?ভোর? পর্বঃ ৩১।

0
1487

?ভোর? পর্বঃ ৩১।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
আলোঃঃ চোখ খোলো… এই দেখো আমাকে.. দেখো.. দেখো না.. আচ্ছা আমি আমি আর কখনো বলবো না.. কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবার কথা বলবো না। ডি—-ডিভোর্সের নামও নিবো না কোনদিন।প্র—প্রমিস প্লিজজজ চোখ খুলো এবার। চোখ খুলো। কথা বলো। কথা বলো না। কথা বলো না। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব। খুব। সত্যি আর কখনো ছেড়ে যাবার কথা বলবো না। বলবো না। বলবো না বলবো না। বলোবোওওওওও না…না… না….. (কান্না করতে করতে ভোরের বুকে মাথা )
|
ঃঃ সত্যি? (মৃদুস্বরে)
|
আলো মাথা উঁচু করে ভোরের দিকে তাকাঁলো। ভোর চোখ খুলে মিটিমিটি হাসছে আর ভ্রু নাচাচ্ছে।
|
আলোঃঃ আ—আপনি ঠিক আছেন? (অবাক চোখে)
|
ভোরঃঃ এখন ঠিক আছি কিন্তু ছেড়ে যেতে চাইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বো।
|
আলোঃঃ আপনি এতসময় অভিনয় করছিলেন? (রাগীলুকে)
|
ভোরঃঃ হুমমমম। দেখলাম বৌটা আমায় কতটা ভালোবাসে। (দাঁত কেলিয়ে)
|
আলো রাগের বর্ষে ঠাসসস করে চড় দেয় ভোরের গালে। তারপর ভোরের কলার চেপে ধরে…..
|
আলোঃঃ তুই নিজেকে কি ভাবিস? কি ভাবিস? বল কি ভাবিস? তো—তোর জন্য আমি এত কষ্ট পাবো কেন? এত কান্না করবো কেন? আমি.. আমাকে.. আমাকে তুই মানুষ ভাবিস না? আমার কষ্ট বলতে কিছু হয় না? আমাকে এত কষ্ট না দিয়ো মেরে ফেলতে তো পারিস! পারিস না? বল পারিস না? আমি কেন এতো কষ্ট ভোগ করবো? কেন? কেন? কেন? (কান্না করতে করতে)
|

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


বলেই কলার ছেড়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। ঢুকেই ওয়াশরুমের দরজা লক করে দিলো। ভোর উঠে ওয়াশরুমের দরজাতে নক করতে থাকলো কিন্তু আলোর কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছুই বের হচ্ছে না।
|
ভোরঃঃ আলো দরজা খুলবে না?
|
আলোঃঃ নাআআআআ….
|
ভোরঃঃ প্লিজ খুলো। sorry প্লিজ খুলো দরজাটা। আর এমন করব না কখনো। তোমাকে কষ্ট দিবো না। প্লিজ খুলো। প্লিজজজজ…
|
আলোঃঃ খুলবো না বলেছি না? (উচ্চস্বরে)
|
ভোরঃঃ Ok জানু। তুমি ফ্রেশ হয়ে বের হও। আমার কল এসেছে।
|
বলেই ভোর গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে…..
|
ভোরঃঃ হ্যালো… ডার্লিং
|
আলো কান্না থামিয়ে চুপ হয়ে রইলো ভোরের কথা শোনার জন্য।
|
ভোরঃঃ ওহ ডার্লিং I miss you so much.. Ummahhhhh….
|
আলোঃঃ কাকে এভাবে ডার্লিং বলছে? চুমু খাচ্ছে? ভোর আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। (নিজের সাথে নিজে)
|
চোখের পানি মুছে রাগে গজগজ করতে করতে বের হলো। বের হয়ে দেখে রুমে নেই। বেলকনিতে গেলো। গিয়ে দেখে ভোর হাতে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। আলোকে দেখে ভ্রু নাচিয়ে….
|
ভোরঃঃ কি জেলাস? (মিটিমিটি হেসে)
|
আলোঃঃ কি—কিসের জেলাস? আমি তো টাওয়াল নিতে এসেছি। (মুখ ভেংচি কেটে)
|
ভোরঃঃ টাওয়াল? বাহনা কম। এখানে টাওয়াল নেই তুমিও জানো। উহুমমম তোমার চোখ মুখ বলছে তুমি জেলাসে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছো। (ভ্রু কুঁচকিয়ে)
|
আলোঃঃ কাকে নিয়ে জেলাস ফিল করব? আপনাকে নিয়ে? আজাইরা। যত্তসব।
|
ভোরঃঃ তুমি তো বলেছিলে তুমি বের হবে না। তাহলে এখন বের হলে কেন? কাকে ডার্লিং বল্লাম এটা দেখার জন্যই এসেছো। জিজ্ঞেস করো পাবলিককে তারাও তোমার চোখ মুখ দেখে বলে দিবে তুমি জেলাসিতে ভুগছো।
|
আলোঃঃ পাবলিক আপনার মতো আজাইরা না। ফালতু কোথাকার। উনি কি হয়ে গিয়েছে ওনাকে নিয়ে জেলাস ফিল করবো। আপনি ১০জনকে গিয়ে ডার্লিং ডাকেন আমার কি?
|
বলেই চলে যাচ্ছিলো…
ভোরঃঃ হ্যালো.. ডার্লিং শুনলে তো তোমাকে বলেছিলাম আমার ওয়াইফ মাইন্ড করবে না। প্রমান পেলে তো? ((ফোন কথা বলার ভং ধরে))
|
আলো পিছনে ঘুরে ভোরের কাছে এসে ভোরের ফোনটা কেড়ে নিয়ে এক আছাড় দিলো।
|
ভোরঃঃ এত জেলাসি? (আলোর কোমড় পেঁচিয়ে ধরে)
|
আলোঃঃ না থাকবে ফোন। না থাকবে কোনে ডার্লিং ফার্লিং। (কলার চেপে ধরে)
|
ভোরঃঃ আমি কি পাগল? আমি এই এক পিছের জ্বালায় শেষ হয়ে যাচ্ছি। আবার অন্যকেউ? উফফফ নো।
|
আলোঃঃ ছাড়ুন। প্রায় ভোর হয়ে আসছে। আমি ঘুমাবো।
|
ভোরঃঃ নো ছাড়াছাড়ি। আজ একসাথে সূর্য উদয় দেখবো।
|
আলোঃঃ আমার ঘুম পাচ্ছে। ছাড়ুন।
|
ভোরঃঃ I love you…
|
আলো ভোরের চোখের দিকে তাঁকিয়ে রইলো….
|
ভোরঃঃ I love you very much… (আলোর কপালে কপাল ঠেকিয়ে)
|
আলোঃঃ আমার ঘুম পাচ্ছে। (মৃদুস্বরে)
|
ভোরঃঃ উত্তর?????
|
আলোঃঃ নেই। নতুন করে কষ্ট পেতে চাই না।
|
ভোরঃঃ ওহ। তখন ওটা অভিনয় না হয়ে সত্যি হলেই ভালো হতো। আমি মরে যেতাম।|
|
আলোঃঃ চুপপপপ। (ভোরের মুখ চেপে ধরে)
|
ভোরঃঃ চুপ করতে বলছো কেন? তুমি মুক্তি পেতে। (আলোর হাত সরিয়ে)
|
আলোঃঃ তোরে চুপপপপ করতে বলছি? নাকি আর একটা চড় খাবি? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ হুমমম। তুমি আমাকে তুই তুই বলো এখন। আবার চড়ও মেরেছো। এখন আবার মারতে চাচ্ছো। এগুলা ভালোবাসো না বলেই হয়। যাও আর কিছু বলবো না।
|
বলে আলোকে ছেড়ে দিলো। আলো সাথে ভোরের মাথা টেনে ভোরের ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে। ভোরও আলোকে আরও কাছে টেনে রিসপন্স করে।
|
কিছুক্ষণ পর আলো ছেড়ে দিয়ে ভোরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ভোরও জড়িয়ে ধরে। আলো হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠে বলতে থাকে…..
|
আলোঃঃ I love you too… বললেই ভালোবাসি বুঝবেন? না বললে ফিল করবেন?
|
ভোরঃঃ তুমি তো করো না ফিল আমি না বললে। তোমার থেকে শিখছি।
|
আলোঃঃ এত কষ্ট দিলেন কেন?
|
ভোরঃঃ আর কখনো যেন কষ্ট না পাও তাই এটুকু কষ্ট দিয়েছিলাম বুকে পাথর নিয়ে।
|
আলোঃঃ বেবি না কেঁদে উঠলে আজ আলোকে হারাতেন।
|
ভোরঃঃ কেন করতে গিয়েছিলে সুইসাইড? কেন ছুড়ি ধরেছিলে? একটু তো ভরসা আমার উপর রাখা উচিৎ ছিলো।
|
আলোঃঃ আপনি কি করে জানেন? (অবাক হয়ে ভোরকে ছেড়ে)
|
ভোরঃঃ পুরো বাড়িতে সে সিসি ক্যামেরা আছে তা ভুলে গেলে কি করে? আমার মোবাইলে কানেক্ট করে নিয়েছি যেদিন ফুপিরা এসেছিলো ঐ দিন ই।
|
আলোঃঃ আপনি সব দেখতেন?
|
ভোরঃঃ হুম সব। ওদের দুইটা চেহারাই দেখতাম।
|
আলোঃঃ তবুও আমার সাথে এমন করলেন কেন?
|
ভোরঃঃ ঐ যে আর যেন তোমার কাছে দুঃখরা ভীড় জমাতে না পারে তাই।
|
বলেই আলোকে জড়িয়ে ধরলো। আলোও কিছু বললো না। কিছুক্ষণ পর……
|
ভোরঃঃ বুক থেকে সরবে না। তোমাকে সবটা বলছি। একটু সরার চেষ্টা করলে কিন্তু আমি কষ্ট হবে। আর চুপচাপ শুনবে মাঝখান কোনো কথা বলবে না। Ok?
|
আলোঃঃ হুমমমমম…..
|
ভোরঃঃ আগে বলো বেবি এত ঘুমাচ্ছে কেন? এতকিছু হলো একবারও উঠলো না যে?
|
আলোঃঃ রাত ১টার পর একবার উঠেছিলো তারপর ঘুম পড়িয়ে দিয়েছি। আপনার মেয়ে তো আপনার মতোই হবে। ঘুমালে আর হুশশ থাকে না।
|
ভোরঃঃ বাপকা বেটি। এবার শুনো….
|
আলোঃঃ হুমমমমমম…..
|
ভোরঃঃ রিওনা যে ইচ্ছা করে তোমার কাছ থেকে কফি মগটা নিয়ে হাতে ঢেলেছিলো ওটা আমি রুমে বসেই ফোনে দেখেছি। কেন যেন মনে হলো দেখি রিওনা আর ফুপি কত দূর যেতে পারে? তাই আমিও সিমপ্যাথি দিলাম ওদের। ওদের সব সাজানো মিথ্যেকে আমি হাসি মুখে মেনে নিলাম। কিন্তু যখন ওরা প্লান করলো মাহিদকে নিয়ে আসবো ওটা আর আমার ভালো লাগলো না। তবুও ভাবলাম দেখতে লাগলাম ওরা কতদূর যেতে পারে। মাহিদ প্রথম দিনই রুমে নক না করে দরজা ওপেন করে তোমাকে দেখেছিলো। মনে হচ্ছিলো ওকে ওখানেই পুঁতে ফেলি কিন্তু ধৈর্য ধরলাম সময়ের। তারপর সেই রাতে ও তোমাকে ইচ্ছা করে ওর সাথে চেপে ধরে আর সাথে তোমার মুখও। আমি রুমে বসে ওটা দেখার সাথে দৌড়ে নিচে যাই কিন্তু ও আমার আসার শব্দ পেয়ে খুব ভালো ছেলে সাঁজলো যেন তুমি ওকে ধরে রেখেছো। তাই আমি তোমাকে ধমকের সুরে যেতে বললাম। আর ও তোমাকে টাচ করেছে তাই তোমাকে শাওয়ারের নিচে নিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিলাম। তারপর একদিন তোমার হাত আর কোমড় জড়িয়ে ধরলো কিচেনে বসে। ঔদিন ওকে মারতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিজেকে অনেক কন্ট্রোল করলাম। ঐদিনও তোমাকে গোসল করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখলাম রাত বেশি হয়ে গিয়েছে তাই আর করালাম না কারন এর আগে একদিন করিয়েছি। পরের দিন তুমি সকালেই গোসল করলে দেখলাম। তোমাকে আমি চড় আর ঐ বাজে কথা বলতে চাইনি ওটা..তখন রিওনা আসতেছিলো তাই করতে বাধ্য হয়েছি যেন ওরা আমার উপর পুরোপুরি বিশ্বাস করে। আমি ফুপার সাথে কথা বলেছিলাম। ফুপা বলেছে সে চট্টগ্রাম আছে। কোনো কৌশল করে ওদের যেন চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়। তাই চট্টগ্রাম নেওয়ার প্লান করি। সব ঠিকঠাক চলছিলো কিন্তু মাহিদ? মাহিদ সেদিন তোমাকে নোংরা করতে চেয়েছিলো। গার্ডদের কল করে বললাম। ওরা ওকে নিয়ে আসে আমার কাছে। তারপর ওকে ইচ্ছামতো মারি। ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম… একদম শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলাম। ও আমার কলিজায় হাত দেয়। ওর কলিজাটাও দেখতে চেয়েছিলাম। বাট তখনি ওর বাবা ফোন করে বলে ওর প্রান ভিক্ষা দিতে। ওর বাবা কি করে জানলো আমি জানি না। ওর বাবা ফুপিকে কিছু কেন বলেনি তাও জানিনা। ওর কয়টা পিক তুলে ওকে গার্ডদের কাছে ছেড়ে দিলাম। হয়তো এখন আইসিইউতে আছে। ফুপি ্আর রিওনাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে মাঝ পথে নেমে… রিওনা আর ফুপিকে মাহিদের ছবি দেখালাম। ওরা বেশ ভয় পেলো। তারপর ওদের সব বললাম। আর ওয়ার্নিংও দিলাম.. যদি কখনো আমার আর তোমার মাঝে আসে তবে মাহিদের মতো অবস্থা হবে। কেন যেন রিওনাকে দেখে রাগ কনট্রোল করতে পারলাম না তাই ওকে এক কষে চড় দিয়ে চলে আসি। তারপর রুমে এসে ঐ সোফাটা.. যেটাতে মাহিদ তোমাকে নোংরা করার চেষ্টা চালিয়ে ছিলো ওটাকে চেঞ্জ করতে বললাম। কারন ওটা বাজে হয়ে গিয়েছে। এখন বলো.. তুমি কি বলতে চাও? আমাকে যা শাস্তি দিবে সব মাথা পেতে নিবো শুধু আমাকে ছেড়ে যাওয়া বাদে।
|
আলোঃঃ আমার জন্য কতজনকে মারবেন?
|
ভোরঃঃ তা জানি না। কিন্তু যে কলিজা নষ্ট করতে আসবে সেই মরবে।
|
আলোঃঃ আযান দিচ্ছে ফজরের। নামাজ পড়ুন। আমি তো পড়তে পারব না।
|
ভোরঃঃ হুমমমম…..
|
ভোর অযু করে নামাজ পড়ে আলোর পাশে এসে বসে….
|
ভোরঃঃ বললে না তো কি শাস্তি দিবে?
|
আলোঃঃ আমাকে অনেক ভালোবাসবেন আর টানা ১০দিন বাসায় থাকতে হবে। আমি আপনাকে জ্বালাবো প্রতিটা সেকেন্ড… অফিসে যাওয়া চলবে না। এটাই শাস্তি। রাজি?
|
ভোরঃঃ কিন্তু অফিসে যে অনেক কাজ।
|
আলোঃঃ আমি কিছু শুনতে চাই না। শাস্তি ইজ শাস্তি। (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ ওকে ওকে… রাগতে হবে না। রাজি।
|
আলোঃঃ গুড বয়। ওকে গুড নাইট।
|
বলেই আলো শুয়ে পড়লো। ভোরও আলোকে পেঁচিয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
|
|
|
চলবে……..
((অসুস্থতার জন্য গল্প দিতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত গল্প দিবো আগামীকাল থেকে। দোয়া করবেন যেন সুস্থ হয়ে উঠি দ্রুত পুরোপুরিভাবে।ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।ধন্যবাদ?))

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে