♥ Love At 1st Sight ♥
~~~Season 3~~~
Part – 7
writer-Jubaida Sobti♥
রাহুল চলে যাওয়ার পর স্নেহার শকড ভাঙলো…
স্নেহা চোখের চশমা ঠিক করতে করতে…ভাবতে লাগলো… এটা কি হলো…রাহুল এমন কেনো করলো?…
নিচে নেমে এলে…দেখে গাড়ী আগে থেকে স্টার্ট দিয়ে ভেতরে বসে আছে, স্নেহা ও চুপচাপ গাড়ীতে উঠে বসে,
প্রায় কিছুক্ষণ পর,
রাহুল : স্নেহা! এভাবে কোণা চোখে তাকালে চোখ ট্যারা হয়ে যাবে!
স্নেহা কিছু বলতে যাবে, কিন্তু বললো না.. চুপ হয়ে আবার অন্যদিক ফিরে যায়,
রাহুল : [ হেসে ] কিছু বলবা স্নেহা!?
স্নেহা : আ..আপ আপনি…মোটেও ঠিক করেননি…
রাহুল : আমি আবার কি করলাম?
স্নেহা : এই যে! আসার আগে যা করলেন!
রাহুল : আসার আগে তো অনেক কিছুই করলাম! কিসের কথা বলছো!
স্নেহা : আ.. আপনি!? [ বিরক্ত হয়ে আবার চুপ হয়ে যায় ]
রাহুল হাসতে থাকে,
অবশেষে বাড়ীর সামনে এসে গাড়ী থামলো… স্নেহা তাড়াহুড়ো করে নামতে গেলে, রাহুল স্নেহার হাত ধরে ফেলে,
স্নেহা অবাক হয়ে তাকায়,
রাহুল : ওয়েট ওয়েট! One second! [ রাহুল গাড়ী থেকে নেমে স্নেহার দিক এসে দরজা খুলে ] এবার নামো.. ?
স্নেহা : [ নেমে ] থেংক ইউ!
রাহুল আশেপাশে তাকিয়ে হঠাৎ করে স্নেহার আরেক গালে আরেকটি চুমু দিয়ে দেই!
স্নেহা অবাক হয়ে তাড়াতাড়ি রাহুলের দিক তাকালো,
রাহুল : শুনেছি এক গালে দেওয়া নাকি ভালো না…?
স্নেহা : আ…?
[ রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে গাড়ীতে উঠে বসলো, স্নেহা হা করে চেয়ে আছে রাহুলের কান্ড,…..
অর্ধেক চালিয়ে যাওয়ার পর গাড়ী আবার পেছনে ব্যাক আসছে…]
রাহুল : [ স্নেহার সামনে এসে থামিয়ে ] কাল আসছো তো?..[ তেডি স্মাইল দিয়ে ] ও হ্যা আসতে তো হবেই..? Ok bye see you tomorrow! [ বলেই টান দিয়ে চলে যায় ]
স্নেহা হাসছে, আশেপাশে তাকিয়ে আবার হাসি বন্ধ করে দেই,
[ উপরে উঠে বেল দিতেই জারিফা দরজা খুলে ]
জারিফা : স্নেহা মেরি জান! তুমি এতো লেইট করলে কেনো…
স্নেহা : আ..আমি ঐ যে.. রাস্তায়..অনেক জ্যাম ছিলো! [ বলেই স্নেহা ভেতরে ঢুকে যায় ]
রাতে ডিনার শেষে, স্নেহা প্লেট গোছাচ্ছে…
মার্জান : স্নেহা!
স্নেহা : হুম!
মার্জান : কিছু হয়েছে?..
স্নেহা : মানে?..
মার্জান : এই যে তুই কিছুক্ষণ পর পরই নিজে নিজে হাসছিস!
জারিফা : স্নেহা তোকে দেখে না আমার অরিজিৎ সিং এর একটা গান মনে পড়ে গেলো,
♪♪ মুস্কুরানে কি ওজাহ তুম হো ওও…
শায়লা : [ কিচেন থেকে চেঁচিয়ে ] এত্তো বেসূরা সংগীত কে গাইছে বলতো..
[ মার্জান আর স্নেহা হেসে উঠে ]
জারিফা : [ রেগে ] মোটেও বেসূরা না..ওকে! Disgusting [ চেঁচিয়ে ] আমার ভালো কিছু দেখলে মানুষের জলে… কি বুঝলে মিস্ শায়লা..হুহ!?
[ স্নেহা চলে যাচ্ছে জারিফা স্নেহার হাত ধরে আটকিয়ে ]
জারিফা : আবার তুই কোথায় যাচ্ছিস!
স্নেহা : কোথায় আবার যাবো রুমে! যাচ্চি..
[ জারিফা চোখ রাংগিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে ]
স্নেহা : আরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?…
জারিফা : [ স্নেহাকে কাছে টেনে নিয়ে ] এখন সত্যি সত্যি বলে দে…চুপিচুপি কেনো হাসছিলি?…
স্নেহা : [ হেসে ] তোর মাথায় সত্যিই ভুত ঢুকেছে…
[ বলেই স্নেহা বেডরুমে চলে যায়… খাটে বসে বড় বড় শাস নিতে থাকে ]
স্নেহা : [ মনে মনে ] কি হয়েছে আমার..আমি ওর কথা ভেবে হাসছি কেনো…?..কেনো ওর কথা ভাবতেই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে… [ বুক চেপে ধরে ] Cool স্নেহা Cool…
পরদিন দুপুরবেলা,
জারিফা পায়ে নেইলপলিশ লাগাচ্ছে, শায়লা অলরেডি সেজে মার্জানকে সাজিয়ে দিচ্ছে… স্নেহা বই হাতে দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সবার কান্ড দেখছে,
জারিফা : ইয়ার স্নেহা! কবে থেকে দাঁড়িয়ে আছিস… রেডি হবি কবে?..
স্নেহা : গার্লস্ আমি পার্টিতে যাচ্ছি না!
জারিফা : হা-হা! মজা করছিস! এটা মজা করার সময়?..
মার্জান : [ উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে ] স্নেহা! আমার মাথা খারাপ করবি না বলে দিলাম..চুপচাপ গিয়ে রেডি হয়ে নে!
জারিফা : স্নেহা! তোর মনে নেই?..তুই Competition এ রাহুলের সাথে পার্ট নিয়েছিস… So যেতেই হবে!
স্নেহা : এটাই তো প্রবলেম!
মার্জান : আরে স্নেহা তুই ভয় পাচ্ছিস কেনো?…ঐদিন তো কি সুন্দর করেই নাচলি… আজও ঠিক তেমনভাবে নাচবি! আর রাহুল তো আছেই! So don’t worry
সবাই অবাক হয়ে মার্জানের দিক তাকালে
মার্জান : মানে বলছিলাম যে দুজনেই ভালো ডান্স পারিস! So চিন্তার কি আছে!
জারিফা : ইয়ার! মার্জান তুই রাহুলের তারিফ করলে ডিরেক্ট করতে পারিস না..এতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে করিস কেনো বলতো?…
মার্জান : তুই চুপ কর! স্নেহা! শোন..যাহ গিয়ে রেডি হয়ে নে!
স্নেহা : ঐদিন কয়েকজন ছিলো..?আজ এতোগুলো মানুষের সামনে…
মার্জান, জারিফা, শায়লা, তিনজনই স্নেহারদিক এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে,
স্নেহা : তোরা আবার ইমোশনাল ব্লাকমেইল করছিস কিন্তু!
মার্জান : ইয়ার! স্নেহা তুই না গেলে আমরা ও যাবো না!
জারিফা : স্নেহা! মেরি জান! আমি কত্ত মেহনত করে নেইলপলিশ লাগিয়েছি! সব বেকার যাবে যদি পার্টিতে না যায়!
শায়লা : আর আমার মেকআপ!
[ এইদিকে ভার্সেটিতে কনসার্ট চলছে সবার আসা যাওয়া শুরু! ]
আসিফ : আরে রাহুল! কি ব্যাপার কখন থেকে এইখানে দাঁড়িয়ে আছিস! ভেতরে চল!
রাহুল : সময়তো হয়ে গেছে এতোক্ষণে এসে যাওয়ার কথা তাই না?…
আসিফ : ওহ আচ্ছা! স্নেহা?
[ রাহুল ব্লাশিং ]
হঠাৎ পেছন থেকে… রাহুল বলে কেউ ডাক দিলো… ফিরে তাকালে দেখে নেহা!
নেহা : [ এগিয়ে এসে ] হেই গাইস্ এইখানে কি করছিস! ওয়াও রাহুল ইউ লুকিং সো্ হ্যান্ডস্যাম?
রাহুল : থেংক ইউ! ইউ লুকিং প্রিট্টি!
আসিফ : [ রাহুলের কানে কানে ] তুই সামলা আমি যায়!
রাহুল : আরে আসিফ দাড়া!
নেহা : [ রাহুলের কলার ধরে কাছে টেনে ] কামঅন রাহুল! তুই কোথায় যাচ্ছিস!
রাহুল : কি করছিস কি নেহা?..সবাই দেখছে!
নেহা : দেখুক! I have noooo প্রবলেম!
রাহুল ছুটে যেতে চাইলে ও নেহা রাহুলকে শক্ত করে ধরে আছে,
নেহা : আরেকটা চান্স দে রাহুল! আমি জানি আমার ভুল হয়েছে! কারণ আমি তখন বুঝতে পারিনি আসলে! আই লাভ ইউ রাহুল!
রাহুল : [ রেগে নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে ] বাট্ আই ডোন্ট লাভ ইউ!
[ বলেই রাহুল চলে যায় ]
ক্লাসে গিয়ে লাথি দিয়ে ব্যাঞ্চ সরিয়ে এন্ট্রি নেই! [ রাহুলের বাকি ফ্রেন্ডসরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলো ]
শ্রেয়া : আরে! মিষ্টার রকষ্টার? কি হয়েছে তোর এভাবে ক্ষেপে আছিস কেনো?…
রাহুল : [ রিলেক্স হয়ে ] কিছুনা বাদ দে!
রিদোয়ান : [ রাহুলকে একটা বেয়ার এগিয়ে দিয়ে ] এটা খা বস্ সব টেনশন খালাস্ ?
রাহুল : ইয়াহ! থেংক ইউ! [ বলেই রাহুল নিয়ে নিলো ]
শ্রেয়া : বাই দ্যা ওয়ে! গাইস্ আমাকে কেমন লাগছে বলতো?…
রিদোয়ান : নট্ বেড!
রাহুল : নাইস্
শ্রেয়া : [ রেগে গিয়ে ] জাষ্ট এগুলোই! ওহ নো্.. সকাল থেকে ফেইস্প্যাক, ফেশিয়াল, হেয়ার স্প্রিং, পেডিকিউর-মেনিকিউর, Etc Etc এত্তো কষ্ট করেছি জাষ্ট নাইস্ আর নট্ বেড লাগার জন্য! Get lost! [ বলেই শ্রেয়া হনহনিয়ে বেড়িয়ে যায় ]
[ বাকিরা হাসতে থাকে ]
সন্ধ্যা হয়ে গেলো,
রাহুল পার্কিং এর দিক হাটছে আর মনে মনে ভাবছে..কি আজিব স্নেহা এখনো আসছে না কেনো… হঠাৎ দেখে…দুজন জুনিয়র ছেলে মিলে লাইট ঠিক করছে,
রাহুল : আরে রাফি! কি হয়েছে?..কি করছিস?..
রাফি : ভাই! বলোনা আর সেই ২০ মিনিট ধরে এন্ট্রি লাইটটা জালানোর চেষ্টা করছি…
রাহুল : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] বাদ দে তো!
রাফি : এটা না জললে…রাস্তা অন্ধকার দেখাচ্ছে, আর স্যার যদি জানতে পারে! লেকচার শুরু করে দিবে! ভাই!
রাহুল : [ চলে যাচ্ছিলো আবার পেছন মুড়ে তাদের দিক এগিয়ে যায় ] দে! আমি একবার ট্রাই করি!
রাফি : আরে না না! ভাই তুমি এসব করবা কেনো…
রাহুল : দ্যাটস্ ওকে! ডোন্ট ওয়ারি! ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার পড়ছি! ট্রাই তো করতে দে! [ বলেই রাহুল ট্রাই করতে লাগলো ]
কিছুক্ষণ পর…রাহুল লাইট চেপে রাস্তার দিক মুড়িয়ে দিলো…
রাহুল : রাফি!
রাফি : জি ভাইয়া!
রাহুল : এইবার সুইচ্ অন কর!
রাফি : ওকে [ বলেই সুইচ্ অন করলো আর সাথে সাথেই লাইট জলে উঠে ]
সামনের দিক তাকাতেই রাহুল দেখে কেউ একজন লাইটের পাওয়ারে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো,
রাফি : ভাইয়া! আমার মনে হচ্ছে রেজুলেশনটা একটু বেশী হয়েছে…
রাহুল ধীরেধীরে লাইটের রেজুলেশন কমিয়ে দিলো…. এবং হা করে সামনের দিক তাকিয়ে থাকে…
নীল রঙের শাড়ী, হাত ভরা চুরি, কাজলে ভরা চোখ…গোলাপী রঙের ঠোট…সবমিলিয়ে একদম পরীর মতোই লাগছে স্নেহা!
মার্জান : [ চেঁচিয়ে ] আরে স্নেহা! দাঁড়িয়ে আছিস কেনো আয়!
স্নেহা : [ এগিয়ে গিয়ে ] আরে ঐ লাইটটার রেজুলেশন এতো বাড়তি ছিলো যে চোখে কিছু দেখছিলামই না…তারমধ্যে তোরা চশমাটা ও পড়তে দিলিনা…
জারিফা : ইয়ার! সামনে দেখ ? কি সুন্দর লাগছে চারদিক!
[ বলেই জারিফা সামনের দিক চলে গেলো ]
স্নেহা : মার্জান! আমার না Uncomfortable ফিল হচ্ছে শাড়ীতে! মনে হচ্ছে এক্ষুণি খুলে যাবে!
শায়লা : আরে স্নেহা তুই প্রথম পড়েছিস তাই এমন লাগছে! কিছুই হবে না..তুই রিলেক্স হয়ে হাট!
মার্জান : ইয়াহ! আমিও যখন ফার্ষ্ট টাইম পড়েছিলাম…তখন সেইম ফিল হয়েছিলো… এখন আর হয়না…জোড়ে জোড়ে হাটলে ও [ বলেই মার্জান হেটে দেখাচ্ছিলো…হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা লাগে ]
আসিফ : আসছে আরেকজন মডেলিং করতে…
মার্জান : [ রেগে কপাল কুঁচকে ] কি আশ্চর্য ধাক্ষা লেগেছে কোথায় সরি বলবেন তা না…উলটা! [ কনফিউজড হয়ে ] এক মিনিট কোথায় দেখেছি মনে হচ্ছে আপনাকে!
আসিফ : [ হেসে ] আমার ও তেমনটাই মনে হচ্ছে [ বলেই আসিফ চলে যায় ]
মার্জান : আরে আরে! এক্সকিউজ মি!
শায়লা : [ মার্জানকে ধরে ] কোথায় যাচ্ছিস মার্জান!
মার্জান : কোথায় যাচ্ছিস মানে! ধাক্ষা লেগেছে ও আমাকে সরি বললো না কেনো?..
শায়লা : আরে বাদ দে! এটা রাহুলেরই ফ্রেন্ড… ঐ যে র্যাগিং এর দিন… মনে নেই!
মার্জান : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] আচ্ছা আচ্ছা! এইবার মনে পড়লো…এইবার! তাহলে তো ওকে সরি বলিয়েই ছাড়বো! Just wait and see! হুহ!
শায়লা : আরে স্নেহা! ও আবার কই গেলো?…
মার্জান : কই গেলো মানে?.. এইদিকেই তো ছিলো…এতক্ষণ!
শায়লা : নিশ্চয় জারিফার দিক এগিয়ে গেছে চল ঐদিকটা দেখি!
মার্জান : ঠিকাছে চল!
অন্ধকার একটি ক্লাসে,
স্নেহা উমমম! উমম! করে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,
রাহুল : আগে প্রমিস্ করো চেঁচাবা না! তারপরই মুখ থেকে হাত সরাবো
স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ]
রাহুল ধীরে ধীরে স্নেহার মুখ থেকে হাত সরালো…
স্নেহা বড় বড় নিশাস নিচ্ছে আর রাহুলের দিক তাকিয়ে আছে…রাহুলও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক!
স্নেহা : কি..কিক কি…সমস্যা আপনার… এভাবে মুখ চেপে কাউকে টেনে আনে? আমি তো পুপ.. পুরো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! আর আমার ফ্রেন্ডসরা যদি ঠের পেতো?.. আর এভাবে আনার মানে কি?…ওরা নিশ্চয় এতোক্ষণে টেনশন করছে…
রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! বক বক করেই যাচ্ছো…
স্নেহা : আ..আপনি এইখানে কেনো আনলেন.. প্রো..প্রোগ্রাম তো গার্ডেনের দিক হচ্ছে!
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে থেকে মনে মনে ] গার্ডেনে প্রোগ্রাম হচ্ছে, এইখানে রোমান্স হবে!
স্নেহা : কি হলো কিছু বলছেন না যে…! আচ্ছা আমি এখন যায়! প্লিজ! আমার ফ্রেন্ডসরা!
রাহুল : শিসস! [ বলেই স্নেহার মুখে আংগুল দিয়ে দেই ]
[ Sneha’s heart beating fast ]
[ রাহুল স্নেহার ঠোটে আংগুল দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো…স্নেহা চলে যাচ্ছিলো…রাহুল আবার স্নেহাকে টেনে দেওয়ালে লাগিয়ে দাড় করাই! ] রাহুল ধীরে ধীরে দু-হাত দিয়ে…স্নেহার দুগালে হাত রাখলো…এবং সে স্নেহার এতোটাই কাছে চলে আসে….
স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে ফেলে…
রাহুল ও চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে স্নেহার ঠোট স্পর্শ করতে চাইলে…
স্নেহা : না! প্লিজ!….?
রাহুল : [ থেমে গিয়ে চোখ খুলতেই দেখে স্নেহা বটেমটে এক হয়ে আছে ] Shit! [মনে মনে ] Control রাহুল Control
রাহুল একটু পিছিয়ে দাড়ালে,
স্নেহা রাহুলের দিক একটু তাকিয়ে হুট করেই দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়!
রাহুল ও মাথা চুলকাতে চুলকাতে ব্লাশিং হয়ে বেড়িয়ে যায়
পেছন থেকে,
নেহা : ওয়াও! ঐ দিকে প্রোগ্রাম! আর এইদিকে রোমান্স!
রাহুল : ইয়াহ! It’s none of your business! [ বলেই রাহুল চলে গেলো ]
নেহা নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে থাকে,
মার্জান : [ স্নেহাকে ধরে ] স্নেহা কই গিয়েছিলি?…
স্নেহা হাপাতে থাকে!
শায়লা : ইউ ওকে স্নেহা!?
স্নেহা : ইয়াহ!
জারিফা : [ দৌড়ে এসে ] হেইইই স্নেহা চল চল চল [ বলেই টেনে নিয়ে চলে গেলো ]
স্নেহা : জারিফা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?.
জারিফা : আরে চলনা…
শ্রেয়া : এসেছো তোমরা?… আজ কিন্তু জমিয়ে ডান্স দিবে..ওকে!
জারিফা : Of course!
শ্রেয়া : আচ্ছা গাইস্ তোমরা এইদিকটা থেকো… আমি বাকিদের ও খুজে আনছি! নাম Announced করার আগেই সবার এইদিকটা থাকতে হবে! [ শ্রেয়া চলে গেলো ]
স্নেহা : [ মনে মনে] এমন কেনো লাগছে! ওর ফেইস টু ফেইস হতেই ভয় করছে…আর ডান্স কেমনি… বুকটা এখনি ধুপধুপ করছে! নিশ্চয় আশেপাশেই আছে!
জারিফা : স্নেহা! কি ভাবছিস?…
স্নেহা : না নাহ! কিছু না! বলছিলাম যে ওরা আসতে আসতে চল ঐদিকটা ঘুরে আসি!
জারিফা : আরে দাড়া! ওরা এক্ষুণি চলে আসবে!
স্নেহা : [ শকড হয়ে ] এক্ষুনি?
জারিফা : কেনো কি হয়েছে?..
স্নেহা : না নাহ! আমি না একটু ওয়াসরুম থেকে আসি!
জারিফা : ওহ ও! ওয়াসরুমের বাহানা দিয়ে আবার রাহুলের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিস নাকি?..
স্নেহা : জারিফা! তুই ও না?..
জারিফা : [ হেসে ] ওকে ওকে! যা..
[ স্নেহা একটি নিরিবিলি জায়গায় এসে রিলেক্স হয়ে দাঁড়ায়! ]
দূর থেকে মার্জান আর শায়লা স্নেহাকে দেখে,
মার্জান : শায়লা দেখতো! এটা স্নেহা না?…
শায়লা : হ্যা তাই তো!
মার্জান : কিন্তু ও ওখানে একা কি করছে! ওনা জারিফার সাথে গিয়েছিলো
শায়লা : চল দেখি!
মার্জান : আরে ও তো চলেই যাচ্ছে..কিন্তু ওটা কার সাথে যাচ্ছে?…
[ দুজনে এগিয়ে আসতে আসতে দেখে স্নেহা চলে গেছে ]
মার্জান : আবার কোথায় চলে গেলো!
শায়লা : আরে দেখ জারিফা! নিশ্চয় ঐদিকটা হবে!
[ মার্জান আর শায়লা ঐদিকটা গেলো এবং দেখে যারা ডান্স করবে তারা সবাই একত্রে জমাট বেধে আছে সাথে রাহুল ও আছে কিন্ত স্নেহাকে দেখা যাচ্ছে না..]
জারিফা : আরে তোরা?..
মার্জান : জারিফা স্নেহা কোথায়?..
জারিফা : স্নেহা! ওহ হ্যা ও ওয়াসরুমে গেছে…
মার্জান : কিহ! ওয়াসরুম?..একা?..
জারিফা : হ্যা! কেনো কি হয়েছে?…
শায়লা : জারিফা! প্রোগাম গার্ডেনে হচ্ছে…তাই ভার্সেটির দিকটা পুরোই খালি! তুই ওকে একা যেতে দিলি কেনো..
জারিফা : [ টেনশনে পড়ে ] আরে হ্যা তাই তো আমিতো ভাবিই নি!চল গিয়ে দেখি
[ ওয়াসরুমে চেক করে ভার্সেটির আশেপাশের দিকটা চেক করে ও স্নেহাকে পেলো না.. কয়েকজন বসে মোবাইল টিপছিলো…তাদের থেকে ও জিজ্ঞেস করা হলো নীল রঙ এর শাড়ী পড়া…কেউ এইখানে এসেছিলো কিনা..তারা বললো আধ-ঘন্টা ধরে বসে আছে…তারা ছাড়া এইখানে আর কেউই আসেনি!…প্রোগ্রামের দিকও চেক করে দেখলো…চারপাশ চারদিক দেখে ও স্নেহাকে কোথাও পাওয়া গেলো না ]
মার্জান : চল ঐ দিকটা আরেকটু দেখে আসি!
শায়লা : ইয়ার! ঐদিকটা এই পর্যন্ত ৫/৬বার দেখে ফেলেছি!
মার্জান : কিন্তু আমি দেখেছিলাম ও ঐ দিক থেকেই কারো সাথে চলে যাচ্ছিলো!
জারিফা : কে ছিলো সেটা?..
মার্জান : আরে চেহেরা দেখলে কি আমি কনফিউজড হতাম নাকি?..ব্যাক সাইড দেখেছি…
After one hour!
রাহুল চারদিক তাকিয়ে তাকিয়ে হাটছে…হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা লাগে,
শ্রেয়া : আরে রাহুল কোথায় তাকিয়ে হাটছিস?..
রাহুল : হেই শ্রেয়া! তুই স্নেহাকে দেখেছিস!
শ্রেয়া : হ্যা দেখেছিলাম! কিন্তু লেইট হচ্চে!
রাহুল : কোথায় গেলো কখন থেকে দেখছিনা… আচ্ছা ঠিকাছে তুই যা…আমি আসছি!
[ বলেই রাহুল আবার চারদিক খুজতে লাগলো হঠাৎ দেখে স্নেহার ফ্রেন্ডসরা একটি গাছতলার চৌকাটে বসে আছে সবাই আছে কিন্তু স্নেহা নেই!… রাহুল এগিয়ে যাচ্ছিলো তাদের দিক হঠাৎ,
নূরা মেম : আরে রাহুল! What are you doing here?…
রাহুল : জি আসলে!
নূরা মেম : Listen রাহুল! নেক্সট পার্ফমেন্স কিন্ত ডান্সের So আমি চাই না নাম বার বার Announced করা হোক!
রাহুল : এক্ষুণি আসছি মেম! জাষ্ট ফাইভ মিনিটস্
এইদিকে,
শায়লা : মার্জান দেখ রাহুল! নূরা মেম এর সাথে কথা বলছে!
জারিফা : বেচারা রাহুল! নেক্সট পার্ফমেন্স ডান্সের…আর আমরা তো এখনো ওর ডান্স পার্টনারকেই খুজে পাচ্ছিনা!
মার্জান : এক মিনিট গাইস্ দেখ রাহুল এইখানে!
জারিফা : হ্যা তা তো আমরা দেখছিই!
মার্জান : আরে ডিপলি ভেবে দেখ! তখন স্নেহাকে আমি কারো সাথে যেতে দেখেছি…আমি ভেবেছিলাম রাহুলের সাথে পার্ফমেন্স করবে তাই হয়তো ওর সাথে গিয়েছে…
জারিফা : কিন্তু রাহুল তো স্টেজ এর ঐদিকটাই ছিলো!
মার্জান : তাহলে ভেবে দেখ যদি স্নেহা রাহুলের সাথে ও না যায় তাহলে কার সাথে গিয়েছে তখন?..
শায়লা : দেখ মার্জান আমার না খুব টেনশন হচ্ছেরে!
[ মার্জান উঠে গিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে আসে…রাহুল একটু অবাক হয়, এবং তাকে খুব চিন্তিতো দেখাতে মনে মনে ভাবছে নিশ্চয় কিছু বলতে এসেছে ]
রাহুল : মেম! just give me 5mins!
নূরা মেম : ওকে! then hurry up! [ মেম চলে যায় ]
রাহুল : [ মার্জানের দিক এগিয়ে গিয়ে,] ইউ ওকে?..
মার্জান : [ চোখে জল টলমল করছে ] জি! আসলে!
রাহুল : Hey! why are you crying! any problem?…
মার্জান : [ কেঁদে কেঁদে ] আসলে স্নেহাকে অনেক্ষণ ধরে খুজে বেড়াচ্ছি! পুরো ভার্সেটি ছান মারলাম চারদিক বার বার দেখলাম কোথাও পাচ্ছি না…
রাহুল : [ শকড হয়ে ] What! স্নেহাকে খুজে পাচ্ছো না মানে?..
মার্জান : লাষ্ট ঐদিকটা যেতে দেখেছিলাম! কারো সাথে আমি ভেবেছি হয়তো আপনার সাথেই যাচ্ছে! কিন্তু [ বলেই কাঁদতে লাগলো আবার ]
রাহুল : ওকে ওকে ইউ রিলেক্স! ডোন্ট ক্রাই! আমি দেখছি! [ কিছুক্ষণ ভেবে তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ আবার এসে, ] আচ্ছা স্নেহা তার ফোন সাথে নিয়েছে?..
মার্জান : নাহ! ফোন আমার ব্যাগে তাই কন্টাক্ট করতে পারছি না!
রাহুল : Shit! ওকে! আমি দেখছি!
চলবে…