
আরাভ- এই বয়সে?
আমি- জানি তো বুড়া হইছেন তবুও করেন।
আরাভ- ওকে।
আমি- সরিও বলতে হবে কান ধরে।
আরাভ- কিইইই?
আমি- হুম।
আরাভ- না কখনো না।
আমি- ওকে আপনি যান আমি আইসক্রিম খাই।
.
আরাভ ঠিকই উঠে চলে গেলো। আমি ভাবলাম রাগে গেছে। যাই হোক আইাক্রিম আগে শেষ করি। আমি এক নাগাড়ে খেয়ে যাচ্ছি। আরেকটা আইসক্রিম অর্ডার দিলাম। খাচ্ছিলাম এমন সময় আরাভ এলো। হাত ভর্তি মেলা গুলো কিটক্যাট এক বক্সে। এতো কিটক্যাট দেখে আমি তো অবাক।
.
.
কিটক্যাট গুলো এগিয়ে দিয়ে,
আরাভ- ম্যাম আমি জানি আমি ভুল করি। কিন্তু কোনোদিন এমন পরিস্থিতি আসবে না যে আমাকে ছাড়তে হবে। আমি আপনার সব জুড়ে আবারো থাকতে চাই। ভালোবাসি আপনাকে। এক্সেপ্ট করবেন?
আমি- এতো কিটক্যাট দেইখা তো মোরে অন্য কেউ প্রপোজ করলেও এক্সেপ্ট করমু। জ্বলদি দেও।
আরাভ- তোরে আমি প্রপোজ করতাম না। ভাগ।
আমি- ইয়ে মানে সরি। তোমাকেই এক্সেপ্ট করমু তো আর কাউকে না। এবার তো দেও।
আরাভ- না।
আমি- ওগো প্রিয় ইঁদুর দেও তো।
আরাভ- হায়রে পাগলি। এই নেও।
.
আমি- লাভ ইউ।
.
এই বলে সবার সামনে জড়িয়ে ধরলাম। বাকী সবাই তালি দিলো।
.
.
সমাপ্ত। কাল্পনিক গল্প এটা।
এরপর আসছে #এক_রাতের_বউ আশা করি পাশে থাকবেন সবাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে