?ভোর?পর্বঃ ১৯।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
সকাল সকাল উঠে ভোর.. আলোর আর ভোরের সব জিনিসপত্র গুচ্ছাছে। ভোরের এই টুংটাং শব্দের কারনে আলোর খুব প্রব্লেম হচ্ছে ঘুমের। খুব রাগ উঠছে দইবার নিষেধ করেছে তারপরও ভোর শব্দ করে কাজ করছে তাই। আলো আর সহ্য করতে না পেরে….
|
আলোঃঃ আমি যে এখানে ঘুমাচ্ছি আপনি দেখছেন না? আমি যে দুইবার নিষেধ করলাম শব্দ না করতে তা কি আপনার কানে যাচ্ছে না?….. না আমি বুঝলাম না.. এখন কি আমি একটু ঘুমাতেও পারব না? রাতে আমার ঘুম হয় নাতা আপনি জানেন না? পেটের ভিতর বসে আপনার প্রিন্সেস জ্বালাচ্ছে আর বাহিরে আপনি। উফফ কেন যে আমি বাবার বাসায় গেলাম না। ওহ গেলাম না কি? আপনিই তো যেতে দেন নি। যত্তসব ফালতু লোকজন। ((রাগীকন্ঠে একনাগাড়ে বললো))
|
ভোরঃঃ আহ রাগ হচ্ছো কেন? আমরা আজ আমাদের নতুন বাসায় যাবো তাই এসব এরেন্জমেন্ট। ((মুচকি হাসি দিয়ে))
|
আলোঃঃ সেই রাত থেকে বলে যাচ্ছে নতুন বাসার কথা। আচ্ছা এতবড় বাড়ি থাকতে আর একটা বাড়িতে যাবো কেন? ((বিরক্তি নিয়ে))
|
ভোরঃঃ আমার বেবির জন্য। বেবির যেন কোনো কষ্ট না হয় তার জন্য। আপনি উঠুন.. ফ্রেশ হয়ে..ব্রেকফাস্ট করে চলুন। ১০টার ভিতর যেতে হবে নতুন বাসায়।
|
আলোঃঃ লিসেন মিস্টার ভোর.. আমি কোথাও যাচ্ছি না। আর এখন ঘুমাবো আর যেন সাউন্ড না শুনি। ((রাগীলুক নিয়ে))
|
ভোরঃঃ নো ঘুম। আগে ফ্রেশ তারপর খাওয়া এন্ড যাওয়া আর এটাই ফাইনাল। ((মুচকি হেসে))
|
বলেই আলোকে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো। আলো কিছু বললো না কারন আলো জানে বলে কোনো লাভ হবে না।
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
আলোকে ব্রেকফাস্ট করে রেডি হয়ে বসে আছে বেডে। ভোর এসে…
|
ভোরঃঃ চলো.. সব ব্যাগপত্র গাড়িতে রাখা হয়ে গিয়েছে।
|
আলোঃঃ এই বাসাতে কি প্রব্লেম একটু বলবেন?
|
ভোরঃঃ এতো কথা বলো কেন? নতুন বাড়ি যাবো মানে যাবো। Let’s go.
|
আলোকে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসালো। তারপর গাড়ি চালিয়ে সোঁজা চলে গেলো নতুন বাড়ির গন্তব্যের দিকে। পিছনে গার্ডদের গাড়ী আসছে। আর আলো গুম মেরে বসে আছে।
|
প্রায় ৩০মিনিট পর গাড়ি থামলো। ভোর গাড়ি থেকে বের হয়ে…
|
ভোরঃঃ আলো বের হও। আমরা চলে এসেছি।
|
আলোঃঃ এটা তো হসপিটাল। ((বের হয়ে))
|
ভোরঃঃ হুম। আমাদের নতুন বাড়ি। ((সব ক’টা দাঁত বের করে))
|
আলোঃঃ একদম দাঁত বের করবেন না। বলুন এখানে কি?
|
ভোরঃঃ আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না তোমাকে নিয়ে। ((আলোর দিকে তাঁকিয়ে)) না মানে বেবিকে নিয়ে। তাই আগেই হসপিটালের কেবিন বুক করলাম। আর একজন দক্ষ নার্সকেও বুক করেছি যেন কোনো কিছুতেই কোনো প্রব্লেম না হয়। আমি চাই না আমার স্বপ্ন টা সত্যি হোক..আস্তে করে বললো।
|
আলোঃঃ কিন্তু ডেলিভারির ডেট তো এখনো ১৭দিন পর। আপনি ৫ দিন আগে কেবিন বুক করালে কি হতো না?
|
ভোরঃঃ আমার থেকে বেশি বুঝো তুমি? একদম বেশি বুঝবে না। বেবি যদি ১৭দিন ওয়েট করতে না চায় তখন? হুশশ মেয়ে মানুষ একটু বেশিই বুঝে। আসো তো।
গার্ডস ফলো মি..((উচ্চস্বরে))
|
আলোকে কোলে নিয়ে হসপিটালের ভিতর যাচ্ছে ভোর। আর ওদের দিকে সবাই তাঁকিয়ে আছে। আলো শুধু ভোরের দিকেই তাঁকিয়ে আছে।
|
আলোঃঃ এতো কেয়ারিং। এতো ভালোবাসা। আচ্ছা এগুলো কি সব বেবির জন্য? না আমাকে আপনি ভালোবাসেন আমি জানি। আমি ফিল করি। আপনার প্রতিটা কাজে আপনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন। উহুম একটু না অনেক বেশি ভালোবাসেন। সে আপনি মুখে যতই না বলুন না কেন। সেই খারাপ স্বপ্নে হয়তো আমাকে হারিয়ে ফেলেছেন এমনটাই কিছু দেখেছেন তাই তো বাচ্চাদের মতো কেঁদেছিলেন। আমাকে হারানোর এতো ভয় আপনার মাঝে তবে কেন ভালোবাসি বলেন না মুখ ফুঁটে একবার? আমি জানি ভালোবাসাকে ফিল করতে হয়। মুখে বললেই ভালোবাসা হয় না কিন্তু তবুও পিপাসিত এই হৃদয়টা যে আপনার মুখ থেকে একটা বার শুধুমাত্র একটাবার ভালোবাসি শুনতে চায়। কি অদ্ভুত তাই না? আজ আমি শুনতে চাচ্ছি আর আপনি বলছেন না। অথচ একটা সময় আপনি বলতেন আমি শুনতাম না। অনেক তো শাস্তি দিয়েছেন আর কত? আচ্ছা আমি যদি সত্যি হারিয়ে যাই আপনি তখন কাকে ভালোবাসি বলবেন? তখন হাজারবার বললেও তো আমি শুনবো না। উফফফফ না আর ভাবতে পারছি না। ((মনে মনে))
|
ভোরঃঃ আলো আমরা এসে গিয়েছি কেবিনে। আপনি এই বেডে বসে থাকুন আমি একটু ডক্টর নার্সদের সাথে কথা বলে আসছি।
|
আলোঃঃ হুমমম..
|
ভোরঃঃ এই জুসটা খেয়ে নিবেন। এসে যেন গ্লাস খালি পাই। ওকে?
|
আলোঃঃ হুমমম। ((বিষণ্ণ চেহারাতে মিথ্যে হাসির রূপ ধারন করে))
|
ভোর চলে গেলো। আলো জুসটা পাশে রেখে দিবে কিন্তু কি ভেবে একটানে ঢগঢগ করে খেয়ে বসে রইলো।
|
ভোর একজন নার্সকে সাথে করে কেবিনে ঢুকলো…
ভোরঃঃ She is my wife. Alo Chowdhury. Your patient.
|
নার্সঃঃ ওহ.. আমি তিথি আহমেদ। কেমন আছেন মিসেস চৌধুরী?
|
আলোঃঃ জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। আপনি?
|
নার্সঃঃ আমিও ভালো। জার্নি করে এলেন রেস্ট নিন। আমি এখন আসছি। কিছুক্ষণ পর আসবো।
|
ভোরঃঃ ওকে।
|
নার্স চলে গেলো।
|
আলোঃঃ বাহ বাহ। আপনি তো দেকছি ভালোই লুচু। ((রাগী লুকে))
|
ভোরঃঃ What?
|
আলোঃঃ তোর What এর গুষ্টির ষষ্টি। আমাকে এখনি বাসায় দিয়ে আসবি। আমি এই হসপিটালে থাকবো না।
|
ভোরঃঃ এই উত্তেজিত না হয়ে কি হয়েছে বলুন। হঠাৎ এভাবে রেগে গেলেন কেন?
|
আলোঃঃ সুন্দরী নার্স এডমিট করিয়ে ন্যাকাম সাঁজা? আমাকে বাসায় দিয়ে আসবেন নাকি? আমি থাকবো না এখানে।
|
ভোরঃঃ আজব তো। এই নার্স দক্ষ।
|
আলোঃঃ একদম বোকা ভাববি না আমাকে। আমি কিছু বুঝি না। আপনি এই নার্সের সাথে একটু একটু কথা তারপর প্রেন তারপর প্রিতি তারপর ভালোবাসা তারপর বিয়ে।
|
ভোরঃঃ What nonsense? just shut up.আর এতবড় সাহস কোথা থেকে আসে আমাকে তুই তুই করে বলার? আর যেন তুই তুই শুনি না। mind it! ((রাগীলুকে))
|
আলোঃঃ আমি তোতোতো… আপনার কথা মতো চলবো না। আমি আপনার চাকর না। ওকে?
|
ভোরঃঃ এখন ইচ্ছা করছে…
|
আলোঃঃ কি মারতে? ওহ এখন মারতেও ইচ্ছা করছে নার্সওয়ালিকে পেয়ে। বাহ কি উন্নতি।
|
ভোরঃঃ আপনি কি সাইকো? আপনি জেরিনকে নিয়ে এমন কথা বলেছিলেন এখন আবার এই নার্সকে নিয়ে। উফফ আপনার কি মনে হয়.. আমার চরিত্র খারাপ? আমি চরিত্রহীন? ((রাগীমুডে))
|
আলোঃঃ এএএভাবে রাগী লুলুলুক নিবেন না বববলেছি না একদিন। আমি কি আপনাকে ভভভয় পাই নাকি? ((হাত মুষ্টিবদ্ধ করে))
|
ভোরঃঃ ভয় পান না?
|
আলোঃঃ নানানা.. না। ((আস্তে করে))
|
ভোরঃঃ ঠোঁট ওমন কাঁপিয়ে কথা বলছেন কেন? আপনি তো ভয় পেলেই ঠোঁট কাঁপে। তাহলে?
|
আলোঃঃ তাতাতাহলে কি? আমি আপনাকে ভভভয় পাই না। এটাই শেশেশেষ কথা। হুহ
|
ভোরঃঃ তবে কি ইচ্ছা করে কাঁপাচ্ছেন? আমি যেন ছুঁয়ে দেই সেজন্য? ((দুষ্টুমি দৃষ্টি))
|
আলোঃঃ আমি ঘুমাবো। ((একটা ঢোক গিলে))
|
ভোরঃঃ আগে আমি নেশা মিটিয়ে নেই তারপর ঘুমাবে।
|
আলোঃঃ কিকিকিসের নেশা? কোন নেশা টেশা নাি আর আপনি যেকোনো একটা বলবেন হয় তুমি নয় আপনি।
|
ভোরঃঃ আমার নেশা মিটানো থেকে কোনদিন বাঁধা দিয়ে আমাকে আটকাতে পেরেছো? পারো নি। আজও পারবে না।
|
বলেই আলোর ঠোঁটজোড়া দখল করলো আর আলো ভোরের পিঠে মারতে থাকলো।
|
ভোর ছেড়ে দিলো কিছুক্ষণ পর।
|
ভোরঃঃ এরপর এমন ঝটফট করলে আমি অন্য কারো কাছে যাবো।
|
আলোঃঃ আমি কি ধরে রেখেছি? রাখিনি। যান ঐ নার্সের কাছেই যান। আমার কি?
|
ভোরঃঃ সত্যি যাবো?
|
আলোঃঃ হুম সত্যি।
|
ভোর উঠতে যাবে তখন ভোরকে ধরে..
|
আলোঃঃ খুব সখ নার্সের কাছে যাওয়ার?
|
ভোরঃঃ তুমিই তো যেতে বললা।
|
আলো একটু ভেবে ভোরের হাত ছেড়ে..
|
আলোঃঃ আর কয়টা দিন পর তো চলেই যাবেন অন্যকারো সান্নিধ্যে। আমি অযথাই আটকে রেখেছি। আপনি যার কাছে ইচ্ছা যেতে পারেন। আমি আটকাবার কে? কেউ না। আটকানোর জন্য সরি। ((মুচকি হাসি দিয়ে))
|
ভোরঃঃ উফফ মাথা ব্যথা করছে আলো। আহ হঠাৎ এমন মাথা ব্যথা শুরু করলো কেন? একটু মাথাটা টিপে দাও আলো।
|
বলেই আলোর বুকের উপর শুয়ে পড়লো আর ব্যথায় কাতর এমন করতে লাগলো।
|
আলো মাথায় হাত দিয়ে..
আলোঃঃ এত অভিনয় যে এই লোক জানে। উফফ((মনে মনে))
|
আলো আর কিছু না বলে ভোরের মাথা টিপতে লাগলো একহাত দিয়ে আলতো করে।
|
|
|
চলবে…………
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।ধন্যবাদ?))