Angry_Husband
Season_2_ Part_21
Written by Avantika Anha
রাতে মিমি কল দিলো,,,
আমি- হুমম দোস্ত বল।
মিমি- ভাইয়াকে বললি? নিউ বেবি আসার কথাটা?
আমি- না সিক্রেট পরে কমু।
মিমি- আহা এটাও স্পেশালভাবে বলবি নাকি ভাইয়াকে?
আমি- হুমমম। বুঝতে হপ্পে গো।
মিমি- আহা শুনবো নে কি কি করিস।
আমি- আচ্ছা কমু। তোর কয় মাস ?
মিমি- ৩ মাস। হারামি আরেকটু আগে প্রেগনেন্ট হইতি। একসাথে বেবি হতো তাইলে।
আমি- হারামি আমি জানি নাকি?
মিমি- এমনি সময় অলওয়েজ ফার্স্ট। এইবার লেট।
আমি- লেট তো কি? হলেই হলো।
মিমি- হুহ।
আমি- হুহ তুই। পেত্নি যা ভাগ।
মিমি- রাক্ষসী।
আমি- আফ্রিকান ইঁদুর।
মিমি- বিড়াল।
আমি- যা ভাগ।
মিমি- তুই ভাগ। নিজে আমার পরে প্রেগনেন্ট হইলি আর কথা বলে।
আমি- হইলেই হলো দেরির কি?
.
হঠাৎ আরাভ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আমাকে। আমি হকচকিয়ে উঠলাম। ও কিছু শুনলো না তো আবার?
আমি- আচ্ছা রাখি আরাভ আসছে।
মিমি- সাবধান না জানে যেন।
আমি- হুম হুম।
.
আরাভ আমাকে ওর দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
আরাভ- কি হইছে দেরি করে?
আমি- কি জানি হইছে ও হ্যা ওর বিড়ালের বাচ্চা হবে।
আরাভ- তো দেরি এর কি আর মিমি নিজেও তো মে বি প্রেগনেন্ট।
আমি- হুমম কিন্তু বিড়াল পরে প্রেগনেন্ট হইছে মিমির। এই জন্য ওয় রেগে আছে।
আরাভ- কি? এতে রাগের কি?
আমি- কেনো লেটে হইলো ওর সাথে বা কাছাকাছি না এটা নিয়ে এই আর কি।
আরাভ- কি বলছো এসব?
আমি- ইয়ে কি জানি কিছু না।
আরাভ- দূররর পাগলি।
.
আরাভ আমার কপালে কিস করে আমাকে কোলে তুলে নিলো। এমা হেতে রোমান্টিক মুডে নাকি।
আরাভ- রাত কয়টা বাজে দেখছো?
আমি- হুমম ১টা।
আরাভ- চলো ঘুমাই।
আমি- শুনেন।
আরাভ- কি?
আমি- আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। ৫ দিন পর কমু।
আরাভ- তাই?
আমি- হুমমম।
আরাভ- এখনি বলো।
আমি- উহু। ঘুমামু।
আরাভ- ওকে।
.
আমি ঘুমানোর চেষ্টা করলেও পরছিলাম না। কারণ পেটের মধ্যে কথাটা ডিস্কো ডান্স করছিলো। তবুও কষ্ট করে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। ২ দিন চলে গেলো। আমি ধরা পড়তে পড়তে বাঁচে যেতে ধরতাম।
.
এইতো সেদিন নেটে প্রেগনেন্ট মেয়েদের সম্পর্কে পড়তেছিলাম আরাভ চলে এলো। এসেই জিজ্ঞেস করে,
আরাভ- কি পড়ো প্রেগনেন্টদের সম্পর্কে।
আমি- ইয়ে মানে।
আরাভ- কি?
আমি- মিমির জন্য পড়তেছি।
আরাভ- হুম, আমাদেরও বেবি নেওয়া দরকার।
আমি- হুমমম হুমমম নিবো পরে।
আরাভ- খালি পরে পরে করে কবে নিবো। ইচ্ছা করছে এখনি শুরু করি।
আমি- ওই লুইচ্চা যান এখান থেকে।
আরাভ- আনহা কষ্টে রাগ কমাইছি। বাড়াইয়ো না।
আমি- হিহি।
আরাভ- হুহ যাচ্ছি।
.
সেদিন রাতে আমি ঘুমের মধ্যে দেখছি আমার দুইটা জমজ বাচ্চা হইছে। একটা মেয়ে একটা ছেলে। আরাভ দুইটাকে নিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে আর আমাকে দিচ্ছে না। আমি রাগের ঘোরে আরাভকে কামড় দিলাম। আরাভ আমাকে পিডাইতে আসতেছে। এমন সময় আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো আরাভের ডাকে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বপ্নটা সত্যি। তাই আবার আরাভের হাতে কামড় দিলাম।
আরাভ- কামড় দেও কেনো?
আমি- আপনি ভালো না। বাবুদের জন্য আইসক্রিম আনছেন আমার কই?
আরাভ- কি কোন বাবু?
আমি- কি আমার বাবু কই? আয়নি আর আয়ান কই?
আরাভ- আনহা স্বপ্ন দেখছিলা তুমি।
আমি- না আমার বাচ্চা।
আরাভ- আরে কই? কি হইছে বাচ্চা বাচ্চা করছো কেনো?
.
হঠাৎ ঘোর কেটে গেলো। এই রে স্বপ্ন দেখছিলাম তাহলে। আরাভ কি ভাবছে যে?
আমি- ইয়ে সরি স্বপ্ন দেখছিলাম তো তাই ভুলে গেছি।
আরাভ- কি কি যে স্বপ্ন দেখো। তা হঠাৎ বাচ্চার স্বপ্ন দেখছো কেনো?
আমি- কে জানি?
আরাভ- আমি কিন্তু জানি।
আমি- ক… কি? (ভয়ে)
আরাভ- তোতলাও কেনো? মিমির বাচ্চা হবে দেখে তাই না?
আমি- হ্যা।
আরাভ- জানি তো আমি ব্রিলিয়ান্ট।
আমি- হুম হুম। (মনে মনে হালারপো জানেই না আর বলে জানি)
আরাভ- তোমার প্রাউড ফিল করা উচিত।
আমি- হুমম করি তো। (মনে মনে ওকে গাঁধা বলছি)
আরাভ- আহা তাই?
আমি- হুমমম। এখন নামায পড়ে রেডি হন। অফিস আছে।
আরাভ- হায়রে। মানুষের বউরা তার বরকে যেতে মানা করে আে আমি এমন এক বউ পাইছি যে তার বরকে খালি অফিসে পাঠায়। রোমান্স এরও সুযোগ দেয় না রে।
আমি- ওহো আমার ড্রামাকিং হাজবেন্ড ঢং কইরেন না।
আরাভ- হায় রে।
আমি- যাবেন কি না?
আরাভ- যাচ্ছি। আজকাল তুমি এংরি হচ্ছো।
আমি- হুম আপনার প্রভাবে।
.
সেদিন আরাভ নাকি কিছুটা মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলো অফিসে। যদিও সে তা আমাকে বলে নি। চিন্তা করবো বলে। কিন্তু সেদিন সে ডাক্তারের কাছে চেকাপও করে নি। কিছু হয় নি ভেবে। কিন্তু পরের দিন আবার একই ঘটনা। আরাভ নিজেই ডক্টরের কাছে গেলো। সেদিন আরাভ চেকাপ করে বেড়িয়ে আসতেই জান্নাত ডক্টরের কেবিনে গেলো,
ডক্টর- কে আপনি?
জান্নাত- সেটা বড় কথা নয়। বর্তমানে যা বলছি তা করুন। ফলস্বরূপ আপনাকে আমি ৫ লাখ টাকা দিবো।
ডক্টর- কি বলছেন এসব? আমি কোনো খারাপ কাজ করবো না।
জান্নাত- ৬ লাখ দিবো।
ডক্টর- আমি বিক্রিত নই।
জান্নাত- ১০ লাখ।
ডক্টর- নাহ।
জান্নাত- ১৫ লাখ।
ডক্টর- ওকে আমি রেডি বলুন কি করতে হবে?
জান্নাত- বর্তমানে যে বেড়িয়ে গেলো রাহিদ আহমেদ আরাভের রিপোর্টে লিখবেন সে কখনো বাবা হতে পারবে না।
ডক্টর- এতে আপনার লাভ কি?
জান্নাত- লাভ তো আছেই। তা আপনার না জানলেও চলবে। কাজটা করে দিবেন।
ডক্টর- ওকে।
.
পরেরদিন আরাভ রিপোর্ট দেখে থমকে উঠে। তার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সে ভাবতে থাকে যে, আনহাকে সে কি বলবে?
.
চলবে……