?ভোর? পর্বঃ ৩৪।

0
1611

?ভোর? পর্বঃ ৩৪।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
গতকাল বেবির ৪১দিন পূর্ণ হলো। আজ ফজরের একটু আগে উঠে….
|
আলোঃঃ এই উঠুন… ভোর??
|
ভোরঃঃ উমমম…
|
আলোঃঃ উফ কি হলো উঠুন না….
|
ভোরঃঃ উফ কেন?
|
আলোঃঃ আমি ওয়াশরুমে যাবো… দিয়ে আসুন।
|
ভোরঃঃ তুমি যাও না। একটু ঘুমাতে দাও প্লিজ….
|
আলোঃঃ আমি যাবো ঠিক তো? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ উহহ যাচ্ছি নিয়ে। (ঘুমকন্ঠে বিরক্তিভাব)
|
আলোঃঃ হুমম গুড…
|
আলোকে ওয়াশরুমের সামনে কোল থেকে নামিয়ে.. চলে আসছিলো। তখন…
|
আলোঃঃ আমি যেন বের হয়ে দেখি আপনি এখানেই দাঁড়িয়ে আছেন। আর যদি না দেখি তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
|
বলে ওয়াশরুমের দরজাটা লাগিয়ে দিলো ধুম করে। আর ভোর একরাশ কষ্টো নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আলো প্রায় ১৫মিনিট পর বের হয়ে….
|
আলোঃঃ যান ফ্রেশ হয়ে অজু করে আসুন। একসাথে নামাজ পড়বো।
|
ভোর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আলো একটা বড় জায়নামাজ ফ্লোরে বিছিয়ে নিলো। ভোর বের হয়ে আলোর পাশে দাঁড়ালো। তারপর দুজন একসাথে নামাজ আদায় করলো। আলো ভোরকে তারপর বেবিকে গিয়ে ফুঁ দিলো। তারপর জায়নামাজটা গুছিয়ে রাখলো। ভোর বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আলো গিয়ে ভোরের হাতের ভিতর থেকে ভোরের সামনে দাঁড়িয়ে….
|
আলোঃঃ উফফ হাল্কা শীত পড়েছে। শীত লাগছে। আপনার লাগছে না?
|
ভোর কিছু না বলে আলোকে আরএকটু টেনে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো…
|
আলোঃঃ এখন একটু কম শীত লাগছে। (মুচকি হেসে)
|
ভোর কিছু বলছে না আলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। আলো ভোরের এমন তাঁকিয়ে থাকায় বেশ লজ্জা পাচ্ছে। লজ্জাকে জয় করে আলোর মাথায় অন্যকিছু চাপলো। আলো ভোরের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে…দু’হাত দিয়ে ভোরের গলা জড়িয়ে ধরে ধীরেধীরে ভোরের ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁটটা নিয়ে…ভোরের নাকের সাথে নিজের নাকটা একটা ঘষা দিয়ে ভোরের বুকে মাথা দিয়ে ভোরকে জড়িয়ে ধরলো…..
|
ভোরঃঃ এটা কিন্তু ধোকাবাজি… (মন খারাপ করে)
|
আলোঃঃ কোনটা? (বুকে মাথা রেখে)
|
ভোরঃঃ এই যে কিস এর লোভ দেখিয়ে দিলে না…
|
আলোঃঃ আহ বেহায়া… মুখে কিছু আটকায় না। লজ্জা বলতে কিছু নেই।
|
ভোরঃঃ ওসব লজ্জা টজ্জা বুঝি না। তোমাকে এখন কিস দিতে হবে। ব্যাস
|
আলোঃঃ হুশশশশ….
|
বলে আলো ভোরকে ছেড়ে আসছিলো। ভোর আলোর হাত ধরে…..
|
ভোরঃঃ দিবে না?
|
আলোঃঃ না। হাত ছাড়ুন তো….
|
ভোরঃঃ সিরিয়াসলি দিবে না?
|
আলোঃঃ উফফ হাত ছাড়ুন তো…
|
ভোর আস্তে করে হাতটা ছেড়ে দিলো। আলো মিটিমিটি হেসে রুমে চলে গেলো।
|
সকাল ৯টা……
আলোঃঃ কি হলো আপনার? কখন থেকে ডাকছি নাস্তা করতে। আপনি এখনো বসে আছেন ল্যাপটপ নিয়ে?
|
ভোরঃঃ আমার খুদা নেই।
|
আলোঃঃ খুদা নেই সেটা আগে বলতেন? আমি আপনার জন্য নাস্তা বানাতাম না।
|
ভোর কিছু না বলে ল্যাপটপটা নিয়ে উঠে চলে গেলো। আলোও পিছন পিছন গেলো। কিন্তু ভোর গেস্টরুমে গিয়েই দরজা লক করে দিলো। আলো গিয়ে দরজা নক করতে থাকলো কিন্তু ভোর কোনো রেসপন্স করলো না তাই আলো নিজের রুমে চলে এলো।
|
দুপুরবেলা……
আলোঃঃ আপনি কি বের হবেন না? (দরজায় নক করে)
|
ভোরঃঃ আমি ঘুমাচ্ছি। কেউ যেন আমাকে ডিস্টার্ব না করে। (উচ্চস্বরে রাগীকন্ঠে)
|
ভোরের এমন ঝাঁঝালো কথা শুনে আলো চুপ করে চলে এলো। আলোও এসে শুয়ে পড়লো বেবির পাশে।
|
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো কিন্তু ভোর এখনো বের হলো না রুম থেকে..তাই
|
আলোঃঃ আপনি সারাদিন এই রুমেই ছিলেন। কি হয়েছে? এমন বিহেভ করছেন কেন? (দরজার সামনে উচ্চস্বরে)
|
ভোরঃঃ আমি একা থাকতে চাই। কেউ যেন বিরক্ত না করে। (উচ্চস্বরে)
|
আলোঃঃ তুই দরজা খোল আগে… (রাগীমুডে)
|
ভোরঃঃ আমি ব্যস্ত….
|

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

আলোঃঃ তুই দরজা খুলবি না? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোর কোন কথা বলছে না। চুপ করে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে।
|
আলোঃঃ খুলিস না যা… আমি চলে যাচ্ছি। থাকবো না তোর বাড়ি। (রাগে গজগজ করতে করতে)
|
আলো রুমে চলে এলো। রুমে পাঁয়চারী করছে। রাগে ফুঁসছে। ভোর ঐরুমেই বসে আছে কিছু না বলে। আলো পাঁয়চারী করতে করতে বসে পড়লো বেডে। বেবি উঠে গেলো। বেবিকে খাইয়ে সার্ভেন্টকে ডেকে তার কাছে দিলো। আলোর ভালো লাগছে না।
|
রাত ১১টা প্রায়…. বেবিকে ঘুম পড়িয়ে আলো আবার গেলো ভোরের দরজার কাছে….
|
আলোঃঃ আজ সারাদিনে আমি কিছুই খাইনি। এখন খুব খুদা লাগছে। কিন্তু খাবো না। না খেয়ে মরলে কার কি? আমি কার কি? ভালোবাসলে এমন করতে পারতো না কেউ আমার সাথে। আগামীকাল সকালেই চলে যাবো। থাকুক সবাই সুখে। (কান্না করতে করতে)
|
বলে চলে এলো রুমে। রুমে এসে সোফাতে বসে কান্না করছে। তার ১৫মিনিট পর….
|
ভোরঃঃ সারাদিনে খাওনি কেন? (রুম ঢুকতে ঢুকতে)
|
আলোঃঃ (কান্না করছে)
|
ভোরঃঃ হা করো। (পাশে বসে খাবার মুখের সামনে নিয়ে)
|
আলোঃঃ খা—খাবো না। (হিচকি তুলতে তুলতে) আমি মরলে কার কি?
|
ভোরঃঃ আলো?? (রাগীকন্ঠে)
|
আলো তাঁকিয়ে দেখে ভোরের চোখ নিমিষেই রাগে লাল হয়ে গেলো। আলো তাড়াতাড়ি হা করলো। তারপর ভোর খাইয়ে দিলো আলোকে। আলো খাওয়া শেষে পানি খেয়ে।
|
আলোঃঃ আপনি খেয়ে আসুন নিচে গিয়ে….
|
ভোরঃঃ আমার খুদা নেই।
|
আলোঃঃ খেতে বলেছি। খেয়ে আসুন।
|
ভোরঃঃ খুদা লাগলে খাবো। তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।
|
আলো আর কথা না বাড়িয়ে নিচে গিয়ে ভোরের জন্য খাবার এনে.. ভোরের পাশে বসে….
|
আলোঃঃ নিন খেয়ে নিন।
|
ভোরঃঃ বললাম তো আমার খুদা নেই।
|
আলোঃঃ আপনাকে আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিতাম কিন্তু আমার একটা সমস্যা আছে তাই খাইয়ে দিতে পারব না। আপনার সাথে দুর্বল শরীরে তর্ক করে পারব না তাই প্রথমে আপনার হাতে খেয়ে নিলাম। এখন একটাই কথা এই খাবার যদি শেষ না হয় তাহলে হয়তো এখানে খারাপ কিছু হবে। mind it.
|
বলে আলো চুপ করে বসে রইলো। ভোর আলোর ভাব দেখে চুপচাপ খেয়ে নিলো। তারপর আলো সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে নিচে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো। ভোর বেলকনির ইজি চেয়ারটাতে বসে আছে।
|
প্রায় ১টা…. ভোর আসছে না তাই আলো উঠে বেলকনিতে গিয়ে….
|
আলোঃঃ কি ব্যাপার এখানে বসে আছেন কেন? ঘুমাবেন না?
|
ভোরঃঃ না। আপনি যান ঘুমিয়ে পড়ুন।
|
আলোঃঃ আপনি? ওহ ভালো। যাইহোক আসুন।
|
ভোরঃঃ বললাম তো ঘুম পাচ্ছে না। আপনি যান।
|
আলো গিয়ে ধুম করে ভোরের কোলে বসে….
আলোঃঃ আপনি আপনি… বলছেন কেন?
|
ভোরঃঃ তুমি করে বলবো কাকে? অধিকার নাই। (বিলিনমুখে)
|
আলোঃঃ অধিকার নাই?
|
ভোরঃঃ না….
|
ভোর না বলার সাথে সাথে আলো ভোরের ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলো। ভোর রেসপন্স করছে না বলে আলো ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে চলে আসছিলো..তখনি ভোর আলোকে টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে আলোর ঠোঁটজোড়া দখল করে নিলো। পাগলের মতো আলোকে চুমু খাচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে অনেক পিপাসা পেয়েছে ভোরের। আলোও হারিয়ে গেলো ভোরের ভালোবাসার মাঝে। আলোর ঠোঁট ছেড়ে আলোকে কোলে নিয়ে বেডে গেলো ভোর। আবারও আলোর মাঝে হারিয়ে যাবে ঠিক তখনি…..
|
ভোরঃঃ Can I?? (আলোর চোখের দিকে তাঁকিয়ে)
|
আলোঃঃ জা—-জানি না। (কথা লজ্জায় আটকে গেলো)
|
ভোর বুঝতে পারলো আজ আলো আর বাঁধা দিবে না। তাই ভোরের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে থাকলো আলোর মাঝে। আলোও আজ ভোরের মাঝে পুরোপুরিভাবে নিজেকে সপে দিয়েছে। পূর্ণতা পাচ্ছে ওদের বন্ধনের। নেই কোনো বাঁধা… নেই কোনো দ্বীধা। বন্ধনেট বন্ধনত্ব মজবুত থেকে আরও মজবুত হচ্ছে।
|
|
|
চলবে……………….
|
ছোট হবার জন্য SoRrY ?
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।ধন্যবাদ ?))

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে