♥ Love At 1st Sight ♥
~~~ Season 3~~~
Part : 3
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা এবং তার ফ্রেন্ডসরা চলে যাওয়ার পর রাহুলের ফ্রেন্ডসরা সবাই রাহুলের দিক তাকিয়েই রইলো!
রাহুল : What?..? সবাই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো যেন আমি সাত খুণ করে ফেলেছি?…
আসিফ : [ রাহুলের কাছে এসে ] রাহুল! তুই আমাকে তোর সানগ্লাস কবে দিলি বলতো?…
রাহুল : আ..আমি এমন বলেছি?..ওহ হ্যা! সানগ্লাস তো আমি বাসায় ফেলে এসেছি! আজ! ওকে চল এবার যাওয়া যাক…
[ বলেই রাহুল গাড়িতে উঠে চলে গেলো ]
রিদোয়ান : এই রাহুলের হলোটা কি বলতো?…
আসিফ : Don’t know! ?
[ স্নেহা রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে ওয়াসরুমে যাচ্ছে ঠিক ঐ সময় জারিফা স্নেহাকে টেনে খাটে বসিয়ে দেই…. হা..করে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক ]
স্নেহা : জারিফা! You Ok?..?
জারিফা : No I m not ok! ইয়ার স্নেহা! তুই কত্ত লাকিরে!?
স্নেহা : কেনো? কি হয়েছে?…
জারিফা : কি হয়েছে মানে! রাহুলকে দেখিসনি?..তোর সময় কি না এন্ট্রি নিলো…?
শায়লা : আমিতো বলেইছিলাম কিছুতো অন্তত ভালো গুণ আছে!
জারিফা : [ হতাশ হয়ে ] হ্যা! কিন্তু কেউ একজন তার জন্য কম্পোজনিশন লিখে ফেল করে ফেললো!
মার্জান : মোটেও ফেল করিনি! সব কথাই রাইট ছিলো…মাঝে এসে হিরোর মতো র্যাগিং অফ করে দেওয়াটাও ওর একটা ধান্ধা! You know মেয়েদের পটানোটাই তো ওর কাজ!
জারিফা : এক্সকিউজ! মি আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন! রাহুল যদি মাঝে না আসতো তাহলে! আপনার ও র্যাগিং হতো!
মার্জান : So what! এটা করে ও আমাদের উদ্ধার করেনি! কোন ভার্সেটিতে এমন রুলস্ আছে যে জুনিয়রদের র্যাগিং করবে?…এগুলো তো ওদের মতো গুন্ডা বদমাইশরাই ক্রেট করে! আর তোর সাথে কথা বলাতো বেকারই তুই তো ওর চামচি! [ বলেই মার্জান রুম থেকে চলে যায় শায়লা হাসতে থাকে! ]
জারিফা : [ মাথায় হাত দিয়ে ] আফসোস্!
স্নেহা : কি হলো?..
জারিফা : আচ্ছা! রাহুলতো আমার সময় ও এন্ট্রি নিতে পারতো তাই না?…উফফ!
স্নেহা : ওকে! আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি!
[ স্নেহা ফ্রেশ হয়ে এসে রুমে ঢুকতেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে ? ]
জারিফা : [ সানগ্লাস পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ] আরে স্নেহা আয়! তোরই অপেক্ষা করছিলাম! শোন এই সানগ্লাসটা তোর ব্যাগে পেয়েছি! এটা কার রে?…
[ স্নেহার মাথায় কিছুই আসছে না কি জবাব দিবে ]
জারিফা : কি হলো স্নেহা কোথায় হারিয়ে গেলি?.. বল?..
স্নেহা : আ–আমার ব্যাগে?..এ
এটা কেমনি সম্ভব?..হয়তো কারো সানগ্লাস হয়তো ভুলে চলে এসেছে! থাক রেখে দে ব্যাগে! যার সানগ্লাস তাকে কালকে দিয়ে দিবো!
জারিফা : [ অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তুই তো জানিস ও না এটা কার সানগ্লাস কাকে দিতে যাবি?…
শায়লা : এক মিনিট! আজ ভার্সেটিতে রাহুল না সানগ্লাস খুজতে ছিলো হয়তো ওর হবে!?
জারিফা : [ একটু ভেবে ]? আরে ধুর রাহুলের সানগ্লাস স্নেহার ব্যাগে কিভাবে আসবে?..হয়তো অন্য কারো হবে! এনিওয়ে সানগ্লাসটা দারুণ আছে…আমাকে কেমন লাগছে বলতো?..
শায়লা : হুমম! ফাটাফাটি ?
জারিফা : তাহলে এটা আমার কাছেই থাক! ক্লাসের কারো হলে খুজতে আসলে তখন দিয়ে দিবো!
স্নেহা : [ মনে মনে ] হায় আল্লাহ! এখন কি হবে! ওর সানগ্লাস ফিরিয়ে না দিলে ও তো আমার চশমা দিবে না! আর চশমা ছাড়া আমি পড়তে ও পারবো না!?
এর মধ্যে হঠাৎ শায়লা স্নেহা বলে ডাক দেই…মার্জান ও সাথে আসলো…
স্নেহা : হ্যা বল!
শায়লা : আসলে,…কেমনি বলি?
মার্জান : আমি বলছি! স্নেহা আসলে তোর ফর্মটা তো জমা দিয়েছি…স্যার বলেছিলো…ট্রাই করবে, কিন্তু..
স্নেহা : কিন্তু?..
মার্জান : স্যার! এখন ফোন করে বললো..ফ্রম এক্সেপ্ট করা হচ্ছে না…কেন্সেল করে দিয়েছে!
স্নেহা : [ মন খারাপ করে ] ওহ!
মার্জান : সব দোষ ঐ রাহুলের…ঐটাইমে যদি ওর গাড়ীটা না আসতো না! তাহলে আর ফর্মে ও দাগ পড়তো না…আমাদের ও এতো কষ্ট করতে হতো না…
শায়লা : হয়েছে এটা নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না!…বসে না থেকে আমরা অন্য কোনো ভার্সেটির ফর্ম ক্যালেক্ট করার ট্রাই করি!
জারিফা : [ এগিয়ে এসে ] আরে স্নেহা আলাদা কেনো হবে?… কিছু না কিছু করে ম্যানেজ কর!
মার্জান : আমিও ওটা চিন্তা করছি কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না!
স্নেহা : …যদি কপালে থাকে হবে আর না হলে নেই! এতো চিন্তা করছিস কেনো…
জারিফা : [ স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে]
স্নেহা : ব্যাস! অনেক হয়েছে ইমোশনাল! এবার চল সবাই খেতে… আমার তো অনেক খিদে পেয়েছে!
বিকেলে,
স্নেহা.. বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনমণা হয়ে ভাবছে, তা দেখে মার্জান এসে পাশে দাঁড়ায়!
মার্জান : স্নেহা!
স্নেহা : আরে তুই কবে এলি?..
মার্জান : আমরা তোর দোস্ত নামে কলঙ্ক তাই না?..
স্নেহা : আরে এমন কেনো বলছিস?..
মার্জান : তুই আমাদের ভরসায় এখানে এলি…আর আমরা তোর জন্য কিছুই করতে পারছি না!
স্নেহা : আরে যা হওয়ার হয়েছে..এসব কি কেউ ইচ্ছে করে করেছে নাকি?..তুই এতো টেনশন করছিস কেনো…?..যদি খারাপ কিছু হয়ে থাকে ভেবে নিবি..আল্লাহ হয়তো এর চেয়ে ভালো কিছু রেখেছে..ওকে?
মার্জান : তাহলে তুই কিসের টেনশন করছিস?..
স্নেহা : কই?.. আমি আবার কিসের টেনশন করছি?..
মার্জান : দেখ স্নেহা মাথা খারাপ করিস না…সবার কাছ থেকে লুকালে ও আমার থেকে লুকাতে পারবি না..বল?..
স্নেহা : ?আসলে! ভাবছি..ঐ ফর্মের জন্য অনেক টাকা চলে গেলো…বাবা যদি জানতে পারে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে… আর আমি বাবাকে ও মিথ্যে বলতে পারবো না..
মার্জান : ঠিকাছে! আংকেল কে তোর কিছু বলতে হবে না এখন…! আরে আমরা চারজন আছি তো…কারো কাছ থেকে ধার চেয়ে নতুন ফর্ম কিনে নেবো…তারপর চারজন মিলে কোনো না কোনো টিউশন অথবা…পার্ট টাইম জব করে শোধ করে দেবো..
স্নেহা : না নানা…এই আইডিয়া কেন্সেল! আরে! তোরা এতো কষ্ট করতে যাবি কেনো…
মার্জান : কারণ আমরা তোর কি?..হ্যা বল?..
স্নেহা : [ একটু হেসে ] ওকে..বাবা!
মার্জান : ওকে! ? আমি বাকিদের বলে আসি! [ মার্জান চলে গেলো ]
স্নেহার কেনো যেন আইডিয়াটা পছন্দ হয়নি..ওর নিজের কারণে বাকিরাও কষ্ট করবে..কেনো…
ছটফট করতে করতে রাতটা কোনোভাবে কেটে গেলো…
সকালে, সবাই ভার্সেটি যাওয়ার জন্য রেডি…
জারিফা : [ স্নেহার পাশে বসে ] আফসোস! ?
স্নেহা : কেনো আবার কি হলো!
জারিফা : কি হলো মানে?..এটা জিজ্ঞেস কর কি হয়নি?..সব বিপদ আমাদের উপরই কেনো যাচ্ছে বলতো?.. ?
স্নেহা মার্জানকে ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো.. ওর কি হয়েছে..মার্জান ও জানেনা বললো…
স্নেহা : আরে জারিফা.. কি হয়েছে সেটা তো বল?..
জারিফা : কাল আমাদের সাথে র্যাগিং হয়েছে! তারপর তোর ফর্ম নষ্ট হয়েছে…আর আজ আমরা তিনজন ভার্সেটি যাচ্ছি কিন্তু তুই যাচ্ছিস না.. এমনতো হওয়ার কথা ছিলো না তাই না?..?
স্নেহা : আরে পাগলী এত্তো আপসে্ট হচ্ছিস কেনো সব ঠিক হয়ে যাবে যা এবার…বেড়িয়ে পড় না হয় আবার ক্লাসে লেইট হয়ে যাবে!
[ সবাই বেড়িয়ে পড়লো… স্নেহা দরজা বন্ধ করে একটু ভেবে আবার তাড়াহুড়ো করে দরজা খুললো ]
মার্জান : কি হলো?..স্নেহা?..
স্নেহা : আসলে! আ..আমি কি তোদের সাথে যেতে পারি?..?
[সবাই সবার দিকে একবার তাকিয়ে একটু হেসে দেই ]
মার্জান : Of course ! why not☺
জারিফা : গার্লস্! আজ না আমরা শুধু প্রাকটিক্যাল ক্লাসটা করে বেরিয়ে যাবো…তারপর সবাই মিলে ফুচকা খেতে যাবো আইডিয়া কেমন বলতো?..
মার্জান : ততোটাও খারাপ না!
জারিফা : যাক অনেকদিন পর আমার কোনো আইডিয়াকে তুই খারাপ না বললি!
স্নেহা : ওকে! তোরা ৫ মিনিট অপেক্ষা কর আমি এক্ষুণি আসছি!
[ স্নেহা তাড়াহুড়ো করে তৈরী হয়ে চলে আসে ]
ভার্সেটি পৌছে, ভেতরে ঢুকছে…হঠাৎ চোখ পড়ে পার্কিং এর দিক… রাহুল দাঁড়িয়ে আছে তার গাড়ীর সাথে হেলান দিয়ে…পাশে তার বন্ধুরা ও আছে…স্নেহাকে দেখতেই রাহুল তেডি স্মাইল দেওয়া শুরু করে!
স্নেহা একপলক চেয়ে আবার সোজা হাটতে লাগলো, আজ ভার্সেটি রাহুলের কারণেই আসা! আর নয়তো…স্নেহার মোটেও ইচ্ছে ছিলো না এভাবে আসার! বাবার দেওয়া প্রথম গিফট্ ছিলো ঐ চশমাটা!
শায়লা : ইয়ার! রাহুল আজ এতো আগে ভার্সেটি কেমনি এলো…
মার্জান : নতুন কোনো চাল হবে ওর!
জারিফা : লুক এট হীম্ গার্লস? হোয়াইট ডেনিম শার্ট এর সাথে পুরাই ডেসিং লাগছে…
মার্জান : স্নেহা তুই কেন্টিনে আর নয়তো কমোনরুমে গিয়ে ওয়েট কর…আমরা একঘন্টা পরই চলে আসবো! তারপর স্যারের সাথে তোর ফর্মের ব্যাপারে কথা বলবো!
স্নেহা : ঠিকাছে!
স্নেহা সাহস করে তো চলে এসেছে..তবে ওর সামনাসামনি হতে কেমন যেন একটা ভয় করছে,কিন্তু চশমাটা ও তো নিতে হবে তাই না! তারউপর ওর সানগ্লাসটা ও আনা হয়নি ওটা জারিফার কাছে! রয়ে গেলো!
এসব ভাবতে ভাবতে স্নেহা লাইব্রেরীর সামনে এসে দাঁড়ালো! ৭/৮ জন সাইলেন্ট হয়ে মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে মনে মনে ভাবতে লাগলো… ও আসার আগেই ঢুকে পড়ি! স্নেহা ধীরেধীরে লাইব্রেরীর দু-তলায় গিয়ে সে্ইম জায়গায় দাঁড়ালো…
[ হঠাৎ.. বুকটা ধুপধুপ করছে Uncomfortable ফি্ল হচ্ছে ]
[ স্নেহার কেন যেন মনে হলো পেছনে কেউ দাড়িয়ে আছে… পেছন ফিরতেই স্নেহা..রাহুলকে দেখে চিৎকার করতে যাবে, রাহুল তাড়াতাড়ি স্নেহার মুখ চেপে ধরে,]
রাহুল : শিস! সাইলেন্ট!?
[ স্নেহা বড় বড় চোখ করে চেয়ে আছে রাহুলের দিক… রাহুল ও চেয়ে আছে?]
রাহুল : তোমাকে দেখতেই বুঝে গেছিলাম তোমার চশমাটা তোমার উইকনেস্ ?
[স্নেহা মুখ থেকে হাত সরাতে ইশারা করলো ]
রাহুল : [ হাত সরিয়ে ] ওহ! সরি! সরি!
[ স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস নিতে লাগলো ]
রাহুল : ইউ ওকে?..?
স্নেহা : আপনি?…
রাহুল : হ্যা আমি! কেনো আর কারো জন্য অপেক্ষা করছিলে নাকি?..
স্নেহা : না! আপনাকে এক্ষুনি পার্কিং এর দিক দেখলাম..এতো তাড়াতাড়ি!?
রাহুল : পার্কিং এর দিক?..কিন্তু আমি তো এখানেই ছিলাম?
স্নেহা : এইখানে?..কিন্তু আমিতো
রাহুল : নিশ্চয় তুমি আমাকে নিয়ে ভাবছিলে…তাই সপ্ন দেখেছো ?
[ স্নেহা টেনশনে পড়ে যায় এটা কেমনি সম্ভব ও এইখানে থাকলে তাহলে পার্কিং এর ওটা কে ছিলো ]
স্নেহা : দেখেন আমি সত্যিই আপনাকে দেখেছি! এই.. হ্যা এই কাপড়টাই পড়াছিলেন!
রাহুল : [ হেসে ] ওকে রিলেক্স! I just kidding.. ?
স্নেহা : [ সস্থি হয়ে শাস ফেলে ]
[ রাহুল হাসতে থাকে…তাই স্নেহা ও লজ্জা পেয়ে হেসে দেই ]
রাহুল : নাইস্ ? [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালে ] স্মাইল!
স্নেহা : আমার যেতে হবে! চশমাটা দিন!
[ রাহুল স্নেহার দিক কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে পকেট থেকে চশমাটা বের করে স্নেহার হাতে দেই! স্নেহা চশমাটা নিয়ে পড়ে নেই! ]
[ রাহুল চেয়ে থাকে ? ]
স্নেহা : আ..আসলে! ?আপনার সানগ্লাসটা..? ওটা আমার ফ্রেন্ড ব্যাগ থেকে হঠাৎ নিয়ে নেই! তাই ওটা আনতে পারিনি!
রাহুল : ওহ! দ্যাটস্ ওকে!
স্নেহা : না! নাহ.. আপনি ওটার বদলে টাকা নিয়ে নতুন একটা কিনে নিতে পারবেন! আমি টাকা এনেছি!
[ স্নেহার কথা আর ভাবসাব দেখে রাহুল হেসে দেই ]
স্নেহা : চাইলে টাকা একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন সমস্যা নেই?
রাহুল : [ হেসে হেসে ] আচ্ছা? কত দিবা?..
স্নেহা : [ ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ] এইতো দু-শো টাকা নিন!? নতুন একটা পেয়ে যাবেন!
[ রাহুল হেসে দিলো ]
স্নেহা : কি হলো কম হলো?..? ওকে আরো আছে… [ ব্যাগ থেকে আরো দুইশত টাকা বের করে দিলো ]
রাহুল : চারশো?..
স্নেহা : হ্যা!?
রাহুল : কিন্তু সানগ্লাস তো…পাচঁ?
স্নেহা : ওহ! পাচঁশো টাকা [ বলেই ব্যাগের ভেতর হাত দিলো ]
রাহুল : পাচঁ হাজার
[ স্নেহা মূহুর্তেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো? ]
রাহুল : [ হাসি চেপে স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো ]
স্নেহা : পা..পা.পাচঁ হাজার?
রাহুল [ মাথা নাড়ালো ]
স্নেহা : পাগল নাকি আপনি.. পাচঁ হাজার টাকার একটা সানগ্লাস আমাকে পড়িয়ে দিয়ে..দু-শো টাকার একটা চশমা নিয়ে চলে গেলেন! আরে আমিতো জানিও না ওটা এতো দামী! নাহলে সামলিয়ে রাখতাম!
রাহুল : স্টপ!…[ স্নেহা চুপ হয়ে গেলো ] রিলেক্স! ধরো এগুলো নাও!
[ স্নেহা : চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে]
রাহুল : নাও!
স্নেহা : [ রাহুলের হাত থেকে টাকাগুলো নিয়ে ] আমি কাল না হয়!…
রাহুল : শিস!…So মিস্ স্নেহা …চারশো টাকা দিলে চলবে না! এর বদলে অন্যকিছু দিয়ে শোধ করতে পারো…?
স্নেহা : অন্যকিছু?..
[ রাহুল স্নেহার কাছে আসতে থাকে স্নেহা ভয়ে পেছাতে থাকে… রাহুল স্নেহার কাছে তার মুখ আনলে ]
স্নেহা : [ ভয়ে চোখ বটে ] দেখেন প্লিজ! আমি এসব কিছু করতে পারবো না…[ কিছুক্ষণ পর স্নেহা ধীরেধীরে চোখ খুলে দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে ]
[ রাহুল স্নেহার মুখের উপর ফু দিলে স্নেহার চোখের সামনে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো সরে যায় ]
রাহুল : [ সরে দাঁড়িয়ে ] আমিতো বলিই নেই যে কি করতে হবে?…
[স্নেহা লজ্জা পেয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ফেলে ]
রাহুল : তুমি কি ভেবেছিলে ?
স্নেহা : নাহ! কিছু না!
রাহুল : ওকে! So এক কাপ কফি খাওয়ার সময় হবে মিস্ স্নেহা!
স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো….
রাহুল : কি ভাবছো…
স্নেহা : ওকে! কিন্তু বেশী লেইট করা যাবে না…আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে…
রাহুল : তোমার ফ্রেন্ডসরা তোমাকে আমার সাথে দেখলে ওরা আবার কষ্ট পাবে তাই তো?…? ওকে অনলি থারটি্ মিনিটস্ চাই?.. চলবে?..
স্নেহা : [ মাথা নাড়ালো ] হুম
রাহুল : Come!
[ দুজনেই হাটছে!? ]
[ রাহুল স্নেহাকে হল রুমে নিয়ে গেলো… স্নেহা চারদিক মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে…চেয়ার টেবিল, কফি মেশিন, নানানরকম গিটার,…
স্নেহা গিয়ে একটি চেয়ারে বসলো… কিছুক্ষণ পর রাহুল দু-কাপ কফি নিয়ে স্নেহার অপোসি্টে বসলো…
স্নেহা : [ কফি হাতে নিয়ে ] Thank you!
রাহুল : So! মিস্ স্নেহা…পার্টিতে আসছো তো?..কিসে পার্টিসিপেট করছো…তুমি তো নাকি ভালো ডান্স পারো?
স্নেহা : কিসের পার্টি?…
রাহুল : আমাদের ভার্সেটির..
স্নেহা : ওহ!
রাহুল : আসছো তো?…
স্নেহা : এক্সুলি! আমি আজ ভার্সেটিতে আমার চশমাটা ফেরত নিতে আসলাম..আর আপনার সানগ্লাসের…? আসলে আমার আজ লাষ্ট ডে ভার্সেটিতে…কাল থেকে আমি আর আসছি না!
রাহুল : [ হেসে ] ইউ! কিডিং রাইট! কাল ফার্ষ্ট ডে আর আজ লাষ্ট ডে হয়ে গেলো?… বেড়ী ফান্নি?
স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে চুপ করে রইলো…
রাহুল : হেই! আর ইউ সিরিয়াস!?
স্নেহা : হুম!
রাহুল : মানে কি?..কিন্তু কেনো?
স্নেহা : আচ্ছা আমি এখন যায়! আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে না পেলে তখন টেনশনে পড়ে যাবে!
রাহুল : কিন্তু কারণটা তো বলে যাও!
[ স্নেহা কিছু না বলে হল থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যায় এবং হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা লাগে ]
মার্জান : স্নেহা! ?তুই?..তুই এইখানে কি করছিস?..
স্নেহা : আ..আমি!..তু তুই কি করছিস?
মার্জান : আমিতো তো তোর ফর্মটা আনতে গিয়েছিলাম স্যার থেকে…কিন্তু তুই
স্নেহা : আমি তোকেই খুঁজছিলাম…
[ হঠাৎ রাহুল দৌড়ে এসে দাঁড়ায় ]
[ মার্জান রাহুলকে দেখে চল বলে স্নেহার হাত ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো.. সাথে সাথে রাহুল স্নেহার অন্যহাত ধরে ফেলে ]
রাহুল : স্নেহা আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি তোমার কাছ থেকে…কাল থেকে কেনো
আসবা না?..
মার্জান অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দুজনের দিক!
স্নেহা : দেখেন! আমার হাত ছাড়েন!প্লিজ
রাহুল : আনস্যার দাও ছেড়ে দিবো!
[জারিফা আর শায়লা ও এগিয়ে এলো]
মার্জান : ওহ! আমি বলছি! কাল থেকে কেনো আসবে না… [স্নেহা মার্জানকে ইশারা করছে না বলতে ] তো শুনেন! স্নেহার ফর্মটা হাত থেকে বাতাসে উড়ে গিয়েছিলো..Then ও সেটা নিতেই যাচ্ছিলো… ঐ সময় আপনার..দামী গাড়ীর চাকাটা ফর্মের উপর চালিয়ে দিয়েছিলেন… কিছু মনে পড়ছে…
রাহুল : Yeah.. I remember! [ মাথায় হাত দিয়ে ] Oooh! Shit! তারমানে তোমার ফর্ম জমা নেইনি?..?
মার্জান : চল স্নেহা!
রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] ওয়েট ওয়েট ওয়েট… ফর্মটা আমাকে দাও!
মার্জান : কেনো…এটা চুবিয়ে পানি খাবেন নাকি?…
রাহুল : I m serious ok?..
শায়লা : [ মার্জানের কানে ] দিয়ে দেখ…হয়তো ম্যানেজ করে দিতে পারে…আরে আমাদেরই তো লাভ!
মার্জান : [ মুখ ভেংগিয়ে ফর্মটা রাহুলের হাতে দেই ]
রাহুল : পার্কিং এ ওয়েট করো… আমি একটু পর দেখা করছি! [ বলেই রাহুল চলে গেলো ]
সবাই মিলে পার্কিং এর দিকে বসে ওয়েট করছে…
রাহুল গিয়ে আসিফকে সব শেয়ার করলো…
আসিফ : তোর বাবাকে কল কর.. উনি বললে তো দু-সেকেন্ডেই কাজ হয়ে যাবে..
রাহুল : আমি?..কল দেবো?.. তারউপর বাবাকে?.. are you mad?..
আসিফ : তাহলে দাদীকে বল আংকেলকে বলতে,
রাহুল : অতো টাইম নেই আসিফ! যা করতে হবে টাকা দিয়েই…
প্রায় আধ ঘন্টা পর,
জারিফা : গার্লস্ রাহুল আসছে!
রাহুল এসে স্নেহার হাতে একটি কার্ড এগিয়ে দেই….
মার্জান : [ হুট করে কেড়ে নিয়ে ] ?আইডি কার্ড… স্নেহার?..
[ রাহুল মাথা নাড়ালো ]
মার্জান : [ খুশীতে ] কেমনি করলেন এটা এতো তাড়াতাড়ি…স্নেহা দেখ…তারমানে তোর অন্য ভার্সেটিতে এডমিশন নিতে হবে না…? [ স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে ] আমরা আলাদা হচ্ছিনা!
[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু হেসে চলে গেলো ]
বাসায় এসে, স্নেহা ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকতেই দেখে সবাই মুখে হাত দিয়ে বসে তার দিক গুড়্গুড় করে তাকিয়ে আছে….
স্নেহা : [মাথা মুছতে মুছতে…চেয়ারে এসে বসলো… ] কি ব্যাপার সবাই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো…
মার্জান : সোজা পয়েন্টে আসি কথা না বাড়িয়ে, এবার বল তুই রাহুলের সাথে হলরুমে কি করছিলি?…
স্নেহা : [ ভয়ে ভয়ে ] আ…আমি?..?
মার্জান : ইয়েস্ ইউ!
স্নেহা : আসলে আমি হলরুমে…?
[ সবাই একসাথে হেসে উঠলো ]
স্নেহা অবাক হয়ে তাকায়,
জারিফা : সরি গাইস্ আমি ওর রিয়েকশন দেখে হাসি আটকাতে পারলামনা… তুই এত্তো সিরিয়াস কেনো স্নেহা?…? আমরা ফান্ করছিলাম ? বাই দ্যা ওয়ে প্লানটা আমারই ছিলো…?
স্নেহা : [ বড় শাস ফেলে হেসে ] ও..ওহ!?…
শায়লা : এক মিনিট! একটা জিনিষ খেয়াল করেছিস! রাহুল কিন্তু স্নেহার জন্য Lucky person
জারিফা : How?..
শায়লা : গতকাল! র্যাগিং এর সময়.. .স্নেহার টাইমে এসে রাহুল র্যাগিং অফ করে দিলো.. আজ ফর্ম হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে..বাট রাহুল এসে সেটাও Solve করে দিলো!
মার্জান : আমার একটা জিনিষ ডাউট হচ্ছে! ও আমাদের হেল্প করছে কেনো বলতো…
জারিফা : তোর আর ওর উপর থেকে ডাউট যাবে না… এনিওয়ে! আজ কিন্ত ওকে তোর সরি বলা উচিৎ ছিলো…
মার্জান : আমি কেনো সরি বলবো ও কে?..
জারিফা : কেনো বলবি মানে?..ফর্ম দেওয়ার সময় ওকে যে মুখ ভেংগিয়ে দিলি…তার উপর… কতো লেকচার দিলি ও কে…তা ও স্নেহার কার্ড এনে দিয়েছে ও…
শায়লা : I think she is right! তোর ওকে সরি! না বললে ও অন্তত থেংক্স বলা উচিৎ ছিলো…
মার্জান : [ একটু ভেবে ] ঠিকাছে ট্রাই করবো…
শায়লা : আচ্ছা গার্লস্ নেক্সট টপিক পার্টির কি প্লানিং?..
জারিফা : ও ইয়াহ ইয়াহ! ? আমার তো ওয়েট ও হচ্ছে না..ভালোই হলো এখন সব প্রবলেম Solve… আর এখন শুধু পার্টির প্লানিং চলবে!
মার্জান : গাইস্ আমার না এসব পার্টিতে ইন্ট্রেষ্ট.. নেই তোরা কর তোদের প্লান!…
পরদিন ভার্সেটিতে…
সবাই কথা বলে বলে ঢুকছিলো..হঠাৎ
মার্জান : ওয়েট গার্লস্
শায়লা : কি হলো?..
মার্জান ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিলো পার্কিং এর দিক!
…পাশ থেকে রাহুল গাড়ী পার্ক করে আসছিলো…. হঠাৎ স্নেহা এবং তার ফ্রেন্ডসদের দেখে রাহুল একটু স্লোলি হাটে… রাহুল কাছে আসলে,
জারিফা : হায়! রাহুল!?
রাহুল : হ্যালো!?
মার্জান : [ এগিয়ে গিয়ে ] থেংক্স! এন্ড সরি! কালকের মিসভিহেভ এর জন্য!
রাহুল : It’s Ok no need sorry! [ স্নেহার দিক তাকিয়ে সানগ্লাস? চোখে লাগিয়ে চলে যায় ]
[স্নেহা মনে মনে অবাক হলো আজ রাহুল স্মাইল করলো না]
সবাই গিয়ে ক্লাসে বসে,
স্নেহা : গার্লস্ আমি না একটু ওয়াসরুমে যাবো!
মার্জান : ওয়াসরুম! ওকে চল আমি নিয়ে যায়!
স্নেহা : না…নাহ লাগবে না..আমি যেতে পারবো…
মার্জান : Sure?..
স্নেহা : হ্যা!
[ স্নেহা তাড়াতাড়ি করে দু-তলায় উঠে…লাইব্রেরীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো.. ঢুকতেই যাবে ঐ টাইমে রাহুল এসে স্নেহাকে টেনে নিয়ে…একটা খালি ক্লাসে নিয়ে যায় ]
স্নেহা : [ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ] কি করছেন ?আপনি আমাকে এইখানে কেনো আনলেন?…
রাহুল : আমি জানতাম তুমি লাইব্রেরীতে আসবা!
স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] আ..আমি! বই পড়তে এসেছিলাম!?
রাহুল : [ কাছে এগিয়ে এসে ] আচ্ছা তাই? ক্লাসটাইমে লাইব্রেরীতে বই পড়তে এসেছো তাই না?..
স্নেহা : আসলে! আপনাকে থেংক্স বলার ছিলো…?
রাহুল : তোমার আমাকে থেংক্স বলা লাগবে না!
স্নেহা : কেনো কি হয়েছে?..?
রাহুল : [ বিরক্তি হয়ে স্নেহার দুহাত চেপে ধরে ] তুমি কিছুই বুঝো না?…
স্নেহা : আমি কি…কিছুই বুজতে পারছিনা কি বলছেন…?
রাহুল : [ স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে..] আমি তোমার উপর রাগ করেছি!
স্নেহা : কিন্তু কেনো?..
রাহুল : [ হেটে দরজার সামনে গিয়ে ] জানতে ইচ্ছে হলে…হল রুমে এসে দেখা করো…! [ বলেই রাহুল চলে গেলো]
স্নেহা : [চেয়ে আছে অবাক হয়ে মনে মনে ] কি এমন করলাম রাগ করার মতো… কিছুই তো মাথায় আসছে না. এসেছি ধন্যবাদ দিতে আর হয়ে গেলো অন্যটা…[ বিরক্ত হয়ে ] উফ! আবার হল রুমে কিভাবে দেখা করি?
স্নেহা ক্লাসে গিয়ে বসে…
প্রায় তিন ঘন্টা ক্লাস করলো… আর একটা ক্লাসই বাকি! স্যার এখনো ক্লাসে আসেনি…তাই এটাই সুযোগ!
স্নেহা : আ..আমি একটু আসি!
মার্জান : আবার কোথায় যাচ্ছিস?..
স্নেহা : ও..ওয়াসরুমে..হুম!
মার্জান : [ একটু কনফিউজড হয়ে ] Any problem?.. ?
স্নেহা : না..নাহ!
মার্জান : ওকে যাহ!
তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে
স্নেহা : [ মন মনে ] কি আজিব! কতো মিথ্যে বলতে হচ্ছে!? নাহ! আর না…আজ বলে দিবো… আপনি আমার কার্ড এনে দিয়েছেন তাই.. থেংক ইউ! আর যে কারণেই রাগ করেছেন ওটার জন্য সরি! এরপর থেকে আমি আর আপনার সাথে দেখা করতে পারবো না..ইয়েস্ এইভাবেই বলবো…
[ স্নেহা ধীরেধীরে হল রুমের কাছে যায়… দরজা খুলতেই দেখে…সফটেড মিউজিক চলছে…..এবং কিছু ছেলে-মেয়ে বসে আছে…]
তাদের দেখেই..স্নেহা পেছন মুড়ে চলে যাচ্ছিলো…হঠাৎ ধাক্ষা খেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়,
রাহুল : পালাচ্ছো কেনো…
স্নেহা : [ শকড হয়ে ] ও..ওখানে স.. সবাই
রাহুল : So what?.. চলো..
[ রাহুল স্নেহার হাতধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো সবাই তাদের দিক তাকিয়ে আছে ]
রাহুল : Guys! meet with sneha.. you know she is very well dancer! and sneha! meet my friends.. আসিফ, রিদোয়ান , আনিল, শ্রেয়া, রিদি, And নেহা!
নেহা : তো তুমিই সেই স্নেহা! [ দাঁড়িয়ে স্নেহার দিক হাত বাড়িয়ে ] হ্যালো স্নেহা..
স্নেহা : হায়! [ ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলো ]
রাহুল : [ স্নেহার কাছে একটি চেয়ার টেনে দিয়ে…] Seat! স্নেহা
স্নেহা দাঁড়িয়েই রাহুলের দিক হা করে তাকিয়ে আছে…
স্নেহা না বসাতে ..
রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে ]কি হলো স্নেহা! বসো…
স্নেহা : আপনি বলেছিলেন রাগ কেনো করেছেন সেটা বলবেন!
রাহুল : কি?..শুনছিনা মিউজিক এর জন্য!
[স্নেহা বুজছে রাহুল ইচ্ছে করেই না শোনার ভান করছে..]
রাহুল : [ একটু হেসে ] হ্যা! বলবো ডান্স করতে করতে…?
স্নেহা : ডান্স!?? পাগল নাকি আপনি?..
[ স্নেহা চলে যাচ্ছিলো রাহুল স্নেহার হাত ধরে একদম কাছে টেনে নেই…]
সবাই… কামঅন স্নেহা! বলে চেঁচিয়ে উঠে!
রাহুল : [ চোখ বন্ধ করে ] আমার জন্য স্নেহা…প্লিজ! শুধু একবার!
স্নেহা ধীরেধীরে রাহুলের হাত সরিয়ে দিলো…
নেহা : রাহুল! I think she is not comfortable with you হাহা!
রাহুল আর স্নেহার দিক তাকালো না নিচের দিকেই তাকিয়ে রইলো… স্নেহা পেছাতে লাগলো… হঠাৎ কিছুক্ষণ পর থেমে যায়…স্নেহা আবার রাহুলের দিক এগুতে লাগলো…
সবাই শিষ বাজিয়ে চেঁচিয়ে… উঠলো…
রাহুল তাকিয়ে দেখে স্নেহা কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে…
মিউজিক ভলিউম… বেড়ে গেলো…
স্নেহা রাহুলের হাত ধরলে… রাহুল আরো…শক্ত করে স্নেহার হাত ধরলো…
এবং ধীরে…ধীরে নাচ শুরু করলো…
চলবে…