#গল্পঃ_দুষ্টু_মেয়ের_মিষ্টি_সংসার_
#লেখকঃ_Md_Aslam_Hossain_Shovo_(শুভ)
#পর্বঃ__৮_(শেষ পর্ব)
√-চোখে তাকিয়ে থাকা ও পাপ্পি দিয়ে কেটে গেলো। সকাল বেলা বাস গিয়ে সিলেটের একটা আবাসিক হোটেলের সামনে থামলো।
আমরা বাস থেকে নেমে সরাসরি যার যার রুমে চলে গেলাম। রুম আগেই রিজার্ভ করা ছিলো। রুমে গিয়ে সকালের নাস্তা করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। ১২ টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। চোখ খুলে দেখি রিতু আমার বুকের মধ্যে মিশে ঘুমিয়ে আছে। আমি আরো আধাঘন্টার মতো রিতুকে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরে শুয়ে রইলাম। ফয়সাল দরজায় ঠকঠক শব্দ করে বললো দুপুর ৩ টায় সবাই সিলেট শহর ঘুরতে যাবে, তার আগে খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে। কিন্তু আমার তো রিতুকে ছাড়তেও ইচ্ছা হচ্ছে না, কিন্তু সময় কম থাকায় ডাক দিলাম ~
আমিঃ এই পিচ্চি, পিচ্চি…
~ কয়েকবার ডাক দেওয়ার পর রিতুর ঘুম ভাঙ্গলো ~
রিতুঃ হুম বলো..
আমিঃ তারাতাড়ি গোসল করে নেও। খাওয়া দাওয়া করে ঘুরতে বের হবো সবাই…
রিতুঃ বাবু আমি শরীরে একদম শক্তি পাচ্ছি না। আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। কিভাবে গোসল করবো হুম?
আমিঃ ওহহ তাই! আচ্ছা চলো আমি গোসল করিয়ে দিচ্ছি তোমায়…(হাসি দিয়ে)
রিতুঃ তুমি সব সময় মজা করো কেনো শুনি? আমি সত্যি খুব ক্লান্ত।
আমিঃ আমি আবার মজা করলাম কখন? আমি সিরিয়াস ভাবে বলছি তো, চলো তোমায় আমি গোসল করিয়ে দেই।
রিতুঃ চুপ একদম।
আমিঃ চুপ কেনো?
রিতুঃ আমার বুঝি লজ্জা করে না হুম (লজ্জা পেয়ে)
আমিঃ এতো লজ্জা কোথায় পাও তুমি?
~ এই বলে আমি দাঁড়িয়ে রিতুকে কোলে নিলাম। রিতু ভয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরে “ছাড়ো ছাড়ো” বলতে লাগলো। আমি কোলে নিয়ে সরাসরি গোসল খানা/বাথরুমের মধ্যে নিয়ে গেলাম। রিতু লজ্জায় মুখ গোলাপি রঙের করে ফেলছে ~
রিতুঃ আমার সোনা বাবু, যাও তো আমার ব্যাগের ভেতর দেখো একটা ফ্রেশ ওয়াশ আছে, ওটা নিয়ে আসো…
~ আমি রিতুর কথা মতো বাথরুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে রিতু বাথরুমের দরজা আটকে দিলো ~
আমিঃ এটা কি হলো রিতু? আমায় ধোঁকা দিলে তুমি?
রিতুঃ হি হি, শখ কত তোমার হুম, বউয়ের সাথে গোসল করবে। তোমার শখ আর পূরণ হলো না গো, হা হা…
আমিঃ তাই বলে এই ভাবে ধোঁকা…
রিতুঃ ওই সয়তান ছেলে, আমার বুঝি লজ্জা করে না হুম।
আমিঃ আমি বুঝি সয়তান?
রিতুঃ একদম না। তুমি আমার লক্ষী সোনা বাবু। আচ্ছা বাবু পরে করা হবে, গোসল শেষ করি।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
~ এই বলে রিতু গোসল করতে শুরু করলো। আমি বেচারা মুখে হাত দিয়ে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আধাঘন্টা পর রিতু বাথরুম থেকে বের হলো পুরো তৈরি হয়ে ~
আমিঃ এই তুমি বাথরুমের মধ্যে তোমার শুকনো কাপড় পেলে কিভাবে? আমি তো দেই নাই।
রিতুঃ তোমায় আমি হাড়ে হাড়ে চিনি বুঝলে। তুমি সুযোগ পেয়ে দুষ্টুমি করবে তাই তো আগে থেকে সব নিয়ে রাখছিলাম, কাপড়, সাবান, শ্যাম্পু সব…
আমিঃ খুব পাকনা হয়েছো দেখছি তুমি…
~ রিতু আমার কথা শোনে হেসে দিলো। আমি গোসল করতে বাথরুমে চলে গেলাম।
গোসল করে পাঞ্জাবি পরে বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি রিতু আয়নার সামনে দাড়িয়ে আয়নার দিকে মুখ করে চুল আঁচড়াচ্ছে। আমি চুপি চুপি গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে চুলের মধ্যে মুখ চেপে ধরলাম ~
রিতুঃ এই আমার সুরসুরি লাগে তো…
~ বলে রিতু হি হি করে হাসতে রইলো ~
আমিঃ তোমার চুলে এতো ঘ্রাণ কেনো বলো তো? আমি তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো এখন…
রিতুঃ ওহহ তাই? খুব ঘ্রাণ বুঝি…
আমিঃ হুমম খুব খুব খুব।
রিতুঃ হয়েছে আর পাম দিতে হবে না। বুড়োর মতলব কি তাই বলো আগে?
আমিঃ তেমন কিছু না, একটু মিষ্টি খাবো আরকি…
রিতুঃ ইশশশ, সব সময় চাইলেই বুঝি মিষ্টি দেওয়া যায় নাকি হুমম? অনেক খরচ পড়বে দামি মিষ্টি খেতে…
আমিঃ আমি বাড়ি ঘর সব বিক্রি করে দিবো শুধু মিষ্টি কেনার জন্য। তাতেও কি কম পড়বে নাকি টাকায় বলো?
রিতুঃ এই মিষ্টি টাকা দিয়ে কেনা যায় না বুঝলে বুড়ো?
আমিঃ তাহলে কি দিয়ে কিনতে হয় বলো?
রিতুঃ অনেক অনেক ভালোবাসা দিয়ে কিনতে হয় বুঝলে। মিষ্টির দোকানীকে যত বেশি ভালোবাসা দিয়ে সুখি করতে পারবে, তত বেশি মিষ্টি পাবে…
আমিঃ আমি তো অনেক অনেক ভালোবাসা দিবো। পরে আবার দোকানের মিষ্টি শেষ হয়ে যাবে না তো?
রিতুঃ এই মিষ্টি কখনো শেষ হয় না। তুমি যত চাইবে তত পাবে। কিন্তু দাম কিন্তু অনেক দিতে হবে…
আমিঃ আচ্ছা তাহলে এখুনি কিছুটা দাম দিচ্ছি কেমন, সাথে কিছুটা মিষ্টিও খেয়ে নিচ্ছি…
~ বলে রিতুকে আমার দিকে ঘুরিয়ে রিতুর ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিল করে দিলাম। আর তখনি বন্ধু ফয়সাল এসে দরজায় শব্দ করে ডাক দিলো ~
ফয়সালঃ শুভ দোস্ত কি করিস, দরজা খোল…
~ সাথে সাথে রিতুর ঠোঁট ছেড়ে দিলাম ~
আমিঃ আরে ভাই, আসার আর সময় পেলি না তুই?
~ রিতু আমার বুকের মধ্যে মাথা দিয়ে হি হি করে হাসি দিয়ে আমায় জরিয়ে ধরলো ~
ফয়সালঃ কেনো রে দোস্ত, তোরা খাবি না দুপুরে, আস নিচে আয় খেতে….
আমিঃ আমরা তো খাচ্ছি…
ফয়সালঃ খাচ্ছিস মানে? তোরা কি খাবার নিয়ে এসেছিস নাকি রুমে…
আমিঃ আরে ভাই না, মানে আমরা আসছি।
ফয়সালঃ ওহহ তাই বল। আচ্ছা তাহলে নিচে আস।
~ বলে ফয়সাল চলে গেলো। আমি ও রিতুও নিচে এসে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিলাম। ৩ টার দিকে সিলেট শহরে ঘুরতে বের হলাম সবাই মিলে। খুব সুন্দর সাজানো গুছানো শহর সিলেট। সাথে চা বাগান ও দেখলাম সিলেটের। আগামী কাল জাফলং ও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতেও ঘুরতে যাওয়ার কথা রইছে।
রাত ৮ টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে আবার হোটেলে ফেরত এলাম। সাথে মা-বাবা, ভাই বোনের জন্য কিছু শপিং করলাম। আর পেত্নী রিতু তো আমার ঘারে চাপ দিয়ে অনেক কিছু শপিং করে নিলো।
রিতুকে ফয়সালদের রুমে ফয়সালের বউয়ের কাছে বসিয়ে দিয়ে আমি হোটেল থেকে বের হয়ে পাশের এক বেকারীতে গিয়ে একটা কেক কিনে সেটায় রিতু আর আমার নাম লিখালাম।
সাথে রিতুর জন্য চকলেট বক্স ও একটা সুন্দর দেখে গিফট ক্রয় করে হোটেলে এসে এগুলো আমাদের রুমে নিয়ে সামলিয়ে রেখে ফয়সালের রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি রিতু আর ফয়সালের বউ স্বর্না বসে বসে গল্প করছে ~
আমিঃ কি গল্প করছেন ভাবি আমার পেত্নী বউয়ের সাথে?
স্বর্না ভাবিঃ তেমন কিছু না, ওই একটু গোপন কথা আরকি, যেটা ছেলেদের শুনতে নেই।
আমিঃ ও তাই নাকি ভাবি। আপনার না কিউট একটা বোন আছে বিয়ের যোগ্য…?
স্বর্না ভাবিঃ হা হা, হুম আছে তো। তাই একটা ভদ্র ছেলে হলেই বিয়ে দিবো, খুঁজে দিন তো ভাইয়া একটা ভদ্র ছেলে…
আমিঃ খুঁজতে হয় নাকি আবার! আমিই তো আছি ভদ্র ছেলে।
~ রিতু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ভয় দেখাচ্ছে ~
স্বর্না ভাবিঃ তাই তো, আপনার সাথে আমার বোনকে খুব সুন্দর মানাবে, হা হা…
রিতুঃ চলো রুমে চলো (আমার দিকে তাকিয়ে)
আমিঃ দেখছো তো ভাবির সাথে আমার খুব প্রয়োজনীয় ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখন যেতে পারবো না…
রিতুঃ তোমার শুধু সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আলোচনা তাই না? রুমে চলো তারপর দেখবে আজ আবার মালেকা পেত্নী কিভাবে ভর করে তোমার ঘারে…
আমিঃ স্বর্না ভাবি দেখছেন, রিতু কত পাগল হয়ে গিয়েছে বিড়াল মারার জন্য। রুমে নিতে কত কিছু বলছে..
রিতুঃ মোটেও না… (ভেংচি কেটে)
~ স্বর্না ভাবি মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে। আমি আর রিতু রুমে চলে এলাম। আমি শুইয়ে পড়লাম খাটে ~
আমিঃ এই পিচ্চি, নীল শাড়িটা বের করে শাড়িটা পড়ো…
রিতুঃ এই রাতে শাড়ি পড়বো কোন দুঃখে?
আমিঃ তুমি তো একদম আনরোমান্টিক বউ দেখছি। এতো কথা না বলে শাড়ি পড়ো।
রিতুঃ ইশশশ, বুড়োর মতলব কি?
আমিঃ যদি শাড়ি পড়ো, তাহলে কিন্তু একটা সারপ্রাইজ গিফট পাবে…
~ রিতু সারপ্রাইজ জিনিসটা খুব পছন্দ করে ~
রিতুঃ সত্যি তো, নাকি পরে গিফট না দিয়ে বোকা বানাবে?
আমিঃ সত্যি, সত্যি, সত্যি। তিন সত্যি…
~ রিতু শাড়ি বের করে বাথরুমে চলে গেলো শাড়ি পড়তে। আমি এই সুযোগে বিছানার উপর মাঝ খানে কেক সাজিয়ে দিয়ে সাথে বিছানার উপর গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিয়ে, সাথে অনেক রকমের চকলেট বিছানার উপর ছড়িয়ে সাজিয়ে দিলাম। সাথে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলাম। মোমবাতির পাশেই সারপ্রাইজ গিফট রেখে দিলাম।
রিতু ১০ মিনিট পর শাড়ি পড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে ওগুলো দেখে হা করে তাকিয়ে আছে ~
আমিঃ পিচ্চির বুঝি সারপ্রাইজ পছন্দ হয় নাই?
রিতুঃ এগুলো তুমি কোথায় পেলে?
আমিঃ হা হা, এগুলো কি পাওয়া যায় বলো। রিতু সুন্দরীর জন্য তার সয়তান বরটা এগুলো এনেছে সারপ্রাইজ দিতে বুঝলে…
রিতুঃ ওলে আমাল বাবুতা..হি হি…
আমিঃ ওলে আমাল তুতলা বুড়ি…
রিতুঃ i love you বাবু…
আমিঃ এটা কিন্তু ঠিক না। সিনেমায় দেখো না এমন সারপ্রাইজ পেলে নায়িকা দৌড়ে এসে নায়ক কে জরিয়ে ধরে… (হাসি দিয়ে)
রিতুঃ বুড়ো কি বুঝে না তার পিচ্চি বউয়ের অনেক লজ্জা লাগে…
আমিঃ তাহলে থাক। আমি আবার পিচ্চির কাছে গেলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না, মন শুধু মিষ্টি মিষ্টি বলে…
রিতুঃ ছুছা ছেলে একটা…
~ রিতুকে নীল শাড়িতে একদম নীল পরী লাগছে। অপূর্ব সুন্দর লাগছে তার চোখ দুটো। আর নিজের বউকে সব মেয়েদের থেকে সুন্দরী ও অপূর্ব লাগবে এটায় স্বাভাবিক।
রিতু এসে মোমবাতি ফু দিয়ে নিভিয়ে দিয়ে একটা ছুরি দিয়ে কেক কেটে আমার মুখে এক টুকরো কেক খাওয়াইয়ে দিলো। আমিও এক টুকরো কেক নিয়ে রিতুকে একটু খাওয়াইয়ে দিয়ে বাকিটা ওর মুখে মাখিয়ে দিলাম। রিতু মুচকি হাসি দিয়ে তার মুখ আমার মুখের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আমার মুখেও কেক লাগিয়ে দিলো।
তারপর আমি গিয়ে ফয়সাল ও তার বউকে কেক দিয়ে আসলাম ওদের রুমে। আবার আমি আমার রুমে এসে দেখি রিতু সারপ্রাইজ গিফট খুলে বুকের উপর রেখে তাকিয়ে আছে, আর চকলেট খাচ্ছে। আমি গিয়ে গিফটটা সরিয়ে সরাসরি রিতুর বুকের উপর শুয়ে পড়লাম ~
রিতুঃ আমি মরে যাবো তো বাবু…
আমিঃ আমি বুঝি ওমন ওজন দিবো নাকি যে তোমার কষ্ট হবে হুম?
রিতুঃ কখনো না, তুমি তো আমার লক্ষী সোনা…
আমিঃ অনেক কষ্টে বড় হয়েছি বুঝলে, এই ভাবে বাবু সোনা বলে আর ছোট করে দিও না…
রিতুঃ আচ্ছা আমার বুড়ো দাদু.. উম্মা…
আমিঃ উম্মা শুধু মুখে নয়, সরাসরি চাই…
রিতুঃ কিছু জিনিস চাই চাই বললে পাওয়া যায় না বুঝলে…
আমিঃ তাহলে..?
রিতুঃ দাবি করে, জোর করে নিতে হয়…
আমিঃ এই কথাটা যদি আগে বলতে গো পিচ্চি, তাহলে বিড়াল আরো অনেক মারা হয়ে যেতো গো…
রিতুঃ ইশশশ…
আমিঃ ওরে আমার ইশশশ, তাহলে এখন খাও কিস…
~ বলে পাপ্পি দিয়ে ধরলাম। তারপর রিতু আর আমার মধ্যে পাপ্পি, দুষ্টুমি, খুনসুটি, সাথে বিড়াল মারা হলো।
সব শেষে রিতুকে বুকের মধ্যে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম যখন ভাঙ্গলো দেখি রিতু বুকে নেই। কিছুক্ষণ পর রিতু বাথরুম থেকে গোসল করে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বের হলো।
আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম। কিন্তু রিতু আরো রেগে চোখ লাল করে ফেললো। হয়তো আমার জন্য এই শিতের দিনে ভোরে গোসল করতে হলো তাই রাগ হয়েছে। আমি যত হাসি দেই, সে তত রাগে ফুলে উঠে। ওর রাগ দেখে আমার একটু ভয়ও হচ্ছে, এমন রাগি মুখ কখনো দেখি নাই আগে রিতুর ~
আমিঃ কি হয়েছে সোনা? রাগ কেনো…
~ রিতু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করে রইছো ~
আমিঃ তোমার কি ঠান্ডা লাগছে নাকি খুব?
~ রিতু দুই পা এগিয়ে এসে খাটের সাথে মিশে দাঁড়ালো ~
আমিঃ বাবুনী, বলো তোমার রাগ উঠছে কেনো?
~ রিতু এক লাফ দিয়ে খাটের উপর উঠে আমার বুকের উপর বসে আমার মুখে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলো। এতো জোরে ধরছে যে আমার দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি অনেক চেষ্টা করছি ওকে সরিয়ে দিতে, কিন্তু শক্তিতে আর পারছি না রিতুর সাথে ~
আমিঃ আমি দম নিতে পারছি না, প্লিজ আমায় ছাড়ো..
~ রিতু আমার মুখ আরো জোরে চেপে ধরলো ~
আমিঃ কি হয়েছে বলো প্লিজ.. (হাঁপাতে হাঁপাতে)
রিতুঃ বল, তুই আর করবি…(রেগে)
~ রিতুর কথা শোনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। এতো রাগী ভাবে রিতু এগুলো কেনো বা কি বলছে ~
আমিঃ কি করার কথা বলছো?
রিতুঃ তুই আগে বল, তুই আর কখনো করবি?..(রেগে)
আমিঃ আগে বলো তো কি করতে মানা করছো?
রিতুঃ এর পরেও আর করবি কিনা বল আগে? (রেগে)
আমিঃ কি সেটা বলো তো? (অবাক হয়ে)
~ সাথে সাথে রিতু আমার নাক বরাবর জোরে একটা ঘুশি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়ে সে চিৎকার করে বললো ~
রিতুঃ ওই সয়তান,আমার নাম “রিতু” ব্যবহার করে আর কত বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা গল্প লিখবি?… হারামজাদা…আমি তোর কবে কার বউ লাগি.. ??
.
এখন আমি কি উত্তর দিবো আপনারই বলুন..? ?
.
? সমাপ্ত ?