?ভোর?পর্বঃ ২৭।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
ঃঃ How sexy… (হাল্কা উচ্চস্বরে)
|
আলোঃঃ কে আপনি? এভাবে নক না দিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে অভদ্রর মতো আচরন করছেন? (ওড়না শরীরে জড়াতে জড়াতে)
|
ঃঃ আমি মাহিদ। রিওনার কাজিন। আর অভদ্রতা? ওটা অভদ্রতা না.. ওটা সৌন্দর্যের প্রকাশ।
|
আলোঃঃ আপনি এভাবে নক করে কেন দরজা খুলেছেন?
|
মাহিদঃঃ নক করে খুললে তো তোমার সৌন্দর্য দেখতে পারতাম না। (চোখ টিপি দিয়ে রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
|
আলোঃঃ একি আপনি রুমে ঢুকছেন কেন? বেরিয়ে যান বলছি এখনি।
|
মাহিদঃঃ বেরিয়ে যাবো? এত তাড়াতাড়ি? একটু গল্প করি তারপর না হয়?
|
আলোঃঃ আপনাকে আমি বেরিয়ে যেতে বলেছি। (রাগীলুকে)
|
মাহিদঃঃ ওকে ওকে… যাচ্ছি। তবে আবার দেখা হবে। see you soon.. (চোখ টিপি দিয়ে)
|
মাহিদ চলে গেলো। আলো ধুম করে দরজাটা লাগিয়ে দিলো।
|
সন্ধ্যায় আলো কফি বানাচ্ছে। আলোর মনে হলো কেউ ওর দিকে তাঁকিয়ে আছে। আলো ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁকিয়ে দেখে মাহিদ দাঁড়িয়ে আছে।
|
আলোঃঃ আ—আপনি এখানে? (ওড়না ঠিক করতে করতে)
|
মাহিদঃঃ এখানে আসা কি নিষেধ? তো কি করছো? (কিচেনে ঠুকতে ঠুকতে)
|
আলোঃঃ কফি বানাচ্ছি। আপনি ড্রইংরুমে যান।
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
মাহিদঃঃ ওকে…
|
মাহিদ চলে গেলো। আলো বুকে থু থু দিয়ে কফি বানিয়ে নিয়ে গেলো। ফুপি আর মাহিদকে দিলো কফি। মাহিদ কফির মগটা নিতে গিয়ে ইচ্ছা করে আলোর হাত ধরলো আলো তাড়াতাড়ি করে হাত ছুটিয়ে কিচেনে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর উপরে রুমে যাবে তাই সিঁড়িতে পা রাখলো আর পিছন থেকে মাহিদ এসে আলোর কোমড়ে হাত দিলো। আলো একলাফে উপরে সিঁড়িতে উঠে পিছনে তাঁকিয়ে…..
|
আলোঃঃ আপনার সাহস হয় কি করে আমাকে টাচ করার? ফুপি ফুপি ফুপি? (উচ্চস্বরে)
|
ফুপিঃঃ কি হয়েছে চেঁচাচ্ছো কেন?
|
আলোঃঃ আপনার এই মাহিদকে সাবধান হগে বলুন। নেক্সট টাইম সে যদি আমার সাথে কোনো অসভ্যতা করে আমি কিন্তু ভোরকে বলে দিবো। (রাগীকন্ঠে)
|
আলো বলে উপরে উঠে গেলো।
|
মাহিদঃঃ আমাকে থ্রেট?
|
ফুপিঃঃ এগুলা কি করিস এমন কিছু কর যেন ভোর ওকে সন্দেহ করে। আর এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
|
মাহিদঃঃ ওহ চাচীমনি তুমি টেনশন নিও না।
|
ফুপিঃঃ হুমমমম….
|
রাতে ভোর এসে মাহিদকে দেখে কথাটথা বললো তারপর সবাই ডিনার করলো। আলো সার্ভেন্টদের সাথে গুঁছিয়ে দিচ্ছে। আর ভোর রুমে এসে আধোশোয়া শুয়ে ফোন দেখছিলো। আলো এখনো রুমে আসেনি।তাই…
|
ভোরঃঃ আলো… আলো… নাহ এখনো সে নিচে। আমি যে একটা তার বর। তার কি সে দিকে নজর আছে? নাহ যাই তাকে নিয়ে আসি গিয়ে।
|
বলেই ভোর নিচে যাচ্ছে। সিঁড়ির মাঝপথ যেতে যেতেই ভোর শুনতে পায়…
|
মাহিদঃঃ কি করছেন ভাবী? এভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেন? কেউ দেখলে কি হবে? প্লিজ ভাবী আমাকে ছেড়ে দিন। ভোর ভাইয়া জানলে আমাকে ভুল বুঝবে। আপনার সাথে একটু কথা বলেছি বলে আপনি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরবেন? ছিঃ প্লীজ ছাড়ুন ভাবী।
|
ভোর এসব শুনে থমকে যায়। ভোরের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছে না। ভোর সামনে তাঁকিয়ে শুধু আলোর পা আর ওড়না আর কিছু চুল দেখতে পারছে আর মাহিদকে জড়িয়ে ধরে আছে সেভাবে দেখাচ্ছে। ভোর নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ভোরের মাথায় কাজ করছে না। তাই….
|
ভোরঃঃ আলোওওও…. (উচ্চস্বরে রাগীকন্ঠে)
|
আলো মাহিদের কাছ থেকে একপ্রকার দৌড়ে ভোরের কাছে এসে ভোরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে….
|
আলোঃঃ উ—উনি… উনি আমাকে জোর করে ওনার সাথে জড়িয়ে ধরে আমার মু—মুখ চেপে ধরে রেখেছিলেন। আ—আমি অনেক ছোটাছুটি করেছি কিন্তু ওনার শক্তির কাছে পা—পারছিলাম না।
|
মাহিদঃঃ ছিঃ ভাবী ছিঃ। আপনার লজ্জা করছে না ভোর ভাইকে মিথ্যে বলতে ছিঃ।
|
ভোরঃঃ আলো রুমে যাও। আমি আসছি…
|
আলোঃঃ আ–আপনি বিশ্বাস করুন.. আ—আমি কিছু করিনি।
|
ভোরঃঃ আমি রুমে যেতে বলছি। (রাগীকন্ঠে)
|
আলো মুখে ওড়না গুছে কান্না করতে করতে উপরে উঠে চলে গেলো।
|
মাহিদঃঃ বিশ্বাস করো ভোর ভাইয়া আমি কিছু করিনি।
|
ভোরঃঃ রুমে যাও। (গম্ভীর কন্ঠে)
|
মাহিদও চলে গেলো। ভোরও উপরে উঠে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো। আলো ভোরের কাছে এসে….
|
আলোঃঃ বিশ্বাস করুন আমি কিছু ককক……
|
ভোরঃঃ আমার ঘুম পাচ্ছে। সকালে অফিস আছে। ঘুমাতে দিন। (বিরক্তিকর কন্ঠে)
|
আলোঃঃ আপনি করে? ওহ তার মানে আপনি আমার কথা বিশ্বাস করেননি?
|
ভোর রাগীলুক নিয়ে উঠে আলোর হাত ধরে ওয়াশরুমে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে শাওয়ার নিচে দাড় করিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে…..
|
ভোরঃঃ আমি সবটা দেখেছি ওখানে কি হয়েছিলো? আমাকে শিখাতে আসবেন না কোনকিছু। আমারই ভুল হয়েছে আপনার মতো একটা মেয়েকে ভালোবেসে। ছিঃ
|
বলেই ভোর বের হয়ে এসে শুয়ে পড়লো আর আলো ভোরের কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। বসে পড়লো। আলো বের হচ্ছে না প্রায় ১০মিনিট হয়ে গেলো। ভোর উঠে ওয়াশরুমে গেলো। গিয়ে দেখে আলো এখনে শাওয়ারের নিচে মাথা নিচু করে বসে কান্না করছে। ভোর গিয়ে শাওয়ার অফ করে দিলো। আলো মাথা উঁচু করে ভোরকে দেখে তাঁকিয়ে রইলো।
|
ভোরঃঃ চেঞ্জ করে রুমে আসুন। আমার বেবির ঠান্ডা লাগবে আপনি এভাবে ভিজলে।
|
বলে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর আলো চেঞ্জ করে রুমে এসে বেবিকে মাঝখানে দিয়ে শুয়ে পড়লো। শুয়ে শুয়ে কান্না করতে লাগলো মুখ টিপে। কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো।
|
সকালে……..
আলো উঠে ফ্রেশ হয়ে বেবিকে খাওয়াচ্ছে। ভোর চোখ খুলে পাশে দেখে আলো ঘুরে বসে আছে। ভোর উঠে বসে আলোর ঘাড়ে পিছন থেকে মাথা দিয়ে….
|
ভোরঃঃ Good morning….
|
আলোঃঃ নিশ্চুপ………
|
ভোরঃঃ কি হলো কথা বলছো না কেন?
|
আলোঃঃ বে—বেবি ঘুমাচ্ছে। (কান্নাকন্ঠে)
|
ভোর আলোর হেচ্কি দিয়ে ওঠা কথা শুনে রাতের সবকিছু মনে পড়লো আর সাথে সাথে আলোর কাঁধ থেকে মাথা সরিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আলো বেবিকে শোয়ালো তারপর চলে গেলো নিচে।
|
কিছুক্ষণ পর একে একে সবাই এলো নাস্তার টেবিলে। ভোরও এলো। রিওনা গিয়ে ভোরের পাশে বসলো। আলো ভোরের সোঁজাসুজি বসলো। আলোর পাশে চেয়ারে এসে মাহিদ বসবে কিন্তু না বসে পরের চেয়ারে বসলো। সবাই খাচ্ছে আলো বাদে।
|
ভোরঃঃ ফুপি তোমরা চলে যাবে কবে?
|
ফুপিঃঃ কেন?
|
ভোরঃঃ না এমনি। তোমরা থাকলে আমি অফিসের কাজে একটু চট্টগ্রাম যেতাম।
|
রিওনাঃঃ ওয়াও.. ভোর আমাকে নিয়ে যাবে?
|
ভোরঃঃ না। আমি অফিসের কাজে যাবো রিওনা।
|
ফুপিঃঃ যা না ওকে নিয়ে। একটু ঘুরে আসুক রিওনা।
|
রিওনাঃঃ প্লিজ ভোর প্লিজ প্লিজ…(ভোরের হাত ধরে)
|
ভোরঃঃ ওকে ওকে…যাবো নিয়ে। হ্যাপি?
|
রিওনাঃঃ অনেক। তো কবে যাচ্ছি আমরা?
|
ভোরঃঃ আর চার দিন পর…..
|
রিওনাঃঃ ওহ মাত্র চারদিন? আমাকে কত শপিং করতে হবে মম।
|
ভোরঃঃ ফুপি আমি উঠছি। অফিসের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
|
ভোর আলোর দিকে একবারও তাঁকালো না। আলোর চোখের পানি টুপ করে প্লেটে পড়লো। ভোর বের হবার সাথে সাথে….
রিওনাঃঃ আলো… ভোরকে আমার করেই ছাড়বো।
|
মাহিদঃঃ আর আলো তোমাকে আমার করেই ছাড়বো।
|
আলোঃঃ আমাদের আলাদা করে দেখাও পারলে।
|
বলে আলো উপরে উঠে চলে গেলো।
সারাদিনেও রুম থেকে বের হয়নি আলো। শুধু রুমে বসে কেঁদেছে।
|
রাতে………
মাহিদঃঃ আলো ভাবী আপনি কি বলেন এসব? আমি ভোর ভাইয়াকে ঠকাতে পারবো না। না আমি কালই চলে যাবো। আপনি এভাবে ভাইয়াকে ঠকাচ্ছেন। ছিঃ রাখছি।
|
মাহিদ কথাগুলো মেইন দরজার কাছে দাড়িয়ে বললো। ভোর দরজা খুলবো তখন কথাগুলো শুনলো। ভোর দরজা খুলে সোঁজা উপরে চলে গেলো। গিয়ে দেখে আলোর ফোনটা হাতে। ভোর ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে মাত্র আলো মাহিদের সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিয়েছে । ভোর আলোর হাতে ফোনটা ব্যাক করে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
আলোকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে। ভোর ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে ড্রইংরুমে বসে আছে….
|
ফুপিঃঃ ভোর??
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ ফুপি বলো……
|
ফুপিঃঃ জানি তুই আমার কথা বিশ্বাস করবি না। তবুও বলছি… আজ আলোকে দেখলাম মাহিদের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিয়েছে দুপুরে যখন সবাই যে যার রুমে রেস্ট নিচ্ছিলো। আমি পানি খেতে বের হচ্ছিলাম তখন এসব দেখি। আমি জানি তুই ভাববি এসব আমি মিথ্যে বলছি কিন্তু তুই তো আমার ভাইয়ের ছেলে। আমি তোর ভালোই চাই। মেয়েটার চরিত্রে দোষ আছে। তুই ওকে বিয়ে করে ভুল করেছিস।
|
ভোরঃঃ হুমমমম ফুপি… চলো ডিনার করতে।
|
ফুপিঃঃ হ্যাঁ বাবা চল….
|
সবাই ডিনার করতে বসছে… আলো বসবে তখন…..
ভোরঃঃ আপনি বসছেন কেন?
|
আলোঃঃ ডিনার করতে..
|
ভোরঃঃ বাড়ির বৌয়েরা সবার খাবার পর খায়। আমাদের খাওয়ার পর খাবেন। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকুন।
|
আলোঃঃ হুমমম…. (চোখে পানি ছলছল)
|
ভোর রিওনার সাথে হাসছে… গল্প করছে আর খাচ্ছে।
|
সবার খাওয়া হলে আলো সব গুছিয়ে রাখতে কিচেনে গেলো। তখন……
|
মাহিদঃঃ আমার হয়ে যাও। সব সুখ দিবো। তোমার বর এখন রিওনাতে মগ্ন। তুমি ফাও এসব কান্নাকাটি বাদ দাও।
|
আলোঃঃ আপনাকে বলেছি না আমাকে এভাবে বিরক্ত করবে না? যান এখান থেকে।
|
মাহিদঃঃ অনেক ধুর ধুর করো আমাকে? এতো দেমাগ কিসের? (আলোর হাত ধরে)
|
আলোঃঃ আমার হাত ছাড়ুন। আমি কিন্তু চিৎকার দিবো।
|
মাহিদঃঃ দাও চিৎকার। আমি ভয় পাই নাকি তোমার ভোরকে?
|
বলেই আলোর কোমড় জড়িয়ে ধরলো। আলো সাথে সাথে পাশে রাখা কাচের মগটা দিয়ে মাহিদের মাথায় এক বারি।
|
মাহিদঃঃ আআআআআআ… (মাথায় হাত দিয়ে)
|
মাহিদের চিৎকার শুনে সবাই কিচেনে এলো।
|
ফুপিঃঃ একি মাহিদ কি হয়েছে তোর? এভাবে রক্ত পড়ছে কেন মাথা দিয়ে?
|
মাহিদঃঃ চাচীমনি আলো… আলো ভাবী আমাকে বলছে তাকে জড়িয়ে ধরতে। আমি ধরতে চাইনি তাই জোর করে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো। আমি নিজেকে ছুটাচ্ছিলাম তখন উনি রাগ হয়ে আমাকে ঐ মগটা দিয়ে একটা বারি দিলো মাথাতে।
|
ফুপিঃঃ তোর এতো বড় সাহস? আমার ছেলেকে এভাবে মারিস?
|
ভোরঃঃ মাহিদ তুমি তো উপরে চলে গিয়েছিলে…
|
মাহিদঃঃ পানি নিতে এসেছিলাম নিচে.. উনি আমাকে কিচেনে ডাক দেয়।
|
আলোঃঃ আপনি বিশ্বাস করুন.. উনি আমার কোমড় জড়িয়ে ধরেছিলো.. (ভোরের হাত ধরে)
|
রিওনাঃঃ তোমাদের মতো ছোটলোক মেয়েদের চরিত্র এমন। বড়লোক ছেলে দেখলেই নষ্টামি শুরু করো। ভোর এই মেয়েকে আবার তুমি বৌ বলো? ছিঃ
|
আলোঃঃ রিওনা.. Shut up… আমার চরিত্র নিয়ে একটা বাজে কথা বললে তোমার গালে আমার হাত উঠবে বলে দিলাম।
|
ফুপিঃঃ দেখ ভোর দেখ। এখন রিওনাকে মারতে চাচ্ছে সত্যি কথা বলায়।
|
ভোরঃঃ আলো রুমে যান….
|
আলোঃঃ আপনি ওদের কিছু বলবেন না?
|
ভোরঃঃ কি বলবো? কি বলবো? রুমে যান। (উচ্চস্বরে)
|
আলো দৌড়ে রুমে চলে গেলো।
|
ভোরঃঃ রিওনা ওকে ব্যান্ডেজ করে দিও।
|
বলে ভোর উঠে চলো গেলো। গিয়ে দেখে আলো বসে আছে সোফাতে। ভোর ঢোকার সাথে সাথে আলো উঠে ভোরের কলার চেপে ধরে…….
|
আলোঃঃ আপনি কেন ওদের কিছু বল্লেন না? কেন? কেন? কেন?
|
ভোরঃঃ ঠাসসসসসস… (আলোর গালে এক চড় দিয়ে) আগে জানলে তোর মতো মেয়েকে বিয়ে করতাম না।
|
আলো গালে হাত দিয়ে ভোরের কথাটা শুনে ধুপ করে বসে পড়লো। ভোর গিয়ে শুয়ে পড়লো।
|
|
|
চলবে…………..
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।ধন্যবাদ?)