?ভোর? পর্বঃ ৩৩।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
রাত ৮টা প্রায়….
ভোরঃঃ আলো???
|
আলোঃঃ হুম.. (বেবির সাথে খেলা করতে করতে)
|
ভোরঃঃ এটা কি ঠিক হচ্ছে?
|
আলোঃঃ কোনটা?
|
ভোরঃঃ তুমি জানো না কোনটা?
|
আলোঃঃ না। কোনটা?
|
ভোরঃঃ তুমি সেই সন্ধ্যা থেকে বেবিকে আমার কোলে দিয়ে বেবির সাথে খেলা করছো। এটা কি ঠিক? আমার ল্যাপটপটা সেই যে ওখানে ছুড়ে ফেললে ওটা ওখানেই পড়ে আছে। প্লিজ বেবিকে নাও.. আমি একটু অফিসের কিছু কাজ করি। প্লিজ??? (করুনকন্ঠে)
|
আলোঃঃ আজ কি বার?
|
ভোরঃঃ সোমবার কেন?
|
আলোঃঃ আলো চৌধুরী সোমবার অফিস বিষয়ক কোনো কথা শুনে না। (একগাল হাসি দিয়ে)
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
ভোরঃঃ গতকালও একই কথা বলেছো। (মন খারাপ করে)
|
আলোঃঃ আমি বাসায় থাকতে বলেছি বলে এই না যে আপনি সারাদিন অফিসের কাজ বাসায় করবেন। একটা নির্দিষ্ট সময়ে করতে পারেন না? যেমন যখন আমি কাজে ব্যস্ত থাকি তখন?
|
ভোরঃঃ এই জিনিসের সাথে কথা বলে লাভ নেই। তার থেকে রাতে করব অফিসের কাজ।(মনে মনে)
|
আলোঃঃ কি বিড়বিড় করছেন? (বাঁকাচোখে)
|
ভোরঃঃ কই? না তো। বেবি তুমি ঘুমাচ্ছো না কেন এখনো? সেই বিকেলে উঠেছো..
|
আলোঃঃ আমার মেয়ে কি সারাদিন ঘুমাবে? একটুও খেলবে না যত্তসব। (মুখ বাঁকিয়ে)
|
ভোরঃঃ ও হ্যালো? She is my princess.. ok?
|
আলোঃঃ মুহাহাহা… খুব হাসি পেলো। মুখেই সব। মেয়েটাকে একটু কোলে নেন? (রাগীমুডে)
|
ভোরঃঃ যাও তুমি। দেখো আমার বেবিকে কিভাবে আমি রাখি। হুহহহহহ
|
আলোঃঃ বেবিকে খাওয়াবো। আপনি বের হন আগে…
|
ভোরঃঃ আমার সামনে খাওয়ালো কি হবে? (চোখটিপি দিয়ে)
|
আলোঃঃ হিহিহি… বেয়াদব। যান বলছি। নিচে গিয়ে আপনি নিজ হাতে আমার জন্য কিছু ফল কেটে আনুন। খাবো।
|
ভোরঃঃ So funny… তুমি তো ফল খাও না।
|
আলোঃঃ খাবো। আপনি গিয়ে নিয়ে আসুন।
|
ভোরঃঃ ওকে।
|
ভোর চলে গেলো আর আলো বেবিকে খাওয়াচ্ছে। প্রায় ১৫মিনিট পর…..
|
ভোরঃঃ আলো আলো….
|
আলোঃঃ আহ আস্তে। ষাঁড়ের মতো চিল্লানি দিয়ে ডাকা লাগে? দেখছেন না..বেবিকে ঘুম পড়াচ্ছি?
|
ভোরঃঃ ওহ সরি। আমি মটেও ষাঁড় না। একটা কিউট বর তোমার। এই যে ফল কেটে নিয়ে এসেছি। (আলোর পাশে মুখোমুখি বসে)
|
আলোঃঃ কিউট না ছাঁই। আমি বলে আপনার মতো ভাঙ্গা চেহারার সাথে আছি। অন্যকেউ হলো চলে যেতো। যাইহোক এখন ভদ্র ছেলের মতো সব শেষ করুন। (মুচকি হাসি দিয়ে)
|
ভোরঃঃ মানে কি? এগুলো আমি খাবো?
|
আলোঃঃ জ্বী। আপনি খাবেন। তাড়াতাড়ি। কারন আপনার ভাঙ্গা চেহারা ঠিক করতে আপনার ফল খাওয়া উচিত।
|
ভোরঃঃ আমার চেহারা ভাঙ্গা? লাইক সিরিয়াসলি? হুশশশ… তোমার চেহারা ভাঙ্গা।
|
আলোঃঃ হুম জানি… আপনার নতুন করে মনে করিয়ে দিতে হবে না.. আমি কালো। বাজে দেখতে। খারাপ চেহারার অধিকারী। আমার মনে আছে। সরি…(মুচকি হাসি দিয়ে)
|
ভোরঃঃ এই এসব বাজে কথা কেন বললে?
|
আলোঃঃ বাজে কথা না। যেটা সত্যি সেটাই বলেছি।
|
ভোরঃঃ Shut up.. next time এসব যেন না শুনি।
|
আলোঃঃ বেবি ঘুমিয়ে গিয়েছে। আপনি ফলগুলো শেষ করুন।
|
বলে আলো নিচে নেমে বেলকনিতে চলে গেলো। ভোর বুঝতে পেরেছে আলোর মন খারাপ হয়েছে তাই ফলের প্লেটটা রেখে ভোরও বেলকনিতে চলে গেলো।
|
ভোরঃঃ হে আল্লাহ.. এই জিনিসের কখন যে মন খারাপ হয় আর কখন যে মন ভালো থাকে বোঝা বড় দায়। নারীর মন আসলেই বোঝা যায় না।
|
আলোঃঃ আমার মন খারাপ না। আর যে নারীর মন বোঝে না এটা তার ব্যর্থতা। (বাহিরে তাঁকিয়ে)
|
ভোরঃঃ এদিকে তাকাও তো?
|
আলোঃঃ আপনি ফলগুলো শেষ করুন গিয়ে। আমি একটু একা থাকতে চাই।
|
ভোরঃঃ আচ্ছা যাচ্ছি। এখন এমনিতেই আমার ওকে কল দিতে হবে। যাই ফল খাই আর কথা বলি। হুহহ
|
আলোঃঃ কাকে কল দিবেন? (ছলছল নয়নে)
|
ভোরঃঃ Secret…
|
বলেই চলে যাচ্ছিলো। আলো পিছন থেকে গপ করে কলারটা ধরে…..
|
আলোঃঃ কাকে কল দিবেন? (সাপের মতো ফুসফুস করতে করতে)
|
ভোরঃঃ আর একটু ক্ষেপাই(মনে মনে)…. দিবো। আছে একজন। গতকাল ফেসবুকে পরিচয়। আহ কি সুন্দর দেখতে। উফফ..
|
আলো ভোরকে দেয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে ভোরের কলার চেপে ধরে….
|
আলোঃঃ ফো—ফোন কই আপনার?
|
ভোরঃঃ পকেটে…
|
আলো ভোরের ট্রাউজারের পকেটে হাত দিলো কিন্তু পেলো না। অন্য পকেটে দিলো তখন……
|
ভোরঃঃ কি করছো? এভাবে একটা ছেলের পকেটে হাত দিতে হয়? কি না কি ধরে ফেলো ঠিক আছে?
|
আলোঃঃ ফোন দিন বের করে… (রাগে গজগজ করতে করতে)
|
ভোরঃঃ দিচ্ছি…..
|
পকেট থেকে ফোনটা বের করে দিলো আলোর হাতে। আলো ফোনটা নিয়ে…
|
আলোঃঃ লক করা ফোন। পাসওয়ার্ড কি?
|
ভোরঃঃ দাও আমি ওপেন করে দিচ্ছি।
|
আলোঃঃ আমি পারব। তুই বল… (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ যা তুই তে চলে গেছে.. রাগ উঠে গেছে অনেক..তার মানে। (মনে মনে)
|
আলোঃঃ কি হলো????
|
ভোরঃঃ heartqueen….
|
আলোঃঃ কে heartqueen?
|
ভোরঃঃ লক খুললে দেখতে পাবে..
|
আলো লকটা খোলার সাথে সাথে ওয়ালপেপারে আলো বেবিকে কোলে নিয়ে আছে এমন একটা ছবি চলে এলো। আলো কিছু না বলে ফেসবুকে গেলো। আগেই লগইন ছিলো। তারপর সব চেক করে দেখলো কোনো মেয়েই নেই লিস্টে শুধু জেরিন আছে। আর বেবির ছবিতে ফেসবুক ভরা। ভোরের নিজের সব ছবি Only me করে রাখা। আলো পাশে তাঁকিয়ে দেখে ভোর নেই। রুমে গিয়ে দেখে সেখানেও নেই। আলো একজন সার্ভেন্টকে রুমে ডেকে বেবির পাশে রেখে ফলের প্লেটটা নিয়ে ছাদে গেলো। গিয়ে দেখে ভোর দোলনাতে বসে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আছে। আলো গিয়ে ভোরের কোলে বসে পড়লো।
|
ভোরঃঃ এভাবে কোলে বসলে কেন?
|
আলোঃঃ আমার বরের কোলে বসেছি।
আপনার কি?
|
ভোরঃঃ ভালো।
|
আলো বুঝতে পারলো ভোর অভিমান করেছে। তাই…..
|
আলোঃঃ একটু কোলে নিয়ে হাঁটুন। আপনার কোলে ঘুরতে মন চাচ্ছে।
|
ভোরঃঃ এখন না পরে।।।
|
আলোঃঃ এখন মানে এখন।
|
ভোর কিছু না বলে আলোকে কোলে নিয়ে হাঁটছে ধীরেধীরে। আলো ভোরের গলাটা জড়িয়ে ধরে ভোরের ঘাড়ে মুখ গুঁজে….
|
আলোঃঃ I love you…..
|
ভোরঃঃ হুমম….
|
আলোঃঃ হুমম কি? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ I love you too…
|
আলোঃঃ বিষণ্ণ কন্ঠে বলেছেন। মন থেকে বলেন নি। আমি নামবো। নামান।
|
ভোরঃঃ আহ নড়ো না। পড়ে যাবে।
|
আলোঃঃ নামিয়ে দিন। যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে থাকা ঠিক না।
|
ভোরঃঃ বেশি বুঝো? দাঁড়াও….
|
বলেই আলোকে ভোর ছাদের একপাশে দাঁড় করিয়ে….
|
ভোরঃঃ দিবো ধাক্কা দিয়ে ফেলে??
|
আলোঃঃ দিন… (হাসতে হাসতে)
|
ভোরঃঃ হাসছো কেন? ভয় পাচ্ছো না?
|
আলোঃঃ ভয় পাওয়ার জন্য আপনি আছেন। আমি পাবো কেন?
|
ভোর আলোর কোমড়ে হাত দিয়ে আলোকে কাছে টেনে….
|
ভোরঃঃ সব জানো। সব বুঝো। তবুও এমন করো কেন?
|
আলোঃঃ জানি না। (মুচকি হেসে)
|
ভোরঃঃ আমি জানি।
|
আলোঃঃ কি?
|
ভোরঃঃ এই মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে।
|
আলোঃঃ দুনিয়াতে লোকের অভাব পড়েছে? ইশশশ ওনাকে ভালোবাসব?
|
ভোরঃঃ জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো না… তাই তো আমিও তোমাকে ভালোবাসি…
|
আলোঃঃ না? না বলবেন তো? বলুন বলুন…
|
ভোরঃঃ ভালোবাসি খুব ভালোবাসি পাগলি। (আলোর কপালে কপালে ঠেকিয়ে)
|
আলোঃঃ হয়েছে… চলুন এখন ফলগুলো খাবেন।
|
ভোরঃঃ ওকে…..
|
তারপর ভোরকে ফলগুলো খাইয়ে দিয়ে ভোরের কোলে মাথা রেখে দোলনায় শুয়ে আছে আলো আর ভোর আলোর মাথায় হাত বুলাচ্ছে…..
|
আলোঃঃ একটা প্রশ্ন করি? (চোখ বন্ধ করে)
|
ভোরঃঃ হুম বলো…
|
আলোঃঃ আপনি এত লুচু কেন? (মুচকি হেসে)
|
ভোরঃঃ মানে? কি করেছি আমি?
|
আলোঃঃ আপনার এক হাত আমার কামিজের নিচে থেকে পেটের উপর কেন? (চোখ খুলে)
|
ভোরঃঃ ওহ সরি। কখন দিয়েছি খেয়াল নেই। (হাত সরিয়ে)
|
আলো উঠে আবার কোলে বসে ভোরের….
|
আলোঃঃ লুচু ছেলে….
|
ভোরঃঃ সরি তো বল্লাম…
|
আলোঃঃ সরিতে কাজ হবে না।
|
ভোরঃঃ তাহলে?
|
আলোঃঃ আপনাকে ডান্স করতে হবে।
|
ভোরঃঃ ডান্স? অসম্ভব…
|
আলোঃঃ ডান্স করবেন না? (রাগীলুকে)
|
ভোরঃঃ করবো তো। (মন খারাপ করে)
|
আলোঃঃ হুম করুন….
|
ভোরঃঃ আমি কখনো ডান্স করিনি।তুমি আমাকে একটু স্টেপ গুলো দেখিয়ে দিবে?
|
আলোঃঃ ওকে…
|
বলে আলো ওড়নাটা দোলনাতে রেখে….
|
আলোঃঃ আমার পাশে দাঁড়ান। আমি যেভাবে করব ঐভাবে করবেন।
|
ভোরঃঃ ওকে…
|
তারপর আলো কয়েকটা স্টেপ দেখিয়ে দিয়ে দোলনাতে বসতে যাচ্ছিলো তখন ভোর আলোকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে…
|
ভোরঃঃ আমি কাপল ডান্স করবো। এসব পারব না।
|
আলোঃঃ আমি কাপল ডান্স পারি না। ছাড়ুন।
|
ভোরঃঃ আমি শিখিয়ে দিচ্ছি…
|
আলোঃঃ ওহ তার মানে এর আগে কারো সাথে কাপল ডান্স করেছেন। তাই অভিজ্ঞ?
|
ভোরঃঃ প্যাঁচ ছাড়া কিছু বুঝো না? আমি ভিডিও দেখে শিখেছি। হুহহ
|
আলোঃঃ না। আমি নাচব না। আমার শরীর খারাপ লাগছে। রুমে চলুন। (মুখ শুকনো করে)
|
ভোরঃঃ এই কি হয়েছে আলো? খারাপ লাগছে খুব? চলো রুমে চলো…
|
আলোকে নিয়ে রুমে এলো। সার্ভেন্ট ওদের দেখে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
|
আলোঃঃ আলমারি থেকে আমার একটা শাড়ি নিয়ে আসুন তো।
|
ভোরঃঃ কেন? শাড়ি দিয়ে করবে?
|
আলোঃঃ উফফ আনুন না। একটা ব্লাক কালারের নেটের শাড়ি আছে ঐটা আনুন।
|
ভোর গিয়ে শাড়িটা এনে রাখলো। আলো উঠে ভোরের একটা ব্লাক টি-শার্ট নিয়ে এসে….
|
আলোঃঃ এটা পড়ুন।
|
ভোরঃঃ কেন?
|
আলোঃঃ পড়তে বলেছি… (চোখ গরম দিয়ে)
|
ভোর টি-শার্ট পড়ে নিলো। তারপর আলো শাড়িটা এগিয়ে দিয়ে……
|
আলোঃঃ শাড়িটা পড়ুন… (চোখ টিপি দিয়ে)
|
ভোরঃঃ শাড়ি পড়ব মানে?
|
আলোঃঃ আপনাকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখতে মন চাচ্ছে। প্লিজ পড়ুন।
|
ভোরঃঃ এসব কি বলছো? পাগল হইছো?
|
আলোঃঃ পড়বি কি না? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ পড়ছি। রেগে যাওয়ার কি আছে?
|
তারপর ভোর শাড়িটা পড়তে গেলো.. আলো গিয়ে ভোরের টি-শার্ট ভাজ করে ব্লাউজের মতো ছোট করে দিলো। ভোর শাড়িটা পড়লো। আলো তাঁকিয়ে মিটিমিটি হাসছে….
|
ভোরঃঃ খুশি? এবার খুলবো?
|
আলোঃঃ না। সারারাত আপনি এই শাড়ি পড়ে থাকবেন।
|
ভোরঃঃ সারা রাত?
|
আলোঃঃ জ্বী সারা রাত। এখন আপনাকে আমি সাঁজিয়ে দিবো।
|
ভোরঃঃ সা—সাঁজিয়ে দিবে মানে? এগুলো পুরুষ নির্যাতন কিন্তু।
|
আলোঃঃ সাঁজাবো না? (রাগীলুকে)
|
ভোরঃঃ সাঁজাও। তোমার ইচ্ছা মতো সাঁজাও। (বিরক্তির ছাপ মুখে)
|
তারপর আলো ভোরকে সাঁজিয়ে দিলো। লিপিস্টিক… কাজল… আইলিনার.. মেকাপ করে দিলো।
|
ভোরঃঃ হয়েছে? (করুনকন্ঠে)
|
আলোঃঃ না। সেক্সি ভাবটা পাচ্ছি না।
|
ভোরঃঃ কি বলো এসব?
|
আলোঃঃ উফফ নড়াচড়া করছেন কেন? চুপ করে দাঁড়ান তো।
|
এরপর আলো ভোরের দিকে তাঁকিয়ে কিছুক্ষণ…
|
আলোঃঃ পেয়েছি। আপনার পেট ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। শাড়ীটা পেটের উপর থেকে কিছুটা সরালেই সেক্সি লাগবে আপনাকে। সরান….
|
ভোর করুন দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে শাড়ীটা সরালো। তারপর আলো ফোন নিয়ে ভোরের কয়েকটা ছবি তুলে…
|
আলোঃঃ উম্মাহহহহ আমার সেক্সি বর। (ফোনে চুমু খেয়ে) আপনি এবার ফ্রেশ হতপ পারেন।
|
ভোরঃঃ এর প্রতিশোধ আমি নিবো।
|
আলোঃঃ হুশশশশ। ফ্রেশ হয়ে নিচে ডিনার করতে আসুন।
|
বলে আলো হাসতে হাসতে নিচে এলো। ভোর রাগে গজগজ করতে করতে ওয়াশরুমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে নিচে এলো। টেবিলে বসে খাচ্ছে। খাওয়া শেষে উঠবে…
|
সার্ভেন্টঃঃ স্যার একট কথা বলবো?
|
ভোরঃঃ কি?
|
সার্ভেন্টঃঃ আপনাকে শাড়িতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিলো।
|
ভোরঃঃ Shut up.. (আলোর দিকে তাঁকিয়ে)
|
ভোর উপরে উঠে গেলো আর আলো সার্ভেন্টদের সাথে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। কিছুক্ষণপর আলো রুমে গিয়ে…
|
আলোঃঃ ভাবছি আপনার এই ছবি গুলো বের করে দেয়ালে টানাবো। কেমন হবে? (খিলখিল করে হেসে)
|
ভোরঃঃ আজ তোমারে যে কি করবো….
|
বলেই আলোকে ধরতে গেলো কিন্তু আলো সারা বাড়ি দৌড়াচ্ছে। আর ভোর আলোর পিছনে ছুটছে….
|
|
|
চলবে…………
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ?))